কেমন কাটলো আমাদের সোনেলার ব্লগারদের বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। কৌতুহল ছিল আমার খুব।প্রিয় ব্লগারগন প্রায় সবাই জানিয়েছেন তাঁদের বর্ষবরনের দিনটি কেমন ছিল।
ফাতেমা জোহরা আপুঃ
আপু আজকে সারাদিন ঘরের কাজ করেছেন। ঘর পালটে নিচতলা থেকে দোতালায় আসায় অনেক কাজ আজ। একটু গুছিয়ে নিয়ে আম্মুকে রান্নায় হেল্প করেছেন। আহারে কত কষ্ট 🙁
ইয়ে, সকাল ৬ টা ৬ মিনিটেই আপু বিশেষ একজনের ফোন পেয়েছেন।দিন শুরু হয়েছিল এই ফোন দিয়েই। গোপন কথা আর রহিল না গোপন :p
খসড়া আপুঃ
আপু একটি ক্লাবের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও কোষাধক্ষ্য।টাকা পয়সা জমা থাকে আপুর কাছে।আমাদের আর টাকার চিন্তা করতে হবেনা।ধার নিতে পারবো আপুর কাছ হতে,আজীবনের জন্য :D)
ভোর ৬টায় গিয়েছিলেন রমনা বটমুলে। আপুর ক্লাবে বর্ষবরণ ছিল সকাল আটটা থেকে। ক্লাবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন, পান্তা/গরমভাত দিয়ে মুরগী, ইলিশ,আলুভর্তা খেয়ে বর্ষবরন করলেন। বিকাল ৫টা থেকে আবার ক্লাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ডিনার দিয়ে বছরের প্রথম দিন শেষ করলেন। এত ব্যস্ত আপু রাত ১২ টায় ফ্রি হয়েছেন।
নুসরাত মৌরিন আপুঃ
গত তিন বছর ধরে আপুটার ঘরে বসে পেইন বৈশাখ কাটতেছে।এর আগের দুই বছর গেছে পড়ালেখা করে,এবার গেল মাথা ব্যথা আর আর নাক মুখ বন্ধ হওয়া অস্বস্তি নিয়ে।।২০১৩তে এপ্রিলে চলছিল ফোর্থ ইয়ার ফাইনাল, ২০১৪ তে চলছিল এমবিএ ফাইনাল। আর ২০১৫তে আক্রান্ত সর্দি জ্বরে।কিছুই করেননি আপু।ঘরের মধ্যে শুয়ে বসে কাটিয়েছেন গোটা দিন 🙁
বিকেলে বের হবেন ভেবেছিলেন।তাও আর হয়নি স্বর্দি আর জ্বর এর জন্য 🙁
আমি এই স্বর্দি আর জ্বরের ফাঁসি চাই :p
সিনথিয়া খোন্দকার আপুঃ
আপু মনে হয় আমরা ‘এমনি এমনি ঝগড়া করি ‘ গ্রুপের সদস্য :p সকালে উঠে হাজব্যান্ড এর সাথে শুধু শুধুই ঝগড়া দিয়ে দিন শুরু। বেচারা দুলাভাই যখন ঘুমে তখন তাকে ফেলে দুপুরে চলে গেলেন উত্তরা, আপুর নানা স্ট্রোক করেছিল। নাক এ টিউব দিয়ে খাওয়াতে হয়। সেই টিউব লাগাতে গিয়েছিলেন। রোগি দেখে ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে গিয়েছিল। বাসায় ফিরে মাথায় পানি ঢেলে ঠান্ডা হয়েছেন।ভাগ্যিস ওয়াসায় পানি ছিল পানির ট্যাংকিতে। নইলে কি যে হতো আমাদের দুলা ভাইয়ের :p
তবে আপুর শাশুড়ীর দেয়া একগাদা উপহার ম্যাড়ম্যাড়া পয়লা বৈশাখ কে চাঙ্গা করে দিয়েছে। আপুর শাশুড়ী এত্তগুলান ভালো 🙂
শাহানা আফরিন স্বর্ণা আপুঃ
সকালে ভার্সিটির রেলিতে গিয়েছিলেন। তারপর অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন।এরপরে ক্যাম্পাসে ঘুরেছেন।
আপু যে গান গাইতে পারেন,তা আমরা কেউ জানিনা।কিছু গান আমাদেরকেও শুনান আপু 🙂
স্বপ্ন নীলা আপুঃ
