ভূতের ভূত কথা

শুন্য শুন্যালয় ১ মার্চ ২০১৭, বুধবার, ০১:২০:৩৬অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৩৩ মন্তব্য

নতুন পোস্ট মানেই সুন্দর কিছু লিখতে হবে কেন? কেন আবোলতাবোল যা খুশি নয়! কেউ প্লিজ বলে বসবেন না, আপনি আবার সুন্দর পোস্ট কবে দিলেন? সবই তো আবোলতাবোল।
সত্যি সত্যি কিছু লেখার নেই। মন খারাপের এক রাতে কিছু লিখতে ইচ্ছে করেছিল, দুএক লাইন লিখে নিজেরই রাগ হচ্ছিলো, এসব কী লেখা! সোনেলায় না দিয়ে দিলাম আমার আদুরে পিচ্চি ভূতের কাছে মেইল করে। সেই মেইলের উত্তরে ওর রিপ্লাই টা সবাইকে দেখানোর লোভেই আজকের পোস্ট। কোন অংশটুকু কার, সেটা মনেহয় না কাউকে বলে দিতে হবে। আমার বুবুর লেখা ক্লাসিক ওয়ান………..
img_7353-5
দুপুরে আজ তালবেতাল হারিয়ে ঘুম দিয়েছি। ষোলো আনা শোধ নেবে বলে শাসিয়ে ঘুম এখন গায়েব হয়েছে। কি যে করি! সোনেলার লেখাগুলো পড়ে এখন আবার শুরু হলো মাথাব্যথা। এগুলো কোন লেখা হলো!! (আমি পারিনা, সবাই পারে কেন? )
ইচ্ছে করছে পায়ে ঘুঙ্গুর পরে একা একা হেঁটে বেড়াই গাছতলা দিয়ে। কেউ কী কান খাঁড়া করে শুনতে চাইবে কোথা থেকে আসে এ শব্দ! মোবাইলের সাউন্ড রেকর্ডার অন করে কেউ কী ধরে রাখবে নির্জন ছমছমে নিশির তৃষ্ণা?
আচ্ছা আমি কী পাগলের মতো কথা বলছি? উদ্ভট, মাতালের মতো! আমার পিচ্চি ভূতের কথা বলবার মতো সেই মানুষটা যদি আজ আমার সাথে একটু কথা বলতে আসতো!
*হুম এসেছি।
-কে তুমি?
*বড় ভূত।
-ফাজলামি করো?
*না। পিচ্চি ভূতের সাথে কঠিন কঠিন কথা বলি তাই আমার নাম বড় ভূত।
-উহু তুমি তাইলে ইট ভূত।
*আচ্ছা ঠিক আছে। একটা হলেই হলো।
-আমার কিছু করার নেই। ঘুম আসছেনা। কী করি বলোতো!
*গান শোন।
-কি গান?
*আমি তোমায় ভুলে বলো যাবো কোন খানে?

কাগজের পাতায় কিছু লিখে ভালো না লাগলে যেমন করে মুচড়ে ছুঁড়ে দেয়, ঠিক তাই ইচ্ছে করছে, এটুকু মুচড়ে ফেলে দেই।

এরপর আবার শুরু..

ঠিকানাবিহীন কোন কিছু কুড়াতে নেই, ধরে রাখতেও নেই, যতো দামী কিংবা সুন্দরই হোক না কেন।

