সেই সে যেবার বৃষ্টি হলো পূজোর মাসে
পথ-ঘাট সব জল থৈ থৈ
রিক্সা কোথায়!
তুমি তখন অপেক্ষাতে বসে ছিলে, এদিকে আমি কিভাবে যাই,
সে কথাই ভাবছিলেম।
তখন তো আর ফোন ছিলোনা, শুধুমাত্র চিঠি ছিলো
আর বসে মুখোমুখি যা কিছু সব কথা হতো।
কি যে করি, ভাবছি তখন,
রিক্সা কোথায়! কি করে যাই!
তোমার তো একটুকুতেই রাগ উঠে যায়। মাঝে-মধ্যে মন বলতো, আজই শেষ! আর না! খুব হয়েছে! কিন্তু আমি হেরে যেতাম, তোমার চোখের বিষণ্ণতায়;
তবু সেদিন ভাগ্য ভালো একটা রিক্সা খুঁজে পেলাম,
এই রিক্সা যাবেন নাকি টিএসসিতে? ভাড়া আমি বাড়িয়েই দেবো। চলুন না ভাই!
তখনও ভাই ডাকের মূল্য ছিলো, তেড়ছা নজর কাটিয়ে দিতো।
বেইলি রোডে এক হাঁটু জল, বেচারা রিক্সাওয়ালা প্যাডেল ঘোরায় টেনে টেনে;
ওদিকে তো আমার তাড়া, তুমি তো বলেই খালাস,
‘আসতে হবে।’
এই যে ভাই, একটু প্লিজ জোরে চালান।
অবশেষে পৌঁছে গেলাম যথাস্থানে, কিন্তু এখন তুমি কোথায়!
বৃষ্টি আবার নামলো বলে, ভিঁজতে আমার আপত্তি নেই, তুমিও জানো
কিন্তু এখন তুমি কোথায়!
ওই সময়েই তোমার বন্ধু তমাল ভাইয়া সামনে আমার এসে দাঁড়ালেন,
‘কখন এলে? নিমগ্ন আসেনি বুঝি! বড্ড পাগল, এলোমেলো। নাটাই তুমি ছেড়ে দিওনা, বুঝলে? একটুখানি কঠিন হয়ো।’
হেসে ফেললাম কথা শুনে, তখনই বৃষ্টি এলো, এক ছুটে ক্যাফেটেরিয়ায়
কে জানতো তখনই তুমি, এসে খুঁজবে আমায় সে বৃষ্টিতে!
বোকারা রাগে বেশী, তেমনি করে সন্দেহ, তুমিও তেমনই ছিলে,
কে একজন বলে ফেললো, ‘রিনিকে তো দেখলাম ক্যাফেতে ছুটে যেতে, সাথে ওর তমাল ছিলো।’
অমনি তুমি রেগেমেগে অস্থির হয়ে ফিরে গেলে; বোকা তুমি! তাইতো তুমি একলা ভীষণ
বিকেল নিয়ে বসেছিলেম শুধু তোমার অপেক্ষাতে,
সন্ধ্যে যখন গড়িয়ে গেলো রিক্সা কোথায়! ফিরে এলাম।
কে জানতো আজকে আবার এমন করে দেখা হবে তোমার সাথে রিক্সা স্ট্যান্ডে
এমনই বৃষ্টি দিনে?
কিন্তু আজও রিক্সা যে নেই
হঠাৎ এক রিক্সা দেখে, এই রিক্সা যাবেন নাকি? একই সাথে বলে ওঠা,
দুজনেই চমকে গেলাম, চেয়ে দেখি সামনে তুমি।
বললে আমায়, ‘কেমন আছো? কোথায় যাবে, নামিয়ে দেবো? আমি যাচ্ছি টিএসসিতে।’
কিন্তু আমার অন্যপথে যাবার তাড়া, আত্মজ অপেক্ষাতে বসে আছে।
হ্যামিল্টন, কানাডা
২ মার্চ, ২০১৭ ইং।
৫৭টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
বৃষ্টিতে এক সাথে রিক্সায় ঘুরিয়ে এনে শেষ করলে আরও দারুণ হতো।
নিটোল মিষ্টি মিষ্টি প্রেমের দারুণ অপ্রাপ্তিতে কবিতাটি খুব সুন্দর।
নীলাঞ্জনা নীলা
কি করবো বলুন রিনী মেয়েটা পাতলা টাইপের না তো, তাই রিক্সায় ওঠেনি।
নিমগ্ন টাইপের পুরুষদেরকে এমন শাস্তিই দেয়া উচিৎ, এটা রিনীর মত আর কি!
