আজ যদি হঠাৎ জড়রা নড়েচড়ে ওঠে!!
বলকে ওঠা গরম চা চুমুকে পোড়াবে অধর
ওদিকে তোমার চোখ সেঁটে আছে
দূরের য ফলা ম্যাসেজে
ক্লান্ত চা অপেক্ষায় শীতল হয়ে হঠাৎ যদি বলে বসে
“খুব বেশি কী চেয়েছিলাম”?
পথের ধারে পড়ে থাকা সোনালী কয়েন
যদি ট্যাঁরা চোখে তোমায় দেখে ডেকে ওঠে
“বন্দী হতে চাই তোমার মিকি মাউস বক্সে
কতোই না যত্ন করে গোনো এক, দুই, তিন
এক রত্তির ঐ ভালোবাসাতেই চলে যাবে ঢের”।
অভিমানে যদি হুট করে বলেই বসে
ফাঁটল ধরা পথ
“অনেক তো পিষ্ট করলে পা এ, হেঁটে গেলে,
দৌঁড়ে দৌঁড়ে সেই যে সময়ে পৌঁছালে আর তো ফিরলে না!
একটিবার শুয়ে পড়ো, হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখো
ভালোবাসার খাজনা যে আমারও চাই”।
কিংবা ধরো মিছিল হলো জড়য় জড়য়
১৪৪ ধারা কিংবা ধারা ছাড়াই
ইট পাটকেল, গাড়ির কাঁচ
ভালোবাসার অবহেলার বিচার চাই,
নইলে আমরণ অনশন!
ভয় পেয়েছো? খুব বেশি কি?
ভয় পেয়োনা। জড়রা বলতে জানেনা
তবে যদি জীবন্ত জড়রা কখনো ভালোবাসা চেয়ে বসে!!
৩৯টি মন্তব্য
নীহারিকা
সত্যিই এরা যদি বলতে পারতো!
এভাবেতো ভাবিইনি কখনো।
দারুন হয়েছে।
শুন্য শুন্যালয়
নীহারিকা আপু এদেশে বেশিরভাগ মানুষের সাইজের যেই অবস্থা! জড়রা কথা বলতে পারলে সবার আগে জামাকাপড় মুক্তি চাইতো 😀
এক একটা ম্যাকডোনাল্ডের হাতী 😀
নীহারিকা
হাহাহাহা যা কইলা।
শুন্য শুন্যালয়
:D)
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
জড়রা বলতে জানে না নড়তেও জানে না যদি কেহ সাহায্য না করে।দূরে য ফলা ম্যাসেজটি কি আপু একটু বলবেন।এত সুন্দর অনুভুতি কি করে লিখেন। -{@
শুন্য শুন্যালয়
ম্যাসেজ লিখতে য ফলা লাগে। ওটাকেই ব্যাংগ করে বলেছি। থাংকু ভাইয়া। 🙂
জিসান শা ইকরাম
যদি অন্য সবার মত আপনার লেখা আমি খুব সহজে বুঝতে পারতাম!
যদি অন্য সব পাঠকের মত যদি গুলো আমার মাথার সমান উচ্চতা দিয়ে যেত!
তবে কতই না ভাল হতো।
শুন্য শুন্যালয়
আপনার হাইট কতো ভাউ? এরপর থেকে অই মাপে লিখবো 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
যদি অভিমানের ভেতর কর্পূর-গন্ধমাখা ভালোবাসা হাওয়ার ভেতর দিয়ে পাঠিয়ে দেই
হৃদয়কে কি বিদ্ধ করবে ৯-কারের মতো হুল ফুটিয়ে?
আমি চাই তুমি আলপিনের মতো কথা ফোটাও তোমার ঠোঁটে
জানোই তো প্রতিদিন কতো হৃদয় মরে যায়
সম্পর্কের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে
আর কতো অট্টালিকা আকাশ ছুঁতে থাকে একা একা—
বাইরের দরোজা-জানালায় সুদৃশ্য পর্দা ঝোলানো থাকে বলেই হৃদয় দেখা যায়না।
ধরো যদি হৃদয় আমার মরে গিয়ে অভিজাত ঘর তোলে, তুমি কি স্থবির হয়ে যাবে?
