ঘুম থেকে জেগে তার স্বপ্নের কথা শুনতে হয় আমাকে রোজ। কখনো মুখ ভার করে বলে, আই হ্যাড এ ব্যাড ড্রিম টুডে, আবার কখনো খুশি সুন্দর কিছু স্বপ্ন দেখতে পেরে।
একদিনের স্বপ্নটা এমন তার–
** আমরা তিনজন গাড়িতে কোথাও যাচ্ছি, পথে আমাদের গাড়ি ক্রাশ করলো।
এক সুন্দর ইয়াং ব্লাক লেডি তার দিকে এগিয়ে এসে বললো; হ্যালো, আই এম কুইন এলিজাবেথ।
আই লাভ ইউ।
সে বলে উঠলো, হোয়াট?
এলিজাবেথ বললো, ইয়েস। তুমি কী আমার সাথে আমার প্যালেসে যাবে?
সে বললো, অবশ্যই যাব। এরপর সে কুইন এলিজাবেথের সাথে তার প্রাসাদের দিকে চললো।
আমাকে বললো, আম্মু স্বপ্নটা সুন্দর না? আমি কৃত্তিম মন খারাপের ভাব দেখিয়ে বললাম, মোটেও না। তুমি কুইন এলিজাবেথের সাথে যাবে বলে আমাদের গাড়ি ক্রাশ করিয়ে দিলে? সে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো, আম্মু ইটস যাস্ট এ ড্রিম। অতঃপর আমি খুশি।
দেখি আইপ্যাড নিয়ে কী যেন টাইপ করছে, আমাকে জিজ্ঞেস করলো এলিজাবেথের স্পেলিং কী? বললাম। সে ঘুরে দেখে টেখে বললো, আম্মু কুইন এলিজাবেথ তো একজন ওল্ড লেডি কিন্তু আমি যাকে স্বপ্ন দেখলাম সেতো একজন ইয়াং লেডি, সে চিন্তিত। আমি তখন কিচেনে হাসি চাপছি। তবে ওল্ড লেডি দেখে সে দমে যায়নি, আমাকে জানালো সে কুইন এলিজাবেথ কে নিয়ে রিসার্চ করতে চায়। তার প্যালেসের নাম কী শুনে ইউটিউবে দেখে সে মুগ্ধ। আমাকে জিজ্ঞেস করলো, আম্মু এলিজাবেথের প্যালেস তো বিশাল বড় আর সুন্দর, দেন হোয়াই সো ম্যানি পিপল ডিজলাইক দিস ভিডিও?
এই প্রশ্নের উত্তর জানা, তবে বোঝানো কঠিন। পৃথিবীর সব মানুষের পছন্দ যদি এক হতো, তাহলে হেভী মেটাল সং কোত্থেকে আসলো? 🙂
** তার স্কুলে ধর্ম ক্লাস হয়। আল্লাহ্ আর ইবলিস শয়তান তার কাছে স্টার ওয়ার্সের গুড গাই আর ব্যাড গাই এর মতো। সে গুড গাইকে পছন্দ করে তাই আল্লাহ্কেও তার পছন্দ। রাতে ঘুমাতে যাবার আগে আমাকে প্রশ্ন করছে, আম্মু আল্লাহ্ সব জায়গায় আছে? বললাম হুম। টেবিলফ্যান দেখিয়ে বললো, এইখানেও আছে? বললাম, হু। বলে তাহলে তো ব্যাড পিপলের মধ্যেও আছে। প্রশ্নটা শুনে চমকালাম, যে ভাবনা আমাদের বড়দের মনে তা এত দ্রুত তার মধ্যে এসেছে দেখে কিছু ভাবনাতেও পড়লাম। তার পরের প্রশ্ন, আচ্ছা আল্লাহ্ তো ভালো মানুষ তাহলে হোয়াই হি কিল পিপল?
ওকে কী বোঝাবো, আমিতো নিজেই জানিনা 🙁
** -আব্বু মৃত্যু সম্পর্কে তুমি কী জানো?
*তার উত্তর, মৃত্যু হলে কেউ আর নিঃশ্বাস নিতে পারবেনা।
-আচ্ছা আর?
*মৃত্যু হলে কেউ আর ফিরে আসবেনা। আচ্ছা আরকিছু?
-মৃত্যু হলে মানুষ বোন্সে পরিনত হবে, সেই বোন্স থেকে তখন আরেকজন মানুষ তৈরি হবে।
অ্যাঁ!! এইডা কী কয়?
