অভিমান আমার চিরকালের। কিন্তু বোঝানো খুব কঠিন হয়ে পড়ে। রাগ ভেবে ভুল করে নেয়। তবে কিছু মানুষ এখনও সেটা বোঝে, আর তাই হয়তো ভালো থাকতে পারি। কেন এসব কথা! বেশ ভুল বোঝাবুঝির মধ্য দিয়ে গেছে কয়েকটি দিন। প্রথমেই তাই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আমার ব্যবহারে যারা কষ্ট পেয়েছেন। খুব সত্যি একটা কথা সোনেলা ছেড়ে যেতে পারবোনা আমি কখনো। এই অঙ্গনে এমন একটা মায়াবী ঘ্রাণ আছে, যা আমাকে কখনোই যেতে দেবেনা। চাইওতো না যেতে। বড্ড ভালোবেসে ফেলেছি, আর তাই জ্বালাই। হয়তো নিজেকেই বেশী জ্বালাই। সোনেলার ঘ্রাণের আবেশে জীবনের অনেক প্রিয় কিছু গন্ধের কথা মনে পড়ে গেলো। ভোরের একটা ভীষণ সুন্দর ঘ্রাণ আছে। জানিনা কেন! আজ ভোরে বারান্দায় গিয়ে পূর্বের দিকে চাইতেই মনের ভেতর একশ আটটা নীল পদ্ম যেনো ফুঁটে উঠলো একসাথে। আট কেন বললাম, প্রিয় সংখ্যা। কি জানি বলছিলাম! ভোরের ঘ্রাণ। এমনই কিছু ঘ্রাণ কাছে টেনে নেয় আবার বহু দূরে ঠেলে দেয়। অনেকেই জানেন শুধু মুখের বাজে গন্ধের জন্য ডিভোর্স হয়েছে প্রচুর। তাই গন্ধের ব্যাপারে সাবধান। আমার এ নিয়ে কোনো ঝামেলা নেই, থাকলে আমিও হয়তো…// 😀
গন্ধ দিয়ে মানুষ চেনা যায়, বোঝা যায়। সুঘ্রাণ নিয়েই বড়ো হয়েছি। ঘুম ঘুম আহ্লাদে মামনির শাড়ীর আঁচলে, দূর থেকেই বুঝতাম এ আমার মামনির গায়ের গন্ধ। আজও জানেনা মামনি আমি নাক টেনে নিয়ে শ্বাস নিতাম যে। একটা লজ্জ্বা কাজ করতো মামনি দেখে হাসে যদি! তারপর বাপির বুক। তবে নাক কুঁচকে নিতাম, ঘামের গন্ধ। আমার নাকটা মুঁচড়ে দিয়ে বলতো “দাঁড়া স্নান সেরে আসি।” এরপর তো বাপির বুকে মুখ লুকিয়েই পটর পটর। সুন্দর গন্ধ নিতে কতো কি যে করা। ছোট কাকু প্রায়ই মামনির জন্য চন্দন সাবান নিয়ে আসতো ইন্ডিয়া থেকে। বাসায় প্রথম দেখি কসকো সাবান, ভেতরে ছোট্ট একটা ক্যান্ডি। ওটা দেখার জন্য কতো কসকোর যে বারোটা বাজিয়েছি। তারপর এলো লাক্স। এও ঠিক চন্দন সাবান জ্ঞান হবার পর থেকেই আমাদের বাসায় ছিলো। রোজ সাবান ব্যবহার করতাম না। শ্যাম্পু কি সেও তো জানলাম এইতো সেদিন ১৯৮৪ সালে। ছোট কাকু এনে দিয়েছিলো। চুলে তেল দেয়াও বন্ধ হলো সেদিন থেকে। মাথা ব্যথার জন্য। আজও পাই। তবে জেসমিন তেল মাঝে-মধ্যে পায়ের পাতায়। ইস এখনও পাচ্ছি যেনো। আসলে মামনির সেই ঘ্রাণই আমায় ছুঁয়ে আছে। তারপর ছোটবেলায় বরিশালের মা স্নান সেরে ঠাকুর ঘরে ধূপ-ধুনো