ফাগুন,
ভালো আছো? যেমনই থাকো, এই চিঠি পড়ে ভালো থাকবে জানি। ভাবছো হঠাৎ আমার কি হলো ! যে আমি তোমাকে প্রতি বসন্তে চিঠি লিখতে ভুলে যাই, সেই আমি গ্রীষ্মকালে চিঠি লিখেছি কেন ! হাহা শোনো, সোনেলা ব্লগে ঈদের জন্যে ম্যাগাজিন তৈরী হচ্ছে। একটা উৎসব উৎসব ভাব। এমনিতে তো তোমাকে চিঠি লেখার সুযোগ পাইনা, কই থাকো , কোথায় আছো তাও বুঝিনা। তাই ভাবলাম এই সুযোগটা কাজে লাগাই। জানি সোনেলা আমার চিঠিটা ঠিক ঠিক তোমার কাছে পৌছে দিবে।
জান, তোমার আমার প্রেম কিন্তু কোনো জনমেই শুধু আমাদের মাঝে সীমাবদ্ধ ছিলো না। আমি তুমি মিলে আমাদের ভালোবাসা ছড়িয়ে দিয়েছিলাম পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। আমরা ভ্রমন করেছি পৃথিবীর স্থল, জল, আকাশ এমনকি বনেও। তোমার মনে আছে ? একবার আমরা এক ফিস অ্যাকুরিয়ামের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। অ্যাকুয়ারিয়ামটায় অনেক প্রজাতির মাছ ছিলো। একটা মাছ হঠাৎ করে সাতরে আমাদের কাছে চলে এসেছিলো। আমাদের দুজনকে দেখে সেকি হাসি ; মাছের হাসি ! শুনতে কি অদ্ভুদ লাগে তাই না ? অথচ আমরা দুজনেই দেখেছি। মাছটি নড়ছিলো না, অন্য কোথাও যাচ্ছিলো না, ঠায় ভেসে ছিলো। আর হাসিমুখে আমাদেরই দেখছিলো। মাছেদের কথা বুঝিনা, তবে তখন মনে হয়েছিলো ও হয়তো বলছে – ”তোমরা এসেছো ? এই জনমে আবার এক হয়েছো বুঝি ! তোমাদের কথা আমি শুনেছি আমার পূর্ব-মাছদের মুখে। তোমাদের ভালোবাসার কথা আমরা জানি। তোমাদের একসাথে দেখে আমার চোখ ধন্য হয়ে গেলো !”
আচ্ছা ফাগুন, বলতো আমরা যখন ঐ বুনো পথ ধরে ফিরছিলাম, তখন ঐ হরিনের দল আমাদের দেখে অমন অবাক চোখে তাকিয়ে ছিলো কেন ? তুমি ওদের জিজ্ঞেস করেছিলে – ”এই তোমরা আমাদের দিকে এভাবে তাকিয়ে আছো কেন ? যাও ভাগো, নিজেদের কাজে যাও। ” তোমার কথা শুনে ওরা একদম ভয় পায়নি। আরো মন দিয়ে আমাদের দেখেছে। হয়তো, ওরাও ভাবছিলো – ” আরে ! এরাই তো তারা, যাদের প্রেমের গল্প শুনে আমরা বেড়ে উঠেছি। এই জনমে আবার ফিরে এসেছে একত্র হতে ! ”
প্রিয়, আজ আমাদের প্রথম দেখার দিনটির কথা মনে পড়ছে। আমরা তখন শুধু একজন আরেকজনের নাম জানতাম। কেউ কাউকে দেখিনি। যেদিন সাক্ষাতের সময় এলো, তখনো বুঝতে পারিনি। কেমন লাগবে বা আমি-তুমি কি আসলেই তুমি-আমি ? যখন তুমি তোমার হাতটা বাড়িয়ে দিলে আমার দিকে, আমার হাতটি বাড়াতে পারছিলাম না। ভীরু মনে, দুরুদুরু বুকে কাঁপা হাতে যখন তোমার বাড়িয়ে দেয়া হাতটা স্পর্শ করেছি, আমার সারা দেহে যেন বিদ্যুৎ বয়ে গেলো ! হৃদয়ের স্পন্দন শিরায় শিরায় এলার্ম দিয়ে জানিয়ে দিলো এ হাত আমার জনম জনমের পরিচিত। আমারই দেহের বাকি অংশ, যার অর্ধেকটা আমার ছিলো আর অন্যটি এই মাত্র খুঁজে পেলাম। মনে হয়েছিলো, আমি একটি দুর্ভেদ্য আইডি আর তোমার হাত ঐ আইডির পাসওয়ার্ড !
