জয়পুরহাট এর সোমনাথ বৌদ্ধবিহার এর রেস্ট হাউজের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছি। কারণ আমার ছোট ছেলে মেয়ে দুটি প্রচন্ড রোদ ও গরম উপেক্ষা করে কাঠবেড়ালির পেছনেই ছুটতে ব্যস্ত। ওদের কিছুতেই এই ভরদুপুরে ঘরে রাখতে পারলাম না। অগ্যতা কী আর করি আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে ওদের পাহারা দিচ্ছি। যদিও একদমই ভিড় নেই তবুও ওরা যেন চোখের আড়ালে চলে না যায়।
মাঝে মাঝে দুই একটা গ্রুপ আসছে ঘুরতে। তারা চলে যাচ্ছে মন্দিরের দিকে । যাবার পথে উৎসুক বা নির্লিপ্ত চোখে আমাকে দেখছে।
আট/দশ জনের একটি গ্রুপ আমাদের রেস্টরুমের পাশ দিয়ে চলে গেল। একটু পরেই ঐ গ্রুপ থেকে একজন ভদ্রলোক এগিয়ে এলেন আমার সামনে। আমাকে অত্যন্ত বিনিত ভাবে জিজ্ঞাসা করলেন -আমি রুনা কিনা?! বিস্ময়ের দোলায় দুলে বললাম —–জ্বী, কিন্তু আপনি???
ভদ্রলোক হেসে ফেললেন । ———-আপনারা কি ঢাকার মীরপুরে থাকতেন! অমুক স্কুলে পড়তেন? এবারে আমার হাসবার পালা । আমিও হেসে বললাম— জ্বী। কিন্তু আপনাকে তো চিনলাম না।
–না চেনবার ই কথা । আমি তো দেশের বাইরেই আছি আজ ছাব্বিশ বছর। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর পরই আমি ইংল্যান্ড এ চলে যাই।
আমি বললাম —-ও আচ্ছা আপনি কি ঐ এলাকায় থাকতেন?
—————-হ্যাঁ থাকতাম।
—-আমাকে আপনি চেনেন কিন্তু আমি তো আপনাকে চিনতে পারছিনা। আপনি কে বলুন তো ?
———–আপনাদের বাড়ি ছিল সি ব্লকে আমাদের বাড়ি ছিল ট ব্লকে। আমরা একই স্কুল থেকে পাশ করেছি। আমি যখন ইংল্যান্ডে যাই তখন তুমি স্কুল ফাইনাল দিয়েছ।
একেবারে এক কথায় তুমিতে নেমে এলেন ভদ্রলোক। খারাপ লাগলেও কিছু বললাম না। একই স্কুলের সিনিয়র ভাই, তুমি বলতেই পারে।
——আমার নাম জামান। স্কুলের এক পিকনিকে তোমার লাল রঙের স্যান্ডেল ছিঁড়ে গিয়েছিল। আমরা তখন ফাইনাল পরীক্ষার্থী । তুমি তখন ক্লাশ এইটে পড়তে। আমি তোমাকে বলেছিলাম স্যান্ডেল বাসে রেখে খালি পায়ে ঘুরতে। তুমি ফিরেও দেখনি কে বলল। স্যান্ডেল সহ চঞ্চল কে সাথে নিয়ে বাসে রাখতে চলে গেল।
(খাইছে আমারে কবেকার কথা আমার ঠিকমত মনেই নাই!!)