এই বুদ্ধিতে মানুষ বানাইলে কতো হাড্ডির অপচয় কম হইতো তাই না? 😀
জ্বরে পড়েছে ছেলেটা। সারাক্ষন আই প্যাড নিয়ে বসে থাকা ছেলে নিজেই সব কিছু বাদ দিয়ে শুয়ে আছে। পাশে গিয়ে তাকে খুশি করতে বললাম, আসো আমরা গল্প করি। সে খুব খুশি, কথা বলতে সে ভীষন পছন্দ করে। বললো আচ্ছা, তুমি শুরু করো। বললাম আচ্ছা। হ্যালো হাও আর ইউ?
সে বললো, গুড। বললাম তুমিতো সিক, গুড বলছো কেন? একটু ঠোঁট ফাঁটা হাসি দিয়ে বললো, কারন তুমি এখন আমার সাথে আছো তাই আমি ভালো আছি। (3
এর চাইতে বেশি পাওয়ার আর কিছু আছে কী?
আমার দেব শিশুটা বড় হয়ে গেছে। ৩ কেজির ছেলে এখন ৯ বছর পূর্ন করে ফেললো। এইতো সেদিন এলো, এইতো সেদিন।
৪৭টি মন্তব্য
নাসির সারওয়ার
আমাাকে এলেখার ভাঁজে কিছু লিখতে পরে আসতে হবে।
১ নম্বর হইছি, হা হা হা।।।
শুন্য শুন্যালয়
আচ্ছা পরে আসার সময় মিষ্টি সাথে নিয়ে এসেন, ১ নাম্বার হবার উপলক্ষে। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
উফ এই পুটুসটাকে তো কুচুমুচু করে আদর দিতে হয়। আজ আবার জন্মদিন। এই পুটুস কি চাও বলো আমায়। শুভ জন্মদিন সোনাবাবু।
অনেক বড়ো হতে হবে কিন্তু। ঠিক এই আন্টির মতো হয়ো, ঠিক আছে? অনেক অনেক অনেক অনেক আদর। লাভ ইয়্যু।
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু এতো মিষ্টি বাবুটার মা তুমি!
শুন্য শুন্যালয়
মিষ্টি আন্টির ভাগ্নে যে তাই সেও মিষ্টি 🙂
শুন্য শুন্যালয়
কী বললে আন্টির মতো হবে? ছেলে আমার কবি হয়ে গেলে তো মহা মুশকিল, তোমারে দেখেই না কাজ সারছে, কম জ্বালান জ্বালাইতেছো আমাদের?
পুটুসটা অনেক কষ্ট পেলো নীলাপু, এখনো পুরো সুস্থ হয়নি, কাশি আছে এখনো। হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। তোমার আদর পৌঁছে দিয়েছি ওকে 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
আহারে পুটুস সোনাটা। অনেক অনেক আদর। হুম শুনেছি হাসপাতালে নিতে হয়েছিলো। ইস রে মনাবাবুটা। তাড়াতাড়ি এই মাসীর মতো দুষ্টুমী করতে সেরে ওঠো।
শুন্য আপু অবশ্যই। আমার মতো ভালো একটা মিষ্টি মনের মানুষ আছে নাকি পৃথিবীতে? :p
ছাইরাছ হেলাল
কঠিন থেকে কঠিনতর লিখিয়েরাও এমন করে হৃদয় নাড়িয়ে দেয়া লেখা লিখতে পারে এবং তা
পড়তে পেরে আনন্দিত বোধ করছি, একই সাথে দূর দূরবর্তী ভাবে আশান্বিত হওয়ার স্বপ্ন ঘুরঘুর করছে,
শিশুমনের বুদ্ধিদীপ্ত কৌতূহল কিছু মৌলিক প্রশ্ন আমাদের সামনেও এনে ফেলেছে।
আপনি এ বিষয়ে আপনার মূল্যবান ভাবনা শেয়ার করে বাধিত করলে ভালই হয়।
এটা ঠিক, আমাদের অজান্তেই কেজিগুলো বহু বহু কেজিতে রূপান্তরিত হচ্ছে, দেখতে ভালই লাগে।
তার অটুট ঔজ্জ্বল্য সহসাই কামনা করছি।
শুন্য শুন্যালয়
নিউমোনিয়া হয়েছে ভাইয়া ওর, এখনো পুরো সুস্থ নয়, মোটামুটি ভালো আছে।
ও অনেক প্রশ্ন করে, সব বাচ্চারাই করে হয়তো। মাঝে মাঝে অবাক হই ওর প্রশ্ন শুনে, যার উত্তর দেয়া আমারও সম্ভব হয়না।
এমন ভাবনার উত্তর তো এখনো খুঁজি, আপনিই দিয়ে দিননা, নাম খানা উহ্য রেখে আমি জানিয়ে দেই ওকে, ক্রেডিট উইল গোজ টু মি 🙂
ঈদ মোবারক ভাইয়া। -{@
মৌনতা রিতু
এ পৃথিবীটা তোমার স্বর্গ।
এতো অদ্ভুদ সুন্দর এক ফেরেশতার মা তুমি ! আজ কি তুমি চোখ ছলছল চোখে দেখছো তাকে, সে যে বড় হচ্ছে, কোলছাড়া হচ্ছে, আমি ও না কেঁদে ফেলি এই সব দিন আসলে। সেই প্রথম দিন থেকে ছবিগুলো দেখে। কেন এমন হয় ! আবার ছেলে না বাড়লেও কান্না করব, কি অদ্ভুদ না আমরা !
