দুপুরে লাঞ্চ টাইমে, অথবা বিকেলের দিকে ডেস্ক থেকে উঠে কিছুটা হেঁটে আসাকে খুব উৎসাহ দেয়া হয় অফিস থেকে। আমাদের সিও নিজে উদ্যোগ নিয়ে প্রতি বুধবার আমাদেরকে নিয়ে হাঁটতে বের হন। শর্ত হচ্ছে এসময়ে অফিস সংক্রান্ত কোন আলাপ নয়, একদম কাজের বাইরে গল্প করতে করতে হাঁটাহাঁটি হবে। এখন প্রতি বুধবার বাসা থেকে অফিস করবার ডিসিশান নেয়ায় মিস করছি সেটা। তবে নিজে হাঁটতে যাই। কখনো আধ, কখনো এক ঘন্টা। আজ ভাবছি সোনেলার সবাইকে নিয়ে হেঁটে আসবো। রাজিতো? চলুন হাঁটি…
লিফটের অপেক্ষা করছি। উপর থেকে দেখুন। মহাসমুদ্রের মতো মানুষ, গাড়ি আর অবাধ্য সব দালানের দল, ভ্রুক্ষেপবিহীন, অস্তিত্বহীন মহাশূন্যের ছায়ায়…
দেখুন, সকালের উষ্ণ ভিড়ের পার্ফিউম বুকে কেমন করে চলে যাচ্ছে একটি খালি ট্রাম
এক পিচ্চি স্যান্ডেলের ফিতে নিয়ে কসরত করছে। পৃথিবীর সমস্ত কেন্দ্র স্যান্ডেলে গিয়ে জমা হয়েছে, অথবা ফিতেয়। আমাদের দিকে ঘুরেও দেখছেনা।
সারারাত জাগা ব্যর্থ অথবা অব্যর্থ যুবকের ঘুম। বাড়িতেও শান্তি নেই, বাইরে ঘুমাতে গেলেও সোনেলার ব্লগাররা ছবি তুলে পোস্টায় দ্যায়। অশান্তি, where is peace?
একটি কুকুরছানা দৌঁড়াদৌঁড়ি করছে। আপনিও নিয়মিত এক্সার্সাইজ করুন, ডায়াবেটিস মুক্ত থাকুন।
শৈশবের উল্লাস। আশেপাশে কেউ না থাকলে নিজেও ট্রাই দেয়া যেতো। উল্লাসে আমরা এখন অনুভূতিহীন এক একজন মেগান ফক্স।
পার্কের শুয়ে থাকা মেয়েটি, হাতের মুঠোয় আকাশ নিয়ে, আকাশের খোঁজে। নেপথ্যে রোদ্দুর বাজাচ্ছে জামালুদ্দিনের বাঁশি।
সানবাথ নিয়ে পাখিও কী আমার মতো রাগ কমাচ্ছে! নাকি প্রথম অথবা শেষ প্রেমে পড়েছে?
প্রাণপণে আটকে ধরেছে পরগাছা। যদিও বৃক্ষ কিংবা লতানো গাছ, কে কার উপর নির্ভর করে বেঁচে আছে বোঝা দুস্কর।
একটি দীর্ঘশ্বাস ভিড়ের মধ্যে হেঁটে মিলিয়ে যাচ্ছে, কখনো যুগল, কখনো বেঞ্চের যুবক, যুবতী, কখনো দুপুর রোদে পথচারী আমি বেশে…
৪২টি মন্তব্য
মাহমুদ আল মেহেদী
প্রথম হলাম আমি।
শুন্য শুন্যালয়
😀 😀 সাব্বাস। আমি কিন্তু জোরের মুল্লুক চালাইনাই, আপনি স্বাক্ষি।
প্রহেলিকা
মেহেদী ভাই, প্রাকটিস চালু রাখেন এভাবে।
মাহমুদ আল মেহেদী
প্রথম হয়ে প্রমান দিলুম যে সুযোগ পাই। কিন্তু…….
