সিডনি থেকে ৯০ কিমি দূরে উলংগং শহর। দ্বিতীয়বারের মতো এ শহরে আসা। গতবছর সিডনি যাবার শুরুতেই যখন এ শহরে পা রাখি, আমি নিজেকে একদম বেঁচে দেয়া যাকে বলে, দিয়ে দিয়েছি এই শহরকে। পৃথিবীর অলিগলিতে এর চাইতেও সহস্রগুন সুন্দর জায়গা আছে জানি, তবুও পাখি যখন মাত্র উড়তে শেখে, গাছ ছেড়ে একটু নদীর উপর উড়ে গেলেই তার কাছে নদী হবে প্রথম আশ্চর্য। উলংগং শহরটিকে নিয়ে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছে আছে, আপাতত ভ্রমণের টুকরো কিছু স্ন্যাপ শেয়ার করলাম।
১. অস্টিনমার বীচ।
জলের উপর নীল ভাসে, অথবা নীলের উপর জল; আসমুদ্র হাহাকারে সময় চলে,
অথবা আমরা সময় চালাই।
২. ইলাওয়ারা লেক।
পর্যটকের বুকের ভেতর সাত সমুদ্র তেরো নদী।
৩. অস্টিনমার বীচ।
মানুষ এক বিরল প্রজাতি, যারা মাছ, পাখি সব হতে চায় আবার সব ধরে ধরেও খায়।
৪. বুলাই লুকআউট।
মেঘ ছুলে আঙুল কাঁটেনা, তবে মেঘ ঢুকলে বুকের পাঁজর কাঁটে।
৫. হিল সিক্সটি লুকআউট।
সমুদ্র প্রেমের চাইতে মনুষ্য প্রেমেই উত্তাপ বেশী,
এখানে সূত্র না মেনেই চলে স্নান, সার্ফিং, নৌকাবাইচ।
৬. হিল সিক্সটি লুকআউট।
নীলের বিস্তারে পাল তুলুক বিষ, চুমুকে চুমুকে ঠোঁটের পারদে উঠুক উত্তাপ অক্সিজেন।
৭. স্টুয়ার্ট পার্ক।
ভীষণ একলা লাগা এক আলোর দ্বীপে, শত সহস্র একারা ঘুরে ফিরছে,
তাদের কারো কারো হাত অন্য হাতে মুষ্টিবদ্ধ, কারো হাত ছুঁয়ে আছে অন্য শরীর,
অথচ সবাইকে “একার” ক্লোন বলে ভ্রম হচ্ছে।
৮. মাউন্ট কিয়েরা লুকআউট।
যতো উপর থেকে দেখবে, সবকিছুই পেয়ে যাবে একসাথে, অথচ বুঝতেই পারবেনা,
তুমি কিছুই পাচ্ছোনা।
৯. ব্রেকওয়াটার লাইটহাউস।
আলো দেখাও? অন্ধকার? জল ফুঁড়ে ঢেকে দাও পেছনের দাগ?
ঘরের মধ্যে ঘর বানিয়ে করো কষ্টের চাষ?
