আমরা ভালো থাকিনি কোনোদিন,
নয় কি?
অথচ আমাদের ভালো থাকার কথা ছিলো।
আমাদের আনন্দ ছিলো, হেসে গড়াগড়িও যেতাম
অভিমান ছিলো, আবার ঝগড়ার তীব্রতাও
একই সঙ্গে চায়ের কাপে চুমুক, চুপচাপ,
কিন্তু কথা চালাচালিও চলতো মনে মনে
উপচে পড়া আবেগে আমরাও ভেসে গেছি,
সমাজ-সংসারের নিয়ম-নীতিকে তাচ্ছিল্য করে—
আমাদের অর্থ ছিলোনা, কিন্তু প্রাচুর্য ছিলো
সুখ ছিলোনা, কিন্তু স্বস্তি ছিলো
হাতের উপর হাত না-ছুঁয়েও, দূরত্বকে এক নিমিষে নিঃশ্বাসের সাথে মিশিয়ে নেয়াও যেতো
আমাদের নিজস্ব রোদ ছিলো, তাই প্রচন্ড শীতও আমাদের স্পর্শ করতে পারেনি।
একটা নদীও ছিলো, গ্রীষ্মের তীব্রতায় অস্থির হওয়াও হয়নি।
ভালো থাকার জন্য যা যা দরকার, সব-ই ছিলো;
শুধু ভালোবাসাটুকুই থাকেনি,
আদতে ছিলোই না কখনো।
হ্যামিল্টন, কানাডা
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ইং।
৪০টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
প্রথম
নীলাঞ্জনা নীলা
মেডেল সহ ট্রফিও 🎖🏆
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে ভালুবাসা দেয়া হপে।
অপেক্ষা লাগবে একটু।
শুন্য শুন্যালয়
হিহিহি, মন্তব্য করতে এসে সব গুলায় ফেলছি কবি সাহেবের মন্তব্য দেখে। আমিও পরে আসি। 😀
ছাইরাছ হেলাল
হাসির কী ছিরি!!
ভাল করে জোরে দম নিয়ে হাসুন, এখানেও কৃপণ!!
নীলাঞ্জনা নীলা
পরে কেন, এখনই!
নীলাঞ্জনা নীলা
শুনিয়া ডর খাইলাম।
ছাইরাছ হেলাল
ডরাইলেই ডর!
নীলাঞ্জনা নীলা
কুবিরাজ ভাই শুনেন, ভুত-প্রেত, ডাকিনীবিদ্যা জানিনা। আমি সামান্য একজন শাঁকচুন্নি।
মোঃ মজিবর রহমান
তাই বলে মুখ ফিরিয়ে রাখা কি উচিত দিদিভাই!!!
সব থেকেও ভালবাসা নাই। তাই কিছুই নাই। তারপরও পাশাপাশি থেকে যাব। মনে না থাক্লেও মুখে বলে যাব ভালবাসি। ভালবাসি। ভালবাসি। ভাল থাকুন দিদিভাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালোবাসার চৌবাচ্চা কানায় কানায় পূর্ণ মজিবর ভাই।
কেমন আছেন? আজকাল যে আসেনই না!
মোঃ মজিবর রহমান
আমি চাকরির ঝামেলায় আছি দিদি ভাই। তাছাড়া পড়ি। মন্তব্য করি গত সপতাহ ছাড়া।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনিও দেখছি আমার মতোন। আমিও এসে পড়ি, কিন্তু মন্তব্য করি দেরীতে।
ইঞ্জা
আপু, ভালোবাসারা থাকেনা, খুঁজে নিতে হয় তাদের।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়া “ভালোবাসা কারে কয়!”
