কখনো চাইনি, এ ঘরটা ডুপ্লেক্স ঝাঁ চকচকে প্রাসাদ হয়ে উঠুক। চোখ ঝলসানো ঝাড়বাতির আলোকে চোখগুলো টনটনে করে বলে উঠুক, উহ কত্তো সৌখিন এ বাড়ির মালিক। আরো অনেক কিছুই মনে আসবে তখন। আমার এমন বাড়িতে ঢুকেই প্রথম মনে আসবে এ বাড়ির আনাচে কানাচে কিছু অসুন্দর ছায়া ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোথাও চাঁপা পড়ে আছে কঙ্কাবতীর কান্না। না, চাইনি এমন, চাইওনা এমন।
আমার একটা কুড়ে ঘর চাই। টিনের চালা টা একটু নীচু থাকবে, মাথাটা নিচু করে ঘরে ঢুকতে গিয়ে চোখে এসে লাগবে এলানো কাঠমল্লিকা গাছের ঝাপটা। ঘরে ঢুকেই হয়তো কখনো গরমে হাঁস ফাঁস করবো, মন্দ কি। টিনের চালায় বৃষ্টির শব্দ শুনতে গেলে উত্তাপ কে ভালো যে বাসতেই হবে। ভালোবেসে ফেলবো সে উত্তাপ, প্রেমিকের হাত ছোঁয়ার মতো করেই।
তালপাখার বুঝি আর চল নেই তেমন? কে বলেছে? আমি যে গেঁয়োই থাকতে চেয়েছি আজীবন। আমি বিদ্যুতের আলোর জন্য হাপিত্যেশ করে পাওয়ার হাউজ মুখি হতে চাইওনা কখনো। তালপাতা আর হারিকেনের কুপিই সই।
ঝড় আসবে? আসুক না। প্রতিটি কালবোশেখি, আশ্বিনী ঝড়ে আমি মৃত্যুর ভয় পেতে চাই। বিজলি যেমন চমকাবে, তা মিলিয়েও যাবে। অই বিজলীর চুম্বক আলোতে আমি আকাশ কে ফালা ফালা করে ভেঙ্গে যেতে দেখেছি। তাই এ ঘর ভেঙ্গে পড়ার ভয় নেই আর। শুধু তোমাকে চাই, তোমাকেও চাই আর তোমাদের। মেঘলা দিনে ঝালমুড়ির ঝালে ফু ফু চোখের পানি ঝরবে আর গল্প হবে মধ্যরাত্রি পর্যন্ত। গান গাইবো হারে রে রে রে রে, আমায় ছেড়ে দেরে দে রে, তাল দেব হাতে অথবা পায়ে।
যারা জেনারেটরে আলো জ্বালাও, তারা দূর হও। এই শান্ত গোল পাতার ছাউনি, অন্ধকার আর আগুনমুখো ড্রাকুলায় ভয় পায়না আর। শুধু তোমাদের চাই, যারা ভালোবাসে ভালোবাসায়, ঘৃণা আর প্রতিহিংসায় না।
৪১টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
পাথর প্রাসাদে চকচকানো থাকে, কৃত্রিম আলোর ঝলকানি থাকে, কুহক থাকে,
শুধু থাকেনা সবুজ প্রাণস্পন্দন। কুড়ে ঘরে থাকে শুধুই উচ্ছল আনন্দ শিহরণ।
আমারা বেঁচে থাকি সহি-ছালামতে ড্রাকুলার মুখে ছাই ফেলে।
আপনি তো আমাদের স্বপ্নের দেশে নিয়ে যাচ্ছেন।
শব্দেরা খুঁজে পেয়েছে দারুণ প্রাঞ্জলতা প্রথমবারের মত, কিছু ধার পেলেই বর্তে যাব।
শুন্য শুন্যালয়
স্বপ্নের দেশেও ভেজালের সমারোহ দেখা দিয়েছে। 🙂
হ্যাঁ আমাদের কুঁড়ে ঘরই ভালো। শীত তো এসে গেলো ভাইয়া, খেঁজুরের রসের নিমন্ত্রণ চাই। একা খাওয়া চলবেনা।
