
#স্বপ্ন পর্ব ৬
ভোরে উঠেই মনটা ভার হয়ে গেল। মেঘলা আকাশ, ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। অন্যদিন হলে এই বৃষ্টি দেখে নেচে উঠতো মন, কিন্তু আজ, আজ তো…!
এদিকে আমার কন্যাদের বাবা মুখে মিটিমিটি হাসি নিয়ে দেখছে আমাকে। গা জ্বলে গেল আমার। আমার মনের এই অবস্থা, আর সে কি-না মিটিমিটি হাসছে! চোখ পাকিয়ে বললাম, “হাসছো কেন?” আমার পাকানো চোখকে হেলায় উড়িয়ে দিয়ে বলে কিনা,
“চলো ছাদ থেকে ঘুরে আসি। এদের ছাদটা না খুব সুন্দর। আর এই ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে ভিজলে তোমার মনটাও ফুরফুরে হবে।”
মরণ…! এসেছি ঢাকায়, বইমেলায় যাবো বলে, উঠেছি ভাসুরের ছেলের বাড়িতে। চেনা নেই, জানা নেই ফট করে সেই বাড়ির ছাদে উঠে যাবো? বুঝেছি, সিগারেট খাওয়ার জন্য ছাদে গিয়ে আগেই দেখে আসা হয়েছে। কতবার বলেছি, বেড়াতে যাচ্ছি, সিগারেট কম খাবে। তা কে শোনে কার কথা! যত্তসব!!
একে ফেব্রুয়ারিতে বৃষ্টি, তাই আবার বইমেলা, তাতে আবার আমাদের সোনেলার নিজস্ব একটা স্টল এবারের মেলায়, মনের যা-তা অবস্থা। এই অবস্থায় কি-না প্রকৃতি বিরূপ। মেজাজ ঠিক রাখা যায়?
সেই খিঁচড়ে যাওয়া মেজাজ নিয়েই গেলাম ছাদে। ওপর ওপর যতই রাগ দেখাই না কেন, ওঁর কথা কি আর ফেলতে পারি!
লিফটে উঠে সাঁই করে চলে গেলাম ছাদে। কিন্তু এ কী, ছাদে এরা কারা? কলকল ছলছল করছে! এ যে দেখি সোনেলা পরিবারের সব আপনজন! কিন্তু সবাই এখানে কেন? বইমেলায়-ই তো সবার একজোট হওয়ার কথা! জমবে আড্ডা, সোনেলা প্রকাশনার প্রথম স্টল নিয়ে সবার কত কত আশা-আকাঙ্ক্ষা! আনন্দে ভাসবে সবাই। তা না, এই ছাদেই বেশ জটলা পাকিয়ে কি নিয়ে যেন হেসে হেসে গড়িয়ে পড়ছে সকলেই। সেই জটলার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে আমাদের মিষ্টি মিষ্টি শবনম মুশতারি ভাবি। আমাকে দেখেই বন্যা আপু দৌড়ে এলেন।
বললেন, “আরে উকিল আপু, জলদি আসেন, দেখেন কি অবস্থা! আপনে যে কইছিলেন মাথা ঠাণ্ডা রাইখা প্রতিশোধ নিতে, নেওয়া শেষ। তয় হালকার উপর দিয়া নিছি। ছুডু ভাই বইলা কথা! ঠিক কি-না?”
ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে ব্যাপারখানা বোঝার চেষ্টা করতেই কানে ভেসে এল পুরুষকণ্ঠের তীব্র প্রতিবাদ। দেখি কি, পানির ট্যাঙ্কির সাথে যে ট্যাপ লাগানো, সেখানে তৌহিদ ভাই। মুখ তার ঢেকে আছে সাবানের ফেলায়, আর সমানে চিল্লাচ্ছে…
“মানি না, মানবো না, এইডা কুনু প্রতিশোধ হইলো? পুরা মুখ আমার কালি দিয়া ঢাইক্কা দিলো। কালি তো এমুন কালি, মনে হইতাসে উঠবো না কুনুদিন। একঘণ্টা ধইরা সাবান ডলতে ডলতে আন্ধা হইতে বসছি, কিন্তু কালি যাওয়ার নামই নেয় না!”
রমণীকূল সমস্বরে হইহই করে উঠলো তার এই প্রতিবাদে৷ বেচারা ঘাবড়ে গিয়ে আবার সাবান ঘষতে লাগলো মুখে৷ সাবিনা আপু ধমক দিয়ে বললেন, তেড়িবেড়ি না করে তাড়াতাড়ি মুখ ধোওয়া শেষ করেন, পান আনতে কিন্তু আপনাকেই যেতে হবে, মনে আছে?
এদিকে ইঞ্জা ভাইসহ অন্যান্য ভাই দাদারা আমার উনির সাথে গল্প জুড়ে দিলেন খোশমেজাজে। বিশাল ছাদের বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট জটলায় ভাই দাদারা গল্পে মশগুল। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি চলছেই। দেখছি তা নিয়ে কারও মাথা ব্যথাই নেই। বৃষ্টি, তা যে সময়েই হোক না কেন, মন বোধহয় ফুরফুরে করে দেয় সবার।
সব আপুরা যেন ডানা মেলে শূন্যে ভাসবে এমন অবস্থা। সবাইকে আপন আপন সাজে কী সুন্দর-ই না লাগছে! আমার পরনের হালকা বেগুনিরঙ শাড়ি আর ম্যাচিং সাজুগুজু নিয়ে কেউ বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখালো না দেখে আমি অযথাই আঁচলের কারুকাজে হাত বোলাতে বোলাতে বললাম,
“আঁচলের এই হলদে রঙের ফুলগুলো কেন যেন মানাচ্ছে না, তাই না সুপর্ণা আপু?”