জ্বালাতো। সারাটি ঘর এক অদ্ভূত সুন্দর গন্ধে ভরে যেতো। একটা কথা না বললেই নয়। কানে কথা কম শুনি মানে কেউ যদি ফিসফিস করে কিংবা কানে কানে বলে আমি কিচ্ছু বুঝিনা। তবে নাকের পাওয়ার মারাত্মক। অনেক দূরের ভালো কিংবা খারাপ গন্ধ পেয়ে যাই-ই-যাই। বন্ধুরা সবাই জানে। তাই পরিচিত সকলেই একটু সাবধানতা অবলম্বন করে যখন আমার সামনে আসে। এবারে আসি কি কি গন্ধ আমার খুব প্রিয়। ন্যাপথালিন হাতে নিয়ে বসে থাকতামএবং এখনও। আমার বাসার ওয়াশরুমে এক বাটি ভরা ন্যাপথালিন। কেরোসিন চেনেনা এমন কেউ নেই। কতোবছর পাইনা। অনেক ছোটবেলায় চা’ বাগানের বাসায় যখন ইলেক্ট্রিসিটি ছিলো না, বিকেলে হারিকেন পরিষ্কারের সময় বসে থাকতাম শুধু গন্ধ নিতে। তারপর কতো রোমিও মোটরবাইক নিয়ে ঘুরেছে, পাত্তা পায়নি। তবে ভালোবেসেছি পেট্রোলের ঘ্রাণ। আহা রোমিওরা চলে যেতো আমি পেট্রোলের গন্ধ নিতাম। এসব নিয়ে বন্ধুরা কম ক্ষ্যাপায়নি। আর ছিলো সেভলন। বোতলের ছিপি খুলে নাকে নিয়ে বসে থাকতাম। অনেক বড়ো হয়েও এসব করেছি। নেলপলিশের গন্ধ, স্পিরিট উফ। এসব গন্ধের সমতুল্য কোনো পারফিউমও হয়নি। আরোও কিছু গন্ধ আছে, যেমন রাস্তায় পিচের কাজ হয়, নাক উঁচিয়ে এখনও সেই ঘ্রাণ নেই। নার্সিং-এ যখন এলাম, বিভিন্ন সিনিয়র হাউজে একটা মিষ্টি গন্ধ পেতাম। কি দিয়ে ঘর মোঁছে এরা? জানতে পারলাম “পাইনসোল” দিয়ে। ওয়ালমার্ট সেদিনই গেলাম কাজ থেকে ফেরার পথে, কিনলাম। আমার বাসায় ঢুকলে প্রথমেই যে গন্ধটা আসবে সেটি হলো বেলী ফুলের ঘ্রাণ+পাইনসোল+নেপথালিন। নিজের এই নীড়টাকে আমার স্বর্গ লাগে বোধ হয় তাই।
চুলে মুখ গুঁজে দিয়ে বললে, কোথাও আর যাবার ইচ্ছে নেই তোমার
লম্বা শ্বাস টেনে নিয়ে কানের কাছে ফিসফিস করে বললে
এই ঘ্রাণের জন্যেই আমায় নাকি তুমি অনেক ভালোবাসো।
সেই থেকে লেপ্টে আছে তোমার প্রিয় সুবাস।
চন্দন-ঘ্রাণ মাখা জলে ডুব দিয়ে ছুঁয়ে আছি তোমার তারুণ্য।
বোঝো কিছু?
যতো দূরেই থাকো, এই যে রোজ নিঃশ্বাস নিঃশ্বাসকে ছোঁয় ঘ্রাণের মাতালতায়
বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতে মাটি ভেঁজে সোঁদা গন্ধে বাতাস নেচে ওঠে,
তুমি তো জানো কত্তো প্রিয় সেই ঘ্রাণ আমার!
আর প্রিয় কি জানো? তুমি, তোমার নিঃশ্বাস। -{@ (3
http://https://www.youtube.com/watch?v=Ef82YtDVieY
হ্যামিল্টন, কানাডা
১৫ নভেম্বর, ২০১৫ ইং।
৪৬টি মন্তব্য
প্রলয় সাহা
গন্ধ দিয়ে মানুষ চেনা যায়….
