আলম ভাইয়ের মোবাইলের চিৎকারে তাঁর স্বপ্নটা ভেঙে গিয়েছিলো। কি আশ্চর্য একই সাথে আমারও মোবাইল বেজে উঠলো। গত রাতে ঘুম হয়নি তেমন, মোবাইলের রিং এর শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিল বলে রক্ষা, নইলে তো দুপুর হয়ে যেত ঘুম থেকে জাগতে। কে বলতেই তৌহিদ ভাই কথা বলে উঠলো, জিসান ভাই ঠিক বারোটায় আসবো তো সবুজ ছায়া রেস্টুরেন্টে? উত্তর দিলাম হ্যা বারোটার মধ্যেই আসুন। একে একে ছাইরাছ হেলাল, নাসির সারওয়ার,ইঞ্জা,মনির হোসেন মমি, নিতাই বাবু, বন্যা লিপি, সাবিনা ইয়াসমিন, সুপায়ন বড়ুয়া, মাহবুবুল আলম, প্রদীপ চক্রবর্তী, নাজমুল হুদা, সিকদার সাদ রহমান, রেহানা বীথি, জাকিয়া জেসমিন যূথী, সুপর্ণা ফাল্গুনী , মোহাম্মদ মজিবর রহমান, শামীম চৌধুরী, হালিম নজরুল প্রমুখ ব্লগারদের কল আসতেই থাকলো। ব্রেক ফাস্ট করার সময় পাচ্ছিনা ফোন কলের কারনে। ছেলেদের মা তো খাবার টেবিলে বসে জিজ্ঞেসই করলেন ‘কি ঘটনা আজ এত ফোন কেন?’ তাঁকে বললাম যে আজ আমাদের সোনেলার একটি আড্ডা আছে, তাই এত কল।’ ‘ আজ বিকেলে কিন্তু মুনাদের বাসায় যেতে হবে মনে থাকে যেন।’ গিন্নীর এমন কথায় বললাম ‘ চিন্তা করো না, বিকেল না হলেও সন্ধ্যার মধ্যে চলে আসবো।’ দ্রুত নাস্তা করে পকেটে কিছু টাকা নিয়ে উবার কল করে ছুটলাম তোপখানা রোডের সবুজ ছায়া রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে। রেস্টুরেন্টটি খারাপ না, ২০১৯ এ এই রেস্টুরেন্টেই সোনেলার ব্লগারদের নিয়ে লাঞ্চ করেছিলাম।
রেস্টুরেন্টে পৌছে তো অবাক এর উপর অবাক হয়ে গেলাম। মুখে হাসি নিয়ে সবার সাথে কুশল বিনিময় করলাম। মুখে হাসি থাকলে কি হবে? মাথার মধ্যে হিসেবের সাইক্লোন বয়ে যাচ্ছে, যে টাকা এনেছি তাতে তো সবার খাবারের বিল মিটানো যাবে না। এরা সবাই কিভাবে আসলো এখানে? কে খবর দিলো? আমাকে অপ্রস্তুত করার জন্য কে এমন কাজটা করলো? এসির তীব্র ঠান্ডায়ও ঘামাচ্ছি খুব। আলগোছে মানি ব্যাগটা পকেট থেকে বের করে টেবিলের নীচে দু পায়ের উপর রেখে খুঁজলাম ক্রেডিট কার্ডটা আছে কিনা, ওটা দেখে বুক ধরপরানি কমে গেলো, যাক বাঁচা গেলো, অপ্রস্তুত হতে হবে না এযাত্রা। কামাল উদ্দিন বললেন যে তিনি অন্য সবাইকে খবর দিয়ে এখানে এনেছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে সবাইকে একত্রিত করা কতটা কঠিন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রিমি রুম্মন, মারজানা ফেরদৌস রুবা, শাহরিন, ইকবাল কবীর, রেজওয়ান, আরজু মুক্তা, নীরা সাদিয়া,সুরাইয়া পারভীন, সুরাইয়া নার্গিস, শবনম মোস্তারী,রুমন আশরাফ, মুক্তা মৃণালিনী, মনি কাশফিতা,শিরিন হক, সাদিয়া শারমিন, রেজোয়ানা কবীর, মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী,খাদিজাতুল কুবরা, রোকসানা খন্দকার রুকু, সাজেদুল হক, সঞ্জয় মালাকর, নৃ- মাসুদ রানা, আলমগীর সরকার লিটন, ফয়জুল মহী, ইসিয়াক, দালান জাহান, ফজলে রাব্বী সোয়েব, আকবর হোসেন রবিন, মাছুম হাবিবী, নিরব সাগর , উর্বশী,পর্তুলিকা সবাই এসেছে। রিমি রুম্মন, রেজওয়ান কিভাবে আসলো এখানে বিদেশ থেকে? এই প্রশ্নের উত্তরে দুজনে শুধু হাসল। হাসির মধ্যে যেন সব উত্তর লুকিয়ে থাকে।