সুপর্ণা আপু মিষ্টি হেসে বলেন, “না না আপু, খুব সুন্দর আপনার শাড়িটা।”
যাক, তবু শাড়ির ব্যাপারে মন্তব্য পাওয়া গেল! কিন্তু সাজুগুজু? একেবারেই কি বাজে হয়েছে? কই সুপর্ণা আপু তো একটি কথাও খরচ করলেন না! কায়দা করে শাড়ির ব্যাপারটা জেনে নিয়েছি, তেমন করে কি জেনে নেবো? কষ্ট করে সাজলাম কিন্তু কেউ প্রশংসা করলো না, সেই দুঃখ মনে চেপেই দেখলাম
আমাদের হেলাল ভাই এসবের মাঝেই কখন ছাদের এককোণে গিয়ে উদাস হয়ে চেয়ে আছেন আকাশের দিকে। নিশ্চয়ই তাঁর মাথায় কঠিন কঠিন শব্দের সমাহারে একটা কবিতা সাজানোর চিন্তা চলছে। জিসান ভাই খেয়াল করেননি তা। যখন খেয়াল করলেন, ঝড়ের বেগে গিয়ে হেলাল ভাইয়ের পিঠে এক থাবড়া দিয়ে বললেন,
“এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কবিতা ভাবিস না, চল, আমের হিসাব নিই। জিলাপি-টিলাপি তো কিছুই জোটেনি কপালে, তৌহিদের হাঁড়িভাঙা মিষ্টিও না, বন্যার বিরিয়ানি আর পুডিং তো আনার সাথে সাথেই কখন যে হাওয়া হয়ে গেল টেরই পেলাম না। চল দেখি, বীথি ওর চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম এনেছে কি-না আমাদের জন্যে।”
এই শুনে তো আমি ওই মনোরম পরিবেশেও দেদার ঘামতে শুরু করলাম। জিসান ভাইয়ের কি মাথা খারাপ হয়ে গেল, এই ফেব্রুয়ারিতে আম পাবো কোথায় যে আনবো? কিন্তু ততক্ষণে সবার কানে পৌঁছে গেছে জিসান ভাইয়ের কথা। সবাই আম চায়। গোপালভোগ, ক্ষিরসা , ল্যাংড়া, ফজলী সব আমের নামই দেখি সবার মুখস্ত। ফাঁপড়ে পড়ে তো আমি দিশেহারা। আমার বর কিন্তু মিটিমিটি হেসেই যাচ্ছে। মেজাজ আবারও গরম হয়ে গেল। কাছে গিয়ে কানে কানে কড়া গলায় বললাম, “হাসছো কেন?”
ওমা, উত্তরে সে আমাকে চোখ মারলো, কী অসভ্য! যদি কেউ দেখে ফেলে!!
কথা নেই বার্তা নেই হঠাৎ করে সবাই এমন উল্লসিত হয়ে উঠলো কেন? ব্যাপার কী রে ভাই! তাকিয়ে দেখি, মমি ভাই দুটো ঝুড়ি নিয়ে হাজির। বললেন, “দুলাভাই চাঁপাই থেকে রওনা দেয়ার আগেই এই দুই ঝুড়ি আম কুরিয়ারে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। আমাকে বলেছিলেন চেপে যেতে।”
আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই মমি ভাই পকেট থেকে একটা ছোট্ট চাকু বের করে ঝুড়ির মুখের বাঁধন কেটে ফেললেন পট পট করে। বেরিয়ে পড়লো একেবারে টসটসে পাকা আম। আমের সুবাসে ম ম হয়ে গেল পুরো ছাদ। আম বলে কথা, তারওপর চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম, রসালো এই ফলের স্বাদ নিতে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়লো। ছিলাছিলির বালাই নেই, সবাই হাতে হাতে আম নিয়ে ট্যাঙ্কির ট্যাপে ধুয়ে কামড় বসাতে লাগলো। যেন অমৃতের সাগরে ভাসছে, সবার চোখেমুখে এমনই এক অদ্ভুত ভালোলাগা।
ধন্ধে পড়ে গেলাম আমি, ফেব্রুয়ারিতে আমার বর আম পেল কোথায়, সে কি জাদু জানে?
বহুদূর থেকে যেন ভেসে এল কলিংবেলের আওয়াজ। বাজছে… বেজেই চলেছে…। ফট করে ঘরের লাইটটা জ্বলে উঠলো। আমার বর মশারির এক কোণা তুলে আমাকে বলছে, ওঠো, তোমার রানীর মা চলে এসেছে…
৮৭টি মন্তব্য
ইঞ্জা
আপু উপস্থিতি দিয়ে গেলাম, আগামীকাল কমেন্ট করবো।
রেহানা বীথি
ভাইয়া, কোথায় আপনি?
