
প্রিয় শিরিন হকের কাছে তার স্বপ্নের কথা শুনে সারাদিন একা একাই হেসেছি। বাসায় ফিরে আমার স্ত্রীকেও স্বপ্নের গল্পটা শোনালাম। তিনি নাউজুবিল্লাহ বলে রান্নাঘরে চলে গেলেন।
রাত প্রায় ১০ টা, বউরে কইলাম, যলদি কইরা খাইতে দেও। তাড়াতাড়ি খেয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমাইতে হবে।
ক্যান? এতো যলদি ঘুমাইয়া কি করবা? আইজ আবার নতুন কোন ফন্দী বানাইতেছো?
আরে ফন্দী ফিকিরের কী আছে? তুমি খাইতে দেও, আইজ রাইতে স্বপ্নে দেখতে হবে। মেলা কাজ!
এ…..হ! মেলা কাজ! তুমি তো সারাজীবন নিজের বউ রাইখ্যা মাইনষের বউ, ক্যাটরিনা, প্রিয়ংকা আর দীপিকারে স্বপ্নে দেহো। একবার মইরা লও দেখবা আল্লায় কেমন স্বপ্নের বিচারডা করে তোমার!
সোনেলায় গল্প লিখতে হবে। স্বপ্নে দেখা বিষয়টা অতীব জরুরী, তারে কেমনে বুঝাই? আমি যে এতো একজন মূল্যবান মানুষ, সোনেলায় ব্লগার, কবিতা লেখি, তার উপর সাংঘাতিক (সাংবাদিক) নিজের অন লাইন নিউজ পোর্টাল আছে। মানুষ আমার ইনবক্সে এসে প্রশংসা করে, কবিতায় কতো সুন্দর সুন্দর কমেন্ট করে বই মেলায় আমার বই ও ছাপা হবে, অথচ আমার বউ আমারে চাইর আনার পাত্তাও দেয় না! গুনীজনরা সাধেই কী বলেছেন মক্কার মানুষ হজ্জ পায় না আর দরজার ঘাস গরুতে খায় না।
খেয়ে দেয়ে শুইলাম, আর মনে মনে বলি আল্লাহ আগে যা দেখছি, দেখছি। আজকের স্বপ্নটা ভালো দিও। কখন যে চোখ লেগে এসেছে জানি না। এর মধ্যেই বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবতে লাগলাম আচ্ছা এতো ব্লগার সোনেলায়। সবাই মনে হয় লিখালিখি নিয়েই ব্যস্ত। কে এখন কি করে এই রাতে একবার দেখে আসলে কেমন হয়? সাবিনা আপার বাসা আমার বাসার সবচেয়ে কাছে, তার বাসায় আগে যাই। যদিও কোরবানিতে দাওয়াত তো পাই ই নাই এক প্যাকেট গোস্ত সেটাও পাইলাম না। বিনা দাওয়াতে গোস্ত খাইয়া আসি। মনে এক রাশ দুঃখ নিয়া হাসতে হাসতে সাবিনা আপার বাসায় হাজির। গিয়ে দেখি এই রাতে আপা কচু গাছে পানি দিচ্ছেন।
সাবিনা আপা, এতো রাতে কচু গাছে পানি দিচ্ছেন? তাছাড়া কচু গাছে কি পানি দেয়া লাগে নাকি?
হ্যা রে ভাই লাগে, লাগে। একজনে চাইছে, সে চিংড়ি মাছ নিয়ে বসে আছে। তারে দেয়া লাগবে অথচ গাছ ব্যাটা বড়ই হচ্ছে না মোটে। ঠিক আছে আপা, আপনি পানি দেন, আমি যাই আরেকদিন আসবো। মুখ দিয়ে কাশি চলে এলো। একদিন আমিই তার কাছে তার বাগানের কচু শাক চাইছিলাম! সে কি আমারে কিছু বললো? যাই হউক আমার মাথায় বুদ্ধি কম। আমি বুঝি নাই। তার বাসায় গরুর গোস্তের ঘ্রাণ আমার নাক থেকে পেটে চলে যায়। এ যাত্রা এভাবেই খাও বাছা! এই ঘটনার পর আর কোথাও যাওয়ার সাহস করলাম না।
দুপুর বেলা ডাইরেক্ট হাজির হলাম তৌহিদ ভাইর আমন্ত্রনে মিলন মেলায়।
সবাই এসেছেন, আমিই দেরিতে উপস্থিত। অবশ্য যারা সবচেয়ে লেট করে এ জাতীয় প্রোগ্রামে উপস্থিত হয় তাদের একটা বিশেষত্ব রয়েছে, সেটা হচ্ছে তাকে আর নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিতে হয় না। সবাই এম্নিতেই তাকায় কে ভাই এতো দেরি করে এলো? শুধু একটা সালাম দিলেই কেল্লা ফতে। বাকি সবাই বুঝে নেন এই তো তিনি। যার কথা আমরা জীবনেও আলোচনা করি নাই।
এই প্রথম সোনেলার গেট টুগেদারে হাজির। কিছুটা ইতস্তত তো লাগছেই। হল রুমের দরজায় দাঁড়িয়ে সবাইকে সালাম দিয়েই ঢুকলাম সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। যদিও ব্লগে কম বেশী আলোচনায় সবার সাথেই পরিচয় রয়েছে কিন্তু সশরীরে এই প্রথম। সবাই আমার দিকে দেখলেও আমি নিয়মের বত্যয় ঘটাতে পারলাম না। সালাম দিয়ে দরজায় দাঁড়িয়ে রুমের ভেতরে যেতে থাকলাম। ব্লগের সবাই আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছেন। কেউ ভাবছেন ওহ এইটা তো একটা পিচ্চি পোলা মানে সেই দিনের ছেলে। আবার কেউ ভাবছেন বুইড়া। আমি কিছু ভাবি না সোনেলার মধ্যমনি সুন্দর গড়নের মিষ্টি হাসির মানুষ জিসান শাহ ইকরাম এর দিকেই আমার নজর যায়, তিনি টেবিলের নীচে মানি ব্যাগ নিয়ে বার বার কি যে দেখছেন? মানি ব্যাগে করে কি নকল নিয়ে এসেছেন কিনা কে জানে? আজকের বক্তব্য কাগজে লিখে এনে মুখস্থ করছেন নাকি মানি ব্যাগে রেখে? এর মধ্যে আবার টাকাও গুনছেন দেখা যায়। বুঝলাম অবশেষে ভদ্রলোক মিলন মেলার বিল পরিশোধ নিয়েই হয়তো ভাবছেন।
রুমের এক কোনায় কয়েকটা প্যাকেট রাখা।বোঝাই যাচ্ছে তাতে জিলাপি রাখা আছে। গরম গরম জিলাপি আমার খুব পছন্দ। হাঁড়ি ভাংগা মিষ্টি ও নিয়ে এসেছিলেন তৌহিদ ভাই। এতো লোকের মাঝে একা গিয়ে জিলাপি আর মিষ্টি খাওয়াকে অশালীন মনে হলো। লোভ সংবরন করে চেয়ারে বসলাম। কিন্তু আমি চেয়ারে বসলে কি হবে মন তো জিলাপির ঠোংগার মধ্যে কড়া ভাজা জিলাপিটা খুঁজে বেড়াচ্ছে।