এত মানুষের সমাগমে আড্ডা আর হয় কিভাবে? সবাই কথা বলছে, কারো কথা কেউ বুঝছে না, তারপরেও সবাই বলছে তো বলছেই। নাসির সারওয়ার আর ইঞ্জা ভাই লাঞ্চের মেনু নির্বাচন করে দিল। খুব বেশী আইটেম না দেয়ায় বললাম আমি আরো দিতে। আসলে ভিতরে ভিতরে খুশীই হয়েছিলাম টাকা খরচ কম হবে বলে। আমার মনের মধ্যের এই চিন্তা নাসির আর ইঞ্জা কিভাবে যেন বুঝতে পারলো, আমার দিকে তাকিয়ে দুজনেই ইঙ্গিতপূর্ণ হাসিতে তা বুঝিয়েও দিলো। মনের যোগাযোগে ওদের ধন্যবাদ দিলাম, তারাও স্বাগতম বললো 🙂
লাঞ্চের পরে ছাইরাছ হেলাল আর সুপায়ন বড়ুয়ার প্রস্তাবে শাহাবাগ জাতীয় জাদুঘর এ যাবার পরিকল্পনা করা হলো। যাদুঘর দেখে এরপর সরোওয়ার্দী উদ্যান এ গিয়ে ফটো সেশন করে আজকের সোনেলা ব্লগ ব্লগারদের সম্মিলন সমাপ্ত হবে। রেস্টুরন্ট হতে বের হয়ে যে যার মত জাদুঘরের দিকে যাবো।
সবাই পৌছে গিয়েছি জাদুঘরে দুজন ব্যতীত। সাবিনা ইয়াসমিন আর বন্যা লিপি পৌছায়নি। কয়েকবার ফোন করা হলো বন্যা লিপিকে। ‘ এইতো এসে পরেছি’ বলেই কল কেটে দেয়। কতক্ষণ আর যাদুঘর চত্বরে অপেক্ষা করবো সবাই? তৌহিদ ভাইকে বললাম’ ভাই আমি শিউর এরা দুজনে টিএসসি মোড়ে চটপটি খাচ্ছে। আপনি গিয়ে নিয়ে আসুন।’ মুহুর্তের মধ্যে তৌহিদ ভাই টিএসসির মোড়ে। ম্যাসেঞ্জারে কল দিয়ে টিভির লাইভ টেলিকাস্টের মত বর্ণনা দিচ্ছেন তৌহিদ ” দর্শক ঐ যে দেখুন দুই ময়না দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চটপটি খাচ্ছে, আমরা যে এতজন ব্লগার তাদের জন্য অপেক্ষা করছি, তা এদের খেয়ালই নেই। এদের কাছে ব্লগারদের চেয়ে চটপটির মূল্য বেশী। আমি এখন দুজনকে হাতে নাতে পাকড়াও করছি। ” এই বলে ভিডিও কল অন রেখে তৌহিদ দুজনের দিকে এগিয়ে গেলেন। ধরা পরে কিছুটা লজ্জিতও হলেন না দুজনে। যেন কিছুই হয়নি এমন স্বাভাবিক ভাবে বন্যা লিপি বলে উঠলো “তৌহিদ ভাই, দাঁড়ান পান কিনে নেই কয়েকটা।”
বিভিন্ন সময়ে প্রায় সবাই জাদুঘরে আসলেও ব্লগারদের সাথে সবাই এই প্রথম জাদুঘরে। বাংলা অক্ষরের বিবর্তন এর ডিসপ্লে দেখার পরে সবাই প্রবেশ করলাম মধ্যযুগীয় যুদ্ধাস্ত্র যে কক্ষে সেখানে। সবাই আলাপ করছিলাম এত বড় বড় শিরোশ্রান , বুক এবং পেট রক্ষা করার জন্য লোহার প্রতিরক্ষা পোষাক, বিশাল ঢাল এবং তলোয়ার একই সাথে নিয়ে একজন যোদ্ধা কিভাবে যুদ্ধ করতেন! কতবড় লম্বা বর্শা, এটি দূরে নিক্ষেপ করতে হলে কত শক্তি থাকতে হয় শরীরে! এসব ভাবছি সবাই, হঠাৎ দীর্ঘদেহী ছাইরাছ হেলাল আর সুপায়ন বড়ুয়া ইয়াহুউউউউউউ বলে চিৎকার দিয়ে যুদ্ধ আরম্ভ করে দিলো। তাদের পরনে যুদ্ধের এই সব পোষাক। কিভাবে কাঁচের মধ্যে রাখা যুদ্ধের পোষাক আর অস্ত্র এরা নিয়ে নিলো ভাবার আর সময় কই, যে যেদিকে পারলাম ছুট লাগালাম। দূর থেকে সাবিনা ইয়াসমিন চিৎকার করে বললেন ‘মহারাজ সুপায়ন দাদা আপনারা কবি, আপনাদের যুদ্ধ মানায় না।’ থামলো যুদ্ধ। স্বাভাবিক হল সব।