কুবিরাজ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য আপনাকে আমার দাঁত ক্যালানো হাসি দিলাম। 😀
মিষ্টি জিন
পড়ছিলাম আর অপেক্ষা করছিলাম কখন দুজনে রিক্সায় বসে বৃষ্টিতে ভিজবে।
দিলে সব মাটি করে ।
আচ্ছা ঐকালে মোবাইল ছাড়া ডেটিং ফেটিং করতো কেমনে? ভেবেই কূল পাইনা । না আসতে পারলে বলার কোন উপায় ও ছিল না ।ভুল বোঝাবুঝি লেগেই থাকতো মনে হয়।
অনেক ভাললাগা রেখে গেলাম।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমিও ভেবে পাইনা। তবে আমার সময়ে তো মোবাইল ছিলোনা। প্রেম করেছি, কিন্তু ভুল বোঝার মতো কোনো অবকাশ ছিলোনা।
আরে মাটিই তো খাঁটি। গান আছে না? “ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়েও খাঁটি, আমার দেশের মাটি।”
মিষ্টি আপু যাও এরপরে আর কোনো লেখায় বৃষ্টিতে ঘুরিয়ে আনবো অন্য কাউকে। খুশী? 🙂
নীহারিকা জান্নাত
ধুর…রিক্সায় উঠে গেলেই পারতেন।
এমন সুযোগ কেউ হাতহাড়া করে? (-3
নীলাঞ্জনা নীলা
নীহারিকা আপা কি আর বলবো বলুন! রিনীর পার্সোনালিটি এমন যে নিজেকে কোথাও কারো কাছে ছোট হতে দেখলেই সরিয়ে নেয়। যার থেকে সরে যায়, সেই মানুষ ভাবে আসলে বুঝি সে নিজে সরে গেছে। আসলে তা কিন্তু নয়। রিনী এমন মানুষ, যে সরে যেতে চায় তাকে আটকায় না। বা কান্নাকাটি করেনা।
আমি যদি রিনীর জায়গায় হতাম প্রথমে উঠতাম রিক্সায়, তারপর জুতা দিয়ে মারতাম। 😀
নীহারিকা জান্নাত
হা হা হা …..এই হলো আসল কথা।
কিন্ত কথা হলো ইচ্ছে থাকলেও অনেকসময় এমন আচরণ করা হয়ে উঠে না।
নীলাঞ্জনা নীলা
নীহারিকা আপা আপনি তাহলে অনেক নরম মনের।
আসুন আমি শিখিয়ে দেই কিভাবে কঠিন হওয়া যায়!
গাজী বুরহান
দারুন…
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনাকে ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
মনটা আজ বড় ব্যাকুল হলো
কাব্যের কাব্যিকতায় হারিয়ে গেলাম
সেইসব দিনে, যেদিন আমি ছিলাম তার পথপানে চেয়ে।
নীলাঞ্জনা নীলা
আহারে! হ্যান্ডপাম্প ভাই মন ব্যাকুল হয়েছে বুঝি? আচ্ছা আমার ভাবীও যদি এভাবে ব্যাকুল হয় কারো জন্য, কি করবেন বলুন তো? 😀
ইঞ্জা
আপনার ভাবী আমার কাহিনী জানেন :p
আপনার ভাবী পীর বংশের মানুষ, বুঝেন এখন। :p
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাগ্য ভালো ভাবীর এমন কোনো কাহিনী নাই। থাকলে… 😀
শিপু ভাই
এক্কেরে উচিত হইছে.
পারস্পরিক সম্মানবোধ বিশ্বাস না থাকলে কোন সম্পর্কই টেকে না.
সুখপাঠ+++++++
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনার মন্তব্যকে আমি শতভাগ সহমত পোষণ করছি।
একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে বিভিন্নভাবে। কিন্তু তাকে ধারণ করতে গেলে যত্ন এবং সম্মান দুটোরই প্রয়োজন পড়ে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ রিনীর অনুভূতিকে বুঝতে পেরেছেন বলে।
মৌনতা রিতু
পাগলরা সত্যিই সন্দেহ প্রোবন বেশি কেন? গাল ফুলিয়েই খালাস হয়। মুখেই বলে, তোমায় আমি খুব ভালবাসি এই চোখে চেয়ে দেখ থাই তো এতো সন্দেহো করি!