বন্যা আর সাবিনা আপা পাশাপাশি বসা। সাবিনা আপা নাকি বন্যা আপার উপহার দেয়া কানের দূল পড়ে এসেছিলেন। পরে জানতে পেরেছিলাম। সাবিনা আপাও বন্যা আপাকে কোন গিফট দিয়েছিলেন কিনা জানা হলো না। দুজনের সে কী হাসি। মনে হলো সই। বন্যা আপাকে হঠাৎ সিরিয়াস মনে হইলো, ব্যাগ হাতাচ্ছেন। এতো হাসি মাখা মুখটা এতো সিরিয়াস মুডে কি খুঁজছেন ব্যাগে? হা হা হা! পানের ডিব্বা।
পান বানানো বরাবর একটা শিল্পের পর্যায়ে পড়ে। প্রথমে পান ধুতে হয়, শর্তা (অঞ্চল ভেদে একে জাতি ও বলা হয়) দিয়ে সুপারি কাঁটতে হয়, তারপর বা হাতে পান নিয়ে পর্যায় ক্রমে ডান হাতে পরিমাণ মত চুন তারপর সুপারি জর্দা খেলে জর্দা ইত্যাদি মাখাতে হয়। পানের সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্যটি হচ্ছে সেটা শিল্পের শেষ কাজ অর্থাৎ সুন্দর করে ভাঁজ করা। আর সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর দৃশ্য হচ্ছে পান মুখে দেয়া এবং চিবানো। ছোট বেলায় শুনেছি যাদের চেহারায় মায়া যতো বেশি তাদের পান ততো মজার হয়। পান বানানোর সাথে আন্তরিকতার একটা যোগসাজশ রয়েছে। বন্যা আপার পান খাওয়া দেখে মন চাইলো একটা পান তার কাছ থেকে নিয়ে খেতে। কিন্তু সাম্নে জিলাপি আর মিষ্টি দেখে আর চাইলাম না। পান পরেও খাওয়া যাবে কিন্তু জিলাপি আর মিষ্টি এখন খেতে হবে।
সুরাইয়া, রুকু, আরজু,মনি, সুপর্ণা, শাহরিন, রেহানা সহ আরো কয়েকজন নারী ব্লগারকে মনে হলো সেখানেও আলাদা একটা ব্লগ বানিয়ে ফেলেছেন। কি রকম ব্লগ? এটা হচ্ছে গসিপিং ব্লগ। আরে আপু আপনার শাড়ীটা তো অনেক কিউট। হ্যা এটা আমার হাজবেন্ড লন্ডন থেকে অর্ডার দিয়ে বানিয়েছেন, শুধু আমার জন্যে। ওহ মা তাই! আপনি খুবই ভাগ্যবতী।
আরেকজনকে বলতে শুনলাম আপনার কানের দুলটা কিন্তু অনেক সুন্দর, কোথা থেকে কিনেছেন? হ্যা আপু এটা পোড়া মাটির। চীন থেকে চীনা মাটি এনে আমি বাসায় গ্যাসের চুলায় বানিয়েছি। একদম এক্সক্লুসিভ। এই চাপা শুনে আমি একাই হেসে যাই। ব্লগার ভাইয়েরা বিশ্বাস করেন আমি ফুটপাতে বিক্রি করতে দেখছি এই দুল!
কেউ একজন একটি ডায়মন্ড এর মেগা স্টোন খচিত নেকলেস পড়ে এসেছেন।দেখতেও বেশ সুন্দরী, নামটা এই মুহুর্তে মনে আসছে না। অনেকের নজর দেখা যাচ্ছে তার নেকলেস এর দিকে! পুরোটা গলায় এতো দামী গহনা দেখে আমি হকচকিয়ে গেলাম। আমার সমস্ত শরীরে সব চেয়ে দামী জিনিষের নাম হাত ঘড়ি, যার মূল্য মাত্র তিন হাজার পাঁচশত মাত্র। যাক এসব ভেবে লাভ নেই। যা হবার গল্প সব হচ্ছে।
মমি ভাই আর সুপায়ন বড়ুয়া দুই জনে বসে সরকার পতনের আন্দোলনের ডাক দেবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বোধয়। কারো দিকে তাকাচ্ছেন না। ফিস ফিস করে কথা! পরে বুঝলাম বই মেলায় বই বের করতে চাচ্ছেন, সেই গল্প। আমারো বই বের হচ্ছে গত ৫ বছর থেকে। শুধু প্রকাশনায় আসে নি। মেলার আগে ভাবী এবারের মেলায় বই ছাপাবো মেলা শুরু হতে হতে আফসোস করি আর মেলা শেষ হলে আশায় বাধি বুক আগামী মেলায় অবশ্যই আমার বই থাকবে। এভাবেই ৫ বছর শেষ।
এখানে এসে আমার খুব মন খারাপ। আমি একটা পাতলা লোকাল মসলিন এর পাঞ্জাবি পড়ে এলাম। এটা কারও দৃষ্টিতে নাই। ক্যামেরা ম্যান এসেও যদি বলতো ভাই একটু হাসেন একটা ছবি তুলি তাও খুশি হইতাম। বিষাদগম্ভীর জীবন। এইসব মিলন মেলায় পুরুষদের এম্নিতেই দাম থাকে না!
প্রোগ্রাম চলছে, একে একে সবাই বক্তব্য দিয়েছেন সীমিত আকারে। এখন আমার বলার পালা, যথারীতি পরিচয় পর্ব চলছে। সবাই নিজ নিজ পরিচয় দিচ্ছেন। বাহ প্রত্যেকের নিজস্ব আলাদা একটা প্রতিষ্ঠিত আইডেন্টিটি আছে যা এখানে না এলে জানা যেতো না।
নিয়মমাফিক আমাকেও এক সময় দাঁড়িয়ে বলতে হল আমিই সিকদার সাদ রহমান। সাথে সাথেই কিছু ব্লগার হেসে উঠলেন। কেউ বললেন ওহ, তুমি সেই পাপি? অনেক পাপ জমা হয়ে আছে। আজ সব গুলোর শাস্তি পেতে হবে। কমেন্ট এ সবাইকে জ্বালাইছো৷
ভাই এবং বোন, আপনারা জানেন আজকের এই দিনে এই মেলায় আপনাদের জন্যে জিলাপি রয়েছে, আম রয়েছে, ঘরোয়া বিভিন্ন রান্না রয়েছে, কাঁঠাল এর বাজার চড়া তাই আনতে পারলাম না। আর রয়েছে বুক ভরা ভালোবাসা। এ ছাড়াও খাওয়ার শেষে দাঁত খোচানোর সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। খাওয়ার অন্যান্য মেনু পরে জানিয়ে দেয়া হবে। এই বলে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি। দুনিয়ার সব তালি মনে হয় আমার বক্তব্যেই এসেছে।
পাবলিক সব খাওয়ার পাগল। পুরো হলরুম টাই খাবার ঘ্রানে মৌ মৌ করে। চিকেন বিরিয়ানি, কচুর লতি, কাঁঠালের বীচি ভর্তা। আরো কতো কি সব খাবার। মানুষ গল্প করবে না খাবে আল্লাহ জানেন। আমি তো ভাই খাবোই, আর কে কি করবেন জানিনা!