ওর জন্য কিছু শব্দ এসেছে। আজ রাতেই ওর উদ্দেশ্যে পোষ্ট দিব।
ওকে আমার অনেক আদর । এই জীবনে পূণ্য হয়ত করেছি কিছু, তার বদৌলতে ঐ আল্লাহর কাছে শুধু এটাই চাওয়া, ওরা ভাল থাকুক। অনেক বড় হোক, নামে গুণে সবার মাঝে অনন্তকাল বাঁচুক।
শুন্য শুন্যালয়
রিতু আপু, তোমার লেখা পড়েছি আমি, অনেক মায়াবী লেখা। মন্তব্য করতে পারিনি, আজ লগিন হলাম বেশকিছুদিন পরে। ছেলেটা এখন মোটামুটি ভালো আছে। ছেলে বড় হয়ে গেলে আবেগের কান্না ছাড়িয়ে ছেলের অসুস্থতা এবার আমাকে কাঁদিয়ে ছাড়লো।
আল্লাহ্র কাছে তাদের সুস্থতার চাইতে বেশি আর কী চাওয়ার আছে! তোমাকে অনেক ধন্যবাদ ভাবী। তোমার ছেলেদুটোও মাশাল্লাহ অনেক গুনী হয়েছে, ওরা যেন বড় হয়ে এমনই থাকে শিশুসুলভ শুভ্রতা নিয়ে। ভালো থেকো রিতু আপু। -{@
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সত্যিই জিনিয়ার্স!শুভ কামনা ছেলের জন্য…প্রশ্ন তার অযুক্তিক নয় সত্যিই মন্দদের মাঝেওতো স্রষ্টা থাকেন তবে কেনো ওরা মন্দ লোক।আমারই একই প্রশ্ন কেনো স্রষ্টার এ বিভক্তি।তাহলে দোজক বেহস্তে যাওয়া না যাওয়ার জন্য শুধু বান্দাই দায়ী নয়।
যেমন মা তেমনি ছেলে বেচে থাকুক অনন্তকাল আপনার নয়ন মণি।দূরে থাক সকল অপশক্তি থেকে এই কাম্য। -{@
শুন্য শুন্যালয়
অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য মনির ভাই। সব বাচ্চাদের মধ্যেই বিধাতার দেয়া গুন আছে, বাবা-মার পরিচর্যায় তা পূর্নতা পায়, নয়তো হারিয়ে যায়। সময়ে সবকিছু বদলে যায়, ওরা যেন সময়কে জয় করতে পারে। ভালো থাকুক আপনার সন্তানরাও। ঈদ মোবারক মনির ভাই।
সঞ্জয় কুমার
সোনামনির জন্য অনেক স্নেহ ভালোবাসা রইল ।
ওর প্রশ্ন করার অভ্যাস টা ধরে রাখবেন ।
শেখার প্রথম ধাপই হচ্ছে প্রশ্ন করতে জানা । যে প্রশ্ন করতে জানে সে দ্রুত অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবে
শুন্য শুন্যালয়
একসময় তো প্রশ্ন করা কমে যাবে ওদের, তখন শুধু শুনতে হবে 🙂
অনেক ধন্যবাদ সঞ্জয় ভাইয়া। দোয়া করবেন যেন অনেক দূর যেতে পারে ও।
মোঃ মজিবর রহমান
ওয়াও দারুন আপু,
সনামনির জন্য রইল -{@
এতো প্রশ্ন কোথায় পায় আপু?