জানো তো স্থবিরতার গায়ে কেউ শ্বাস নিতে আসেনা! ——–
আমাকে তুমি পাগল করে দিলে এ লেখাটা দিয়ে। সত্যি বলছি মনের ভেতরেরও গহীন স্পর্শ করেছে কবিতার প্রতিটি অনুভূতি। এই না হলে শুন্য শুন্যালয়! কম লেখে কিন্তু রেশ থাকে দীর্ঘদিন। এমন কবিতার জন্য বহুদিন(পনেরো দিন) অপেক্ষায় থাকতে পারি। -{@
শুন্য শুন্যালয়
কী অদ্ভুত সুন্দর লেখো তুমি নীলাপু! বাহিরের দরোজায় সুদৃশ্য পর্দা থাকে বলেই হৃদয় দেখা যায় না, বাহ্ বাহ্। আমার এইসব আবজাব ছাড়ো, বলো কবে এনরোল করছো? আমি কিন্তু একাই ছাত্রী 🙂
ও, পনেরো দিন শান্তিতে থাকতে চাও বুঝি? সেটি হচ্ছেনা। দাঁড়াও না লেখা শুরু করি খালি।
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু দাঁড়াতে পারবো না। বসে আছি লেখা শুরু করো। তা নইলে কিন্তু পালাবো। 🙂
শুন্য শুন্যালয়
কই যাও? যাওয়ার আগে কিছু লিইখ্যা দিয়া যাও।
মৌনতা রিতু
না চাইনে আর কোনো অধীকার,
এ একার অধীকার চাইতে চাইতে আজ যে সে সত্যিই জড়ো।
জো তাই নড়ে না চড়ে না। কোনো অনুভূতি তার কাজ করে না।
আজ এ অধীকার না চাওয়াতে ভেবে নাও, অন্য কোথাও জড়ের প্রাণ সেজেছে। কতোটা আঘাতে এক প্রাণ জড় হয় বলতে পার?
খুবই সুন্দর লিখেছো ননদিনী। সত্যিই রেশ থেকে গেলো। ভাবাবে আজ। ভাল থেকো। (3 -{@
শুন্য শুন্যালয়
অতিরিক্ত ভালোবাসাতেও জড় হওয়া যায়, এটিও মাথায় রেখো!
সত্যিই তাই কিভাবে একটি প্রাণ জড়ো হয়। তোমার মন্তব্য লেখার চেয়েও সুন্দর হয় ভাবীজান। -{@
জিসান শা ইকরাম
যদি লেখা কিন্তু ভাল হয়েছে 🙂
জড়’র লড়াই এখনো মনে গেঁথে আছে।
শুভ কামনা।
শুন্য শুন্যালয়
যাক বাবা, আমিতো লেখা মাপতে বসেছি। আপনি ভালো না বললে আমার লেখা জড় হয়ে থাকে, বোঝা গেলো?
হুম ওটি আমার পছন্দের লেখা। 🙂
মিষ্টি জিন
কিছু লেখা পড়ার পর না কিছু বলতে পারিনা এক্কেবারেই চুপ হয়ে যাই। শুধু ভাবতেই থাকি ভাবতেই থাকি।এই লেখাটাও ঠিক সেই রকম। যদিও বুঝতে কষ্ট হচ্ছিল।
খুব ভাল লিখেছো।
শুন্য শুন্যালয়
সহজ লিখাতো মিষ্টি আপু। যাক বুঝেছো শুনে ভালো লাগছে। তোমরা ভালো বলেই না যা খুশি লিখে ভরাই দেই।
লাভু মিষ্টি আপু -{@
ইঞ্জা
আমি মাত্র কবিতার ক পর্যন্ত আছি আর আপু আপনাদের মতো বোদ্ধার লেখা তো মুগ্ধই করে। 😀
শুন্য শুন্যালয়
কবিতার ক কী জিনিস? আই তো বুঝিনা। 🙂
ইঞ্জা
হ আফনে তো কিছুই জানেন না আর আমরা হইলাম কলা গাছ :p
শুন্য শুন্যালয়
কলা গাছ ম্যালা উপকারী 😀
মেহেরী তাজ
বুবু জড়রা না হয় বলতে পারে না কিন্তু কিছু জীব/ মানুষ যে চাইলেও বলতে পারে না। তার কি হবে?
