দিনদিন গ্রাম থেকে মানুষ আসছে শহরে, ভীড় বাড়ছে রাস্তাঘাটে, লাইন লম্বা হচ্ছে ব্যাংকে বাস কাউন্টারে লঞ্চ-স্টিমারে রেলস্টেশনে । লোকে লোকারণ্য হচ্ছে হাটবাজার সহ বড়বড় মার্কেটের শপিংমগুলো, বাড়ছে যানবাহনের গাড়ি, বাড়ছে চুরি-ডাকাতি ছিনতাই আহাজারি, বাড়ছে রোগবালাই, বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম । তবু কি থেমে আছে আমাদের জীবন চলা? মোটেও না, বরঞ্চ আগের চেয়ে বর্তমানে আমরা খেয়েদেয়ে ভালোভাবেই আছি । এই ভালো থাকার মাঝে সেই আগের দিনগুলোর কথাও মনে পড়ে সময় সময়, যখন সস্তার আমলে টাকার মুল্য অনেক বেশি ছিলো । তখন মানুষের মনে ভয় ছিল, মানুষ সৎভাবে আয়-রোজদার করতো, হাটবাজারে সব খাঁটি জিনিষ বিক্রি হতো । এখন সবই ভেজাল, সবাই স্বার্থপর ।
যখন ছিলো টাকার অভাব ।
সময়টা ১৯৮৬ সালের, সবে মাত্র ইয়ে করে বিয়ে করেছি । চাকরি করি টেক্সটাইল মিলে, বেতন ১৭০০শ টাকা মাত্র । তখন চাউলের মূল্য ৫ টাকা থেকে সাড়ে ৫ টাকা । ঘরে নতুন বধু আমার, বিয়ে করেছি গ্রামের মেয়ে । গ্রামের মেয়ে শহরে আসলে তো কত-না-বাহানা তার, এটা চাই, ওটা চাই, শুধু চাই আর চাই, চাওয়ার যেন শেষ নাই । কিন্তু এই চাওয়া পূরণের জন্য তো চাই টাকা, টাকা পাই কোথায়? বেতন মাত্র ১৭০০শ’ টাকা, তা দিয়ে কি সংসার চলে? যে চালায় সে বুঝে, তবু চাই চাই, দিতে হবে, করতে হবে, আনতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি । সেসময়টা পার হয়েছে, দেশে কর্মসংস্থান বেড়েছে, আয়-রোজগারও ভালো হচ্ছে, দেশ থেকে মঙ্গা মনে হয় চিরতরে বিদায় নিয়েছে । তবু আগেকার দিনগুলির কথাই শুধু মনে পড়ে, যখন অভাব ছিল। তখন মানুষ একে অপরকে ঠকানোর চিন্তা করতো না, মানুষ সৎ ছিল ।
আগেকার সময়ে মানুষ ছিল অভাবে, মন ছিল সৎ।
স্বাধীনতা পরবর্তি সময়ে আমি নিজেও দেখেছি কাপড়ের অভাবে মানুষকে মানুষকে দোপাট্টা লেংটি পড়ে থাকতে, আমি নিজেও ছোটবেলায় কোনো একসময় লেংটি পড়েছি । স্কুলে বা কোনো জায়গায় আসাযাওয়ার জন্য মায়ের হাতে সেলাই করা শার্ট-পেন্ট পড়ে যেতাম, স্কুল থেকে এসে সেই শার্ট-পেন্ট খুলে সারাদিন লেংটি পড়েই থাকতাম । আমার মাকে দেখতাম, কাপড় কাটার কেচির অভাবে ঘরের মাছ-তরকারি কুটার বোটিদাও দিয়ে শার্ট-পেন্টের কাপড় কাটিং করতে । সেসময়ে একটা কাপড় কাটার কেচি খুব কম মানুষের বাড়িতেই ছিল, যাদের টাকা-পয়সা ছিল তাদের বাড়ি ছাড়া আর কারোর বাড়িতে কেচি পাওয়া যেত না । শুধু কেচি-ই-নয়, দশ গ্রামে খুঁজেও একটা রেডিও টেলিভিশন পাওয়া বড়ই মুশকিল ছিল, এইতো সেইদিনের কথা, পুরো গোদনাইল এলাকায় একটা টেলিভিশন ছিল চিত্তরঞ্জন কটন মিলের শ্রমিকদের ক্লাবে ।