বিপত্তি দেখা দিলো আবার পুরাণ আমলের অনেক উঁচু উঁচু খাট পালঙ্কর ওখানে গিয়ে। নারী ব্লগাররা সব উধাও। তারা জমিদার গিন্নীর মত শাড়ি পরে একেকটা পালঙ্কর দখল নিয়েছে। অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে তাদের পালঙ্ক হতে আলাদা করতে হয়েছে।
বের হতে হবে জাদুঘর হতে। সুর্যের আলো কমে গেলে ফটো ভালো আসবে না। ফটোতোলক শামীম চৌধুরী বার বার তাগিদ দিচ্ছেন। সবাই দলবেঁধে একটু দ্রুতই নামছি। কিভাবে কি হলো বুঝতে পারলাম না, সিড়ির শেষ ধাপে পা দিতেই পা স্লিপ করে ধপ্পাস করে পরে গেলাম।
ঘুম ভেঙে দেখি খাট হতে নীচে পরে আছি আমি। হায় #স্বপ্ন
১১৬টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
আগে চটপটি খেয়ে নিই, একটু পর হাজির হচ্ছি। তৌহিদ ভাইয়ের ভিডিও কলে আমাদের দেখানো হয়েছে ,,,বন্যায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া কই তুমি?
বন্যা লিপি
এইতো আইছিইইইইইই ময়না……
লও আমরা আগে চটপটি শ্যাষ কইরা কোন আইসক্রিম খাই, পান চিবাই, তারপর খবর লমু তৌহিদ মিঞার, তারপর চিন্তা করুম বাকি কি করন যায়😊😊😊
সাবিনা ইয়াসমিন
খবরতো নিতেই হবে। আমরা যেই বললাম তাকে চটপটির বিল দিতে, আর সে কিনা এই কাজ করলো!! তৌহিদ ভাই এখন কই, একবার খালি হাতের কাছে পাই, এবার তোমার পান আর আইস্ক্রিমের দামও তার থেকেই উসুল করবো
বন্যা লিপি
ময়না তুমি এইডা কি কইলা? এহন তৌহিদ ভাই উল্ডাদিকে দৌড় দিবো। হ্যায় দিবো পান আইসক্রিমের দাম? উনি ডরের চোডে খিঁইচ্চা দৌঁড় দিবো😆😆😆😆
জিসান শা ইকরাম
ভালোই তো, এখন আবার কোন আইসক্রিম যুক্ত হইছে লিস্টে!
তৌহিদ ভাই বিলে ডরায় না, সে বীর 🙂
নিতাই বাবু
বন্যা লিপি দিদি, তৌহিদ দাদা ফুইটা গেলেও সমস্যা নাই। আমি বান্দা আরও দশজনের চটপটি, পান, আইসক্রিমের দাম দিতে একটুও হিমশিম খামু না, পলামুও না।
জিসান শা ইকরাম
চোখের সমস্যায় লিখতে খুবই সমস্যা। দিনে আসতেছি। সবাইকে নিয়ে স্বপ্ন পড়ুন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দাদা ভাই ফাল্গুনী নাম ঠিক করেন।
জিসান শা ইকরাম
ঠিক করেছি ছোট দি, চোখ খুব সমস্যা করছে।
তৌহিদ
ভিডিও কলে দেখি একজনের গাল বেয়ে চটপটির টক ঝাল পানি আর একজনের ঠোট বেয়ে পানের লাল পানি গড়িয়ে পড়ছে! কি অবস্থা! 😃😃
ইঞ্জা
এ্যঃয়া কিয়া কন, ময়নারা খায়বো মরিচ দিয়া পান, চটপটি, তাও ঠোঁট রাঙ্গাইয়া আইবো, এইতো চাই, আর মোগো বাড়ির ময়নার মতো কইবো ঝাড়ুউউউউউউ…. 🤣😂
সুপর্ণা ফাল্গুনী
🙄🙄 ভালোই তো । একজনের গাল বেয়ে টক ঝাল , আরেকজনের পানের পিক। 😇😇
জিসান শা ইকরাম
কি অবস্থা দুই ময়নার!