ফাগুন, এক দুপুরে আমরা আমাদের সংসার গড়েছিলাম হিমছড়ি পাহাড়ের উপর অজানা এক গাছের নীচে। ধুলো-মাটির আস্তরণ সরিয়ে আমরা দুজন দুজনের গায়ে হেলান দিয়ে বসে বিনিময় করেছি আমাদের দেখা না হওয়া জনম গুলোর ইতিহাস। চতুর্দিকে সবুজ পাহাড়-দূরে সাগর আর মাথার উপর ছিলো ঝক্ঝকে নীল আকাশ। তোমায় ছাড়া ঐ জনম গুলো অসম্পূর্ন রংহীন ছিলো জাদু। তুমি যখন আমার অধরে তোমার প্রেম ছোঁয়ালে, তখনই চারপাশ ভরে উঠেছিলো রঙের আল্পনায়। ভালোবাসার রঙে রঙ্গীন হয়েছিলাম আমি।
জাদুজান, সেদিনের সান্ধ্য আকাশটা ভরে গিয়েছিলো অজস্র তারায়। বিধাতা সেই সন্ধ্যাটা আলোকিত করেছিলো আমাদের মিলন উৎসবে। আকাশের চাঁদ মাটিতে এসেছিলো তার নদীকে নিজের বুকে আকড়ে ধরার জন্য। নদীর ঢেউ বয়ে ছিলো চাঁদের নিঃশ্বাসের তালে তাল মিলিয়ে, চাঁদ-নদী লেপ্টে ছিলো একাকার হয়ে।
জান, ঐ রাতে আমি ছিলাম তোমার হাতে এক জীবন্ত গিটার। প্রতি তারের স্পর্শে বেজে উঠেছি ভিন্ন ভিন্ন সুর-শব্দে। আঙ্গুলের ছোঁয়ায় প্রাণবন্ত আমি একেক তারে একেক সুর তুলেছি। তুমি অপার মুগ্ধতায়, সুরের মূর্ছনায় আবিষ্ট হয়ে গ্রহন করেছিলে আমায় সর্বাত্মক রুপে- সম্পূর্ণতায়।
ফাগুন, আমাদের জনমের ব্যবধান কভু ফুরাবে না। আমরা বারবার ফিরে আসবো এই ধরনীতে, আমাদের অসমাপ্ত প্রেমের পূর্ণতা দিতে। নিয়তির ঢেউ যতবার ফাগুন নদীকে আলাদা করবে, ততবারই পু্নর্জনম নিয়ে আমরা আসবো।
জাদুজান, আমরা আরেকটি স্বপ্ন পৃথিবী গড়বো। তুমি হবে উত্তপ্ত সবুজ পর্বত। আমি হবো অঝোর বৃষ্টি। আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত আর তুমুল বর্ষণে আমরা সৃষ্টি করবো এক নায়াগ্রা। রঙধনুর সাত রঙে রঞ্জিত হবে আমাদের ভালোবাসার মায়া-আকাশ।
এসো আরেকটি রাত গড়ি শুধু তোমার-আমার,
এসো খুব কাছাকাছি হয়ে আরেকটু ভালোবাসি
প্রেমেরই সুরভিতে প্রজাপতির ডানায় আমাদের ছবি আঁকি।
আমার ঈশ্বর তুমি আমি তোমারই সৃষ্টি ,
সুর তুমি প্রাণের বীণায়,
ছন্দ আমার অ-কবিতায়…
ভালো থেকো ফাগুন , মনে রেখো।
* তোমারই নদী *
৪৪টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
এত আবেগ দিয়ে লেখেন কিভাবে?