১০. ব্লোহোল, কায়ামা।
সবুজ, নীল, কালোর জগাখিচুড়ি পাকানো মন যখন নিজেই বিপর্যস্ত,
নিজেকে না চিনতে পেরে।
১১. পোর্ট ক্যাম্বলা
বিপণন কেন্দ্র গুলোতে যখন মানুষের ঢল নামছে,
তখন কোন এক একা মানুষ খুচরো স্বপ্ন বিক্রি করছে ঢেউ এর দামে।
১২. স্ট্যানওয়েল লুকআউট
পাহাড় আমায় ডাকছে। অন্তরে ভবঘুরে, বাহিরের পাখি খাঁচায় বসে কাঁদছে।
১৩. ব্লোহোল, কায়ামা।
দৃশ্যরা ছবি হয়ে উঠলেও, ছবি আর কখনো দৃশ্য হয়ে ওঠেনা, তা হয়ে যায় ক্ষত,
আনন্দ অথবা কষ্টের।
৬৫টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
ছবি দেখে তো চোখ ঝলসে গেলো শুন্য শুন্যালয়,
এখন ক্যাপশন গুলো পড়ি।
শুন্য শুন্যালয়
চোখ ঝলসে গেলে পড়বেন কী করে ক্যাপশান? 🙂
সাবিনা ইয়াসমিন
* বিপণন কেন্দ্র গুলোতে যখন মানুষের ঢল নামছে,
তখন কোন এক একা মানুষ খুচরো স্বপ্ন বিক্রি করছে ঢেউ এর দামে। *
একা এক মানুষের দুর্লভ ভাবনা গুলো ঢেউয়ের দামেই বিক্রি হয় / অত্যন্ত জটিল মূহুর্তের বর্ননা খুব সুন্দর করেই দিয়েছেন শূন্য।
প্রতিটি ছবিই সুন্দর, প্রতিটি ছবির মাঝে অদ্ভুত ভাবে নীলের ছোঁয়া লেগে আছে। কোনটা বেশি ভালো লাগছে বলা মুশকিল। ছবিব্লগ পছন্দের তালিকায় চলে এসেছে তার অসাধারণ সৌন্দর্যের কারনে।
ভালোবাসা ও শুভকামনা রইলো ❤❤
শুন্য শুন্যালয়
শহরটাই নীলের শহর। সমুদ্র আর পাহাড় মিলেমিশে গেছে ওখানে। সত্যিকারের সৌন্দর্য ক্যামেরায় ধরা পড়েনা বলেই মনেহয় আমার কাছে।
ছবিব্লগ ভালো লাগলেই কষ্ট স্বার্থক হবে। ল্যাপটপ নষ্ট হওয়ায় মোবাইলে দিতে হচ্ছে, যেটা ঝামেলার। আর ছবির শিরোনামও পাইনা।জমে।আছে অনেক ছবি।
আপনাকেও ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা আপু। ♥
সাবিনা ইয়াসমিন
অনেক ছবি জমে আছে!! ওগুলো তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে বিলিয়ে দিন, ক্যাপশন নিয়ে একদম ভাববেন না। উড়োধুড়ো যার যে ক্যাপশন মাথায় আসবে আমরা তাই দিয়ে ছবিব্লগ পড়ে নিবো।
নেক্স পোস্টের জন্য অপেক্ষা করা শুরু করলাম, ❤❤
সাবিনা ইয়াসমিন
নেক্সট 😁
শুন্য শুন্যালয়
আল্লাহ্ আমিতো আপনার ভয়েই আরো ছবিব্লগ দিতে ভয় পাই। একদিন কই জানি লিখলেন শুধু ছবি দিলে পছন্দ করেন না।
আচ্ছা এরপর এক গাদা ছবি পোস্ট দিয়ে দেব। ক্যাপশানের দায়িত্ব আপনাদের 🙂
আরজু মুক্তা
ছবিও বলছে কথা!
শুন্য শুন্যালয়
ধন্যবাদ আপু। ♥
মনির হোসেন মমি
মাগোমা যেমন বর্ননা তেমনি ছবি!কি সাংঘাতিক!