মারাত্মক কথা বলেছেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
একেবারে অভিজ্ঞতা থেকে বলা কিনা।
ধন্যবাদ আপনাকে প্রলয় সাহা প্রথম মন্তব্যের জন্যে।
প্রলয় সাহা
সত্যি বলতে আমি পড়লেও মন্তব্য করি না। এটা আমার বদ অভ্যাস। আশা করি সব লেখায় মন্তব্য করার চেষ্টা করবো।
নীলাঞ্জনা নীলা
আসলে মন্তব্য পেলে শেখা যায় নতূন কিছু। বোঝা যায় ভুল। লেখা নিয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ করিনা আমি। সমালোচনা পেলে তাই যথেষ্ট খুশী হই।
মরুভূমির জলদস্যু
কবিতাটা অসাধারণ -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিতাটা কিন্তু কল্পনার নয়। সত্যির, তাই হয়তো! 😀 :p
নীতেশ বড়ুয়া
গন্ধ দিয়ে মানুষ চেনা যায় কিন্তু মন চেনা যায় না।
শুভ প্রয়াত্যাবর্তন দিদি। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
নীতেশদা গো গন্ধ দিয়ে কি মন দিয়েও মন চেনা যায়না। কারণ কি বলো তো?
“ধোঁয়া ধোঁয়া ধোঁয়া।” 😀 :D) :D) :D) :D)
ইস শুধু শুভ প্রত্যাবর্তন বললে হবে না। গান+হাসি+আড্ডা চাই-ই চাইইইইইইইইই \|/ \|/
নাসির সারওয়ার
আর কি গন্ধ যোগ করা যায়?
কড়া আফটার সেভ, কোলন, ডিওডরেনট। মাঝে মাঝে বিড়ির ধোঁয়া এসে পরে মুখে। এতোগূলো আলাদা করি ক্যামনে?
নীলাঞ্জনা নীলা
কড়া আফটার শেভ! আহা! কিভাবে ভুলে গেলাম!
সিগারেট! ওয়াক!!!!!! ^:^
যদিও আজকাল পারফিউম ব্যবহার করি, তবে সে পার্টিতে। নার্সিং-এ জানেন তো কোনো পারফিউম এলাঊ না!
আমার নিজস্ব যে পারফিউম সে নিয়েই বেশ আছি, এমনকি আজ অব্দি কারো থেকে কোনো অভিযোগ আসেনি গন্ধ নিয়ে। 😀
বুঝেছেন ভাইয়ু? 😀
নাসির সারওয়ার
আচ্ছা, আপনি একজন সাইনোসাইটিস এর রুগী খুঁজে বের করুন। এরপর ফলাফল দিন তার কি গন্ধ পছন্দ আর ওপছন্দ।
নীলাঞ্জনা নীলা
:D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D)
আমার মামনির সায়নোসাইটিস। কিন্তু যাদের নেই তারা খারাপ কিছু বলেনি। 😀
নাসির সারওয়ার
বাহ! কি সুন্দর হাঁসি।
নীলাঞ্জনা নীলা
এই হাসিটুকু আমার যে কোনো অবস্থাতেই থাকে। তাই কিছু হারাই না, বুঝেছেন ভাইয়ু? 😀
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
আমি শুধু আমার মায়ের গন্ধইই বুঝতে পারি!!