এই লেখায় কোন শব্দ নেই নতুন করে, যা আছে তা স্নেহ, একটি ঘরের প্রতি। আপনার বুঝি আবার ধার চাইতে হয়? বেশ তো নকল করে ফেলেন অনুমতি বিনা 🙂
জিসান শা ইকরাম
আপনার এই লেখা যেন সোনেলার নিজের কথারই প্রতিধ্বনি।
আমাদের অন্য অনেকের মত বসবাসের জন্য চোখ ধাঁধানো কোন অট্টালিকা নেই, তবে আছে একটি কুড়ে ঘর
আমাদের এয়ার কুলার নেই, আছে তালের পাখা, যে পাখা দিয়ে পরম মমতায় গায়ে হাওয়া দেয় কোন আত্মার আত্মীয়
আমাদের বসার জন্য নেই কোন অত্যাধুনিক সোফা, জলচৌকি বা পিড়ি আছে নিশ্চিত
আমাদের খাবার টেবিল নেই, আছে মাদুর,মাটির ফ্লোরে বসে অচকচকে বাসনে খাই আমরা,হয়ত তা মাটির থালা বাসন
আমাদের মুখে থাকেনা কর্পোরেট হাসি,যে হাসিটা আমরা দেই, তা হৃদয় থেকেই আসে।
আপনার চাওয়া পুর্ন হোক।
মিলেমিশে থাকি আমরা হৃদয়ে হৃদয়কে ছুঁয়ে।
শুন্য শুন্যালয়
আপনি আমার চাইতেও সুন্দর করে বলেছেন, সোনেলার কথা তারাই বুঝবে যারা সোনেলাকে ভেতর থেকে বোঝে।
চাওয়া অবশ্যই পূর্ন হবে এবং হচ্ছে। মিলেমিশেই থাকবো অবশ্যই, অবশ্য মাঝে মাঝে ঝগড়াঝাটি না করলে ঠিক জমেনা। 🙂
লীলাবতী
শুন্য আপু সোনেলাকে তুমি এমন ভাবো ভাবতেই কেমন চোখে পানি চলে এলো।কত আবেগ তোমার সোনেলাকে নিয়ে।আমার অনেক পরে এসেছো তুমি সোনেলায়।তোমার মত করে এমন মায়া নিয়ে লিখতে পারিনি কখনো।ঝাঁ চকচকে প্রাসাদ সম সোনেলা চাইনা আমরা।তুমি যেমন বলেছো তেমন সোনেলাই চাই। সোনেলা আমার ভালোবাসার ঘর (3
‘যারা জেনারেটরে আলো জ্বালাও, তারা দূর হও। এই শান্ত গোল পাতার ছাউনি, অন্ধকার আর আগুনমুখো ড্রাকুলায় ভয় পায়না আর। শুধু তোমাদের চাই, যারা ভালোবাসে ভালোবাসায়, ঘৃণা আর প্রতিহিংসায় না।’ (y)
শুন্য শুন্যালয়
শুধু লিখতে পারলেই হবে, এমন কথা নয়। সোনেলা কে ঘিরে তোমার অনুভূতিও আমরা দেখেছি সবাই, দেখি সবসময়। কম বা বেশি নয়, সোনেলা কে ঘিরে যারা আছি তারা এই ব্লগটার প্রতি সৎ থাকলেই হবে, আর কিছু লিখবেনা। যারা শুধু তার লেখাটিকেই বড় করে ভাববে, তাদের কাছে সোনেলার জন্য মায়া জমবেনা।
সোনেলা তোমার আমার ভালোবাসার ঘর (3
অরুনি মায়া
হুম শুধু তোমাদের চাই যারা ভালবাসার বিনিময়ে শুধুই বিশুদ্ধ ভালবাসা দিয়েছ (3
শুন্য শুন্যালয়
সেজন্য তোমাকেও চাই 🙂 (3
নাসির সারওয়ার
“টিনের চালা টা একটু নীচু থাকবে, মাথাটা নিচু করে ঘরে ঢুকতে গিয়ে চোখে এসে লাগবে এলানো কাঠমল্লিকা গাছের ঝাপটা।” তারই পাশে উঠানের কোলে একটা রাননাঘড়, ছন দিয়ে ঢাকা। এই ছন দিয়ে কি সোনেলা বানানো?