শুভকামনা রইল ।
শুন্য শুন্যালয়
ওর অনেক প্রশ্ন, কোথায় যে পায় তাতো জানিনা। বাচ্চারা হয়তো এমনই, ওরা অনেককিছুই ভাবে।
ভালো থাকবেন ভাইয়া।
ক্রিস্টাল শামীম
আপনার ছেলে অনেক বুদ্বিমান। আল্লাহ যেনো আপনার ছেলেকে ভালরাখে। আপনার লেখা সবসময়ই ৫ ইস্টারের যোগ্য। -{@
শুন্য শুন্যালয়
দোয়া করবেন আমার ছেলের জন্য শামীম ভাই। ছেলেমানুষি এমন কৌতুহলের জন্যই ওরা শিশু। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
মিষ্টি জিন
শুভ জন্মদিন প্রিন্স.. লাভ ইউ সোনা।অনেক অনেক বড হও।
প্রিন্সের মার জন্যও অনেক ভালবাসা।
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ জ্বিন আপু। সে বলেছে this is the worst birthday in his life. 🙁 কারন সে স্কুলে যেতে পারেনি অসুস্থতার জন্য। তার বন্ধুরা তাকে উইশ করতে পারলো না তাই। 🙂
ঈদ মোবারক আপু। -{@
মিষ্টি জিন
আহারে..
জন্মদিনে বাচ্চারা বাসার চেয়ে স্কুলে বন্ধুদের মাঝে থাকতেই বেশি পছন্দ করে।
ঈদমোবারক আপু। -{@
লীলাবতী
এত্ত এত্ত কিউট আপনার ক্ষুদে বাবুটা! কত সুন্দর চেহারা, চোখ, গাল। আজকের এই দিনে এত্তগুলা আদর (3 আর শুভকামনা। শুভ জন্মদিন শুন্য আপুর স্বপ্ন আমাদের সবার আদরের গুলটুস সোনাবাবু -{@
এই বয়সে এমন বুদ্ধিমান হয়েছে বাবুটা। যেমন মা তেমনি ছেলে হয়েছে।
শুন্য শুন্যালয়
সুন্দর চেহারা দেখে গলে যেয়েন না, মহা দুস্টু ছেলে সে। দুস্টের হাড্ডি। এইযে তখন থেকে অরেঞ্জ খেতে বলছি, খসা ছিড়ে রাখলাম, সে খাবেনা। বাবার ভয়ে এটা আমাকে খাবার জন্য জোরাজুরি করছে সে তখন থেকে, এভাবে রেখে দিলে বাবা এসে বকবে তাই 🙁
ফল খেতে চায়না, জোর করে খাওয়াতে হয়। শুধু তার মায়ের বুদ্ধি, তার বাবাও বেশ বুদ্ধিমান 🙂
জিসান শা ইকরাম
আজ আপনার ছেলের জন্মদিন।
একই সাথে আপনি আজ প্রথম সন্তানের মা হয়েছিলেন।
প্রথম সন্তান আপনার তাই প্রথম নামেই ডাকি,
শুভ শুভ জন্মদিন প্রথম। সাফল্যের আকাশকে স্পর্শ করো বাবা তুমি। একজন প্রকৃত মানুষ হয়ে মা এর স্বপ্ন পুরন করো,
তুমি এত স্বপ্ন দেখো, তোমার মায়ের জীবন্ত স্বপ্ন যে তুমি।
আর আপনাকে এই দিনে প্রথম মা হবার জন্য অভিনন্দন।
প্রথম মা হতে পারা জীবনকে পূর্ণ করে। প্রথম মা হবার আনন্দ,গর্ব জীবনভর ধরে রাখুন।
প্রথমের স্বপ্ন চিন্তা ভাবনা আসলেই বৃহৎ। আমি আমার ছোট বেলায় এমন চিন্তা ভাবনা করিনি।
অন্য কোন এই বয়েসের শিশুদের মাঝেও এমন ভাবনা, প্রশ্নের কথা শুনিনি। সে অন্যদের থেকে আলাদা।
জ্বর কমে যাক দ্রুত এই দোয়া করি।
সন্তানরা কখন যে বড় হয়ে যায় বুঝা যায় না,
মনে হয় এই তো সেদিন এলো তোয়ালে জড়ানো একটি জীবন্ত পুতুল।
লেখাটি অনেক অনেক ভাল হয়েছে।
শুন্য শুন্যালয়
ইশ আপনিই শুধু এমন করে উইশ করলেন, ওর ছোট দাদী ফোন করে উইশ করলে আমিও এমন বলেছি, আমার জন্য উইশ কোথায়? আমি না এই দিনে মা হলাম 🙂