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ মনির ভাই 🙂
জিসান শা ইকরাম
২০১৪ সনে প্রথম অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলাম, ৯ দিন ছিলাম সিডনিতে। সিডিনি থাকা কালীন সময়ে আমার ভাগ্যটাই খারাপ ছিল যথেষ্ঠ।
পুরো সিডনি সিটিতে ট্রেন এবং বাসের ফ্রি চলাচলের কার্ড ছিল আমার। অথচ কিছুই দেখা হয়নি তেমন। যখনই কিছু দেখার জন্য বের হয়েছি, অমনি বৃষ্টি এসে বাগড়া দিয়েছে। অপেরা হাউস দেখতে গেলাম তিন দিন। ঝকঝকে রোদ ছিল, কিন্তু প্রতিদিনই ট্রেন থেকে নেমে যেই না অপেরার দিকে হাঁটা আরম্ভ করেছি, অমনি প্রচন্ড বৃষ্টি। দেখাই হলো না কাছ থেকে। এক সন্ধায় অবশ্য ভাগ্য সহায় ছিল, চতুর্থ বার অপেরার কাছে গিয়ে লাইটিং দেখতে পেরেছিলাম। আর বৃষ্টির মধ্যে কাছা কাছি দুটো বীচ দেখেছি।
আপনার দেখানো ছবির মত এই উলুংগুং এ যাওয়া হবে না কখনো হয়ত,
না যাবার আক্ষেপটুকু আপনি পুষিয়ে দিচ্ছেন,
ভ্রমন কাহিনীর অপেক্ষায় থাকলাম।
প্রতিটি ছবিতেই নীলের সমাহার,
অত্যন্ত সুন্দর প্রতিটি ছবি, ফটোতোলক আপনি, তা বুঝিয়ে দিলেন এসব ফটোতে।
ছবির ক্যাপশন গুলো লাইনের পর লাইন সাঁজালে কিন্তু অত্যন্ত ভালো একটি পোষ্ট হয়ে যায় 🙂
শুভ কামনা, প্রবাসে ভালো থাকুন।
শুন্য শুন্যালয়
আপনার ভাগ্য কিঞ্চিত খারাপ হলেও পুরোটা নয়। আপনার তোলা অপেরার লাইটিং এর ছবি দেখেছিলাম আমি ফেসবুকে, অই লাইটিং আমি তিনদিন ঘুরেও দেখতে পারিনি। আবার অস্ট্রেলিয়া এলে সিডনি ভালো করে ঘুরে দেখেন। আসলেই অনেক সুন্দর সিটি।
জায়গাটাই এতো সুন্দর, আপনি তুললেও ছবি সুন্দর হতো, বেশিও হতে পারে।
ছবির ক্যাপশান না সাজালে পোস্ট হবেনা? দিলাম তো পোস্ট 🙂
আপনিও ভালো থাকুন। বেড়াতে চলে আসেন সময় করে।
নীলাঞ্জনা নীলা
এই তো সেই শুন্য আপু…যার ছবি নীরবে কথা কয়!
“একা”র ক্লোন কিংবা ” মেঘ ঢুকলে বুকের পাঁজর কাটে”/”একা মানুষের খুচরো স্বপ্ন বিক্রি করা”…..
শহরের বর্ণনার অপেক্ষায় রইলাম।
এই পোস্টটিও হৃদয়ে জায়গা করে নিলো।
অনেক ভালো থেকো আপু।
শুন্য শুন্যালয়
আসলে শহরের বর্নণা কিছুটাতো এই পোস্টেই দিয়েছি। শহরের আকর্ষনীয় জায়গাগুলোর নাম তুলে দিয়েছি ক্যাপশানে। পরের পোস্টে একটা টেম্পল নিয়ে লিখবো। বুদ্ধমন্দির। এতো সুন্দর ছিলো ওটা!
তুমিও ভালো থেকো।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু ছবি তোলায় এবংং ক্যাপশনে তুমি অনন্যা।
লিখো আপু।
শুন্য শুন্যালয়
ক্যাপশান পারি কই? তুমি কিছু ধার দাওনা প্লিজ! কতোজনরে বললাম, কেউই দেয়না 🙁
তৌহিদ
বাহ! প্রতেকটি ছবি অসাধারন আর ক্যাপশনগুলিও সেইরাম হয়েছে।
অনেক কিছু জানলাম। যাবো হয়তো একদিন!!