আমি হাসতে হাসতে বললাম –আসলে আমি স্কুল জীবনে বাবা মা ছাড়া ঐ একটা পিকনিকেই গিয়েছিলাম। ভেতরে এসে বসুন। আমার বাচ্চাদুটি বাইরে তো তাই ওদের পাহারা দিচ্ছি। ভিতরে বসুন আমার হাসবেন্ড আছেন গল্প করুন। চা দিতে বলি।
—–না না এখানে বেশ আছি। পুরানো কথা মনে করতে ভাল লাগছে।
আমি কেয়ারটেকারকে চা দিতে বললাম। এর পরের আলাপ কেমন আছেন? কেমন চলছে সংসার? বাচ্চা কার কয়টা কে কি করে? আমরা কে কী করি এই সব।
আমার জানুও এতে এসে যোগ দিল। জামান সাহেব ও তার মিসেস কে ডেকে আনলেন। বাচ্চাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন।
জামান একচোট নিল আমার জানুর উপর। এই ভর দুপুরে আপনি আরামে ঘুম দিচ্ছেন আর বাচ্চাদের পাহারা দিচ্ছে বেচারা মা। শিফটিং ডিউটি করা উচিত। আমার জানুও কম যায় না। চট করে বলে দিল এরপরের ডিউটি তো আমার। ছবি তোলা ও মন্দির ঘুরে ঘুরে দেখা।
চোখে মুখে মিটিমিটি দুষ্টামির হাসি নিয়ে একসময় জানুকে জামান সাহেব বললেন –আপনি কি জানেন আপনার স্ত্রী আমার প্রথম প্রেমিকা।
জানু চোখ গোল গোল করে বললো —কই জানি না তো। ও যে দীর্ঘ তালিকা আমাকে দিয়েছে তাতে তো আপনার নাম নেই।
জামান সাহেব হা হা করে হাসতে হাসতে বললেন –আমি সেই প্রেমিক যার কথা প্রেমিকা জানে না।
জামানের স্ত্রী বললেন –চরম ব্যার্থ প্রেমিক। কিন্তু জেনুইন প্রেমিক। আপনার ছবি তার কাছে ছিল এখন আমার কাছে আছে ।
জামান সাহেব বললেন–রুনার সাথে চঞ্চলের ভাল বন্ধুত্ব ছিল। তাই সাহসে ভর করে চঞ্চলকে একটা চিঠি দিলাম খাতার ভিতরে করে রুনাকে দেবার জন্য। ঐ বেঈমান কে দশটা টাকাও দিয়েছি পেপসি খাবার জন্য। আর ও কিনা সেই খাতা নিয়ে দিল আমার বাবার হাতে। সেই রাতে বাবার হাতে এমন পিটুনি খেলাম যা আর বলার মত নয়। বাবা বললেন –যে দিন রুনাকে পাবার মত যোগ্যতা অর্জন করতে পারবি সেইদিন আমি নিজে রুনার বাবার কাছে তোর জন্য প্রস্তাব নিয়ে যাব।
আর সবচেয়ে দুঃখের কথা কি জানেন ভাই যখন পূর্ণ যোগ্যতা নিয়ে এলাম। বাবাকে বললাম বাবা এবার আমি রুনাকে বিয়ে করবো সেদিন বাবা আকাশ থেকে পরলেন —রুনাটা কে ? আমার ছোট বোন বলল -ভাইয়া রুনা আপুর না মাস দুয়েক হল বিয়ে হয়ে গেছে!!!!!
আমি তখন হায় হায় করে উঠে বললাম –আপনি কি স্মৃতির ভাই। স্মৃতি এসে একদিন খুব মজা করে এই গল্প বলে গেছে। আমার জানুও বললো –এই গল্পতো আমি জানি কিন্তু নায়ক যে আপনি তাই তো জানি না। আমি বললাম –কিন্তু তিনি তো ছিলেন স্মৃতির শরিফ ভাই–আপনি ই ই শরিফ ভাই আল্লা!!!! আপনার অনেক পরিবর্তন হয়েছে আমি চিনতেই পারিনি।
–জ্বী এই অধমই শরিফ ভাই।
৬১টি মন্তব্য
খসড়া
পোস্ট করার পর কয়েকবার এডিট করে পোস্ট করলাম কিন্তু হল না, বানান ঠিক করতে পারলাম না। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থী।
অন্তরা মিতু