সকালে বাড়িওয়ালীর বাসায় দাওয়াও ছিল আপুর, খাবার আইটেমের ভিতর ছিল – চিরা, মুড়ি, দই খই, মিষ্টি আর পান্তার সাথে দুই টুকরা বড় সাইজের ইলিশ ভা্জা –!!! আরও ছিল বিভিন্ন ভর্তা ও ভাজি —। আপু সব খেলেও ঐ পান্তার সাথে ইলিশ মাছটা খেলেন না, তার চোখের সামনে ভেসে উঠলো আপুর গ্রামের দরিদ্র মানুষের কথা –যারা কোনদিনও পান্তার সাথে ইলিশ খায় না, তাদের বাসি তরকারী বা ভর্তা দিয়ে কোনমতে পান্তা ভাত খেয়ে ওঠে—
দুপুরে আরেক বাসায় দাওয়াত ছিল — সেই বাসায় গরম ভাতের সাথে বিভিন্ন ভর্তা, ভাজি, সজনে ডাল, শ্বাক, ইলিশ মাছ, মাংসের ঝোল —তিনি সজনে ডাল, শাক, ভর্তা দিয়ে পুরো পেট খেয়েছেন —কেন যেন ঐ ইলিশ মাছ আর মাংস খেতে একেবারেই ইচ্ছে করেনি আপুর।
শরীর তেমন একটা ভাল ছিল না বলে এবার বাইরে কোথাও যাননি — সন্ধায় আপুদের সবগুলো ফ্ল্যাটের ভাই, ভাবী তাদের সন্তানেরা মিলে নীচ তলার খোলা জায়গায় গানের আসর বসানো হয়েছিল — সেখানে মুড়ি, নারিকেল কোড়া, পাটালী গুড় আর সাথে পায়েস খাইয়েছিল বাড়ী ওয়ালী ভাবী —-
বর্ষবরনে শুধুই খাওয়া দাওয়া 🙂
মারজানা ফেরদৌস রুবা আপুঃ
আপ্র বাসায় আজ ফ্যামিলি গেট টুগেদার ছিলো। সারাদিনই প্রিয়জনদের প্রিয় খাবারগুলো রান্না করে খাইয়েছেন। চাকুরী করেন বলে এইসব দিনগুলোতে সাধারনত পরিবারের লোকজনের আড্ডা বসে আপুর বাসায়। গত কয়েক বছর যাবত প্রায় প্রতি নববর্ষই আপুর এভাবে কাটে।
প্রতি বছর ভোর সাড়ে পাচঁটায় বের হয়ে দশটার মধ্যে বাসায় ফিরে এসেই প্রিয়জনদের খাবার আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন আপু। কিন্তু গতকাল ভোরে ইচ্ছে থাকলেও আর বের হতে পারেননি। আপুর ইচ্ছে ছিলো বিকালে বের হওয়ার কিন্তু অনেক ক্লান্ত থাকায় সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
এই যে দেখুন আপুর নিজের করা রান্না। নববর্ষে কেউ এত্ত কিছু রান্না করেন,তা আমি প্রথম দেখলাম।আপু কত্ত গুনি।আমার তো খাবারের ছবি দেখেই মুখে পানি এসে গিয়েছে।সোনেলার সবাইকে আপুর পক্ষ হতে আমি দাওয়াত দিলাম 🙂 দাওয়াতের দিন আপু বলবেন :p
রিমি রুম্মান আপুঃ
তিনি জানিয়েছেন ”প্রতি পহেলা বৈশাখে পুরো নিউইয়র্ক শহর যেন টুকরো টুকরো বাংলাদেশ হয়ে উঠে। বাঙালিরা বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে বৈশাখী আয়োজন করে থাকে। সারাদিন চলে অনুষ্ঠান। শেষ হয় মধ্যরাতে।
আমি ব্যবসায়ী সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যাই বিকেলে বন্ধু=বান্ধব সহ। জ্যাকসন হাইট্সে রাস্তায় বিশাল ষ্টেজ সাজানো হয়। বাংলাদেশী সহ ভিনদেশি মানুষজন উপভোগ করে মনোরম অনুষ্ঠানটি। দেশ থেকে আসা জনপ্রিয় শিল্পীদের গান অনুষ্ঠানটিকে জমিয়ে তোলে।