প্রহেলিকা
এটাকে তো আসলে প্রথম মনে করছি না। অনুশীলন হিসাবেই দেখছি। একটু সুযোগ দিতেই হয় আপনাদের।
মাহমুদ আল মেহেদী
আমিও প্রতিদিন অফিস যাওয়া- আসা বাবদ এক ঘন্টা হাঁটি। আমি আজই ভাবছিলাম শুন্য শুন্যালয় থেকে কোন লেখা আসছে না কেন? কিন্তু হাঁটি হাঁটি পা করে ঠিকই হাটতে চলে এলো আমাদেরকে নিয়ে।
শুন্য শুন্যালয়
এটাকে লেখা বলতে আমি নারাজ। আমার লেখালেখি হারিয়ে গেছে মেহেদী। 🙁
হাঁটতে হাঁটতে মানুষ দেখা একটা নেশার মতো।
আপনিও লিখে ফেলুন আপনার দেখা নিয়ে।
মাহমুদ আল মেহেদী
আমার চাচার এই অভ্যাস ছিলো তবে তিনি বারান্দায় বসে বসে মানুষ দেখতেন আর গুনতেন। আমাদের বাড়িটা ট্রেন লাইনের পাশে হওয়ায় রেল লাইন দিয়ে প্রতিদিন প্রচুর মানুষের যাতায়াত।
শুন্য শুন্যালয়
ট্রেন লাইনের পাশে বাড়ি? ওয়াও। মানুষ নিয়ে লিখে ফেলুন তো প্লিজ। রেললাইন, ট্রেন, স্টেশন এইগুলা কেমন ঝিমঝিম অনুভূতি জাগায়। এখানে বিশেষ করে রাতের বেলা মানুষগুলো কেমন বিচিত্র লাগে দেখতে। আপনার চাচাও তো দেখি কবি মানুষ ছিলেন! 🙂
মাহমুদ আল মেহেদী
চাচাও লিখতেন কিছু কিছু লেখা পেপারে ছেপেছিলেন। তবে আমার বাবার লেখা অনেক গভীর কিন্তু সে প্রচারবিমূখ। ট্রেন নিয়ে লেখা আছে আমার কিন্তু নিজের কাছেই লেখাটা ভালো লাগেনি তাই প্রকাশ করিনি। তবে ট্রেন নিয়ে কিছু দু:খের স্মৃতি আছে যা মাথায় নিয়ে ঘুরছি। কত বছর ঘুরবো জানি না।
ইঞ্জা
মুগ্ধ হলাম আপনার হাটাহাটি ও ছবি তুলিতে, প্রতিটি ছবিই আপনার বর্ণনাতে অনুপম সেজেছে, বুধবারে বাসায় থেকে অফিসের কাজ, কাহিনীটি খুলে বলুন আপু। 😆
শুন্য শুন্যালয়
ভাইয়া গভর্নমেন্ট পলিসিতে ফ্লেক্সিবল ওয়ার্কিং সিস্টেম আছে এখানে। তাতে সপ্তাহে বাসা থেকে একদিন অফিস করবার সুযোগ আছে, প্রয়োজনে আরো বেশি। ওয়ার্ক এবং ফ্যামিলি লাইফ ব্যালেন্সের জন্য সব গভর্নমেন্ট এবং নট ফর প্রফিট অর্গানাইজেশন এ এটাকে প্রমোট করে। সব অর্গানাইজেশন এবং কিছু কিছু ডিপার্টমেন্ট এটা মেনে না নিলেও আমি সৌভাগ্যক্রমে খুব ভালো একজন ম্যানেজার পেয়েছি, যে পুরোপুরি সাপোর্টেড। অফিস এর ল্যাপটপ বাসায় নিয়ে এসে যাবতীয় কাজ সারা যাবে। 🙂
ইঞ্জা
বাহ চমৎকার সিস্টেম।
জিসান শা ইকরাম
আপনার সিও তো দেখছি ভিন্ন রকম এক লোক, অফিসের সবাইকে নিয়ে হাঁটতে যান, অফিসের কোন আলোচনা করা যাবেনা এই সময়ে। দারুন এক ব্যাপার। এমন রিক্রিয়েশন এর কথা এই প্রথম শুনলাম। দেখি নিজের উপর প্রয়োগ করে এটা।
আপনার সাথে লাঞ্চ টাইমে হেঁটে আসলাম মেলবোর্ন।
মেলবোর্নকে কখনো উঁচু ভবনে উঠে দেখা হয়নি, দেখলাম আপনার চোখে।
খালি ট্রামকে কেমন বিষন্ন লাগছে।
সবচেয়ে সুন্দর ছবি হয় শিশুদেরই, এরা যা করে মন দিয়েই করে, অন্য কোন দিকে মনোযোগ থাকেনা।
আমি কিন্তু এমন করে শুয়ে থাকি মাঝে মাঝে। ব্যংকক,সিডিনি, মেলবোর্নের পার্ক গুলোর জমিন যেন সবুজ কার্পেট। ভাগ্য ভালো যে আপনার চোখে পরিনি আমি আপনার লাঞ্চ টাইম ঘোরাঘুরির সময়, আপনি শিওর আমার ছবিটা দিয়ে প্রেস্টিজের বারোটা বাজিয়ে দিতেন।
এক্সারসাইজ করতে হবে, যদিও ডায়াবেটিকস আসেনি এখনো।
শৈশবের এমন উল্লাস মনে আছে এখনো, আপনি নিশ্চিন্তে এমন করতে পারেন, কেউ তো আর ছবি তুলবেনা আপনার, আর তুললেও বা কি?