কোন ব্যাপার না…….. মজার লেখা, পাঠক পড়ে মজা পেলেই হলো…. ডিকশনারী হাতে নিয়ে বসে থাকে, এমন কয়জন আতেলই বা আছে….. আপনি নিশ্চিন্তে লিখে যান আর আমরা আনন্দিত মনে পড়ে যাই……. 🙂
খসড়া
তা ঠিক কিন্তু বানান আর ভাষা ভুল হলে বিরক্ত লাগে যে কোন লেখা পড়তে।
আবু খায়ের আনিছ
এটা বুঝি দ্বিতীয় প্রেম? স্বৃতি………… জয়পুরহাট। এখনো আঘাত করে বৌদ্ধবিহার
খসড়া
এটা দ্বিতীয় নয়। এটা অজ্ঞাত প্রেম। এই প্রেমের কথা জানলামই না।
আবু খায়ের আনিছ
আরো কত না জানি অজ্ঞাত প্রেম আছে।
খসড়া
আছেই তো, প্রথমেই তো বলেছি অনেক প্রেমের কথা। 😀
জিসান শা ইকরাম
আপনার চমৎকার উপস্থাপনার গুনে ঘটনা গুলো যেন লাইভ দেখতে পেলাম
সবার সামনে আড্ডায় বসে পুরান দিনের স্মৃতি বলার মত লিখলেন।
এই সব সোনালী স্মৃতি নিয়ে আমাদের জীবন
আপনি আপনার জানু শরীফ সাহেব এবং ওনার স্ত্রী সবাই যে অত্যন্ত রসিক তা আপনার লেখা পড়েই বুঝেছি।
সবার জন্য শুভ কামনা -{@
খসড়া
আপনিতো সব সময়ই অন্যের কথা টেনে বেড় করেন, এবারে নিজের কথা বলুন। স্কুলে যেতে বা পাশের বাড়ির বড় /ছোট বোন বা বান্ধবী যাকে দেখতে ব্যাকুল ছিলেন, ভয় নাই জিসানীকে আমরা সামলাব। 😛
জিসান শা ইকরাম
হা হা হা হা , জিসানীকে আপনারা সামলাতে পারলে কিছু লিখতেও পারি 🙂
খসড়া
অপেক্ষায় রইলাম
ইলিয়াস মাসুদ
আর কার কেমন লেগেছে জানি না,আমার কাছে অসাধারন লেগেছে, স্মৃতি নিয়ে লিখতে আমি খুব পছন্দ করি,বর্তমান দিয়ে আমার লিখা হয় না,খুব খুব সুন্দর বর্ননা,শরিফ ভাইয়ের নাম টা শেষ পর্যন্ত টেনে আনা টা খুব সুন্দর হয়েছে………
জীবনের এমন ছোট ছোট স্মৃতি গুলো খুব মধুর যারা সুন্দর করে নিতে পারে, যারা পারেনা তারা উচ্ছিষ্টোর জীবন যাপোন করে..
অনেক ভাল লাগা রইল আপু
খসড়া
আপনাদের কথাও কিছু শুনি।
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রথমেই বলে নেই, “প্রেম বড়ো মধুর, কভু কাছে কভু সুদূর” এই গানটা নাকি শুনতো সেই ছেলেটি, যে আমার প্রেমে পড়েছিলো।
আরে আমি বলেছি দেখুন দাদা এখন বয়স লেখাপড়ার। প্রেমের না। আর কি!
আপনার লেখাটা পড়ে মনে পড়ে গেলো।
খসড়া
আহারে সেই দাদার কথাই কিছু বলুন।
নীলাঞ্জনা নীলা
সেই দাদা এখন কোথায়, কেমন আছেন জানিনা তো।
খসড়া
সত্যিকারের জুলিয়েটও কি আছে।
তানজির খান
গল্প, একান্ত অনুভূতি পড়ি না বললেই চলে। হঠাৎ শিরোনাম দেখে আগ্রহ জাগলো। এখন মনে হচ্ছে এটা না পড়লে একটা কিছু মিস হয়ে যেতো। সেই মিঃ ফিফটি পার্সেন্ট প্রেমিকের জন্য শ্রদ্ধা রইলো (এক পক্ষীয় বলে)।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল
খসড়া
অনেক শুভেচ্ছা ও পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
আমার তো আপনার জানুটার কথা বেশি মনে ধরছে :p ও যে দীর্ঘ তালিকা আমাকে দিয়েছে তাতে তো আপনার নাম নেই। হা হা।