ইঞ্জা
এসে গেছি আপু, আপনার ঘুম ভাঙ্গার আগেই দুলাভাইসা কল দিয়ে সবাইকে নিয়ে আসছেন, চাপাইনবয়াবগঞ্জের আম খাবেনা এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি, সবাই আম খাবে, তাহলে আমিও বাদ যাবো কেন?
চলে এলাম সবাই।
আপনার স্বপ্নের গুণ সেইরকম আপু, আমের স্বাদ নেওয়ার আগেই সাথে সাথে স্বপ্নও শেষ , ইশ এইটা কোনো কথা হলো? 😏
এইবারের পর্ব অন্যবারের মতোই চমৎকার হইছে, দুলাভাইসাকে ধন্যবাদ, এমন দুলাভাই কয়জনেই বা পাই বলুন। 😁
রেহানা বীথি
খুব খুশি হলাম ভাইয়া। আপনি স্বপ্ন না দেখলে আমাদের কারোরই স্বপ্ন দেখা হতো না। সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই আপনার প্রতি। ভালো থাকবেন ভাইয়া, দোয়া করবেন আমাদের জন্য।
ফয়জুল মহী
সুশোভিত ও সৌন্দর্যময় কথামালা ।
রেহানা বীথি
অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময়।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
হা হা হা দারুন লাগলো আপু। ফেব্রুয়ারি মাসে পাকা আমের জলসা। স্বপ্নেই কতকিছু সম্ভব। কিন্তু তৌহিদ ভাইয়ের কি হবে , সেই যে ধুচ্ছে তো ধুয়েই যাচ্ছে। সাবান ডজন খানেক শেষ হলো সেই গত সপ্তাহ থেকে, তবুও কালি গেল না। ভাবির মনের অবস্থাটা একটু ভাবুন এসেছে মজা করতে বরের এই অবস্থায় কেমনে সে ভালো থাকে? আপনার শাড়ি, সাজুগুজু খুবই মিষ্টি আর সুন্দর আপনার মতোই। দুলাভাই ভারী রসিক মনে হচ্ছে। সাবিনা আপু এখানেও ঝাড়ি অব্যাহত রেখেছে। খুব ভালো লাগলো আপু। শুভ কামনা রইলো। এই উপলক্ষে অনেক দিন পর আপনার লেখা পেলাম এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
বন্যা লিপি
ও ছোটদিভাই, গত সপ্তাহ পেলেন কই? মাত্রতো তিনদিন হলো! আর সাবিনা ঝাড়িঝুরি না দিলে চলবেই না! সাবিনাই পারে সব্বাইরো ঝাড়ির উপরে রাখতে😆😆
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ঐতো নতুন সপ্তাহ পড়ছে। এখনো গেল না
রেহানা বীথি
একদম ঠিক কথা বন্যা আপু। সাবিনা আপু মমতাভরা ঝাড়ি না দিলে চলবেই না।
রেহানা বীথি
দেখি, যূথি আপু তৌহিদ ভাইকে এই অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে পারেন কি-না, মিষ্টি শবনম ভাবীর জন্য সত্যিই খুব খারাপ লাগছে আপু। আপনিসহ আমাদের সোনেলার নারী ব্লগারগণ সবাই খুব মিষ্টি আর ব্লগের সবার আন্তরিকতায় মুগ্ধ হই বার বার। সে কারণে তো ব্লগটাকে এত আপন মনে হয়। নানা জটিলতায় আটকে আছি বলে হাজির হতে না পারলেও সবসময় সাথেই আছি আপু। ভালো থাকবেন সবসময়।
তৌহিদ
আপনারা কালো সানগ্লাস খুলে ফেলুন! আমার ফর্সা মুখ দেখতে পারবেন ☺
রেহানা বীথি
সুপর্ণা আপু রেডি হন তুলাঝুনার হুমকির জবাব দেয়ার জন্য।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
হা হা হা আমি কি পারবো?