সন্ধ্যায় যাই অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এখানকার নতুন প্রজন্মের পরিবেশিত অনুষ্ঠান দেখতে। এটি আয়োজন করে প্রবাসী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন। বিশাল পরিসর। ফ্রি পান্তা-ইলিশ সহ রকমারি ভর্তার আয়োজন ছিল। প্রতি বছর এদের অনুষ্ঠান নজর কাড়ে বেশি। গান, নাচ, ফ্যাশন সো সহ অনুষ্ঠান চলে মধ্যরাত অবধি। আমরা যখন বৈশাখী আনন্দ শেষে বাড়ি ফিরে আসি, ঘড়িতে তখন ভোর চারটা বেজে পনর… ”
অনুষ্টানের ছবি দেখতে ইচ্ছে করছে আপু।বিদেশে বাংলা বর্ষবরন কিভাবে হয়, জানিনা।
শুন্য শুন্যালয় আপুঃ
কোন আয়োজনই নেই আপুর।বাসায় ভাইয়া খুব অসুস্থ্য 🙁 সারাক্ষনই ভাইয়ার সেবা করতে করতে দিন রাত পার।
ভাইয়ার দ্রুত আরোগ্যর জন্য প্রার্থনা করি আমরা সবাই।
আপুদের মধ্যে খেয়ালী মেয়ে, মেহেরী তাজ, নিলাঞ্জনা নীলা আপু কি করেছেন জানতে পারিনি।তাদেরকে খুঁজে পাইনি। পোষ্ট দেখে মন্তব্য জানাবেন আশাকরি।মন্তব্য এই পোষ্টে নিয়ে আসবো 🙂
ভাইয়া গ্রুপ—-
ইমন ভাইয়াঃ
” ৫ মিনিট হলো গ্রামের বাড়ি এসেছি। এখন থেকে শুক্রবার পর্যন্ত মা’র বুকে থাকবো।
অাপনি হয়তো জানেননা।
অামি শুধু মা’র কাছে থাকবো বলো, এইচএসসির পরে ভালো রেজাল্ট করেও কোথাও ভর্তি হয়নি।
মফস্বলে কলেজে ভর্তি হই।
১২ সালে ঢাকায় অাসি এমবিএ করার জন্য। তারপর জীবনের তাগিদে এখন মা’কে ছাড়া থাকতে হয়।
মাও ঢাকা যাবেনা, স্বামীর ভিটা ছেড়ে।
প্রতি বৃঃহষ্পতি বার বাড়ি অাসি, শনিবার সকালে গিয়ে অফিস করি।
অামার জীবনে এই একজনই নারী।
মা’র সাথেই কাঁটাবো অাজ কাল পরশু অনন্তকাল।
অামার মা, অামার জীবন, অামার দুনিয়া।
অামার মা’র জন্য দোয়া করবেন, লীলা।
অার মা’কে নিয়ে অাজকে খালাদের বাড়ি যাবো। অাজকে অাবার অামার অাব্বার মৃত্যুবার্ষিকী। তাই বিকালে মা’কে নিয়ে অাব্বার কবর জিয়ারতে যাবো।
অামার অাব্বার জন্যও দোয়া করবেন।” ইমন ভাইয়া এভাবেই লিখেছেন। আল্লাহ যেন ওনার বাবার আত্মাকে শান্তিতে রাখেন আর বেহেস্ত নসীব করেন।
বায়রনিক শুভ্র ভাইয়াঃ
ভাইয়ার ঘুম থেকে উঠতে কিভাবে কিভাবে যেন ৯ টা বেজে গেছে । এরপর পহেলা বৈশাখের স্পেসাল খানা খেয়ে বের হয়েছেন । ছোট ভাই-বন্ধু-বড় ভাইদের সাথে দেখা করে শুভেচ্ছা বিনিময় । তারপর আড্ডা । দুপুরে পিসির বাড়িতে নিমন্ত্রণ রক্ষা । বিকালে স্কুলের স্যার দের সাথে একটু হাঁটাহাঁটি । এরপর বন্ধুদের সাথে মাঝারি আকারের একটা বাইক জার্নি সেই সাথে খাওয়া দাওয়া । ১০ টার দিকে মামার বাসায় নিমন্ত্রণ রক্ষা । তারপর বাসায় এসে ফেসবুক।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভাইয়া ফেইসবুকেই ছিলেন 🙂 এবং সেখানে ব্যস্ততার কারনে উনি সোনেলাকে ভুলে গিয়েছেন :p
সঞ্জয় কুমার ভাইয়াঃ
সকাল ৯টায় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে একটি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিলো । দুইটা টিম ছিল একটা হল ফ্যাক্টরি শ্রমিক অন্যটা ভাইয়ার কনস্ট্রাকশন শ্রমিক । দুই দলই প্রচন্ড ভাল খেলেছে । ফলাফল :ড্র । ভাইয়া দর্শক হিসেবেই ছিলেন।ভাইয়া ফুটবল তেমন পা্রেন না তবে এরপর ক্রিকেট খেলা হলে তিনি অবশ্যই খেলবেন।
