১।
টুপটুপ করে কএক ফোঁটা বৃষ্টির পানি চোখে মুখে ছিটিয়ে পরলো সেতারের। ছাদ ফুঁড়ে কিভাবে বৃস্টির পানি এলো, এটা ভাবনায় এলোনা, মনে হচ্ছে এ রাজ্যে এটাই স্বাভাবিক কিংবা এতকিছু ভাবনা আসেনা কিছু সময়ে। চোখের কাছে আঙুলে ছোঁয়া পানি এনেই চমকে উঠলো সে, বৃষ্টির পানির রঙ এতো টকটকে লাল কেনো? দড়াম করে দরজা খুলেই কাজের মেয়ে মতির মা সেতারের হাতটা ধরে হেঁচকা টান দিয়ে টানতে টানতে পেছনের দিকের বাগানে নিয়ে এলো, ওটা এখন একটা জঙ্গলের মতোই। সেতারের মা প্রায়ই ওর বাবাকে বলতো, তুমি যেমন জংলী, বাগানটাকেও দিনে দিনে জঙ্গল বানাচ্ছো। সেতার কিছু বলতে যাবার আগেই মতির মা ওর মুখটা চেপে ধরে বললো, খালাম্মা কোন কথা বইলোনা, বাড়িতে মিলিটারি আসছে। মতির মায়ের ভয় পাওয়া লাল চোখ অনুসরন করে সেতার দেখলো দরজার বাইরে একটা জীপ গাড়ি দাঁড়ানো, আর তার পাশে অনেকগুলো মিলিটারি। আরেক দিকের জানালা থেকে সেতারের মা-বাবার চিৎকার ভেসে আসছে। মাত্র একবারের জন্য মায়ের মুখটা অস্পষ্ট দেখতে পেলো সে। দুই তিনটা গুলির আওয়াজের পর সবকিছু নিস্তব্ধ হয়ে যাবার কথা ছিলো, কিন্তু মতির মা’র চেহারাটা আচমকা পরিবর্তন হয়ে এক ভয়ংকর রূপ নিলো, যেন এক হায়েনা, সাথে তার তীব্র গর্জন। সেতার ছুটতে শুরু করলো। সেতারদের স্কুলঘর, তার বন্ধু তৃতীয় শ্রেনির জহিরুল, রোল নাম্বার ৩, আলতা দিদির আমবাগান, সবার বাড়ির পাশ দিয়ে ছুটলো সে। এক অচেনা জায়গায় চলে এলো ছুটতে ছুটতে। অদ্ভুত এক সুগন্ধ পেলো সে। তার মাকে দেয়া বাবার রজনীগন্ধা, রঙের কৌটো, আর বাবার সাথে যাওয়া সেই সে জনসুমদ্রের মানুষের ঘ্রাণ সব মিলেমিশে ঢেকে রেখেছে অচেনা পথটা। ধিরে ধিরে অচেনা পথগুলো সব চেনা হয়ে গেলো, সব পথগুলো দেখতে একইরকম। একই ঝোপঝাড় আর কাঁটায় ঘেরা। যুদ্ধ শিশুদের এতিমখানা, যেখানে সেতার বড় হয়েছে সেখানকার বন্ধুরাও কেউ কেউ ছুটে গেলো আশপাশ দিয়ে। তাদের সবার চোখেমুখে সেতারের মতোই অবাক আর নির্বিকার চাহনির মিশেল।
শান্তর কণ্ঠও শোনা গেলো। ছটফটে দূরন্ত, সবসময়ে সুরে ঝলমল থাকা শান্ত। নস্ট হয়ে যাওয়া টেপ রেকর্ডারের মতো শান্তর কন্ঠটা আস্তে আস্তে কেমন বীভৎস হয়ে গেলো, সেই সে হায়েনার মতো। দেয়ালগুলো হেঁটে হেঁটে চারপাশ থেকে কেমন ঘিরে ধরছে সেতারকে। একটা কফিনের ভেতর আঁটকে রয়েছে সে, চোখের উপর মৃদু একটা আলো…
২।
চোখ খুলে দেয়াল ঘড়িটায় নজর পরলো। ডিম লাইটের আলোয় তখন সেখানে রাত সাড়ে তিনটা। এপাশ ওপাশ করে কিছুতেই আর ঘুম এলোনা। বহুদিন পর ড্রয়ারটা টেনে ডায়েরীটা বের করলো, হালকা ফুঁ দিয়ে ধুলো ঝেড়ে উল্টেপাল্টে দেখলো ডায়েরীটা, কিন্তু পাতা উল্টালো না। স্মৃতি থেকে টেনে আনা কয়েকটা লেখা পাতা না খুলেই পড়ে ফেললো আর একবার……