জিসান শা ইকরাম
আপনারা আমাদের রেখে একা একা চটপটি , ফুচকা খাবেন, আর তা ভিডিওতে দেখালেই দোষ!
ইঞ্জা
পড়ে আসছি
ইঞ্জা
ওরে বাবা, কবিরাজ আর সুপায়ন দাদার যুদ্ধ দেইখা হেইয়া মুই যে ডর খাইছি, বুকডা ধরাক ধরাক করতাছিলো, মহিলা মন্ডলের জমিনদার ইস্টাইলের পিন্দন দেইখা মুই হুশ হারা হইছিলাম, যখন দেখলাম ভাইজান মোর স্লিপ কাইটলো, ও মনুরে মনু মুই কি যে লাফ দিছি….
ধ্যাত ঘুম ব্যাডা টপাক কইরা ভাইঙ্গা গেলো ভাইজানের।
ভাইজান সেইরাম হইছে, পরে আবার আইতাছি। 😆
সাবিনা ইয়াসমিন
হাহাহা, ইঞ্জা ভাইজান, কত্তো ভীতু!!
ইঞ্জা
মোর ভূতে ভয়, নিজে নারামারি করলে অসুবিধা নাইক্কা, অন্যের মারামারি মোর পছন্দ না। 😉
সুপর্ণা ফাল্গুনী
পরেরবার ইঞ্জা ভাই মারামারি করবে।
জিসান শা ইকরাম
হ ভাইজান, চরম যুদ্ধ দুই যুদ্ধবাজ কবির 🙂
স্বপ্নটা না ভাঙলেও চলতো।
ইঞ্জা
সূপর্ণা আপু, এক সময় মারামারি কম করিনি, বন্ধুরা অবাক হতো আমার মারামারি দেখে, বলতো আমার মাইর নাকি ওরা কেউ খেতে চায়না, এমনই উরাধুরা মাইর ছিলো। 🥴
ইঞ্জা
ভাইজান, কবিদের যুদ্ধ হবে কলমে, যুদ্ধবর্ম, যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে উনাদের মারামারি কেমন হবে ভাবতেই হাসি পাচ্ছে। 😂
জিসান শা ইকরাম
যুদ্ধাস্ত্র অনুযায়ী হাইট এই দুজনকেই মানায়। তাই দুজনেই যুদ্ধ করেছে 🙂
জিসান শা ইকরাম
সাথেই তো আছেন ভাইজান।
ইঞ্জা
আছি ভাইজান।
ইঞ্জা
হে হে হে 😆😆
সাজেদুল হক
স্বপ্ন এগোচ্ছে নানা মাত্রাা নিয়ে নানান বাস্তবতা কিংবা পরা বাস্তবতায় ।
ভালো লাগছে ।
আবারও অপেক্ষা ।
জিসান শা ইকরাম
আপনিও অংশ নিচ্ছেন মন্তব্যের মাধ্যমে,
শুভ কামনা ভাই।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দাদা ভাই আপনার লেখায় সবার নাম দেখে বেশ ভালো লাগলো। দুই ময়নার কাহিনী অনবদ্য হয়েছে। টাকা খরচের মুহূর্তটা অসাধারণ, হেলাল ভাই আর সুপায়ন দাদার যুদ্ধ দেখেতো সেইরাম ভুই পাইছি। নারীদের জমিনদার বেশটা মজার ছিল। আপনি যে এতোটা অসতর্ক যে ধপাস করে স্বপ্নের মধ্যেই খাট থেকে পড়ে গেলেন। ব্যথা নিশ্চয়ই পেয়েছেন। মালিশ করে নিবেন বৌদিকে দিয়ে। এককথায় অসাধারণ অনবদ্য, চমৎকার লিখেছেন। শুভ কামনা রইলো সবার জন্য।
জিসান শা ইকরাম
এমন মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ছোটদি।
বয়সের কারনে কিছুটা বেখেয়াল হয়েছি বাস্তবেই। তোমার বৌদি যথেষ্ট যত্ন নেন একারনে।
শুভ কামনা ছোটদি।
সাদিয়া শারমীন
আপ্লুত হয়েছি আপনার লেখায় নিজের নাম খানা দেখে। ভালো লাগলো গল্পটি।
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ আপনাকে। স্বপ্ন গল্প লেখার প্রস্তুতি নিন আপু।
শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
আমার একটা কুটি টাকা দামের প্রশ্ন আছে। সুপায়ন দাদা কবি এটা আমাদের সবার জানা, কিন্তু মহারাজকে কবি ভাবলাম কিভাবে!! আমার স্বপ্ন কি মডিফাইড হয়ে এই স্বপ্নে এসে পড়লো? 🤔🤔
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন অ-কবিতা-জি, স্বপ্নকে স্বপ্নেই থাকতে দিন,
খামোখা টানাটানি ক্যা যে করেন!
