পাখি বাড়ায় এক পা, চূর্ণ জলে
উষ্ণ হবে ভেবে আচমকা
ছিটকে ওঠে শীতল দুঃখ-স্পর্শে
ধীরে, আরো ধীরে, গোলাকার সবুজ জলের স্পন্দন দ্যাখে;
অস্থির পাখি সুস্থির হয়ে নেমে ডুবে যায় জলে
কখন ক-খ-ন যেন………
জলজঘ্রাণে মেতে ওঠা পাখির ভুবন
পাখির পালকে ফোঁটা ফোঁটা সবুজ জল,
অসুখের সুখ পোহানো।
জলের বুকে সাদা-নীল মেঘগুলো কালোছায়া হয়ে নেমে আসে কোনো কোনোদিন
বিভ্রমে জল স্থির,
অতলে জলে অবিশ্বাস, জলোচ্ছ্বাসের মতো বাড়তে থাকে, বাড়তেই থাকে।
পাখি ডানা ওড়ায়, জল চুপচাপ
এই বুঝি জল, জলতরঙ্গের সুরে
জল চুপচাপ।
অবিশ্বাসের কালো রঙ খেয়ে নেয় জলের সবুজ
অভিমানী পাখি জলচোখে
সুদূরের চিল হতে চায়
হারায় দূরে, আরো একটু দূরে
“ভালোবাসায় প্রশ্ন এলে, তুমি সেই ভালোবাসার নও”, পাখি ভাবে
অথচ প্রশ্ন থেকেই যায় পাখি-জলের মাঝে ছায়াপথ হয়ে
এক হপ্তা, মাসকাল, হয়তো বছর কোন,
এক যুগ কিংবা দুই,
প্রিয় শিমূল ভাইয়াকে তার শততম পোস্টের অভিনন্দনস্বরূপ। একটু ছায়া নিয়েছি তার লেখার, তাই আগাম মার্জনাপ্রার্থী।
৩৫টি মন্তব্য
হৃদয়ের স্পন্দন
বাহ!
শুন্য শুন্যালয়
ধন্যবাদ ভাই।
আগুন রঙের শিমুল
আহ, পাখি উড়ে গেলে জল পরে থাকে চুপচাপ –
প্রিয় শুন্যালয় .. ফিলিং অনার্ড। অনিঃশেষ কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসা জানবেন 🙂
শুন্য শুন্যালয়
আপনার লেখার কাছে এ এ,বি,সি,ডি।
চেষ্টার জন্য একটু মার্কস পাইতে পারি, আপনার ভালো লাগলেই আমি খুশি। ভালো থাকুন অনেক ভাইয়া।
জলের কথা জানিনা ভাইয়া, হয়তো পাখি আসে আরো, হয়তো বাতাসেও কাঁপে, তবে শুনেছি পাখি সাধ্যের অতীত সূদূর হতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে গেছে কোথাও।
আগুন রঙের শিমুল
মেনে নিয়ে মানিয়ে নেয়াই জীবন শুন্য আপু। তবু কেউ কেউ হয়তো হোচট খায়, কি জানি আপু 🙂 জলের কোন অভিযোগ নেই। পাল্টে ফেলাই বেচেঁ থাকা, হয়তো।
গাজী বুরহান
অসুখ যখন অবিশ্বাস
পাখি তখন চিঁল হতে চাইবে।
অসাধারণ!!
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বায়রনিক শুভ্র
অবিশ্বাসের কালো রঙ খেয়ে নেয় জলের সবুজ
শুন্য শুন্যালয়
হুম। থ্যাংকস শুভ্র।
জিসান শা ইকরাম
কি মন্তব্য করা যায় এমন লেখায়?