ওহ হো “তবে যদি জীবন্ত জড়রা কখনো ভালোবাসা চেয়ে বসে!!” এই লাইন টাও আছে? ভাবার বিষয়।
আচ্ছা বুবু চা,সোনালি কয়েন,আর ফাটল ধরা পথের চাওয়া টা কি খুব বেশি?
( এই সোনালী কয়েনটা কি বাংলাদেশের সোনালী এক টাকার কয়েন 😉 ? যেটা এখন আর পাওয়া যায় না ওটা? তাইলে আমার ওটা চাই)
শুন্য শুন্যালয়
চাওয়া বেশি না বলেই তো জড়দের মন খারাপ।
হুম বলতে চেয়েও না বলতে পারা আরো বেশি কষ্টের।
বাংলাদেশের কয়েন কই পামু পিচ্চি ভূত? এখানকার সোনালি কয়েনে চলবে না?
মেহেরী তাজ
তোমার ওখানের কয়েন আমার কাছে আছে অনেক গুলা। ওগুলা নিয়ে কি করবো?
আমার এক টাকার কয়েন চাই।
আবু খায়ের আনিছ
ভাবলেই ঘা শিউরে উঠে, সত্যিই জড়ড়া যদি চেয়ে বসে কিছু কোন একদিন কি হবে তখন?
শুন্য শুন্যালয়
আনিছ ভাইয়া তোমার লেখার কথা দিয়েই বলি। ভূমি তো জড়ই তাইনা? যা আজ তার কড়ায় গন্ডায় শোধ নেবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে…
ভাবার আছে আসলেই।
ছাইরাছ হেলাল
জড়রা জড়,
নড়েচড়ে না, নড়ে না, চড়েও না,
চা-চু-ও খায় না;
জড়রা অজড় হলেই
তামামশোধ!!
এত্ত সুন্দর করে লিখলে পাঠকের আসন পাক্কা!!
শুন্য শুন্যালয়
জড়রা না নড়লে চড়লে হাফ -লাইফ হয় কী করে ;? চলুন ভাবতে বসি।
চা খায়না বাঁচছি, নইলে কাপে ঢালার সাথে সাথে খেয়ে ফেলতো।
অই আসন কবেই ছেড়ে দিছি আপনারে, সুন্দর আর বেসুন্দর যাই ই লিখিনা ক্যান।
প্রহেলিকা
হুটহাট কি লিখেন এগুলো? তবে লিখতে বসে না লিখে আমার মনে হয় এভাবে হুটহাট লিখাই ভালো। সৃষ্টি তখন শিল্প হয়। চমৎকার চমৎকার। এত্ত সুন্দর করে লিখলে পাঠকের আসন পাক্কা!!
শুন্য শুন্যালয়
আসন পাক্কা তো অবশ্যই তবে পাঠক অনিয়মিত না হলেই বাঁচি, তখন আসন সিমেন্ট দিয়া বান্ধাইয়ায়ো কাজ হপেনা। সব হাওয়া হাওয়া। মাঝে মাঝে সত্যি বলার চর্চা রাইখ্যেন।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
লেখা কয় আমি বাড়ী, মন্তব্য কয় আমি,
আমি কেবল চেয়েই থাকি হাসে অন্তর্জামী। ^:^
শুন্য শুন্যালয়
কঠিন? আচ্ছা 🙂
ফ্রাঙ্কেনেস্টাইন
দারুণ হয়েছে আপু -{@
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আব্দুল্লাহ।
হিলিয়াম এইচ ই
ভাল্লাগসে 🙂
শুন্য শুন্যালয়
থ্যাংকস 🙂
নীরা সাদীয়া
বাহ,দারুন লিখেছেন। তবে ১৪৪ ধারা হলে আরো ভাল হত ;?
শুন্য শুন্যালয়
আমিতো 144 ধারাই লিখতে চেয়েছিলাম, গুলায় ফেলছি 🙁 ঠিক করে দিচ্ছি আপু। থাংকু।