ক্রিকেট খেলা হয়েছিল কিনা জানিনা 🙂
শিপু ভাইয়াঃ
ঘুম থেথে উঠে ফ্রেশ হয়ে একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছেন নয়াবাজার।
তারপর একটু শাহবাগ মুখি হতে নিচ্ছিলেন। কিন্তু মানবজট থেকে আর সাহস করেননি। এরপর ভাই বেরাদার নিয়া তাঁর অফিসেই আড্ডা দিইয়েছেন।
আড্ডা শেষে সবাই মিলে খানাপিনা করেছেন।ঙ্খানাপিনার পরে নাচানাচিও করেছেন \|/
ভাইয়া নাচের যে ইমো দিয়েছিলেন,তা এখানে আর দিতে পারলাম না :D)
শিমুল ভাইয়াঃ
ঘুম থেকে উঠে ফ্রিজের ঠান্ডা ভাতে পানি ঢেলে কৈ মাছ ভেজে খেয়েছেন। ইলিশ মাছ আনি আনি করেও আনেননি আলসেমি করে। একারনে আফসোস করেছেন সারাদিন।
ভাইয়া মনে হয় ছোট বেলা পড়েননি ‘আলস্য দোষের আকর’ :p নববর্ষের দিনে আলসেমি করে ইলিশ আনেননি এইডা কিছু হইল ?
ছাইরাছ হেলাল ভাইয়াঃ
বাসায় পরিবারের সাথে থেকে বর্ষবরন করেছেন।
জিসান শা ইকরাম ভাইয়াঃ
ভোরে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে প্রথমে খেয়েছেন ‘ নরেন কুরির মিষ্টির দোকান ‘ হতে আনা বাতাসা। এরপর আসল পান্তা , ইলিশ, ডালের টিক্কা, শুকনা আগুনে পোড়া মরিচ দিয়ে ভাত খেয়েছেন ।
এরপরে বাসার সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা দিলেন। মোবাইলে মেসেজ দিয়েছেন সোনেলার যত জনের মোবাইল নাম্বার ছিল সবাইকে।
বিকেলে সবাইকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলেন।
প্রশ্নঃ
আসল পান্তা কি জিনিস?
নরেন কুড়ির মিষ্টির দোকান কি বিশেষ কোন মিষ্টির দোকান?
আরো কয়েকজন ভাইয়ার কাছে জানতে চেয়েছিলাম।এনারা কেউ জানান নি বলে ইচ্ছে থাকা সত্বেও এখানে লিখতে পারলাম না। সজীবকে খুঁজে পাই কিভাবে?
সবশেষে আমিঃ
বন্ধের দিন বলে ঘুম থেকে জেগেছি জেগেছি ৯ঃ১৫ তে।আম্মু রাতে ভাতে পানি দিয়ে রেখেছিলেন ডালভর্তা,ইলিশ, শুকনা মরিচ ভর্তা দিয়ে খেলাম মজা করে। বিকেলে ছোট ভাইকে নিয়ে রিক্সায় ঘুরেছি।
প্রথম ছবিটি নেট থেকে নেয়া।কেউ যেন আবার ঐ ছবির মাঝে লীলাবতীকে খুঁজে পাবার ব্যার্থ চেষ্টা না করেন :p
সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা -{@
৬৫টি মন্তব্য
মারজানা ফেরদৌস রুবা
শুভ নববর্ষ!
এই লীলাবতী, আপনি তো দেখি সোনেলা পরিবারের প্রায় সকলের খোঁজখবরই রাখেন। ভালো, ভালো।
নববর্ষ উপলক্ষে সকলের খোঁজ খবর নেয়া চাট্টখানি কথা নয়।
যাহোক, আপনার মাধ্যমে সকলের খোঁজ খবর পেলাম।
ধন্যবাদ।
লীলাবতী
আপু এত খাবার আপনি বানালেন কিভাবে?আমি এত অবাক হয়েছি যে প্রকাশ করতে পারছি না।ক্যামেরার ফ্রেমে আসেনি সব খাবার।আপনার ওয়াল থেকে স্কিন সট নিলাম।স্কিন সট নিতে পারতাম না।আজ শিখলাম:)
আমরা একটি পরিবারই তো আপু।কে কিভাবে ছিলেন তা জানলাম,সবাইকে জানালাম 🙂 শুভ নববর্ষ আপু।
খেয়ালী মেয়ে
রুবা আপু দাওয়াত চাই..