আপনার উইশ পৌঁছে দিয়েছি ওকে। ও মনেহয় অনেক কিছু ভাবে একা একা, কি জানি হয়তো সব বাচ্চারাই ভাবে, কিছু বাচ্চা প্রশ্ন করে, কিছু করেনা। নইলে হুটহাট করে বাচ্চারা এত কথা কেমন করে শেখে তা আমার কাছে অবাক লাগে।
জ্বর কমেছে, কাশিটা এখনো আছে, সুস্থ হয়ে শিঘ্রই আপনাদের সবার দোয়ায়।
বাচ্চারা কিভাবে যে বড় হয়ে যায়, আসলেই সময় কোথা দিয়ে চলে যায় কিছুই বোঝা যায়না।
আপনি তো সবসময়ই এমন বলেন লেখা নিয়ে। এটি অবশ্য লেখা ছিলনা। ঈদ মোবারক আপনাকে। চোখের অবস্থা কেমন এখন? অনেকদিন আসছেন না এখানে। কবে ফিরবেন?
ছাইরাছ হেলাল
দ্রুত জ্বরের নিরাময় কামনা করি,
অবশ্যই কিঊট বাবুকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
কোটি পুত্রের জননী হয়ে
সুখে থাকুন
এ বর সঙ্গেই রাখুন,
শুন্য শুন্যালয়
আবারো কোটিপুত্র? এক পুত্রই তো নাজেহাল করে ছাড়ছে অবস্থা, আর লাগতো না ভাইজান।
জ্বর কমেছে, এখনো সুস্থ নয় পুরোটা। ভালো হয়ে যাবে আশা করছি ২/৩ দিনের মধ্যে।
সবার জন্মদিনের শুভেচ্ছা পৌঁছে দিয়েছি তাকে, তবে তার মন খারাপ। স্কুলের এক বন্ধু তাকে এক প্রেজেন্ট দিতে চেয়েছিল, তার ধারনা অইটাই বেস্ট প্রেজেন্ট ছিলো, আমরা এতকিছু দিয়েছি, তবুও তার অইটার কথা ভেবেই মন খারাপ 🙂
ছাইরাছ হেলাল
সোনা বাবুর রোগারগ্য কামনা করি অতিসত্ত্বর।
আহারে সেই না পাওয়াটা দুঃখ থেকেই যাবে।
অপার্থিব
ছবিগুলো সুন্দর। সব কিছুতে প্রশ্ন করা খুব ভাল গুণ। শিশু বয়স থেকে এই গুণ চর্চা আরো ভাল ব্যাপার। পিচ্চিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। -{@
শুন্য শুন্যালয়
ওর প্রশ্নে বিরক্ত না হওয়ার চেষ্টা করি সবসময়, বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করি। বয়সের সাথে কিছু জিনিসের পরিবর্তন আপনাআপনিই হয়ে যায়, আশা করছি ওর এই জানার আগ্রহটা এমনই থাকবে। অনেক ধন্যবাদ অপার্থিব।
ইঞ্জা
আগে হাইসা লই :D) :D) হেভি মেটাল।
:D)
পিচ্ছিটাকে খুব আদর করতে ইচ্ছে করছে, এখন কি করি, এরপরেও অনেক আদর আর উমমমা। 😀
শুন্য শুন্যালয়
হুম, পৃথিবীর সবার পছন্দ এক হলে হেভি মেটাল গান আবিষ্কৃত হতোনা, উহ্ অসহ্য এক জিনিস। 🙂
ইচ্ছে তো সবসময় পূরন করা যায়না ভাইয়া, তবে আপনার আদর পৌঁছে দিয়েছি ওকে। ঈদ মোবারক ভাইয়া।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ অনেক অনেক আপু, ঈদ মুবারক। -{@
শুন্য শুন্যালয়
ঈদ মোবারক ভাইয়া। -{@
রিমি রুম্মান
তাঁর প্রশ্নোত্তর পর্বটা বেশ মজার।
কিন্তু, এই যে বড় হয়ে যাওয়াটা মানতে পারি না। কারন, আমার বড় বাপজান তের বছরের কিশোর। গতকাল খুব করে অনুমতি চাইলো এখন থেকে একা স্কুলে যাবে বলে। যুক্তি দেখালো, “আমি এখন এইথ গ্রেডে পরি” বলে। আমি বললাম, আরেকটু বড় হও। অনুমতি না পেয়ে নীরবে চোখের জল ফেললো।
আমার বুক ভেঙে গেলো। আমরা কি ধীরে ধীরে দূরে সরে যাচ্ছি ?
