ক্রিকেট ক্রিকেট। আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে সারাদেশ যখন আত্মহারা তখন এক বালতি দুধে একটু চুনের মতোই সুধীর গৌতমের এই ঘটনাটি ঘটলো। ভারতের গনমাধ্যম একে হামলা বলে প্রচার করে চলেছে আর আমাদের দেশের গনমাধ্যম একে ভারতের চক্রান্ত কিংবা অপপ্রচার প্রমানে ব্যস্ত।
একটু পেছন থেকে ঘুরে আসি এমসিজি থেকে। সেদিন কি ওপেনলি আমাদের হারানো হয়েছিল পুরো বিশ্ববাসী দেখেছে। ‘নো’ বলটি নিয়ে কিছু বলতে চাইনা, এমন ভুল হতে পারে যে কারো ক্ষেত্রে। হ্যাঁ আমি এমনটাই মানি। তার জবাব আমরা খেলা দিয়ে পুষিয়ে দিতে পারিনি। কারণ শুধু ‘নো’ বল নয়, আরো ভুল ডিসিশান আর ক্রমাগত অফিশিয়াল স্কোরবোর্ডে জিতেগা জিতেগা ইন্ডিয়া জিতেগা বলে যেভাবে আমাদেরকে মানসিক ভাবে পর্যুদস্ত করে দেয়া হয়েছিল, তা সত্যিই নির্লজ্জ বিরল। তবে আমরা তার জবাব দিতে পেরেছি। আইসিসি’র প্রেসিডেন্ট আ হ ম মুস্তফা কামালের বিবৃতি এবং পদত্যাগ তার মোক্ষম প্রতিবাদ। এর চাইতেও কি আরো বড় প্রতিবাদ হয়? হ্যাঁ হয়। তার চাইতেও বড় প্রতিশোধ নিয়েছি আমরা। খেলে গুড়িয়ে দিয়েছি তাদের। বছরের পর বছর ধরে ভারতের ক্রিকেট টিমের দম্ভ, অহংকার আমরা এক নিমিষেই মিলিয়ে দিয়েছি। আর কি চাই আমরা? কিছুনা। এটি খেলা। খেলার প্রতিবাদ খেলাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে। কিন্তু বাস্তবিকতা তা নয়। এদেশের ক্রিকেটের সাথে আরো একটি অহংকার মিশে আছে, সেটা আমাদের দেশের ক্রিকেট পাগল মানুষ। এশিয়া কাপ হেরে যাবার পর এদেশের সমর্থকদের কান্না দেখে ভবিষ্যৎ বানী করেছিলেন অনেকে বিশ্ববাসী সাবধান, এমন একদিন আসবে বাংলাদেশও সবাইকে কাঁদাবে। ভারত মিডিয়া পর্যন্ত বলেছিল, পাকিস্তান নে কাপ জিতা, বাংলাদেশ নে জিতা দিল। এতো গৌরব যে সমর্থকদের নিয়ে দু এক জন বাবা – মা খেদানো সন্তানদের জন্য তা- ই সবসময় প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এবং কস্ট লাগে যখন তাদের কোন রকম বিচার না করে বরং নিজেদের সাফাই গাই আমরা। দেখুন ভিডিও টি।
দেখুন আসল ঘটনা কি ঘটেছিল সেদিন
বারবার একই প্রশ্ন করছে সুধীরকে, কেউ তোমাকে বিট করেছে ? কেউ তোমাকে ইনজুরড করেছে? মিথ্যা প্রমানের কত চেস্টা!! একজন দর্শককে চারদিক থেকে ঘিরে ভূয়া ভূয়া, মওকা মওকা বলে টিপ্পনি কাটছে। তার সিনএনজির উপর ইট মারছে , স্টিক দিয়ে বাড়ি মারছে এগুলো হামলা নয়? গায়ে মারলেই হামলা? একবার নিজেকে অই জায়গায় ভাবুন তো। কতটা ভীতির মধ্যে ছিল সে। এক বাক্যে প্রত্যেক টা মিডিয়া কেন সেদিন সেই জানোয়ার গুলোকে ধরে পুলিশে দিতে বললো না! বরাবরের মতো এবারও সেইখানে পুলিশ ছিল। খুন হয়ে গেলেই তারা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে আর এটাতো তুচ্ছ ঘটনা। নিজেদের ব্যার্থতা মেনে না নিয়ে ভারতের মিডিয়ার পেছনে লেগেছে সবাই। তারা সেটাই বলেছে যেটা সুধীর বলেছে, বাড়িয়ে কিছু বলতে দেখিনি। আমিতো বলবো সুধীর অনেক সাহসী, এজন্যই খেলা দেখতে আসবার সাহস করেছে। আমি হলে করতাম না। আমার দেশেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের গাড়ি বহরে ইট পাটকেল ছোড়ার, মসজিদে মাশরাফি কে লাঞ্ছিত করবার সমর্থক আছে।
