ছাইরাছ হেলাল

লেখালেখি আমার কম্ম নয় - সে আমি বুঝেছি জেনেশুনে বেশ আগে এবং ভালভাবেই, তবে পাঠক হওয়ার অদম্যতা দমনে অপারগ আমি বরাবরই......

  • নিবন্ধন করেছেনঃ ১২ বছর ৪ মাস ২৬ দিন আগে
  • পোস্ট লিখেছেনঃ ৭৭৮টি
  • মন্তব্য করেছেনঃ ১৯৪৯৩টি
  • মন্তব্য পেয়েছেনঃ ২২৩৬২টি

জ্যৈষ্ঠের ডাক

ছাইরাছ হেলাল ১৮ জুন ২০২০, বৃহস্পতিবার, ০৯:৪১:৩২পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ২৬ মন্তব্য
  বাঁচার আনন্দে ভাগ বসাতে মূক হবো তর্ক-হীনের গোমরা-মুখ নিয়ে চাঞ্চল্যে-ভরপুর-সময় হাতরে; প্রত্যহের রুটিনে পরিপাটি থাকবো ইচ্ছানুসারে ঈষদুষ্ণ মধু-জলে ভিনিগার মিশিয়ে ঢক-ঢক করে গিলে নেব যতক্ষণ যতটুকু পারা যায়, সাধ, বেঁচে-থাকার বেঁচে-যাওয়ার; এ্যালোভেরার সুতীব্র সাধ ব্রহ্মতালুতে চেপে ঝাঁক-ঝাঁক নাছোড়-বান্দা জ্যৈষ্ঠ-ডাক রঙ্গন-পাখায় ঝরবে অবলীলায়।
  সময় চাকা চলছে নিরবধি অস্থির হচ্ছি-না, অসুস্থ-ও না, গল্পে গল্পে কাটা সময়-মোহনীয়তা; রিক্সার টুং টাং, মোটর বাইক আর গাড়ীর হুশ-হাস, সবজী ওয়ালার হাঁকডাক, এখন-ও সীমিত হয়ে প্রায় ঠিকঠাক সবকিছু, বিদ্যুতের সামান্য আসাযাওয়া। খুলে রাখা/দেওয়া দক্ষিণ-জানালা, হৃদ-জুড়ানো বৃষ্টি-হাওয়া, নিয়মমাফিক ট্রান্সট্রায়মারের কবিতায় মুখ-গোঁজা; সবকিছু ফেলে রেখে/ফেলে দিয়ে, শূন্যতার অতৃপ্তি ছুঁয়ে যতদূর হেঁটে গেলে, নির্বিঘ্নতার ছায়া পাওয়া [ বিস্তারিত ]

স্বপ্নের ডানা মেলা

ছাইরাছ হেলাল ১২ জুন ২০২০, শুক্রবার, ০৬:০৪:৩৯অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ২৯ মন্তব্য
  ক্ষীণ বাতাসে মিলিয়ে যায়/যাচ্ছে, মুহূর্তে মুহূর্তে, মুহূর্তের ভ্রান্তিতে, কাচ-ভঙ্গুর বিশ্বাসগুলো ফিরে এসে জানলায় উঁকি দেয়; ফিরে আসে স্বভূমিতে আবার-ও ভ্রান্তির মত; আত্মস্থ মুহূর্তগুলো অস্থিরতা বয়ে আনে, বিমুগ্ধতা না; বুক পকেটে লিখে রাখা স্বপ্নগুলো থমকে দাঁড়ায় ভারী বর্ষণ উপেক্ষায় রেখে, শুরু করে পথচলা আলোক-রেখা বরাবর; রুদ্ধশ্বাস আলোড়ন পেছনে ফেলে স্বপ্নেরা আবার ডানা মেলে দীঘল মিছিলে, [ বিস্তারিত ]