*** সকাল থেকে বাবা খুব উত্তেজিত আজ, কোথায় যেন আমাকে নিয়ে যাবে, এই বলে বেরিয়ে গেলো। কিন্তু বাবা এখনো কেনো আসছেনা? বারবার দরজার দিকে তাকাচ্ছি একটু পরপর। চুপ করে মাকে ফাঁকি দিয়ে দরজার ছিটকিনিটা খুলে দিয়ে আসলাম, যেন বাবা আসলে একটুও দেরি না হয়। কিন্তু কেন বাবা আসছেনা? কখন যে বাবার কথা ভুলে গিয়ে পুতুল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেলাম, আচমকা বাবা আমাকে ছো মেরে ঘাড়ে তুলে নিয়েই ছুট। মা পেছন থেকে চিৎকার করছে, আরে কি করো, ওর জামাটা পাল্টে নিয়ে যাও। বাবা ছুটতে ছুটতে বলছে, আমার মেয়ে এখন থেকে নতুন লাল-সবুজের জামা গায়ে দেবে, আর জামা পাল্টাতে হবেনা। বিশাল এক সমুদ্রের মাঝে নিয়ে গেলো বাবা, মানুষের সমুদ্র। অবাক হয়ে ভাবছি, এতো মানুষ কোথা থেকে এলো? সেই সমুদ্রের গর্জনের মাঝে এক অলৌকিক কণ্ঠস্বর ভেসে আসছে, এক দৈবস্বর। তার কণ্ঠে ফুঁসে উঠছে সমুদ্রের ঢেউ।
*** শান্ত আর আগেরমতো উচ্ছল নেই। সবসময় একটা গাম্ভীর্য ঢেকে রাখে ওকে। বাবা-মার অমতে বিয়ে করলেও হয়তো আবেগ টা বেশিদিন ধরে রাখতে পারেনি। খুব কথা কাটাকাটি হয় আজকাল। একদিন পেপার পড়তে পড়তে বলে বসলো, এর চাইতে পাকিস্তান আমলই তো ভালো ছিলো, কি যে হয়ে গেলো আমার মধ্যে, চড় দিয়ে বসলাম শান্তকে। কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছিলোনা যেন। শান্ত আমার সবকিছুই জানে, আমার মায়ের উপর পাকিস্তানীদের নির্যাতন, বাবার হত্যা, যুদ্ধের অবহেলিত শিশুদের সাথে এতিমখানায় আমার বড় হয়ে ওঠা, হয়তো আমার সাময়িক মানসিক অবস্থা টা বুঝতে পেরে চুপ করে গিয়েছিল, কিন্তু প্রতিশোধের স্পৃহাটা ভেতরে বড় করতে লেগে গেলো। ধিরে ধিরে প্রকাশিত হলো তার ভেতরের সংশয়। শান্ত এই সমাজেরই একজন। সমাজ পাল্টে দেবার চাইতে তাতে মিশে যাওয়াই সহজ।
*** শান্ত চলে গেছে, যাবার আগে বিষের বীজ ছড়িয়ে গেছে। চিৎকার করে বলছিলো, লোকে তোমার সম্পর্কে যা বলে, ঠিকই বলে। তোমার জন্ম নিয়েই আমার সন্দেহ আছে। আমার কলেজ পড়ুয়া ছেলেটা সেদিন ফ্যালফ্যাল করে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলো। কিছুক্ষন পর এসে আমার হাতটা ধরেছিলো, আমার উত্তপ্ত রক্তে গড়া সন্তানের শীতল হাত।
*** রাতে আমার ঘুম আসেনা প্রায়ই। বীভৎস সব স্বপ্ন দেখে জেগে উঠি। মৃদু আলো চোখে পড়তেই ভাবি, যে দুঃস্বপ্নের এক একটা রাত একাই পাড়ি দিয়ে যেতে পারে, তার জন্য কোন পথই আর কাঁটার থাকেনা। রাত একসময় শেষ হয়, ভোর হয় তার অনিন্দ্য আলোর আহ্বান নিয়ে।
…………………………………… অনেকদিন পর ডায়েরীটা খুলে সেতার লিখলো… বাবা, দেখছো? লাল-সবুজের পতাকার নীচে সব রঙ কেমন ফিকে হয়ে আসছে। তোমরা ফিরে আসবে? আর একবার?