ভারতের চক্রান্ত, সুধীরের ভিডিও আপলোডের টাইম এইসব নিয়ে মস্তিষ্ক খরচ না করে বরং ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়াতেই আমাদের গৌরব বাড়বে। আর যদি সত্যিই প্রমাণ করতে পারে কেউ এটা সুধীরের মিথ্যে বক্তব্য ছিল, তবে তাকেও ক্ষমা চাইতে বলা হোক। এটা শুধু আমাদের দেশের মানুষদের ক তে কলার জায়গায় কমলা হয় বোঝালে হবেনা, সবার সামনেই প্রমাণ করতে হবে।
ঠ্যাঙানি যদি দিতেই হয়; ব্যাট, বল দিয়ে হার্টে দেব, কারো মাথায় না।
৩৭টি মন্তব্য
রিমি রুম্মান
সুধীর এর ঘটনাটি নিয়ে আমি আসলেই দ্বিধান্বিত। যদি সত্য হয়, এটি কোন ভাবেই প্রশ্রয় দেয়া ঠিক নয়। আর গুজব হলেও প্রমান ছাড়া লেখা উচিত নয় কোন মিডিয়ার। আমাদের মাশরাফি যখন অস্ট্রেলিয়ায় মসজিদে নামাজে গিয়ে লাঞ্চিত হয়েছিল, আমরা পুরো বাংলাদেশই অশ্রুসজল হয়েছি। আমরা তো মাঠেই প্রতিশোধ নিয়েছি, নিচ্ছি। আক্রমন, ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ এসব প্রতিশোধের ভাষা হতে পারে না।
শুন্য শুন্যালয়
এই ভিডিওতে সুধীর স্পষ্ট:ত বলেছে হামলার চেস্টা হয়েছে। সে যদি বাড়িয়ে কিংবা মিথ্যে করে বলে তবে তাকেও কান ধরিয়ে তাদের মিডিয়ার সামনে বলতে হবে। খেলার ভাষা খেলাতেই। ঠিক।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ঠ্যাঙানি যদি দিতেই হয়; ব্যাট, বল দিয়ে হার্টে দেব, কারো মাথায় না।
খুব ভালো বলেছেন।
সুধীরের ব্যাপারটা আসলে আমিও ক্লিয়ার না। ধোঁয়াশে ব্যাপারটা খোলাসা হওয়া উচিত। খেলার সমস্যা খেলা দিয়েই সুরাহা হোক, ব্যক্তিগত আক্রমনের মাধ্যমে নয়।
শুন্য শুন্যালয়
ঠিক আপু। খোলাসা মনে হয়না হবে। সে এখন আরেক রকম বলছে কিংবা বলানো হচ্ছে। মিথ্যে বললে তার শাস্তি হওয়া উচিত।
প্রজন্ম ৭১
উপস্তাহপঙ্কে সুধির এর স্থানে রাখলে হত।আজ যদি প্রশ্নকর্তাকে কেউ দৌড়ানি দেয়,ধাক্কা দেয়, ধাওয়া করে জনতা, সিএনজির উপর আঘাত করে অনেকে একসাথে, তাহলে প্রশ্নকর্তা কতবার প্যান্ট ভিজাবে হিসু করে সে প্রশ্ন করতাম।টিভির এই প্রশ্নকর্তা জন্তুর মত।শারিরিক আঘাত ব্যতীত এরা মাইর বুঝবে না।
এই আঘাতকারীরা বাংলাদেশের আসল সাপোর্টার নয়।এরা চায় বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট করতে।
উগ্র সমর্থক সব দেশেই আছে, তবে উগ্রতা দমন করতে দক্ষ পুলিশ প্রয়োজন। আজ বৃষ্টির জন্য খেলা হবে তো? বাংলা ওয়াশ কি হবে না ?