সেই টেলিভিশন দেখতে শীতলক্ষ্ম্যা নদীর ওপার থেকে আসতাম কত কষ্ট করে, দেখতে এসে সময়সময় মারও খেতাম সেখানকার বড়দের হাতে । আর এখন, রাস্তার পাশে পিঠা-পুলির দোকানেও কালার টেলিভিশন দেখা যায়, টেলিভিশন পাওয়া যায় শহরের ডাস্টবিনেও । সবই যুগের পরিবর্তন, পরিবর্তন ঘটেছে টেলিগ্রাফ টেলিফোনেও, এখন আর পোস্ট মাস্টারের কাছে যেতে হয় না আমাদের, হাতের মুঠোয় থাকে অত্যাধুনিক মোবাইল ফোন, তার ভিতরে থাকে পৃথিবীর সব তথ্য, ঘরে বসেই পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় মুহূর্তে যোগাযোগ করা সম্ভব । রড-সিমেন্টের শহরে মাটি না থাকলেও খাদ্যের অভাব নাই, নাই তরিতরকারির অভাব, কৃষকের জমির পরিমাণ কমে গেলেও বাজারে চাউলের অভাব নাই, বস্ত্র শিল্পের বিলুপ্তি ঘতলেও বস্ত্রের অভাব নাই, সবই পাওয়া যায় শুধু টাকা থাকলেই হলো । তবু সেই আগের দিনগুলির কথা মনে পড়ে, যখন শত কষ্টের মাঝেও মানুষ অমানুষ হতো না, থাকতো সৎ ।
বর্তমান সময়ে কোনো অভাব নাই, তবু কেন স্বার্থপর?
এখন আর টাকার অভাব নেই, ধনী-গরীব সবার কাছে টাকা আছে । আজকাল একটা ভিক্ষুকেও দৈনিক চার পাঁচ‘শ’ টাকা কামাই করে, গরীবের চাউলের কেজি ৫০টাকা, তবু কি কেউ না খেয়ে মরে? আগে যার দু-চারটা মেয়ে থাকতো সে নাকি পোড়া কপাইল্লা, এখন যার মেয়ে বেশি সে রাজ কপাইল্লা । গার্মেন্টস্ বা পোষাক তৈরি কারখানায় একটা মেয়ের বাতন প্রায় ১০/১২ হাজার টাকা, গ্রাম থেকে কোনরকম শহরে আসতে পারলেই হলো, পোড়া কপাইল্লার আর টাকার অভাব নেই । জিনিসপত্রের দাম যতই হোক না কেন কোনো সমস্যা নেই, শহরের বাড়িতে বাসা ভাড়া করে দিব্বি আরাম আয়েশে তারা থাকছে খাচ্ছে । ওইসব গ্রামছুট শহরমুখি মানুষের ভীড়ে আমাদের মত মানুষের চলা বড় কষ্ট, তবু চলছি, থাকছি, খাচ্ছি । কী খাচ্ছি? আগে যেসব শাকসবজি কেটে গরু-ছাগলকে খাওয়ানো হতো, সেসব এখন আমরা বাজার থেকে কিনে খাচ্ছি । বাজারে পাওয়া যায় টাকাপাতা, সেচিরশাক, কচুশাক, বাগানের পেঁচড়া আলু, ঢেকিশাক, পাদরাপাতা, কলারথোড়, গীমাশাক, মিষ্টিকুমড়ার ফুল, বকফুল, ফুল-তুলসী সহ সবই এখন বাজার থেকে কিনে নিতে হয়, খেতে হয় ।
শহরের বাড়িতে কেউ যদি শখ করে গরু-ছাগল পালন করে, সেই গরু-ছাগলের খাবারের জন্যও ঘাসের অভাব হয় না, ঘাসও বাজারে বিক্রি হয়, কিনে নেয় যাদের বাড়িতে গরু-ছাগল আছে তাঁরা । এসবের সাথে সাথে এখন পরগাছাও বাজারে বিক্রি হয়, পরগাছা বলতে আমরা জানি স্বর্নলতাকেই বুঝায়, পূরাণো আমগাছে একপ্রকার পরগাছা জন্মে, তা দেখতে হুবহু মিষ্টি আলুর মত, ওইগুলিও এখন বাজারে বিক্রি হয়, মানুষেও কিনে নেয় । অনেক সময় শোনা যায়, আগেকার মত দেশীয় মাছ এখন পাওয়া যায় না, কেউ বলে ওসব মাছ এখন চোখেই পড়ে না । আসলে কিন্তু তা নয়! টাকা হলে দেশী বিদেশী সবই পাওয়া যায়, টাকা দিয়ে কিনে খাওয়া যায় । তবে এরমধ্যে