রাত, এখনও কাঁদছো! মোছ চোখ।
এসো, আরও কাছে এসো,এসো এই বুকে।
রূপোর ঝিনুকে তুলে ওম ওঠা দুধ খাইয়ে দেব
দেব কপালে কাজল টিপ;
গন্ধ মাখা এলো চুলে জোড়া বিনুনি করে দেব
লাল ফিতের ফুল জড়িয়ে,
কথা দিচ্ছি ঝুমঝুমি এনে দেব দু দু’টো ।
চলো, নিকানো উঠোনে খেলি দুজনে এক্কা দোক্কা , সত্যি বা মিথ্যে-মিথ্যি চড়ুইভাতি।
চলনা ,দু ‘জনে চুপি চুপি কাশবনে কালো ফড়িংয়ের পিছু নিয়ে ধরে ফেলি দু’একটা।
লেজে ছোট্ট সুতো বেধে ওড়াই, কিছুক্ষণ।
আবারও বলছি–
শেষ কর এ কান্না আমার বুকে মুখ লুকিয়ে।
তোমার মুখর সান্নিধ্যের অপরূপ ঘ্রাণ
দেয়ালে লুটায় অবহেলে,
অযথা কেনই বা মাথাকুটে মড়া অস্থিরতার অবগাহনে?
এ ঝিমঝিম ওষধি স্বপ্ন না দেখলে হয়না ?
কেঁদোনা বলছি, ক্ষণিকের এই সরাইখানায়
ভীরুতার হিম নিয়ে কেন যাও পাথুরে দেয়ালে মাথাকুটতে !
৫৬টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
এমন প্রলোভনে রাত কি না এসে পারবে? কান্না ভুলে এমন আহ্বানে সাড়া দিক রাত। এমন সত্যি কিংবা মিথ্যে-মিথ্যি চড়ুইভাতি ফেলে কে যেতে চায় ঝিমঝিম ওষধি স্বপ্নে ডুবতে।
এমন ভাবে ডেকে সব যে নিজের করে নিয়ে নিতে চাইছেন? কি হবে এবেলা আমাদের?
বনলতা সেন
কোথায় আর নিজের করে নেয়া হল ? আমিতো শুধু বেমক্কা দেয়াল যন্ত্রণা ভুলিয়ে দিতে চেয়েছি মাত্র ।
আপনি তো ভোরকে নিজের করেই নিয়েছেন । রংয়ে ফিরিয়ে নিতে বাকি শুধু ।
শুন্য শুন্যালয়
নেয়ার বাকি আছে বুঝি? রাতের যন্ত্রণা দেখছেন, তাকে আদর করে কাছে ডাকছেন, আবার এক্কা দোক্কার লোভ ও দেখাচ্ছেন। ভাবছি কেমন করে এমন ভাবে লিখছেন। পুরোটা ঢেলে না দিলে সম্ভব নয় তা বুঝতে পারছি।
ভোর আমার একার নয় তো আর। সবাইকে নিয়ে দেখি ভোরের রঙ।
বনলতা সেন
যাক , আপনার অনুমতি নিয়ে আবার না ভোরের দিকে কাঁপা কাঁপা চোখ তুলে তাকাব !
আপনি তো এর থেকেও ভাল ইচ্ছে করলেই লিখতে পারেন , লেখেন ও ।
ভোর তার রঙ কখন ফিরে পাচ্ছে তাই বলুন এবারে ।
শুন্য শুন্যালয়
যেভাবে রাতের মাঝেও আলো দেখেন, দেখতে পারবো কখনও?
আমি কিন্তু অনুমতি নেবনা, লিখতে চাইলে দুম করে রাত নিয়ে বসবো।
ভোরের জন্য রঙ খুঁজছি। আমি কি আর চাইলেই পাই বুনো দির মতো?