ভালোবাসায়ই বুনন চলুক যার শেষ দেখার দরকার কি!
শুন্য শুন্যালয়
ছন, গোলপাতা, টিন যা খুশি হোক, ঐ কাঠমল্লিকার ঝাপটা লাগবেই লাগবে।
সুন্দর বলেছেন ভালোবাসায়ই বুনন চলুক, শেষ দেখতে চাইনা। যারা সোনেলার শেষ দেখিয়ে ছাড়বে এমন বলেছিল, তাদেরকে ভেবেই লেখা। ঝড় থেমে গেছে ভাইয়া। এখন চারিদিকে সবুজ, শান্ত।
নীতেশ বড়ুয়া
আমাদের ঘরে ঝাঁ চকচকে কিছুই নেই আছে শুধু সাদামাটা মন। এই মনের উপর না যায় কর্তৃত্ব ফলানো না যায় অন্য কিছু করা, যায় শুধু মন দিয়ে সাদামাটাকে আপন করে নেওয়া। নচেৎ ভুল…
আর বিশেষ কিছু বললাম না শুন্যাপু। (3
আবু খায়ের আনিছ
নীতেশ দা শূণ্য আপু কিন্তু পূর্ণতা নিয়েই ফিরেছে। বলেছিলাম মনে আছে?
শুন্য শুন্যালয়
আনিছ ভাইয়া, এ কিন্তু তেমন কোন লেখা নয়, শুধু নিজের কিছু অনুভূতি বলে যাওয়া। আমি আসলে লেখক হিসাবে ভালো না ভাইয়া। খুব বেশি লেখালেখি হয়না আমাকে দিয়ে, তবুও তোমাদের উচ্ছ্বাসে আনন্দ হয়। ভালো থেকো খুব পিচ্চি ভাই। -{@
আবু খায়ের আনিছ
তুমিই প্রথম বুঝতে পারলে, আমি আসলেই এখানে সবার চেয়ে ছোট। সোনেলায় যারা আছে তাদের অভিজ্ঞতা,জ্ঞান সবই অনেক বেশি। তারপরেও ভালো লাগে ছোট বলে কেউ এড়িয়ে যায় না। সাধারণ সব জায়গায় যেটা হয়ে থাকে। বয়স কম বলে সবাই এড়িয়ে যায়।
শুন্য শুন্যালয়
এই মনের উপর আসলে নিজেরই কর্তৃত্ব নেই, তাই বোধ হয় সবাই ভুল করে।
যা করি আমরা, যা লিখি তা জানি মন থেকে লিখি, মন থেকে করি।
দুই লাইনেই অনেক বলেছিস, আর বলতে হবেনা। 🙂 -{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
অট্টালিকা মানেই আর্টিফিশিয়াল কিছু।
কুঁড়েঘরের আনন্দ অন্যরকম। এখানে প্রাচুর্য না থাকলেও প্রাণ থাকে। থাকে একের প্রতি অন্যের বিশুদ্ধ ভালবাসা।
আর টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ!! উফফ, সেকি মনোমুগ্ধকর সঙ্গীত!!!
এগুলো কি আর এই ইটপাথর গাঁথা অট্টালিকায় থেকে উপলব্দি সম্ভব?