কত শান্তিতে আকাশ হাতে নিয়ে শুয়ে আছে।
আপনি রাগি নাকি? এমন করে রাত কমান? আপনার প্রথম আর শেষ প্রেম সম্পর্কে কিছুই তো লেখেন না।
লতানো গাছ এর ছবিটা অদ্ভুত সুন্দর, তাকিয়েই আছি। এমন একটি ছবি আমিও তুলেছিলাম, যাতে আসল গাছগুলোকেই দেখা যায় না।
শেষ ছবিটা নিয়ে আলাদা একটা পোষ্টই তো দিতে পারতেন।
ছবি ব্লগ ভালো হইছে।
শুন্য শুন্যালয়
যেভাবে চুলচেরা বিশ্লেষণ করলেন প্রতিটি বাক্য ও ছবির, তাতে উৎসাহের পুরো ষোলআনা অনুভব করলাম।
আমাদের সিও একজন অসাম লেডি। উনি প্রায়ই আমাদের পুরো অফিসের জন্য কাপকেক নিজের হাতে বানিয়ে আনেন। নীচে কফি আনতে গেলে, জনে জনে জিজ্ঞেস করে যায় কারো কিছু আনতে হবে কিনা। আমার টিম ম্যানেজার তো আরো এক ধাপ, তাকে কিছু বলিনা, কারন সে পয়সাই নেবেনা, যা এদের কালচারের বিপরীত। এখানে সবাই নিজেরটা নিজে পে করে।
ছবির কথা বললে, শেষ ছবিটা আমার সবচাইতে প্রিয়। একটা ফ্রেমে যে এখানে কতোগুলো ভিন্ন পিকচার এসেছে আমি তাকিয়ে দেখেছি অনেক। এক বেঞ্চে একা এক ছেলে, অন্য পাশে একা একটি মেয়ে, এক জোড়া তরুন-তরুনী, এক বাবা বাচ্চার সাথে, আরেক বাবা তার প্রিয় কুকুরছানার সাথে (কুকুরের ওনারকে এরা কুকুরের বাবা-মা বলে)
ল্যাপটপ নষ্ট হয়ে গিয়েছে, তাই অনেক ছবিই দিতে পারিনি। আরো উপর থেকে তোলা ছবি আছে মেলবোর্নের, খুঁজে পাচ্ছিনা।
দেখুন আপনার সাথে দেখা হবার টুকটাক ছবি আছে কিন্তু, দিয়ে দেবো নাকি? প্রেস্টিজ কী চাকা নাকি যে পাংচার হবে!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
জিসান শা ইকরাম
বাংলাদেশে এমন সিও বা টিম ম্যানেজার থাকলে তো অফিসই অচল হয়ে যেতো। সবাই খেতে যেতে চাইত টিম ম্যানেজারের সাথে 🙂 আর বাসায় বসে অফিস করার সিস্টেমের তো কল্পনাই করা যায় না এদেশে।
শেষ ছবিটা আমারো সবচেয়ে বেশী ভালো লেগেছে, একারনেই বলেছি যে এটি দিয়েই একটি পোষ্ট দিতে পারতেন আলাদা করে।
দিন দিন ছবি। বিশ্ব দেখুক আমিও মেলবোর্ন গিয়েছিলাম 🙂
শুভ কামনা।
শুন্য শুন্যালয়
আসলে চাইলে বা পারলে এক একটি ছবিই লেখা হতে পারতো, কিন্তু আমি পারছিনা, হচ্ছেনা।
আমার ম্যানেজার অনেক অনেক ভালো। এই একটা কারনেই অন্য জবে এপ্লাই ইচ্ছে করলেও করিনা। যদি এই সুবিধাটুকু না পাই! লাইফ এবং ফুলটাইম জব করা খুব হার্ড।
আপনি যে মেলবোর্ন যাবার প্রমাণ আমি দিয়ে দেব এই আশায় বসে আছেন, তাতো বুঝিনাই। আপনি তো ছবি ভালো তোলেন বলেই জানি, কই সেইগুলা?
