সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ, অনেকটা গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়লের মত নিজেদের মোড়ল সাজিয়ে বিপুল ঢেকুর তুলছি। প্রাণ থাকলেই প্রানী কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয়না। কেমন করে বলি তাদের মন নেই? যখন দেখি দুটা বাবা-মা বালিহাঁস একটানা সাঁতরে বেড়ালো মাঝখানে ছোট্ট দুটো বাচ্চাকে নিয়ে। একটিবারের জন্য বাচ্চাদুটোকে মাঝ থেকে সরে যেতে দেখলাম না।
আধুনিক জেলে হাজব্যান্ডের বদৌলতে প্রায়ই যেতাম লেকের পাড়ে, সেখানেই কাছ থেকে দেখা, অনন্য সুন্দর পাখিদের জীবনযাত্রা। ফিসিং এর নেশা আগে থেকেই ছিল তবে আরেক নেশা ছবি তোলা সাথেই ছিল। সেদিন পেয়ে গেলাম এক বিষন্ন মেয়ে পেলিক্যান। আর তার ক্ষনিকের পুরুষ সংগী। কএক ঘন্টার চিত্রগুলো একে একে ক্যামেরায় তুলে এনেছিলাম, এক মুহুর্তের জন্য ক্যামেরা থেকে সরাই নি। পেলিক্যান দুটোকে দেখে বারবার এটাই ভেবেছি, আমাদের মন থাকলেও আরেক সৃষ্টির মনের ভাষা বুঝতে অক্ষম, সৃষ্টির সেরা জীব নই আমরা, নই মোটেও। মেয়ে পেলিক্যানটার নাম রাখলাম নন্দী আর ছেলেটার নাম লয়।
.
“নন্দীর একটি বিকেল”
একা একা ঘুরে বেড়াচ্ছে নন্দী। কখনো সে একা হবার স্বর্গতম আনন্দে
খুঁজে বেড়াচ্ছে বেঁচে থাকার রসদ…খাবার।
কখনো বিষন্নতায়। হয়তো এরমাঝেও খুঁজে বেড়াচ্ছে লয় কে।
অনেক দূর থেকে লয়ের কন্ঠ শোনা যাচ্ছে। কর্কশ কন্ঠ ক্রমশ কাছে এলো।
এরপর নন্দী আর লয় শুধুই দুজনার।
দুজনের অনবরত কথা বলা, সবই অফলাইন।
অনেক বিনিময়ের ভিড়ে বাড়ছে ব্যবধান।
কিছুক্ষণ পর দুজনের উচ্চকন্ঠে ঝগড়াঝাটি, বেশিরভাগ লয়ের। একটু পর লয় উড়ে চলে গেলো।
অনেক দূরে গিয়ে পানিতে ভাসতে লাগলো।
লয় চিৎকার করেই যাচ্ছে দূর থেকে, নন্দী নিশ্চুপ। হঠাৎ লয় বিপুল গতীতে আবার ছুটে এলো,
এরপর নন্দী কে আক্রমণ।
বেচারি নন্দী শুধু মার খেয়ে যাচ্ছে, কোন শব্দ নেই, পাল্টা আক্রমণ নেই।
পুরুষের ঘৃণা প্রকাশ কি শুধুই শরীরের আঘাতে?
অবশেষে ক্লান্ত লয় ক্ষান্ত হলো।
এরপর উড়ে হারিয়ে গেলো চোখের আড়ালে।
এরপর নন্দী আবারো একা। একা একা ডাকে, কাঁদে।
একা ঘুরে বেড়ায়, কখনো ছোট ছোট গাংচিলের সাথে কথা বলে।
কি বলে নন্দী? নিজের কথা?
——————————–সন্ধ্যার পর নন্দী ফিরে গেলো, যেদিকে লয় চলে গেছে তার ঠিক উল্টো দিকে।
ছবিগুলো তুলেছি বছর দেড়েক আগে। দুই তিনটা ছবি আগে দিয়েছিও। আজ ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য কিছু ছবির রিপিট হলো বলে দুঃখিত। লেখাটা শেষ হবার পর হঠাৎ করে জিসান ভাইয়ার আমার পাখিরা পোস্টের কথা মনে পড়লো। দুস্ট সুন্দরী আর দুস্ট লয়, সবাই লেখকের মনের কথা কয়—
৮২টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
ওহ!! এই ছিল মনে!!
ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বানিয়ে নন্দীর একাকিত্ব দেখালেন!!
নন্দীরা একা হতেই পারে না,
তাতে যত সুন্দর ছবি আপনি তুলুন না কেন!!
ফাঁকি কিন্তু ধরছি!!
শুন্য শুন্যালয়
আরে আরে আপনি এভাবে ধরে ফেললে তো হবেনা! আবার গুমোর ফাঁস করে দিলেও হবেনা।
নন্দীরা একা হবে কি করে? তাদের জন্য তো কবি আছে, কবিতা আছে। আপনার মত বানিয়ে ছানিয়ে পারি কই?
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ক্রমাগত ফাকিঁ দিয়ে যাবেন, এ ভারী অন্যায় অন্যায্য কাজ আপনি করতেই
পারেন না, ভাইয়া,
আপনার বানাতে হয় না, স্যাত করে নামাতে পারলে আর বানানোর কী দরকার!!