এমন লেখায় কিভাবে প্রশংসা করতে হয় তাও আমি জানিনা।
ভাল লেগেছে খুব।
উৎসর্গ এবং অভিনন্দন চমৎকার হয়েছে,
শুভ কামনা।
শুন্য শুন্যালয়
বেশ ভালোভাবেই প্রশংসা করেছেন, আপনি জানেন। ধন্যবাদ জানবেন।
ভালো থাকবেন খুব।
প্রহেলিকা
জল আর পাখির মাঝে রয়েছে এক নিবিড় সম্পর্ক, একে অপরকে পড়ার ক্ষমতা।
পাখি ডানা ওড়ায়, জল চুপচাপ
এই বুঝি জল, জলতরঙ্গের সুরে
জল চুপচাপ।
অবিশ্বাসের কালো রঙ খেয়ে নেয় জলের সবুজ
অদ্ভুত সুন্দর। অবিশ্বাসের কালো রঙ খেয়ে নেয় জলের সবুজ। একটি অসাধারণ বিমূর্ত চিত্রকল্প ফুঁটিয়ে তুলেছেন। ভালো লাগে যখন এমন কিছু লেখার দেখা মেলে ব্লগে আসলে।
আরেকবার চোখ বুলান লেখাটিতে। ^:^
কবিতাতেও হাত আপনার বেশ পক্ক।
শুন্য শুন্যালয়
দুজনকে পড়তে পারার এই ওভার কনফিডেন্সেই দুজনের দূরত্ব বাড়ে 🙂
লেখাটিতে কোন অসম্পূর্ণতা রাখতে ইচ্ছে করছেনা, প্লিজ একটু ধরিয়ে দিন কোথায় গোছাতে হবে।
লাইনের পর লাইন বসালেই কী আর কবিতা হয়! কবিতাতে নির্যাস লাগে যা আপনাদের কবিতা তে পাই।
অনেক ধন্যবাদ প্রহেলিকা। সুন্দর মন্তব্য আপনার কাছ থেকে শেখাই হলোনা।
প্রহেলিকা
চূর্ন = চূর্ণ
ধিরে= ধীরে
ভূবন=ভুবন
জলোছ্বাসে = জলোচ্ছ্বাস
ওড়ায়=উড়ায়
”উষ্ণতম’ শব্দটি কোমল পাঠে হোঁচট সৃষ্টি করে, তার চেয়ে ”উষ্ণ” শব্দটি যুৎসই মনে হচ্ছে।
কেউ কাউকে পড়তে পারা ঠিক না, ওভার কনফিডেন্স আর্সেনিকের মতো ভয়াবহ রোগ।
একটি অনুরোধ, লেখাটির বিভাগ নির্বাচন ভুল হয়েছে। কবিতা হবে বিভাগ। নির্যাস কতটুকু আছে লেখায় তা বোধকরি কিছুটা হলেও বুঝি।
আপনার কাছ থেকে এখনো মন্তব্য শিখি। ধন্যবাদ আপনাকেও।
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ প্রহেলিকা, আপনি বানান নিয়ে বলেছেন বুঝতে পারিনি। ভুবন উ দিয়ে? অবাক হচ্ছি। কারণ ভূ থেকেই ভূবন আসার কথা। কনফিউজড আমি। ওড়ায় রাখছি, ওড়ায় বা উড়ায় দুটাই সম্ভবত সঠিক, যেমন কাউকে/কাওকে দুটাই সঠিক।
বাঁকিগুলো ঠিক করে দিয়েছি। ভুবন কনফার্ম জেনে আমাকে জানাবেন কিন্তু। উষ্ণ করে দিয়েছি। অনেক ধন্যবাদ।
প্রহেলিকা
বানানগুলো চোখে লেগেছিল আসল। আর লেখার সমালোচনা করার মত লেখা না এটি। অস্থিরতা কমছে তা প্রমাণিত। আমি অবশ্য ভুবন পড়েছি, লিখছিও। ভূ+অন= ভুবন। একটা লিংক দিচ্ছি আশাকরি অনলাইন অভিধান হিসেবে ভালই কাজে দিবে, আমাকে সাহায্য করে।
http://www.ovidhan.org/b2b/%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%A8
শুন্য শুন্যালয়
আপনি ভূ+অন বলার সাথে সাথেই মনে পড়লো এটা ভুবন হবে। ছোটবেলায় এভাবেই শিখেছিলাম। বয়স হইছে 🙁
অভিধানটা সেভ করা আছে ল্যাপিতে, আলসেমীতে চোখ বোলানো হয়না। এখন থেকে রাখবো। আর আপনি তো আছেনই।
অনেক ধন্যবাদ -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
পাখীটার ডানায় লেখা ছিলো জলের পদ্য
শব্দ, কল্প, উপমার চিত্রকল্পে কোনোদিক থেকেই পিছিয়ে ছিলোনা
প্রতিটি পালকে দুঃস্বপ্নকে সাথে নিয়েই স্বপ্ন বুনতো
কখনো ভেঁজা ঘাসে,
কখনোবা স্বচ্ছ জলে
ওর দু’ চোখ জুড়ে শাওনমেঘের মায়া
ওকে জলটুঙি বলে ডেকে উঠলে ঠোঁট বেঁকিয়ে মাটিতে সঙ্গে সঙ্গে ফুটিয়ে তোলে কারুকার্য
জলের উজানে হারাতে চায় বারবার,
কিন্তু মেঘরাগে সুর তোলে ভাসিয়ে দেয় তার বিশাল ডানা।
আমি ডেকে যাই জলটুঙি আয়, এখানে আয়, বোস, আমার কাছে; যাসনা তোর কাব্য ফেলে,
একসময় চোখের দৃষ্টি আকাশ ছাড়া আর কিছুই খুঁজে পায়না।
——–শুন্য আপু এতো ভালো লেখো তুমি। তোমার লেখা থেকে লেখাটা নয়। ওই ছবিটা থেকে এই লাইনগুলোর জন্ম হলো। মাত্রই লিখলাম। তবে লেখা পড়েছি সকালে উঠেই। মন্তব্য করলাম এখন।
ভালো রেখো। -{@
শুন্য শুন্যালয়
তুমি এতো অদ্ভূত করে মূহুর্তেই কিভাবে লিখে ফেলো কে জানে! ভীশন ভালো লাগলো ঠোঁট বাঁকিয়ে মাটিতে কারুকার্য করার লাইনটুকু। জলটুংগি? বেশ নাম তো!