বৃত্ত বন্দীত্বে

ছাইরাছ হেলাল ১১ জুন ২০২০, বৃহস্পতিবার, ০৮:১১:৫৭পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৩৮ মন্তব্য
  অক্ষর বৃত্ত, স্বর বৃত্ত, মাত্রা বৃত্ত, আরও আরও কত শত শত জানা-অজানা বৃত্ত-ফাঁদে বন্দী হতে হতে বিনির্মাণে নরক, নরকের যন্ত্রণা! থেমে যাইনি/থাকিনি/থাকবো-ও না। তাই বলে কামিনীর ঝোপ-ঝাড়ে উঁকি দেবোনা! ওঁত পাতবো-না নৈশব্দদের গুপ্ত ভাণ্ডারে! খুঁজবো-না অতিশব্দ, প্রতিশব্দ, পরাশব্দ, শ্লীল-অশ্লীলতা, পরস্পর মিত্রতার ছলে! সেটি হতে দিচ্ছি না; হলুলুলু বা চেরাপুঞ্জি বা আন্দামান বা সফেদ তাহিতি [ বিস্তারিত ]

শুধুই বিদ্ধ হতে চাই

ছাইরাছ হেলাল ১০ জুন ২০২০, বুধবার, ০৮:১০:০৭পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৩২ মন্তব্য
  অস্তিত্বের অনন্ত-বৈভব নিয়ে ভাবি না, শ্রেণীবদ্ধ চিকন চিকন সুখ এখন অসুখের মত লাগে, বৈদিক ঋষির মত ধ্যানী বৃক্ষ হতে ইচ্ছে করে না, তূণীর থেকে তীর তুলে অলক্ষ্যে লক্ষ্য ভেদ ভালোলাগে না। কাশফুল-বনে লুকোচুরির ছলে আচমকা চেপে রাখা ইচ্ছেটি প্রবহমান করতে আর ইচ্ছে করে না, সামান্য খুনসুটি উপেক্ষা করে, শরীর মনের তীব্র জ্বলুনির জলজ বিস্তারে; [ বিস্তারিত ]

অরণ্য-বৃষ্টির চোখ

ছাইরাছ হেলাল ৮ জুন ২০২০, সোমবার, ০৮:৫৫:৪০পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৩৪ মন্তব্য
  ঝলক-বৃষ্টির ছোঁয়ায় প্রশান্তির-জলেরা গড়ায় আলপথের ভাঁজে ভাঁজে, গ্রীষ্মের দাবদাহ শেষে, ফোটা-ফোটা বৃষ্টিতে জল-ধোয়া পাতারা-ও হাসে সবুজ নিঃশ্বাসে; উষ্ণিত বাতাস দাঁতে দাঁত চাপে, অচিরেই আসবে ফিরে সে নীরব-নিবিড়ে দাহের হাসি ঝুলিয়ে, অনায়াসে ঢুকে যাবে বুকের গভীরে, চ্যাংদোলা করে ফেলে দেবে উত্তপ্ত গিরি খাদের উষ্ণ-প্লাবনে, অগ্নিগিরির জ্বালামুখে; অরণ্য-বৃষ্টি চকচকে খোলা চোখে হাসির ফুলঝুরি ছুটিয়ে গোল-চোখে বলে, [ বিস্তারিত ]
  বৃষ্টি-ভ্রমণ চালু রেখে ভাবি আর কতটা ভিজলে কাক-ভেজা হতে পারি! মৃত্যুপুরীর পাশ-ঘেঁসে ঢালু পথ বেয়ে করোনা নিকটবর্তী হয়েও দিব্যি বুকে ফুঁ-দিয়ে ইজেলে রঙের পর রঙ চড়াতে পারি! আপনা-আপনি ধীরে-ধীরে গড়ে ওঠা দীর্ঘতর ছায়া-প্রান্তরের মানুষগুলোকে ক্রমান্বয়ে হারিয়ে-যাওয়া দেখতে থাকি! অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার মতো; স্পর্শ-অরণ্যে মিশে যাওয়ার আগে গোধূলির শেষ আবির মেখে সচিত্র হৃদয়ের ছাপ আঁকা চিত্রটি কী [ বিস্তারিত ]
  ক্রমাগত পান-করা-অন্ধকার আর-ও দৃশ্যমান হলে হঠাৎ রৌদ্রকরোজ্জেলতার দূরাভাস ভেসে ওঠে; অভিজ্ঞতার মরিচা-মরিচিকা ঝেড়ে ফেলে অনেক কিছু জানান দিয়ে; হতে পারে হঠাৎ কোন স্ফুলিঙ্গ অভিজ্ঞতার নূতন সোপানে। সামুরাই দেহে ড্রাগন শিরোস্ত্রাণ! এমন ছায়া দেখে হৃদকম্প জাগে, ধুমকেতুর অগ্নিপুচ্ছ দেখে ছিন্ন-প্রাণ কাঁপে, এই ছায়া-ঝড় নিঃস্বতার ভ্রুকুটি; রাত পোহালেই পদ্মপাতার পুকুর-জলে নিজের ছায়া দেখি, ঘনীভূত মেঘ-ছায়া-বৃষ্টির আড়ালে। [ বিস্তারিত ]