ছোটবেলার সেই মানুষগুলো সামনে এসে দাড়ালে কেমন অদ্ভূত ফিলিংস হয় আপু, আর এতো সাক্ষাত দেবদাস। আহারে স্মৃতির ভাই 🙂
এইতো খুলছে ভাড়ার, এইবার অই দীর্ঘ তালিকা একটা একটা করে সামনে আনুন আপু। 🙂
খসড়া
আমার জানুর মত হও বুঝবে জীবনটা কত সুন্দর।
আমি জানি আমি জানি সবার জীবনেই মধুর স্মৃতী আছে। 😀
শুন্য শুন্যালয়
আপু, আমার কিন্তু সন্দেহ লাগতেছে, স্মৃতির ভাই আপনারে ফলো করতে আছে কিনা। দুইন্যাতে এত জায়গা থাকতে, সেও কিনা বৌদ্ধবিহার দেখতে আইলো।
আমার তো কিচ্ছু নাই আপু 🙁
খসড়া
ভয় নাই, যতই ফলো করুক সঙ্গে বউ আছে, কতদূর আর কি করতে পারবে? মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত।
এইচ এম রিপন
১০ টাকা দেওয়া টা ঠিক হয়নি ,টাকার পরিমান বেশি হলে ঐ দিন এর চিঠিটা রুনার কাছে ঠিকই পৌছে যেতো :D)
খসড়া
যে সময়ের কথা তখন দশটাকায় এক সের গরুর মাংস পাওয়া যেত,
খুব সামান্য না, একটা চিঠির জন্য অনেক বেশি
আসলেই চঞ্চলিটা বেইমান :@
মোঃ মজিবর রহমান
এত দেখি তরতাজা গরম গরম ভাই।
এত সুন্দর লেখার ভঙ্গিমায় মুগ্ধ্ব না হয়ে পারা যাই ।
খুব ভাল লেগেছে আপু।
খসড়া
ভাল লাগল আপনার মন্তব্য।
শুভ্র রফিক
ভাল লেগেছে।
খসড়া
ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার এ অসামান্য লেখায় কী মন্তব্য করবো বুঝতে পারছিলাম না,
শেষ অংশের উপস্থাপনা মারাত্মক,
এত সাবলীলতা কৈ যে পান!!
তবে এ লেখার দ্বারা আমাদের আরও জানার কৌতূহল বেড়ে গেল,
নিবারণের দায় নিয়ে দ্রুততম সময়ে আবার জানাবেন, তা এবারে বলতেই পারি।
লেখা পড়ার সুযোগ পাচ্ছি আবার ও সুজন সুহৃদের কাছ থেকে।
ধন্যবাদ,
খসড়া
আপনার মন্তব্য আমার লেখার উপরে বিশেষণের ব্যবহিত আমাকে মহিত করেছে। ধন্যবাদ। :p
ছাইরাছ হেলাল
অতি দ্রুত আমাদের আরও আরও অজানা জানান, অজুহাত ছাড়াই।
কেউ কোন বিশেষণ এমনই এমনই পায় না, দেই ও না।
যে পায় তাকেই দেই, দিতে যে হয় ই।
সে সব দিন ভুলে যাব না, সোনেলার কঠিন দিনগুলো।
খসড়া
আপনাদের আর ধন্যবাদ দেব না। তবে আপনাদের সহযোগীতাই আমার আনন্দ।
মৌনতা রিতু
হুমমমম।আপনার উপস্থাপন কুবই ভালো লাগল।চমৎকার উপস্থাপন।কল্পনায় ওখানেই বসে ছিলাম।ভাইয়ার মুখটা তখন চিন্তা করার চেষ্টা করছিলাম।
খসড়া
যতই ভাব ভাইয়ার মুখ তুমি জানো কেমন তা হতে পারে ;?
নাসির সারওয়ার
জানু, জামান, শরীফ।।।
কেমন যেন ঘোলাটে প্যাচঁ। তিন, দুই বা একজন, মিল একটাই – রসে ভরা।
ভালো লেগেছে অনেক।
খসড়া
জানু জামান শরীফ আসলেই ঘোর লাগা। ধন্যবাদ।
নাসির সারওয়ার
এই ঘোরটা কি প্যাচঁ…
খসড়া
জিলেপীর প্যাঁচ শরিফ। জামান একই লোক আর জানুটা বুঝে নিতে হয়।
অরুনি মায়া
শরিফ সাহেব অত্যন্ত সাহসী বোঝা যাচ্ছে | নইলে অসময়ে কেউ অতীত প্রেমের কাহিনী এত মজা নিয়ে বর্ণনা করে!
আপু আপনার রোমিওদের আরও গল্প জানতে চাই 🙂
নাসির সারওয়ার
আরো আছে!!! এই আশা আপনার!!