শুন্য শুন্যালয়
টিনের চালে বৃষ্টি, সে যেন কেমন শুনতে হয়, ভুলেই গেছি আপু 🙁 আমরা সবাই খুব বেশি আর্টিফিশিয়াল হয়ে যাচ্ছি। খুব সুন্দর করে বললেন আপু।
আবু খায়ের আনিছ
আমাদের ঝাকজমকপূর্ণ প্রাসাধ নেই, কিন্তু অগাধ ভালোবাসা আছে যা আমাদের সবাইকে এক সুতোয় বেধেঁ আপন করেছে। ভালোবাসা পেয়েছি এবার দেওয়ার পালা। কথায় আছে না, ভালোবাসা পাওয়ার চেয়ে দেওয়ার আনন্দ বেশি।
শুন্য শুন্যালয়
ভালোবাসা দেওয়া নেওয়া দুটোই থাকতে হবে, পালাবদল নয়, এটা এমনিতেই মন থেকে চলে আসবে।
কেউ কেউ বলে এই ব্লগটা পারিবারিক, অন্যদের মত নয়। আমরা তাতেই খুশি, আমরা যেমন আমাদের ব্লগ তেমনই থাকুক। সোনেলার প্রতি তোমার টান মুগ্ধ করে ভাইয়া। ভালো থেকো সবসময়।
আবু খায়ের আনিছ
ভালো থাকবে তুমিও আপু। -{@
ছাইরাছ হেলাল
না চাওয়াতেই পেয়েছি অনেক, পাব আরও কাঠগোলাপের বাগান থেকে,
সূর্যাস্তের মায়াবী আলোয় সবাইকে নিয়ে হেঁটে যাব ঐ দূর দিগন্তে।
চমক ক্ষণস্থায়ী, হঠাৎ আলোয় চোখ ধাঁধিয়ে বেশি চলানো যায় না।
আমরা আমরাই রয়ে গেলাম অকৃত্রিম ভালোবাসায়।
শুন্য শুন্যালয়
মেকি ভালোবাসায় বেশিদূর কি যাওয়া যায়?
খুবতো চাইনা, অহরহ সুগন্ধে হেঁটে যাওয়া পথে জোনাক থাকেই, আলো তার জ্বলুক কিংবা নাই জ্বলুক।
লাইট হাউজ দূর থেকে পথ দেখায়, চকমকে SOS জানায় শুধুই বিপদের সংকেত।
রয়ে গেছি, রয়ে যাব। ঘড়বাড়ি ছেড়ে যাবোই বা কোথায়?
ড্রথি চৌধুরী
এত মায়া নিয়ে লিখাবে লিখেন আপি !!
শুন্য শুন্যালয়
ধন্যবাদ ড্রথি। থাকুন সোনেলায়, এমনি করে আপনিও লিখবেন। 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
যে মানুষ স্বযতনে লাগিয়েছে চারা
সে আম কি কাঁঠাল বা ফুল কি বুনো লতা ভাবে না,
তার ভাবনায় থাকে আমা’ দ্বারা বাড়িয়াছে প্রাণ এ ধরনীতে…
শুন্য শুন্যালয়
দারুন বলেছিস দাদাভাই।
অনেক হিসেবনিকাশিও থাকে, ভাবে কোন চারা তার লাফজনক হবে। এমন চাইনা।
ভাবতে শেখাচ্ছিস অনেক কিছুই। -{@
নীতেশ বড়ুয়া
এখন মাটি পাই না তাই ফুলের চাড়া লাগানো হয় না কোন টবেই। তবে চট্টগ্রামে থাকতে খোলা বারান্দার জায়গাটুকুতে বাইরে থেকে ইচ্ছে মতো মাটি এনে টবে বা কোন পাত্রে ভরে নিয়ে চারা লাগাতে পারতাম। সেইসময় একটি চারা লাগিয়ে অপেক্ষা করতাম কবে ফুল আসবে। আসলেই অনেক খুশী এই ভেবে যে এই গাছে এই ফুল হয়, এই গাছ বেড়েছে। আমার হাতে লাগানো চারা তাঁর পূর্ণরূপ এসেছে এতেই অনেক খুশী হতাম। মনে আছে একবার টমেটোর চারা এনে লাগিয়েছিলাম, টমেটোর ফুল এসেছিলো সেই ছোট্ট চারায়। কিন্তু কেন ফল আসেনি জানি না তবে অধুনা ‘বনসাই’ হয়েই ফুল দিয়েছিল টমেটোর চারাটি।
