টেস্ট প্লেয়ারের মতো এক এক রান নিয়ে যখন সতীর্থের টি-২০ ধারার পিটানি দেখি, তখন কেমন লাগে আমাকে জিজ্ঞেস করুন। আমি কিচ্ছু বলবোনা, শুধু এমন দেখবেন। :@   এইভাবে সবার সেঞ্চুরি আর ডাবল সেঞ্চুরীর পোস্ট দিতে দিতে একদিন আমিও ডাবল হাঁকিয়ে ফেলবো, নো সমস্যা। 🙁
যার কথা বলছি, তাকে আপনারা যেই নামে বা পরিচয়েই চিনুন না কেন, সদ্য কোমরে শাড়ি গুজে টেবিলে রসনার বর্ষা (রেসিপি-এক ) ঝড়িয়ে সবারই পিন্ডি তিনি ঘুরিয়ে দিয়েছেন। কবি, সেবিকা, লেখিকা, ফটোগ্রাফার, সব ছাপিয়ে অই টেবিল বরাবর রাঁধুনিই আমার সমস্ত চক্ষুশূলের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে, আর তাকেই কিনা দাঁতে দাঁত চেপে এখন আমার উইশ করতে হচ্ছে, ডাবল সেঞ্চুরীর পোস্টের জন্য। 🙁 উহ্ এরপর যদি আমায় নিয়ে কোন কবিতা সে না লেখে তখন খবরই করে দেব। যতো কবিতা সেই কোথাকার কোন স্প্যানিশ মুখপোড়া লা বিয়েত্রা’র জন্যে। মরেও শান্তি পাচ্ছেনা বেচারা।

অনেক দুস্টামি হয়েছে, এইবার সিরিয়াস কথা বলি, লিস্টি করেছি কোন কোন লেখা তার ব্লগ থেকে ভ্যানিশ করে দেয়া দরকার। আপনারাও আমাকে একটু সহায়তা করুন দেখি!!

সবার আগে সেই ঈশ্বরের সাথে বাতচিত ( পদত্যাগ……ভাবনার বদল। ) বলে কী কবি!! শুন্য শুন্যালয় কে বাদ দিয়ে ঈশ্বর নাকি তাকে অবতার হিসাবে পাঠিয়েছে। উহ্ এও সহ্য করা যায়?

প্রবেশ নিষেধ। বললেই হলো, দরজায় রেড লাইট জ্বালিয়ে ভেতরে কী হচ্ছে, না দেখেই ফিরব ভেবেছে!!
এখানে শৈশবের ঢোকা বারণ ছিলো সে আমাদের আগে বললেই হতো, আমিতো এখনো শৈশবেই আছি, শুধু শুধু লেখা পড়ে মন খারাপ করে বেরিয়ে এলাম। 🙁

আলমারী গোছাতে গোছাতেও কোনদিন কবিতা লিখেছেন কেউ? কেউ না লিখলেও তিনি লিখেছেন। রান্না করতে গিয়ে দারচিনি, এলাচ, লবংগ, তেজপাতা নিয়েও তিনি কবিতা লিখতে পারেন। অনূ-ভাবনা পড়লেই বুঝবেন সত্যি বলছি আমি। তার কাছে থেকে কেউ রেহাই পাবে না, সব্বাইকে ধরে কবিতার মধ্যে গিট্টু মেরে আটকায় দেবে।

রান্নায় তেল পড়ে গায়ে ফোস্কা পরলেও সে একটা কবিতা লিখে ফেলে। মইরা যাবার আগে যমদূত কে বলবে, একটু দাঁড়াও তুমি দেখতে কেমন তা একটা কবিতায় লিখে রেখে যাই। হ্যাঁ তাকে দিয়ে তাও সম্ভব, শুধু দাঁড়াতে বলা নয়, যেভাবে তিনি সেদিন যমদূত কে ফিরিয়ে দিয়েছেন, তার সেই মনের সাহস সবার জন্যেই আদর্শের মতো গ্রহণীয়। এতো মেজর একটা এক্সিডেন্টের পরেও তিনি এতটুকু হাল ছাড়েননি। হাসপাতালের বেডে বসেই কবিতা লিখলেন…হাসপাতালীয় উষ্ণতা। উহ্ অসহ্য, হাসপাতালের বিছানারও মুক্তি নেই? 🙁

এইতো কিছুদিন আগে আমাকে ফোন দিল, ফোন ধরিনাই। যে ফোন ধরেছে তাকে বলে দিলাম, বলে দাও নৈঃশব্দ বাড়ী নেই

তবে বকাঝকা, মনে মনে গালমন্দ এত্তো করি আর যাই-ই করি, অহম তিরির বাসায় এক টেবিলে আমাদের সোনেলার সব্বাইকে ইনভাইট করে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। (উত্তর এবং প্রত্যুত্তর : তিরি এবং অহম : চতুর্বিংশ ভাগঃ **বিশেষ ভাগ – চমক পর্ব**) সেই জন্যেই এত্তদিন ধরে তার কবিতার অত্যাচার আমরা সহ্য করে যাচ্ছি, আগামীতেও করবো। তবে আরো নিমন্ত্রণের উপর নির্ভর করবে অবশ্য।

স্বপ্ন-চাষ দিয়ে শুরু করেছিলেন তিনি, এখন সোনেলায় তার স্বপ্নের সোনালী রঙ চারিদিকে।
তিনি নীলাঞ্জনা নীলা, সোনেলার তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরিয়ান। আজ আমাদের সোনেলার লেডি কবিগুরুর জন্মদিনও। কী কপাল! একই দিনে জন্মদিন আবার ডাবল সেঞ্চুরী। কতো বয়স হইলো জানতে চাওয়ার মানা আছে, তবে আমি আবার মানা শুনি নাকি? বলি দাদীমা তোমার বয়স কতো হইলো এইবার ঠিক ঠিক বলো দেখি। আমাদের এমনি ভালোবাসায় প্যাকেটে মোড়ানো, ভালোবাসার ধাতুতে গড়া, পোস্ট পড়িয়ে তিনি আরো অনেক অনেক পথ পাড়ি দিন। সোনেলার সকল ব্লগারদের পক্ষ থেকে তোমাকে জন্মদিন আর দ্বিশততম পোস্টের শুভকামনা অফুরান্ত প্রিয় ব্লগার নীলাঞ্জনা নীলা আপু।। -{@
501_9401472206135126886 []

১০২৪জন ১০২৪জন

৮৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