প্রোগ্রাম প্রায় শেষের দিকে। খাওয়া দাওয়ার পালা। তৌহিদ ভাই জেনে বুঝেই আমাকে খেতে না বসিয়ে
খাবার দেবার সময় সকলকে দেখা শুনা করার দ্বায়িত্ব দিয়েছেন। এ জন্যে তাকে আমি মন থেকে অভিশাপ দিয়েছি। তিনিও একদিন ঠিক এভাবেই খেতে বসেও খেতে পারবেন না, তাকে খাবার দ্বায়িত্ব পালন করতেই হবে। তবে যাই হোক। সে তো আর জানেনা আমি কতোভাবে দেখতে পারি। হাতে একটা সাবান আর টিস্যু প্যাকেট হাতে নিয়ে দেখা শুরু করলাম সবাইকে।
খাবার সময় মমি ভাইর কাছে গিয়ে, স্যার আপনার আর কিছু লাগবে?
— না ভাই, আর কিছু লাগবে না, আপনি ইঞ্জা ভাইর খবর নেন, তার কিছু যদি লাগে।
— স্যার এই যে সাবান আর টিস্যু আপনার হাত ধোয়ার জন্যে স্যার।
(হাত ধোয়া শেষ)
স্যার বকশিস টা দেবেন না স্যার? আমার কান্ড দেখে সবাই হাসছে। হাসুক সমস্যা নাই, ৫০০/- বকশিস পেলাম। যাত্রা শুভ।
এবার কার কাছে যাবো ভাবছি। এহ মা, এ কি! এখন যার কাছেই যাই সেই চেয়ার ছেড়ে চলে যায় বলে আর কেউ খাবার টেবিলে বসে গল্প করে না। ওয়াশ বেসিনে হাত ধোয়ার লম্বা লাইন পড়ে গেলো! কি আর করা! গরিবের পেটে লাথি!
একা একা খেতে বসলাম। কেবল মাত্র চিকেন বিরিয়ানি এক লোকমা তুলে মুখে দিয়েছি, দাঁতে চাবিয়েছি, জিহবা দিয়ে নেরেচেরে গালের এক পাশ থেকে অন্য পাশে নিয়ে গিয়েছি কিন্তু গলা দিয়ে আর নামছে না! নামবে কী করে? আমার কর্মই তো আমার গলার ফাস হয়ে দাঁড়িয়েছে! কম করে হলেও ২০ জন ভাই ব্রাদার সবাই একটি করে সাবান এবং এক জগ পানি নিয়ে আমার খাবার টেবিলের চার পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি অগত্যা টেবিলের নীচ দিয়ে পালানোর চেষ্টাই ভালো মনে করলাম। ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি টাইপের অবস্থা।
টেবিলের নীচ দিয়ে মাথা ঢোকাতেই টাস করে জোড়ে আওয়াজ হলো। আমার বউ ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠে পড়েছে।
উচিৎ বিচার হইছে চোরের দশ দিন গৃহস্থের এক দিন। আইজ মজা টের পাইছো, স্বপ্ন দেখছো কারে? এইডারেই কয় আল্লার বিচার! আইজ আসে নাই আপনার স্বপ্নে ক্যাটরিনা কাইফ? নাকি ক্যাট রে নিয়া স্বপ্ন দেখতে গিয়া সালমান খানের হাতে ধরা অতঃপর মাইর খাইয়া পালাইতে যাইয়া খাট ভাইংগা পড়ছেন?
যাই হোক #স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই। এর সাথে বাস্তবে বাস্তবিক কোন মিল নেই, নিছক আনন্দের জন্যে লেখা। সোনেলার অনেক জ্ঞানী গুনি মানুষের সান্যিধ্য এ এক পরম পাওয়া। যারা ব্লগে লিখেন, যারা পাঠক এছাড়াও যারা সঞ্চালক সকলের সান্যিধ্যে এসে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।
সবার কলম চলুক। কলমে কালির অক্ষরে ফুটে উঠুক গোলাপ, পদ্ম, শাপলা, বেলী সহ হরেক রকম ফুল।
৮৮টি মন্তব্য
বন্যা লিপি
ওরে বাবা! এত বড় স্বপ্নের গল্প? আগে ফাস্ট হইতে আসলাম। পইড়া লই আগে।
সিকদার সাদ রহমান
হা হা হা আচ্ছা পড়েন। আমিও আছি জাইজ্ঞা। রাতা জাগা বাদুর হইছি আইজ কাইল।
সিকদার সাদ রহমান
ম্যাম, পড়া শেষ হইলে একটা কমেন্ট কইরা যান আল্লার রস্তে!
