সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা -{@
মা তোর বদনখানি মলিন হলে আমি নয়ন জলে ভাসি (3
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আমার পছন্দের কছু দেশের গান শেয়ার করছি।
গানের শিরোনামে ক্লিক করে গানটি শুনুন ।
সেই রেল লাইনের ধারে মেঠো পথটার পাড়ে দাড়িয়ে
সেই রেল লাইনের ধারে মেঠো পথটার পাড়ে দাড়িয়ে
এক মধ্যবয়সী নারী এখনো রয়েছে হাত বাড়িয়ে
খোকা ফিরবে,ঘরে ফিরবে
কবে ফিরবে,নাকি ফিরবে না ।
দৃষ্টি থেকে তার বৃষ্টি গেছে কবে শুকিয়ে
সে তো অশ্রু মুছেনা আর গোপনে আঁচলে মুখ লুকিয়ে
শুধু শূণ্যে চেয়ে থাকে যেন আকাশের সীমা ছাড়িয়ে
খোকা ফিরবে,ঘরে ফিরবে
কবে ফিরবে,নাকি ফিরবে না ।
দস্যি ছেলে সেই যুদ্ধে গেল ফিরলো না আর
আজো শূণ্য হৃদয়ে তার গুমড়ে গুমড়ে যায় হাহাকার
খোকা আসবে,ঘরে আসবে যেন মরণের সীমা ছাড়িয়ে
খোকা ফিরবে,ঘরে ফিরবে
কবে ফিরবে,নাকি ফিরবে না ।
ও আমার বাংলা মা তোর
ও আমার বাংলা মা তোর
আকুল করা রূপের সুধায়
হৃদয় আমার যায় জুড়িয়ে।।
ফাগুনে তোর কৃষ্ণচূড়া
পলাশ বনে কিসের হাসি।
চৈতি রাতের উদাস সুরে
রাখাল বাজায় বাঁশের বাঁশি।।
বোশেখে তোর রূদ্র ভয়াল
কেতুন উড়ায় কালবোশেখি
জষ্ঠি মাসে বনে বনে
আম- কাঠালের হাট বসে কী
শ্যমল মেঘের ভেলায় চড়ে
আষাঢ় নামে তোমার বুকে।
শ্রাবনধারায় বর্ষাতে তুই
সিনান করিস পরম সুখে।।
ও আমার আট কোটি ফুল দেখো গো মালী
ও আমার আট কোটি ফুল দেখো গো মালী
শক্ত হাতে বাইন্দো মালী লোহারও জালি।।
ওরে এক ফাগুনে ফোঁটে নাই এই ফুল
কত মেঘে জল শুকাইছে ফোটাইতে এ ফুল।
ওরে এক ফাগুনে ফোঁটে নাই এই ফুল
কত চোখের জল শুকাইছে বাঁচাইতে এ ফুল।
ও কত রক্ত পানির মত দিছিগো ঢালি।।
ওরে এমন ফুলের বাগান হায় কোথায়
লক্ষ-কোটি প্রান বাঁচে যার বুকেরই সুধায়।
ওরে এমন ফুলের বাগান হায় কোথায়
তিরিশ লক্ষ প্রান ঘুমায়রে গাছেরই তলায়।
ও কত মায়ের ভরা কোল হইছে গো খালি।।
মুক্তির মন্দির সোপানতলে
মুক্তির মন্দির সোপানতলে
কত প্রাণ হল বলিদান,
লেখা আছে অশ্রুজলে ।।
কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা,
বন্দীশালার ওই শিকল ভাঙ্গা
তাঁরা কি ফিরিবে আজ সু-প্রভাতে,
যত তরুণ অরুণ গেছে অস্তাচলে।।
যাঁরা স্বর্গগত তাঁরা এখনও জানেন
স্বর্গের চেয়ে প্রিয় জন্মভুমি
এসো স্বদেশ ব্রতের মহা দীক্ষা লভি
সেই মৃত্যুঞ্জয়ীদের চরণ চুমি।
যাঁরা জীর্ণ জাতির বুকে জাগালো আশা,
মৌন মলিন মুখে জোগালো ভাষা
আজি রক্ত কমলে গাঁথা মাল্যখানি
বিজয় লক্ষ্মী দেবে তাঁদেরই গলে।
আমার মন পাখিটা যায়রে উড়ে যায়
আমার মন পাখিটা যায়রে উড়ে যায়
ধানশালিকের গাঁয়, যায়রে উড়ে যায়
নাটা বনের চোরা কাঁটা ডেকেছে আমায়।।
আমি যখন যেথা থাকি
হৃদয় ভরা স্বপন হয়ে
বাঁধন হয়ে আপন হয়ে
জড়িয়ে থাকি বাংলাদেশের ভালবাসার রাখি।
আহা কাজল দীঘি দীঘল আঁখি
বুকের ভিতর পাপড়ি মেলে চায়।।
আমি কেমন করে ভুলি
শিশির মাঠের শ্যামল খাতায়
বেতস লতায় চিরল পাতায়
ছড়িয়ে থাকা দূর্বা সবুজ কিশোরী দিনগুলি।
আহা মটর শুটি, কমল স্মৃতি
সজল হয়ে ঘিরলো দুটি পায়।।
হায়রে আমার মন মাতানো দেশ
হায়রে আমার মন মাতানো দেশ
হায়রে আমার সোনা ফলা মাটি
রূপ দেখে তোর কেন আমার নয়ন ভরে না