জিসান শা ইকরাম
লেখার জন্য কোন চাপ নেবেন না, যখন লেখা আসবে তখন লেখা আপনাকে দিয়ে লেখাবে।
এমন বস পাওয়া ভাগ্যে ব্যাপার। আমারই তো এখন এমন বসের অধীনে জব করতে ইচ্ছে করছে।
নিজের ছবি নিজে ব্লগে আপলোড করা, আর অন্য কেউ আপলোড করার মধ্যে পার্থক্য অনেক। অন্য কেউ আপলোড করলে ভাব বৃদ্ধি পায়।
ছবি আছে অনেক, ফেইসবুকে আবার গেলে আপলোড দেব কিছু কিছু ভাবছি।
প্রহেলিকা
প্রথম মন্তব্য করতে গিয়েও পারিনি, “এই পোস্টে মন্তব্য করার জন্য অনুমোদন নাই” এমনটা দেখাইছে৷
ব্লগ কতৃপক্ষ ব্যপারখানা দেখবেন আশা করি।
শুন্য শুন্যালয়
আপনার কাছ থাইক্কা মিথ্যা শেখা লাগবে :'(
প্রহেলিকা
স্ক্রিনশট নিতে ভুলে গেছিলাম বলে আজকে এটা শুনতে হলো। প্রমাণ ছাড়া আর কথা কমু না।
শুন্য শুন্যালয়
হ্যাঁ এইতো শিখেছেন।
প্রহেলিকা
সানবাথের ছবিটা কি দারুণ! অসাধারণ হাত আপনার।
পিচ্চির স্যান্ডেল এর ছবিটা আরও বেশি সুন্দর। এক নাম্বারটা বাদে সবগুলান ছবিই সবুজে ঘেরা। এক নাম্বার ছবি দারুন একটা শব্দ আছে “অবাধ্য দালানের দল”।
ডায়বেটিস আছে নাকি তার কে জানে, হুদাই তকমা দিয়ে দিলেন।
পার্কের মেয়েটি আর ঘুমন্ত যুবকের বিনা অনুমতিতে তুলছেন, সুন্দর হয়েছে তাদেরকে আর ইনফর্ম করলাম না এবারে।
শুন্য শুন্যালয়
ডায়াবেটিস আছে বলিনাইতো, সাবধান থাকতে বলছি। কবিদের জন্য ইচ্ছে থাকলেও ছবিব্লগ দিতে পারিনা। এক দুইলাইন কিংবা শব্দ খুঁজতে থাকবে, যা আমার ঝোলায় নাই।
ডিআইডেন্টিফাইড ছবিতো, কিছু বলবেনা দেখলে। বিনা পার্মিশনে তোলা যায় চেনা না গেলে।
আপনি এমন নিষ্ঠুর হতেই পারেন না। পাখির ছবি দেব, গোটা বিশেক ক্যাপশান দিয়েন না, দু এক লাইনের।
মনির হোসেন মমি
হাটা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল কিন্তু সোনেলায় এ হাটাকে কি বলব…কেবলি দীর্ঘশ্বাস।আহা!কত সুন্দর ওদের জীবন!মন মানষিকতায় ওরা কোথায় আর আমরা কোথায়!
শুন্য শুন্যালয়
সুন্দর, অসুন্দর সব জায়গাতেই আছে, শুধু খুঁজে নিতে হবে। হ্যাঁ সিস্টেমেটিক্যালি ওরা এগিয়ে।
ভালো থেকেন।
ছাইরাছ হেলাল
আমার তো সন্দেহ হচ্ছে কার না কার ছবি নিজের নামে চালিয়ে আমাদের ইয়ে করছেন,
ভাল ছবি তোলেন তা তো জানি (আপনি ভাবে তেমুন-ই আমাদের বুঝান), সেগুলো দিন। কব্জি ডুবিয়ে দেখি।
ভালু লেখা লুকিয়ে রেখে এগুলো কী দিচ্ছেন!! পাঠকদের কী ঠাউরেছেন!!
আরও আরও দুচার লাইন যোগ করে দিন, ছবি এই পঁচাগুলোই আপাতত চলুক।
শুন্য শুন্যালয়
যাদের ভাষা কম, তাদের ভাবই সহায়, আর ভাব দেখাইলে একটু বেশিই দেখাতে হয় 🙂
ভালো লেখা লুকিয়ে রেখেছি নাকি? কোথায় তা? আপনার ল্যাপটপে?