শুন্য শুন্যালয়
উগ্র সমর্থক সব দেশেই আছে। ঠিক বলেছেন। কলম্বিয়াতে একবার একা ফুটবল প্লেয়ারকে গুলি করে মেরে ফেললো আত্মঘাতি গোল দেয়ার অপরাধে। উগ্রতা আমাদের বন্ধ করতে হবে। আমাদের ক্রিকেটের ভবিষ্যতের স্বার্থে।
বাংলাওয়াশ হলোনা 🙁
ছাইরাছ হেলাল
এমনিতেই আমরা একটু বেশি আবেগপ্রবণ, তাই তাৎক্ষনিক সব কিছু সঠিক ভাবে বিশ্লেষণ
আমদের করা হয় না, করা সম্ভব ও না। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেই মনে করি। আর তাই কাউকেই
দোষারোপ করতেও চাই না। আনন্দটুকু প্রীতিপূর্ণ ও পরিপূর্ণ ভাবেই পেতে চাই, পাই ও। যা আমাদের অতি
আকাঙ্খিত।
ভালই লিখছেন, তবে এ লেখায় তো হবে না।
অন্য লেখাও চাই, যা লুকোনো আছে।
শুন্য শুন্যালয়
বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বড় করে ফেলেছে সে দেশের মিডিয়া। তাই এটার উপসংহার দরকার ছিল। হবেনা আশা করতেই পারি।
লুকোনো কিছু ঘাপটি মেরে কোন খাটের তলায় রয়েছে? আপনি দেখছেন আমি কেনো দেখিনা? কানে ধরে ওটাকে বের করার ব্যবস্থা করছি, অপেক্ষা।
ব্লগার সজীব
ক্রিকেট নিয়ে উল্লাসিত আমরা। এই একটিই মাত্র ক্ষেত্র আমাদের,যেখানে স্বপ্ন পুর্ন হয়। খেলা দেখেনতো রাত জেগে? 🙂
শুন্য শুন্যালয়
শুধু রাত জেগে? রাত ভোর জেগে। আমার এখানে খেলা শেষ হতে হতে সাড়ে 4 টা বেজে যায়। ক্রিকেট আমার আরেক স্বপ্ন।
মেহেরী তাজ
বার বার কিছু ফালতু লোকের জন্য কেন পুরো জাতি কলংকিত হবে। এগুলো কে ধরে ঠেংগানো উচিৎ।
শুন্য শুন্যালয়
ঠিক ঠিক। চলো ঠেঙ্গাই।
অনিকেত নন্দিনী
“ঠ্যাঙানি যদি দিতেই হয়; ব্যাট, বল দিয়ে হার্টে দেব, কারো মাথায় না।”
গায়ের ব্যথা তো কদিনেই সেরে যায়, মনের ব্যথা এক জীবনেও সারে না।
শুন্য শুন্যালয়
হ্যাঁ আপু, ভারত কে এবার যা দিলাম সহজে ভুলবে না। আমার ধারনা এবার বাংলাদেশ কে তারা আমন্ত্রন জানাবে 🙂
প্রজন্ম ৭১
বাংলা ওয়াস আর হলো না আপু 🙁
শুন্য শুন্যালয়
আমার কাছে এটা ঠিকই আছে। বাংলাওয়াশের নেশায় ওদের মাথা খারাপ করে দিচ্ছিলাম আমরা। অনেক দূর যেতে হবে। সবে তো শুরু। অপেক্ষা করুন আরো ভালো কিছুর জন্য।
লীলাবতী
গুছিয়ে কত সুন্দর করে লিখলেন।আমি এসব লিখতে গেলেই মাথা এলোমেলো হয়ে যায় :p বাংলা ওয়াস হল না,কিছুটা মন খারাপ।
শুন্য শুন্যালয়
হুম আপনার মাথায় আরো প্যাঁচের কিছু সবসময় ঘোরে যে।
আমার দেশের মানুষরা এতো কাপড় কাচায় আকৃষ্ট হইলো ক্যাম্বায়? 🙂
সীমান্ত উন্মাদ
হুম আপনার কথাই ঠিক বন্ধু। আবেগ আমাদের একটু বেশিই। সেটা প্রকাশের মাত্রাটাও মাঝে মাঝে পাগলামির পর্যায়ে চলে যায় ঠিকই। তবে সুধির ঢাকা এফএমএ এসে নিজে থেকেই বলেছে যে তিনি আসলে উল্লাসকে মারদাঙ্গা ভাব ভেবে ভয় পেয়েছিলেন আর যে কয়জন উন্মততা বেশি দেখিয়েছে তাদের কাছে সুধির কেন আমারা নিজেরাই নিরাপদ না, কারন মিরপুর দশ নম্বর চত্বর থেকে স্টেডিয়ামের ১ এবং ২ নম্বর গেইটে আশেপাশের এলাকায় সব