কবিতা এত্ত সহজ খোলামকুচির মত নয়, কবিদের সংখ্যা কাকদের অনুকূলে।
ভাল হয়ে যান, এখনও সময় আছে, ঠকাঠকি দিয়েন্না আর।
শুন্য শুন্যালয়
আমি কোথায় ফাঁকি দেই ভাউ, আবজাব যা খুশি মনে আসে পোস্ট দেই। এমন পোস্ট হাজারটা স্যাত করে আপনি চাইলেই নামাতে পারেন। নন্দী বিষন্ন বা একা যাই-ই হোক, হবে হয়তো কেউ, আমি নন্দী নই। জগতের সবচাইতে সুখী মানুষের নাম শুন্য, যার কোন একাকীত্ব নেই।
আমি খারাপ এই কথা কে বলবে, সাহস থাকলে বলুক তো?
ছাইরাছ হেলাল
আরে আপনি নন্দী হতে যাবেন কোন দুঃখে!! লেখা কিন্তু লেখাই তা তো আমরা
জানিই। এই যদি আবজাব হয় হোক না!! এমন আবজাব সবাই পারে না, স্যাত ও না।
কী ব্যাপার আপনার ঝড় ওঠান টাইপিং আগেও দেখেছি, এবারের মত দেখেছি বলে কেন জানি মনে হচ্ছে না।
কত কিছু শেখা বাকী!
আচ্ছা আপনাদের ওখানে কি এখন ঠা ঠা রদ্দুর!!
বৃষ্টি এলো বলে।
শুন্য শুন্যালয়
বৃষ্টি আসবে আসবে করছে, কি ব্যাপার? ৭ সমুদ্রের ওপাড়েও দেখতে পান, কি চোখ রে বাবা! ঝড় না তুলে লাভ নাই গো ভাউ, ছুটছি।
ঠা ঠা রদ্দুর তো বটেই, ৪১ ডীগ্রি। ট্রান্সফার করবো দেখি আপনার পোস্টে। আসতেছি।
অনিকেত নন্দিনী
নন্দী আর লয়ের ঝগড়াঝাঁটি যাই হোক না কেনো অসম্ভব সুন্দর কিছু ছবি দেখতে পেলাম। 🙂
শক্তি। হাত বাড়িয়ে শক্তিকে ছোঁয়া না গেলেও এর উপস্থিতিজনিত অর্জন, ঝড় আর ভোগান্তি চোখে পড়ে ঠিকই। শক্তি যার আছে সে তা দেখাবেই।
নন্দীরা একা ঘোরে। লয়েরা আসে, শক্তি খাটিয়ে অধিকার স্থাপন করে, ফের চলেও যায়। মানুষ কিংবা পাখি, শক্তি কাছে নত সবাই।
দুস্ট রূপবান, আর দুস্ট লয়, সবাই লেখকের মনের কথা কয়—
কী জানি, কী বলতে কী বলেছি।
ঠিক হলে তো কথাই নাই আর বেঠিক হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আবেদন রইলো। -:-
শুন্য শুন্যালয়
মানুষ কিংবা শক্তির কাছে সবাই নত, একদম ঠিক কথাই বলেছেন অনিকেত আপু, ক্ষমাটমা কেন আবার বুঝিনাই 🙁
না, সবাই লেখকের কথা বলেনা। আমি নন্দীর গল্প লিখেছি, ওটা সবটুকু যা দেখেছি তাই। তাই আমার অই লাইনটা লেখা ভুল ছিল।
একটু ভয়েই ছিলাম নন্দিনী আপুর নাম কেটে নিয়ে এসেছি বলে, ইচ্ছে ছিল নন্দিনী-ই লিখি, কিন্তু কিঞ্চিত ভয়ে মতের পরিবর্তন করেছি। 🙂
অনিকেত নন্দিনী
আমার নামের ব্যবচ্ছেদ হয়েছে পোস্ট মর্টেম করে তা আগেভাগেই বুঝতে পেরেছিলাম। 😀
নামকরণ কিছুটা এদিকওদিক হওয়াতে ভালোই হয়েছে। তা নইলে আবার সবাই ভেবে বসতো এই গল্পটা আমারই। :p
শুন্য শুন্যালয়
নামটাই যে এমন কাটাকুটি ব্যবচ্ছেদের দাবী রাখে। আহা আমি কেন এই নাম নিলুম না!!
গল্পটা আপনার হলে বেশ হতো কিন্তু, আবার আপনার নয় তাও ও বলা যাচ্ছেনা। নন্দীটা এত্তো কিউট ছিল।
মোঃ মজিবর রহমান
dদিদি
একে মামারি বলছেন কেন?
এত পিরিতের মহাসংগম।
নন্দী ভালবাসায় আবেগাপ্লুত
তাতে আপনি বেজার!
শুন্য শুন্যালয়
মেরে ধরে পালালো একজন, আর আপনি বলছেন এইটা পিরিতি? এমন পিরিতে মন মজিলে বেকুব নন্দী হইবে বন্দী, এমন বেকুবের সাথে করিবোনা সন্ধি।
মোঃ মজিবর রহমান
দিদি শুধু ভালবাসায় একগুয়েমি ভাল লাগে!
মাঝে মাঝে ঝাল টক তেত লাগে না!
