উছাল ঝড়ে ভাঙ্গাচোড়া পথে রাতের পায়ের চিহ্ন।
ভোর আজ চোখ খুলেছে দোমড়ানো ঠকঠকানো শব্দাবশেষ নিয়ে
বাহুর আগলে তখনও ঘুমন্ত পরী,
কলির মতো নাফোঁটা চোখে অদেখা
ভোরের চোখের তলে ছাইরঙা স্বপ্নগুলো এইমাত্র রংফেলে স্বপ্নছুট,
কোথাও হুটোপুটি নতুন আশংকাবিহীন আশ্রয়ে,
দল বাঁধার সময় নতুন দলে।
ভোর আজ রংছুট, সময় ফেলে, কোন রাতের হাত ইশারায়?
৫০টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
রাতের দিকে চোখ পাতা চলিবে না ।
শুন্য শুন্যালয়
বাপরে!!! মানুষ এত্তো হিংসুইট্টা হয় কেমন করে?
ছাইরাছ হেলাল
হিংসুটে হতে চাই ই ।
যদি হিংসে করে হলেও আপনাদের মত লিখতে পারি ।
শুন্য শুন্যালয়
মাথার মধ্যে লাইন ঘোরে এমন কবে লিখতে পারবো? আজও যে কফিভুগ ঘুরে বেড়ায়।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই লিখতে পারবেন ।
মিসু
কয়েকবার পড়েও বুঝতে পারিনি কবিতা, বিষণ্নতা আছে কোন ?
শুন্য শুন্যালয়
সাময়িক একটা বিষন্ন রূপ আপু। কঠিন হয়েছে কি?
ছাইরাছ হেলাল
ভোরকে বেকায়দায় ফেলে দেয়া ঠিক না । আপনাদের সাধের ভোর !
শুন্য শুন্যালয়
বেকায়দায় ফেলে দিলেও সে ঠিক কায়দা করে আগের রূপে ফিরে আসবে। আমাদের সাধের ভোর, তাই বলে রাত টাকে একা নিজের ভাবা ঠিক না, হুম।
লীলাবতী
এ কেমন ভোরকে নিয়ে এলেন আপনার লেখায় ? এক বার পড়লাম। খুজতে হবে কি আছে এই কবিতায়।
শুন্য শুন্যালয়
সারারাত নির্ঘুম, ভোর বিষন্ন আজ। তবু আগলে রাখে প্রিয় মানুষকে যতই সে বিষাদগ্রস্ত হোক। মাঝে মাঝে হতাশায় তার স্বপ্নগুলো দুরে সরে যায়। ভয় পায় আবার কখন রাত হবে। রাত যে তার নির্ঘুম।
লীলাবতী
আপনার ভোরের রং আমি নেইনি কিন্তু 🙂
শুন্য শুন্যালয়
আমি নিশ্চিন্ত নই, আপনার উপর ভরসা করতে পারছিনা, টমেটো ছোড়াছুড়ি মানুষ আপনি।
স্বপ্ন নীলা
শিরোণামটা ফাটাফাটি হয়েছে — অসাধারণ —অসাধারণ
শুন্য শুন্যালয়
শুধু শিরোনাম? 🙁
স্বপ্ন
রংছুট অর্থ আসলে তেমন বুঝলামনা আপু। লেংহীন বাং রং চলে গিয়েছে এমন কিছু?