সময় কিছু নোংরা মনের অমানুষ ঘোরাফেরা করে, তাদের ইতিহাস আরেকদিন বলব সেই প্রসঙ্গ এলে, আজ এই টুকু শুধু বলি, তারা আমাদের রাজনৈতিক দৈন্যতার ফসল মাত্র। আপনি জানেন কিনা জানিনা আমাদের সরকার এবং ক্রিকেট কতৃপক্ষ ঘটনা জানার সাথে সাথেই তার সিকিউরিটির ব্যাবস্থা করেছে। আর আপনার কথাই ঠিক বন্ধু আমরা খেলার মাঠের অন্যায়ের জবাব খেলার মাঠেই দিয়েছি। সুধিরতো একজন সমর্থক কিন্তু আপনি কি জানেন যে আমাদের দেশের বিখ্যাত একজন ক্রীড়া সাংবাদিককে ১৯৯৩ সালে ভারত পাকিস্তান সিরিজের সময় প্রেস বক্সে অপমান করা হয়েছিলো এই বলে যে তোমার দেশের ক্রিকেট খেলা মানুষ বুঝে এবং নাকি যে কাভার করতে এসে, প্রেস বক্সের জায়গা নষ্ট করছো, এই বলে তাকে বসতেও দেওয়া হয়নি বন্ধু। সেই জবাব আমারা ৯৭ তে দিয়েছি। আমরা অনেক ভদ্র এবং অতিথী পরায়ন বন্ধু কারো কারো থেকে এট লিষ্ট ক্রীকেট বানিজ্যে। আপনার লিখাটা ভালো লেগেছে। শুভ কামনা নিরন্তর বন্ধু।
শুন্য শুন্যালয়
অপমান কি এখনো থেমে আছে সীমান্ত? পাকিস্তান কে সিরিজ হারালাম আমরা তারপরেও তারা কতো অপমান জনক কথা বলেছে। রমিজ রাজা সাকিব তাদের প্লেয়ারকে আঙ্গুল তুলে কথা বলায় যে বাজে মন্তব্য করেছে আমি হলে জীবনেও ওকে বাংলাদেশে ঢুকতে দিতাম না। আমাদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কথা সবাই বলেছে, বলছেও। তার রেজাল্ট তারা পাবে। হ্যাঁ আমরা খেলা দিয়েই তার প্রতিশোধ নিতে চাই। বাংলাদেশে র ক্রিকেটের এখন অনেক দূর যেতে হবে। সোনালী সময়ের এই মূহুর্তে কোন উগ্রতার জন্য আমরা পিছিয়ে যেতে চাইনা। পাকিস্তান ক্রিকেট ভালো খেললেও দেখো তাদের দেশে উগ্রতার জন্য কেউ যাচ্ছেনা। আমার ও এমন ভয় আমাদের ক্রিকেট নিয়ে। সুধীর এফএম রেডিওতে যাব বলেছে তা কি তার মিডিয়াতে বলেছে? জানা নেই আমার। বাড়িয়ে বললে এটাকেই ধরে পানিশ করা উচিত।
তোমার জন্যেও শুভকামনা।
সীমান্ত উন্মাদ
অবশ্যই তুমি যা বলছো এক্কেবারে ঠিক। সুধিরকে পরে আমাদের প্রথিত জশা ক্রীড়া সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন তার উত্তর আমি আগের মন্ত্যবে দিয়েছি। ঢাকা এফএমএ শুধির যা বলেছে তাই সেই সাংবাদিক মোস্তফা ভাইকেও তাই বলেছে, এমনকি কলকাতার দৈনিক আজকালের ক্রীড়া সম্পাদককেও তাই বলেছে। কিন্তু ভারতের চ্যানেল ২৪ বাড়িয়ে বলেছে। এবং ভারতের বেশিরভাগ মানুষই জানে যে ভারতের এই চ্যানেলটি হলুদ সাংবাদিকতা করে। ওদের বিরুদ্ধে আগেও অনেক উস্কানী মূলক খবর প্রচারের অভিযোগ আছে, তারাই সুধিরকে বলিয়েছে, নাটক সাজাবার জন্য। যাই হোক এই প্রসঙ্গ এখন শেষ হয়ে গেছে। চলা আমরা প্রারথনা করি আমাদের ক্রীকেটের উন্মাদনা জেনো উগ্রতায় রুপ না নেয়। আশাকরি তা কোনদিন হবেও না। অনেক অনেক ভালো থেকো বন্ধু।
ইমন
দুইটা বাচ্চা সুধিরের সাথে সেল্ফি তুলতে গেলে সে তাদেরকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়!!