রেহানা বীথি
পারতেই হবে আপু
জাকিয়া জেসমিন যূথী
লেখাটা ভীষণ ভালো হয়েছে বীথি আপু। এত মজার আর এত পারফেক্, সত্যি অসাধারণ লেখনী। আমার বেলায় কী যে হবে। মাথা একদম শুন্য।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আরে তুমি তো ফাটিয়ে দিবে । ভালো লিখো।
রেহানা বীথি
আপনি আমার চেয়ে অনেক অনেক ভালো লিখবেন যূথী আপু, আমি তা জানি। অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা নিরন্তর। লেখা শুরু করে দিন।
বন্যা লিপি
হা হা হা……জেরটা ভালোই টেনে ধরেছেন উকিলআপু😊 এক্কেবারে হগ্গলডির ভাষাটারে একদম ঠিকঠাক বসাইয়া দিছেন। সবচেয়ে লক্ষনিয় ব্যাপার হলো, আপনার স্বপ্ন অসাধারন সেফসাইড অবলম্বন করলো, এক্কেরে ফ্লাটের ছাদে উঠাইয়া নিয়া আসলেন, হেব্বি ঝামেলার হাত থাইক্কা😆😆। তবে কৌশুলী মারপ্যাঁচে ফাল্গুন মাসে জৈষ্ঠমাসের নির্যাস দিয়ে দিলেন জমিয়ে। মারহাবা।
তবে আমি কিন্তু আপনার পরিপাটি সাজসজ্জার প্রশংসা ঢাকঢোল পিটিয়েই করবো। চুল বাঁধা থেকে হাতের কাঁচের চুড়ি, কানের দুল, আঙুলের নেলপলিশ, কপালের ম্যাচিং টিপ, ছোট্ট আয়ত চোখের মার্জিত টানা কাজল, আর সংযত রঙোর লিপস্টিক, বেগুনীর রঙে মেশানো হলুদ ফুলের শাড়িতে আপনি সেই ঝিরি ঝিরি ফাগুন বৃষ্টি ধোয়া সকালে অপরুপ ফাগুনের আগুন জ্বেলেছেন। দুলাভাই কি আর চোখ টিপ দেবার সুযোগ হাতছাড়া করার কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারেন? কক্খনো না।
যে স্বপ্নের রেলগাড়ি শুরু হলো সোনেলায়, আমার বিশ্বাস, প্রতিটা স্বপ্ন প্রকাশিত হবার পরেই সব ব্লগারদের একটা কমন মন্তব্য থাকবেই; তা হলো — এমন একটা জম্পেশ আড্ডা আমরা আবার কবে উপভোগ করবো?
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সত্যিই বীথি আপুর পরিপাটি সাজ অনেক অনেক ভালো লাগে। এতো কিউট আপুটা। দুই মেয়ের মা মনেই হয় না
রেহানা বীথি
আপনার কথা শুনেও হালকা লজ্জা পেলাম সুপর্ণা আপু।
রেহানা বীথি
সাবধানের মার নাই বন্যা আপু। ঢাকা শহরের কিছুই চিনি না, কোনও জায়গার বর্ণনা দেয়ার রিস্ক না নিয়ে ছাদে উঠিয়ে দিলাম সবাইকে। 😆😆
আপু, আমি কিন্তু হালকা লজ্জা পেলাম, আপনার মুখে আমার বর্ণনা শুনে।
একদম ঠিক বলেছেন আপু, রেলগাড়ির যাত্রা অব্যাহত থাকুক নতুন নতুন টপিক নিয়ে। মিলবো সবাই প্রাণের টানে বার বার। এই সময়টা বড় বেশি বিষণ্ণ করে তুলেছে আমাদের। স্বপ্ন নিয়ে সবার মেতে ওঠা সেই বিষণ্ণতা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি দিয়েছে।
ভালো থাকুন আপু সবসময়। শুভকামনা নিরন্তর।
বন্যা লিপি
একদম ঠিক। ইঞ্জা ভাইজান সোনেলার নতুন অফিসের উদ্বোধনের স্বপ্ন আজ কোথা থেকে শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে শেষ হবে, সেটা দেখার জন্য যেন অপেক্ষা।। আর এই স্বপ্ন আমাদের সব ব্লগারদের একে অপরের বন্ধন দৃঢ় করে দিচ্ছে তা আর বলার বাকি রাখেনা।
রেহানা বীথি
বন্যা আপু, একদম।
সুরাইয়া পারভীন
সত্যিই আপু ওরফে মিষ্টি আপু
এমন একটা জম্পেশ আড্ডা চাই-ই-চাই
নিতাই বাবু
সেদিন আমিই বুদ্ধিমানের কাজটা করেছিলাম। সাথে করে ছাতিটা নিয়েছিলাম বলে ঠাণ্ডা থেকে কিছুটা রক্ষা পেয়েছিলাম। তৌহিদ দাদাকে কালি মাখা আগে থেকে আমি বান্দা হুশিয়ার করে দিয়েছিলাম, তৌহিদ দাদাকে। কিন্তু না, উনি আমার কথা শুনলেন না, উনি শুনলেন পোংটা ইঞ্জা দাদার কথা। উনি তৌহিদ দাদা যদি আমার কথা শুনে একটু সাবধে থাকতো, তাহলে আর বন্যা লিপি-সহ আরও দিদিরা তৌহিদ দাদাকে এভাবে হেনেস্তা করতে পারতো না। যাক সেকথা, মনির দাদা যে আমগুলো বস্তা থেকে বের করেছিল, সেগুলো চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম ছিল না, সেগুলো নারায়ণগঞ্জের সোনার গাঁওয়ের আম ছিল। তবে হ্যাঁ, আমি কিন্তু একটা আমও ভাগে পাইনি। পেয়েছি আমার আঁটিগুলো। সেই আঁটিগুলো যখন ঘুমের মধ্যে চুষতে ছিলাম, তখন আমার ভোদাই গিন্নী আমাকে ঠেলে ঘুম থেকে জাগালো। আমি তখনো আমের আঁটিই চুষতে ছিলাম।
রেহানা বীথি
সে কী দাদা, আম হাইজ্যাক হলেও কথা ছিল, কিন্তু এ যে চাঁপাইনবাবগঞ্জকে কিডন্যাপ করলেন!