@আপুনিয়া।
অরুনি মায়া
ভাইজান আমার প্রথমদিককার লেখায় সেকালের রোমিও নামের একটা লেখা আছে | পড়ে দেখলেই বুঝবেন কিছু কিছু মেয়ের রোমিও ভাগ্য কি বিশাল 😀
খসড়া
আছে না! আপনার কি ধারনা আমি ওল কচু টাইপ। :@
খসড়া
আরুনি মায়া এ জগতে এই যুগ সেই যুগ নয় যুগে যুগে রমিওদের অভাব নেই কিন্তু কয়জন সত্যিকারের রমিও হতে পারে।
খসড়া
মনে জটিলতা না থাকলে সব সময় সবকিছুই সুন্দর।
অরুনি মায়া
সত্যিকারের রোমিও পাওয়া বড় দায় আপু | সবাই খালি রূপের পিছে ছোটে |
খসড়া
কি আর করবেন? এখন জগতের ধারাই এমন। আগে দর্শনদারী পরে গুন বিচারী।
খসড়া
সত্যিকারের জুলিয়েটও কি আছে।
সালমা আক্তার মনি
অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করি জানু যখন বললো “ও যে দীর্ঘ তালিকা আমাকে দিয়েছে তাতে তো আপনার নাম নেই।” ভালো লাগার আর ভালোবাসার সংসার গুলো এমন বুঝাবুঝির মিলনে আরও ভালো থাকুক।
খসড়া
ধন্যবাদ। জীবনটাতো ঘটনাবহুল, সেখানে সময়ই বেদনাকে আনন্দময় করে দেয়। জীবন আনন্দময়।
সংকির্নতা সুখি করেনা কোন ভাবেই।
অনিকেত নন্দিনী
আহারে! বেচারা শরীফ জামানের জন্য মায়া লাগছে। উনি কতো আশা নিয়ে বাবার সামনে গিয়ে বলেছিলেন, “বাবা এবার আমি রুনাকে বিয়ে করবো”। ভাগ্যের বৈরিতার কারণে রুনা ততদিনে আরেকজনের স্ত্রী।
চঞ্চলটা আসলেই বেঈমান। :@
ওইটারে কাঁথাকাচা মাইর দেয়া উচিত ছিল।
আপুর জানুর কাছে দেয়া নামের ফর্দখানিতে যাদের নাম আছে তাদের সবার এমন রসালো বিবরণ চাই। 😀
খসড়া
এইরে আমারে কেউ বাঁচাও। এরা দেখি আমার গুপুন হাড়ি হাটের মাঝে ভাঙ্গতে চায়।
অনিকেত নন্দিনী
দুয়েকটা হাঁড়ি ভাঙলে ভাঙুক না আপু, সমস্যা কী? মাটির হাঁড়িই তো, এলুমিনিয়াম বা স্টীলের হাঁড়ি তো ভাঙেনা। :p
খসড়া
এই রে, খাইছে আমারে।
অপার্থিব
সব মানুষের জীবনেই এমন একটা দুইটা অজ্ঞাত কিংবা অপূর্ণ প্রেমের গল্প জড়িয়ে থাকে, মানুষ বেঁচে থাকার প্রয়োজনেই জীবনের নানা ক্ষেত্রে কম্প্রোমাইজ করে, করতে হয়।কিন্ত এত বছর পর সেই অপূর্ণ প্রেমের গল্প সাবলীল ভাবে বলতে পারাটা নিঃসন্দেহে ভদ্রলোকের স্বচ্ছতা ও সাহসিকতার পরিচয় দেয়। ভদ্রলোকের সাবলীলতার প্রতি ভাল লাগা রইলো। লেখায় একটু বেশি “আমিত্ব” থাকলেও ভাল লেগেছে লেখাটি।
খসড়া
লেখায় আমিত্ব থাকবেই কারন আমি আমি সর্বস্ব লেখক, বড় লেখকের যা আছে তা আমার নেই। আমি লিখতে লিখতে লিখিয়ে, এখনও লেখক হতে পারি নি।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
আপনার লেখা পড়তে বসলে চোখ সরানো যায় না!
মুগ্ধ হয়ে পড়তেই থাকি!
কিভাবে পারের এইভাবে লিখতে!!
খসড়া
ধন্যবাদ। মন্তব্য পড়ে লজ্জাই পেয়ে গেলাম।
ব্লগার সজীব
অসাধারন একটি লেখা পড়লাম। স্মৃতি কথা এত মধুর হতে পারে আপনার এই লেখা না পড়লে জানা হতো না -{@
খসড়া
সজীব , কেমন আছেন আপনি? আপনার ভাল লেগেছে এটাই অনেক বড় পাওয়া। ধন্যবাদ।
ব্লগার সজীব
ভাল আছি আপু, আপনি কেমন আছেন? সোনেলায় আপনাকে দেখে সত্যি খুব ভাল লাগছে। খুব মিস করি আপনাকে আপু।