ঠিকই করেছে। অন্যপথে যাওয়াই ভাল হোক না সে পথ একলা চলা।
দারুন লিখেছো আপু। (3 -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
পাগল আর বোকায় পার্থক্য অনেক গো আপু। সন্দেহ মারাত্মক একটা রোগ। কেউ সারাতে পারেনা।
আপু রিনীর মধ্যে ন্যূনতম আফসোস নেই নিমগ্নর জন্য। একজন নারী যখন ভালোবাসে, তখন কোনোকিছু যেমন পরোয়া করেনা। আর যখন সেই ভালোবাসার মানুষের উপর কোনো আবেগ আসেনা, তখন কিছুতেই আর কোনো অনুভূতি তৈরী করতেও পারেনা। তুমি ভালো করেই জানো সেটা। বোঝোও। কারণ আমরা নারী।
ভালো থেকো শান্তসুন্দরী। (3 -{@
ইকরাম মাহমুদ
সবকিছু ভুলে যদি আরো ক’টা কথা হতো দুজনের….!!
নীলাঞ্জনা নীলা
কথা ফুরিয়ে গেলে কথা কি আর আসে?
তবে আরোও কথা লিখতে গেলে আরোও বড়ো হয়ে যেতো লেখাটা। তাই থামিয়ে দিয়েছিলাম।
আবু খায়ের আনিছ
গতকাল রাতে লেখাটা পোষ্ট হওয়ার সাথে সাথেই পড়েছিলাম, আমি তখন কেবল ব্লগ থেকে বের হচ্ছি। বেশ কয়েকবার পড়লাম মনযোগ দিয়েই পড়ে মনটা ভিষণ খারাপ হয়ে গিয়েছিল তাই মন্তব্য করি নাই।
একটা পটভূমি দিয়েছো ভাবার আর আমি তার উপরে একটা গল্প সাজিয়েছি আমার, যেখানে শুধুই হাহাকার করে উঠে একটা মানুষ। বেশ ভালো একটা লিখা দিদি।
নীলাঞ্জনা নীলা
আনিছ ভাইয়া সত্যি গল্প লিখেছেন? লিখে ফেলুন। ভালো লাগলো। জানেন গতকাল মামনিকে পড়ে শুনিয়েছিলাম, আমায় বললো, “তুই গল্প আকারেও লিখতে পারিস।” আজ ফোন দিয়ে বলবো গল্পটা আপনি লিখছেন। জানলে খুব খুশী হবে মামনি।
ভালো থাকুন। আর গল্পটা তাড়াতাড়ি দিন।
আবু খায়ের আনিছ
এই সপ্তাহে হচ্চে না আপু, আসলে আমার পরিক্ষা চলছে টানা পনেরদিন হলো, এই সপ্তাহে শেষ হওয়ার কথা। তারপর লিখব, অনেকদিন প্রেমের গল্প লিখা হয় না, এই মকায় কিছু একটা লিখে ফেলব আশা করি।
নীলাঞ্জনা নীলা
যাক অপেক্ষায় রইলাম। পরীক্ষা খুব ভালো হোক। আমি জানি আমার আনিছ ভাইয়া অনেক ভালো রেজাল্টও করবেন। 🙂
গাজী বুরহান
সবার মত আমিও বলি, রিক্সায় উঠা টা বেটার ছিল।
.
.
অসাধারণ লিখেছেন..।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমিও তো বলি রিক্সায় কেন যে উঠলো না। 🙂
অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাদের সবার প্রেরণাদায়ক মন্তব্যে লেখার উৎসাহ ক্রমশ বেড়েই চলছে।
প্রহেলিকা
কিছু কিছু লেখা বা কবিতা পড়ার পর খুব ভালো লাগা সত্ত্বেও কেমন জানি একটা অপূর্ণতা কাজ করে। ক্ষণিক ভাবনাকাশে ডুবিয়ে রাখার পর মনে হয় যদি লেখাটির আবৃত্তি শুনা যেতো তবেই হয়তো পূর্ণতা পেতাম। ঠিক এমনি এই লেখাটি। আবৃত্তি করার মতোই। যদি কখনো কেউ আবৃত্তি করে লেখাটিকে তাহলে আমাকে শুনানোর কথা মনে থাকে যেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাবছিলাম এই লেখাটি নিয়ে এমন একটি মন্তব্য আসবেই। কে আর আবৃত্তি করবে বলুন! আমার হেঁড়ে গলা শুনতে চাইলে(তাও আবৃত্তি আর আমায় দিয়ে হয়না এখন) শোনাতে পারি। কিন্তু সত্যি কথা বলতে হবে কেমন হলো, ঠিক আছে? উত্তর পাবার পরে এই আপনাকে শোনানোর ব্যবস্থা করতে পারি। 😀
নতুন লেখা কোথায়?