ছবি পঁচা হইছে? কী আর করার! আপাতত পঁচা খাবারই কবজি ডুবায়ে খান। রান্না ভালো হইলে সবাই খায়, রান্না খারাপ হলে শুধু রাঁধুনি খাবে, তা কেন?
ছাইরাছ হেলাল
আপনি আপন জন (শত্রু বেশি), বললে সোনা মুখ করে কুইনাইন খেয়ে ফেলব।
ভাব থাকলেই দেখায়, দেখাবেন যখন পর্বত-প্রমাণ তুলে ধরুন।
লুকিয়ে রাখা জিনিস কেউ বলে দেয় নাকি!!
আরও কিছু পঁচা ছবি দেলে পারতেন। চোখ বুজেই না হয় দেখতাম!!
তৌহিদ
এরকম বস হয়! আশ্চর্য আমাদের চিন্তাভাবনা আর তাদের মধ্যে কত গড়মিল। আজ পর্যন্ত দেখলামনা আমার বস আমারে বলেছে চলেন চা খাই, খাটাশ একটা!! সুদুর রাজশাহী থেকে আম নিয়ে আসালাম তার জন্য, বিনিময়ে একটা ধিমন্যবাদ দিলোনা পর্যন্ত! যেন আম ২৪০ কিমি রাস্তা জার্নি করে তার মনোরঞ্জন করতে এসেছে নিজে নিজে।
তারে কালকেই আপনার বসের এই গল্প শোনাবো আপু।
আপু গাছের গোড়ালী কি প্লেনশিটে মোড়ানো নাকি? কারন কি জানেন?
বাচ্চারা বরাবরেই আমার খুব প্রিয়। তাদের স্নেহ মাখা মায়াবী নিষ্পাপ মুখ দেখলে নিজেকে বড্ড পাপী মনে হয়। ছবিতে তাদের দেখে ভালো লাগছে।
ঘাসের উপর শুয়ে কি মোবাইলে আমাদের মত ফেসবুক চালায় নাকি? নিজের এই অভ্যাস আছেতো তাই জিজ্ঞেস করলাম আর কি😃😃
পাখিদের গোসল আর পরগাছার ছবি দুটি দারুন।
আর হ্যা পার্কে কোথাও বাদামের খোঁসা আর সিগ্রেটের অবশিষ্টাংশ নেই দেখে অন্যরকম অনুভূত হলো। তারা আসলে বিবেচক জাতি।
আমাদের মত খাটাশ না।
ছবিব্লগ সাথে লেখা দুটোই ভালো লেগেছে আপু।🌹
শুন্য শুন্যালয়
আমাদের বস, কলিগ সবাই-ই বেশ ভালো। তাড়াতাড়ি মিটিং শুরুর টাইম হলে সিও অন্যদের রেখে যাওয়া এটো বাসন দ্রুত কিচেনে রেখে আসে পর্যন্ত। এখানে বস এর পার্থক্য শুধু দায়িত্বে।
আমাদের দেশে সবকিছুতেই পার্থক্য তৌহিদ। কাকে কী বলবেন!
ফেসবুকই চালায়তেছিলো মেবি। আপনারেই টেক্সট করতেছিলো কিনা মেয়েটা কে জানে! 🙂
তৌহিদ
একটারে নিয়ে অস্থির হয়ে আছি আর আপনি বিদেশিনীর টেক্সট করার কথা বলছেন!
এই কমেন্ট সে দেখলে আমারে জ্বালায় মারবে ☺☺
নীলাঞ্জনা নীলা
তুমি অনেক ভালো ছবি তোলো। আর খুব ভালো লাগে ছবির ক্যাপশনগুলো। তোমার সিও সত্যিই খুব ভালো।
আপু একটা কথা না বললেই নয়। তোমার লেখা পড়ে আবেগাপ্লুত হয়ে গেলাম। আমার “এলোমেলো কিছু কথা” পোস্টগুলো হেঁটে হেঁটেই লিখতাম। কখনো বাসে বসে। এখন আর কাজে যাইনা, যাওয়াও হবেনা আমার প্রিয় পেশায় কোনোদিন। তাই আর কখনো “এলোমেলো কিছু কথা” লেখাও হবেনা।
অনেক ভালো থেকো।
শুন্য শুন্যালয়
যার যা নেশা। আমি প্রতিমুহুর্তে ছবি তোলার কথা ভাবতে থাকি 🙂 যদিও তোলা হয়না আজকাল তেমন।
এলোমেলো কথা লেখার জন্য কোন টাইম লাগে নাকি? এলোমেলো যখন তখন লেখা যাবে। তুমি না রাঁধতে রাঁধতেও লিখতা। এখনো লিখবা? লেখক জানলার পাশে বসেও বাসের জানলা আঁকতে পারে নীলাপু, তোমারর মতো লেখক হলেতো কথাই নেই। পরের লেখাটিই লিখে ফেলোনা, ‘এলোমেলো কিছু কথা’!