আরজু মুক্তা
আর একবার পড়তে হবে। তারপর মন্তব্য
সিকদার সাদ রহমান
আরেক বার পড়েন আপা। অপেক্ষায় আছি। কিছুক্ষণ পর পর এসে দেখি কেউ কমেন্ট করছে কিনা। ৫০ মিনিট ধইরা হতাশায় আছিলাম। পড়েন আপা, তারপর কমেন্ট দিয়েন।
সিকদার সাদ রহমান
এখনো কি আরেকবার পড়া হয় নাই? অপেক্ষায় আছিলাম, একটা মন্তব্যের।
ফয়জুল মহী
মনোরম লেখা । মনোযোগ দিয়ে পড়লাম । মুগ্ধ হলাম লেখায়
সিকদার সাদ রহমান
ধন্যবাদ।
সিকদার সাদ রহমান
এভাবেই পাশে থাকুন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দারুন!!! এতো মজা পাইছি ভাইয়া। হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গেছে। সবচেয়ে বেশী ভালো লেগেছে সবাইকে নিয়ে , সবার বিস্তারিত তুলে ধরলেন। পান খাওয়ার বর্ণনাটা পুরোপুরি বলছেন। একটুও বাদ দেননি। সাবিনা আপুর কচু গাছে পানি, ভাবীর আপনার উপর নায়িকাদের নিয়ে ঝাড়ি, ইকরাম দাদা ভাইয়ের টাকার হিসাব সাথে কি বলবে তার নকল এর উদাহরণ , জিলাপির বর্ণনা এতো সুন্দর করে দিলেন, নিজের মনের ভিতরকার কথাগুলো হাছাহাছিই কেমন হতে পারে, নিজের পেশার কথা, তৌহিদ ভাইয়ের আপনার উপর দেখাশোনার দায়িত্ব দেয়াতে যে বদ দোয়া দিলেন, নারীদের গসিপিং, কেউ দেরীতে আসলে তার জন্য কি হতে পারে সবার আকর্ষণ, টাকা তোলার বিষয়টি, শেষে নিজেই ধরা খেয়ে লুকাতে গিয়ে মাথায় বাড়ি খাওয়া, আবারো শেষে ভাবীর সেই বিখ্যাত অভিশাপের ঝাড়ি, সালমানের হাতে মাইর খাওয়া সবগুলো পয়েন্টেই প্রচুর হেসেছি। অসাধারণ, অনবদ্য স্বপ্ন আর হাসির ফোয়ারা ছড়িয়ে দিলেন ভাইয়া। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এতো মজা দেবার জন্য। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভ কামনা অফুরন্ত
সিকদার সাদ রহমান
খুব সংশয়ে ছিলাম। লেখাটি একটু বড় হয়ে গিয়েছে। কেউ পড়তে হয়তো অনিচ্ছুক হতে পারে এটাও যে ভাবিনি তা নয়। সারা রাত কিছুক্ষণ পর পর আসি আর দেখি কেউ মন্তব্য করেছেন কিনা! কিন্তু এসে দেখি ভিউ হয় ১থেকে ৫ এমন করে প্রায় ৫০ জন। অথচ কেউ কোন কমেন্ট করেন না। ভেবেই নিয়েছি স্বপ্নের সুপার ফ্লপ লেখক আমি।
কিন্তু আপনার মন্তব্য আমাকে সত্যি অবাক করেছে এতো সুন্দর ভাবে মনযোগ নিয়ে পড়েছেন। আর কেউ যদি না পড়ে এবং কমেন্ট নাও করে আমার আর কোন কষ্ট নেই। আপনার মন্তব্যটাও আমি দুবার পড়েছি। আমার লেখা আপনাকে কতোটুকু আন্দোলিত করেছে জানিনা আপনার মন্তব্য আমার প্রানে যায়গা করে নিয়েছে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আমার মন্তব্য আপনাকে এতোটা আন্দোলিত করবে ভাবিনি , খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। খুব ভালো লেগেছে বলেই প্রতিটি পয়েন্ট উল্লেখ করেছি ধরে ধরে, কোথাও মজার এতো টুকু কমতি পাইনি। এতো বড় লেখা কিন্তু বন্ডিংটা পুরোপুরি অটুট ছিল এ টু জেড। কমেন্ট কম ই পাওয়া যায় সব লেখাতেই হাতেগোনা কয়েকজন ই ঘুরে ফিরে কমেন্ট করে তাই এটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে আপনার লেখা ফ্লপ হয়েছে। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। শুভ সকাল
সিকদার সাদ রহমান
ধন্যবাদ ফাল্গুনী। আপিনার সুন্দর মন্তব্য গেঁথে গিয়েছে মনে সাথে আপনিও। সব সময় সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন। সোনেলায় একজন সুন্দর লেখক এবং পাঠকের সাথে পরিচিত হলাম।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আবারও আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমাকে এতোটা ভালোবাসা জানানোর জন্য।
সিকদার সাদ রহমান
আসুন আজকের দিন টা আমরা সারাদিন একে অপরকে ধন্যবাদ জানিয়েই পার করে দেই। হা হা
সিকদার সাদ রহমান
আপনার মন্তব্য খুবই যথার্থ ছিলো
নিতাই বাবু
দাদা, সবাই একসাথে কোনও জায়গায় গেলে মিলে-মিশে কাজ করতে হয়। তৌহিদ দাদা, আপনাকে ভালো মনে করে খাবার পরিবেশনের দায়িত্বটা নাহয় দিলই! তাই বলে কি এতো বড় অভিশাপ দেয়া লাগে? জানি না, এই অভিশাপে না জানি তৌহিদ দাদার কি হয়! মহান সৃষ্টিকর্তা সবার সহায় হোক। এই কামনা করি। স্বপ্ন তো স্বপ্নই! চলুক দাদা, স্বপ্নের কাহিনী।
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দাদা।
সিকদার সাদ রহমান
আমার মতো একজন স্মার্ট মানুষকে এই কাজ দেয়া কি ঠিক হয়েছে? বলেন দাদা? আজ গরিব বলে সবাই আমার সাথে অনাচার করে। এ কেমন বিচার?
(লেখা একটু বড়ো হয়ে গিয়েছে। আপনার পড়তে যদি কষ্ট হয়েছে। তাই আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। ) বিশ্বাস করেন আমি ইচ্ছা করে করি নাই।
সিকদার সাদ রহমান
তৌহিদ ভাইর খবরের আপডেট একটু জানাইয়েন।
নিতাই বাবু
তৌহিদ দাদার কোনও আমার কাছে নেই, দাদা।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
শাহরুখ খান বরাবরই পার্টিতে দেরি।দুটো কারন লোকজন একে ওকে বলে SK কই॥তারপর চলে এলে হইচই পড়ে যায়।নিজেকে আকর্ষিত করার অনবদ্য কৌশল স্মার্ট মানুষটার ভালোই জানা।
বাই দ্যা ওয়ে॥নারী ব্লগারদের গসিপ চোখে পড়ল আর এত ভালো ভালো রান্না যেগুলো সবাই খেয়ে দাঁত খিলালি দিচ্ছেন তা তো মুখেও আনলেন না।
এজন্যই তো বউ বকা দেয়॥ তবে মেয়েদের খেয়াল ভালোই রেখেছেন।
পাশাপাশি পান্জাবীতে দারুন লেগেছে।দাগ যাতে না লাগে তাই বড় ভাইয়ারা সাবান টিস্যুর দায়িত্ব দিয়েছেন॥
সাবান টিস্যুই সবচেয়ে সহজ কাজ॥দায়িত্ব যথাযথই।
সকালবেলা একচোখ হেসে নিলাম ভাইয়া।
শুভ সকাল। ভালো থাকবেন।।।।
সিকদার সাদ রহমান
খেতে আর পারিলাম কই রুকু
সবাই দেখে নিলো আমার সব টুকু।
আমি বড্ড সরল সোজা
আমায় বানিয়ে দিলেন বোঁচা।
আপনার যদি ভালো লাগে তাহলেই আমার ভালো লাগা। লেখা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। কে জানে কেমন হয়, পাবলিক রি একশন টা ফ্যাক্টর করছিলো সারা রাত মাথায়। আপ্নাদের মন্তব্য পাঠ করে এখন ভালো লাগছে।
সিকদার সাদ রহমান
আমারো ক্যান জানি নিজেরে আইজ কাইল শারুখ খান লাগে।
সাদিয়া শারমীন
মজা পেয়েছি ভাই। আপনার স্বপ্নের তারিফ করতে হয়। নিজের ফাঁদে নিজেই পড়ার বিষয়টা সব সময় ঘটে।তাই সাবধান। আর খানা দানার যে বর্ণনা দিলেন তাতে পেটে ছুঁচোর ডল শুরু হলো। তবে এই ফাঁকে ৫০০টাকা পেয়ে গেলেন,মন্দ কি?