এই যে আমি আগলে রাখতে চাচ্ছি, আর সে একা চলতে চাচ্ছে___ এ অনুভূতি ব্যাখ্যাতীত একজন মায়ের জন্যে। 🙁
শুন্য শুন্যালয়
আপু কী বলবো আর? সে ইয়ার টু থেকে আমাকে বলছে সে একা একা বাসস্ট্যান্ডে যেতে পারবে, ৩/৪ মিনিটের পথ তবু ছাড়তে ভরসা পাইনা। তার বন্ধু মাঝে মাঝে বাসায় একা থাকে, সে আমাকে এটা প্রায়ই বলে।
আগলে রাখতে চাইলেই কী দূরে সরে যায় আস্তে আস্তে কি জানি ভয় হয়। এ অনুভূতি সত্যিই ব্যাখ্যাতীত আর কষ্টের।
অনিকেত নন্দিনী
মাশা আল্লাহ। কী মিষ্টি সোনামণিটা! অমন মিষ্টি বাবাটা স্বপ্ন ছাড়া থাকতে পারে? ওর স্বপ্ন দেখা অটুট থাকুক।
প্রশ্ন করে তারাই যাদের জানার আগ্রহ বেশি। যত বেশি প্রশ্ন করবে তত বেশি জানবে। একটা সময়ে দেখবেন ওর প্রশ্নবাণ আর আগের মতো ছুটছেনা। যখনতখন ডেকে প্রশ্ন করার বদলে কথা শুরু হবে অন্যভাবে, “মা, শোনো কী হয়েছে…”
তিলে তিলে বেড়ে ওঠা ছেলেটা একসময়ে মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে মাপ নিতে থাকবে আর কতোটা বাড়লে মায়ের সমান লম্বা হয়ে যাবে। ছেলেরা হয়তো ভাবে মায়ের সমান লম্বা হতে পারলেই তারা অনেক বড়ো হয়ে যাবে।
দেবশিশুর জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা আর আদর দিলাম, পৌঁছে দেবেন।
চটজলদি সুস্থ হয়ে যাক সোনামণিটা।
শুন্য শুন্যালয়
হা হা ঠিক আপু, সেতো প্রায় বছর দুএক আগে থেকেই আমার সাথে মাপ দেয়, একদিন জিজ্ঞেস করলাম তুমি আমার চাইতে লম্বা হয়ে গেলে কী হবে, সে বলে তখন নাকি আমার কথা আর শুনতে হবেনা, 🙁
স্কুলে যখন দিতে যাই, আমার সামনে সামনে থেকে ওর ছায়া লম্বা এটা বলে বলে কি খুশি যে হয়।
একদম সত্যি বলেছেন আপু, কথার ধারা এমনই এখন, আগে স্কুল থেকে ফিরলে জিজ্ঞেস করতাম স্কুলের কথা, আর এখন এসেই শুরু হয় স্কুলে কী কী হয়েছে, একদিন আমাকে বললো আব্বু যেমন কাজ থেকে ফিরেই তোমাকে সব বলে জবের কথা, আমিও এখন থেকে স্কুলে কী হয়েছে সব বলবো তোমাকে। আমি হইলাম শ্রোতা সবার 🙁
এখন একটু ভালো আছে আপু, অনেকদিন ভুগলো ছেলেটা। বাজে কাশিটা এখনো ভালো হয়নি। নিউমোনিয়া হয়েছিল ওর, হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল।
আজ সে স্বপ্ন দেখেছে তাকে সাপে খেয়ে ফেলছে, তাই আজ থেকে সাপলুডু খেলা বন্ধ ঘোষণা করেছে।
ঈদ মোবারক আপু। -{@
ব্লগার সজীব
ক্ষুদের ভাবনা দেখে তো টাসকি খেয়ে গিয়েছি আপু। যোগ্য মায়ের যোগ্য সন্তান হিসেবে বড় হোক সে। মানুষের মত মানুষ হোক। ক্ষুদেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা আর আদর -{@