আছে আসল-নকলের ছড়াছড়ি, তার ওপর আইনও আছে কড়াকড়ি, তবু দেখা যায় ফরমালিনের ছড়াছড়ি । মানুষের খাদ্যে বিষ মেশানো মরণাস্ত্র ফরমালিন যুক্ত খাবারও আমাদের খেতে হয় বাধ্য হয়ে, না খেয়ে উপায় নাই, তাই আমরা খাই । তবু মনে পরে যায় সেই ১৯৭৪ সালের অভাবের কথা, শত অভাব আর অনটনের মাঝেও মানুষ সৎ পথে থাকার চেষ্টা করতো । স্বার্থের কোমড়ে রশি বেধে টানাটানি করতো না, একচুলুম তামাক ফুঁকে নিজের সম্পত্তি অপরকে লিখে দিতেও দ্বিধা করতো না।
আমারা সবই খাই। শুধু সততা নাই ।
আমরা শুধু ভাত, মাছ, মাংস, ফলফলারি, শাকসবজিই খাই না, আরও অনেক কিছুই খেয়ে থাকি । গত বছর একটা পত্রিকায় দেখলাম, ভারতের এক নারী নিয়মিত বালু খেয়ে বেঁচে আছে । বর্তমানে তাঁর খাদ্য বলতে বালু, অন্য কোনো খাদ্য নয় । মহিলার নাম সুধামা দেবী, ভারতের কাজরি নুরপুর এলাকায় ৯২ বয়সের এই https://thedhakatimes.com/61632/story-of-a-woman-eating-sand/>সুধামা দেবী । আরও খায় গাছের পাতা, শুধু পাতা খেয়েই জীবন চলে, এটাও ভারতের এক পরিবারের কাহিনী । আমরাও গাছের লতাপাতা খাই, তবে কাঁচা না, সেদ্ধ করে বা তরকারি রান্না করে খাই । খাই বনবাদাড়ের পোকামাকড়ও, ক্ষুধা নিবারণের জন্য মানুষ যখন হায়না হয়ে ওঠে, তখন হাতের কাছে যা পায় তাই গিলে পেলে নির্দিধায় ।
কয়েক বছর আগে কুমিল্লার এক লোক মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে থাইল্যান্ডের সীমান্তে আটকা পড়ে যায়, ওই লোক দীর্ঘদিন থাইল্যান্ডের জঙ্গলে আটকে থাকার ফলে ক্ষুধা নিবারণের জন্য বনের পোকামাকড়কে খাদ্য হিসেবে বেঁচে নিয়ে জীবনধারণ করে । এমনই অদ্ভুত কাহিনীর গল্প আমাদের মানুষকুলে বহু আছে । শুধু এগুলো কেন, আমরা মানুষেরা সাপ খাই ,জোঁক খাই, ব্যাঙ খাই, টাকা খাই, পয়সা খাই, ঘুস খাই, সুদ খাই, মার খাই, লাথি খাই, থাপ্পর খাই, চাকরি খাই, ব্যবসা খাই চালান খাই, শহর খাই, গ্রাম খাই, দেশ খাই, নিজের চরিত্রটাকেও ধুয়ে-মুছে খাই, কী না খাই? সবই খাই । তবু নাই-নাই, খাই নাই, পাই নাই, দেয় নাই, করে নাই, শুধু নাই-নাই এর মধ্যেই আছি আমরা সকলে । এখন আমাদের উদর বড় হয়ে গেছে, অল্পসল্পতে আমাদের মন ভরেনা, শুধু চাইচাই আরও চাই । আগেকার সময় মানুষের এতকিছুর দরকার হতো না, সৎ পথে থেকে অল্পসল্প দিয়েই চলতে পছন্দ করতো, নিজেকে বিক্রি করে বেশির আশা করতো না ।
যা চাই সবই আছে হাটবাজারে, নাই শুধু সততা।