আমি যেমনই লিখি তোমার সাথে তার যোজন দূরত্ব, জানোই তো, জানো না?
নীলাঞ্জনা নীলা
জলটুঙি, জলটুঙ্গি, জলটুংগি তিনভাবেই বলা যায়।
শুন্য আপু আফসোস হয় কেন তোমার মতো লিখতে পারিনা। বাড়িয়ে বলছিনা মোটেই। বিশ্বাস রাখতে পারো।
মাঝেমধ্যে ইচ্ছে করে ছিনিয়ে নিয়ে আসি তোমার লেখার জন্য ভাবনাগুলো। কিন্তু সেটা তো সম্ভব না!
তাই নকল করি, তোমার লেখা থেকে শব্দ-ভাব চুরি করার চেষ্টা করি।
কিন্তু চুরি কিংবা নকল করে কি আর শুন্য শুন্যালয় হওয়া যায়? তুমি বলো!
শুন্য শুন্যালয়
আমার কথা তুমি বলে দিলেতো হবেনা! আমারও এমন রাগ হয়, কেন আমি এমন ভাবতে পারিনা, লিখতে পারিনা। তবে একদিন তোমার কবিতার জায়গায় আমার নাম বসিয়ে দেব। আমার তো সেই সুযোগ আছে 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
প্লিজ নাম লেখাও। দেখো কিন্তু নাম না লেখালে কান্নাকাটি শুরু করে দেবো। 🙁
সৈয়দ আলী উল আমিন
আমার কাছে লেখাটি খুব ভাল লেগছে। শুভ কামনা রইলো ।
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ আলী ভাই…
নীহারিকা
জলের বুকে কত কি যে ঘটে সব কি দেখি আমরা?
তোমার পোস্টের মাধ্যমে তার কিছু অংশ যেন দেখতে পেলাম।
ভালো লেগেছে।
শুন্য শুন্যালয়
হুম, এ ছিলো শুধু জল আর পাখির প্রণয়। ধন্যবাদ আপু।
ইঞ্জা
খুব ভালো লাগলো লেখাটি আপু, এত্তো ভালো লিখেন আপনি মুগ্ধ হতেই হয় আর আপনার কবিতা পড়া তো শুনেই সেদিনই ভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম আপু।
শুন্য শুন্যালয়
আমি কি ভালো লিখি! এই লেখাটা সোনেলার কবিরা লিখলে সুনামি হয়ে যেতো। আমি ঢেউ তোলার ব্যর্থ চেষ্টা করেছি মাত্র।
ভালো থাকবেন প্রিয় ভাইয়া।
ইঞ্জা
শুভকামনা আপু
ছাইরাছ হেলাল
জল-জলোচ্ছ্বাস, সাদা –নীল মেঘ, পাখ-পাখালি সবই নিয়ে এসেছেন অনবদ্যতায়,
পড়তে তাই ভালই লেগেছে,
হায় চিল, রূপোলী ডানায় দূর নয়, কাছেই আসবে।
আর একটু সহজ হলে হয়েই যেত!!
শুন্য শুন্যালয়
আপনার মতো সহজ করে লিখলে লোকে আমায় পিটাবে। আমার বুবুতো আল্টিমেটাম দিয়েছে তাইলে নাকি আমার লেখাই আর পড়বেনা 🙁
পাখিকে আসতেই হয় জলের কাছে।
থাংকু মাংকু।
অপার্থিব
পাখি আর জলের রসায়ন মিলিয়ে অনেক সুন্দর কবিতা ছিল। ভাল লেগেছে।
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ অপার্থিব। -{@
মিষ্টি জিন
অদ্ভুত,
পড়তে পড়তে ডুবে গিয়েছি কবিতার মধ্যে।
এত ভালো কবিতা লেখ তুমি?
সর্বগুনে গুনান্নিতা।
শুন্য শুন্যালয়
সোনেলার কবিদের কাছে এ কিচ্ছু নয়। তবুও তোমরা কতো সুন্দর করে বলো!!
এ সবই তোমার ভালোবাসার গুন। (3