মাছের হাসি! হা হা হা, এই প্রথম শুনলাম মাছের হাসির কথা।
হাজিরা দিয়ে গেলাম, আসতেছি।
মনের মত লেখায়, মনের মতই মন্তব্য দিতে হবে।
সাবিনা ইয়াসমিন
মাছেরাও হাসতে জানে। যদি তাদের কাঙ্ক্ষিত জিনিসের দেখা পায়। ফাগুন–নদী কে দেখার জন্যে মাছটা কত স্ট্রাগল করেছে কে জানে !
লেখা মনের মতো হয়েছে বুঝি ! আচ্ছা, আসুন তাহলে মন ভোলানো মন্তব্য নিয়ে 😊😊
জিসান শা ইকরাম
বসন্তের চিঠি এই গ্রীষ্মেও পড়ার বুদ্ধি তো পেয়ে গিয়েছি। সোনেলা ব্লগ টিমের প্রতি অনুরোধ, তারা যেন প্রতি মাসে বিভিন্ন উপলক্ষে ই- ম্যাগাজিন প্রকাশ করেন। তাহলে আমরা এমন অসাধারন চিঠি প্রতি মাসেই পড়তে পারবো।
চিঠিটি লিখতে যে আবেগ ব্যবহার করেছেন, আমার পক্ষে কখনো এমন আবেগ দিয়ে কোন কিছু লেখা সম্ভব নয়।
পুনর্জন্ম আমার খুবই প্রিয় একটি বিষয়। আমাদের ধর্মে এটি না থাকলেও কেন যেন ইচ্ছে হয় এটি বিশ্বাস করি। আমার কয়েকটি লেখায় পুনর্জন্ম এসেছে। আপনার এই চিঠি আমার সে সমস্ত লেখাকে অতিক্রম করে গিয়েছে।
প্রেমকে বিভিন্ন সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম বর্ণনায় ফুটিয়ে তুলেছেন অত্যন্ত নিখুঁত ভাবে।
বিভিন্ন স্থান এবং ঘটনা সমূহের যেভাবে বর্ণনা চিঠিতে এসেছে, মনে হচ্ছে যেন বাস্তবেই তা দেখতে পাচ্ছি।
চিঠি আসলে এমনই লিখতে হয়ে।
প্রিয়তে নিলাম আপনার এই লেখা।
আরো লেখুন এমন আবেগময় লেখা, আমরা পাঠক হয়ে এমন লেখাই চাই।
শুভ কামনা প্রিয় লেখক।
সাবিনা ইয়াসমিন
মন্তব্য আসলেই মন ভোলানো দিয়েছেন। এর উত্তর দিতে এখন কিছু লজ্জাই পাচ্ছি। আমাদের ধর্মে জন্ম জন্মান্তর নেই, তা ঠিক। তবে কিছু কিছু সম্পর্ক এমন হয়ে যায়, যে সম্পর্কটা মনে হয় যুগ যুগ পরিচিত। অথবা সব সময়েই হয়তো এমন করে দুজন একসাথে ছিলাম, আছি। ভাবনার আকাশ বিশাল বড়ো হয়ে উঠে, সমস্ত আকাশটাকে তখন এক ক্যানভাস মনে হয়। আঁকতে ইচ্ছে করে জন্ম জন্মান্তরের কাব্য।
আসলে কি লিখবো বুঝতে পারছি না। ভালোলাগা অনেক সময় সব কিছুকে ছাড়িয়ে যায়, তা বুঝাতে অক্ষমতা প্রকাশ করছি।
কৃতজ্ঞতা 😊😊
ইঞ্জা
চমৎকার লিখেছেন প্রিয় আপু, ভালো লাগা রইলো। 😊
সাবিনা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ ভাইজান। আপনার ভালো লাগায় অনুপ্রেরণা পেলাম। 😊😊
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা অফুরান প্রিয় আপু।
ছাইরাছ হেলাল
যাদুজান তো দেখছি সত্যি সত্যিই যাদু জানে!!
সাবিনা ইয়াসমিন
হু, সে এক মায়াময় যাদুকর। যাদুজান না সে জাদুজান হয়ে বসত করে নদীর ভেতর। 😊😊
ছাইরাছ হেলাল
যাদুজান ও জাদুজান এর পার্থক্যটি যদি বুঝিয়ে বলতেন!!