ইঞ্জা
আপু ভালোবাসা এক আপেক্ষিক বিষয়, এর ডেফিনেশন দেওয়া আমার দ্বারা সম্ভব না, ভালোবাসা অনেক ধরণের হয়, মা বাবার প্রতি, ভাই বোনের প্রতি, বন্ধুদের প্রতি, প্রেমিকার প্রতি, সব কিছুতেই ভালোবাসা আছে আপু। 😊
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়া আমার কাছে ভালোবাসা মানে হলো যার কষ্ট আপনি নিতে পারেন না এবং দিতেও পারেন না। যেমন আমরা সকলেই নিজেকে আগে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি।
শুন্য শুন্যালয়
দুজনের মধ্যে ভালোবাসার কমতি কখনোই ছিলো বলে মনে হচ্ছেনা, এখনো সেই রকমভাবেই বেঁচে আছে ভালোবাসা। যা কিছুর অভাব তা ভালোবাসাকে চিনতে না পারা, ইগো অথবা ভালো থাকা কিভাবে হয় বুঝতে না পারা।
লেখক নীলাঞ্জনার আগের লেখাটির সাথে পাখি দুটির পরিচয় নেই, তাই সুখ কী জিনিস তারা বুঝতে পারেনি। পারলে স্বস্তিতেই ভালোবাসা পেয়ে যেতো, অতৃপ্তি থাকতো না।
ছবিটা তোমার?
লেখার সাথে কী সুন্দর করেই না মিলেমিশে গেছে! ♥
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু চমৎকার করে বুঝিয়ে বলেছো। তবে সম্পর্ক গভীর না হলে টিকে থাকেনা। আর একহাতে তালি কি বাজে আপু? দেখছোনা পাখী দুটো এবারে একেবারে মুখ সরিয়ে নিয়েছে!
নতুন লেখা কই, দাও।
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের থাকে অনেক অনেক না-থাকা
যেগুলো থাকা থাকা হয়েই থাকতে পারতো,
হয়নি তা, হ্য়তো হবেও না।
তবুও আমরা বেঁচে থাকব উঁচু মাথায় মুক্তো বুকে,
অনাদি অনন্তের এই সরবরে।
নীলাঞ্জনা নীলা
না-থাকার ভেতরেই না-রাখি নিজেকে
অনন্তকালের সাথে দেখা কি আদৌ হয়!
তাই এভাবেই থাকি,
না-চেনা, না-বোঝার বাইরে।
সাবিনা ইয়াসমিন
এটা সেই * ভালো থাকিস * লেখাটির পাখি যুগোল!! ওদের আবার দেখা হয়েছে বুঝি! কিন্তু এবার ওদের মন খারাপ কেন?
নীলাঞ্জনা নীলা
হ্যাঁ সেই পাখীই। তবে এবারে ওদের ঝগড়া হয়েছে। দেখছেন না কেমন মুখ ঘুরিয়ে বসেছে! 🙂
সকাল স্বপ্ন
শেষ এর লাইন মনে রাখার মত!
কবিতা হতাসার একটি রেখা মাত্র,
ভাল লাগার ছিল
নীলাঞ্জনা নীলা
বাহ চমৎকার মন্তব্য!
ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনায়।
জিসান শা ইকরাম
লেখার শেষ লাইনের সাথে উপরের লেখা গুলো মিলছে না,
ভালবাসা না থাকলে কবিতার মাঝে বর্নিত অবস্থা গুলো এসেছিল কিভাবে?