নীলাঞ্জনা নীলা
মায়ের প্রতি অনেক ভালোবাসা বুঝি? ভালো লাগলো এ কথা জেনে। 🙂
ড্রথি চৌধুরী
কবিতাটা মারাত্মক সুন্দর!!!!! গন্ধ নিয়ে আমিও ভেবেছিলাম লিখব কিছু আমার প্রিয় কিছু গন্ধ আছে উফফফ অনেক কিছু ই মনে পড়ে গেল রে দিদি (3 (3 (3 (3 -{@ -{@ -{@ -{@ 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার বাপি শেভ করে এলে গালে নাক উঁচু করে নিঃশ্বাস নিতাম। সবাই হাসতো এটা দেখে।
আমার বর তরুণকেও এসব জ্বালা সইতে হয় এখনও মাঝে-মধ্যে। :p 😀
আর ছেলেটা চুল স্পাইকি করে যখন সামনে যেতেই বলে, “নাআআআআআআআআআআআ…” :D)
আর হ্যা ধনেপাতা কুচিকুচি করে কেটে আহা খুব পছন্দ সেই ঘ্রাণ। আপু গো লিখে ফেলো। -{@
আবু খায়ের আনিছ
দিদি, তোমার সর্বশেষ পোষ্টে মন্তব্য পড়ে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। ফিরে এসেছ মন্তব্য দিয়ে তা লক্ষ্য করছি কয়েকদিন কিছু দিন কিন্তু এই বিষয়ে কিছু বলি নাই এই আশায় যে তুমি কোন পোষ্ট দিয়ে যখন ফিরবে তখনই মনে করব দিদি ফিরে এসেছে। ছোট ভাই হিসাবে ভাই এর পাশে থাকবে এমন আশা ত আমি করতেই পারি।
কিছুদিন আগে আমার ছোট বোন বলেছিল তোমার বেশি অভিমান, মেয়েদের মত। তখন কিছু লিখেছিলাম, তোমাকে দিলাম। বুঝে নিও আমি কতটা অভিমানি।
অভিমানি ছেলে আমি
===================
আমি বড্ড বেশি অভিমানি ছেলে
বছর সাতেক এর সময় একবার
বাবা বলেছিল, তুমি বাড়ি থেকে বের হয়ে যাও
অভিমানে সেদিন তিন ক্রোশ হেটে পাড়ি দিয়েছিলাম
দিগন্তের মাঠ পেরিয়ে এক অন্ধকার এক অজনায়।
আমার অভিমান একটু বেশিই হয়ে যায়
বড় ফুপুর মেজো ছেলের বিয়েতে গায়ে পানি ঢেলে দিয়েছিল বলে
চারক্রোশ হেটে বাড়ি চলে এসেছিলাম বিয়েতে না গিয়ে
তারপর বড় ফুপুর একে একে সব ছেলে মেয়ের বিয়ে হল,
আমি আর সেই পথ মারাই নি, আজো আমি অপরিচিত তাদের কাছে
মামার বিয়ের সময় আমায় বলেনি বলে,
আবার অভিমান হল আমার, আমি বলেছিলাম যাব না
দেখব না মামির মুখ, মামার একটা মেয়েও হল,
আমার আর দেখা হল না নতুন মামি বা বোনের মুখ
আমি আসলেই বেশি অভিমানি ছেলে
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় বলেছিলাম প্রিয়াকে
যদি না পাই তোমায়, ছেড়ে দেব সব থাকব না আর এখানে
প্রিয়া আমার চলে গেছে, আমিও ছেড়েছিলাম কলেজ অভিমানে
সেই পথ আর মাড়াইনি, ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র আজ অর্থের হিসাব করে
একবার এক বান্ধবীকে বলেছিলাম কোন দিন কথা বলব না আর
আজ পনের বছর হল, তার স্বামী হল, সন্তান হল কিন্তু আমার সাথে
কথা বলা হয়নি আর কখনো তার, মুখটাও দেখিনা এখন আর
আমি আসেই বড় বেশি অভিমানি, যখন যা খুশি করতে পারি অভিমানে।
নীলাঞ্জনা নীলা
অভিমান গাঢ় হয়। কিন্তু যখনই সেটা দীর্ঘায়িত হয়, তখন সেটা ইগোতে পরিণত হয়। আনিছ ভাইয়া ওসবকে অভিমান বলেনা। ইগো বলে।
অভিমান দূরে ঠেলে দেয়না, বরং দূর থেকে কাছে নিয়ে আসে। 🙂 -{@
আবু খায়ের আনিছ
-{@ -{@ -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
-{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
বাহ! গন্ধ দিয়ে চেনা!! ঘ্রানশক্তি প্রখর বলতেই হয়।
শুভকামনা রইলো। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
মারাত্মক ঘ্রাণশক্তি আমার!