ছাইরাছ হেলাল
‘খোলা চিঠি – তোমার তরে’ থেকে ‘প্রাপক-ফাগুন’
পাশাপাশি রেখে পাকাপাকি পড়লে বেশ লাগে!! চিঠিকে আপনি এখানে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে গেছেন।
সাহিত্যে চিঠি একটি বিরাট বিষয় হিশেবে চালু আছে, বলছি-না আপনি মহা!! কিছু লিখে ফেলছেন এই দু’খানায়।
তবে লেখা কিন্তু ভালই বলেছি।
আগের চিঠিটিতে হৃদয়ের যে অনুচ্চারিত ভালোবাসা সচল/সলজ্জ প্রকাশ ভঙ্গি ছিল সেটি আমার ভাল লেগেছে।
সে তুলনায় শব্দ-চমক নিয়ে এবারের উপস্থিততে প্রসাধন-সজ্জার চাকচিক্য ওত পেতে থেকে গপাগপ গিলে খেতে চায় বলেই মনে হচ্ছে।
অবশ্য রোজ এমুন খান কয়েক লিখলে হাত আরও পোক্ত হবে নিঃসন্দেহে।
সাবিনা ইয়াসমিন
যাদুজান সবার হয়, কিন্তু জাদুজান কেবল নদীর। ভুল বানানে প্রিয়তম কে ডাকার মাঝে সুখ বেশি থাকে। এর মানে আরেকটাও বোঝায়। ” সবার প্রেম থেকে আমার প্রেম কিছু ভিন্ন ” হাহাহাহা
সাবিনা ইয়াসমিন
মহারাজ আপনি এখনো দুই চিঠির পার্থক্য বুঝতে পারলেন না !
প্রথমটি ছিলো খোলা চিঠি যা যে কেউ পড়তে পারবে ভেবে লেখা হয়েছিলো। একটু রাখঢাক করে, লুকোচুরির মতো। কিন্তু এটা প্রাপক ফাগুন। শুধু ফাগুনের জন্যে নদীর যত আবেগ অনুভুতি আর প্রেমের সমাহারে লেখা। এই চিঠিটাও সবাই পড়তে পারবে। কিন্তু পড়ার আগে পরে বুঝতে পারবে এই চিঠির মালিক নির্দিষ্ট করা। প্রেমিক যুগলের একান্ত মূহুর্তে হৃদয়ের বিনিময়ে যে আবেগ–আবেশের জন্ম তা কি সহজ সাদামাটা করে বলা যায় !!
তৌহিদ
কাউকে বেশী ভালোবাসলে এরকমই হয় বোধহয়! অনেকদিন পরে একটা আবেগময় লেখা পড়লাম।
ভালো লিখেছেন। শুভেচ্ছা জানবেন সাবিনা আপু।
সাবিনা ইয়াসমিন
ভালোবাসে। নদীর ভালোবাসা কেবল ফাগুনের তরে। তা-ইতো নদীর দুকূল উপচে পড়ে ফাগুনের আগুনে।
ধন্যবাদ তৌহিদ ভাই। ভালো থাকুন, ভালোবাসায় বসত গড়ুন। শুভ কামনা অবিরত 🌹🌹
তৌহিদ
আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা আপু।
মাহমুদ আল মেহেদী
ফাগুনকে আগুন লাগা ফুলের শুভেচ্ছা। চমৎকার এই চিঠির প্রাপক। আচ্ছা ফাগুন তুমি কি আগুন লাগা ফুলেকে চিনো? যে ফুলের বিছানো বিছানায় হেঁটেছি কতটা দূর।
সাবিনা ইয়াসমিন
ফাগুন তো নিজেই আগুন মেহেদী ভাই। তারপরও তাকেই শুভেচ্ছা দিলেন!! নদীর উথাল-পাতাল ভালোবাসার কোনো দাম নেই? হু, বুঝেছি ফাগুনের প্রেমে সবাই প্রেমিক হয়ে যায়। 😒😒
ভালো থাকবেন সারাক্ষণ, শুভ কামনা 🌹🌹
শাহরিন
আমি গরমকে একটি চিঠি লিখতে চাই। সাহায্য লাগবে 🥴
সাবিনা ইয়াসমিন