কিন্তু আপনি ভাগে আম পেলেন না কেন? তখন কি কোনও কারণে ছাদ থেকে ডিসপ্লেস হয়ে গেছিলেন দাদা? তবে আমের আঁটিও কিন্তু কম স্বাদের নয়! যাইহোক, তৌহিদ ভাই নিশ্চয়ই এরপর আর ভুল করবেন না, সবসময় আপনার পরামর্শ মত কাজ করবেন। বৌদিকে আমার ভালোবাসা জানাবেন আর ভালো থাকবেন সবসময়। শুভকামনা নিরন্তর।
নিতাই বাবু
আমি কাড়া-কাড়ির মধ্যে নেই, দিদি। সবাই যখন আম নিয়ে কাড়া-কাড়ি করছিলো আমি তখন বিস্মিত হয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম। এতগুলো আম মুহূর্তের মধ্যেই যে শেষ হয়ে যাবে, তা আর আমার ভাবনায় ছিল না। তাই শেষমেশ আমের আঁটিই চুষতে হলো, কী আর করা!
বন্যা লিপি
দাদা বাবু😂😂😂😂😂
নিতাই বাবু
ব্যাপার কী? কেউ মজা করতে আসে না কেন? হয়তো এখানে মজার মানুষ নেই! তাই “এসেছি আকলা, যাবো একলা।”
রেহানা বীথি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম এমনই দাদা, কাড়াকাড়ি করে না খেলে ভাগে পাবেন না। কিন্তু মমি ভাই যে বললেন, আমে কারও কম পড়েনি, রহস্য কি দাদা!! 😃😃😃
তৌহিদ
পোংটা!! ইঞ্জা ভাই নিখাদ ভদ্রলোক কিন্তু!! ☺
নিতাই বাবু
আমরা মজার লোককে সচরাচর পোংটা বলি! ইঞ্জা দাদা আবার রাগ করেনি তো!
আলমগীর সরকার লিটন
পুরপুরি সত্যলেখেছেন আম আর আম কি টক দাঁতে কিছু কামর দিতে পারছি না
অনেক শুভেচ্ছা রইল বীথি আপু——————-
রেহানা বীথি
ভাই, আম মোটেও টক ছিল না, দাঁতে কোনও সমস্যা থাকলেও থাকতে পারে। ভালো থাকবেন ভাই সবসময়। শুভকামনা নিরন্তর।
আলমগীর সরকার লিটন
না আপু সেটা নয় গতকাল আম কিনেছিলাম সেটা খেতে খুব টক লাগছিল তাই——-প্রকাশ করলাম
রোকসানা খন্দকার রুকু।
ভালো লিখেছেন আপু॥
রেহানা বীথি
অনেক শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা দিলাম। ভালো থাকবেন সবসময়।
মনির হোসেন মমি
হা হা হা শেষটায় এমন চমক আসবে ভাবতেই পারিনি।ভেবেছিলাম আপু মনে হয় এবার ফেসে গেল। এবার বুঝতে পেরেছেন নিশ্চয় দুলাভাই আপনাকে কেন চোখ মেরেছিল? আর তৌহিদ ভাইয়ের কথা কী বলব! বেচারা!
দুলা ভাই সোনেলার পুরো টিমের একটি লিষ্ট ধরেই আম পাঠিয়েছিলেন…এ যাত্রায় কেউ বাদ পড়েননি বরং তৃপ্তির ঢেকুর গিলেই সবায় আনন্দে মেতে ছিলেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ বীথি আপু ও দুলা ভাই।সুন্দর একটি আয়োজন।
বন্যা লিপি
আমার তো ইচ্ছা মনির ভাই, তৌহিদ ভাইরে নারী ব্লগার সবাই নিজ নিজ স্বপ্নে এরকম বেকায়দায় ফালাইতে😂😂😂 স্বপ্ন জমবো ভালা😆😆
মনির হোসেন মমি
হুম।প্রতি পর্বেই মুল ক্যারেক্টার হিরো হিরোইন(তৌহিদ-শবনম ভাবী)কে টেনে আনলে গল্প জমে উঠবে।
তৌহিদ
বন্যা আপু, এরকম করলে খেলবোনা। জানেননা বোধহয় স্বপ্নের ট্রাম্পকার্ড আমার হাতে। শেষপর্বে সব্বাইরে তুনাঝুনা করবো কিন্তু ☺
তৌহিদ
মমি ভাই, কি সব উদ্ভট কুটবুদ্ধি দিচ্ছেন এগ্লা!!
বন্যা লিপি
তৌহিদ ভাউ, শেষ হয়েও,হইবেনা শেষ এও কইয়া রাখলাম। আপনে তুনাঝুনা করবেন, আর আমি পরের পর্বে ছাই উড়াবো । কই আমার সাঙ্গোপাঙ্গরা, সুরাইয়া নার্গিস, সুরাইয়া পারভীন, সুপর্ণা ফাল্গুণী ছোটদি, রেহানা বিথী উকিল আপু, সাবিনা ইয়াসমিন ওরফে ময়না।
তৌহিদ ভাই আমারে হুমকি ধমকি দিচ্ছে, কেউ কিছু কও।
রেহানা বীথি
হুমকির পরিণতি তৌহিদ ভাই মোটেও আন্দাজ করতে পারছেন না বন্যা আপু। পারলে এত তেড়িবেড়ি করেন? তুলাঝুনা কারে কয়, দেখানোর জন্য সবাইকে জলদি একজোট করেন আপু।
সুরাইয়া পারভীন
আমরা সবাই আছি তো ভাইয়া
আমার মিষ্টি আপুদের হুমকি
জাস্ট অপেক্ষা করুন 😏😏
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আছি আপু । তৌহিদ ভাই নারী শক্তি র খবর টের পাবে কেজিতে কেজিতে
রেহানা বীথি
সবাই তৃপ্ত হয়েছে জেনে প্রীত হলাম মমি ভাই, কিন্তু নিতাই দাদা নাকি আম পাননি, ঘটনা কী??