প্রহেলিকা
একটি মন্তব্য লিখেছিলাম প্রাসঙ্গিক কিছু বলে বাট দুর্ভাগ্য এই যে সেইভ করার আগেই মুছে গেলো। যাহোক, অল্প কিছু কথা না বললেই নয়। আজকাল যাদের লেখা পড়ি তারা কেবল শব্দের ওপর নির্ভরশীল। মনে হয় তারা ভাবে যে কিছু অপ্রচলিত শব্দ জুড়ে দিলেই বুঝি লেখা হয়ে যায়। ঝংকার কিছুটা তুলে হয়তো তবে এগুলো পাঠক মনে স্থায়িত্ব পায় না। লেখার মাঝে কোমলতা ভাব ফুটিয়ে তোলাটা একটা গুণ যেটা আপনার আছে। আমি মিথ্যে প্রশংসা করি না। এই লেখাটি পড়ে পাঠক ফুটিয়ে তোলা দৃশ্যকল্পে অনেকদিন আটকে থাকবে। পড়া মাত্রই ভুল যাবে না। লেখাটি এমনি ভালো। আমার তাই মনে হয়েছে। যদিও আমি পাঠক হিসেবে অধম।
আবৃত্তি শুনতে পারলেই হলো। অপেক্ষায় থাকছি তাহলে।
নীলাঞ্জনা নীলা
পাঠক হিসেবে আপনি কেমন সেটা আমি ভালো করেই জানি।
মজা হলো, আসলে লিখতে যাচ্ছিলাম আমার ভাইয়ের জন্মদিন নিয়ে। পূজোর সময়কার শৈশব, আনন্দ, খেলা এসব নিয়ে। কিন্তু কিছুতেই ছন্দ মেলাতে পারছিলাম না। তাই ওকে গদ্যাকারে একটা লেখা লিখে দিয়ে ভিডিও বানিয়ে পাঠিয়ে দিলাম। আমি বিপদে পড়লাম প্রথম লাইনটি নিয়ে। প্রথমে পাত্তা দেইনি। তারপর মাঝরাতে গিয়ে লিখতে পারলাম। কি যে জ্বালিয়েছে এই লেখাটা আমায়, বিশ্বাস করুন যখন পোষ্ট করি আমার মনে হয়েছিলো কারুরই পছন্দ হবেনা। তাছাড়া অন্তমিল ছাড়া ছন্দ এটাও মনে হয় মানাবে না। তবে আমার স্যারকে দিলাম প্রথম, তারপরে আমার কবিতা বন্ধু ফুলকে। বললো “এখুনি দে!” দিলাম।
কবিতা রেকর্ড করেছি। কিন্তু কিভাবে দেই বলুন তো? ইউটিউবে তো ভিডিও বানিয়ে দিতে হবে। ^:^
প্রহেলিকা
সত্যি বলতে অন্ত্যমিলের কবিতাতে মৃদু তালের দোলা থাকলেও তেমন একটা টানে না আমাকে। অনেকে কেবল এই অন্ত্যমিলটাকে মুখ্য ভেবে একটি বলিষ্ঠ লেখাকেও লঘু করে তুলে।
কোনোভাবে কি এখানে দেয়ার ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না? অপেক্ষাতো করলাম। এবার দিয়ে দিন।
নীলাঞ্জনা নীলা
এখানে দিতে পারছিনা। চেষ্টা করেছি। দেখি ভিভা ভিডিওতে এডিট করে ইউটিউবে দেয়ার চেষ্টা করবো।
কথা দিয়েছি যখন, অবশ্যই দেবো।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
এতো বড় দম নেয়া কবিতা ।রেকর্ড ছাড়া বা আবৃতি ছাড়া মজা নেই।ধারুন লিখছেন দিদি
এমনই বৃষ্টি দিনে?