প্রতিদিন কতো কথা বলি আমরা, কতো কথা শুনি আমরা। একটা ঘুমের পরে সবকিছু অতীত, কথারই মতো কথার কথা।”
img_9869-2
// মন খারাপ হলে মানুষ কি গান শোনে?.
= আর যাই শুনুক “আমি তোমায় ভুলে বলো যাবো কোন খানে? ” এই গান তো নয়ই!
// আমার বুবুর এখন কি গান শোনা উচিৎ?
= তোমার বুবু তো?
// হ্যাঁ। ১০০০%
= তাইলে সম্ভবত “আজ আমাদের ছুটি ও ভাই আজ আমাদের ছুটি ” কিংবা ” চল যাবো তোকে নিয়ে এই নরকের অনেক দূরে” টাইপ কিছু একটা শোনা উচিৎ!
// তুমি কি পারো না বুবুর মন ভালো করায়ে দিতে?
= তোমার বুবুর মন খারাপ কেনো সেটা আগে বলো আমাকে!
// আমার যদ্দুর জানা “ওর সম্ভবত অনেক বড় কিছু একটা হারায়ে গেছে’।
= আমার মন বলছে ” এটা তোমার আর তোমার বুবুর দুজনেরই ভুল ধারনা!
// এই যে মেজাজ টা খারাপ করায়ে দিচ্ছো!
= আহা শোনই না!
// বুবুকে নিয়ে………. আচ্ছা বলো!!!
= তোমার বুবু ভাবতেছে “আমি যেটা করছি সেটা বিশাল ভুল। আমি বেনামী কিছু জিনিসকে প্রিয় বানিয়ে নিয়েছি, এটা আমার উচিৎ হয়নি! তাই এখন কষ্ট পাচ্ছি!
// ব্যাপার টা তো তাই! ও ভাববে না তো কি করবে?
= আমি আগে শেষ করি?
// গ্ররররররর! করো শয়তানের বাচ্চা!
= তোমার বুবু জীবনে কতোশত বই পড়ছে বলতে পারো?
// হয়ত হাজার খানের বা তারচেয়েও বেশি।
= তারমধ্যে কতগুলা বই পড়ে সে চিৎকার করে কাঁদছে বলতে পারো!
// এমনি কি শয়তান বলি তোমাকে? এটা আমার জানার কথা?
= আহা তাও আনুমানিক!
// হতে পারে ৫/১০/১৫/১২!
= কতগুলা বই পড়ে হা হা করে হাসছে বলতো?
// সম্ভবত ১৫/১২/১৬/১১! কিংবা একটাও না! তাতে কি?
= আচ্ছা এবার বলো ঠিক কতগুলা বই পড়ে তোমার বুবু বইটাকে বুকের সাথে জড়ায়ে ধরে রাখছে কিছুক্ষণ? যখন সে জানে বইটা শেষ, বইটা তার নয়, এখনই বইটা তারকাছ থেকে অন্য কারর কাছে চলে যাবে? তারপরেও!
// উম্মম্ম! সম্ভবত একটা/ দুটা!
= প্রিয় জিনিস গুলোও তাই। বইয়ের মত! তুমি জানো এটা তোমার নয়- অন্যকারর। তুমি জানো এটা পড়ে ইমোশন কণ্ট্রল হয় না- অনুভূতি শুন্য লাগে। কান্না পায়! তারপরেও এটা পড়ে শেষ করতে ইচ্ছে করে যত দ্রুত সম্ভব।
// আমি এতো জটিল কথা বুঝিনা! এসব বুবুকে বলো। ও ডাকলেই চলে যাবে ওর কাছে! প্লিজ! ওর তোমাকে খুব দরকার। কি যাবে তো?
= হ্যাঁ যাবো! তোমার বুবু যদি ডাকে!

বুবু অতীত কিন্তু অনেক সময় প্রিয় বন্ধু হতে পারে। যদি তুমি চাও।

অ:ক: পিচ্চি একটা মেয়ে কতো সুন্দর করেই না লেখে! কেউ যেন মন খারাপ হলেই আমার বুবুকে মেইল দিয়ে বসবেন না, হুম্মম।
ও হ্যাঁ পিচ্চি ভূত, আমার ভীষণ ভীষণ রকমের প্রিয় ছবিটা তোকে দিলাম।

 

৭৮০জন ৭৮০জন
0 Shares

৩৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