গরম কে চিঠি লিখতে চান? লিখে ফেলুন। তবে ছোটো একটা পরামর্শ দেই, চিঠিতে বেশি প্রেম–ভালোবাসা রাখবেন না। নইলে গরমের ফিরতি ভালোবাসা আমাদেরকেও জ্বালাবে 😂😂
ভালোবাসা ❤❤❤❤
শামীম চৌধুরী
সেদিনের সান্ধ্য আকাশটা ভরে গিয়েছিলো অজস্র তারায়। বিধাতা সেই সন্ধ্যাটা আলোকিত করেছিলো আমাদের মিলন উৎসবে। আকাশের চাঁদ মাটিতে এসেছিলো তার নদীকে নিজের বুকে আকড়ে ধরার জন্য। নদীর ঢেউ বয়ে ছিলো চাঁদের নিঃশ্বাসের তালে তাল মিলিয়ে, চাঁদ-নদী লেপ্টে ছিলো একাকার হয়ে।
এর সবই ঘটেছিলো নিরন্তর ভালোবাসা দেখে।
খুব সুন্দর লিখেছেন আপু।
সাবিনা ইয়াসমিন
সুন্দর মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। হ্যা, প্রকৃত ভালোবাসা এমনই হয়। তাই সেই ভালোবাসায় প্রকৃতিও উদার হয়ে সবটুকু সাজিয়ে দেয়।
শুভ কামনা 🌹🌹
শামীম চৌধুরী
শুভেচ্ছা জানবেন।
আরজু মুক্তা
চিঠি মানে মনের সাথে অবিরত কথা বলা।।অনেক ভালো লাগলো
সাবিনা ইয়াসমিন
চিঠি মানে মনের মানুষকে নিজের মনটা খুলে দেখানোর মতো। যা কিছু মুখে বলা যায় না, যা কখনো বলা হয়নি, সেইসব নির্মল অনুভব জড়িয়ে থাকে চিঠির অক্ষরের মাঝে।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
মোঃ মজিবর রহমান
অ-কবিতায় প্রান ফিরে পাই। লেখার ছন্দে মনে তোলে দোলা মনে পড়ে সেই পুরাতন দিনগুলা। কতইনা রিকশায় ঘুরেছি মাত্র তখন ঘন্টায় কুড়ি টাকায় ঊড়েছি রাত্রে। সব জানা সৃতি অজানা হল। আর কি লেখা হবে চিঠি তাঁর পানে।
সাবিনা ইয়াসমিন
জানা স্মৃতি অজানা হওয়ার আগেই দুকলম লিখে ফেলুন ভাইজান। নাহয় স্মৃতিকেই লিখুন। চিঠিতে ডেকে আনুন সোনালী দিনের স্মৃতিদের।
ভালো থাকবেন ভাইজান। শুভ কামনা 🌹🌹
মোঃ মজিবর রহমান
মনে শব্দ যোগান দেয়না, অন্তরে সেই আবেগ জেগে উঠেনা, মন ার গেয়ে উঠে টুং টাং শব্দে কোন গান। সেই ভাবনা ভাবায় না ার কোন টানে।
আবু খায়ের আনিছ
অনেক ভালো লেগেছে লেখাটা, কয়েকবার পড়েছি আর প্রতিবার ভালো লেগেছে।
সোনেলায় যে কয়জন চিঠি লিখেছে তাদের মাঝে আপনি উপরের সারিতে থাকবেন এই লেখার জন্য।
সাবিনা ইয়াসমিন
সুন্দর মন্তব্য দেয়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
রিতু জাহান
আমি বলি,’তুমি আমার পঁচাটা।’
সে মনে মনে হাসে এটা আমি জানি।
আহা! যাদুজান, প্রিয়, কতো কতো আবেগই না ঢাইলা দিলা।
তা, আবেগ একটু হাওলাত দিলেই তো হয় আমারে।
মনির হোসেন মমি
মন ভাল করার লেখা।
সাবিনা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ মমি ভাই। আপনার মন সব সময় ভালো থাকুক দোয়া করি।
রাফি আরাফাত
নামটাই তো অসম্ভব ভালো লাগছে। আর কি বলবো!