সিকদার সাদ রহমান
হ ভাই, এমন স্বপ্ন দেখছি ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রকম অবস্থা। শেষপর্যন্ত আমার টেবিলের নিচ দিয়েই পালাতে হয়েছে।
সাদিয়া শারমীন
হাহা হা ভাইয়া। এরপর আমার পালা।আল্লাহই জানে কি স্বপ্ন দেখি!
সিকদার সাদ রহমান
আপনার পর্ব তো ভালই লেখলেন।
খাদিজাতুল কুবরা
প্রথমেই স্বপ্ন গল্পের উদ্ভাবককে ধন্যবাদ। এমন একটি ইভেন্টের জন্য। প্রতিটি গল্প একেকটিকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
পড়তে পড়তে হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা। আমার আম্মা জানতে চাচ্ছে হাসিস কেন?
বললাম আম্মা গল্প পড়ে। আম্মা কিছু বললো না। জানেন গল্প পড়ে কাঁদা হাসার বাতিক আছে আমার।
ভাইয়া এতো সুন্দর লিখেছেন কি বলবো গল্পের মোড়ে মোড়ে হাসির টানেল সাজিয়েছেন, মনে মনে ভাবছিলেন ‘পাঠক তুমি না হাইসা যাইবা কই’।
আপনি ভাবছেন গল্প বড় হয়েছে। আমি ভাবছি এতো তাড়াতে শেষ ভাবির এখন বকা দেওয়ার কি দরকার ছিলো তা না হলে আরেকটু পড়তে পারতাম।
খুব উপভোগ করলাম ভাই।
আপনার কলমের জন্য নিরন্তর শুভকামনা রইল।
সিকদার সাদ রহমান
অসাধারণ মন্তব্য। কিছু সময় লেখার চেয়ে মন্তব্য পড়েই মন ভালো হয়ে যায়। আপনি সুন্দর করে লেখা পড়েছেন তা বোঝাই যায়। লেখার সকল রস আপনি গ্রহন করেছেন নিঙড়িয়ে। সত্যিই আপনার কমেন্ট পড়ে অনেক আনন্দিত হয়েছি, উৎসাহিত হয়েছি। ব্লগের মিলন মেলা হলে ইনশাআল্লাহ পরিচিত হবো আপা। দোয়া জানবেন।
খাদিজাতুল কুবরা
ইনশাআল্লাহ আমরা পরিচিত হবো।
অনেক শুভকামনা রইল।
ভালো থাকুন ভাইয়া।
সিকদার সাদ রহমান
হ বইন,বেরসিক ভাবি আইসা গল্পডা সাইজ কইরা দিছে।
খাদিজাতুল কুবরা
হা হা হা।
দারুণ বললেন ননদ ভাবীতে একটু খুনসুটি না হলে জমেনা।
খাদিজাতুল কুবরা
তাড়াতাড়ি
আলমগীর সরকার লিটন
সবফুলের শুভেচ্ছা রইল সাদ দা
সিকদার সাদ রহমান
ধন্যবাদ
ছাইরাছ হেলাল
গল্পের শুরুটুকু আমার কাছে অন্য গল্প থেকে ভিন্ন রকম ভাল লেগেছে , অবশ্য এ বলা থেকে ধরে নেয়া যাবে-না/ঠিক-ও হবে-না
গল্পের অন্যান্য অংশটুকু কম ভালো বা অ-সমান। গল্প লেখার মুন্সিয়ানা আপনি দেখিয়েছেন তা কিন্তু মানছি।
লেখা বড় হওয়াতে আমি বরং খুশি হয়েছি, পড়া পছন্দ করা মানুষ আমি।
গল্পের মাঝে আনন্দ-ছড়িয়ে সুন্দর ভাবেই শেষ টেনেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
সিকদার সাদ রহমান
যাক ভাই, বড় লেখা নিয়ে ভয়েই ছিলাম। এখন আপনার কমেন্ট পড়ে ভয় দূর হলো। প্রথম গল্প আপনাদের ভালো লেগেছে জেনে উৎসাহিত হয়েছি। মুন্সিয়ানায় আমি অদক্ষ ভাই। কোন মতেই লিখেছি। আপনাদের লেখার হাত অনেক ভালো এবং দক্ষ। ব্লগের কারনেই এই লেখাটি সম্ভব হয়েছে। তা না হলে হতো না।
সিকদার সাদ রহমান
আপনাকেও ধন্যবাদ
ইঞ্জা
বেশ সুন্দর ও রম্য করে তুললেন আসরটা, পান খাওয়া যে আর্ট তার শৈল্পিক বর্ণনা এই প্রথম পেলাম, এখানে সিনিয়র ব্লগার নাসির সারোয়ারের লেখার টান নিয়ে এলেন দেখলাম জিসান ভাইজানের মানিব্যাগ হাতড়ানো দিয়ে।
সাবিনা আপুর কচু গাছে পানি দেওয়াটা এপিক হয়েছে, বকসিসের লোভে পড়ে বাকিদের হাতে নাকাল হওয়াটা দূর্দান্ত হয়েছে, চিনা মাটির কানের দুল বলুন বা নারীকূলের গসিপের কথা বলুন, যা সার্বজনীনভাবে তুলে ধরেছেন তা অতুলনীয়।
সত্যি আপনিই এবারের স্বপ্ন পর্বকে অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুললেন ভাই, সত্যি আপনাকে বাহব্বা না দিয়ে পারছিনা।
সিকদার সাদ রহমান
চেস্টা করেছি পুরাতন লেখা গুলোর সাথে চেইন মিল রাখতে। যদিও সব পারিনি। সে কারনেই লেখা একটু বড় হয়ে গিয়েছে। তবে এতো বড় লেলহা ধৈর্য ধারণ করে পড়ার জন্যে ধন্যবাদ ভাই। আপনার সুন্দর মন্তব্য আমাকে উৎসাহ দিয়েছে।
ইঞ্জা
লেখা বড় হলেও একদম পারফেক্ট হয়েছে।
শুভকামনা ভাই।
সিকদার সাদ রহমান
ধন্যবাদ ইঞ্জা ভাই, সাহস দিয়েছেন ইনশাআল্লাহ সামনের লেখার উৎসাহ পেলাম।
সিকদার সাদ রহমান
দেন ভাই, একটু বাহবা পাইলাম।
ইঞ্জা
শুভকামনা ভাই
তৌহিদ
দাঁড়ান! আগে একটু হজম করে নেই, আপনাকে তাহলে দেখভালের দায়িত্ব দিয়ে ভুল করিনি কি বলেন? আসলে মানুষ হিসেবে আপনি রসিক হলেও যথেষ্ট দায়িত্ববান এটা সবাইকে স্বীকার করতেই হবে। ৫০০ টাকা বকশিশ যাতা কথা!