শুন্য শুন্যালয়
তো প্রেমিক পুরুষকে প্যাদালে কেমন হয় ভাইয়া? 😀
অরুনি মায়া
তুমি ঠিকই বলেছ আপু ,মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব হওয়া সত্ত্বেও শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে অনেকাংশে ব্যর্থ | শারীরিক আঘাতে অভ্যস্ত পুরুষ প্রাণী আর যাই হোক ভালবাসতে জানেনা | নন্দীর মানুষিক চাহিদার মূল্য না রেখেই লয় তার শারীরিক চাহিদা মিটিয়ে গেল , এটাকে নিষ্ঠুরতা বলতে চেয়েও একটু ভাবলাম | আসলেই তো ওরা সভ্যতার ছোঁয়া পায়নি মানব জাতির মত |
আর ছবির কথা কি আর বলব, বরাবরের মত অসাধারণ কিছু ফ্রেমে বন্দী মুহূর্ত -{@
শুন্য শুন্যালয়
ওরা সভ্যতার ছোঁয়া পায়নি মানব জাতির মত? আমার মতে সবচাইতে অসভ্য জাতি মানুষ। পৃথিবীর সবচাইতে বেশি জ্ঞানী হওয়া সত্বেও মানুষের মত বর্বর নেই কেউ।
আসলে সব প্রানীই হয়তো নিজেদের শ্রেষ্ঠ ভাবে কিনা কে জানে।
ভাল থেকো আপু।
মৌনতা রিতু
আমি হচ্ছি নিরব পাঠক।কখনও মন্তব্য করি কখনও করা হয় না।তবুও যখন একা এই নন্দির মতো হই এই লেখাগুলোই হয় সংগি।চমৎকার আপনার এই শব্দ চয়ন।অল্প কথায় অনেক কথা বলে গেলেন।
ভালো থাকুন।
শুন্য শুন্যালয়
নন্দীর মত সবাই-ই কোন না কোন সময় হয়তো বিষন্নতায় ভোগে। ভালো থাকুন আপনিও আপু।
ইলিয়াস মাসুদ
ছবি গুলো নিতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে….. দারুণ তুলেছেন
সাথে দেখার চোখ আর প্রকাশের ভাষা সব মিলে মিশে ভীষন এক সৃষ্টি
খুব সুন্দর ………
শুন্য শুন্যালয়
নাহ্ কষ্ট নয়, আনন্দ পাই এমন কিছু ছবি তোলার পেলে। প্রকাশ টা আপনার হাতে গেলে আরো ভালো হতো, অনেক ভালো লেখেন আপনি।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ইলিয়াস মাসুদ
এক সময় ১১০ টাকা দিয়ে ফুজি ফ্লিম কিনতাম ৩৬ টা ছবি কি যে হিসেব করে উঠাতাম… এখনো শখ টা তেমনই আছে… ডিভাইজের কালেকশন তেমন ই আছে শুধু সব কিছুর ভেতর থেকে সময় টা কেন যেন আমার হয় না কখনো….
তবে ছবি তুলতে তুলতে সাবজেক্ট নিয়ে এমন ভাবনা আমাকে বিমোহিত করেছে আপু
এই ভাবনা এই মোটা মাথায় আসতো না ।
শুন্য শুন্যালয়
হ্যাঁ সেইসব দিনগুলো। মাঝে মাঝে ফিল্মে ৪০ টা পেলে ইউরেকা বলতাম 🙂 এরপর ছবি ব্লার বা নষ্ট হলে কি মন খারাপ। আরেকটা বাজে অভ্যাস ছিল, লেন্সের কাভার লাগিয়ে ছবি তোলা। এখন তো কাভার থাকলে ছবি তোলা যায়না বলে একটা সুবিধা আছে। চোখের ডিভাইসের উপরে বড় কিছু নেই ভাইয়া। আমিতো অন্যের ভাবনা দেখে অবাক হই আরো। ভাবনারা হুট হাটই আসে, আপনারও আসে, নইলে লেখা বের হয়ে আসতো না।
ভালো থাকবেন।
জিসান শা ইকরাম
আপনি যে ছবি তোলায় অত্যন্ত দক্ষতা অর্জন করেছেন, জলের মাঝে তোলা পেলিকেনের ছবি গুলো দেখেই বুঝা যায়। এমন ধৈর্য্য নিয়ে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ছবি তোলা সহজ নয়।
ছবি তোলা আপনার কাছেই শিখতে হবে ভাবছি।
শুন্য শুন্যালয়
কে কাকে শেখাবে বুঝতেছিনা। আপনার পরিত্যক্ত ছবি দেখে এখন আপনার কাছেই সাবজেক্ট শিখবো ঠিক করেছি। 🙂
জিসান শা ইকরাম
ছবি তোলায় অ্যাপারচার,ফোকাস,ফ্রে্মিং এসবই তো বুঝিনা আমি,
এসব না বুঝলে ছবি তোলা যায় তবে তা হয় শুধু ক্লিকানো।
আপনিই আমার শিক্ষক হতে পারেন,আমি না।
শুন্য শুন্যালয়
ছবির সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন হচ্ছে ফ্রেমিং, যেটা আপনার চোখ ঠিক করে দেবে, আর ফ্রেমিং আপনি যথেষ্টই ভালো জানেন। ফোকাস এপারচার এসব কঠিন কিছুনা। আপনার সবদিক সামলে এতকিছু করতে পারাও কঠিন। নিয়মিত মাইনে দিলে কিছু শিখিয়ে দিতে পারি 🙂
জিসান শা ইকরাম
ছোট বেলায় বায়স্কোপ দেখতাম। একটা বড় বাক্সের দুই পাশে চার + চারটি ম্যাগনিফাইং গ্লাস থাকতো। আটজনে চোখের দুপাশে হাত দিয়ে গ্লাসের উপরে চোখ রাখতাম। বায়স্কোপ প্রদর্শক একটা হ্যান্ডেল ঘুড়াতেন আর একটি ছবি আসতো। ছবি সম্পর্কে দুই লাইন বলতেন তিনি। ছবি গুলো ধারাবাহিক ছিল, একসময় ছবি শেষ, কাহিনী শেষ। অনেক বছর পরে তেমন এক বায়স্কোপ দেখলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
নাসির সারওয়ার
কি চমৎকার দেখা গলো, ঢাকা শহর আইসা গেলো।
আমার মনের কথাটা আপনি চুরি করলেন কেমতে!!!
