তারপর হঠাৎ একদিন তোমার আমার দূরত্বটা বাড়তে থাকবে।
দেখা আর কথা হওয়ার অভাবে বা না হওয়ার প্রভাবে ভুল বোঝাবুঝিটাও চরম সীমায় গিয়ে ঠেকবে বলে রাগ ভাঙ্গানোর সুযোগটাও নষ্ট হয়ে যাবে।
রাগগুলো জমতে থাকবে। তা থেকে জন্ম নেবে ঘৃণার। আর ঘৃণাটা পুষতে গিয়ে নির্লুপ্ত হয়ে যাবো দুজনেই।
আর সব কিছুর মতই চোখে চোখ পড়ার, হাত ধরার মত সুন্দর অনুভূতিগুলোও উড়ে চলে যাবে দূরে, বহু দূরে।
এরপর আমরা যান্ত্রিক পৃথিবীতে শুধু চোখে দেখার তৃষ্ণাটাকে বাঁচিয়ে রেখেই যান্ত্রিকভাবে বাঁচতে থাকবো সবার মাঝে।
তারপর কোন একদিন আমাদের গল্পটার একটা নামকরণ হবে।
ব্যবধান কিংবা দূরত্ব কিংবা অন্য কিছু……..
৩৪টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
কঠিন বাস্তবতাকে অত্যন্ত সুন্দর ভাবে উওপস্থাপন করেছ,
একসময় যে জীবন যাপনের জন্য অপরিহার্য্ ছিল, কালক্রমে সে ফিকে হয়ে যায়। আর এভাবেই আমরা অভ্যস্থ হয়ে যাই এক সময়।
ভাল লেগেছে লেখা,
শুভ কামনা।
মেহেরী তাজ
হ্যা আমরা সব কিছুতেই অভ্যস্ত হয়ে যাই একসয়ম। ভালো কিছু ,মন্দ কিছু, ছেড়ে থাকা , সাথে থাকা, পাওয়া কিংবা না পাওয়া । সব কিছুর সাথে।
ধন্যবাদ ।
জিসান শা ইকরাম
আরো বেশী করে লেখো তুমি,
যদিও সময় তেমন পাওনা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি পিচ্চি মানুষ এমন অকাট্য কঠিন সত্যোপলব্ধির জন্য ধন্যবাদ, ইহাই বাস্তবতা।
তবুও জীবন, আমরা তাকেও ভালবাসি, ভালোবাসতে চাই, ভালোবাসবো-ও।
কী অবলীলায় লিখে ফেললেন!! বিস্ময়ে বিস্মিত হয়েই পড়লাম।
লিখুন লিখুন।
মেহেরী তাজ
সব কিছুতেই ভালোবাসা আছে বলে আমার মনে হয় তাও মানুষ যান্ত্রিক হয়। কেনো যে হয় আমি ভেবেই পাইনা। নাকি আসলে হয় না যান্ত্রিক! অভিনয় করে মাত্র!
চেষ্টা করি ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
নীরা সাদীয়া
যতক্ষণ আত্সমর্যাদা বজায় থাকে, ততক্ষণ ব্যবধান কমিয়ে কাছে আসার ও সুযোগ থাকে। আর প্রশ্নটা যদি হয় আত্নসম্মানবোধের, তাহলে দূরত্ব থাকাই ভালো।
তুমি যেটা লিখেছ, এটা অনেকেরই মনের কথা তাজ।
মেহেরী তাজ
ভালোবাসা এমন বিশ্রি একটা জিনিস যেখানে আত্মসম্মান কথাটা খুব একটা কাজে আসেনা। কিন্তু তাও দূরত্ব বাড়ে ।
ধন্যবাদ নীরা।
মনির হোসেন মমি
অল্প কথায় পুরো একটি জীবনধর্মী গল্পের অবসান।ভালই স্ক্রীপ্ট লিখতে পারেন।কেউ একজন নাট্যরূপটা দিয়ে দিলে আরো সুন্দর হত।
মেহেরী তাজ
আপনিই দিন নাট্যরুপ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রহেলিকা
এটা ছাড়া আর কোনো মন্তব্য খুঁজে পেলাম না!
সন্ধ্যার কোরকে জমে উঠলে বর্ণালী আসর
আমরা এখনো পাশাপাশি বসি, হাত ছুঁই
রাতের গল্প শেষে দাগ কাটি ক্যালেন্ডারের পাতায়।
তবু সমুদ্র গভীর দূরত্ব থেকে যায়
সোনাঝুরি লতার মতো দিন বাড়ে,
চোখে চোখ রাখা ভুলে গিয়ে-
কোঁচকানো কপালে দু’জন মিলে অভিযোগ লিখি।
অথচ কেউ জানতে চাই না;
পরস্পরের চোখে না তাকিয়ে-
কে কবে ইরেজারে মুছেছে দূরত্বরেখা!
মেহেরী তাজ
আপনার এই লেখাটা কিন্তু আমার প্রিয় লেখার মধ্যে একটা।
এই রকম মন্তব্যে পেলে নিজের লেখাটাকে ভালো মনে করতে খুব ইচ্ছে করে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
মাহমুদ আল মেহেদী
জীবনের সাথে মিলিয়ে দেওয়া যে লেখকের কৃতিত্ব। যা আপনি অসাধারণ ভাবে বস্তবতাকে সুন্দর করে আপনার একান্ত ভাবনায় সাজিয়েছেন।
মেহেরী তাজ
অনেক ধন্যবাদ লেখা পড়ার জন্য
ভালো থাকবেন।
মোঃ মজিবর রহমান
জিবনের প্রবাহিত কথামালা
কাছাকাছি
খুনসুটি
হাততালি
বসাবসি
হাসাহাসি।
দুরত্ব
তারছিড়া দূর
বহুদুর
মুক্ত বাহুডোর
দুইমেরু প্রান্তর!