অপেক্ষার জীবন

ছাইরাছ হেলাল ৫ জুন ২০২০, শুক্রবার, ০৮:৫৩:৫২পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৩৪ মন্তব্য
  অপেক্ষা-জীবন অপেক্ষার জীবন কুঁড়ির মধ্যে লুকিয়ে থাকা স্বপ্ন-ভোর একদিন ঠিক জেগে উঠবে, ঝুঁকি এড়িয়ে, ঝুঁকি ভেঙ্গে; ঢুলুঢুলু চোখে পায়চারি করে হেঁটে আসা জ্বলন্ত হতাশারা স্বীকার করে নেবে জীবিত শিশিরের আশীর্বাদ। স্মৃতিচারণ! চকচকে মরীচিকার মত, স্বেচ্ছায়/অনিচ্ছায় ঝরে যাওয়া স্বপ্নেরা আজ ম্রিয়মান, পরাস্ত; কাচ-স্বচ্ছ ক্ষীণ ভোরের বাতাস মিলিয়ে যাচ্ছে ভ্রান্তির উপত্যকায়, তবুও মেঘমুক্ত নীলাকাশ অপেক্ষা করে [ বিস্তারিত ]
  ক্রমাগত বুঁদ হচ্ছি নিরুপায় বন্দিত্বের কাছে, ঔদাস্যের নিঃশব্দ নিঃসঙ্গ ছায়া অনুসরণে, গিলে খাচ্ছি চুপ থাকার তরিকা। স্মৃতির কিনারায় বহুমুখী ক্ষত নিয়ে ভাবা-ভাবি আর হয়-ই না। শোক এক নিরেট স্থাপত্য, যার বেদি মূলে আছে অঢেল তাজা-ফুল। ক্ষুধিত দৃষ্টি নিয়ে তবুও দেখতে ভাল লাগে প্রচণ্ড সবুজের আমগাছ, ঝুলে থাকা ভরপুর কচি আম, জিভে জল আসা মুখ [ বিস্তারিত ]