৪২টি মন্তব্য
লীলাবতী
সেতার নামটি নতুন লাগলো।সেতারা শুনেছি আগে।
শুন্য শুন্যালয়
নামটা কি একটু আধুনিক টাইপ হয়ে গেছে? চেঞ্জ করে দেব? সেসময়ে এমন নাম না থাকারই কথা। তবে আমার মেয়ে হলে তার নাম সেতার রাখবো। 🙂
খেয়ালী মেয়ে
ওয়াওওওওওওও সেতার নামের একটা ছোট্ট অ্যাঞ্জেল আমাদেরকে খালামনি ডাকবে ভাবতেই ভালো লাগছে…..ওয়েটিংংংংংংংং আপু…….
শুন্য শুন্যালয়
সবুর কা ফল মিঠা সবসময় হয়না পরী আপু 🙂
খেয়ালী মেয়ে
কেনুউউউউউউউউউউউউউ
আবু জাকারিয়া
প্রথমবার পড়ে বুঝতে পারিনি। পরেরবার বুঝতে পারলাম। ভাল লাগল।
শুন্য শুন্যালয়
দুবার পড়েছেন এজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। বুঝতে সমস্যা হলে আমাকে বলতে পারেন। প্রথম অংশে স্বপ্নের রূপকে অতীতের কিছু অংশ তুলে ধরেছি। মতির মা, শান্ত এদের সমাজের রূপকে দেখিয়েছি।
তেমন আর কিছু নেই লেখায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
বড় লেখকের লেখা প্রথম বার কিছুটা তারপর পুরোটা বুঝলাম।সত্যিই গল্পেও আপনি কম নন।সেতার নামটি চমৎকার প্রথমে ছেলে মানুষ বুঝলেও পরে বুঝতে পেরেছি।যাক ভোর ছেড়ে আলো আধারের নতুন কিছুর স্বাদ পাবো মনে হয়।
শুন্য শুন্যালয়
ধন্যবাদ আপনাকে। বুঝেছেন এতেই খুশি।
জিসান শা ইকরাম
অনেক ভাল একটি লেখা পড়লাম অনেকদিন পর।
সেতাররা বর্তমানে বেসুরো দিন কাটাচ্ছে
সব কিছু কেমন পাল্টে গিয়েছে
যেন ভুলই করে ফেলেছি আমরা স্বাধীনতা পেয়ে।
‘ সমাজ পাল্টে দেবার চাইতে তাতে মিশে যাওয়াই সহজ।’ শান্তরা মিশে যায় সহজেই সমাজে।
স্বপ্নের মাঝে কিছুটা আলোও হয়ত আর আজকাল দেখা যায় না।
শুন্য শুন্যালয়
কোন আলো আমিতো দেখিনা ভাইয়া।
জন্মলগ্ন থেকেই যারা দেশের জন্য করেছে, তারা নিগৃহিত হয়েছে। এখনো হচ্ছে।
আপনি যখন ভালো বলছেন, তাহলে হয়তো ভালোই হয়েছে লেখা। 🙂
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
লীলাবতী
আপু এমনি করে হাজারো সেতারের জীবনের রঙ ফিকে হয়ে গিয়েছে।একটি যুদ্ধ তছনছ করে দিয়েছে নারীদের জীবন। তাদের কোন অন্যায় ছিলনা।নারী তারা,এটিই মনে হয় তাঁদের অন্যায়।অত্যন্ত কোমল এবং সুন্দর ভাবে গল্পটি উপস্থাপন করলেন।এটি আসলে গল্প নয়,যেন ৭১ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত একটি ইতিহাসের সারাংশ।
শুন্য শুন্যালয়
আসলে বড় গল্প লেখার ধৈর্য্য নেই আমার, পারিওনা। এতটুকুর মধ্যে কতোটা ফোঁটাতে পেরেছি জানিনা। মেয়েদের দোষের শেষ নেই, সেই সময়ের নারীরা কতোটা অবহেলিত হয়েছিল সমাজে, তা আমাদের ধারনারও বাইরে। এটা একটি সারাংশই, কখনো সুযোগ পেলে আরো লিখবো। ভালো থাকুন দি।
স্বপ্ন নীলা