ধন্যবাদ শুন্য শুন্যালয় এত সুন্দর ছবিব্লগ উপহার দেবার জন্য।
শুন্য শুন্যালয়
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ তৌহিদ।
চলে আসুন পরিবার নিয়ে এক ছুটিতে।
তৌহিদ
হবে হয়তো এক সময়। তখন আপনি থাকলে ভালো হবে।☺
শুন্য শুন্যালয়
যদি মরে না যাই, তাইলে আছিতো 🙂
তৌহিদ
আল্লাহ্ এনার হায়াৎ দ্বারাজ করে দাও মাবুদ।
মোঃ মজিবর রহমান
ছবিই সব ছবির নিজস্ব অবয়ব দারুন নীলের ছড়াছড়ি।
ভাললাগা রইল আপু।
শুন্য শুন্যালয়
ভালো থেকেন মজিবর ভাইয়া। নীল কিছু আপনাদের দেখাবো বলেই না এই পোস্ট।
মোঃ মজিবর রহমান
https://youtu.be/dpCZo0aW2Fs
ছাইরাছ হেলাল
জলে ভাসা পদ্ম
জলের উপর ভাসে নীল, অথবা নীলের উপর জল;
আ-সমুদ্র হাহাকারে চলে সময়, অথবা আমরা চালাই সময় ।
পর্যটকের বুকে ভাসে সাত সমুদ্র তেরো নদী,
মানুষ! এ এক বিরল প্রজাতি,
যারা মাছ, পাখি সব হতে চায়, আবার সব ধরে ধরেও খায়।
মেঘ ছুঁলে আঙুল কাটেন, তবে মেঘ ঢুকলে পাঁজর কাটে,
সমুদ্র প্রেমের চাইতে মনুষ্য প্রেমেরই উত্তাপ বেশী,
এখানে সূত্র না মেনেই চলে স্নান, সার্ফিং, নৌকা-বাইচ।
নীলের বিস্তারে পাল তুলুক বিষ, চুমুকে চুমুকে,
ঠোঁটের পারদে উঠুক উত্তাপ-অক্সিজেনে,
ভীষণ একলা লাগা এক আলো-দ্বীপে,
শত সহস্র একা-রা ঘুরে ফিরছে।
তাদের কারো কারো হাত অন্য হাতের মুঠোয়,
কারো হাত ছুঁয়ে আছে অন্য-শরীর,
অথচ সবাইকে “একার” ক্লোন বলে ভ্রম হচ্ছে।
যতো উপর থেকে দেখবে, সবকিছুই পেয়ে যাবে একসাথে,
অথচ বুঝতেই পারবে-না, তুমি কিছুই পাচ্ছো-না।
আলো দেখাও? অন্ধকার? জল ফুঁড়ে ঢেকে রাখ পেছনের দাগ?
ঘরকে ঘোর বানিয়ে করো বিষ-কষ্টের চাষ?
সবুজ, নীল, কালোর জগাখিচুড়ি মন নিজেই বিপর্যস্ত,
নিজেকে না চিনতে পেরে,
পাহাড় আমায় ডাকছে দূরে, অন্তর-ভবঘুরে,
বাহির খাঁচায় পাখি কাঁদছে একাকী বসে।
বিপণন কেন্দ্রে মানুষের ঢল নামছে,
তখন কোন এক একা মানুষ খুচরো স্বপ্ন বিক্রি করছে, ঢেউ এর দামে।
দৃশ্যরা ছবি হয়ে উঠলেও, ছবি আর কখনো দৃশ্য হয়ে ওঠে-না,
তা হয়ে যায় ক্ষতের, কষ্ট বা আনন্দের।
====================================================
চোরের!! (ছরি ভাইয়া) উপর বাটপারি করে খেদ-ক্ষোভ-জ্বালা মিটিয়ে আনন্দ-ও নিলাম।
এতো কষ্ট না কেটে হুকুম দিলেই হতো!!
