যাদের হাত ধরে সোনেলা্র হাঁটতে শেখা- ১
======================

সোনেলা নামকরণ, ব্লগ সাইট তৈরী এবং এর ব্যানার প্রস্তুতের আনন্দের তিনটি পোষ্ট দেয়ার পরে বিষাদের পোষ্ট দিয়েছিলাম একটি।

আজ হতে সবাইকে জানাবো যাদের হাত ধরে সোনেলা প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত এই পর্যায়ে এসেছে, সেই হাত গুলোর ( ব্লগারদের ) নাম।

জানিনা কয়টি পর্বে এটি লিখে শেষ করতে পারবো। প্রথম থেকে অদ্য পর্যন্ত অজস্র ব্লগার এসেছেন, কিছুদিন সোনেলার উঠোনে বিচরণ করে আবার চলে গিয়েছেন সোনেলা থেকে। আগমন এবং বিদায় এটিই জগতের নিয়ম। একটি কথা এখানে না বললেই নয় যে, সোনেলা কোন নির্দিষ্ট লেখক বা ব্লগারের জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি। এখানে নতুন লেখক আসবেন আবার যাবেন এটিই নিয়ম। কেউ আসলে তাঁকে আমরা সবাই স্বাগত জানাই, চলে যাবার সময় তাঁকে আর আমরা বিদায় জানাতে পারিনা।
বিভিন্ন ব্লগার বিভিন্ন কারণে ব্লগ ছেড়ে দেন। কেহ কেহ নীতিমালার কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য অপমানিত হয়ে চলে যান। কেহ বা পোষ্ট বা মন্তব্যে সমালোচনা পেয়ে অভিমানে চলে যান ঘোষনা দিয়ে। যারা ঘোষনা দিয়ে চলে না যান, আমরা ধরেই নেই তিনি আসলে চলে জাননি, সময় পান না বলে আসেন না সোনেলায়।

ব্লগ তো তৈরী হয়ে ২০১২ এর ২৩ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা করলো। ব্লগের প্রথম পোষ্ট দিলেন নাজমুল আহসান। শিরোনামঃ টেস্ট পোষ্ট, বিষয়বস্তুঃ টেস্ট পোষ্ট। আসলে আমরা কয়েকজনে বুঝতে চাচ্ছিলাম সব কিছু ঠিক মত কাজ করে কিনা? পোষ্ট দেয়া যায় কিনা, মন্তব্য করা যায় কিনা, মন্তব্যের জবাব দেয়া যায় কিনা। এসবে কিছু কিছু সমস্যা হচ্ছিলো যা আমাদের ডেভলপার ধীরে ধীরে ঠিক করে দিতো। সব কিছু একশত ভাগ সঠিক হবার পরে জানাতে থাকি চেনা জানা লেখকদের। কয়েকজনে জানার সাথে সাথেই সোনেলায় নিবন্ধন করে ফেলেন।

আনুষ্ঠানিক ভাবে সোনেলার পূর্নাঙ্গ কয়েকটি পোষ্ট
প্রথম পোষ্টঃ জিসান শা ইকরাম এর  বলিষ্ঠ ভাবে বলতে পারিনা…… 
দ্বিতীয় পোষ্টঃ নাজমুল আহসান এর আমাদের বীরেরা, আমাদের মীর জাফরেরা
তৃতীয় পোষ্টঃ জবরুল আলম সুমন এর জীবনের সংজ্ঞা
চতুর্থ পোষ্টঃ যাযাবর এর দেশকে জানুন – ঢাকা বিভাগ 
পঞ্চম পোষ্টঃ ছাইরাছ হেলালের সে 

প্রথম বিদেশী ব্লগার ( মুর্শিদাবাদ ) এজহারুল এইচ শেখ , তাঁর প্রথম পোষ্টঃ আজও আমি বোধির@ এজহারুল 
প্রচুর লিখতে পারতেন তিনি। নিজে নিজেই সোনেলায় নিবন্ধন করেছিলেন তিনি। তখন লেখা এত সহজ ছিলো না। বাটন মোবাইলে দিয়ে লিখে কিভাবে যে তিনি অল্প কয়েক মাসে ৯৫ টি পোষ্ট দিয়েছিলেন তা এখন ভাবলেও আতকে উঠি।  তাঁর পোষ্ট গুলো তিনি তাঁর ফেইসবুক ওয়ালে দিতেন। মূলত তাঁর কারণেই ভারতের পশ্চিম বাংলায় সোনেলার এক শ্রেনী পাঠক তৈরী হয়েছে। প্রতিদিন যত পাঠক সোনেলা ব্লগ পড়েন পশ্চিম বাংলার পাঠক থাকেন তাঁর  শতকরা ২২ ভাগ ( আজকের সর্বশেষ আপডেট)। এজহারুল হক এর পরে পশ্চিম বাংলায় আমাদের সোনেলা কিছুটা পরিচিতি পেয়েছে অরুণিমা মন্ডল দাস এর মাধ্যমে।