রেহানা বীথি
একদম ঠিক কথা বন্যা আপু, কায়দা করে বেকায়দায় ফেলা চলুক তাহলে!
বন্যা লিপি
ইহা আমার প্রস্তাব সকল নারী ব্লগারদের উদ্দেশ্যে😁😁
মনির হোসেন মমি
নিতাই দাদার আম দাদাকে যখন সবাইকে দিতে বলেছি তখন তারটা আগেই খেয়ে নিয়েছেন।বন্টন শেষে যখন তার হাতখালি তখন মনে হল তিনি খাননি কারন আমগুলো সে যখন হাতে হাতে দিলেন তখন কেউ আর খেতে দেরি করেননি তাই সবায় যখন আম খাওয়ায় ব্যাস্ত তখন তার চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কোন উপায় ছিলো না।
তবে আমি তাকে নিশ্চিত করেছি বীথিআপু খুব ভাল মানুষ তিনি আমাদের আবারো চাপাই (বাস্তবে) আমের দাওয়াত দিবেন।
রেহানা বীথি
নিতাই দাদার ঘটনা তাহলে এই! মমি ভাই, সবাই ভালো থাকি, এই দুর্যোগ সরে যাক তাড়াতাড়ি, নিশ্চয়ই স্বপ্নে নয়, বাস্তবে আম খাওয়াতে পারার সৌভাগ্য যেন হয় আমার। দোয়া করবেন।
সুপায়ন বড়ুয়া
হোটেল, বাগান বাড়ি, যাদুঘর রেখে ছাদে তুলে বিনে খরচায় মিলন মেলা সারলেন আপু ?
বুদ্ধি আছে বটে।
লেখার কারুকার্যে মাহাত্যটা ফুটে।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
রেহানা বীথি
বুঝতে হবে, উকিলি প্যাঁচ দাদা! 😆
ভালো থাকবেন সবসময়। শুভকামনা নিরন্তর।
আরজু মুক্তা
যাই হোক সোনেলার মিলনমেলা হলো। সবার খাওয়া দাওয়াও হলো। সবকিছু ভালোই সামলালেন।
আর আপনাকে বেগুনি হলুদ ফুলের শাড়িতে ভালোই লাগছে।
তৌহিদ ভাইয়ের কালি কি উঠবেনা?
আমার দেশি ভাইয়ের পিছনে আর কেউ লাগিয়েন না!
গল্প ভালোই জমছে।
বন্যা লিপি
এত টান কেরে তৌহিদ ভাইর লইগ্য। কতৃপক্ষের কাছে জোর আবেদন করতে হবে স্পেশাল সাবান দেওনের😂😂😂
রেহানা বীথি
অনেক ধন্যবাদ আপু। তবে তৌহিদ ভাইয়ের ওপর দেশি ভাই বলে টান দেখাতে গিয়ে আবার রমণীকূলের রোষের শিকার হবেন না তো!
ভালো থাকুন, শুভকামনা নিরন্তর।
সিকদার সাদ রহমান
পাঠ করলাম। প্রতিটি পর্ব বেশ ভালোই জমেছে। এই পর্বে বেশ আকর্ষণ লক্ষ্য করা গিয়েছে। ছাদের উপর হাল্কা বৃষ্টিতে ভিজে আড্ডায় মশগুল হওয়া। চাপাইর আম খাওয়া। এগিয়ে চলুক গল্প।
রেহানা বীথি
আপনার সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময়, শুভকামনা নিরন্তর।
শবনম মোস্তারী
আাহা!
ফেব্রুয়ারী মাসে আম খাচ্ছি ভাবতেই ভালো লাগছে..😍😍
দুলাভাই গ্রেট..💚
হালকা বেগুনি রঙয়ের শাড়ি তে আপনাকে কি যে মিষ্টি দেখাচ্ছে আপু, তা কল্পনা করতে পারছি..। 💓💓
তৌহিদের মুখের কালি এই পুরো সফরে মনে হয়না আর উঠবে…😀😀😀😀
স্বপ্ন অনেক ভলো লাগলো আপু..