হাটবাজারে বিক্রি হয় হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগল, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী, প্রেমপ্রীতি ভালোবাসা, মানুষও কেনাবেচা হয় সময়সময় । অনেক সময় নিজের ভালোবাসাকেও আমরা বিক্রি করে দেই স্বার্থের টানে । নিজের নীতিটাকেও বিক্রি করে দিতে আমরা দ্বিধাবোধ করিনা, হেরে যাই অর্থের কাছে । সমাজের কিছু মানুষ স্বার্থের টানে অর্থের কাছে হেরে গিয়ে গোটা দেশ ও দেশের সমাজটাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে । যারা অর্থের কাছে হার মেনে নিজেকে বিজয়ী মনে করছে, তারাই আবার কোনএক সময় পরাজয় বরণ করে শূন্য হাতে বিধায় নিচ্ছে । সবকিছু ফেলে রেখে চলে যায়, না ফেরার দেশে। যাওয়ার আগে সময় থাকতে নিজের ভুলটাকে কেউ সংশোধন করতে চায়না নিজের স্বার্থের টানে । বেঁচে থাকতে আমরা নিজেরাই হাটবাজারের পণ্য হয়ে যাই, বিক্রি হয়ে যাই সচরাচর । আগেকার সময় মানুষ নিজেকে বিক্রি করে দিতো না, বজায় রাখতো সততা, থাকতো সৎ । এখন অসৎ মানুষের সংখ্যাবৃদ্ধির ফলে সৎ মানুষদের দেখা মেলেনা, সৎ মানুষেরা আড়াল প্রিয়তাকে ভালোবেসে গা-ঢাকা দিয়েই থাকতে পছন্দ করে। কিন্তু সমাজ তাদের মনে রাখে, কাছে ডাকে।
৪৪টি মন্তব্য
নীহারিকা জান্নাত
যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ।
দাদা, একটি গানের কথা খুবই মনে পড়ছে।
“আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম”
নিতাই বাবু
হ্যাঁ দিদি আপনিও তো মনে করিয়ে দিলেন সেই আগেকার কথা । সেজন্য দিয়ে দিলাম আপনার পছন্দের গানের লিংকটা জুরে,https://www.youtube.com/watch?v=ylipb3f_1tQ শুনুন তা হলে গানটা ।
নীহারিকা জান্নাত
গানের লিংকটি দেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
অনেকদিন পর প্রিয় গানটি আবার শুনে নিলাম।
নিতাই বাবু
সম্মানিত দিদি, আপনার প্রিয় গানের লিংকখানা দিতে পেরে আমি ধন্য ।
ইকরাম মাহমুদ
সেকালে আকাল থাকলেও একালের চেয়ে ভালো ছিল। অনেক পরিবর্তনের কথাই বলেছেন দাদা। আমি খুব বেশি আগের মানুষ নই। ১৯৯৪ এ দেখেছি আমাদের গ্রামে কলেজেই একটামাত্র টিভি ছিল। আর বাকিটা আপনার লেখার মতোই অনেকটা।
তারপর প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা অভিশাপে পতিত হচ্ছি। সততার কথা বললেন তো! সেই টা অভিধানের একটা শব্দমাত্র।
অভাব ছিল, ভালোবাসা ছিল
সততা ছিল, সৎ মানুষও ছিল।
অনেক সুন্দর করে সব তুলে ধরেছেন দাদা। খুব ভালো লেগেছে।
নিতাই বাবু
ধন্যবাদ দাদা সাথে থেকে উৎসাহ দানের জন্য । ভালো থাকবেন দাদা । -{@
আবু খায়ের আনিছ
আপনার ঐ সততার বিষয়টা বাদ দিয়ে অন্যসবগুলো বিষয় আমি রিজেক্ট করে দিলাম দাদা, পলিটিক্যাল. সোস্যাল, অর্থনৈতিক, এবং জীবনযাত্রার মানের দিক দিয়ে কোন উন্নতি হয়নি বরং অবনতী হয়েছে।
একটা দিক দিয়েই আমরা সফল, শিশুমৃত্যুহার কমে গিয়েছে এই, আর সব জায়গায় আমাদের ব্যর্থতা, যা উন্নতি আছে তার অর্ধেক লোক দেখানো, ভিতরে কিছুই না।
নিতাই বাবু
সম্মানিত দাদা, আমার লেখার প্রতিটি প্যারাগ্রাফের নীচে আপনার মনের কথাগুলো হয়তো প্রকাশ করতে পেরেছি দাদা ।