মেহেরী তাজ
কাছাকাছি তবু যেনো বহুদূরে
খুনসুটি হাসাহাসি সবই যেনো মেকি
দূর থেকে যে যাই দেখুক আমি তার বিপরীতই দেখি।
ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
সব দূর আর মেকিতে পাঠিয়ে দিলে থাকে কি বল দেখি!!!
শুন্য শুন্যালয়
যা তোমাকে বলেছি কিংবা বলিনি।
লেখা না হবার জন্য সময়কে কখনোই দোষ দেয়া যাবেনা। যে লিখবে সে অসময়েও লিখবে, সত্যি বলতে অসময়েই লিখবে।
তোমার লেখা নিয়ে নতুন কিছুই বলবার নেই, জানি বলেই মানি, তোমার লেখাতো আসলে এমনই বিষ্ময়কর।
যান্ত্রিকভাবে মানুষ বাঁচতে পারেনা, সমস্যাটা বাঁধে তখনই। সত্যি যন্ত্র হয়ে গেলে দূরত্বেই মানিয়ে নিতো!
মেহেরী তাজ
একজন অলেখক কে লেখক বানিয়ে দিলে যা হয়। লেখা আসবে যাবে , হাডুডু খেলবে। কোন দোষঘাটের কোন কথায় নাই।
আমার লেখা যে কি আমি জানি না । এতো জেনে কাজ নাক। তুমি কি বলো?
যন্ত্র হওয়ার ব্যপারটায় সম্ভবত তোমার কথা ঠিক…
অপার্থিব
সব কিছু হয়তো একদিন ভেঙ্গে পড়ে। ভালবাসা , রাগ এমনকি ঘৃণাও…
মেহেরী তাজ
হয়ত…।
ধন্যবাদ আপনাকে।
তৌহিদ
সবার জীবনেই যেন এরকম একেকটা গল্প থাকে। ভাঙাগড়ার এ খেলায় তবুও আমরা ভালোবাসাকেই পেতে চাই। বিরহ কিংবা দূরে থাকার গল্পে।
দারুন লিখেছেন।
মেহেরী তাজ
ভালোবাসাকে পেতে চায় সকলেই।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ইঞ্জা
এ বড়ই কঠিন বাস্তবতা।
মেহেরী তাজ
জ্বী ভাইজান।।
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা আপু
মোস্তারী শবনম
কিংবা — ভালোবাসার গল্প।
সুন্দর উপস্থাপন।
মেহেরী তাজ
কিংবা- ধন্যবাদ।
বন্যা লিপি
এভাবেই বাড়ে দুরত্ব ,এভাবেই ব্যাবধানে সরে যাওয়া রাগ বা অভিমানে। খুব ভালো লগলো লেখা।
মেহেরী তাজ
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমার ও ভালো লাগলো…
রিতু জাহান
সেদিন একটা গল্প পড়ছিলাম, তাতে কথাটা এমন যে’ প্রচন্ড ভালবাসি যেখানে বলা হয় সেখানে ইগো রাখতে নেই।
আমিই তো তাকে প্রচন্ড ভালবাসি। সেখানে আমার যেটুকু সেটুকু উজাড় করে দিয়ে সব অভিমান ভেঙ্গে জেনে নিব,’কেমন আছো? খেয়েছো? বা, বুক পেতেছি ঝেড়ে ফেলো আমার সকল অদেখা অভিমান। অভিমানে জল উঠে আসে পাহাড়ের বুক চিরে জানো তো!
যদি দেখো সেখানে অন্য হৃদয় বাসা বেঁধেছে তবে সে দরজা বন্ধ করে দিও। জেনে নিও সে ঘর এক ঘুনে খাওয়া ঘর। যার কোনো শক্ত সিমেন্টেও শক্ত হবে না।
হালকা মনের হৃদয় শক্ত হৃদয়ের গভীরে ঢুকতে পারে না।
চমৎকার লিখেছিস সোনা।
মেহেরী তাজ
ভাবীজান যত ভালোবাসাই থাকুক কিছু সময়ে গিয়ে ছোট হতে ও বাধে। আর সেই বাধা থেকেই ঝামেলা। ধন্যবাদ ভাবীজান।
লীলাবতী
এই লেখা আমাদের তাজ লিখেছে! তাজ তো তার বয়স অতিক্রম করে গিয়েছে এই লেখায়। কিভাবে লেখে আমন পরিপক্ক লেখা! এই লেখা প্রিয় তালিকায় না নেয়া অন্যায়।
মেহেরী তাজ
তোমার এতোদিনের অনুপস্থিতিতে তাজ বড় হয়ে গেছে। কই কই থাকো তুমি?
সাবিনা ইয়াসমিন
ভালোবাসা আর আত্মমর্যাদা পারস্পারিক সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। কখনো ভালোবাসার জয় হয় কখনো দুরত্বের। ভালোবাসা ভালো থাকে কিংবা …. অন্যকিছু।
ভালোবাসায় থেকো তাজ ❤❤