যাই হোক, তোমাদের লেখায় ভাবতে পারি, ভাবাতে শেখায়, ভাবতে উৎসাহ দেয়। আর তাই বারেবারে বলি তোমরা নিয়মিত লিখে পোস্ট করো যাতে আমরা নিজেদের ভাবাতে পারি… (3 -{@
শুন্য শুন্যালয়
দাদাভাই, এদেশে এসে এই প্রথম তিনটা চারা কিনেছি, একটি টমেটো, একটি কাঠমল্লিকা (আমার প্রিয় ফুল), আরেকটি এদেশের নামটা মনে নেই। কাঠমল্লিকা গাছে ফুল ধরেছে, সে এক অনন্য অনুভূতি রে। আমি লেখক নই কোনভাবেই, কি সব ছাইপাশ লিখে তোদের এত যন্ত্রণা দেয়া ঠিক না। দিলাম একটা ছবিব্লগ। পঁচা।
বনসাই টমেটো 😀 আমার হাতে কখনো গাছ বেঁচে থাকেনা, আগেও দেখেছি এবার কি হবে জানিনা।
মরুভূমির জলদস্যু
যারা জেনারেটরে আলো জ্বালাও, তারা দূর হও। ;?
সোলার লাইটে কোন এ্যালার্জি নাই তো!!
নীতেশ বড়ুয়া
:D) ম.জ ভাইয়া :D)
শুন্য শুন্যালয়
আপনি তো বেশি আগে চলে গেছেন, আমিতো পিছায় তে চাইতেছি 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সহমত
আর সে জন্যই এখন পর্যন্ত কেউ আবদার করেননি সোনেলার কুড়েরঁ ঘরটি ভেঙ্গে ফাউন্ডেসন দিয়ে নতুন করে সাজও।
মা মাটি দেশের ঐতির্য্য গ্রাম বাংলার সাদাসিদে চালচলনে প্রকৃত দরদ আছে যা নামী দামী প্রাসাদকেও ঈর্ষায়
পৌছায় আমার চেনা জানা অনেকে সোনেলাকে নিয়ে হিংসে করে ওরা এতো সুন্দর দামী টাইলস দিয়ে প্রসাদ বানালো ওখানে তেমন কাউকেই এই সোনেলার মতো আত্বীয়তার কমেন্টস কিংবা মায়ার বন্ধন গড়তে পারেনি অতিথি পাখির মতো এই আছে এই নেই।আমি তখন বলেছিলায় কাউকে বশে আনতে প্রকৃত দরদ লাগে যা সোনেলায় ভরপুর।
ধন্যবাদ দিদি -{@
শুন্য শুন্যালয়
বাহ্ মনির ভাই, দারুন করে বলেছেন। আপনি সোনেলার ঝুড়িভরা মাটি বয়ে বেড়ানো একজন। ব্যস্ততায় আপনাকে কম পেলেও জানি, সোনেলারই আছেন, থাকবেন।
ভালো থাকবেন ভাইয়া।
নীলাঞ্জনা নীলা
“আলো আমার, আলো ওগো, আলোয় ভূবন
আলো নয়ন ধোঁয়া আমার আলো হৃদয়-হরা।।”
শুন্য আপু যতো দূরেই যাই, হৃদয়ে সোনেলা থাকবেই। কারণ সোনেলাকে ভালোবাসি। আর ভালোবাসলেই তো অভিমানের জন্ম হয়। তাই না? তোমাকে খুব মিস করছি, এর চেয়ে সত্যি আর কিছু নেই। চলে এসো তাড়াতাড়ি। -{@ (3
শুন্য শুন্যালয়
নীলাপু, অভিমান করে আমিও কিন্তু কতদিন চলে গিয়েছি। প্রায় মাস দুএক চুপচাপ দেখেছি সবার আসা যাওয়া। অভিমান করে নীরবে যেতে হয়, অভিমান করে কিন্তু সবাই নিজেকেই কষ্ট দেয়, অন্যকে না।