শুন্য শুন্যালয়
সারারাত ঝড় তুফানের পর একটা ভোর। হুম রং হীন। আমার ভোরের একটা মনমরা ভাব।
শুন্য শুন্যালয়
ধন্যবাদ আপনাকে।
জসীম উদ্দীন মুহম্মদ
:c -{@ (y)
শিশির কনা
আপনার এই ভোর কিছুটা অচেনা লাগলো আপু। অন্য লেখাগুলোতে যে ভোরকে দেখেছি, এখানে তেমন না। ভোরের মাঝে রঙ ফিরে আসুক আবার। -{@
শুন্য শুন্যালয়
আমরা কস্ট আনন্দে থাকি। ভোরকেও তেমনি একটা কস্টের রূপে দেখানোর ব্যর্থ চেস্টা করেছি। রং আবার ফিরে এসেছে। আমি আছিনা? 🙂
জিসান শা ইকরাম
আপনার ভোর ঝর উপেক্ষা করে আবার রং ফিরে পাক
বৈরী সময় কাটিয়ে উঠে আবার স্বাভাবিক হোক সব
আমরাও আগের ভোরকে দেখি ।
শুন্য শুন্যালয়
ভোরকে আগের রূপেই দেখবেন এখন থেকে। রংছাড়া সবই কেমন ঝাপসা লাগে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
তত্ত্ব কথা কয়েকবার পড়তে হয় ভোরকে বিষন্নতায় েয়ে দেয়া ঠিক নয় ভোর হউক সব সময়ের জন্য স্নিগ্ধ শীতল। -{@
শুন্য শুন্যালয়
হুম বিষন্নতায় কেউ থাকতে চায়না আসলে, কাওকে দেখতেও ভালো লাগেনা। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বনলতা সেন
রংছুট ভোর আমরা এই প্রথম দেখলাম । আমরা নিশ্চয়ই রাতের কালো হাত ভেংগে ভোরকে তার
আসল রংয়ে ফরিয়ে আনব ।
রাতের অবস্থাও সুবিধের মনে হচ্ছে না । বলে কয়ে না গেলে যা হয় তাই হচ্ছে ।
শুন্য শুন্যালয়
রাতের প্রেমে পরলে সবাই একটু ভাবের জগতে চলে যায় 🙂 যাবে আর কই, ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেলে ঠিক আসবে।
ফ্যাকাসে ভোরের রঙ আসল নয় বলছেন? ঠিক আছে ভোর ফিরে আসবে ঠিক আগের মতোই। সাঁজ কেমন আছে?
বনলতা সেন
সাঁজ ভালই আছে । তবে রাতের কান্না দেখে বিব্রত হচ্ছি । কারণ ওটাকেই পরের বিষয় হিসাবে
ভাবতে শুরু করেছিলাম ।
ম্যাদামড়া ভোর আমি চাই না । আপনার ভোর যেটুকু দেখেছি নিজে দেখেছি তাতে রঙ হীন ভাবে দেখিনি ।
ফিরিয়ে আনুন আপানর মত করেই । সে অপেক্ষায় থাকি ।
শুন্য শুন্যালয়
প্রিয় কিছুর বিবর্ণ রূপ আসলেই ভালো লাগার কথা নয়, আসবে সে ফিরে, কবে তা বলতে পারছিনা। আপাতত সাঁজ, রাত দেখে কাটুক।
বনলতা সেন
বলতে আপনাকে হবেই ।
যখন ভোর দেখছেন দেখিয়েছেন তখন মনে ছিল না ?
চোখ রগড়ে তাকিয়ে থাকুন । দেখুন দেখান ,জলদি ।
মুভিরা কোথায় গেল ?
শুন্য শুন্যালয়
🙂 মাঝে মাঝে একটু দেরি করে ঘুম ভাঙ্গলে কতো মজা জানেন? আপনাদের জ্বালায় তো দেখি সেই উপায় নেই।
আসবে আসবে। আগে সাঁজ আসুক।
বেশ কয়েকটা বাংলা মুভি দেখলাম কএকদিন। elegy I কিছুটা দেখেছি, পুরোটা দেখে ফেলবো। আপনার কি অবস্থা? সাঁজ হতে এতো দেরি হলে কেমন করে হবে?