সাবিনা ইয়াসমিন
@মহারাজ, সোনেলা প্রমিজ, আমি আপনাকে বাস্তবে কখনো কবি ভাবিনি। কারণ কবিদের যেসব রং ঢং থাকা লাগে, ওগুলো আপনার নেই। কিন্তু কথা হলো জিসান সাহেবের স্বপ্নে আপনাকে কবি উপাধি দিলাম কিভাবে!! ওটাতো আমি বেঘোরে ভাবতাম 🤔🤔
ইঞ্জা
কি বলেন আপু, হেলাল ভাইকে স্বাদে কি আর কুবিরাজ ডাকি, দেখেন না উনার কবিতা পড়ে আমার দাঁতই ভেঙ্গে গেছে, উহুহুহু এখনো ব্যাথা হয়। 🥴
জিসান শা ইকরাম
মহারাজ, কুবিরাজ উপাধি যখন আছে, কবি তিনি অবশ্যই।
স্বপ্ন মডিফাইড হয়ে ট্রান্সফারও হতে পারে @সাবিনা ইয়াসমিন।
রেহানা বীথি
এ তো মহাকাণ্ড! বন্যাপু আর সাবিনা আপু, আপনারা কিন্তু ঘাবড়াবেন না। আস্তে-ধীরে চটপটি শেষ করে পান-টান খান। রিল্যাক্স মুডে থাকুন। প্রতিশোধ সমসময় ঠাণ্ডা মাথায় নিতে হয়, তা নাহলে গড়বড় হওয়ার চান্স থাকে ।
জিসান ভাইয়া, আমি কিন্তু লেখা পড়ে ঘামছি। এত সুন্দর করে আমি লিখতে পারবো না কখনও!
বন্যা লিপি
একদম উচিত পরামর্শ দিছেন উকিল আপু। বুদ্ধিমানেরা ঘাবড়ায় না। ঝোপের খোঁজে থাকে বুইজ্জা কোপ মারার জন্য।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
উকিলরা ভালো বুদ্ধিই দেয় বন্যা আপু। উকিল আপারে পাইনা ম্যালাদিন। উকিল আপা কেমন আছেন?
বন্যা লিপি
ছোটদি , বুঝতে হবে তো উকিল আপা আমাগো দলের লোক। ভালো বুদ্ধি না দিয়া যাইবো কই?
রেহানা বীথি
সুপর্ণা আপু, ভালো আছি শারীরিকভাবে আপাতত। তবে আমার আব্বা স্ট্রোক করেছেন কিছুদিন আগে, আম্মাও অসুস্থ ছিলেন বেশ। সেকারণে মনটা ভালো থাকে না। ব্লগ, ফেসবুক সবকিছুর সবকিছুর সাথেই অনেকটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। আপনি, আপনারা কেমন আছেন?