তোরে এত ভালোবাসি তবু পরান ভরে না।।
যখন তোর ঐ গাঁয়ের ধারে
ঘুঘু ডাকা নিঝুম কোন দুপুরে
হংস মিথুন ভেসে বেড়ায়
শাপলা ফোঁটা টলটলে কোন পুকুরে
নয়ন পাখি দিশা হারায়
প্রজাপ্রতির পাখায় পাখায়।
অবাক চোখে পলক পড়ে না।।
যখন তোর ঐ আকাশ নীলে
পাল তুলে যায় সাত সাগরের পসরা
নদীর বুকে হাতছানি দেয়
লক্ষ ঢেউয়ে মানিক জ্বালা ইশারা
হায়রে আমার বুকের মাঝে
হাজার তারের বীণা বাঁজে।
কাজের কথা মনে ধরে না।।
যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে
যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে
লক্ষ মুক্তি সেনা
দে না তোরা দে না
সে মাটি আমার
অঙ্গে মাখিয়ে দে না ।।
রোজ এখানে সূর্য ওঠে
আশার আলো নিয়ে
হৃদয় আমার ধন্য যে হয়
আলোর পরশ পেয়ে ।।
সে মাটি ছেড়ে অন্য কোথাও
যেতে বলিস না
দে না তোরা দে না
সে মাটি আমার
অঙ্গে মাখিয়ে দে না।।
রক্তে যাদের জেগেছিল
স্বাধীনতার নিশা
জীবন দিয়ে রেখে গেছে
মুক্ত পথের দিশা
সে পথ ছেড়ে ভিন্ন পথে
যেতে বলিস না
দে না তোরা দে না
সে মাটি আমার
অঙ্গে মাখিয়ে দে না।।
যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে
লক্ষ মুক্তি সেনা
দে না তোরা দে না
সে মাটি আমার
অঙ্গে মাখিয়ে দে না ।।
প্রতিদিন তোমায় দেখি সূর্যর রাগে
প্রতিদিন তোমায় দেখি সূর্যর রাগে
প্রতিদিন তোমার কথা হৃদয়ে জাগে
ও আমার দেশ ও আমার বাংলাদেশ।।
নদীর ধারা আর পাখির গানে
নতুন স্বপ্নের ছবি আনে।
প্রতি প্রানে প্রেরণা শিহর লাগে।।
ফসল শোভায় আলোর তৃষা
নতুন ছন্দের দিল দিশা।
প্রতি মনের চেতনার জোয়ার জাগে।।
এ দেশ আমার চোখের আলোয় আলো ছড়ায় ভালবেসে।
এ দেশ আমার চোখের আলোয় আলো ছড়ায় ভালবেসে
এ দেশ আমার অন্ধকারে স্বপ্ন ছড়ায় ভালবেসে
পাখির গানে ঘুম ভেঙ্গে যায় রোজ সকালে
সন্ধ্যাবেলা তাঁরার পরী প্রদীপ জ্বালে
নদীর দিকে মাঝির দিকে দৃষ্টি মেলি ভালবেসে।।
দেশ দিয়েছে ফসল ভরা মাঠের হাসি।
সেই হাসিতে সবার প্রানে বাজে বাঁশি
বাঁশি সুরে এই গোধুলির স্বপ্ন হলো
পড়লো মনে একটি কথা ঝলঝল
কত মানুষ রক্ত দিল দেশের মাটি ভালবেসে।।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা লক্ষ প্রানের দাম।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা লক্ষ প্রানের দাম।
জীবন দিয়ে রাখবো দেশের স্বাধীনতার মান।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা লক্ষ প্রানের দাম।।
নদীর যেমন স্রোতের ধারা পাখির যেমন গান
ফুলের যেমন অতুল সুবাস স্বপ্ন অফুরান
বাংলাদেশের মাটি আমার তেমনি আপন প্রান
জীবন দিয়ে রাখবো দেশের স্বাধীনতার মান।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা লক্ষ প্রানের দাম।।
শিশুর যেমন কলহাসি স্নিগ্ধ অমলিন
তরুন প্রানে প্রেমের পরশ যেমন বাজায় বীণ
বাংলাদেশের আলো হাওয়ায় তেমনি আমার প্রান
জীবন দিয়ে রাখবো দেশের স্বাধীনতার মান।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা লক্ষ প্রানের দাম।।
১৮টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
বিজয়ের শুভেচ্ছা -{@
জানলাম আপনার প্রিয় গান , ভালো লেগেছে খুব।
গানের পূর্বে সংখ্যা বা অন্য কিছু দিয়ে আলাদা করে দিলে কেমন হয় ?