শুন্য শুন্যালয়
আমাকে আপনি চোর বললেন? :'(
আমি কিন্তু চুরি করিনা, করলে একদম ডাকাতি, তাও দেখিয়ে দেখিয়ে।
হুকুম দিলে এই খেদ-ক্ষোভ-জ্বালা মেটাতেন কী করে? আনন্দ নিন বেশী করে, তাই বলে অন্যকে কেমন করে লিখতে হয় দেখানো কী ঠিক! আমিতো এতো দেখে দেখেও আপনার কিছুই শিখলাম না লেখার। আর হবেওনা। 🙁
ছাইরাছ হেলাল
কেমন করে লিখতে হয়, তা দেখানোর সাহসের কমতি আছে, তবে একটি মজার ঘটনা হয়েছে,
এখানে মন্তব্য লিখতে এসে।
নির্মাণ থেকে বিনির্মাণ কঠিন (যদি ভুল না হয়), যদিও কিছুই করিনি সামান্য শব্দ সংযুক্তি ও কয়েকটি অক্ষর
যুক্ত করেছি, আর লাইনগুলো নিজের মট বিন্যস্ত করার চেষ্টা করেছি, তবে প্রায় কিছু না, এই করতে যেয়ে
যে সময় ও পরিশ্রম হয়েছে (আপনি হেসে পণ্ডশ্রম বললে-অ বলতে পারেন, বলুন তা) তাতে গুনে গুনে তিন বার মনে হয়েছে
এর থেকে কম শ্রমে নতুন একটি লেখা তো লিখে দিতে পারি। কিন্তু এই লেখাগুলোর সাথে/কাছে এসে লেখকের আরও আরও
না বলা কথা বলতে না পারার যে তড়পানো দেখছি তাতে নুতন লেখা লিখতে চাই নি।
এই ছবিদের নিয়ে আরও তো অনেক বলার ছিল!! তা কৈ?
কী হবে বা কী হবে না সে ভার আপাকে কে নিতে বলছে?
শুন্য শুন্যালয়
একটা কথা যেগুলো কবিতায় নয়, বরং আপনার নানান মন্তব্য থেকে কুড়িয়েছি তা হলো, শব্দ নিয়ে খেলা। একটি শব্দ নিয়ে আপনি বা কবিরা যেরকম খেলা করেন নানাভাবে বসিয়ে এদিক ওদিক করে আমি এসব ভাবতে গিয়েই বুঝেছি কেন আপনি আপনার মতো, কেন কবিরা কবিদের মতো। একটি জিনিস আপনার সাথে একমত, নিজে নতুন একটি লেখা লিখার চাইতে এই যে এদিক ওদিক করে সাজানো তা ঢের কঠিন। সাজানোর পর আপনাকে হিংসে করতে চাচ্ছি। এই যে একাগ্রতা, ভাবনা আমার মধ্যে কেন নেই। আমি হুটহাট লিখে সারতে পারলেই হলো।
অনেক কথাই বলা যায়, আবার বলা যায়না। এক একটা ছবিরই গল্প আছে এখানের আসলে। সেগুলো আর বলা হবেনা হয়তো, তাই একসাথেই জোড়ালাম।
লেখা দিতে কেউ বকেছে বুঝি আপনাকে? নতুন লেখা দিচ্ছেন না যে!
ইঞ্জা
আপু, এত্তো সুন্দর সব জায়গাতে ঘুরেন কিন্তু শুধু ছবি দিয়েই পরিচিতি দেন কেন, আমরা কি এইসব ছবি দেখে দেখে একটা ভ্রমণ কাহিনী পড়তে পারিনা, প্লিজ লিখে ফেলুননা, আমরাও ভ্রমণ করি আপনার সাথে। 😊
শুন্য শুন্যালয়
ইঞ্জা ভাইয়া দেড়দিনের ঝটিকা দৌড়ে শহরটা ঘুরে দেখেছি। স্পটগুলোর নাম উল্লেখ করে দিয়েছি। বিস্তারিত আর কিছু মাথায় এলোনা। তবে একটা টেম্পল দেখেছি যেটা নিয়ে লিখবো। দোয়া রাইখেন। 🙂
ইঞ্জা
অবশ্যই লিখুন আপু, দোয়া সবসময়ই থাকবে।
শুন্য শুন্যালয়
♥
নীরা সাদীয়া
প্রত্যেকটা ছবি এবং তার সাথের লেখাগুলো কী অসাধারন!