এখানে মাত্র পঁচিশটি দেশের তালিকা আছে যে সমস্ত দেশে আমাদের প্রিয় সোনেলা ব্লগরের পাঠক বর্তমান। বিশ্বের কতটি দেশের বাংলা ভাষাভাষী মানুষ সোনেলা পড়েন তা ভবিষ্যতে কোনো এক পোষ্টে জানানো হবে।

এরপরে আমাদের আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি। প্রচুর ব্লগার নিবন্ধন করতে থাকেন।
জিসান শা ইকরাম, ছাইরাছ হেলাল, নাজমুল আহসান, জবরুল আলম সুমন, এজহারুল এইচ শেখ প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। বাটন মোবাইল দিয়ে, গ্রামীন এর টু জিবি মন্থর গতির নেট স্পীড দিয়ে ল্যাপটপ চালানো যে কত কঠিন ছিল তা একমাত্র যারা এটি ব্যবহার করেছেন তারাই  বুঝতে পারবেন। জিপি মডেমের ডাউনলোড স্পীড ছিলো ১২- ২০ কেবি/ সেকেন্ড। জবরুল আলম সুমন কে ব্লগ চালু হবার কিছুদিন পরেই মডারেটর নিযুক্ত করা হয়। তিনি তাঁর দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করেন। পরবর্তীতে ব্যাক্তিগত এবং পারিবারিক ব্যস্ততার কারণে মডারেটরের দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন। ব্যস্ততা আরো বৃদ্ধি পাবার পরে আর ব্লগে আসার সময় পাননি।

ব্লগের পরিচিতি এনে দিয়েছেন আরো দুজন ব্যাক্তি যাদের কথা বলে এই পোষ্ট শেষ করবো।
ফেইসবুক ব্যবহার করেন কিন্তু এয়ারপোর্ট মেজিস্ট্রেট বর্তমানে দুদকের উপ পরিচালক বানসুরি মোহাম্মদ ইউসুফকে চেনেন না এমন কেউ কি আছেন? তিনি তাঁর লেখা লেখি শুরু করেছিলেন আমাদের প্রিয় সোনেলায় বানসুরি নাম দিয়ে। বেশ কিছু পোষ্ট দিয়েছিলেন সোনেলায়। পরবর্তিতে নিজেই একটি পোষ্ট রেখে অন্য গুলো একান্ত পেশাগত কারণে  মুছে ফেলেছেন। কিন্তু সোনেলার প্রতি টান তাঁর রয়েই গিয়েছে। কিছুদিন আগে নিজে এসে তিনি তাঁর প্রফাইল পিকচার পরিবর্তন করে গিয়েছেন। মাঝে মাঝে সোনেলার খোঁজ নেন আমার কাছে। বর্তমানে তাঁর এখানে একটি পোষ্ট আছে। তিনি অনেক লেখক ব্লগারকে সোনেলায় লেখায় উদ্বুদ্ধ করেছেন।

আর একজন আছে ব্যারিষ্টার নিঝুম মজুমদার। যারা অনলাইনে বিচরণ করেন, তারা নিশ্চয়ই তাঁর নাম শুনে থাকবেন। যুদ্ধাপরাধী বিচার নিয়ে তাঁর একটি পোষ্ট আছে আমাদের সোনেলায়। তাঁর এই পোষ্টটি সোনেলার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পোষ্টঃ বুদ্ধিজীবি হত্যাকারী প্রবাসী মইনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামানের মামলার রায়:একটি আইনী পর্যবেক্ষন। 
এই পোষ্টের মাধ্যমেই সোনেলা আন্ত্মর্জাতিক মণ্ডলে পরিচিত পায়। তিনি এই লেখাটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে শেয়ার করেন।

এভাবেই ধীরে ধীরে সোনেলা পরিচিতি পেতে থাকে।
যা সবার ভালোবাসায় পূর্ণতা পেয়েছে।

৯৭৭জন ৭৭৭জন
0 Shares

৩৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