জিসান শা ইকরাম
ঠিক ঠিক :D) :D)
শুন্য শুন্যালয়
হ্যাঁ হ্যাঁ পার্ফেক্ট, ধার ভাষ্যকার হিসাবে আপনাকেই আমরা খুঁজছি। 😀 @নাসির ভাই।
নাসির সারওয়ার
বায়স্কোপ দেখানো মানুষটা কিন্তু সুরে সুরেই বর্ণনা দিতো, হাতে থাকতো একজোড়া ঝুনঝুনি। সেই সুর আজও কানে বাজে, কতনা মধুর স্মৃতি শুন্যাপু!
শুন্য শুন্যালয়
হ্যাঁ ভাইয়া অই বয়সটাই ছিলো ভয়ংকর। অই সময়ের সব স্মৃতিই মধুর। ফেভিক্যালে আটকে আছে চার আনার অরেঞ্জ ক্যান্ডি। বায়োস্কোপ কি এখনো গ্রামে গঞ্জে দেখায়? কি জানি।
শুন্য শুন্যালয়
আমিও ছোটবেলায় দেখেছি এইটা, শুধু দেখিনি, এরপর বাক্সের মধ্যে কাঠির সাথে ছবি লাগিয়ে কতো এমন বানিয়েছিলাম নিজেরা। অনেক বছর আপনিও আবার বায়োস্কোপ কে সামনে এনে দিলেন। আইডিয়া কিন্তু খারাপ দেননি, বানাবো নাকি আবার? 🙂
জিসান শা ইকরাম
বানান বানান
এরপর নিজ কণ্ঠে বর্ণনা দিয়ে অডিও আপলোড করে পোষ্ট দিন
আমরা একটা বায়োস্কোপ দেখি।
শুন্য শুন্যালয়
সব আমি একাই করবো? অডিও না হয় আপনিই করলেন! ফ্লপ করলে যৌথ প্রযোজনায় করলে ভাল হয়না?
আবু খায়ের আনিছ
বায়োস্কোপ দেখলাম অনেকদিন পর। এভাবে ছবি তুলতে কি পরিমাণ ধৈয্য এর প্রয়োজন তা একজন ফটোগ্রাফারই ভালো বলতে পারবে। জিসান ভাই জানতে পারে বিষয়টা সম্পর্কে।
লেখার প্রয়োজনে নারী পুরুষ আলাদা করেছেন, রুপক অর্থও ব্যবহার করেছেন। মন্তব্যে সমর্থনও পেয়েছেন।
প্রাণ থাকলেই প্রাণী কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হওয়া যায় না। প্রাণীদের সৃষ্টি করা হয়েছে এভাবে, এরা নিত্য সঙ্গি বদল করেই চলে।
আপু নারী পুরুষ নিয়ে অনেক কথায় লেখা হয়, শব্দ দুটো, নারী এবং পুরুষ। আমরা কি এই শব্দ দুটো এক সাথে মিলিয়ে মানুষ বলতে পারি না। শুধু লেখায় নয় সর্ব ক্ষেত্রেই মানুষ ভাবতে পারি না?
শুন্য শুন্যালয়
তুমি যেই প্রসংগটা আনলে সেটা এই লেখায় আসেনা। নারী পুরুষকে আলাদা করে না ভাবলে পৃথিবীতে কোন গান, কবিতা, লেখা কিচ্ছু সৃষ্টি হবেনা।
নারী-পুরুষকে আলাদা করে শুধু মানুষ ভাবতে হবে, এটা কেন বলি আমরা? যখন দেখি মানুষ হয়েও এক মানুষ শুধুমাত্র শ্রেনী আলাদা করে আরেক মানুষকে কিভাবে কোনঠাসা করে নিজেদের পৃথিবীর করায়ত্ব করছে। আমরা শুধু নারিকেই মানুষ ভাবতে শিখতে বলি আসলে। একটা লাইন আছে দেখো লেখায়, পুরুষের ঘৃণা প্রকাশ কি শুধু শরীরের আঘাতে? নারীদের ও রাগ হয়, ক্রোধ হয়, ঘৃনা হয়, তাই বলে তারা এভাবে পুরুষকে আক্রমন করেনা।
আচ্ছা যাই হোক। তোমার কথাটা ভালো লেগেছে আনিছ ভাই, তবে অইটা সর্ব নয়, কোন ক্ষেত্রে ভাবতে হবে, সেটাই যেন আমরা ভাবি।
মানুষের মধ্যেও নিত্য সঙ্গি বদল করার প্রবনতা দেখি, এসব বাইরের দেশে বোধ হয় বেশি। মানুষও আস্তে আস্তে প্রানী হয়ে যাচ্ছে, মানুষের বাইরে।
আবু খায়ের আনিছ
দুঃখিত আপু, আমার ভাবনাতেই ভুল ছিল।
শুন্য শুন্যালয়
না ভাইয়া তোমার ভাবনায় ভুল ছিলোনা, তুমি হয়তো ভেবেছিলে লেখার কারনে আমি পাখি দুটোকে আলাদা করেছি, রূপক হিসাবে ব্যবহার করে ছেলেদের হেয় করেছি। না, আসলে পাখিদুটোর গল্পটা সত্যিই, ছবিতে যেমন দেখছ তেমনই। নারী পুরুষ, কেউ কাউকে ছাড়াই জীবন অচল, তাই আমরা সবাই যেন সবাইকে শ্রদ্ধা করি। ভালো থেকো।