অনেকদিন পর ডায়েরীটা খুলে সেতার লিখলো… বাবা, দেখছো? লাল-সবুজের পতাকার নীচে সব রঙ কেমন ফিকে হয়ে আসছে। তোমরা ফিরে আসবে? আর একবার?——— এই লাইনটা যত বার পড়লাম তত বার বুকের ভেতর যেন হু হু করে উঠলো
শুন্য শুন্যালয়
অনেকদিন পর আপনাকে দেখলাম আপু। পড়েছেন কস্ট করে এজন্য ধন্যবাদ।
নীলাঞ্জনা নীলা
অতীত,বর্তমান আর অনিদৃষ্ট ভবিষ্যতকে আনলেন লেখায়।কথায় কথায় আজকাল অনেকেই বলে ফেলে পাকিস্থান আমলই ভাল ছিল।সবচেয়ে বড় কথা নারীদের অবস্থানের কোন শক্ত ভিত্তি নেই।তারা সব সময়ই নিগৃহীত। ভালো লিখেছেন শুন্য।
শুন্য শুন্যালয়
হ্যাঁ আপু, প্রায়ই অনেকে কথাটা বলে, ইচ্ছে করে তখন কষে একটা চড় দিই, তাই লেখাতেও এনেছি 🙂
সত্যিই তাই, নারীদের অবস্থানের কোন শক্ত ভিত্তি নেই। আর যে নারীরা অবস্থান শক্ত করার চেস্টা চালিয়ে যায়, তাদের চরিত্র নেই, সমাজটা এমনই বলে। ধন্যবাদ আপু।
হিলিয়াম এইচ ই
মারাত্মক লেখা
শুন্য শুন্যালয়
সে আবার কেমন করে? 🙂 ধন্যবাদ হিলিয়াম এইচ ই।
নুসরাত মৌরিন
আপু লেখাটা খুব মন দিয়ে পড়বো…আপাতত না পড়েই চলে গেলাম।সময় করে পড়ে আবার বলবো কেমন লাগলো…।দৌঁড়ের উপর আছি।
নুসরাত মৌরিন
সত্যিই সব রঙ ফিকে হয়ে গেছে…।কেমন যেন অচেনা লাগে সবকিছু।
সেতার যতই লিখুক তারা কি আর ফিরবে?ফিরবে না…।যা করার এসময়ের সেতারদেরই করতে হবে…।
ভাল লেগেছে আপু।
আপনি উপন্যাসের পর্ব কবে দিচ্ছেন?
শুন্য শুন্যালয়
ধন্যবাদ মৌরিন। সেতারদের একার পক্ষে কিছুই করা সম্ভব নয়, যেখানে সমাজের রঙ ই ফিকে।
উপন্যাসে আমি লিখছি না আপু। তোমাদের তিনজনের পর্বগুলো পড়ার পর লেখার সাহস হারিয়ে ফেলেছি। তবে পাশে আছি, থাকবো।
ছাইরাছ হেলাল
সত্যি আমরাও ফিকে হয়ে যাচ্ছি রং হারিয়ে।
ফিরে আসতে চাইলেও সবার ফেরা হয় না।
অনেক দিন পরে বেশ বড় লেখা লিখে ফেললেন।
শুন্য শুন্যালয়
হ্যাঁ অনেকদিন পর লিখলাম, তবে এক মাস ১৫ দিন হবার আগেই দিয়েছি।
বড় লেখা আমাকে দিয়ে সম্ভব ছিলো না, একটি উদ্দ্যেশ্যে লিখা এটা। যাই হোক, লেখালেখি শিখে যাব একদিন আমিও 🙂
খেয়ালী মেয়ে
সেতার রা সবসময় এমন ফিকে বিবর্ণ জীবন কাটায়–এমনটা কেনো হয়?তাও শুধু সেতারদের সাথে–শুধু সেতার’রাই কেনো সব হারায়….আর শান্তরা এমন স্বার্থপর হয় কেনো?..পাকিস্তান আমলই তো ভালো ছিলো-একথাটা আমিও অনেকের মুখে শুনেছি…কিন্তু সেতার এর মতো সাহসী কোন ভূমিকা রাখতে পারিনি..
সমাজ পাল্টে দেবার চাইতে তাতে মিশে যাওয়াই সহজ-অনেক অর্থবহ লাইন……আমরা আসলে পাল্টে দিতে চাই না, শুধু অভিযোজিত হতে চাই, আজব তাই না?……….
এতোকিছুর পর এতোদিন পর সেতার আবার তার বাবাকে লিখছে গল্পের এই অংশটুকুতে এতো মায়ার আবেশ কেনো ছড়িয়ে রেখেছো আপু?…খুব মায়া অনুভূত হচ্ছে সেতার এর জন্য….