কচুগাছে পানি দিচ্ছেন তাও আবার রাতের বেলায়? আমারতো মনে হয় সাবিনা আপু কারো জন্যে একরাতেই কচুর ডালসহ পাতাকে বড় করতে চাইছেন। কচু গাছে কাউকে ফাঁস দেয়ানোর মতলব নাকি? ভাই বুজেছেনতো বিষয়টা!
জিসান ভাই একটু ভয়েই থাকেন, আমাদের আবদার ফেলতেও পারেননা আবার মানিব্যাগেরর কন্ডিশন মোটা না পাতলা সে বিষয়টিও তাকে ভাবতে হয় কিন্তু!
গল্পে সবাইকে যেভাবে উপস্থাপন করেছেন তাতে আপনার লেখার প্রশংসা না করে পারছিনা ভাই। দারুণ লিখেছেন কিন্তু। এখন যে ৫০০ টাকা পেয়েছিলেন সেগুলি আশেপাশে দাঁড়ানো মানুষদের বিলিয়ে দিন। ভাবীর বকার খেয়ে স্বপ্ন দেখলে এভাবেই সব হাতে আসার পরেও আবার চলে যায়। এখন থেকে ভাবীকেও ভাগ দেবেন তাহলেই আর ঘুম ভাঙবেনা ভাই।
গল্পের শুরুটা কিন্তু বেশ মানানসই হয়েছে। ভালো থাকুন, শুভকামনা রইলো ভাই।
তৌহিদ
অভিশাপ তুলে নিন, আপনি আর আমি একসাথেই খাবো, স্পেশাল খাবার আপনার জন্য আলাদা করে রেখেছি ভাই ☺
সিকদার সাদ রহমান
শর্ত সাপেক্ষে অভিশাপ তুলে নিতে পারি
সিকদার সাদ রহমান
সবাই দেখি টাকার পিছনে লাগছে। কাম সারছে আমার। ভাই লেখা একটু বড় হইছে, সেই জন্যে দুঃখিত। আপনার ভালো লাগলেই আমার ভালো লাগবে। প্রথম গল্প লেখা। জীবনেও এতো বড় গল্প লেখি নাই।
তৌহিদ
লেখা বড় কোন বিষয় নয়। আমরা পড়বো ভাই। শর্তটা কি?
সিকদার সাদ রহমান
একদিন ঢাকার বেস্ট কাচ্চির দোকানে কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ান 😂 একটাই শর্ত!
সিকদার সাদ রহমান
কইলেন না তো কাচ্চি কবে খাওয়াইবেন?
তৌহিদ
দেখা হলে আপনি খাওয়াবেন, নতুন বাপ হইসেন। ভুইল্যা যাইনাই ☺
রেহানা বীথি
বকশিসের টাকাটা কি আছে না খরচ করে ফেলেছেন? স্বপ্নে পাওয়া বকশিস, যত্নে রেখে দেবেন।
খুব সুন্দর লিখলেন আপনার স্বপ্নের বর্ণনা।
মনির হোসেন মমি
আমি কিন্তু আপা বকসিসের পুরো একটা ৫০০টাকার নতুন কচকচে নোট দিয়েছি ।
রেহানা বীথি
আমি নিজ চোক্ষে দেখেছি মমি ভাই।
সিকদার সাদ রহমান
পাঁচশো টাকার কচকচে নোট টা বুক পকেটে যত্ম করে রেখে দিয়েছিলাম। কিন্তু বউ কাপড় ধোয়ার সময় সেটাও ধুয়ে ফেলেছে। মমি ভাইর কাছে জানতে চাই দুই নাম্বার টাকা দিয়া বখশিশ ক্যাম্নে দিলেন ভাই? যা এক ধোয়াতেই সাদা হয়ে গেলো?
সুপায়ন বড়ুয়া
স্বপ্ন দেখা ভারী মজা। চীনা মাটির কানের দুল থেকে কচু গাছে পানি। খাবার থেকে বকশিশ আদায় সবই অবলিলায় দেখা যায়। মমি ভাই আর আমি দুই জনে বসে সরকার পতনের আন্দোলনের ডাক দেবার প্রস্তুতি। ফিস করে কথা!
পরে বুঝলাম বই মেলায় বই বের করতে চাচ্ছেন, সেই গল্প। আমারো বই বের হচ্ছে গত ৫ বছর থেকে। শুধু প্রকাশনায় আসে নি। মেলার আগে ভাবী এবারের মেলায় বই ছাপাবো মেলা শুরু হতে হতে আফসোস করি আর মেলা শেষ হলে আশায় বাধি বুক আগামী মেলায় অবশ্যই আমার বই থাকবে। এভাবেই ৫ বছর শেষ।
যাক সব মানুষের আশা থাকে।
এই গল্প দিয়েই করেন শুরু। আমরা আছি একসাথে ইনশা আল্লা।
মজা পেলাম বলে। শুভ কামনা।
সিকদার সাদ রহমান
ধন্যবাদ দাদা! কখনো লেখি নাই গল্প। ভুল হইলে মাফ কইরা দিয়েন। আসলেই ফিস ফাস করে কি বলছিলেন, বলেন তো? চেষ্টা করেছি লিখতে। ভালো মন্দ বিচারের ভার পাঠকের। লেখাটি কিছুটা বড় হওয়ায় ধৈর্য ধারণ করে পড়ার জন্যে ধন্যবাদ না দিয়ে পারছি না।
মনির হোসেন মমি
হাসি’ যে কই রাহি হেইডাইতো খুজেঁ পাচ্ছি না। হা হা হা হু হু হু……।
খুব সুন্দর ভাবেই আপনার স্বপ্ন পর্বটি শেষ করলেন।বেশ গুছানো লেখা পড়ে মজা পেলাম। সাবিনা আপু কচু গাছে জল দিচ্ছেন-বন্যাপুর পান সমাচার -ইত্যাদিকে যোগ করে এটাকে একটি ফ্যামিলীগত রম্য গল্পে নিয়ে গেছেন।অপূর্ব। ধন্যবাদ।
সিকদার সাদ রহমান
বড় লেখা নিয়ে সংশয় ছিলো। এখনো আছে। এর মধ্যে দেখা যায় অনেকেই না পড়েও অসাধারণ প্রকাশ লিখে যাবেন কিনা কে জানে। তবে যারা ধৈর্য ধারণ করে পড়েছেন তাদের ধৈর্যের ধন্যবাদ না দিয়ে উপায় নাই। আমি গল্প লিখতে পারি না। এটাই প্রথম এবং শেষ।
মোঃ মজিবর রহমান
সুন্দর একটি হাস্যরসে মধুমাসের রসে টইটুম্বর।
কৈতুকপুর্ন লেখা।
যাক সাবিনা আপা কচু গাছের জল আপনার মাথায় পড়েনি ছাদ গড়িয়ে পচা পানি।
পান বানানো আসলেও সৈল্পিক সৃজপ্নশীল। বন্যা আপুর পানের বাটা নাইবা দিলে মিস্টি পেট পুরেই খেলেন কিন্তু ভাবি তো আপনার জন্য সালমান খান থেওইকা কাটেরিনাকে কিছুক্ষনের জন্য ধার আনতে পারত।
সুন্দর একটি লেখা দেওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ সাদ ভাই।
সিকদার সাদ রহমান
ধন্যবাদ ভাই, আপনাদের ভালো লাগাই আমার পরম পাওয়া!