অপার্থিব
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব কথাটা এক ধরনের মিথ। এই কথাটা মানুষের তৈরী , অনেকটা নিজের ঢোল নিজে পেটানোর মত । অন্য প্রানীদের মধ্যেও আবেগ অনুভূতি বেশ ভাল ভাবেই আছে । মানুষের আবেগ অনুভূতি আসলে এক ধরনের জৈব রাসায়নিক পরিবর্তন যেটা অন্য অনেক প্রানীর মধ্যেও ঘটে থাকে। কিছুদিন আগে অন্য একটি ব্লগে এ ব্যাপারে একটা দারুণ লেখা পড়েছিলাম। যাই হোক ছবি গুলো ভাল লাগলো।
শুন্য শুন্যালয়
তিমি, ডলফিন নিয়ে বেশ কএকটা বাচ্চাদের বই পড়লাম, তাতে আসলে এটাই মনে হয়েছে আমরা আসলেই নিজের ঢোল নিজেরা পেটাই। প্রত্যেকটা সৃষ্টিই তার নিজস্ব বৈশিষ্ট দিয়ে সেরা।
লেখাটির লিঙ্ক পেলে অবশ্যই দেবেন।
ধন্যবাদ অপার্থিব।
অপার্থিব
https://blog.mukto-mona.com/2016/01/06/48267/
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ অপার্থিব আপনাকে। লেখাটি পড়লাম, খুব ভাল লিখেছেন। মনের মধ্যে ঘুরপাক খায় ঠিক এই কথাগুলোই, গুছিয়ে আর লিখতে পারিনা। মানুষ সবচাইতে ইনটেলিজেন্ট প্রানী, এই বুদ্ধি দিয়েই সে সবকিছু দখল করেছে।। চাইলে সে আকাশে ওড়ে আবার সমুদ্রের অতলেও যায়। বুদ্ধিমত্তা আর শ্রেষ্ঠত্ব এক নয়, আমি বিশ্বাস করিনা অন্য কোন প্রানীর মন নেই। সবার যার যার মত একটা আলাদা জগত আছে।
নাসির সারওয়ার
মানিনা মানবো না। এই ভাবে লয়কে একতরফা দোষ দেয়া, মানিনা মানবো না।
ছবিব্লগ! ছবি কথা কয়, সাথে মোয়া মুড়ি খায়।
অনেক ভালো লাগলো আপনার এই শিল্পকর্মটি।
বেশ যন্ত্রনা – আপনার লেখায় কিছু লিখতে গেলেই আউলাই যাই। লিহুম না!
শুন্য শুন্যালয়
আমার লেখায় মন্ত্রফন্ত্র আছে নাকি ভাউ যে আউলাইয়া যান? এভাবে আমাকে ঠকানো কিন্তু আপনার উচিৎ না।
লয় অনেক ভালো, বাড়ি গিয়ে তার আরেক সঙ্গিকে বেশ যত্ন আত্মি করছে হয়তো, কিন্তু নন্দীরে একলা ফেলে যাই ক্যাম্নে? স্বজাতির টান উপেক্ষার নয়। তা ভাউ, আপনিই না হয় একটু লয়কে নির্দোষ সাব্যস্ত করুন। আমারে শিক্ষক মানতে হলে, সবার আগে এই হোমটাস্ক করে আসুন, নইলে বেত্রাঘাত অনিবার্য।
থাংকু ভাইয়া।
নাসির সারওয়ার
কেন যে আউলাইয়া যাই তা নিজেও জানিনা।
এই ছবি গপ্লের একটা বিশেষ ছবি আপনি লুকিয়েছেন। একদিন লয় বাড়ি ফিরতে দেরি করলো আর কারন জিজ্ঞ্যেস না করেই নন্দী তার উপড়ে ঝাঁপিয়ে পরলো। বেচারা লয় তার ভালবাসার মানুষটিকে আর মালাটি (বিনিসুতার)দিতে পারলো না। মনের কষ্টে সে এখন বনে বাদাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তার নন্দী তার মনের মাঝেই আছে। ভালোবাসার বিচ্ছেদ নাইতো।
বেত্রাঘাতের কোন মাফ যে নাই, সেটা আমি জানি। যাই, লয়ের সাথেই হারিয়ে যাই।
শুন্য শুন্যালয়
হা হা দেরী করে বাড়ি ফিরে আসাতো ভাল না। তোমারে না পই পই করে বারন করেছিলাম সন্ধ্যার আগেই বাড়ি ফিরবা? মালা বানাইতে গিয়া হুদা টাইম নষ্ট করছো, আর এদিকে সব গরম খাবার ঠান্ডা হয়ে গেলো। নন্দী মনেহয় এরম ই কইছিল। ছবিটা গাব কইরা দিছি, পোলাগো পক্ষে কাভি নেহি।
লয়ের সাথে হারায় গেলে অত্যাচারী দূর্নাম রটে যাবে ভাইয়া 🙂
ইমরান হাসান
কি বলে নন্দী? নিজের কথা?