সত্যি, মানুষ মাছ,পাখি সবই হতে চায়, আবার এদেরকে ধরে ধরে খায়!
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ নীরা। ভালো থেকো তুমি। ♥
প্রহেলিকা
লেখাপড়াতো আপাতত বন্ধ, ছুটি আর কি তাই মন্তব্য করতাম না। আমার একটা প্রশ্ন আসলো মাথায় তাই উকি দিলাম।
প্রশ্নঃ শুন্য শুন্যালয়ের “শুন্য” আর শূন্যভ্রমণের “শূন্য”
এই দুই শুন্য শূন্যের মধ্যের পার্থক্য কয়টি এবং কি কি?
শুন্য শুন্যালয়
লেখাপড়া বন্ধ কইরা কোশ্চেন কইরা যাবেন এইটা কেমন কথা!
শুন্য শুন্যালয়ের শুন্য বানান তো ভুল। ভুলটা ইচ্ছে করেই আর ঠিক করিনি, মানুষের মধ্যেই ভুল থাকে, নামে থাকলে কী হবে!
এই পোস্টের শিরোনামে শূন্য, লেখক নিজে হতে পারে, নিজেকে শুধরে নিয়ে অথবা সে শূন্যে ভ্রমণ করেছে তা নিয়েও হতে পারে। পৃথিবীটাই তো শূন্য। সক্কাল সক্কাল এইসব প্যাঁচের কোশ্চেনের উত্তর দিয়া মাথা আউলা লাগতাছে। :/
প্রহেলিকা
বাহ বাহ! কি সুন্দর। প্রকার জানতে চেয়ে উদাহরণসহ ব্যাখ্যা পাইলাম। আপনি খুব ভালো লেকচারার! এজন্যই গুরু মানি আমিসহ আমরা সকলে।
শুন্য শুন্যালয়
এই ব্লগের কে আসল গুরু তা সব্বাই জানে! হেয় না আইলে ব্লগই খালি। আবার আইলে পুরা এটমবাহিনী নিয়া আইসা পড়ে। 😠
প্রহেলিকা
আমরা সব নবীন ব্লগার নিরাপত্তারস্বার্থে একতাবদ্ধ হয়ে চলাফেরা করি। আপ্নারা প্রবীণ তাই ডর ভয় পান না। আবার আপনি একাই একশো সেটাও সবাই জানে।
শুন্য শুন্যালয়
আপনি নবীন ব্লগার!!! (বিষ্ময় চিহ্নের ইমো কম পড়ে যাবে)
প্রহেলিকা
আমি আমরা চিরনবীন। আপ্নারা প্রবীন, প্রবীনদেরকে অনেকে বুড়া বলে।
প্রহেলিকা
আমার শেষ প্রশ্নের পরে পোষ্ট নিয়ে কিছু বলব
আমার শেষ প্রশ্নঃ “পর্যটকের বুকের ভেতর সাত সমুদ্র তেরো নদী।”
এই লাইনটিতে কোন সাতটি সমুদ্র আর তেরোটা নদীর কথা বলা হয়েছে। 😷🤐
শুন্য শুন্যালয়
Most current sources state that “seven seas” referred to the Indian Ocean, Black Sea, Caspian Sea, Adriatic Sea, Persian Gulf, Mediterranean Sea, and the Red Sea.