দুই গান আলাদা করা যাচ্ছেনা ।
শিশির কনা
আলাদা করে দেবো -{@
ছাইরাছ হেলাল
অসম্ভব ভালোলাগা কিছু গান আবার শুনে আনন্দিত হলাম ।
বিজয়ের শুভেচ্ছা আপনাকেও ।
শুন্য শুন্যালয়
অসম্ভব অসম্ভব ভালো লাগা কিছু গান..
অনেক ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য.
বন্দনা কবীর
প্রিয় গানগুলো একসাথে পেলাম । শুনবো এখন একটির পর একটি 🙂 ধন্যবাদ আপনাকে।
যাযাবর
ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য । (y) (y)
নীলকন্ঠ জয়
অসম্ভব ভালোলাগা কিছু গান আবার শুনে আনন্দিত হলাম ।ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য । (y) (y)
বিজয়ের শুভেচ্ছা আপনাকেও -{@
স্বপ্ন
প্রিয় দেশের গান এর পোস্ট ভালো লেগেছে খুব।
লীলাবতী
দেশের গান শুনতে বলে কোথায় ডুব দিলেন ? (y) -{@
স্বপ্ন নীলা
ভাললাগার কিছু গান শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ
আফ্রি আয়েশা
চমৎকার পোস্ট … পোস্টে অনেক ভাললাগা জানালাম 🙂
শিশির কনা
ধন্যবাদ সবাইকে -{@ -{@ -{@ (3
হতভাগ্য কবি
মুক্তির মন্দির সোপানতলে এই গানটা শুনলেই যুদ্ধে যেতে ইচ্ছে করে, জীবন দিতে ইচ্ছে করে । (y) (y)
শিশির কনা
সময়ের অভাবে আলাদা আলাদা জবাব দিতে পারছিনা বলে আমি লজ্জিত । ধন্যবাদ সবাইকে ।
অরণ্য
“ও আমার আট কোটি ফুল…” এবং “এ দেশ আমার চোখের আলোয় আলো ছড়ায় ভালবেসে…” প্রথম শুনলাম। ভাল লাগলো। মন্তব্যের জবাব লিখতে কি আপনি বড়ই কিপটুস? আমি অবশ্য আমার যে কোন মন্তব্যকারীকেই বেশ উজাড় করে লিখি, কেউ বিরক্ত হয় কিনা জানি না। ভাল থাকবেন।
শিশির কনা
আপনাকে এখানে দেখে ভালো লাগলো।অবশ্য দাওয়াত দিয়ে নিয়ে এসেছি। মন্তব্যের জবাব দিতে কিপটুস নই মোটেই।আপনার মন্তব্যের পূর্বে আমার একটি মন্তব্য আছে।আপনি চোখে কম দেখেন এ আমি বিশ্বাস করিনা 🙂
অরণ্য
আসলেই আমি চোখে এখনও ভাল দেখি কোন লেন্স-চশমা ছাড়াই। আমার মনে হয়েছে গণ ধন্যবাদ না হলেও পারত, যদিও আপনি তখন ব্যস্ত ছিলেন এবং লজ্জাও প্রকাশ করেছেন সে জন্য। 🙂
শিশির কনা
পড়াশুনার চাপ ভাইয়া।সারাদিন পড়াশুনা,রাতে ঘুমাই ৩টায়,আবার খুব ভোরে উঠে ফ্রেস হয়ে মেডিকেলে দৌড় 🙁