আশা করি আমিও সেই আগেকার সময়টাকেই প্রধান্য দিয়ে আমার লেখনীটা লিখতে পেরেছি । লেখাটা পুরোপুরি পড়ার জন্য আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ দাদা । আশা করি ভালো থাকবেন দাদা ।
সৈয়দ আলী উল আমিন
সেই দিন আর নেই ভাই। সামনে আরও খারাপ দিন আসছে। ভাল লাগলো লেখাটি।
নিতাই বাবু
এই ব্লগের আপনি একজন প্রবিন লেখক । আমাদের মতো ব্লগারের লেখায় আপনাদের একটা মন্তব্য মানে আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া । আমার কাছে তাই মনে হচ্ছে সম্মানিত গুরুতুল্য সৈয়দ আলী উল আমিন সাহেব । আমার নমস্কার গ্রহণ করুন, সাথে রইল আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা অভিনন্দন ।
সৈয়দ আলী উল আমিন
ভাল থাকুন- শুভ কামনা রইলো।
মোঃ মজিবর রহমান
গুরু । আপনাকে স্বাগতম আমার প্রানপ্রিয় সোনেলায়। আমার প্রথম ব্লগ বিডিনিউজ আর আমার এই দুই ঘরে এখানে আপনাকে লাল -{@ শুভেচ্ছা। আপনার যুগে যেদিন নেংটি (অভাবে)ছিল, আমাদের যুগে হাফ পেন্টের আমল আধুনিকতার ফসল। সততার আদলে পেয়েছি সততার যুগ।
আপনার লেখাকে অতীত আনিয়ে দেয় সামনে আর দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে বলতে হয় সব অসতের আন্দলনে নেমেছি আমরা। ভাল থাকুন।
নিতাই বাবু
সম্মানিত মজিবর রহমান দাদা, আপনার আর মনির দাদার শুভেচ্ছা বার্তায়ই সোনেলা ব্লগে আমার নিবন্ধিত হওয়া । দাদা, এই ব্লগে লিখতে পেরে আমি আনন্দিত, লিখতেও ভালো লাগে । কিন্তু দাদা, নিজের ব্যস্ততার কারণে ব্লগে বেশি সময় দেয়া যায়না দাদা । তবু চেষ্টা করবো নিয়মিত লিখতে দাদা ।
লেখাটা পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দাদা, ভালো থাকবেন আহা করি ।
নীলাঞ্জনা নীলা
সততা ওই শব্দটি এখন অভিধানে আছে, জীবনে আজকাল সৎ মানুষ হাতে গোণা। দুষ্প্রাপ্য একটা বস্তু হয়ে গেছে সততা। সত্যি বলতে যাবেন, ধরা খাবেন। একসময় মানুষ ছিলো দু’ রকমের। সৎ এবং অসৎ। আর এখন একদল হলো আঁতেল আর একদল হলো কথার কারিগর।
বেশ লিখেছেন। ভালো লেগেছে। অনেক কিছু মনে করিয়ে দিলেন, কিন্তু লিখতে পারছিনা হাতের কারণে।
নিতাই বাবু
সম্মানিত নীলাঞ্জনা নীলা দিদি,
সম্মানিত দিদি সৎ মানুষেরা সবসময়ই সত্য কথাই বলতে পছন্দ করে । সৎ মানুষেরা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সুখী হতে চায়না । মিথ্যার আশ্রয় না নিলে ধরা খাওয়ার কোনো সুযোগ নেই, তাই তাই তাঁরা সবসময় সত্যের পথে থাকতে চায় ।
আগেকার সময় মানুষ দুই রকম ছিল ঠিক, কিন্তু দিদি অসতের সংখ্যা ছিল কম । যেখানে এক চুলুম তামাক ফুঁকে নিজের চাষের জমি বিলিয়ে দেয়। সেই মানুষগুলি কেমন ছিল? সত্যের জোর বেশি ছিল দিদি । এখন ওসতের জোরে সত্যের জোর কী টিকতে পারে? মোটেই না । আর সেটাই আমার লেখায় প্রতিটি প্যারাতেই উল্লেখ করেছি দিদি ।