তার ঔদ্ধত্য পূর্ণ আচরন দেখে আমি অবাক হই।
আমি p ব্লক m র-তে লওয়ারে ছিলাম। সুধির আমার ঠিক ওপরের স্টেন্ডে ছিলো।
আমার বন্ধুর সাথে দেখা করতে ওপরে গিয়ে দেখি সুধির ওখানে।
কিছু বাংগালি সাপোর্টার তখন ওত্তেজনার তুংগে। কারণ মাত্রই রাইডু আওট হইছে। তারা সুধিরের সামনে, পিছনে চিল্লাচ্ছিলো।
হঠাত দেখি দুইটা মেয়ে পিচ্চি ছবি তোলার জন্য তার হাত ধরে ঝাকি দিচ্ছে।
সুধির তাদেরকে ঝারা মেরে ফেলে দেয়।
ওখানে, বাংলাদেসের সমর্থকরা তার সাথে বাক বিতন্ডায় ঝড়িয়ে যায়। পুলিশ এসে ঘটনা নিয়ন্ত্রনে আনে। আর কিছু দেশি ভাই যদি হেল্প না করতো, তবে সুধিরের টিকিও পাওয়া যেতনা।
আমি আর আমার বন্ধু, স্পষ্ট শুন্তে পাচ্ছি, সে বলতেছে, ” তোম লোগোকো হাম্নে ক্রিকেট শিখাইয়া, ডাল্মিয়া নে তোমকো টেষ্ট খেলনে কো দিয়া ” আমার নাগালে থাকলে আমিই সুধিরকে চটকানা দিতাম।
একটা আস্ত বেয়াদব, অশভ্য, অহংকারি নন্সেন্স।
আমি বিসিবিকে অনোরুধ করবো, ওকে বাংলাদেশের মাঠে ব্যান করার জন্য।
রথী, মহারথী যারা সুধিরের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ওঠে পরে লেগেছেন, তাদেরকে বলতেছি, ভিডিওর ২:০৫ সেকেন্ডে সে স্পষ্ট বলেছে ” বাংলাদেশ যেয়সা ছুটি টিম কে সাথ ইন্ডিয়া হারা ইস লিয়ে হাম বহুত দুখি হেয় ” বংগানুবাদ ” বাংলাদেশের মতো ছোট দলের সাথে ভারত হারায় আমি খুব কষ্ট পাইছি ‘।
সাহস কতো বড়! এতো বার হারার পরেও সে ‘ছোট দল বলে ‘!
এই ভারত আর পাকিস্তান দুই ভাই, আমাদের যোগ্যতাকে কখনোই সমীহ করেনি।
এরা আমাদেরকে হেয় করার জন্য গলায় গলায় ভাব।
স্টেডিয়ামে কি হয়েছিলো জানেন কেঊ! ছিলেন ঐখানে!