সাবিনা ইয়াসমিন
আচ্ছা, কিছু বলতে হবেনা। হুম, অনেক সময় চিঠির চেয়ে চিঠির খাম যেমন দৃষ্টি আকর্ষন করে তেমনি এই চিঠির বেলায় এর নামটা মনে হয় আপনাকে বেশি আকর্ষণীয় মনে হয়েছে। বুঝতে পেরেছি 😀
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
বন্যা লিপি
এমন লেখায় কি বলি বলোতো?? এত আবেগময়ী নদী’র আকুলতায় আমার যে ভাষা নেই!!! তোমার তুলনা তুমিই। খুব ভালো লেগেছে সাবিনা! ভালোবাসা অবিরত ❤❤❤
সাবিনা ইয়াসমিন
তোমার কিছু বলতে হবে না। চিঠি ফাগুনের জন্যে লেখা হয়েছে, উত্তরে যা লেখার সেই লিখবে। এসো আমরা গল্প করি। তোমারও একটা চিঠি লেখার কথা ছিলো, মনে আছে? কবে লিখবে?
আসিফ ইকবাল
সাবিনা, এ যে জনম জনমের প্রেম! হালকাভাবেই পড়া শুরু করেছিলাম কিন্তু মাঝের দিকে এসে পুরোই ডুবে গেলাম। পড়তে পড়তে কখন যে বিভোর হয়ে গিয়েছিলাম বলতে পারবো না। ফাগুনের রুদ্র আগুন তো নদীর জলজ বুকে এসেই শীতল হয়, তাই না?
সাবিনা ইয়াসমিন
আসলে চিঠি লিখেছিলাম ম্যাগাজিনের জন্যে। চিঠিতো এমনি এমনি লেখা যায়না, মনে মনে কল্পনা করে নিতে হয়, একটা গল্প সাজাতে হয়। ফাগুন–নদী একটা গল্প বৈ অন্য কিছু নয়। অনেক লেখকদের যেমন দুই/চারটি নিদিষ্ট চরিত্র থাকে, তাদের নিয়ে মাঝে মাঝে ধারাবাহিক লেখে। এটা তেমন। আমি লেখক নই আসিফ। একটু চেষ্টা করছিলাম লিখতে।
ভালো থাকবেন। শুভ কামনা 🌹🌹
আসিফ ইকবাল
সাবিনা, আহা এইবার লুকানোর চেষ্টা। গল্প তো অবশ্যই থাকবে, তবে লেখক/লেখিকা সেই গল্পের সাথে কতটুকু একাত্ম হতে পারছেন সেটাই বড় কথা। আপনার আবেগ যেমন বাধাহীন স্রোতে বেরিয়ে এসেছে এই লেখাতে তাতে আপনাকে নতুন আলোয় দেখা ছাড়া উপায় নেই।
ভালো থাকবেন। আরো চাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
এমন কমেন্ট দেখার পর চিঠি লেখার আগে আমাকে শতবার ভাবতে হবে। আবেগ…. আবেগ ছাড়া চিঠি কেন, কিছুই লেখা যায়না।
লেখক-লেখিকাদের দেখছি মরন ছাড়া গতি নেই ! যা লিখবে তাতেই পাঠক রহস্য খুঁজে নেয়!!!!
নাজমুল হুদা
সত্যিই ভাষাহীন এক চিঠি । আবেগে ভরপুর উপমা গুলো আরো সুন্দর।
সাবিনা ইয়াসমিন
অনেক অনেক ধন্যবাদ। তোমার মন্তব্য পেয়ে চিঠি লেখার উৎসাহ বেড়ে গেলো। 😊😊
স্বাগতম ব্লগে মন্তব্য দেয়া শুরু করার জন্যে। সব সময় ভালো থাকো আর মনের আনন্দে লেখো। শুভ কামনা অবিরত থাকবে 🌹🌹
নাজমুল হুদা
অফুরন্ত ধন্যবাদ দিদি !!