আমার সখীর হাসি, অপলক চোখে রোজ দেখে হয় প্রকৃতিও উচ্ছ্বাসী। গাগরী কাঁকালে যায় সে যখন নদীতে বিকেল বেলা, আলো ছায়া করে লুকায়ে দেখতে মেঘালয়ে বসে খেলা। ফুল ফল শাখে খুশির দোলনে আঁকতে বদনখানি, বারে বারে ধরে বক্ষে জড়ায়ে সবুজ পাতার ছানি। ঘাস ঝাড়ে খেয়ে হরেক ফড়িং দেখবার এসে দোল, ক্ষণে ক্ষণে গড়ে হাতছানি দিয়ে দুষ্টুর [ বিস্তারিত ]

গরীবের ছেলে ভোলানাথ ভোলা সহজ সরল প্রাণ, দিনমান তার খুঁটিনাটি চলা বাড়াতে গ্রামের মান। খুশিতে সে করে বৃক্ষ রোপণ পরের জমিন খুঁড়ি, অন্তরে আশা গৃহগুলি হবে পাখির স্বপ্নপুরি। পর মঙ্গলে যেচে করে কাম নেয় নাকো চেয়ে টাকা, না দিলেও কেউ হাসি তবু তার স্বর্ণের মতো পাকা। চলার আধারে সাফ করে পথ রাখতে তা পরিপাটি, গর্ত [ বিস্তারিত ]

যতোই স্বার্থে হোক ছয় ঘুরে নয়, সবই কি হৃদের সাড়া মিছে অভিনয়? গহনে সুজন পাখি দিয়ে শ’ যাতনা মাখি আড়ালে ভাবলে তবু এনেছি বিজয়! তবে কি আধারে জাগে রসালো বিনয়?? নিশীথে শ্বাপদ গেলে চুপে অভিসারে, দোষ কি যদি সে আশা তক্ষক কাড়ে? তা’ বলে বাদাড়ে অতি কাঁদলে অবলা নতি জেনেও না হলে তবু জোনাকি উদয়! [ বিস্তারিত ]

সুজল গাঁয়ের ধারে, আজও সে শায়েরী নিশি-দিন জাগে মানুষের সারে সারে। ছোট কুঁড়ে ঘরে বসত করতো আবদুর রহমান, বয়সের ভারে দেহ ছিল তার জরা ব্যাধিদের প্রাণ। ছেলে মেয়ে ছিল সংসার ভরা নাতি-পুতি বারো জন, তবু সে গুণতো আনমনে একা নিরজনে বসে ক্ষণ। বলতো না কভু কাউকেই ডাকি রয়েছে সুখে না দুখে, মনের বাঞ্ছা পাঁচ ওয়াক্ত [ বিস্তারিত ]

নিরালে যতনে ভেবো ক্ষণিকের তরে কখনো কাঁদলে হেরে গৌরব অতি, কে দিতো জ্বালায়ে দীপ স্বপ্নের গড়ে! নিরালে যতনে ভেবো ক্ষণিকের তরে। যে বুকে রাখতো সদা আপনার দরে, তুমি কি দিয়েছো তার দাম এক রতি! নিরালে যতনে ভেবো ক্ষণিকের তরে কখনো কাঁদলে হেরে গৌরব অতি। ছবিঃ সোনেলা গ্যালারী থেকে।

আমার গাঁয়ের মেঠো পথ আজও ডাকে দিয়ে হাতছানি, যেথা আছে মিশে সবুজের ক্রোড়ে মায়ের বদনখানি। ঝোপ ঝাড়ে হাসে কলমী ধুতুরা পাখালিরা গায় গান, পত্র দুলায়ে বায়ু করে সদা খুশিতে পাকুড় দান। বরষায় ফুটে শাপলা শালুক ভরে যায় মাছে বিল, বতরে বতরে জেগে থাকে মাঠে ফসলের সারে দিল। গোধুলী বেলায় ক্যাচ ক্যাচি সুরে গরু মহিষের গাড়ি, [ বিস্তারিত ]