ভালো থাকুন নিরন্তর। -{@
জিসান শা ইকরাম
গন্ধ নিয়ে লেখাটি ভালো লেগেছে।
শুভ কামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা প্রাণহীন মন্তব্যকেও যত্নের সাথে আগলে নিলাম।
ভালো থেকে ভালো রেখো। -{@
রাত্রি রায়
অভিমান মেশানো ঘ্রাণ, ভালোই তো। নিতে হয় বৈকি!
নীলাঞ্জনা নীলা
বেশ মজা পেলাম অভিমান মেশানো ঘ্রাণ। হুম নিতে পারেন।
ধন্যবাদ আপনাকে। -{@
অরুনি মায়া
আমি গন্ধ নিয়ে লিখব সব ঠিক করলাম আর তুমি আগেই লিখে ফেললে!
ভাল লিখেছ আপু 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
অরুনি আপু ব্যাপার না তুমি লিখে ফেলো।
জেনে তো নেই দেখি কি কি পছন্দের মিল আছে তোমার সাথে আমার? 😀 -{@
অপার্থিব
একটা ঘ্রাণ আমার খুব প্রিয় ছিল… স্কুলে পড়াকালীন নুতুন বইয়ের ঘ্রাণ …এখন আর সেই ঘ্রাণ অনুভব করি না, নুতন বই কিনলেও না। ঘ্রাণেরও বিবর্তন হয়… ভাল লিখেছেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
মনে করিয়ে দিলেন। হুম ভুলে গিয়েছিলাম। নতূন বইয়ের শুধু না, পুরোনো বইয়ের গন্ধও ভালো লাগতো আমার।
খুব সুন্দর বললেন ঘ্রাণেরও বিবর্তন হয়, ঠিক।
সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
স্বপ্ন নীলা
চুলে মুখ গুঁজে দিয়ে বললে, কোথাও আর যাবার ইচ্ছে নেই তোমার
লম্বা শ্বাস টেনে নিয়ে কানের কাছে ফিসফিস করে বললে
এই ঘ্রাণের জন্যেই আমায় নাকি তুমি অনেক ভালোবাসো।”———- অনেক ভাল লেগেছে গো দিদি, অনেক ভাল লেগেছে ——
ব্লগে খুবই অনিয়মিত হওয়ার কারণে আপনার কত সুন্দর সুন্দর লিখা মিস করেছি — অনেক অনেক শুভকামনা রইল
নীলাঞ্জনা নীলা
সুন্দর লিখতে জানিনা। এখানে এসে সবার থেকে কতোকিছু যে জানছি আর শিখতে পারছি। কি আর বলবো। সকলের এতো উপচে পড়া ভালোবাসার কাছে চরম ঋণী আমি।
অসংখ্য ধন্যবাদ এবং ভালোবাসা। -{@
বনলতা সেন
পড়লাম। ভাল বুঝলাম না। অন্য লেখাগুলো পড়ব আস্তে আস্তে। কবিতা আমার বিষয় নয়।
তবুও দেখি কতটা পড়া যায়।
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিতা বলবেন না এসবকে। এ জীবনে কবিতা লেখার মতো মেধা এবং জ্ঞান এখনও হয়ে উঠেনি।
যাক কথাটি রাখবেন আশা করি। আর আড়ালে যাবেন না। আপনার লেখা মিস করতে চাইনা।
ভালো থাকুন। -{@
রিমি রুম্মান
কবিতাটি সুন্দর। ফিরে আসায় স্বস্তি পেলাম। তবে রাগ কিংবা অভিমান দুটি ক্ষেত্রেই আমি ভীষণ নির্বাক। ভয়ংকর নিস্তব্দতা আর শ্মশানের নিরবতায় পেয়ে বসে। সেইদিক থেকে তুমি চমৎকার।
ভাল থেকো সবসময়। -{@ (3
নীলাঞ্জনা নীলা
রিমি আপু আমি চমৎকার! তোমার ধারণা ভুল। আমি এমনই একজন, মাঝে-মধ্যে তো নিজেকে ভিলেন লাগে। :p
ভালো তুমি, তা নইলে এভাবে বলতে না। অনেক ভালো থেকো। এই বড়ো মনের খুব দরকার আমাদের এই সমাজে। ভালোবাসা অফুরান আপু। -{@ (3
দীপংকর চন্দ
অসম্ভব ভালো তো!!!