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হবে একবার।
খেয়ালী মেয়ে
\|/
সিনথিয়া খোন্দকার
আপনার লেখা একটা দিনের জন্য সবাইকে যেন খুব কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। সবার জন্য নববর্ষের শুভেচ্ছা। 🙂
বাই দ্যা ওয়ে, শাশুড়ীর দেয়া একগাদা উপহার আমার ম্যাড়ম্যাড়া পয়লা বৈশাখ কে চাঙ্গা করে দিয়েছে। অল হেইল দ্যা ডিয়ারেস্ট শাশুড়িজ। :p
লীলাবতী
সোনেলায় সবাই বর্ষবরন করি একসাথে,এই চিন্তায় এমন পোষ্টের আইডিয়া মাথায় এলো।হয়ত কোনদিন একসাথে বর্ষবরন করা হবেনা আমাদের।জানতে তো পারি আমরা কে কিভাবে ছিলাম ঐ দিন।
খালাম্মা তো মেলা ভালো।তাকে এত্তগুলান নববর্ষের শুভেচ্ছা দিবেন।তাকে অবশ্যই এই পোষ্ট দেখাবেন।আপনার আর ভাইয়ার জন্যও আন্তরিক শুভেচ্ছা 🙂
আরাফ কাশেমী
আপু থেকে ভাইয়া সংখ্যা কম।জাস্ট ফান করলাম সব নামী ব্লগারদের নববর্ষের দিন কেমন গেলো সম্পর্কে জানতে পারলাম তাই আপনাকে ধন্যবাদ।আর সবাইকে শুভ নববর্ষ 🙂
লীলাবতী
আমি সমান সংখ্যক ভাইয়া আর আপুদের মেসেজ দিয়েছিলাম।যারা যারা জানিয়েছেন তাদেরটাই এখানে দিয়েছি ভাইয়া।আপনাকে ফেইসবুকে খুঁজে পেলামনা ভাইয়া।পেলে আপনাকেও মেসেজ দিতাম।তবে সোনেলা গ্রুপে পোষ্ট দিয়েছিলাম।
শুভ নববর্ষ ভাইয়া 🙂
জিসান শা ইকরাম
সবার বর্ষবরন জেনে ভালো লাগলো
একই পোষ্টে কাছে নিয়ে আসলেন সবাইকে।
মারজানা রুবার খাবারের আইটেম দেখে টাস্কিত।
ওটা আমাদের শহরের সবচেয়ে পুরাতন মিষ্টির দোকান
আসল পান্তা হচ্ছে, ঠান্ডা ভাতে রাতেই পানি দিয়ে রাখা
গরম ভাতে যখন তখন পানি দিয়ে ঠান্ডা বানানো না 🙂
শুভ নববর্ষ—-
লীলাবতী
রুবা আপু আমাদের কবে দাওয়াত দিবেন,তা একবারো বলেননি উনি 🙁
আগুন রঙের শিমুল
🙂 ওয়েলডান লীলাবতী
লীলাবতী
ধন্যবাদ শিমুল ভাইয়া 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
শুভ নববর্ষ লীলাবতী।নববর্ষের এই দিনে কাজের মাঝেই ছুটাছুটি।আমি যে স্থানে থাকি সে স্থানে নববর্ষের অনুষ্ঠান হবে আগামী শনিবার। প্রিয় ব্লগারদের বছরের প্রথম দিন কেমন কাটলো জানলাম।
লীলাবতী
ভালো থাকুন দিদি নতুন বছরের প্রতিটি দিন।
স্বপ্ন নীলা
ওরে আপুরে !! এত সুন্দর করে সাজিয়েছো তোমার পোস্টকে !!! আমি দেখবো না পড়বো বলতো আপুনি !! পড়তে পড়তে মনে হলো সবার সাথেই পহেলা বৈশাখ পালন করা হয়ে গেল —
আপনার আন্তরিকতা ছোঁয়ায় আপ্লুত হলাম আপু —–শুভকামনা রইল
লীলাবতী
আপনার জন্যও শুভকামনা প্রিয় নীলাপু।
সঞ্জয় কুমার
না ক্রিকেট খেলা হয়নি । সোনেলার সবাই কে নববর্ষের শুভেচ্ছা ।
লীলাবতী
আপনাকেও শুভেচ্ছা ভাইয়া।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