দোয়া করি জ্বর কমে গিয়ে দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠুক সে।
শুন্য শুন্যালয়
ওর সাথে কথায় পারিনা আমি। তার স্বপ্নের কথা তার আর আমার সিক্রেট, এটা আর কাওকে বলা যাবেনা, এই হচ্ছে ওর কথা 🙂
ক্ষুদে এখন একটু ভালো, পুরো সুস্থ হতে আরো সময় লাগবে। সবার এমন দোয়ায় সে জলদি ভালো হয়ে যাবে আশা করছি।
ভালো থেকো স্মাইল প্লিজ। -{@
প্রজন্ম ৭১
এমন বুদ্ধিমান ছেলে আপনার! আলহামদুলিল্লাহ। আপনার বাবুটাকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা -{@ উপস্থাপনা অদ্ভুত সুন্দর (y)
শুন্য শুন্যালয়
উম ছেলের দুস্টুবুদ্ধিতে মাথা ভর্তি, কথায় পারিনা ওর সাথে। জন্মদিনের শুভেচ্ছা পৌঁছে দিয়েছি। এইসব লিখতে কিছু ভাবতে হয়না যে তাই-ই হয়তো সুন্দর হয়েছে, গড়গড় করেই পুরো ৯ বছর লিখে ফেলা যাবে। ভালো থাকবেন ৭১।
ইলিয়াস মাসুদ
ক্ষুদে দেখি আমার ভাবনায় ভাবে,ক্ষুদের এমন ভাবনা তো আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে।
এখন নিশ্চয় সে সুস্থ হয়ে গেছে? নিউমোনিয়া,এজস্মা শুনলেই বুক টা কেঁপে উঠে।
অনেক দেরি হয়ে গেল তবুও মামুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। -{@
শুন্য শুন্যালয়
দেরী তো হলোই, মামু থাকে কই কই? এই আছে এই নাই।
এখন ভালো আছে ভাইয়া, কাশি কিছুটা আছে, সারতে বেশ সময় লাগবে মনে হচ্ছে। আর যেইভাবে বৃষ্টি বৃষ্টি, জঘন্য এক আবহাওয়া।
ক্ষুদে অনেক কিছু ভাবে মনেহয় একা একা। ও আপনিও ওর মতো ভাবেন? আপনিও তো ক্ষুদে মামু। 😀
ইলিয়াস মাসুদ
মামুটার তো এই একটাই প্রবেল যে সে চরম প্রব্লেমে আছে 😀
আমার মেয়ে টাকে তো আমি মেরেই ফেলেছিলাম, সেই কথা মনে হলে এখনো ভয় হয়, তার পর আমি ছয় মাস সুধু এসজমা নিয়ে পড়াশুনা করেছি, এখন আমি জানি এটা কি ভয়ানক, শুরুটা ঠান্ডা কাশির মত ছোট মনে হলেও এটা খুব দ্রুত পরিবর্তন হয়। আল্লাহ মামুকে একেবারে সুসস্থ করে দিক খুব খুব দোয়া রইলো
শুন্য শুন্যালয়
এজমা খুবই খারাপ, এডোলেন্স পিরিয়ডে কমে যাবে অবশ্য তবে ওল্ড এজে আবার ফিরে আসবে। আমার বাবা, ছেলের নানি, দুই দিকেই এজমা আছে, তাই এজমার ভয়টা ওকে নিয়েও আছে।
এজমা তে ইনহেলার টেকনিকটা গুরুত্বপূর্ন, আর ট্রিগার ফ্যাক্টর এভয়েড করা। পড়াশোনা করেছেন তাই সবটাই আপনার জানা আছে। মেয়েটাও ভালো থাকুক আপনার। আমরা দুইজন ডাক্তার হয়েও ভুল করি, অনিচ্ছাকৃত হলেও এই ভুলগুলোর জন্য নিজেদেরই দোষী মনে হয়। ভালো থাকুন পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভাইয়া।