আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার স্বপ্নে বিভোর ছিল জাতি। কিন্তু সে স্বপ্ন এখন কালিমা লিপ্ত হবার পথে । যুদ্ধাপরাধীদের অর্থের একটি মুল উৎস ইসলামী ব্যংক নাকি এই লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়া আয়োজনের অর্থায়ন করবে । যদি তাই হয় , তবে চাইনা এমন কালিমা লিপ্ত আয়োজন । ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করলাম এই আয়োজনকে ।
১৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ইসলামী ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মুস্তাফা মনোয়ার তিন কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেন। এসময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এবং জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। পরের দিন ১৫ মার্চ চেক হস্তান্তরের বিষয়ে ইসলামী ব্যাংক গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠায়। এতে বলা হয়, লাখো কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত আয়োজনের জন্য তিন কোটি টাকা অনুদানের চেক তুলে দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড।
ইসলামী ব্যংকের নিজস্ব ওয়েব সাইটের ইভেন্টে দেখা যাবে চেক হস্তান্তর এর ছবি এবং ঘোষনা PM receives cheque from IBBL for organizing Sonar Bangla in Million Voices
ইসলামী ব্যংকের এই ঘোষনায় দেশ ব্যাপী আলোড়ণ তোলে । ১৯৭১ এর পরাজিত শক্তিরা এখন জামায়াত ইসলামীতে আশ্রয় নিয়েছে । যে কয়টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান জামায়াত ইসলামীকে সহযোগিতা করে ইসলামী ব্যংক তার মাঝে অন্যতম। স্বাধীনতার মাসে স্বাধীনতা বিরোধী সংগঠনের প্রধান অর্থের যোগানদাতা ইসলামী ব্যংক থেকে অর্থ নিয়ে এই আয়োজন চাইনা আমরা ।
সমালোচনা হলে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ অনুষ্ঠানের জন্য ইসলামী ব্যাংকের কাছ থেকে অর্থ নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
যদি অর্থ নেয়া না হয়ে থাকে,তবে ইসলামী ব্যংক যে তাদের ওয়েব সাইটে উপরোক্ত ছবি সহ ইভেন্ট ঘোষনা করেছে , তার কি ব্যাখ্যা হতে পারে ? তারা কি টাকা প্রদানকে ভিন্ন নাম দিয়ে মিথ্যে প্রচারনায় নেমেছে ? যদি মিথ্যে প্রচার করে তবে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে ?
তবে এই আয়োজনের জন্যই যে টাকা প্রদান করা হয়েছে , তার প্রমাণ মেলে তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর বক্তব্যে । তিনি বলেন ” ইসলামী ব্যাংকের টাকা ফেরৎ দেওয়া উচিৎ। এ টাকা দিয়ে জাতীয় সঙ্গীতের অনুষ্ঠান হবে না। ”
এর অর্থ টাকা নেয়া হয়েছে এবং তা ঐ আয়োজনের জন্যই ।
সর্বশেষঃ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে এর অংশগ্রহণকারীদের তালিকা থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছে ।
অভিনন্দন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী -{@
মুক্তিযুদ্ধ কারো ব্যাক্তিগত সম্পত্তি নয় । আমার পিতা ১৯৭১ এর রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছেন। এমনি লাখো আমির পিতা ভাই বোন শহীদ হয়েছেন ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে । এই লাখো শহীদের সাথে বেঈমানি করার অধিকার কারো নেই ।
