এই দুনিয়া খুবই আজব
বিচিত্রতায় ভরা,
জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষেও
বিচলিত হয় ধরা!
সৃষ্টির থাকে পিতা-মাতা
আর স্রষ্টা এক জনা,
শুনেছো কি কভু মানুষ মারাতেও
স্রষ্টা দু’জনা?
একজনের আছে বোমার মা
আরেকজনের তব বাবা,
বিশ্ব এখন ভয়ে থর কেঁপে
হয়ে যায় কেবল বোবা!
শান্তির খোঁজে আমেরিকা মারে তালেবান বা আই এস জংগী,
সাথে কত মরে নিরীহ মানুষ
এ যেন কোলেটেরাল ভংগী!
রাশিয়া নাকি একধাপ এগিয়ে
আছে বোমা জিরকন,
শব্দের চেয়ে দ্রুত গতি তা
বাকি বিশ্ব শুনে শুধায়- “কী কন!!??”
আরো আছে খবর অবাক হয়ো না
ধৈর্য্য দিয়ে শোনো,
সারিন গ্যাস আছে, আছে টমাহক
নাম শুনেছো কখনো?
সারিনের এক ফোঁটায় নাকি মৃত্যু কয়েক মিনিট,
বেঁচে থাকার এই মহাযজ্ঞে এতো
মামুলি এক কিড!
আড়াই মিনিটে জিরকন যাবে ১৫৫ মাইল,
ভাবছি সাথে চড়ে যাব আমি
নিয়ে গোলাপের পাইল।
হেসো না হেসো না
ক্ষুদ্ধ আমি, স্তব্ধতা আর কত?
ভালবাসা দিয়ে পশমিত করবো
যুদ্ধের যত ক্ষত।
সুন্দর এই ধরণী মোদের
সুন্দর তার ধরণ,
ক্ষমতা-লোভ আজ করেছে নাশ
গড়েছে পাহাড় “মরণ”!
কাদের জন্যে এই বোমার উৎসব
তারা কী মানুষ নয়?
মানুষে মানুষে ভেদাভেদে কেন
অমানুষের জয় হয়!
আজ যে শিশু জন্মালো এই ত্বরা আলোকিত করে,
রেখে যাব কি এই পৃথিবী
হিংসা-বিদ্বেষ ভরে?
জ্যেষ্ঠত্বের অনুসরন করা শুনেছি
কনিষ্ঠেরই ধর্ম,
জ্যেষ্ঠরাই আজ বদ-সর্দার
করে সব অপকর্ম।
কারে অনুসরনে বেড়ে উঠবে
আমার সন্তানেরা?
বলে দাও প্রভু দেখিয়ে সে পথ
ভেঁজো না’ক আর চিড়া!
তুমি মক, বধির, অন্ধ
আরো কত কী যে তুমি,
তোমার এই গুনে গুনান্বিত হয়ে
অপকর্মকে আজ চুমি।
এক সাগর সম কষ্টে আজ
সৃষ্ট এই কবিতা
পারিনা বলেই কবো না কিছু
এই বা কেমন কথা?
দেশে দেশে আজ মানুষ মরে
মানুষেই হানাহানি,
মানুষের কি এই পৃথিবী
যেথা শুধু আছে রাজা-রানী?
প্রজারা যেথায় গৌণ বিষয়
রাজা-রানী করেন ডিক্রি
ভ্যাট,ট্যাক্সে আজ আয় আছে খুব
লাগলে নতুন হবে আরো ডিক্রি!
দু’ মুঠো যারা খেতে পারে না দিনে
কাজের তরে ঘুরে,
কিছু অর্থ তাদের জোটে দিনমান
তাতে কি পেট আর ভরে?
“মোব” এর নাম শুনেছো
উপাধী “বোমার মাতা”?
কোটি ডলার খরচা এতে
জিনিসটি নয় যা-তা।
মা শব্দের কোমলতা আজ বোমায় রুক্ষ হয়,
বোমায় মৃত শিশুরাও সেই মায়ের কোলে রয়!
নোবেল পাবেন বড় নেতারা শান্তির সেই নোবেল,
লাখো পরিবারের অশান্তির কারন সেই কুখ্যাতো নেতারাই “নোবেল “!
ভালবাসা নেই তা বলি না,
ভালবাসার ঢোল কম,
যুদ্ধ-বিগ্রহ দিয়ে যায় এক গভীর ব্যথার জখম!
২টি মন্তব্য
নীহারিকা
খুব সুন্দর কবিতা।
বর্তমান বিশ্বের অবস্থা খুব ভালোভাবেই তুলে ধরেছেন আপনি।
সিহাব
হুম। কবিতাটি লিখতে গিয়ে চোখে পানি চলে এসেছিল