শিরিন হক
হা হা হা প্রথমেই নাউজুবিল্লাহ! বৌ -রে মোর গপ্পো শুনানাইবেন আগে কইবেন না হেলে আমহেরে নিয়া স্বপ্ন একটু আমিত্তি খাইতাম।
অনেক সুন্দর হলো গপ্পের হপনো।স্বপ্ন মানুষ কতকি দ্যাখে আজকে জানলাম।
মাৎ করে দিসেন একদম। লা জবাব।
সিকদার সাদ রহমান
আপনে তো সব পোস্টে যাইয়াই কন মাত করে দেছেন। আল্লায় জানে কার কিস্তি কেডা মাত করছে আর নাম অইছে কার। তয় লেহা ভালো লাগলে আমহেকে একছের ওয়াও। অনেক সুন্দার একটা ধন্যবাদ।
রেজওয়ানা কবির
সব মিলে ভালো একটা স্বপ্ন ছিল।অনবদ্য লেখা।
সিকদার সাদ রহমান
অনবদ্য মন্তব্য ও ছিলো। আপনাকেও ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
রাতেই ভেবেছিলাম আল্লাহই জানেন কাঠালী সাদ না জানি আমাদের কি স্বপ্ন দেখায়!!
সাবিনা ইয়াসমিন
এখন বুঝতে পেরেছি, কেন আমার কঁচু গাছ এতো পানি খেয়েও বড় হচ্ছে না!! সানগ্লাস পরা সাদের নজর লেগেছে। হায়েরে, এই লোক দেখি রাতের বেলাও আমার পিছু ছাড়ছে না! নিজের চিংড়ি মাছের খাওয়ার জন্যে আমার বাগানের কচুই তার কেন লাগবে হুম?
সিকদার সাদ রহমান
আরে এইডা তো একটা উছিলা মাত্র। এইডা দিয়া খাওয়া শুরু করুম এর পর এক্টার পর একটা খাওয়ার সিরিজ চলবে ম্যাডাম। লেখা ভাল লাগছে নাকি? তা তো কইলেন না!
সাবিনা ইয়াসমিন
স্বপ্ন তো মাশাল্লাহ অনেক ভালো হয়েছে। এতো বিশাল স্বপ্ন ভালো না হয়ে উপায় কি?
সিকদার সাদ রহমান
বুঝছি বেশি বড় হইছে বিধায় পড়েন নাই।
সুরাইয়া নার্গিস
প্রথমে ধন্যবাদ ভাই
সুরাইয়া নার্গিস
প্রথমে ধন্যবাদ ভাইজান এত সুন্দর লেখার জন্য, সকল ব্লগারদের কথা উল্লেখ করার জন্য।
লেখাটা বড় মনে হয়নি বড় হলেও পড়তে বেশ ভালো লেগেছে।
ওরে বাবা মিষ্টি আপু (সাবিনা ইয়াসমিন) কচু চাষ করে ভিষন ভালো খবর,আমি আবার কচু শাক দিয়ে ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে রান্না করে খাই খুব মজা। ভাইজান আপনি পেলে আমাকে ভাগ দিয়েন 😋
বড় আপু (বন্যা) মিষ্টি আপু পান খাওয়ার সুঘ্রান আমাকে নাকে চলে আসছে আত্মান টান বলতে হবে।
জিসান ভাইজান মানি ব্যাগ তো খোঁজবেই ইসস যাদুঘর দেখতে গিয়ে সবাই যে হারে খেয়েছিলাম 😋 সেই ভয় পাচ্ছে।
আমি কিন্তু শাড়ী পড়া,সাঁজগোজ খুব পছন্দ করি সত্যিই সাঁজবো মিলন মেলায়,প্রশংসাকারী মহিলা নিশ্চয় সুপর্ণা দিদি ভাই।
সুপায়ন দাদা,মমি ভাইজান বই প্রকাশ নিয়ে ভাবছে, ইসস আমিও ভাবছি কবে একটা বই প্রকাশ পাবে সবাই বলবে আলিফ লেখিকা 😍
তৌহিদ ভাইয়া হাঁড়ি ভাঙ্গা মিষ্টি,জিলাপী 😋কবে যে খাব ভাবছি।
এবার বলেন লাভ কি হলো ৫০০ টাকা নিয়ে, এত কষ্ট করে সাবান,জগ, তোয়ালে কিনলাম না খেয়ে পালালেন আমার সাবান তোয়ালের টাকা রেডি রাখেন।
আমার ভাগ চাই নাহলে ভাবীর ঠিকানা দেন হেতির লগে গোপন বৈঠক করবো আপুরা সবাই রেডি থাকুন। ইসস ক্যাটরিনা,কারিনারে নিয়ে স্বপ্ন ভাবির ঝাঁড়ু পিটা হা হা হা হা,,সালমান খান এ হাতে মাইর 🤓 ভাইজানের ধৈর্য আছে বলতে তো তবু স্বপ্ন দেখা ছাড়ে না।
আহারে ভাইজান আমাদের কি কমু এমনি ভাবীর অত্যাচারে আছে, আবার আমাদের হামলা কেমন লাগবে.? বাড়ির ভাত ওঠে যাবে 😂
ভাইজান পুরা গল্প পড়ে খুব হাসলাম ছোট চাচী ক্লিনিকে ভর্তি সেখানে আমার হাসি দেখে সবাই অবাক।
তারপর হাসির কারন হিসাবে পুরো গল্পে পড়ে শোনালাম সবাই হাসলো দারুন মজার গল্প,রোগীও হাসলো তার মানে চমৎকার লিখেছেন।
অনেক ভালো লাগলো আমি ১৪ সিরিয়াল জানি না কি লিখবো তবু ভালো লেখার চেষ্টা থাকবে।
ভালো থাকবেন,
শুভ কামনা রইল।
সিকদার সাদ রহমান
বাহ! এই না হইলে মন্তব্য। খুব সুন্দর মন্তব্য হয়েছে আপা। আমি ৫০০/- আপনার সাথে ভাগাভাগি করেই খাবো। একা খাব না নিশ্চিত থাকেন। আপনার ১৪ সিরিয়ালের অপেক্ষায় আছি। আল্লাহ সহি সালামতে রাখলে আমিও বিশাল কমেন্ট করমু। ভাবির অত্যাচারের কথা কইয়েন না ভাই। গরিবের উপ্রে সব যায়গায় অত্যাচার চলে।