আমি যে কি করেছি তা বলতে গেলে লীলাদি পোষ্টের ভাষা খোজে পেত না তাইতো ইনবক্স করিনি।তবে বেশ হয়েছে ১৬টাকার ইলিশ ১৬০০০ হয়েছে,নারী স্বাধীনতার বদলে নারী বস্ত্র হরণ হয়েছে,।এত সুন্দর খবরের মাঝে আমারটা ণগণ্য।শুভেচ্ছা নব বর্ষের।
লীলাবতী
নারীর অপমানের ঘটনা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।এতে নববর্ষ উদযাপন ঠেকিয়ে রাখতে পারবেনা তারা।আপনাকেও শুভেচ্ছা।
শুন্য শুন্যালয়
কতো যে বুদ্ধি ভত্তাবতীর মাথায়!! সবার নববর্ষের প্রথম দিন, দেখেই মন ভরে গেছে। আমি এরপর সবার বছরের শেষ দিন নিয়ে লিখবো। সবাই নতুন বছরে আনন্দ করে, কেউ পুরনো বছর নিয়ে কষ্ট পায়না 🙁
খেয়ালী মেয়ে
শুন্য আপু বছর কবে শেষ হবে?..কবে তোমার বছরের শেষ দিন নিয়ে লেখাটা পড়বো?…
আমাদের ভাইয়াটা এখন কেমন আছে?…
শুন্য শুন্যালয়
কোন এক কস্টের দিনকেই বছরের শেষ দিন বানিয়ে দিই, কি বলো? 🙂
তোমাদের ভাইয়া এখন ভালো আছে। ৩/৪ দিনের মধ্যেই কাজে জয়েন করতে পারবে আশা করছি।
তুমি ভালো থেকো মেয়ে।
খেয়ালী মেয়ে
বানিয়ে দাও 🙂
ভাইয়া ভালো আছে জেনে ভালো লাগলো..
তুমিও ভালো থেকো…
লীলাবতী
আশাকরি ভাইয়া সম্পুর্ন সুস্থ্য হয়েছেন।সবার স্বাস্থ্য ভালো থাকুক।
লীলাবতী
আচ্ছা আপু লিখুন বছরের শেষ দিন নিয়ে।আপনার কাছে আমি শিশু 🙂
হিলিয়াম এইচ ই
আমাকে এতো সুন্দর লেখা হইতে বঞ্চিত করায় ক্ষোভ প্রকাশ। -_-
লীলাবতী
ভাইয়া রেগুলার ব্লগে না আসলে নাম ভুলে যাই। যাদের কথা এখানে লিখেছি,তারা সবাই রেগুলার আসেন।শুভেচ্ছা আপনাকে।
আবু জাকারিয়া
বাহ! একেক জনের বর্ষ বরন একেক রকম, হাজার জনের হাজার রকম। চমৎকার বৈচিত্রপূর্ন। খুব ভাল লাগল।
লীলাবতী
ধন্যবাদ ভাইয়া।শুভেচ্ছা আপনাকে।
নুসরাত মৌরিন
দারুন পোস্ট।
ধন্যবাদ লীলা আপু এভাবে একসাথে সবার খবর জানানোর জন্য
রুবা আপু এত কিছু রাঁধলেন দাওয়াত দিলেন না যে? :p
খেয়ালী মেয়ে
মৌরিন আপু আমারও গত ২টা বছর তোমার মতো ফাইনাল এক্সাম নিয়ে কেটেছে…তবে এবছরটা দুজনের ভিন্ন হয়ে গেলো…স্বর্দি আর জ্বর বিদায় হয়েছে?..
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হাহাহা, আসো। তোমাকে তো আগেই বলা আছে।
লীলাবতী
আপনার জন্য খারাপ লেগেছে আপু 🙁 রুবা আপু আমাদের দাওয়াত দিয়ে খাওয়াবেন কবে ? 🙁
ছাইরাছ হেলাল
শুভেচ্ছা আপনাকেও পান্তা সকালের জন্য।
বেশ আনন্দেই ছিলেন দেখছি।
লীলাবতী
বিকেলে রিক্সায় একটু বের হওয়া।আনন্দ বলতে এই 🙂
মরুভূমির জলদস্যু
সকাল ১১টায় গিয়েছি দোকানে, দুপুরে বাসায় ফিরে মেয়েকে নিয়ে গিয়েছি রক্ত পরীক্ষা করতে, একটা খেলনা পিয়ানো কিনে দিয়ে বাসায় ফিরেছি।
লীলাবতী
পরিবারের সবাইকে শুভেচ্ছা ভাইয়া।
কৃন্তনিকা
বাহ… বেশ…
লীলাবতীর লীলার কি শেষ নেই?