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বীথি আপু আছি কোনরকমে। এই বয়সের লোকজন অসুস্থ হলে সত্যি খুব কষ্টের। ঈশ্বর সহায় হোন। ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন
সাবিনা ইয়াসমিন
ওয়াও বীথি আপু!! দারুণ বুদ্ধি দিয়েছেন। আপনার পরামর্শ অবশ্যই অক্ষরে অক্ষরে পালিত হবে 😇😇
জিসান শা ইকরাম
দুজনকে তো প্রতিশোধ নেয়ার দারুন বুদ্ধি দিলেন।
আমার এটি শ্রেফ আড্ডা, লেখা বলে লজ্জা দিচ্ছেন।
ধন্যবাদ বীথি আপু স্বপ্নের সাথে থাকায়।
শুভ কামনা।
নিতাই বাবু
কবি মহারাজ আর সুপায়ন দাদা যখন যুদ্ধ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, আমি তখন তাঁদের পেছনে একটা গাধার পিঠে চড়ে বসে বসে দেখছিলাম। বিশালদেহী কবি মহারাজের হাঁক-ডাকে সুপায়ন বরুয়া দাদা ঢাল তলোয়ার ফেলে থরথর করে কাঁপছিল। আমি সুপায়ন দাদা কাঁপুনি দেখে গাধার পিঠ থেকে নেমে দৌড়ে গিয়ে সুপায়ন দাদার কানে কানে বললাম, ‘শ্রদ্ধেয় দাদা, ভয় পাচ্ছেন কেন? এটা তো সত্যিকারের যুদ্ধ নয়! এটা শুধুশুধু ফাকুম-ফুকুম করা।’ এরপরই সুফায়ন দাদার শারীরিক কাঁপুনি থেমেছিল। সেসময় আমি যদি চুপ করে গাধা পিঠে চড়ে বসে থাকতাম, তাহলে এদিন আর খাট পালঙ্ক কারোর দেখার সময় থাকতে না, সুপায়ন দাদাকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে সবার ডুকরে কাঁদতে হতো। মহান সৃষ্টিকর্তা সেদিন আমাদের সোনেলা পরিবারের সকলের সহায় ছিল বলেই এখনও এখানে আছি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দাদা তো ভালোই সাহসী, বুদ্ধিটাও জম্পেশ ছিল। তানা হলেতো সেদিন আর বাসায় ফেরা হতোনা। অবশ্য আমার বাসা কাছেই হেঁটেই আসা যাওয়া করা যায়।
জিসান শা ইকরাম
দাদা অবশ্যই সাহসী ছোটদি।
জিসান শা ইকরাম
বাহ! দাদা দেখি আমার স্বপ্নের মধ্যেই স্বপ্ন দেখে ফেললেন 🙂 আপনার মন্তব্য দেখেই বুঝা যাচ্ছে আপনার লেখা স্বপ্ন পর্বটি দারুন উপভোগ্য হবে।
শুভ কামনা দাদা।
ফয়জুল মহী
খুবই সুন্দর লিখেছেন।
ভীষণ ভালো লাগলো।
জিসান শা ইকরাম
পড়ার জন্য ধন্যবাদ মহী ভাই।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
খাই খাই ওয়ালারা তো পুরা দুন্নাইডা গিল্লা খাইতে চায়!! খাইতে পারুক বা না পারুক
চিল্লাইয়া কান তব্দাইতে ওস্তাদ!
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এটা ঠিক। অনেকে বেশী খেতে পারেনা কিন্তু হাউকাউ করে কানে তব্দা ধরাতে ওস্তাদ। হেলাল ভাই যে তলোয়ার চালাতে পারেন জানা ছিলো না তারপর আবার যুদ্ধ! এতো বিশাল ব্যাপার।
ছাইরাছ হেলাল
স্বপ্নে অনেকেই অনেক কিছু চালায়, চালাতে পারে, মনে রাখতে হবে।
বন্যা লিপি
সুপর্ণা দি, খাওয়া খাওয়ি ও চিল্লাফালা দুইডাই সমানতালে শুরু করলে খবর আছে বাকি ব্লগারগো।
কাজেই চুপচাপ কানে হাত চাপা দিয়া থাকেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
@মহারাজ, আমি কিন্তু আপনার কমেন্ট ক্লিয়ার বুঝিনি। খাইখাই ওয়ালা বলতে কি বুঝিয়েছেন হুম? আর কে/কারা চিল্লায়, নিশ্চয় আপনি আমাদের, মানে সোনেলার সোনামণিদের উদ্যেশ্য করে এটা বলেননি :),,, তাহলে কান তব্ধাকরন পার্টি কারা? 😉
নাসির সারওয়ার
এইডা কি কন! স্বপ্নে এত্তু খাইতেও দেবেন্না!
বিল আমিই দিমুনে।
সাবিনা ইয়াসমিন
হাহাহা, আপনিই তো অল্প অল্প মেন্যু অর্ডার করেছেন, এখন আবার এই কথা কেন ভাই সাব?
জিসান শা ইকরাম
বিল আমনে দেলে প্যাট ভড়ে খেয়ে আম্নের জন্য দোয়া করুম সবাই, নাসির
সারওয়ার 🙂
নিতাই বাবু
সাবিনা ইয়াসমিন দিদি, কোনও অর্ডার হয়নি করে-ও-নি। এটা মিথ্যে স্বপ্নের ঝলকানি!
নাসির সারওয়ার
স্বপ্নের খাওয়া বলে কথা। শুধু খেয়াল রাখবেন পাশের মানুষটার যেনে হাত পা ঠিক থাকে। স্
বপ্নের বিল, কোন ব্যাপার না! খেতে থাকেন।
জিসান শা ইকরাম
স্বপ্নে খাওয়া ও চিল্লানো দুইটাই সহজ, বাস্তবে কঠিন খুব। @ছাইরাছ হেলাল।
নিতাই বাবু
শেষমেশ ধরাই খায়। আর কিছুই না পায়! অবশেষে করে হায় হা!