——————————–সন্ধ্যার পর নন্দী ফিরে গেলো, যেদিকে লয় চলে গেছে তার ঠিক উল্টো দিকে।
অনেক বেশী নৈসর্গিক কিছু ছবি । ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম ।
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মতামতের জন্য। সম্ভবত আপনাকে প্রথম পেলাম এখানে। স্বাগতম।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
এক কথায় বলবো অসাধারণ! ছবি এবং বর্ণনার সম্মিলনে সুন্দর একটি যুগলের গল্প পড়া হলো। সত্যিই বায়োস্কোপ দেখলাম।
সৃষ্টির নিয়ম, একজন নিজেকে সমর্পণ করবে আরেকজন করবে অর্জন। এই অর্জন করতে গিয়েই হয়তো দুজনের বাক বিতণ্ডা। জবরদস্তি মুলক অর্জনে ভালোবাসা থাকে না, কেবল চাহিদার পরিসমাপ্তি ঘটে কিন্তু এদের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, এদের মধ্যে আগে অনেকক্ষণ ভালো বাসাবাসি হয়েছে তারপর বাক বিতণ্ডা, তাই হয়তো অনেক আক্রমনের পরেও নন্দীর নীরব সমর্পণ ছিলো। প্রাণীজগতে সহজ হিসাব, ভালোবাসা ক্ষণস্থায়ী, চাহিদা অনুযায়ী ভালোবাসা কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রেই প্রকাশটা ভিন্ন।
তাই হয়তো, প্রান থাকলেই প্রানী হয় কিন্তু মন না থাকলে মানুষ নয়।
শুন্য শুন্যালয়
আপনি এত সুন্দর করে বলার পর আর কিছুই থাকেনা আপু। হয়তো সব প্রানীরই নিজের মত করে মন রয়েছে, যা আমাদের অজানা। তবে আমরা জ্ঞান এবং বুদ্ধিতে সেরা এটার কোন সন্দেহ নেই।
অনেক ভাল থাকুন আপু।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
আপনি যে ফটো তারকা তা এখন পরিষ্কার।সুন্দর আতি সুন্দর সম্ভবত “আদর-সোহাগ, ভালোবাসাবাসি…ছবিটি তুলতে আপনাকে বেগ পেতে হয়েছে -{@
শুন্য শুন্যালয়
কনটিউয়াস মোডে তুললে কষ্ট হয়না এসব ছবি তুলতে, একটার পর একটা ক্লিক হতে থাকে। ফটো তারকা নই আমি ভাইয়া। শখে ক্লিক অনেকেই করতে পারে। ভালো থাকবেন।
জিসান শা ইকরাম
পরপর দুটো ছবি ব্লগ দিলেন
একটি ফুলের অন্যটি পাখির
দুটোই আমার প্রিয় বিষয়…… পাখির কথা তো জানেনই যে পাখি আমার কাছে কত প্রিয়।
ছবি আপনি ভালো তুলেন…… পূর্বের এবং এই পোষ্টের ছবি গুলোই তার প্রমাণ।
পোষ্ট দুটোর ছবির ক্যাপশনের সাথে যা লিখেছেন তাতে একটি মিল লক্ষ্য করা গিয়েছে……
বিষণ্নতা, একাকীত্ব,নিঃসঙ্গতা ( আমার ভুলও হতে পারে)
হয়ত বিষণ্নতা, একাকীত্ব,নিঃসঙ্গতার আলাদা সৌন্দর্য,আনন্দ আছে
আমরা জানি যে বিষণ্ন বা দুঃখ কষ্টের গানগুলোই আমাদের মনে দাগ কাটে বেশি,বেশি দিন মনে থাকে।
লেখা শেষ হবার পরে আপনার আবার ‘ আমার পাখিরা ‘ পোষ্টের কথা মনে পড়লো
রূপবান টেনে আনলেন এখানে।
রূপবানকে আনায় বেশ চমকে গেলাম, ঝাঁকি খেলাম আরকি 🙂
দুস্ট রূপবান, আর দুস্ট লয়, সবাই লেখকের মনের কথা কয়— 🙂 যদিও আমার পাখিরার প্রধান চরিত্র রূপবান নয়।
শুভ কামনা।
শুন্য শুন্যালয়
আপনার ভুলও হতে পারেনা, আপনার ভুল হয়েছে। 🙂 আগের পোস্টে একাকীত্বের চেয়ে বেশি অপেক্ষা আর ভালোবাসার কষ্টের কথা এসেছে। যে দু একটা যন্ত্রনার মনে হয়েছে, তাও অনেক ভালোবাসার ভেতরের চাপা কষ্ট।
আর এটাতে আমার করার কিছুই ছিলনা। লেখক নিরুপায় এখানে। যা দেখেছি তা এনেছি তুলে। লেখক বিন্দাস সারাক্ষন।
হয়ত বিষণ্নতা, একাকীত্ব,নিঃসঙ্গতার আলাদা সৌন্দর্য,আনন্দ আছে
আমরা জানি যে বিষণ্ন বা দুঃখ কষ্টের গানগুলোই আমাদের মনে দাগ কাটে বেশি,বেশি দিন মনে থাকে—–গান ভালো লাগার কারণটা আসলেই রহস্যজনক। আর একাকীত্ব, নিঃসঙ্গতার সৌন্দর্য্য? কি জানি! আমি কষ্ট বিলাসী নই হ্যাপি হ্যাপি।
আমার পাখিরা লেখার পেছনে একটা মজার ব্যাপার আছে।
কখনো এমন খেয়াল করেছেন? আপনি কিছু একটা চিন্তা করতে করতে অনেকদূর চলে এসেছেন, হঠাৎ খেয়াল হলো্, আরে আমি এই চিন্তায় এলাম কেমন করে, এরপর আবার পেছন দিকে যেতে যেতে প্রথম চিন্তায় যাওয়া। আমি এই খেলাটা খেলি প্রায়ই।
লেখাটা লেখার পর আপনার কথাই মনে হয়েছে, কারন অনেক অনেকদিন আগে এই পোস্ট দেবার কথা আপনিই আমাকে বলেছিলেন। এরপর আপনার নাম লিখতে গিয়ে মনে পড়লো, আরে আপনার তো পাখি নিয়ে একটা লেখা আছে। এরপর লিঙ্ক দিতে গিয়ে মনে পড়লো দুস্টু রুপবানের কথা। (আপনি বলেছিলেন রূপবানের হয়ে একটা লেখা দেবেন, কিন্তু এখনো পাইনি কিন্তু সে পোস্ট) এরপর রূপবান আর এখানে পেলাম লয় কে। আমার লেখায় মূল চরিত্র নন্দী। আপনার লেখায় রাজা চরিত্রে আপনি আছেন কিংবা নেই, নন্দীতে আমি নেই। লেখকের মনের কথা নেই এই লেখায়, আবার কিছুটা আছেও। শক্তির কাছে নারীরা অসহায়।
এবার ঝাঁকিমুক্ত হয়েছেন? নাকি আবার একটা দেব?