যাই হোক দিদি, আমার এই খুদ্র লেখনী পড়ার জন্য আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ প্রকাশ কুরছি । আশা করি ভালো থাকবেন সদা সর্বদা । ধন্যবাদ
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনি অসম্ভব বিনয়ী একজন মানুষ। আজকাল বিনয়ী মানুষের সংখ্যা একেবারেই কম।
ভালো থাকুন।
নিতাই বাবু
সম্মানিত দিদি, বিনয়ী আর ভালোবাসা বুকে নিয়েই বেঁচে আছি ।
আমার সম্বল শুধু এটাই, আর কিছুই নাই ।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আগেরকার চিত্র খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
নিতাই বাবু
সম্মানিত দাদা লেখনী ভালো লাগার জন্য আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ জানাই । আশা করি ভালো থাকবেন দাদা ।
অরণ্য
হ্যাঁ, আসলেই আমরা অনেককিছুই হারিয়ে ফেলছি। এখন যা চলছে সে এক ঝড়ের মত। আদৌ শান্ত হবে কিনা আমি জানিনা।
ভালো লাগলো লেখাটি। (y)
নিতাই বাবু
অরন্য দাদা মন্তব্যের জন্য আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ জানাই। আসলে দাদা আমরা সবাই ঝড়ের পাখি।
তারমধ্য দাদা আমি হলাম এই পৃথিবীর একজন নীড় হারা ঝড়ের পাখি দাদা। যার কারণেই আমার সেই স্মৃতিময় নীড়ের কথা আর আগেকার কথাগুলি মনে পড়ে সবসময়।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
স্মৃতি চারণের সাথে অতীত বর্তমানের জীবন চলার অবস্থাটা খুব সুন্দর করেই ফুটিয়ে তুলেছেন।এখন যা হচ্ছে বা হবে তাই শেষ জবানা।ধন্যবাদ সুন্দর একটি রিপোর্ট শেয়ার করায়।
নিতাই বাবু
ধন্যবাদ সম্মানিত মনির দাদা । দাদা আমি সেই লেংটির আমলের মানুষ, তাই নিজের অভিজ্ঞতার কথাই আমার লেখায় তুলে ধরেছি মাত্র । জানিনা এই ব্লগের সম্মানিত লেখকবৃন্দ আর সম্মানিত পাঠকবৃন্দদের মনগত হয়েছে কিনা ।
লেখার আরও বাকী ছিল দাদা, লিখি নাই শুধু ইন্টারনেট বিত্তিক অনলাইনের লেখা তাই । কারণ হলো দাদা, এই ইন্টারনেট বিত্তিক অনলানের কোনো বড় লেখা কেউ পুরোপুরি পড়েনা, তার কারণ হলো টাকার চিন্তা কে-না-করে দাদা?তাই তাড়াহুড়া করে ছোট আকারে লেখাটা দিলাম পরিচিত হুয়ার আশায় ।
ধন্যবাদ দাদা ভালো থাকবেন আশা করি । আর হ্যাঁ আপনার নতুন কোনো লেখা দিয়েছেন? পড়ার আশায় রইলাম দাদা ।
শুন্য শুন্যালয়
লেখাটি আগেই পড়েছি, মন্তব্য করতে দেরি হয়ে গেলো।
এমন গুছিয়ে অতীতের হাহাকার তুলে ধরতে কমই দেখেছি। কতো কিছু মনে এলো! সেই পরের বাসায় টিভি দেখা, অন্যের বাসার ফ্রিজে আইসক্রিম বানানো, আলুভর্তা দিয়ে পিকনিক। টাকা ছিলো না তবু যেন দিনগুলো জ্বলজ্বলে ছিলো।
কখনো পুরো লেখাটা দিয়ে দেবেন, একজন দুজনই না হয় পড়লো তাতে কী!