রেহানা বীথি
কালি ফিকে হলেও নতুন নতুন কায়দায় তাকে বেকায়দায় ফেলার ব্যবস্থা করবেন নারী ব্লগারগণ, মুক্তি নেই ভাইটার আমার
ভালো থাকুন মিষ্টি বোন। অনেক অনেক ভালোবাসা।
শবনম মোস্তারী
ব্লগার তৌহিদ এবার ভালো ফেসে গেছে.. 😀😀
শবনম মোস্তারী
#ভালো
সুরাইয়া নার্গিস
চমৎকার লিখছেন আপু।
বেগুনী রংয়ের শাড়িতে আপনাকে দারুন লাগছে, আর সাঁজটা তো সেই হয়েছে আপু।
মনের চোখ দিয়ে দেখে নিলাম,আম খেলাম দারুন মজা করে।
ইসস তৌহিদ ভাইয়ার মুখের খালি তো বড় আপু (বন্যা) তৈরি, সেটা এখনো যায়নি।
দুঃখজনক আপাতত ঘষতে থাকুন,আশা করি ওঠে যাবে।
এমনি একটা মিলনমেলায় থাকতে পেরে খুব খুশি হলাম আপু।
ভালো থাকুন,
শুভ কামনা রইল।
রেহানা বীথি
তৌহিদ ভাইকে সবার স্বপ্নে বেকায়দায় ফেলার জন্য তো বন্যা আপু ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন। মুক্তি নেই তার।
অনেক ধন্যবাদ আর ভালোবাসা আপু। আপনার মনের চোখে নিজেকে দেখে বড় ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন সবসময়।
তৌহিদ
যাক বাবা, বাঁচা গেলো। আমাকে অন্তত মুখ ধোবার সুযোগ দিয়েছেন স্বপ্নে! ছাদের আড্ডাটা,কিন্তু জম্পেশ হয়েছে। হেলাল ভাই উদাস মনে আকাশের দিকে চেয়ে আছে ভাবতেই হাসি পাচ্ছে 😃😃
দুলাভাই আমাদের মনের কথা জানতেন। আম পাঠিয়ে তিনি একটা কাজের কাজই করেছেন কিন্তু। সবাইকে একরঙা শাড়িতে দারুণ মানাচ্ছে।
আপু আপনার স্বপ্নে নিজেও বিমোহিত হলাম। আবার আসছি পরে।
রেহানা বীথি
হেলাল ভাই কিন্তু উদাস হয়ে কঠিন একটা কবিতা লিখবেন, সাবধান। 😃
ভাইয়ের দুঃখ কি আর সহ্য হয়? তাই তো ছাদে মুখ ধোওয়ার ব্যবস্থা করে দিলাম।
ধন্যবাদ ভাই, আসুন আবার, অপেক্ষায় রইলাম।
সুরাইয়া পারভীন
আমি না হয় সাজগোজে আনাড়ি তা বলে বলতেও পারবো না কেমন সাজ হয়েছে। আমাকে জিজ্ঞেস করতে পারতেন তো😏😏
আমাদের দুলাভাই দেখছি হেব্বি রোমান্টিক। সবার সামনেও😱😱
দুলাভাই সত্যিই ম্যাজিশিয়ান নয়তো ঐ সময় আম পেলো কোথায়
দারুণ লিখেছেন আপু 💜
রেহানা বীথি
অভিমান করে না আপু, সুপর্ণা আপু কাছাকাছি থাকায় তাকেই জিজ্ঞেস করেছিলাম।
তাই তো দেখছি, আপনার দুলাভাইয়ের জাদু জানার বিষয়টা আগে জানতাম না আমিও।
লেখা ভালোলাগায় খুশি হলাম আপু। ভালো থাকবেন সবসময়।
সুরাইয়া পারভীন
হেব্বি অভিমান করেছি হুম 😛😛
হা হা হা হা হা
দারুণ এগিয়ে যাচ্ছে স্বপ্ন গল্প 👏👏
মোঃ মজিবর রহমান
সাজু কারো চোখেই পরল না। তা নই, আমি কিন্তু মুগ্ধ হয়েই আপনার সুন্দর পরিপাটি সাজুগুজু দেখছুনু আর প্রফুল্লবদনে সৌন্দর্জের ঘূটিনাটি দেখেই হাসতে ছিলাম। আপু এতী সুন্দর একা একাই সাজতে পারে!.
মনির ভাই আমের ঝুড়ি তুলতে কোমরে ব্যাথা পাওয়ার দরুন ভাবির৷ হাতের ছ্যাকা কাইছে তা শুনছেন?
আর কি বলব তৌহিদ ভাইয়ের কালির কিথা।
কাগজ না পাইয়া কলিজা কাটিয়া কাগজ বানায়া কালি দিয়া লিখিল ভাবির কলিজায় চঠি।
রেহানা বীথি
হা হা… মনির ভাইয়ের এই অবস্থা জানতাম না তো! একা একা ঝুড়ি তোলার দরকারটাই কি ছিল?
নাহ্ তৌহিদ ভাইয়ের মুখে আর কালি রাখা যাবে না দেখছি, তা না হলে সে চিঠি লিখতেই থাকবে।
যাইহোক, ভালো থাকবেন ভাই, শুভকামনা রইল।
মোঃ মজিবর রহমান
আল্লাহ সহায় ভাল আছি, ভাল থাকুন
রেজওয়ানা কবির
ভালো হয়েছে আপু। তবে সব পর্বেই সোনেলার সবার দেখা হচ্ছে এই ব্যাপারটা একি হচ্ছে তবে ভুল ঠিক জানি না এটা আমার মত।।।
রেহানা বীথি
সবার দেখা না হলে আড্ডা জমবে কিভাবে আর আড্ডার তো মজাই আলাদা, তাই না আপু?