কিন্তু আজও রিক্সা যে নেই
হঠাৎ এক রিক্সা দেখে, এই রিক্সা যাবেন নাকি? একই সাথে বলে ওঠা,
দুজনেই চমকে গেলাম, চেয়ে দেখি সামনে তুমি।
বললে আমায়, ‘কেমন আছো? কোথায় যাবে, নামিয়ে দেবো? আমি যাচ্ছি টিএসসিতে।’
কিন্তু আমার অন্যপথে যাবার তাড়া, আত্মজ অপেক্ষাতে বসে আছে।
অভার অল মন ছুয়েঁ গেল। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
মনির ভাই এতো বড়ো লেখা আমিও এই জীবনে দ্বিতীয়বার লিখলাম। এর থেকেও বড়ো একটা লেখা ছিলো, “আমি শ্যামা বলছি।” কিন্তু ডায়েরী হারিয়ে গেলো, সাথে লেখাটিও। 🙁
দেখি আবৃত্তি দেয়া যায় কিনা!
ভালো থাকুন মনির ভাই। -{@
চাটিগাঁ থেকে বাহার
রিক্স জীবনের চলার পথে যেমন দরকারী , সাহিত্যের জন্যও কম দরকারী নয়। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
রিক্সা আর ট্রেন আমার সবচেয়ে প্রিয় যান।
রিক্সা নিয়ে আরোও লেখা ছিলো আমার, কিন্তু ডায়েরীটা হারিয়ে ফেলেছি।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
অরণ্য
“বোকারা রাগে বেশী, তেমনি করে সন্দেহ” – বেশ! নিমগ্নের জন্য মায়া লাগলো একটু।
মন্তব্য থেকে নেয়া “যখন সেই ভালোবাসার মানুষের উপর কোনো আবেগ আসেনা, তখন কিছুতেই আর কোনো অনুভূতি তৈরী করতেও পারেনা” – কথাটা ভাল লাগলো। (y)
প্রহেলিকার মন্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করছি।
ভালো লেগেছে লেখাটি।
(y)
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাই অরণ্য তোমার মনে অনেক মায়া। যারা অনেক আনন্দ করে, সবাইকে আনন্দে রাখে তাদের মনে অনেক মায়া থাকে। আমি এটা মনে করি, বিশ্বাসও।
তোমার থেকে পাওয়া মন্তব্যের জন্যে লেখাটির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
ভালো থেকো।
নিতাই বাবু
রিকশা নিয়ে কবিতাপাঠ এই প্রথম করলাম, প্রথম পড়লাম দিদি। ভালো লেগেছে, সুন্দর হয়েছে।
প্রশংসনীয়
নীলাঞ্জনা নীলা
নিতাই দাদা রিক্সা নিয়ে আরোও লেখা ছিলো আমার, ডায়েরীটা হারিয়ে গেছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য।
ভালো থাকবেন।
অনিকেত নন্দিনী
সাব্বাস মেয়ে! বেশ করেছো রিকশায় ওঠোনি। যে জীবনের সাথে জড়িয়ে নেই, তার সাথে কয়েক পলক রিকশায় বসে কীইবা হবে শুধুশুধু জতুগৃহের মতো পরিস্থিতি তৈরি ছাড়া?