জিসান শা ইকরাম
আপনি যখন বলছেন, ভুলই হয়েছে তবে আমার
আপনি হ্যাপি থাকুন সারাক্ষণ এটি আন্তরিক ভাবে চাই আমি।
আমার পাখিরা লেখায় সুন্দরী এবং রূপবান দুটো চরিত্র আছে
রূপবান সেখানে তেমন কোন চরিত্র নয়, একারণেই ঝাঁকিটা খেয়েছি
রূপবান বা সুন্দরীর যে কোন একজনের কথা বললে আলাদা আলাদা অর্থ হয়ে যায়
আমি সুন্দরীর পোষ্ট দেবো বলেছিলাম, রূপবানের না
সুন্দরীর পোষ্ট আসবে।
শুভ কামনা।
শুন্য শুন্যালয়
আমার এতবড় ভুলটা আপনি এখন ধরিয়ে দিলেন? 🙁 আমিতো সুন্দরীর কথাই বলতে চেয়েছি, নামটা কেন যে ভুল করলাম, স্মৃতির উপর এত নির্ভরশীলতা ভালো নয়, হয়তো রূপবানের নামের উপর আমার দুর্বলতা দায়ী এজন্য। ঠিক করে দিচ্ছি।
আমি সারাক্ষনই আনন্দে থাকি ভাইয়া, দোয়া করবেন, এই আনন্দটা যেন সবসময়ই ধরে রাখতে পারি। শুভকামনা আপনার জন্যেও।
ব্লগার সজীব
পানির রঙ এত সুন্দর হয়? আমার তো পেলিকেন হতে ইচ্ছে করছে এখন। এই পানিতে সাঁতার কাটতে পারলে আর তো কিছুই লাগে না এ জীবনে 🙂 ছবি গুলো সুন্দর। অসহায় নন্দীর কষ্টে খারাপ লাগছে খুব। আর লয়কে এখন কাছে পেলে আচ্ছা মত পিটাতাম।
পুরুষ নারীর উপর তার ইচ্ছে চাপিয়ে দেয়,এটিই যেন নিয়ম হয়ে গিয়েছে। সমস্ত প্রানী কুলেই হয়ত এই নিয়ম চলে আসছে।কেন জানি মনে হচ্ছে আপনার এই পোষ্ট কোনো একটি পোষ্টের জবাব 🙂 ভালো আছেনতো আপু আপনি?
শুন্য শুন্যালয়
এই পানিতে সাঁতার কাটার জন্য পেলিক্যান হতে হবেনা, আমি সজু বাইয়া কে হারাতে চাইনা। আপনি অস্ট্রেলিয়া চলে আসু, সাঁতার কাটাবো এই পানিতে।
লয় কে পেলে পেটাতেন? হা হা হা। তাও ভাল, আমি পেলে কাঁচা খেয়ে ফেলতাম পেলিক্যানের মাংশ।
আমিতো ভালো আছি সজু ডার্লিং। না, এই পোস্ট কারো পোস্টের উত্তর নয়। তবে সে ইচ্ছাকৃত রূপবান কে ভিলেন বানিয়েছিল, দেখি আরেক পোস্ট দিয়ে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া যায় কিনা।
HOWDY?
ব্লগার সজীব
আমার স্পনসর হয়ে ডকুমেন্ট পাঠান। আজীবনের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় আপনার কাছে চলে আসি 🙂 দিন দিন আপু দাঁতভাঙ্গা জবাব দিন 😀 অপেক্ষায় থাকলাম।
আমি ভালো আছি, ভালো থাকি। HOWDY?
শুন্য শুন্যালয়
আজীবনের জন্য আপনাকে কাছে এনে মরবো নাকি? জ্ঞান নিতে নিতে দিন কাবার হবে আমার, ঘুমও হারাম হবে। আপনার আসলে ঘুম হয়তো? এত দুস্ট বুদ্ধি নিয়ে ঘুম হবার কথা না।
দাঁত ভেঙ্গে গেলে মাংস খাবে কি করে? থাক ছেড়ে দিলাম। তবে পোস্ট তাকে দিয়ে দেয়াবোই আরেকটা অপেক্ষা করো।
আমিও তো ভাল থাকি, অলটাইম বিন্দাস 🙂
মেহেরী তাজ
ছবিব্লগ নাকি মন খারাপ করানোর ডিব্বা! 🙁
তাও আবার এই পোষ্টে এসেই নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে হচ্ছে! 🙁 নতুন বছরের শুভেচ্ছা! 🙁
শুন্য শুন্যালয়
মন খারাপ কেনু? ভালোবাসাবাসির ছবি দেখ, মন ভালো হয়ে যাবে 🙂
শুভ নববর্ষ ২০১৭ 😀
মিথুন
আদর-সোহাগ ভালোবাসাবাসির ছবিটা আমি নিতে চাই আপু আমার লেখার জন্য। দেবেন তো?