মা , তোর বদনখানি মলিন হলে আমি নয়ন
ও মা, আমি নয়ন জলে ভাসি
সোনার বাংলা , আমি তোমায় ভালোবাসি ।।
১৭টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
এমন টাকা তো আমরা নিচ্ছি মাঝে মাঝে , এবারে না হয় জাতীয় সংগীতের জন্য ।
আরও কত কী দেখতে হবে কে জানে ।
প্রজন্ম ৭১
ঠিক আরো কত কি দেখতে হবে কে জানে ।
মা মাটি দেশ
মা , তোর বদনখানি মলিন হলে আমি নয়ন
ও মা, আমি নয়ন জলে ভাসি
সোনার বাংলা , আমি তোমায় ভালোবাসি ।।
আমরা নতুন প্রজম্ম আমরা আর রাজাকার সংশ্লিষ্ট কোন কিছু দেশ উন্নয়নে চাই না।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন বাংলাদেশ সৃষ্টির কন্যা,আমরা তাহাকে দেশনেত্রী হিসাবে পেয়ে গর্বিত কিন্তু সবার আগে তাহার উচিত ছিল ঐ সমস্হ রাজাকারের অর্থ সংগ্রহের উৎস গুলি বন্ধ করা কিংবা সরকারের অধীনে নেয়া এমন অনেক বিষয় আছে যে ক্ষমতাসীন আওয়ামিলীগ রাজাকারদের কোথাও কোথাও নির্বাচনে মনোনয়ন দিচ্ছে বা তার জুটে আছে যা ভবিষৎতের জন্য বিপদ জনক।
সুন্দর এবং যুক্তিযুক্ত একটি কথা বলেছেন “মুক্তিযুদ্ধ কারো ব্যাক্তিগত সম্পত্তি নয় ” ঠিক তাই এভাবে বঙ্গবন্ধু আর দল আওয়ামিলীগকেও এক সাথে গাথা ঠিক নয় যার জন্য আজও পারিনি আমরা দেশের সর্বস্তরের লোকের মাঝে বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসাবে। -{@ (y)
প্রজন্ম ৭১
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আমলে যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠন জামায়াত ইসলাম নিষিদ্ধ ছিল । এখনো নিষিদ্ধা করা সম্ভব ।
জিসান শা ইকরাম
ইসলামী ব্যাংকের সহায়তায় লাখো কন্ঠের সোনার বাংলা চাই না।
ভালো পোষ্ট।
প্রজন্ম ৭১
এমনটা হলে তা হবে এক কলংকিত ইতিহাস ।
লীলাবতী
ইসলামী ব্যংকের অর্থ নিয়ে জাতীয় সংগীত গেয়ে বিশ্ব রেকর্ড ? দরকার নেই এমন । উদীচীকে ধন্যবাদ ।
খসড়া
ইসলামি ব্যাংক রাজাকারদের প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এই ব্যাংক এ দেশের মানুষের রক্ত শোষন করেই ব্যাংকিং করে। এই টাকা জনগনের টাকা। এই টাকা জাতীয় সংগীতে ব্যাবহার না করে আরও টাকা চাপ দিয়ে নিয়ে পদ্মা সেতু পাওয়ার প্লান্ট তৈরি করা হোক। এই ব্যাংক কই ক্লোজ করা সম্ভ?
প্রজন্ম ৭১
কিন্ত কে চাপ দিবে ভাই ? জনগনের চাওয়া পাওয়াকে তো কেউই মুল্য দেয় না ।
ঘুমন্ত আমি
দেখা যাক এই নাটক কথায় শেষ হয়
প্রজন্ম ৭১
নাটক চলবে যতদিন রাজনীতির এই ধারা বহমান থাকবে ।
শুন্য শুন্যালয়
এই ব্যাপারটি নিয়েই বা কেনো এতো শোরগোল হচ্ছে?
জামায়াত এর নেতারা এই দেশেই তো স্মৃতি সৌধে ফুল দিয়েছে আমাদেরই চোখের সামনে, বুক ফুলিয়ে গাড়ীর সামনে জাতীয় পতাকা নিয়ে ঘুরেছে, আমরা তখন কেনো কিছু বলিনি?
প্রজন্ম ৭১
এখন বলেছি , কারন এখন যে সরকার ক্ষমতায় , তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে । একদিকে বিচার , অন্যদিকে অর্থ নেয়া , এ দুটো একসাথে চলে না আপু ।
নীহারিকা
এক্কেবারে ল্যাজে গোবরে অবস্থা। সীমাহীন যুক্তিবিদে দেশ ভর্তি।
প্রজন্ম ৭১
ইসলামী ব্যাংকের টাকা ব্যবহৃত হয়নি আপু ।
নীলাঞ্জনা নীলা
রাজাকারদের আর বিচার হলো না , এটাই দুঃখ । তাদের কাছ থেকে টাকা নিবে আবার বিচারও হবে – এমন আশা করা বোকামি । চাইনা এমন অনুষ্ঠান ।
প্রজন্ম ৭১
টাকা নেয়া হয়নি নিলাদি ।