বনলতা সেন
কোন অনুমতির প্রয়োজন নেই । দুম দুমিয়ে শুরু করে দিন ।
আপনি চাইলেই পাবেন । শুধু শুরু করতে যা দেরি ।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
নির্ভয় আদর মাখা দরদী কবির কবিতাটি মনে বেশ নাড়া দিয়ে গেল। -{@ (y)
বনলতা সেন
লিখে মন্তব্য করছেন দেখে আনন্দিত ।
খসড়া
রাত্রি কাঁদে কারও জীবনে কারও জীবনে হাসে।
বনলতা সেন
হাসি ও কান্নাই আমাদের জীবন ।
সীমান্ত উন্মাদ
রাত আমার খুবই প্রিয় সময়। নিঝুম চুপচাপ, অখণ্ড নিরবতা। আপনার কাব্যখানায় অনেক অনেক ভাললাগা। আপনার জন্য শুভকামনা নিরন্তর।
বনলতা সেন
আপনাকেও অভিনন্দন । অনেকদিন পর দেখলাম আপনাকে।
স্বপ্ন নীলা
দারুনতো !! নতুন করে রাত নিয়ে ভাবতে হবে
বনলতা সেন
আপনি চাইলেই ভাবতে পারেন । ভাবলে আমরাও পড়ার সুযোগ পেয়ে যাব ।
মোঃ মজিবর রহমান
চলো, নিকানো উঠোনে খেলি দুজনে এক্কা দোক্কা , সত্যি বা মিথ্যে-মিথ্যি চড়ুইভাতি।
চলনা ,দু ‘জনে চুপি চুপি কাশবনে কালো ফড়িংয়ের পিছু নিয়ে ধরে ফেলি দু’একটা।
লেজে ছোট্ট সুতো বেধে ওড়াই, কিছুক্ষণ।
খুব ভাল লাগ্ল
বনলতা সেন
ভাল থাকবেন আপনি ।
শিশির কনা
ইশ, আমাকে যদি কেউ এমন বলতো 🙂
বনলতা সেন
আপনাকেও বলে নিশ্চয়ই , আমাদেরকে তা আপনি বলেন না ।
প্রজন্ম ৭১
কালো ফড়িংয়ের লেজে ছোট্ট সুতো বেধে ওড়াবো কিন্তু আমি। এটি রাতকে দেয়া যাবেনা। এমন আহবান রাত উপেক্ষা করতে পারবেনা।
বনলতা সেন
কান্না দেখে কী আর করার থাকে । যদি একটু স্বস্তি দিতে পারি ।
আগুন রঙের শিমুল
কেঁদোনা বলছি, ক্ষণিকের এই সরাইখানায়
ভীরুতার হিম নিয়ে কেন যাও পাথুরে দেয়ালে মাথাকুটতে !
ওয়াও :c :c
বনলতা সেন
ভাল কবিদের প্রশংসা শুনতে ভালোই লাগে ।
বেশি করে আমাদের জন্য লিখুন ।
প্রিন্স মাহমুদ
চমৎকার ।
বনলতা সেন
জ্বি ।
ব্লগার সজীব
এত শান্তনা, এত ভালুবাসা 🙂
শুন্য শুন্যালয়
আচ্ছা লেখার আপডেট সিস্টেম নেই কেনো? রাত কি এলো?
শুন্য শুন্যালয়
ভুল জায়গায় লিখে ফেলেছি 😛 বনলতা দি উদ্ধার করুন ।
ছাইরাছ হেলাল
আহারে , কে যে কাকে উদ্ধার করে কে জানে ?
ব্লগার সজীব
ভুল করিতে ভুল করিবেন না ।
বনলতা সেন
বুঝিয়ে বলুন , ঘটনা কী ?
শুন্য শুন্যালয়
রাতের আপডেট জানতে চাই বনলতা দির কাছে, মন্তব্য ব্লগার সজীব এর কাছে গেলে আমি কি করবো?
বনলতা সেন
এখানে তাতে সমস্যা কী ? আমরা তো আমরাই ।
আপডেট ……………………………
ঝুমঝুমি লাল ফিতে নিয়ে হাসি হাসি মুখে ঘুমিয়ে পড়লেও আমার কেন জানি মনে হচ্ছে মুখপুড়ি রাত চোখ পাহারার বেড়া এড়িয়ে ঐ দেয়ালে মাথা কুটতে যেতে পারে।
যন্ত্রণার এক শেষ ।
আপনার খবর তো পাচ্ছি না ।
শুন্য শুন্যালয়
এই যে আমি। মুখপুরি রাতের একঘুম নিশ্চিত অনেক আনন্দময় হয়েছে।
আমার মাথা ফাঁকা। কোন লেখা আসেনা। মরচে পরে গেছে 🙂
বনলতা সেন
ফাঁকা মাথায় ফাঁকা ফাঁকা লেখা লিখতে সমস্যা কী ?