শুন্য শুন্যালয়
মায়া ভালো নয় পরী, মেয়েদের প্রতিবাদী হতে হবে, মায়ার কিংবা আবেগী নয়। যা পারিনা তা লিখে যেতে দোষ কি? ভালো থেকো পরী।
খেয়ালী মেয়ে
নারে আপু লিখে যেতে কোন দোষ নেই…এই লেখা পড়েও কিন্তু অনেকের মনে কিছুটা সাহস উঁকি দেয়……….
শুন্য শুন্যালয়
লিখে লিখে নারিদের ভাগ্য উন্নতি কতটা হচ্ছে কে জানে!! তবে লেখা সাহস যোগায় এটা সত্যি।
ইমন
এই লাইনটা পড়ে গায়ের লুম দাড়িয়ে গেল…
“লাল-সবুজের পতাকার নীচে সব রঙ কেমন ফিকে হয়ে আসছে। তোমরা ফিরে আসবে? আর একবার?”….
শুন্য শুন্যালয়
এতবড় লেখাটা কস্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে ইমন।
সীমান্ত উন্মাদ
শুধু একটা বাক্যই বলব অসাধারন।
শেষ বাক্যেঃ আসুক সপ্নলোকের ধারায় বাস্তব ছোঁয়া পেতে, সব সময় শুভকামনা ছিল থাকবে আছে।
শুন্য শুন্যালয়
সুন্দর বলেছো। ধন্যবাদ তোমাকে।
ব্লগার সজীব
গতকাল একবার পড়েছি।আবার পড়তে হবে।
শুন্য শুন্যালয়
এতো ব্যস্ততার মধ্যেও পড়েছেন তাতেই খুশি। আরেকবার পড়লে আগাম ধন্যবাদ 🙂
কৃন্তনিকা
অনেকদিন পরে পড়লাম… নামটা পড়েই মনে হচ্ছিল, সময় নিয়ে পড়তে হবে…
সময় নিয়ে পড়লাম… কি মন্তব্য করা উচিৎ হবে বুঝতে পারছি না…
ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম…
মিথ্যে আশায় আজো বেঁচে আছি… হয়ত সেতারে সুর উঠবে…
শুন্য শুন্যালয়
হয়তো সেতারে সুর উঠবে, হয়তো নয়।
ধন্যবাদ কৃন্তনিকা।
অরণ্য
“বাবা, দেখছো? লাল-সবুজের পতাকার নীচে সব রঙ কেমন ফিকে হয়ে আসছে। তোমরা ফিরে আসবে? আর একবার?” – এই আহাজারির বাইরে এসে কি কিছু করার নেই সেতারের? এই লেখাগুলো সেতারদের না লিখা শেখাতে পারলেই কেবল সেতাররা আগাতে পারবে – আমরা পারব।
শুন্য শুন্যালয়
সেতার তার জায়গা থেকে প্রতিবাদ করেছে, তার সম্মানজনক স্থান টা সে পেয়েছে। সবকিছুর পরে মাঝেমাঝে সবকিছু ইউজলেস মনে হয়। এটা আহাজারি না ভেবে আরেক শুরু বলতে পারেন।
অনেকদিন পরে দেখলাম আপনাকে। ভালো থাকুন।
ব্লগার সজীব
এবার ভালোভাবেই পড়লাম।কি মন্তব্য করবো বুঝতে পারছি না।অসাধারন গল্প।এরপর আর একটি পর্ব কি দেয়া যায় আপু?
শুন্য শুন্যালয়
এতো বড় লেখা আমাকে দিয়ে হবেনা আর। দেখি কখনো মাথায় এলে লিখে ফেলতেও পারি। সময় করে ফিরে এসেছেন এখানে এজন্য এত্তো হেভী ওয়েট ধন্যবাদ।
মেহেরী তাজ
খুঁজে খুঁজে লেখা পড়বো ভেবেছি । আপনার টা দিয়েই শুরু।
কি মন্তব্য করবো বুঝতে পারছি না। শুধু মনে হচ্ছে আরো কয়েক প্যারা থাকলেও এক নিমিষে পড়ে ফেলতে পারতাম।
শুন্য শুন্যালয়
আমি খুবই খুশি আমাদের তাজ কে দেখে। সম্রাজ্ঞী ছাড়া কি রাজ্য চলে?
এটুকু লিখতেই অবস্থা কেরোসিন 🙂
এবার তাজের লেখা চাই, চাই।