শুন্য শুন্যালয়
না এতদিন পর এলে কোন ছবি দেয়া হবেনা :@
ব্লগার সজীব
এই পোষ্টের সব ছবি গুলো নিয়ে আমি একটি পোষ্ট দিতে চাই। আপনি অনুমতি দিলে ছবি নিয়ে পোষ্ট দিতে পারি 🙂
শুন্য শুন্যালয়
অনুমতি দিতে পারি, পোস্ট আমাকে উৎসর্গ করতে হবে, তবে যদি মাইয়াগো নিয়া উল্টাপাল্টা কিছু লিখছেন তো ATN বাংলা খবর করে দেব।
বাই দ্যা ওয়ে অনুমতি কবে থেকে নেয়া শুরু করেছেন? আগে তো দিব্যি ছবি চুরি করে নিয়ে নিতেন।
ব্লগার সজীব
পোস্ট তো আপনাকেই উৎসর্গ করা হবে 🙂 এটি আবার বলে দিতে হয় নাকি? মাইয়াগো নিয়া উল্টাপাল্টা লিখবো কেন? আমি ভালো ছেলে তো 🙂
এখন দিন পাল্টে গেছে না আপু? ছাইরাছ ভাইয়া আমাকে সক্ষম পুরুষ হিসেবে সনদ দিয়েছেন :p অনেক দায়িত্ববান হয়েছি হুম -{@
শুন্য শুন্যালয়
সক্ষম পুরুষের সনদ ছাইরাছ ভাইয়া কেমন করে দেবে? :D) এইটাও কি বাংলাদেশের ড্রাইভিং লাইসেন্সের মত ভেজাইল্যা সনদ? 😀 হা হা হা, সজু বাইয়া তুমি নীচের সাক্ষর টা একটা মাইয়ার কাছ থেকে আনো, এরপর বিশ্বাস করুম তুমি কতটা দায়িত্ববান। :p
লীলাবতী
লয়টা খুবই খারাপ। নন্দীর জন্য খারাপ লাগছে। প্রাণী জগতের মাঝে শক্তিমান শক্তি প্রয়োগ করে দুর্বলের উপর, এটিই যেন নিয়ম হয়ে গিয়েছে। ছবি গুলো ভালো তুলেছেন।
শুন্য শুন্যালয়
লীলাবতী। এই নামে আমাদের সোনেলায় একটা ভত্তাবতী আইডি ছিল, একদা। আপনি অন্য আইডি নিলেই পারতেন।
আপনার কাঠখোট্টা মন্তব্য পড়ে খুশি হইলাম। থাংকু। 🙂
লীলাবতী
মন্তব্যে ফুল আর আইসক্রিম মিলিয়ে দিলে চলবে আপনার? 🙂 নাকি আরো কিছু লাগপে ? (3
শুন্য শুন্যালয়
ফুল তো ভীষণ প্রিয় তবে আপাতত তুমি আইসক্রিম দিলেই হবে। আরো কিছুর লিস্ট করতে বলছো? আচ্ছা দিবোনে 🙂 (3
শুভ মালাকার
* অনেক কষ্ট লাগল। “নন্দির” জন্য, কেননা সে শুধুই কষ্ট পেয়েই গেল। কষ্ট আর বিষন্নতার ছোয়ায় তার পরবর্তি জীবন দুঃখময় হয়ে গিয়েছিল যায় কারন “লয়”ই ছিল।
** বাস্তব জীবনে শত-শত মানব “নন্দি” লাঞ্ছিত, অপনাম আর বিষাদ-ময় জীবনের মুখো-মুখি হচ্ছে এরকম শত-শত “লয়” এর জন্য। (যার কারনে “নন্দি”র পরবর্তি জীবন সঙ্গিহীন হয়েছিল)
*** ঐ “নন্দি”কেই সুখময় আর স্যাচ্ছন্দের জীবন স্পর্শ করবে, অবশ্য যদি মানুষ জন সেটা চায়।
যথেষ্ট তৎপর্যপূর্ন এ লেখা
ভাল থাকবেন। -{@
শুভ মালাকার
দুঃখিত! এটি “যথেষ্ট তৎপর্যপূর্ন এ লেখা” নয় বরং “যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ন এ লেখা” হবে।
শুন্য শুন্যালয়
শক্তিতে এগিয়ে যারা থাকে তারা বরাবরই সেটা প্রয়োগ করে। আমরা মানুষরা জীব হত্যা করছি, শুধুমাত্র বেঁচে থাকার তাগিদেই নয়। পুরুষ ও সেই ইকো সিস্টেম চালিয়ে যাচ্ছে হয়তো।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য শুভ।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
আপনার ফটোগ্রাফীর ফসল ভালোই লাগলো।
যারা এত সুন্দর কৈরা ভাবতে পারে তারা কেন সৃষ্টির সেরা জীব হবে না । ;?
শুন্য শুন্যালয়
ভাই এমন প্রশ্ন করে বিপদে ফেলতে নাই 🙂
ভাবলাম আর কই সবই দেখলাম।
মজার মন্তব্যের জন্য ম্যালা ধন্যবাদ ভাই।
হতভাগ্য কবি
কি সুন্দর ছবিগুলো , এক্কেবারে পাখা আলোকচিত্রী। সুন্দর ছবি দিয়ে বিষাদের যে গল্পটা লিখেছেন তাতে অসম্ভব রকম ভালোলাগা 🙂
শুন্য শুন্যালয়
কবিকে তো সারাক্ষন হাসিখুশি, আনন্দ আর ভালো লাগায় দেখি, হতভাগ্য হয় কি করে? 🙂
অনেক ধন্যবাদ কবি। 🙂
হতভাগ্য কবি
হা হা হা এইটাই হয়তো আমার হতভাগ্যতা 🙂 আপনাকেও ধন্যবাদ
শুন্য শুন্যালয়
🙂
ভাল থাকুন।