দিনের শেষে যেমন করিয়া রাত্রের আগমন অবশ্যম্ভাবি, তদ্রুপ করিয়া যদি কেহ বা কোন দেশ তার বা দেশের মন্দের পরেই শুভ-এর শুভাগমন দাবী করিতে পারিত তো গল্পটি অসম্ভব না বলিয়া বেসম্ভব বলিতে কুন্ঠিতবোধ হইত । যাহা হউক, এবার মূল গল্পের দর্পণে আসা যাক ।
বহুকাল পূর্বের নয়, তবে কালক্ষেপণের বিলম্বে এমন-ই এক সময় কোন একদেশে বাস করিত বর্তমানের দুই কান্ডারিণীর পিতা এবং স্বামী । আজিকার এই সময়ে দেশের যে অভূতপূর্ব সাফল্যমণ্ডন হইয়াছে, তথাপি তাহাদের কিঞ্চিৎ অবদান যে নাই তাহা নহে। কালের অন্তরালে তাহাদের পিতা এবং স্বামী কোন এক অতল গহব্বরে মিলাইয়া গেল, তাহা বোধকরি পাঠকগণ বুঝিয়া লইবেন । তাহাদের অন্তর্ধানের পরে, বর্তমান দুই কান্ডারিনী দেশের ভার লইবার তরে রীতিমতন এক অভূতপূর্ব কান্ড বাঁধাইয়া রাখিত। তন্মধ্যে কেউ যদিও বা ভার পাইতো, অন্যের তাহা সহ্য করিবার মানসিকতার অভাব স্পষ্টরুপে প্রমানিত হইত তাহার কাজে-কর্মে ও কথায়-বার্তায়। উহাদের এই সুষ্ফল আষ্ফালণের মধ্যে সাধারণের জীবন মান অতীব সাধারণতর হইয়া উঠিল । সর্বসাধারণের মনে শুধু এই ভয়ই ছিল, দেশের তরে কখন মোদের জীবন্মান হুমকির মধ্যে পড়িয়া যায়! তথাপি, সেই দুই কান্ডারিণী ব্যতীত অন্য কোন কান্ডারি না থাকাতে সকলেই একপ্রকার নিরুপায় হইয়া শুধু মাত্র সৃষ্টিকর্তাকেই স্মরণ করিত। বোধকরি সৃষ্টিকর্তা তাহাদের দূর্দশার কথা জানিতেন এবং তাহার প্রতি তাহাদের প্রার্থণা থাকাতেই এই অকূল পাথারসম সমস্যায় এক আশার অদ্ভুদ আলো জাগাইলেন। কোথা থেকে হঠাৎ বলা নেই কওয়া নেই এক কান্ডারি এসে সেই দেশের হাল ধরিতে কোমর বাঁধিয়া লাগিলেন । লোকেরাও নূতন কিছু পাইবার আশায় তাহাকেই মান্য করিতে লাগিলেন। তথাপি, দুই কান্ডারিণীর পরাজয় হইল ।
নূতন কান্ডারি যেমন করিয়া দ্রুততার সহিত মিষ্ট ভাষার বাক্যালাপে সবার মন জয় করিয়াছিল, তদ্রুপ সকলের মনের এক বিরুপ কন্টক রুপে রুপায়িত হইতেও বেশী দেরী হইল না ! আর ঠিক তখনই সেই দুইকান্ডারিনী সই রুপে দেশের তরে কিছু করিবার প্রয়োজন অনুভব করিলেন। ইতোমধ্যে তাহাদের শুভবুদ্ধি হইল এবং তাহারা একে অপরের প্রাণের সই হইয়া গেল। তাহারা বুঝিতে পারিল , এতোদিন তাহারা একে অন্যকে জ্বালাইবার তরে যাহা করিয়াছিল তাহা আর যাহাই হউক সুষ্ঠু মস্তিষ্কের কর্ম নহে। আর তাহাতে দুইজনের কী হইয়াছে তাহার চাইয়া বড় হইল সাধারণের কী হাল হইয়াছিল, তাহাদের সেই পুতুল খেলার পুতুলের-ই মতন। যাহা হউক, এইবার তাহারা এক হইয়া সেই মিষ্টভাষী পশুমত কান্ডারিকে উৎপাটন করিতে সর্ব চেষ্টায় নিমজ্জিত রহিলেন। সেথায় সর্বসাকুল্যের অবদান থাকায় অচিরেই তাহাদের জয় এক অভূতপূর্ব পরিবেশের সৃষ্টি করিল। সেই দেশেতে আবার সুখ শান্তি বিরাজ করিতে থাকিল। সেই দুই চির-প্রতিদ্বন্দী চিরকাল ব্যাপিয়া দুই সই রুপে সর্বসাধাণের সুখে-দুখে খাঁটিতে লাগিল, আর মানুষ্যবেশী ইবলিসের সকল নূতন চেষ্টাসমূহ বৃথা চেষ্টায় আষ্ফালিত হইল।
সেথায় বোধ করি, এক সুখের স্বর্গ,মর্ত্যের-ই বুকে প্রতিষ্ঠিত হইল !!
১৩টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
বেসম্ভব গল্পটা ভালো লাগছে ।
দুই সই যে মাঝে মাঝে বাড়ীর উঠানে বসিয়া একে অন্যের মাথার উকুন বাছিয়া দিত তাহা বলিতে ভুলিয়া গিয়াছেন মনে হয় ।
সিহাব
জিসান ভাই, সই হইলে কিন্তু উকুন বাছাটা একটা সাধারন ব্যবহারের দিকেই পড়ে। তাই আর উল্লেখ করলাম না…
কিন্তু তাহাদের উকুন বাছার কাহিনীটি কেমন তা তোলা যেত…!!
লীলাবতী
এমন গল্প স্বপ্নেও দেখিনা ভাইয়া 🙁 স্বপ্ন দেখাও বেসম্ভব ।
সিহাব
হুম…ছোট বেলা থেকেই আমরা এই ধারনায় বড় হইনি বলেই স্বপ্নেও এমন গপ্প ধরা দেয় না…
খসড়া
দ
খসড়া
দূর্গম গিড়ি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশিথে যাত্রীরা হুশিয়ার।
সিহাব
(y)
বনলতা সেন
বেসম্ভব সত্য কাহিনী বলেছেন ।
স্বর্গ ! সুখে উদ্বাহু নৃত্য করিতে পারিলে ভাল হত ।
সিহাব
অনেক কিছু করিতে পারিলেই ভাল হত .. যদি…!!! 🙁
ফাহিমা কানিজ লাভা
তেনারা জানে তো যে আপনি এইসব আষাড়ে খোয়াব দেখিতেছেন??
সিহাব
তেনারা জানে শুধু আমিই দেখিতাছি না, কোটি মানুষ দেখিতেছেন…!!
ব্লগার সজীব
ইহাকেই মনে হয় খোয়াব বলে । বেসম্ভব খোয়াব । (y) (y)
শিশির কনা
🙁 এমন স্বপ্ন দেখার স্বপ্নও দেখিনা ।