স্টেডিয়ামের বাইরে সে যখন অটো নেয় তখন আমরা বন্ধুরা স্মুক করছিলাম দাঁড়িয়ে।
অখানেও তার সাথে ছবি তলা নিয়ে ধাক্কা ধাক্কি হয়। ইনফেক্ট আমার এক বন্ধু তার সাথে ছবিও তোলে। সে অতো তে ওঠে পরার পরেও কিছু অতি উতসাহি জনতা অটুর পিছু নেয়। তাকে টীজ করে।
এতো কিছু করেছে এই ঈন্ডিয়া বিশ্বকাপ ম্যাচ নিয়া, আর একটু টিজেই তাদের গা জ্বলে কেনো! মওকা মওকা কারা শুরু করেছে! এখন এর জবাব দিলে বলে ‘তোমাদেরকে আমরা খেলা শিখাইছি! ডাল্মিয়া টেষ্ট স্টেটাস দিছে! ”
জবাব সয্য করতে না পারলে, বাংলাদেশে না আসাই বেটার।
শুন্য শুন্যালয়
আপনি স্টেডিয়ামে ছিলেন, কাছ থেকে ব্যাপারটা দেখেছেন তাই আপনার জন্য বোঝা সহজ হয়েছে। যারা দেখেনি তাদের কাছে ঘটনা বিশ্লেষণ সহজ নয়, বরং নিজের দেশের চাইতে পরের দেশের মানুষ কে সাপোর্ট করছে এতেই বড়ত্ব বা আতিথেয়তা প্রকাশ পায়।
আমি বলেছি এটা যদি ওর বাড়িয়ে বলা হয়, ওকেই কান ধরে বের করা উচিৎ। ব্যান করা হোক ওকে মাঠে। আর এখন তো 100% হ্যাঁ।
পারভীন সুলতানা
আঘাত যদি দিতে হয় তবে ব্যাট দিয়েই দেয়া উচিত………………………… ভীষণ সত্যি কথা । তখন সারা বিশ্ব দেখবে বাংলামার কেমন ! সুন্দর লেখা ।
শুন্য শুন্যালয়
হ্যাঁ আপু খেলা টা খেলাই থাকা উচিৎ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আদিব আদ্নান
খেলার মাঠেই আমারা দেখিয়েছি আমরা কী পারি। দাদারা এটি মনে রাখবে ।
এ সব এমন কিছু না।
শুন্য শুন্যালয়
মনে রাখবে মানে 🙂 শীঘ্রই তারা আমাদের ডাকবে এমন মনে হয় আমার।
জিসান শা ইকরাম
এই ভারতিয় টিমের অনেকেই বাংলাদেশে খেলতে আসতে চায়নি।
এরা বিশ্রামে যেতে চেয়েছিল।
আমাদের ভাগ্য ভালো যে পুর্ন শক্তির টিম শেষ পর্যন্ত এসেছিল,
নইলে বলতো ভারতের বি টিম কে আমরা পরাজিত করেছি।
আমাদের বিজয়কে ছোট করে ফেলতো ভারতিয়রা।
সুন্দর গুছানো সমসাময়িক পোষ্ট।
শুন্য শুন্যালয়
মুখে বড় কথা না বললে তাদের অহংকার যাবে কোথায়? তবে আসলে যে এটা তারা কতো সিরিয়াসলি নিয়েছে পূর্ণ শক্তির টিম আসাতে তা প্রমাণ হয়। সত্যি বলছি এতো শান্তি বহুদিন পাইনি।
স্বপ্ন
নরম নরম শুন্য আপুর গরমা গরম লেখা।পত্রিকার উপ-সম্পাদকীয় এর মত লাগলো 🙂
শুন্য শুন্যালয়
কম্পলিমেন্ট নাকি ব্যাম্বু? ;?
আমি শুধু নরম নই, গরম ও হুম। রেগে গেলে টাইগ্রেস।
খেয়ালী মেয়ে
খুব সুন্দর বলেছো আপু ঠ্যাঙানি যদি দিতেই হয়; ব্যাট, বল দিয়ে হার্টে দেব, কারো মাথায় না—-
বাংলাদেশের অতিথিপরায়ণতা ও ভদ্র জাতি হিসেবে বিশ্বে সুনাম আছে—কিছু উগ্র মাতালদের জন্য সেই সুনাম নষ্ট হতে দেওয়া যায় না………..
শুন্য শুন্যালয়
আমার ভয় সেটাই। বৈশাখের ভিড়ে তারা যা খুশি করে, স্টেডিয়ামেও করবেনা তার কি গ্যারান্টি?
মিথুন
সবে তো ঠ্যাঙ্গানি শুরু করেছি। ভয়েই ওরা উল্টাপাল্টা বলা শুরু করছে 😀
শুন্য শুন্যালয়
শুধু বলা, উল্টাপাল্টা কাজও শুরু করেছে, তারা এখন ওয়েষ্টইন্ডিজের সিরিজ বানানোর পায়তারা করছে, যাতে আমরা আইসিসি ট্রফিতে খেলতে না পারি।
লীলাবতী
ভালোই তো বিশ্লেষন মুলক লেখা লিখতে পারেন।আফসোস বাংলা ওয়াস করা গেল না।তবে এরপরে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে বুঝে শুনে কথা বলবে ভারতীয়রা।
শুন্য শুন্যালয়
হ্যাঁ এইভাবে ডাবল ডাবল মন্তব্য চাই, তাইলে না বুঝবো কত্তো ভালোবাসেন 😀