সোনেলাকে ভালোবাসো তুমি, এভাবেই ভালোবেসো, দূরে যেয়োনা। ভালো থেকো খুব নীলাপু। -{@
অরণ্য
শুন্য শুন্যালয়, এভাবে আমরা লিখছি কেন জানতে ইচ্ছে করছে।
আমি কিন্তু সোনেলাকে একটা বাগান হিসাবে পাই মরুভূমির ভিতরে। কোন ঘরও নেই। সারি সারি গাছ, খেজুর আর নারকেল জাতীয় গাছ। আমরা যেন আড্ডা দেই বালিতে শুয়ে-বসে। দু’এক জায়গায় মাচান আছে ছোট ছোট গাছের ছায়ায়। আমি সেখানে মাঝে মাঝে আসি যেন ঘোড়ায় চড়ে। তারপর গল্প করি, শুনি। একটু জিরাই। তারপর আবার ছুট দেই আমার ঘরে আমার কাজে। এটা আমার কাছে বেশি মজার লাগে ভাবতে। হ্যাঁ, আমি তাই দেখি সোনেলাকে। কখনও এও ভেবেছি আমার কল্পনার ছবি আঁকলে কেমন হয় তা! 🙂
এখন মনে হচ্ছে শুন্য সেই মরুদ্যানে এসে এক মাচানের সামনে একটা খেজুর গাছে টাঙ্গিয়ে রেখেছে লেখাটি। শুপারি গাছের পাতার মোটা অংশে তা লেখা – নিজের হাতে লেখা। আমরা অনেকে পড়ছি, ভাবছি। কিন্তু শুন্য নেই সেখানে। কিন্তু আমরা জানি শুন্য ঠিক আসবে – হয়তো এই বিকেলেই কিংবা সন্ধ্যায়। কিংবা গভীর রাতে… সাথে গান থাকতেও পারে… Walkin’ after midnight…
https://www.youtube.com/watch?v=owpdDjsErA4
🙂
শুন্য শুন্যালয়
কেন এভাবে লিখছি তা আমি নিজেও ঠিক জানিনা।
তোর কল্পনার সোনেলা তো বেশ সুন্দর বন্ধু। একটু জিরানো। মরুভূমিতে ঘোড়া চলে? ভালো করে ঘোড়ায় চড়াটা শিখে নিস, নইলে হাত-পা ভাংবি।
আমার হাতের লেখা শুপারি গাছের পাতায়, বাহ্। লিখবো নাকি একটা চিঠি? 🙂
এই গানের ভূত অনেক কষ্টে ছাড়িয়েছিলাম, তুই দিলি আবার মনে করিয়ে। কি সুন্দর গানের কথাগুলো তাইনা?
——-মধ্যরাতে কেউ হয়তো আমাকে খুঁজছে, এইভেবে আমি নিজেই বেড়িয়ে পড়লাম পথে, তাকে খুঁজতে।
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু কোথায় তুমি? এসো প্লিজ। -{@ (3
শুন্য শুন্যালয়
আমি হেথায় হেথায় নীলাপু। তুমি কোথায়?
বনলতা সেন
আসলে উদ্বেগের কোন কারণ আছে বলে মনে করি না। কত জল গড়ালো।
ছিলাম। আছিও। ব্লগের হাতি-ঘোড়া সব না হলেও কিছু তো দেখে ফেলেছি।
কেয়ার করার কিছু নেই।
শুন্য শুন্যালয়
নাহ্ কেয়ার করছিনা, সুযোগে সোনেলা কে নিয়ে একটু লেখা। প্রমান করতে হবেই হবে, আমিই সেরা সোনেলাপ্রেমী। কি কি দেখলে এতদিন ধরে? হাতি? ঘোড়া?
আমাকে খুঁজে টুজে এখন নিজেই আবার পালিয়েছ? মন টেকেনা বুঝি কোথাও?