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।
এবং অসম্ভব ভালো লাগার কথা বললাম পুনরায়।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার পোষ্টে আপনার প্রথম মন্তব্যকে স্বাগত জানাচ্ছি।
ভালো থাকুন আপনি এবং আপনার লেখারা। আপনার ভালো লাগাকে যত্নের সাথে গ্রহণ করলাম।
ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
গন্ধ আহ্ মনে পড়িয়ে দিলে। আমার ছেলের গায়ের গন্ধ আমার সবচাইতে প্রিয়, ভীষন প্রিয়। একদিন ঘুম ভেঙ্গে আমার ছেলে বুকের কাছে নাক টেনে যখন বললো, আম্মু u smell very pretty, সেদিনটা ছিল আমার সবচাইতে আনন্দের। আমিও মা, আমার ঘ্রাণ কারো কাছে অনেক প্রিয় হচ্ছে, যেমনটা ছিল আমার মায়ের। এ এক অনিন্দ্য অনুভূতি।
লেখা নিয়ে কি বলবো নীলাপু, তুমিতো সবসময়ই এমন লেখো।
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু তোমার মন্তব্যের অপেক্ষায় ছিলাম। এমন এক ঘ্রাণ ছড়ায় তোমার অক্ষরগুলো, বোঝাতে পারবোনা।
ইস কি শোনালে! পিচ্চিকে একটা হামটি-ডামটি আদর দিও তো! নাক টেনে বলে? এই জানো আমিও না নাক টেনে হাসি দেই আর সেটা আবিষ্কার করেছে আমার দুই বন্ধু। পিচ্চির সাথে ভাব করতেই হয়। ওকে বলো হ্যামিল্টনে ওর একটা বন্ধু আছে।
আর আমার ছেলেটা, বড়ো হয়ে গেলো। না গো ওর শরীরের গন্ধ একমাত্র স্নানের পর নেয়া যায়, সারাদিন স্কুল-খেলা। বুঝতেই পারছো? অবশ্য স্কুলে যাবার সময় যে হাগটা দেয়, দুজন দুজনের গন্ধ নেই।
শুন্য আপু শোনো -{@ (3
অরণ্য
গন্ধ দিয়ে সবচেয়ে ভাল মানুষ চিনে নাকি কুকুর। এ তার বিশেষ গুণ।
বাদুড় নাকি শব্দ দিয়ে চলে? আরো কত কি?
গন্ধে মানুষ চেনা! বেশ! বেশ!
ভাল লাগল। অনেকে আগেই পড়েছি। আজ মন্তব্য করছি।
ভাল থেকো আপু।
তোমার লেখা পড়ার জন্য অনেকেই অপেক্ষায় থাকে।
নীলাঞ্জনা নীলা
সবুজ অরণ্য আমিও তোমার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকি।
ভালো থেকো, ভালো রেখো। -{@
অন্তরা মিতু
অভিমান-সোনেলা-ঘ্রান-সুঘ্রাণ-চন্দন-জেসমিন-ন্যাপথলিন-নেইলপলিশ-পাইনসোল-বেলীফুল…….
তোমার নিজের কাহিনীর সাথে সাথে তুমি পাঠকদেরও উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম সব ঘুরিয়ে আনো, এ তোমার দারুণ গুণ…… এবং দৃঢ়তার সাথে বলছি, প্রতিটি লেখকেরই এই গুণ থাকে না । অনেক ভালো থাকো দিদি তোমার সুগন্ধী জীবনে। -{@ -{@ -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
বাহ সুগন্ধী জীবন! এতো উঁচুতে আমায় নেয়া ঠিক না, সাধারণ আছি, সেটাই থাকতে চাই। ভালো থেকো। 🙂