(হাসি) ঘর বাহিরে সবাই হাসে, হাসতে কে রোজ পারে না? শীতকালে যার ঠোঁট ফেটে যায় সেও তো দেখি ছাড়ে না! বলছো তা সব সুখের ধারে অট্ট মৃদুর ভাব সাড়া! ঢাকতে বদন ক্যান তবে দুখ হাসতে সুযোগ ছাড়ে না? (দুখের ঝড়) একই বৃন্তের দু’ফুল থেকে একটি গেলে আজ ঝরে, অপরটি হয় দুখের দাসী ভিত হয়ে কাল [ বিস্তারিত ]

দুঃখের ঘাতে যদি বা কখনো অক্ষিতে জমে পানি, ভেবো না টানছো শুধু শুধু কারো নিষ্ফলা কোন ঘানি। না-ও যদি মানো পচন মিশলে উর্বর হয় মাটি, জেনে রেখো তবু হয় না স্বর্ণ সুরে সুরে পরিপাটি। ছবিঃ সোনেলা গ্যালারী থেকে।

খুব মনে পড়ে সখী খুব মনে পড়ে মনে পড়ে ফেলে আসা সু’দিনের স্মৃতি, শ্যামলা প্রতিটি পদে গড়ে সমাদরে মনন যা ভেবেছিলো আপনার প্রীতি! বাসন্তী বাগিচার মাতাল বাতাস কোকিলের গানে আজও এঁকে যায় ছবি, শীতের সকাল রেখে ভাঙা বিশ্বাস কুহেলির আড়ে আনে তোর আশায় রবি! কি যে শিহরণ জাগে হৃদয়ের বনে কেমনে বুঝাই তোরে অস্ফুট জ্বালা, [ বিস্তারিত ]

হে ভীরু অন্ধ মনা জগতে কি, খুঁজো সম্মান? ধনের ভাণ্ডে তবে কেন গড়ো, অহমা বিতান? যে দিয়েছে ভালোবেসে ফেরত নিলে সে শেষে যদি না রইলো জেগে সুফলন, প্রবাহে সে মান! ধনের ভাণ্ডে তবে কেন গড়ো, অহমা বিতান? মানো কি সুচলা রথে অপরের, আছে অধিকার? দিয়েছে বিধাতা জেনে কেন করো, হেয় আবদার! যাবে তো সকলি ফেলে [ বিস্তারিত ]

পথিক চলেছে একা ব্যস্ত দু’পায়ে চলনে সয়ে সে আলো আঁধারের খেলা, যেন এ তাড়ন সবই জনমের দায়ে তবু দ্যাখে আরবারে পিছু ফিরে বেলা। ক্লান্তির ভারে দেহ ক্ষয়ে যাওয়া বাড়ি থাকতে চায় না মনে সজীবতা আর, প্রীতি বাঁধনে দিতে বিশ্বাসে পাড়ি নব আশে তবু খুলে ব্যাকুলে দুয়ার। যতোই মনন থাক স্বপ্নের ক্ষেতে উছল খুশিতে ঢেকে চলতি [ বিস্তারিত ]

এ কি অপরূপ রূপে মাগো তোর গড়েছে বদনখানি! যেদিকে তাকাই সুধা সুরে মিলে নব নব হাতছানি। আকাশে বাতাসে ছন্দের দোলা অম্বুর ধারে গান, দিবস ঘুমায়ে রজনীর বুকে ছড়ায়ে চলেছে তান। জীবন চক্র সুজলা চলনে পাশে পেয়ে সূর শশী, প্রকৃতির বুক ভরায়ে তুলছে সদা চুম্বন চষি। নানা রঙে এসে চঞ্চলা ঋতু বৃক্ষরাজির তল, সাজাতে ব্যস্ত কালের [ বিস্তারিত ]

(ক্যান তবে কও!) বলছো তো রোজ মিষ্টি কথাই করতে  সদা আর্জি পেশ, হচ্ছো খুশি ভরছে বলে সখ্যে তাতে গহীন দেশ। ভাবছো কি তা থাকবে ক’দিন? বললে যদি জীবন ভর, মন্দ রেখে ভালোর পাশে ক্যান তবে কও বেশ তো বেশ!   (কোন কারণে?) তেঁতুল গাছে আম ধরেছে হয় শুনে যে উচ্ছ্বাসী, ফল ছিঁড়েছে কেউ তা ভেবে সেই [ বিস্তারিত ]