লীলাবতী
লীলার কি শেষ হতে হয় ? 🙂 শুভেচ্ছা আপু।
ফাতেমা জোহরা
ইস…দেরী করে ফেললাম!! সবার কথা জেনে খুবই ভাল্লাগছে আবার মনও খারাপ হচ্ছে এই ভেবে যে এই দিনটির জন্য আবারো এক বছর অপেক্ষা করতে হবে… 🙁
লীলাবতী
এই একবছর আমরা আনন্দ জামাবো আপু।শুভেচ্ছা।
রিমি রুম্মান
সবার বৈশাখ কেমন কাটলো এক পোস্টে জানা গেল। ভাল লাগলো। এইখানে ক্যামনে ছবি দিবো কোন অপশন পেলাম নাহ্
লীলাবতী
আপু ছবি দেয়া তো খুবই সহজ সোনেলায়। শুভেচ্ছা আপু।
খেয়ালী মেয়ে
লীলাবতী আপু প্রথমে তোমাকে অনেক অনেক অনেকগুলো ধন্যবাদ–কি সুন্দর!!! একটা পোস্টের মাধ্যমে সবার নববর্ষের কথাটা জানিয়ে দিলে…তুমি কত্তো ভালো, সবার কত্তো খেয়াল রাখো(লাভ ইমো)
আমার দিনটা ঘুমিয়ে কাটানোর খুব ইচ্ছে ছিলো, কিন্তু পারিনি বাসার পিচ্চি বাহিনীর কারণে, তাদের সাথে আরো যোগ দিয়েছে আমার কাজিনগুলো শহরের বাইরে বেড়াতে যাবে বলে–কি আর করা পিচ্চিগুলোর স্কুল বন্ধ ওদেরকে একটু ঘুরিয়ে আনা দরকার…বেলা ১২টার দিকে বেড়িয়ে পড়লাম সবাই ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রির উদ্দেশ্য–সেখানে ঘন্টাখানেক ছিলাম…তারপর ময়নামতি সেনানিবাসে ভাইয়ার এক বন্ধুর বাসায় দাওয়াত ছিলো,সেখানে দুপুরের খাবার শেষ করে ময়নামতি জাদুঘরের উদ্দেশ্য রওয়ানা হই….জাদুঘর থেকে বের হয়ে শালবন বিহারে ঢোকার জন্য টিকেট কাটতে গিয়ে ভাইয়া আর ভাইয়ার বন্ধু খালিহাতে ফিরে আসে, এত্তো ভিড় ছিলো যে ভিড় ঠেলে তারা সামনে যেতে পারেনি টিকেটের জন্য, তার উপর ছিলো গাড়ি পার্কিংএর সমস্যা….তাই সেখানে আর না গিয়ে বার্ডের উদ্দেশ্য আমাদের গাড়ি ছাড়ে…
বার্ডে বনশ্রী/নিলাচল ঘোরাঘুরি করে সবশেষে মেলায় যাই……..জানো মেলায় একটা বাঁশী উঠেছে যেটা বাজাতে গেলে তুমি যদি নিঃশ্বাস ভিতরের দিকে নাও তবে বাঁশীটাতে ছোট বেবির কান্নার আওয়াজ বের হয়..আর তুমি যদি নিঃশ্বাস ছাড়ো তখন বাঁশী বাজে, দারুন না?—বড় হওয়ার পর এই প্রথম আমি আমার জন্য আলাদাভাবে একটা বাঁশী কিনেছি, অবশ্যই দাম দিয়েছে ভাইয়া—আরো একটা জিনিস কিনেছি আমার জন্য, একটা ছোট্ট মাটির ব্যাংক, দেখতে খুব সুন্দর দেখাচ্ছিলো তাই নিয়ে নিলাম…কিন্তু বাসায় আসার পর থেকে চিন্তায় পড়ে গেলাম কিভাবে আমি এই ব্যাংক ভর্তি করবো?—সবাইকে বললাম যে সবাই এখন থেকে এই ব্যাংকে টাকা পেলবে, কিন্তু কেউ রাজী না—আর আমি নিজে কখনো টাকা জমায়নি…কিভাবে মানুষ টাকা জমায়?…দেখো ৩দিন হয়ে গেলো অথচো আমি এখনো ব্যাংকে একটা টাকাও জমাতে পারিনি :'( কি করি বলতো?…..