ভালো থাকবেন সবসময়।
শুভকামনা রইল।
খাদিজাতুল কুবরা
আপু, সোনেলায় আঁই নতুন জয়েন কইচ্ছি। এই গল্পের মইধ্যেই আঙ্গো হইলা পরিচয়।
মাশাআল্লাহ আন্নের গল্প খুব ভালা লাইগছে। আইসতে আইসতে পেট ব্যাথা।
স্বপ্নের মইধ্যে দুলাভাইরে শাসনেে রাইখছেন এক্কেরে ভালা কইচ্ছেন নইলে আবার তৌহিদ ভাইর মতো ধরা খাইতো।
রেহানা বীথি
আপনার সাথে পরিচিত হয়ে ভালো লাগলো খুব। সোনেলায় অনেকদিন আসা হয়নি, তাই পরিচয় হতে দেরি হল।
খাদিজাতুল কুবরা
আপু খুব সুন্দর একটি গল্প পড়ার সৌভাগ্য হল।
খুব ভালো লিখেছেন।
অনেক মজা করে পড়েছি। সবার কমেন্ট গুলোও ভীষণ মজার।
স্বপ্নেে সবার বর্ণনা কল্পনা করতেই খুব ভালো লাগছে বাস্তবে এমন কিছু হলে কতোনা সুন্দর লাগবে সবাইকে।
দুলাভাই যে খুব মজার মানুষ সেটা ও বুঝতে পারছি।
সবমিলিয়ে অসাধারণ অভিজ্ঞতা হচ্ছে সকলের স্বপ্ন গল্প পড়ে।
শুভেচ্ছা রইল আপু।
রেহানা বীথি
আপনার ভালোলাগায় খুব খুশি হলাম আপু। নিশ্চয়ই একদিন এমনভাবেই দেখা হবে সবার, সেই দিনের প্রতীক্ষায় রইলাম।
ভালো থাকুন আপু সবসময়।
শুভকামনা নিরন্তর।
সাবিনা ইয়াসমিন
তৌহিদ ভাইয়ের মুখ ধোয়ানোর কাজে ব্যস্ত ছিলাম আপু, এই জন্য তখন আপনার সাজুগুজুর বিস্তারিত প্রশংসা করতে পারিনি। আপনার শাড়ি-চুড়ির চাইতে আমার চোখ দুটো বেশি আকর্ষণ করে আপনার কপালের টিপ। টিপ গুলো বেশ মানিয়ে যায় আপনার মিষ্টি মুখের সাথে 🙂
আর এইদিকে তৌহিদ ভাই, সে ট্যাংকের পানি সব শেষ করে ফেলছে মুখ ধুয়ে, অথচ তার মুখ ধোয়াই শেষ হচ্ছে না। আবার আমাকে তার সামনেই আয়না হাতে দাঁঁড় করিয়ে রেখেছে। প্রতিবার মুখ ধুয়ে সেই আয়নায় মুখ দেখে আর ভ্যাঁ করে কান্না করে,, বলে মুখের রং সোনালী না হওয়া পর্যন্ত নাকি ধুতেই থাকবে 🙄🙄
রেহানা বীথি
হা হা… তৌহিদ ভাইকে পার্লারে পাঠিয়ে দিন আপু। সোনালী কেন, নীল হলুদ যে রঙ চাইবেন, মুখের রঙ তেমনই হবে।
ভালো থাকবেন আপু সবসময়।
শুভকামনা রইল।
ছাইরাছ হেলাল
সাজুগুজু, শাড়ী আর চাপাই এর দুলাভাই! হুম নিজের ঢোল নিজের কাছে রাখাই ভালো।
মনে হচ্ছে আড্ডাটি কোন নারীস্থানে হয়েছে।
গুছানো গল্প গুণী লিখিয়েরাই লেখেন! তা বুঝতে পারছি।
রেহানা বীথি
আমি শুধু লিখতে চেষ্টা করেছি ভাইয়া।
অনেক ভালো থাকবেন।
শুভকামনা সবসময়।
জিসান শা ইকরাম
মুগ্ধ হয়ে পড়লাম গল্প। প্রকৃত লেখক কিভাবে গল্প লিখতে হয় দেখিয়ে দিলেন আপনি।
কেউ সাজসজ্জার প্রসংসা করলোনা, আহারে।
তৌহিদ ভাইর মনের অবস্থা বুঝতে পেরে খারাপই লাগছে।
স্বপ্নে আম যে কোনো মাসেই আসতে পারে।
চমৎকার হয়েছে আপনার পর্বটি।
সবার আন্তরিক অংশগ্রহনে স্বপ্ন সফল হচ্ছে সবার।
শুভ কামনা আপু।
রেহানা বীথি
চোখের সমস্যা নিয়েও আপনি আমার স্বপ্নে এসে মন্তব্য করায় ভীষণ খুশি ভাইয়া। দোয়া রইল সুস্থতার। শুভকামনা নিরন্তর।
উর্বশী
খুব ভাল লেগেছে। আশা করি আগামী মিলন মেলায় দেখা হবে বিউটিফুল আপু। ভাল থাকুন,অফুরান শুভ কামনা।
রেহানা বীথি
আমরা আশায় বাঁচি, অবশ্যই দেখা হবে আপু। ভালো থাকবেন সবসময়।