কবিতা ভাল লেগেছে খুব।
শুভ কামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা “শেষ ভালো যার, সব ভালো তার” প্রবাদটির সাথে লেখাটাকে মেলাতে গেলে বোঝা যাবে কেন লিখেছি ভালোবাসা আসলে ছিলোনা। ভালোবাসা থাকলে অহঙ্কার থাকেনা আর অবহেলাও করা যায় না।
অনেক ভালো থেকো নানা।
তৌহিদ
ভালোবাসারা হারিয়ে যায়না, হয়তো এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করে। দিন শেষে আদতে তারা আবার মিলিত হয়। তবে শর্ত একটাই, খোঁজার মানসিকতা পরিষ্কার হতে হবে।
কবিতা ভালো লেগেছে আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
ওই তো বলে দিলেন আসল কথা, খোঁজার মানসিকতা পরিষ্কার থাকতে হবে। আর কিছুই বলার নেই তৌহিদ ভাই।
অনেক ভালো থাকুন।
তৌহিদ
আপনিও ভালো থাকবেন আপু।
বন্য
অতৃপ্তির মাঝেই জীবনটা কেটে যায়
শামুকের মত ধীর ভালবাসা
একদিন হারিয়ে যায় বৃত্তের বাইরে।
অথচ আমরাই লালন করেছিলাম ভালবাসাকে
সংগীতের ভেতর থেকে খুলে নিয়েছিলাম সুর
তবুও গোধূলী বেলায় দেখেছি হারিয়ে যেতে দূর-বহুদূর।
সুন্দএ একটি কবিতা মন ভালো করে দিতে পারে আবার মলিনও করে দিতে পারে।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার লেখাটির থেকে বহুগুণে সুন্দর আপনার এই মন্তব্য। আমি মুগ্ধ।
প্রহেলিকা
বুনো ফুলের ঘ্রাণ নিতে আকাশটা হাঁটু গেঁড়ে বসলে,
আমিও আলতো করে ছুঁয়ে দেই,
লজ্জায় কেঁপে উঠলে, এঁকে ফেলি তার হীরক চোখ
ফুলেল কপাল, মুহুর্তেই এঁকে ফেলি ভ্রু’র কাটা দাগ।
আঁকি, সমুদ্রের পাতাল থেকে উঠে আসা প্রেম
কল্লোলের গায়ে জ্যোৎস্নার ঘ্রাণ খুঁজে-
স্রোতে স্রোতে ভেসে আসা হারানো সুর।
লালিত ক্যানভাস জুড়ে এখনো সব আছে,
তবুও রয়ে গেছে কেবল একটি গল্পের অভাব!
নীলাঞ্জনা নীলা
উফ কী এ লিখলেন! ইস আমি কেন পারিনা ঠিক আপনার মতো লিখতে?
যে গল্প খুঁজে ফিরছি অনাদি-অনন্তকাল হতে
কখনো মেঘ-পাঁজরের ভেতর, কখনো জ্যোৎস্নার অথৈ প্লাবনে
সমুদ্রের তলদেশ থেকে কুড়িয়ে আনা জ্যান্ত শৈবালে চোখ রাখি,
খুঁজি তোমাকে, তোমার রেখে যাওয়া সেই গল্পটা।
তৃষ্ণার্ত মরুভূমির ক্যাকটাস হয়ে জীবনধারণ করি
আর তোমার অপেক্ষায় থাকি।
হয়তো কোনো একদিন চৈত্রের দাবদাহে ফেটে চৌচির হয়ে যাওয়া এই মাটির বুকে অঝোর বৃষ্টি হয়ে নামবে,
ফুরিয়েও ফুরোবে না আমাদের গল্প সেদিন।
প্রহেলিকা
সবকিছু থেকেও না থাকার যে হাহাকার কবিতার আদ্যোপান্তে ফুটিয়ে তুলেছেন তাতেই তো এই পাঠকের পাঠে সুখের রসদ মিলে গেলো হে কবিম
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনার মন্তব্য পেলে বুঝতে পারি খাঁটি সমালোচনা পেয়েছি। তাতে ভালো লাগে। শেখা যায় অনেক কিছুই। এভাবেই মন্তব্য চালিয়ে যাবেন আশা করি।
অনেক ভালো থাকুন।
আরজু মুক্তা
ভালোবাসাহীন পৃথিবীতে ভালোবাসা খুঁজে নিতে হয়!
নীলাঞ্জনা নীলা
পৃথিবীর কি দোষ বলুন? মানুষ এখন ভালোবাসতেই তো জানেনা।
ধন্যবাদ আপনাকে।
মনির হোসেন মমি
হুম
ভাল থাকুন সব সময়।
নীলাঞ্জনা নীলা
মনির ভাই আপনিও সবসময় ভালো থাকুন।