আজ না হ’লে ও , কাল ও
থাকব প্রতীক্ষায় , স্বর্গে ও মর্তে দুপুরের ঘুঘু ডাকা বুকে ।
প্রিয়ংবদা অনুসুয়ারা গল্প করে গল্প শোনে এখনও আগের মতই ;
ওরা বলেছে , থেকে যাবে চিরস্থায়ী চিরকাল আমারই সাথে , অপেক্ষায় ।
স্বপ্ন-লাইব্রেরীগুলো খোলাই থাকে ,
পাটুয়াটুলীর রাম মোহন রায় লাইব্রেরী ও
নর্থব্রুক হল রোডের নর্থব্রুক হল লাইব্রেরী ।
জেগে থাকি অন্তহীন অন্বেষায়
আলোকহীন রাত্রিরা ইদানীং আমাকে দ্যাখে , আমিও ;
বিষণ্নতম নীল রাত্রির প্রগাঢ়তম বিচূর্নতায় ,
চাঁদহীন প্রেত রাত্রিরা ঝানু বেত হাতে জেঁকে বসে স্থাণু হয়ে ।
হে আমার আলোকের বর পুত্র—-
তোমায় দেখব বলে নিয়েছি মৃত্যুহীন চোখের শপথ ,
বিভুঁইয়ের বিদেশে বহুদূরে বেঁধেছ বাসা সাত সমুদ্দুরের ’পাড়ে।
১৭টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
কিছু প্রতীক্ষা খুব মধুর
প্রতীক্ষা-৪ পড়ে মনে হলো আমার ।
প্রতীক্ষার সব কবিতা গুলোর লিংক দিয়ে দেয়া যেতে পারে পোস্টের নিচে ।
বনলতা সেন
কিছু প্রতীক্ষা হয়ত মধুর , তবে এখানে হারানো ছেলের জন্য মায়ের
যন্ত্রনা কাতর প্রতীক্ষা বোঝানোর সামান্য প্রচেষ্টা মাত্র ।
ভালো থাকুন ।
নীলকন্ঠ জয়
প্রতীক্ষা ( ৪ ) অনেক ভালো লেগছে। প্রতীক্ষা সিরিজটাই উপভোগ করছি। চলুক—
বনলতা সেন
নিয়মিত পড়ছেন দেখে আমিও আনন্দিত ।
আসলে চলবে কীনা জানি না , হয়ত চলবে বা না ।
রকিব লিখন
হে আমার আলোকের বর পুত্র—-
তোমায় দেখব বলে নিয়েছি মৃত্যুহীন চোখের শপথ ,
— এ শপথ কখনও বৃথা হতে পারে না।।
আহা! কী বলিব ?? শব্দ রাজ্য বাঘবন্দি আপনার কবিতার শব্দ চয়নের মাঝে, সেখানে আমার কবিত্ব ম্লান।। তবুও কামনা করি, আসুক সে বর পুত্র আলোক বর্শা হাতে হানিতে প্রেমবাণ আপনার বুকে।। -{@
বনলতা সেন
আপনার কবিত্ব অম্লান থাকবে , আপনি প্রকৃতই কবি ।
অশেষ ধন্যবাদ ।
আদিব আদ্নান
শব্দ ব্যবহারের নিপুণতার প্রশংসা করা আমার সাধ্যের বাইরে ।
এতটা যন্ত্রনা কী করে ধারন করেন !
আচ্ছা , ‘দুপুরের ঘুঘু ডাকা বুকে ‘ এটা যদি একটু বলেন ।
অন্যগুলো জিজ্ঞেস করার সাহস দেখাচ্ছি না ।
বনলতা সেন
অনেক আগে পড়েছিলাম , গুছিয়ে বলতে পারছি না । তবে ভাবটি বোঝাতে পারব মনে হয় ।
প্রচণ্ড ঝড়- বৃষ্টিতে একজন মা তার দু’সন্তান কে নিয়ে নদী পাড় হবেন সাতরে , যেহেতু আর কোন
উপায় নেই । একটি সন্তান তার নিজের অন্যটি সতীনের । সতীনের সন্তানটি ঘাড়ে ও নিজেরটি
বুকে বেধে নদীতে নেমে গেলেন । মাঝ নদীতে প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে যেতে যেতে কোন রকম
সাতরে তীরে উঠলেন । উঠে দেখলেন বুকে বাঁধা নিজের সন্তানটি নেই কিন্তু পিঠেরটি আছে । মায়ের সন্তান হারানোর গুমরে ওঠা কষ্টই রূপান্তরিত দুপুরের ঘুঘুর ডাক হয়ে ভেসে আসছে সেই কাল থেকে ।
বেশি প্রশংসা করা ঠিক না ।
আপনি জানতে চাইতেই পারেন , সাধ্যানুযায়ী উত্তর দিব । নিয়মিত পরছেন ,ভালই ।
খসড়া
আমিও প্রতিক্ষায় পরের পর্বের। 🙂
বনলতা সেন
পরের পর্বের কথা এখনও জানি না । বলছেন , অবশ্যই আপনার কথা মনে থাকবে ।
নিয়মিত যারা এখানে মন্তব্য করে আপনি তাদের অন্যতম ।
আমার মন
-{@ ভাল লাগে কবিতা
বনলতা সেন
ইহা অবশ্যই কবিতা নয় ভাল করেই জানি ।
তবে আপনাকে ধন্যবাদ ।
ছাইরাছ হেলাল
ভয়াবহ যন্ত্রনা নিয়ে এমন প্রতীক্ষা থাকে কোন পুত্রহারা মায়ের এবং তা প্রকাশের
ভাষার ব্যঞ্জনার বহিঃপ্রকাশ এক কথায় অসাধারন ।
আর কিছু বলার ভাষা নেই ।
অন্য কিছু লিখুন ।
বনলতা সেন
হ্যা , অন্য কিছু লিখব অবশ্যই ।
ভালো থাকুন ।
আবু জাঈদ
আমি ৬ বছর এই পাটুয়াটুলির বুকের ওপর দিয়ে হেটে আমার স্কুলে গিয়েছি, আপনার অনবদ্য কবিতাটি আমাকে নস্টালজিক হতে বাধ্য করল। কবি স্বার্থক।
বনলতা সেন
আমি কিন্তু কবি না ।
আপনার মন্তব্য পড়ে আনন্দ বোধ করছি ।
এ পথের বুকে হেঁটেছেন জেনে ভাল লাগল ।
আপনি ইচ্ছে হলে সময় করে এর আগের লেখাটি ‘প্রতীক্ষা (৩)’ ও পড়ে দেখতে পারেন ।
অবশ্যই ধন্যবাদ দিচ্ছি ।
আফ্রি আয়েশা
সব ধরনের প্রতীক্ষা ভয়াবহ যন্ত্রনার – আপনি দারুণ ভাবে তা প্রকাশ করেছেন
এক কথায় অসাধারন ।