শুন্য শুন্যালয়
বাঁশিটা আমার চাই, আর ব্যাংক ভরে গেলে ব্যংকটাও চাই 🙂
খেয়ালী মেয়ে
যাও তোমাকে সব দিয়ে দিবো…কিন্তু কথা হলো ব্যাংকটা ভরিয়ে দিতে কেউ ইচ্ছুক না 🙁
লীলাবতী
আপু তোমার মন্তব্যই তো একটি পোষ্ট হয়ে গেলো।বাশি,মাটির ব্যাংক। দারুন অনুভুতি।জমাতে হবে কয়েন,নইলে কাগুজে টাকা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।সারা বছর ভালো থেকো পরী আপু।
ইমন
লীলাবতী
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আমার মার জন্য সবাই দুআ করবেন। 🙂
লীলাবতী
আপনাকেও ধন্যবাদ।দোয়া করি উনি দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠুন।
মোঃ মজিবর রহমান
বৈশাখী পালন ঘরে করেছি।
ফ্রেন্ড ফেমিলি সহ
বাসায় খয়া আর আড্ডা।
লীলাবতী
খুবই আনন্দ করেছেন তাহলে 🙂
শুন্য শুন্যালয়
সজীবের ফেসবুক আইডি আমি জানি, এড করলে কিন্তু ইনবক্সে জীবন ঝালাপালা করে দেবে। আইডি জানতে চাইলে আমার সাথে যোগাযোগ করুন ভত্তাবতী। 🙂
খেয়ালী মেয়ে
শুন্য আপু দেরী না করে লীলাবতী আপুকে আইডিটা জানিয়ে দেন, আপু যে সজীবকে হারিকেন নিভিয়ে খুঁজছে সেই কবে থেকে……
লীলাবতী
জীবন ঝালা পালা করে দেবে? এরমানে আপনার সাথে এড ছিল নাকি আগে? ইমো বিষয়ক সে প্রথম আপুটা আপনি নাকি? 😛
সীমান্ত উন্মাদ
বাবা মা দুইজনেই অসুস্থ, ভাই আর বোন থাকে হাজার মাইল দূরে তাই বাসায় কেটেছে। যেমনটা প্রতিদিন কাটে। অফিস বাসা অফিস বাসা। শুধু বৈশাখে বাবা মার সাথে বাসায়।
লীলাবতী
বাবা মায়ের সাথে থাকা অনেক আনন্দের।
মোঃআয়নাল
স্বাগতম তোমাদের সাতে শেয়ার একটু দেরি হয়েছে শুভেচ্ছা জানাই সবাই কে সতত
ব্লগার সজীব
আমাকে তো খুঁজে পাবেনই না,জানি তো 🙁 একটা কিছু লিখে দিলেই তো হতো,কেহ তো আর জানতো না যে আমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না!
লীলাবতী
সজীবের তো অনেক বুদ্ধি ! আসলেই তো একটা কিছু লিখে দিলেই হতো।আগামীতে আর ভুল হবেনা ভাইয়া।
নীতেশ বড়ুয়া
আমি ইচ্ছে করেই দেইনি লীলাপু… ইদানিং আমার যা হচ্ছে তা হলো বিশেষ বিশেষ উৎসব বা মিলনমেলায় এলে তা নিয়ে সোনেলার সাথে জানিয়ে দেই। এইবার বর্ষবরণ নিয়েও এই ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু বাসায় ফিরে যা দেখলাম, শুনলাম তাতে আনন্দের অনুভূতিগুলো হারিয়ে গিয়েছে… আমার কাটানো দিনের সাথে কিছুই মেলেনি আর 🙁
লীলাবতী
বুঝেছি ভাইয়া।
মেহেরী তাজ
আপু এতো দিন পরে এই পোষ্ট টা পড়ছি। এখন আর পহেলা বৈশাখের কথা কিছু মনে করতে পারছি না। তবে এটা মনে আছে বৈশাখের পরের মঙ্গল বারেই আমার ইয়ার ফাইনাল এক্সাম শুরু হয়েছিলো বলে খুব টেনশনে ছিলাম।
লীলাবতী
এবার তাহলে বৈশাখ গেলো টেনশনে 🙂