নিতাই বাবু
সারাদিন থাকি নিজের দিন গুজরানোর ব্যস্ততায়। রাত বারোটায় ফিরি বাসায়। তারপর ল্যাপটপ অথবা মোবাইল নিয়ে ফেসবুক সহ বিভিন্ন সাইটে আনাগোনা। অতঃপর ফজরের আযান কর্ণপাত। শরীরটাকে বিছানায় একটু লেলিয়ে দিয়ে, সকাল ৮টায় ঘুম থেকে ঊঠে আবার দৌড় দিয়ে জীবীকার সন্ধানে। এরপর আর ব্যায়াম করা বা হাঁটাহাঁটি করার সময় কোথায়? তবুও আপনার লেখা পড়ে প্রতিদিন সকালে হাঁটতে ইচ্ছে করছে। পারবো কিনা জানি না। আশীর্বাদ প্রার্থনা করছি।
শুন্য শুন্যালয়
রাত বারোটা থেকে আজান পর্যন্ত নেট? এরপর ঘুম? 🙂 ভাই, না ঘুমাইলে হয়না?
চেষ্টা করুননা অফিসে যাবার বা আসবার সময় একটু হাঁটা যায় কিনা। এতো কম ঘুমালে মন বিক্ষিপ্ত থাকবে ভাই, হেঁটে ভালো লাগবেনা।
শুভকামনা রইলো।
রিমি রুম্মান
এই হাঁটার আইডিয়াটা দারুণ তো ! মনে গেঁথে রাখলাম। দেখি একদিন নিউইয়র্ক হাঁটিয়ে আনা যায় কিনা আমার প্রিয় সোনেলার সকলকে।
শুন্য শুন্যালয়
অবশ্যই আপু। ঘুরিয়ে দেখাও তোমার শহর, তোমার এলাকা। অপেক্ষায় থাকলাম কিন্তু 🙂
অপার্থিব
চার নম্বর ছবির গাছের গোড়ার উপরের কাভারটা ছবির সৌন্দর্য নষ্ট করছে। অন্যগুলো বেশ ভাল, ছবির ক্যাপশনও…
শুন্য শুন্যালয়
হুম, চোরাই ছবি যে চার নাম্বারটা 🙂
ধন্যবাদ জানবেন অপার্থিব।
সাবিনা ইয়াসমিন
” বৃক্ষ অথবা পরগাছা, কে কার উপর নির্ভর করে বেঁচে আছে বলা দুস্কর। ”
এই ছবিটির সাথে আমার এক আত্মিক মিল খুঁজে পেয়েছি। বৃক্ষ আর পরগাছা নিজেদের অজান্তেই একে অপরের সাথে জড়িয়ে যায়। জোর করে ছাড়ানো যায়না, জড়িয়ে থাকলে আপন অস্তিত্ব ঢেকে যায়।
ছবি ও ক্যাপশন সব কিছু পারফেক্ট। ছবি ব্লগ যদি এমন হয় তাহলে বারবার পড়তে আগ্রহী হবো।
ভালোবাসা রইলো শূন্য ❤❤
শুন্য শুন্যালয়
হিন্দি একটা মুভি দেখেছিলাম অনেক আগে অজয় দেবগানের, সম্ভবত কোন ইংরেজি মুভির কপি করা। ছোট প্রতিবন্ধী ভাইকে নিয়ে। ভাইকে প্রতিবন্ধী সেন্টারে ভর্তি করে দিয়ে আসে সংসারী হবে বলে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেনা। ভাইকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনবার সময় বলে ও আমার উপর ডিপেন্ডেন্ট নয়, আমিই ওর উপর ডিপেন্ডেন্ট। মনে লেগে গিয়েছে সেই কথাটা।
ভালো থাকুন আপু। ♥