আলমগীর সরকার লিটন
খুবি ভাল লেখেছেন গল্পনা সত্যই চমৎকার জিসান দা
জিসান শা ইকরাম
অনেক অনেক ধন্যবাদ লিটন ভাই।
শুভ কামনা।
তৌহিদ
প্রথমেই হাসি দিয়ে নেই হা হা হা হা….
দুই ময়নাককে ভিডিও কলে আমি যে দর্শকদের ব্যাপক বিনোদন দিতে পেরেছি সেটা নিশ্চিত। প্রিয় চটপটি আর পান খেতে গিয়ে আমাদের দেরী করিয়ে দিয়ে উল্টা লজ্জা শরমের বালাই থোরাই করেছে তারা। আমি হলেও করতামনা 😃
আমাদের ব্লগারগণ ভাগ্যিস অল্পই খেয়েছেন, তারপরেও বিল আমরা সবাই মিলেই দিতাম। টেনশন নট।
যাদুঘরে খাট পালঙ আর মসলিন শাড়ি দেখে আপুদের মাথা খারাপ হবেই কিন্তু আমি ভাবছি কুবিরাজ ভাই আর কবি দাদা যে তলোয়ার দিয়ে যুদ্ধ করলো যাদুঘর সেসব জিনিশ আস্ত ফিরে পেয়েছিলো তো!
জিসান ভাই আপনি বড্ড বেরসিক মানুষ! স্বপ্ন ভাংলেন খাটের তলায়! তার মানে আমিও এখন খাটের তলায়! এগ্লা কথা!
দারুণ একটি স্বাপ্নিন লেখা পড়লাম ভাই, জাস্ট অসাধারণ!
বন্যা লিপি
হা হা হা হা হা…….. ভয়াবহ মাত্রায় এগোচ্ছে স্বপ্নের অনুষঙ্গ। আমি বড় চিন্তায় আছি ভাই। একটু রহম সহম কইরেন আপনার দেখা স্বপ্নে।
তৌহিদ
কিভাবে যে কি লিখবো কিছুই বুঝছি না। মাথায় লেখার কোন প্লট আসছেনা।
বন্যা লিপি
বেশি ভাইব্বেন না ভাই, তাইলে গড়বড় লাগবে। সোজাসাপ্টা স্বপ্নের ওপর ভরসায় অক্ষর চালানো শুরু করলেই দেখবেন হড়বড়িয়ে শব্দেরা মিছিল শুরু করবে। খালি স্বপ্ন ভাঙ্গবেন কোনজাগায় ওইডা একটু খেয়াল রাইক্খেন। এই একটু ইজি করে দিলেই চলবে😊।
সাবিনা ইয়াসমিন
@তৌহিদ ভাই খাটের নীচে এমন নিরিবিলিতে বসেও কিছু আবিষ্কার করতে পারছেন না!! যদি যাদু ঘরের নৌকায় বসিয়ে দিতো তাহলে কি হতো 🤪🤪
জিসান শা ইকরাম
টেলিকাস্টের সময় আপনাকে ভালোই মানিয়েছিল ভাই। দুজনের এক্টিভিটি বুদ্ধি করে লাইভ দেখিয়েছেন, এজন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমরা তো ভয়ে দুরে দাড়িয়ে দেখেছি, তাই জাদুঘরের জিনিসপত্র আস্ত ছিল কিনা দেখিনি।
খাটের তলায় তো কি হয়েছে? এক লাফ দিয়ে উঠে যাবেন 🙂 আপনার পর্বের জন্য অপেক্ষায় আছি ভাই।
শুভ কামনা।
সুপায়ন বড়ুয়া
ভারী পেলাম মজা
হাসির খোরাক দিয়ে আপনি
পেলেন অনেক সাজা।
আপুদেরকে নিয়ে সবাই
ভারী ব্যস্ত ছিলাম
তার যদি বুঝতো ভাল
আমরা উৎকন্ঠায় ছিলাম।
খুব ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
জিসান শা ইকরাম
কাব্যিক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দাদা।
শুভ কামনা।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
বাহ, স্বপ্নেও চালাকি। চমৎকার গল্প। ধন্যবাদ ভাই।
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ আপনাকেও।
স্বপ্নে সব কিছুই চলে আসে।
শুভ কামনা।
খাদিজাতুল কুবরা