শুন্য শুন্যালয়
তিন তিনটা দিন আমাদের ছেড়ে থাকেন কেমন করে? এই রাতকে কিন্তু মোটেও সুবিধের মনে হচ্ছেনা।
বনলতা সেন
এসেই পড়েছি আবার , আবার ।
বনলতা সেন
কান্নাকাটি দেখলে কি আর করার থাকে । শান্তনা ও ভালোবাসা ছাড়া ।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার লেখায় মন্তব্য করা আমার জন্য বেশ কঠিন ।
রাত্রিকে রাতের মত করে আর পাব বলে ম্নে হচ্ছে না ।
প্রশংসা করার শব্দ খুঁজে পাওয়াও কঠিন হয়ে যাচ্ছে ।
বনলতা সেন
রাতের অবস্থা তো সুবিধের না । আর আপনি না পেলেই ভাল ।
প্রশংসা করা ভাল না ।
বন্দনা কবীর
এত আদরে তো গলে যাবে রাত ।
বনলতা সেন
কান্নাকাটি দেখে কী করে সহ্য করি , মাতৃ হৃদয় বলে কথা ।
জিসান শা ইকরাম
রাত কান্নাকাটি করে নাকি ?
জ্যোৎস্নায় দেখি রাত হাসে ।
বনলতা সেন
রাত তার ভালোবাসায় সাড়া পাচ্ছে না দেখে কান্নাকাটি করছে ।
জ্যোৎস্নায় অবশ্যই হাসে । জীবন হাসি-কান্নার ।
ভালো থাকবেন আপনি ।
জিসান শা ইকরাম
শিখতে পারছি কিভাবে শান্তনা দেয়া যায়।
জীবনটা শিক্ষারও —
শুভ কামনা ।
বনলতা সেন
দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত শিক্ষা। এ কথা মনে রাখতে হবে আমাদের ।
নুসরাত মৌরিন
এমন কবিতা পেলে রাত মনে হয় না কান্না থামাবে…।বরং আরো বেশি আদুরে আহ্লাদি হয়ে রোজ রোজ আবদার জুড়ে দেবে -লাল ফিতে,ঝুমঝুমি,এক্কা দোক্কা কিংবা কাশবনে দু একটা কালো ফড়িং এর…।
দারুন লিখেছেন… (y)
বনলতা সেন
সেটা আপনি ঠিকই বলেছেন । স্নেহ মমতার সময় হিসেব করে তো দিতে পারি না ।
যদিও আমি অন্য ভয়ে আছি ।
আপনাকে পাচ্ছি না ঠিক ভাবে । লেখা দিচ্ছেন না কেন ?
প্রশংসা পেলে মন্দ লাগে না ।
নুসরাত মৌরিন
🙂
লিখব দিদি।একটু এদিক ওদিকের ব্যস্ততা গুলো কে একপাশে সরিয়ে দিয়ে…আবার বসব লিখতে…।
মেঘাচ্ছন্ন মেঘকুমারী
কেন যে রাত এই আহ্বান উপেক্ষা করে পাথুরে দেয়ালে মাথা ঠুকতে যায় ?
বনলতা সেন
সেটাই তো চিন্তার বিষয় ।
লেখা কই আপনার ?
মিসু
বনলতাদি, এমন করে কেউ যদি আমায় বলতো 🙁
বনলতা সেন
বলে বলে ,এর থেকে ভালো করেও বলে । আমরা শুধু জানতে পারি না ।
লীলাবতী
এমন করে রাতকে বলা যায় নাকি ? কল্পনায় এমন করে বলা যায় ? ঝুমঝুমি, ফরিং , এর মানে রাত কি এখনো ছোট ? খুব ভালো লাগলো দিদি।
বনলতা সেন
এখানে মাতৃ স্নেহে রাতকে শান্তনা দেয়া হচ্ছে ।
ভালো লাগতেই হবে ।
মিথুন
রাতকে এমন করে বলা যায় ? সে কি মানুষ ? এত আদরেও সে ফিরে আসেনা ?
বনলতা সেন
ভালোবাসলে অবশ্যই বলা যায় । আসে তো ফিরে , তবে আবার যায় ওই দেয়ালের কাছে ।
ভালো থাকবেন আপনি ।