হাসার জন্যেও ধন্যবাদ, প্রাণ খুলে হাসুন। হাসির বিকল্প নেই। আমি সারাদিন বিনা কারনেও হাসি। আমার মেয়েও মাশাল্লাহ সারাদিন খিলখিল করে হাসে। দোয়া রইল আপা।
সুরাইয়া নার্গিস
আপনি তো জান্নাতের মালিক মানে মেয়ের বাবা, আমিও ভিষন হাসতে পছন্দ করি।
আপনি তো দারুন লিখছেন তাই মজার করে হাসলাম, ৫০০ টাকার জন্য সাবান,তোয়ালে কিনলাম হি হি হি হি।
দোয়া রইল ভালো থাকুন।
সিকদার সাদ রহমান
আপনার জন্যেও দোয়া ও শুভকামনা
শামীম চৌধুরী
পুরা গল্পটাই পড়ে নিলাম। শেষ হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি। কারন ৯ ব্লগারের গল্প বলে কথা। পাবলিকই তো খাওয়ার পাগল হয়। খাওয়া পাইলে পাবলিক কব্জি ডুবিয়ে খায়। হা হা হা….!! দারুন মজা পেলাম। সবশেষে এই কথাগুলি মনটা কেড়ে নিলো
কলমে কালির অক্ষরে ফুটে উঠুক গোলাপ, পদ্ম, শাপলা, বেলী সহ হরেক রকম ফুল। আমিও চাই কলমের কালিতে ফুটে উঠা ফুলগুলির ঘ্রান নিতে আপনার লেখার মাধ্যম।
সিকদার সাদ রহমান
শামীম ভাই, আপনার ধৈর্য ধরে পড়া আমাকে আবেগী করেছে ভাই। খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলাম প্রথম লেখা, কিরকম হয় কে জানে? আপনার মন্তব্য পড়ে সাহস পেলাম ভাই। অনেক ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
মানুষ হজ্ব পায়না, দরজার ঘাস গরুতে খায়না – কথাটা একদম সত্যি। বাসায় বুঝলো না লেখালেখি করে দেশ ও জাতির কত উপকার করতে আছি।
পান বানানো এবং খাওয়া আসলেই একটি শিল্প। এটি খেয়াল করেছেন- বুঝায় যাচ্ছে দাদি নানিদের পান খাওয়াটা ভালোই পর্যবেক্ষন করেছেন।
নারীরা এক স্থানে জড়ো হলে কিছু নারী যে আলাদা একটা আড্ডার আয়োজন করেন, তাও সত্যি। বেশীরভাগ এমন আড্ডায় পরনিন্দা আর নারীদের সৌন্দর্য বর্ধনের দ্রব্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। অবশ্য আমাদের নারী ব্লগারগন এমন নন।
সাবান টিস্যু নিয়া বকশিস আদায়ের বুদ্ধিটা সেইরম হইছে।
যদিও নিজের এই বুদ্ধি ২০ গুন বুমেরাং হইছে।
অনেক ভালো এবং নিখুত হয়েছে গল্প।
আপনি তাহলে গল্পও লিখতে পারেন 🙂
এমন গল্পের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
গল্প মাঝে মাঝে লেখার জন্য অনুরোধ করছি।
শুভ কামনা।
শুভ ব্লগিং।
সিকদার সাদ রহমান
বিশ্বাস করেন ভাই, আমি গল্প লিখতে পারি না, এটাই প্রথম। তবে সবার উৎসাহ আমাকে আন্দোলিত করেছে। সবার ভালবাসা পেলাম। সত্যিই আনন্দের বিষয়। ব্লগের লেখা হিসেবে লেখা একটু বড় হয়েই গিয়েছে বুঝেছি। আসলে গল্পের পুরাতন ১-৯ পর্ব পর্যন্ত একটা এভারেজ চেইন মেইন্টেন করতে গিয়ে এইটা হয়ে গেছে। তাই পড়তে অনেকের সময় একটু বেশিই লেগে গিয়েছে সে জন্যে দুঃখিত। তবে গল্প একজন মানুষের ও যদি ভালো লাগে তাহলেই আমি স্বার্থক।
মাহবুবুল আলম
গল্প পড়লাম। বেশ মজাও পাইলাম।
…তবে শেষে উপসংহারে মতো করে লেখাতে
গল্পের শর্ত ভঙ্গ হয়েছে বলে মনে হয়।
শুভেচ্ছা জানবে।
সিকদার সাদ রহমান
কথা সত্য। শর্ত ভংগ দোষে আমি দুষ্ট! তবে গল্প ভালো লেগেছে শুনে খুব ভালো লেগেছে। এবার যা শাস্তি দেন সমস্যা নাই। 😊
সাবিনা ইয়াসমিন
স্বপ্নে এতো কিছু বলে বক্তৃতা দিলেন অথচ এটা কিন্তু বলতে ভুলে গেছেন, স্বপ্ন সিরিজ, পর্ব সংখ্যা-১০, লেখায় অংশ নিয়ে ব্লগে আপনার ৫০ তম পোস্ট পূর্ণ হলো। শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন আপনাকে। আপনার অনুভূতি একটু বলুন, 🙂
সিকদার সাদ রহমান
আমার অনুভূতি বাসায় প্রকাশ করতে পারছি না। 😣
আরজু মুক্তা
সাবিনা আপা যে কিপটা। এটা বুঝলাম। আর ভাবির ঝাড়ির কারণও জানলাম। গল্প ভালো হয়েছে
সিকদার সাদ রহমান
খালি কিপ্টা না জনমের কিপ্টা
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এতো দিন জানতাম তৌহিদ ভাই কিপ্টা এখন থলে থেকে বিড়াল একটা একটা করে বের হচ্ছে। আর কে কে এমন আছেন জায়গায় দাঁড়িয়ে হাত তুলে আওয়াজ দেন।
সিকদার সাদ রহমান
আসলেই সব কিপ্টা