অজানার ঠিকানায়

ছাইরাছ হেলাল ২ জুন ২০২০, মঙ্গলবার, ০৯:০৪:৫৪পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৩৬ মন্তব্য
  লেখার পর লেখা (সবার বিরক্তি নিয়ে)! এ-যেন এক মৌন উৎসব, সীমিত বেহায়া নির্লজ্জ খেয়ালি অপুষ্টত্ব নিয়ে বিরতিহীন বিদ্যুৎ চমকের মত বিচ্ছুরিত হচ্ছে, ক্রমাগত ঝরে-পড়া ভোরের শিউলি ঘ্রাণের খোঁজে, নিঃশব্দে কেউ তা তুলে-ও নিয়ে যাচ্ছে নিরিবিলিতে মমতা জড়ায়ে; অলক্ষ্যে; আজন্ম লালিত গন্তব্যের কাছে, স্বপ্নের মত। ধুলো আর নর্দমার নড়নড়ে দেয়াল টপকে পৌঁছে যাবে সে দূরের [ বিস্তারিত ]
  কবিতা এখন আলুথালু, ছিঁচকাঁদুনে, ঘুরে বেড়ায় তেপান্তরে, নাকে মুখে চোখে বুকে লোনা জলের সর্দিকাশি নিয়ে, করোনা বলছিনে; অঙ্গরাগ মেলে বসে থাকে ঝুল বারান্দায়, হিল্লোল-প্রমোদ চেপে রেখে, প্রসাধিত মুখের চটুল ছলাকলা হৃদয়ে মেখে সামান্য উঁকিঝুঁকিতে, ঠুনকো বনেদিপনার কিঙ্কিণী বাজিয়ে; কবিতার সোনালী গালিচায় মুখ ঘসে ঘসে, আবার ও বলছি, কবিতার পাঠক হতে চাই, কবিতায় নাক-মুখ ডুবিয়ে, [ বিস্তারিত ]
  একটু বৃষ্টির অপেক্ষা, ঝুম বা ঝিরঝিরে সে যেটুকু যেভাবেই আসুক-না-কেন; এক-প্রান্তর ধূসর প্রতীক্ষা নিয়ে পায়চারী করি, দাঁড়াই, বসি, শুয়ে-ও থাকি, আস্তে-সুস্তে; শীতল-পরশ সুদিনের অপেক্ষায়, তারুণ্য-খচিত ভাবলেশহীনতায়, জুড়াবে চক্ষুদ্বয়, জুড়াবে প্লাবন-হৃদয়; জানালায় গলা বাড়িয়ে দিয়ে চোখের পলকে তারস্বরে রটিয়ে দিতে ইচ্ছে করে, উত্তেজক কিছু সঙ্গ-যাত্রার গোপন-গভীর গল্প, ঈষৎ সাজিয়ে-গুছিয়ে, ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে; মঠ-বাসী সন্ন্যাসীর রঙ্গন-হৃদয়ে আলগোছে ছুঁয়ে [ বিস্তারিত ]
  বিদ্যুৎ-হীন জীর্ণতায় কাটছে নিখুঁত/ত্যাঁদড় সময় আম্ফান কালে, বেঁকে বসা যাচ্ছে না,প্রেত সময় দুলছে ভৌতিক হাওয়ায়, সুদূরের আলোর ঝলকানিতে; দেখতে পাচ্ছি রঙিন কাগজের হাতছানি ছাপোষা জীবনের অনিশ্চিত বেড়াল-নিঃসঙ্গতায় খুঁজি, অপেক্ষায় থাকি নিঝুম অজ্ঞাত কন স্বপ্ন প্রহরের; একজন চাষি দৃঢ়-পায়ে হেঁটে যাচ্ছে বীজ বোনার তাগিদে, ঝাঁক ঝাঁক স্মৃতি শেষে নিমগ্ন শিশির দেখি ঘাসের ডগায়। ছবি নেটের।
  মুহুর্মুহুর মুহূর্ত ভাবনা নিরন্তর কথা বলে কথা বলে যায়,পেছন ফিরে, সামনে তাকিয়ে, চলতি পথ-চলাকে সঙ্গী করে; দিন তারিখ দিয়ে কেঁপে ওঠা বা কাঁপিয়ে দেয়া বলে কিছু নেই; মুহূর্তগুলোতে থাকে অজস্র-অগুনতি কাঁপন। হাঁসফাঁস বদ্ধতার বাইরে গিয়ে আশ্রয় মত জায়গায় একটু একটু করে জিরিয়ে নেয়া, জিরিয়ে যাওয়া; সারশূন্য শাঁ-শাঁ নিশ্বাস এতটা আলুনি এতটা পানসে, এত এত [ বিস্তারিত ]

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