নীলাঞ্জনা নীলা
নন্দিনীদি খুব ভালো লাগলো। ভালো বলেছেন এবং আমার মনের মতো বলেছেন।
জীবন থেকে কাউকে ছেটে ফেললে তাকে আর কখনো জায়গা দিতে নেই। এটাই আমার মত।
ভালো থাকুন।
শুন্য শুন্যালয়
একটা গান যতবার শুনি ততবার সেই গানটা চোখের সামনে দেখতে পাই, “একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে”
তোমার কবিতা টিও ঠিক যেন এক একটা শব্দ ধরে দেখতে পেলাম। আমি কিন্তু আবৃত্তি করেই পড়েছি 🙂 খবর্দার আবার আবৃত্তি শুনতে চেওনা যেন।
বেশ সুন্দর সমাপ্তি টেনেছো। সন্দেহবাতিকগ্রস্ততা প্রেম নয় মোটেই। এ আরেক অবদমন করা। অনেক দারুন এই লেখাটা।
নীলাঞ্জনা নীলা
এই আবৃত্তি শোনাও প্লিজ। ভালো আবৃত্তি করো বলে এতো অহঙ্কার ভালো না কিন্তু।
নিজের আত্মসম্মান যারা বিসর্জন দেয়, তাদেরকে আমি ঘেণ্ণা করি আপু।
প্লিজ আবারও বলছি আবৃত্তিটা শোনাও। -{@
মোঃ মজিবর রহমান
দারুন অনুভুতি আঘাত দেওয়া হৃদয় ছুয়ে মন গড়িয়ে ভাল লাগা সৃতি আমার আয়না।
ভাল লাগলো।
নীলাঞ্জনা নীলা
মজিবর ভাই মন্তব্যে মুগ্ধতা।
ধন্যবাদ আপনাকে।
নীরা সাদীয়া
অসাধারন মিষ্টি প্রেমের ছবি আঁকলেন কথার জাদুতে। বোকারা রাগে বেশি, সন্দেহ করে বেশি। আবার তারাই কিন্তু ভালোওবাসে সবচেয়ে বেশি। যাই হোক আপনার কবিতার ঐ তুমির সাথে আমার চরিত্র কিছুটা মিলে যাচ্ছে। বেশ লাগল। এমন লেখা আরও চাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
আসলে বোকারা ভালোবাসে, কিন্তু সন্দেহবাতিক যারা, তারা আসলে অসুস্থ। আমি বেশ কিছু মানুষের মধ্যে এই সন্দেহ দেখেছি, আর কি যে ভয়ঙ্কর সেটা বলার মতো নয়। একজন তো মানসিক ভারসাম্যতা হারিয়ে ফেলেছে। আমরা প্রিয় মানুষের ব্যাপারে একটু বেশী রকমেই খেয়াল করি, কিন্তু সন্দেহ তৈরী হলে সেটাকে নিজেরই ভাঙ্গতে হয়। একটা সম্পর্কে বিশ্বাস না থাকলে, সেই সম্পর্ক ভাঙ্গবেই।
ধন্যবাদ আপনাকে নীরা।
জিসান শা ইকরাম
এমন ধরনের লেখা সম্ভবত এই প্রথম লিখলি তুই,
আমি আবৃত্তি করেই পড়লাম,
ঘটনা, কিছু কথা এবং সমাপ্তি মনে থাকবে বহুদিন, বা আজীবন।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা এমন ছন্দে আরোও লিখেছি। ভুলে গেছো তুমি। নাও পুরোনো ওই লেখাটার কিছু অংশ তুলে দিলাম।
“সবাই ভাবে চেহারাতে- চলা বলায়
কিম্বা বোধের নাট্যকলায়
একই রকম সেই তো আমি
যেমন ছিলাম আগের মতো
বলতে পারো নদীর মতো
সেই কি আছি — জানি না তা
বলতে পারো
কেন আমার উচ্ছ্বলতা
ভালোবাসার বিহ্ববলতা
কোকিল ডাকা ভর দুপুরে
অলস ঘুমে স্বপ্ন গ্রহণ
আর টানেনা জলের মতো
বলতে পারো, কেন আমি এমন হোলাম?
ধূপের মতো জ্বলে জ্বলে সোনার ধানে
সোনার তরী ভরিয়ে দিলাম, ভরিয়ে দিলাম
কেন আমি এমন হোলাম?”——নানা ভালো থেকো।
মেহেরী তাজ
উফ এরা এতো বোকা কেনো?? এতো রাগ আর সন্দেহই বা কেনো??
অনেকদিন পর আপনার লেখা! ভালোলাগা অফুরন্ত! 🙂 -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
পিচ্চি আপু অনেকদিন পর আপনাকেও তো দেখলাম!
পরীক্ষা শেষ বুঝি? নতুন লেখা কবে পাবো?
মিস করি খুব আপনার লেখা। সত্যি বলছি।
অনেক অনেক ভালো থাকুন। আর তাড়াতাড়ি চিঠি লিখুন। 🙂 -{@
মুহাম্মদ আরিফ হোসাইন
বাহ্!!
চমৎকার কবিতা তো!!
খোশ মেজাজে পড়তে পড়তে একটুখানি মলিন হলাম।
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করে নিচ্ছি এতো দেরীতে প্রতিমন্তব্যের জন্য।
কবিতা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশী হোলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
ব্লগার সজীব
নীলাদি কেমন আছেন? কত যে ভাল লেখেন আপনি ! -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার ভাভু ভাইয়াটা যে কোথায় হারিয়ে গেলো!
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার ভাভু ভাইয়াটা যে কোথায় হারিয়ে গেলো!