13 Rivers is the eighteenth solo studio album by British singer/songwriter Richard Thompson. It was released on 14 September 2018 by New West Records in the US and by Proper in the UK.
প্রহেলিকা
বাপ্রে বাপ, কি চালাকিইটা করলেন! ১০০/১০০. ব্রিলিয়ান্ট উত্তর হয়েছে। মাথার মধ্যে এই জবাব আসলো ক্যামতে। ইট মারতে গিয়া মারার আগেই পাটকেল খাইসি
শুন্য শুন্যালয়
😢 আপনি আমারে সাত সকালে কী নাকানিচুবানি-ই না খাওয়াইতাছেন। একেতো বলছিলাম আমারে ছবির ক্যাপশান দ্যান, দিলেনই না। এখন উলটা মহেশ স্যারের মতো অল্প পড়াইয়া খালি কোচ্চেন কত্তেছেন।
প্রহেলিকা
আপনার ছবির জন্য ক্যাপশন লিখতে বসেছিলাম কিন্তু সত্যি বলতে কি, আপনার বড় লেখার চাইতে ছোট ছোট ক্যাপশনগুলো সুন্দর হয় বেশি। এই বেশি আবার বেশিই না কেবল। ছোট ছোট একটা ক্যাপশন আবার একটা গল্প হয়ে যায়। তাই আর লিখিনি। সেটা আপনিই ভালো পারবেন, পেরেছেনও। একটা ছোট্ট উদাহরণ দিচ্ছিঃ
“বিপণন কেন্দ্র গুলোতে যখন মানুষের ঢল নামছে,
তখন কোন এক একা মানুষ খুচরো স্বপ্ন বিক্রি করছে ঢেউ এর দামে।”
লেখক নিজেই তৃপ্ত এমন লিখতে পেরে। লেখক লাইনটা শেষ করে নিজেই বলে উঠেছে, বাহ দারুণ লিখেছিতো লাইনটা।
লেখক যখন নিজেই দারুণ বলে তখন আমাদের আর কি’বা বলার থাকে।
শুন্য শুন্যালয়
হাহাহা, না লেখক এমন বলে ওঠেনি, তবে শেষ করতে পেরে বলেছে, যাক বাবা আরেকটা ক্যাপশান শেষ হলো। 😀
লেখার অই ছবিটা আমার প্রিয়। একটা মেয়ে ছিপ হাতে মাছ ধরবার জন্য হেঁটে যাচ্ছে। ছবিটার জন্যেই অই ক্যাপশান।
ক্যাপশান এড়িয়ে যাবার বুদ্ধি মন্দ না। এরপর ছবি দেব, নো ক্যাপশান। দেখা হবে।
প্রহেলিকা
না না ক্যাপশনতো দিতেই হবে আলবৎ দিতে হবে। মন্তব্য করতে গেলেতো অনেক কিছু নিয়ে ভেবে তারপর করতে হয় তাইতো করিনি। আপনার ছবি তুলার প্রশংসা করতে করতে থরথরে বুড়ো হয়ে গিয়েছি। আর কি’বা বলা যায়। আপনি ক্যাপশনসহ পোষ্টই দিবেন, দিতেই হবে।
শুন্য শুন্যালয়
ক্যাপশনের অভাবে কতো ছবিই যে ব্লগের আলো দেখলো না। 🙁 নিঠুর পিথিবির মানোষ।
প্রহেলিকা
ছবিতে ক্রমিক সংখ্যা উল্লেখ করার দরকার ছিল তাইলে অলস মন্তব্যকারীদের জন্য একটু সুবিধে হতো।
শুন্য শুন্যালয়
ক্রমিক সংখ্যা এড করে দিয়েছি, তাই বলে ভেবেন না আরো মন্তব্য দিতে বলতেছি। ম্যালা দিছেন, থাউক এবার।
প্রহেলিকা
বুলাই লুকআউটটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। মেঘতো নয় যেন ফেরিওয়া!