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
আপনার পুর্বের ভোর থেকে এই ভোর সম্পুর্নই আলাদা। অবশ্য সব সময় এক ভাবে থাকেনা কেউ।
শুন্য শুন্যালয়
ভোর ঠিক আগের মতোই আছে, হয়তো দেখতে ভুল করেছি। ছবক পাচ্ছিনা অনেকদিন।
সীমান্ত উন্মাদ
কাব্য কথাগুলতে অনেক অনেক ভাললাগা রেখে গেলাম। অনেক অনেক ভালথেক বন্ধু।
শুন্য শুন্যালয়
ধন্যবাদ সীমান্ত। মাঝে মাঝে এলে ভালো লাগে।
সীমান্ত উন্মাদ
জানতাম না সব সময় আসলে বিরক্ত লাগে আপনার। :p
শুন্য শুন্যালয়
চাওয়াগুলো ছোট হয়ে গেছে ভাইজান। বিরক্ত যে করতে পারবেন না, সেইটাও জানি।
মেঘাচ্ছন্ন মেঘকুমারী
কল্পনার ভোরের রং চলে যাবে কেনো ? ভোর আসুক নিত্যদিন আরো রং নিয়ে।
শুন্য শুন্যালয়
আসবে, ভোরকে আর রঙ হারাতে দেবনা 🙂
ব্লগার সজীব
এত ম্রিয়মাণ ভোরকে বাই বলুন। রং থাকবে ভোরের নইলে নাই।
শুন্য শুন্যালয়
নইলে নাই মানে কি? এখন থেকে রঙ থাকবে ভোরের, নইলে আমি নাই ।
নীলাঞ্জনা নীলা
রং এবং রংহীন সব নিয়েই সব কিছু। সব সময় ভোর এক ভাবে আসেনা। শীতের ভোর আর সাইক্লোনের ভোর এক হয়না। সঠিক ভাবেই তাঁকে আনা উচিৎ লেখায়। ভালো লিখেছেন শুন্য শুন্যালয়।
শুন্য শুন্যালয়
রঙহীন বাস্তবতায় কল্পনার ভোরগুলো রঙিন দেখতেই ভালোবাসি আমরা। সবার বকা খেয়ে যা হোক আপনার মন্তব্যে একটু ভরসা পেলাম। যাই হোক এমুখো আর হচ্ছিনা। অনেক ধন্যবাদ আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
ব্লগে তখন কেমন একটা বাধো-বাধো ঠেকতো। কি লিখবো, কি না।
আজ মনে হয় কি ভুল করেছি তখন, দূরের বাদ্য বাজিয়ে ;(
শুন্য শুন্যালয়
সব সুদে আসলে উসুল চাই, বলে দিলাম :@
মিথুন
রংছুট হোক,তারপরেও ভোর তো ভোরই।
শুন্য শুন্যালয়
হ্যাঁ, ভোর ভোরই। আসলে ভোর কখনো রংছুট হয়না, হয় চোখের দৃস্টি, মন। আমার দেখায় সমস্যা ছিলো। ধন্যবাদ মিথুন।
বন্দনা কবীর
পড়লাম আপনার কবিতা। মন্তব্য গুলো পড়েছি। আপনি যখন যেভাবে ভোর দেখবেন সেভাবেই লিখবেন। এটিই উচিৎ। আপনি বর্ণহীন ভোর দেখছেন অথচ লিখবেন বর্ণিল ভোর সেটা উচিৎ না। নিজের সাথে এবং পাঠকের সাথে প্রতারণা করা হবে তাহলে। ভোরকে নিয়ে লিখছেন ভালো লাগছে খুব। ভোরটা দুষ্ট নাকি খুব :p , রং আছে ভোরের মাঝে, তা নষ্ট হতে দিয়েন না 🙂
শুন্য শুন্যালয়
হুম ভোরটা খুবই দুস্ট। 🙂 ভোরের রঙ নস্ট হতে দেবনা আপু। আপনার মতো করেই ভেবেছিলাম, তবে মেঘাচ্ছন্ন মেঘকুমারি বলেছে, কল্পনার ভোর রংছুট হবে কেনো? এটাও সত্যি।
আপনাকে এই যে দেখছি মাঝে মাঝে, ভালো লাগছে খুব। ভালো থাকবেন।
আগুন রঙের শিমুল
ভোরের আলোয় জ্বালায়ে রঙ মশাল
দূর হোক রঙহীনতা 🙂