অনেক ভালো লাগা।
নিতাই বাবু
মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ, সাথে রইল শুভকামনা।
>ভালো থাকবেন আশা করি।
নীরা সাদীয়া
অনেক যুক্তিযুক্ত কথা বলেছেন। নেই শুধু সততা। তবে একেবারে যে সততা এবং অভাব নেই তা নয়। মধবিত্ত পরিবারগুলোর দিকে তাকালে দেখবেন অভাব যথেষ্ট পরিমানে বিদ্যমান। কারণ তারা সৎভাবে চলছে। অসৎ হতে পারলে তারাও অাঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যেত।
নিতাই বাবু
নীরা সাদীয়া।
দিদি মন্তব্যের জন্য আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
আপনার অনুভূতি প্রায় আমার সাথে মিলে গিয়েছে,
দিন দিন আমরা আরো খারাপের দিকেই ধাবিত হচ্ছি,
পথে আলো নেই কোথাও।
ভাল লিখেছেন।
শুভ কামনা।
নিতাই বাবু
বর্তমানে আমরা আছি আলো আঁধারে মিশে।
যার আলো আছে তো আছেই, আর যার আঁধার আছে তো সারাজীবনেও সে আর আলোর মুখ দেখেননা।
ধন্যবাদ ভালো থাবেন আশা করি।
মেহেরী তাজ
আমাদের কাছে ১৯৭৪,৮৬ এগুলো শুধুই বইয়ে পড়া গল্প!
৮ টাকা হালি ডিম আর ১১ টাকা কেজি চাল সুদূর অতীত।
আমরা এখন দেখি ফরমালিন,আমরা এখন দেখি চালের মধ্যে সাদা পাথর, চিনির মধ্যে বালি! আরো দেখি কৃত্রিম ডিম!
ভালো পোষ্ট…..
নিতাই বাবু
আমার লেখা ভালো লাগার জন্য আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ জানাই।
ভালো থাকবেন আশা করি।
সঞ্জয় কুমার
আঙ্কেল আমি আপনার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট । খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন । আমাদের দেশের সাধারণ মানুষরা আসলেই অনেক সহজ সরল । সততা একবারে যে নেই তা নয় । প্রতিটি বাঙালী মধ্যবিত্তের জীবনের গল্প টা বোধহয় একই রকম হয় ।
ধন্যবাদ ভাল থাকবেন ।
নিতাই বাবু
“প্রিয় সঞ্জয় কুমার”
হ্যাঁ সঞ্জয় কুমার তোমাকে দেখতে ঠিক আমার ছেলের মতো।
তবে হ্যাঁ, আমার আদরের সে সন্তানটি এই দুনিয়ায় এখন আর নেই, ও চলে গেছে বহুদূরে, না-ফেরার দেশে।
আমার ছেলেটা আছে এখানে দেখে নিও সময় করে।
নিতাই বাবু
আমার ছেলাটা এখানে আছে সময় করে আমার ছেলেটাকে দেখে নিও ।
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের হারিয়ে যাওয়ার দিক গুলো খুব সুন্দর করেই তুলে ধরেছে,
তা সত্ত্বেও আশাবাদী হওয়ার অনেক দিক এখনও খুঁজে পাচ্ছি।
নিতাই বাবু
“সম্মানিত “ছাইরাছ হেলাল”
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন আশা করি।
জিসান শা ইকরাম
সোনেলায় টেকি ব্লগার নেই বলতে গেলে।
মন্তব্যে আপনি কিভাবে অক্ষরগুলো বোল্ড করেন এটি জানিয়ে একটি পোষ্ট দিলে অনেকেই উপকৃত হতো।
সম্ভব হলে একটি পোষ্ট দিয়ে দিন।
নিতাই বাবু
গুরুতুল্য সম্মানিত জিসান শা ইকরাম দাদা।
সবার যদি উপকার হয়, আমার তাতে ক্ষতি কী?
আপনার কথা আমি রাখতে পারবো আশা কারি। তবে আমি সময় আর সুযোগ বুঝে বিস্তারিত লিখে জানাবো।
সঞ্জয় কুমার
BANGLADESH
BANGLADESH
নিতাই বাবু
‘প্রিয় সঞ্জয়”
শুধু বাংলাদেশ বাংলাদেশ কেন?
আমরা কী পাকিস্তানে আছি?
সঞ্জয় কুমার
নিতাই বাবু
-{@
সঞ্জয় কুমার
BANGLADESH
নিতাই বাবু
(y)