শুন্য শুন্যালয়
মেঘের ভেতর দিয়ে গাড়ি ছুটে যাচ্ছিলো। দৃশ্যগুলো আসলে বাস্তবিক এতো সুন্দর, যা আমি।ক্যামেরায় তুলতে পারিনি। ফেরিওয়ালা মেঘ, বাহ ♥
প্রহেলিকা
কত্তো ভালা কইরা লিখি, কত্তো মন দিয়া লিখি। মাঝে মাঝে ডজন দুইয়েক কবিতাও লিখি কিন্তু সেঞ্চুরিবা হাফ-সেঞ্চুরি কিছুই হয় না। কিন্তু দেখেন আপ্নারা পোস্ট দিলেই হলো। জায়গা পাওয়া যায় না। পঞ্চাশটা মন্তব্য কেমন লেখক হলে পাওয়া যেতে পারে সেটাই ভাবছি।
শুন্য শুন্যালয়
এই জিনিসটা আমি খেয়াল করেছি, কিন্তু এর কারন আপনি নিজেই। নিজের পোস্ট ফেলে রেখে খালি অন্যের পোস্টে ঘুরঘুর করেন। মন্তব্যের উত্তর দ্যান একশোদিন পরে। তাইলে কথার পরে কথা ক্যাম্নে হয়! তাছাড়া বেশী অভিভূত হলে কিছু বলার খুঁজে পাইনা। 🙁
লীলাবতী
একা একা এসেব দেখলেন! আমাকে নিয়ে যেতেন। হিংসায় জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেলাম্। ছবি ব্লগ ভাল লেগেছে খুব, কিন্তু বলব না।
শুন্য শুন্যালয়
হাহাহা। একা একা দেখিনিতো, এই যে ঘুরিয়ে আনলাম আপনাকে। সুন্দর লাগেনি বুঝি? আচ্ছা পরেরবার সংগে নিয়ে যাবো, প্রস্তুত থেকেন। আপনার না বলায় আমি সব বুঝে গেছি আপনার ছল! ♥
মাহমুদ আল মেহেদী
দেখলেন দুচোখ জুড়ে,
দেখালেন মন-জুড়ে।
আপনার লেখনি দীপ্ত
নিজকে নিয়ে গেল
নিজ ভ্রমণ মন-নীড়ে।
ছবিগুলোকে মনে হচ্ছিলো সব যেন আলাদা আলাদা সুখপূর্ণ ভ্রমণ কাহিনী। আসাধারন । চ-তে চমৎকার।
শুন্য শুন্যালয়
আপনি কিন্তু ঠিকই ধরেছেন, আমার ইচ্ছেই ছিলো সব জায়গাগুলো নিয়ে আলাদা করে ভ্রমণ কাহিনী লিখবো। পরে ভেবেছি আমাকে দিয়ে হবেনা। হয়তো এক দুটা দিয়েই রণে ভঙ্গ দিতে হবে।
আপনার ভালো লেগেছে বলে খুশি হলাম। জায়গাগুলো সত্যিই অসাধারণ। লেখা দিচ্ছেন না কিন্তু অনেকদিন।
মাহমুদ আল মেহেদী
লিখছি আপু দিব অতিব শিগ্রই।
শামীম চৌধুরী
প্রকৃতির ছবিগুলি দেখে মনটা ভরে গেলে।
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শামীম ভাই।
মেহেরী তাজ
বুবু কি হবে এই পোষ্ট না পড়লে?
কি হবে এতো নীল না দেখলে?
কী আছে এই নীলে?
কেনো এতো ভালো লাগে?
ধুরু পড়বো না। দেখবো না।
সব কিছু পেয়ে কাজ নাই।থাকুক কিছু অধরা ,অদেখা নীল।
শুন্য শুন্যালয়
সবকিছু পাওয়া যায় কি! সবকিছু দেখা যায়! যা কিছু পাই, দেখি, তার ভেতর?