জিসান ভাইয়া গল্পে আঁর নামআন দেখি আঁই যে কি খুশি অইছি বুঝাইতাম হাইত্তান্ন।
যাক, গল্প পড়ি ব্যাপক মজা হাইছি।
খানার বিলের ট্যানশন ইয়ান এক্কেরে হাঁচাকথা।
আপুরগো চটপটি পান খাওয়ার দৃশ্য দারুণ।
আহারে যদি আঁরে এক্কানা ডাইকতো।
হেলাল ভাইয়া সুপায়নদার যুদ্ধ দেখি যে ডরান ডরাইছি।
আঁই নোয়াখাইল্যা মাঁইয়া ভেজালে নাই।
আর জমিদার বাড়ির মসলিন শাড়ীর ভাগ বড়োআপুরগোরে কাড়াকাড়িতে হাইলামনা।
অসুবিধা নাই আপুরা খুশি অইলে আঁই ও খুশি।
সবশেষে জিসান ভাইয়ার হড়ি যনটা দুঃখজনক।
ভাবি কোনাই আছিলো,
দেখা অইলে জিজ্ঞামু আঁর ভাইয়ার খেয়াল রাখেনা কিল্লাই।
সবশেষে, পরবর্তী গল্পের অপেক্ষায় …
জিসান শা ইকরাম
আপনার ভাষায় মন্তব্য পড়ে ব্যাপক মজা পেলাম,
এমন আঞ্চলিক ভাষায় দু একটি পোষ্ট দিলে পারেন। মাঝে মাঝে কিছুটা ফান দরকার আছে ব্লগে।
আপনার ভাবি তো ছিলো না সাথে, তাই নজর রাখতে পারেন নি।
এত মজার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার স্বপ্ন পর্বের অপেক্ষায় থাকবো।
শুভ কামনা।
খাদিজাতুল কুবরা
মাগো মা আঁই গল্প লিখতে জানি না।
সুরাইয়া নার্গিস
প্রথমে একটু হেসে নেই দারুন মজার একটা উপভোগ করলাম।
গল্পে আমার নাম আছে দেখে খুশিতে আটকানা হলাম, লেখাটা সকালে পড়েছিলাম মতামতটা এখন দিচ্ছি,,,
বন্যা বড় আপু,সাবিনা মিষ্টি আপু আপনারা চটপটি খেতে গেলেন আমাকে নিলেন না 😥
আমিও চটপটি খেতে ভালোবাসি আবার দেখা হলে আমিও খাব 😋
জিসান ভাই আমি তো সকল ব্লগারকে দেখেই আনন্দে আপ্লুত, কম খেয়েছিলাম।
হেলাল ভাইজানকে দেখলে একটু রাগী মনে হয় 🙏,যোদ্ধটা মানায় 😷। কিন্তু সুপায়ন দাদা শান্ত মানুষ তিনিও যুদ্ধে যোগ দিলেন কিভাবে!
জিসান ভাইজান আমি শাড়ী পড়েছিলাম মনে আছে পালঙ্কে ওঠি নাই। শাড়ীর কুচি নষ্ট হয়ে যাবে তো! তাই সারা যাদুঘর ঘুরে বেড়িয়েছিলাম।
জিসান ভাইজান শেষের কাজটা ভালো করলেন না আমরা সবাই শাড়ী পড়ে ছবি তুলার জন্য রেডি।শামীম ভাইজান ক্যামেরা হাতে রেডি, আপুদের সাজ কে দেখে তাদের রুপ যেন যাদুঘরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিচ্ছিল।
ভাইজানরা সবাই পাঞ্জাবী পড়ে যেন রাজা, বাদশা বেশ ধরেছিলো আহ্ কি চমৎকার পরিবেশ।
সেই মুহূত্বে জিসান ভাই বললেন আমার ঘুম পাচ্ছে বলেই ঢলে পড়লেন তৌহিদ ভাইয়ার কাঁধে।
দুজনেই মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন দূর্ভাগ্যবসত আমাদের স্বপ্নের,সখের,বহুকাঙ্খিত ছবিটা আর তুলা হয়নি।
আমাদের সবার স্বপ্নটা স্বপ্নেই থেকে গেল, তবে বাস্তব হবার অপেক্ষায় থাকবো সবাই..
ধন্যবাদ জিসান ভাইজান এত সুন্দর একটা লেখা আমাদের উপহার দিবার জন্য। যারা এই গল্পে বিভিন্ন চরিত্রে অংশগ্রহন করেছেন। খাওয়া দাওয়া শেষে যাদুঘর ঘরে দেখেন,আমাদের আনন্দ দিয়েছেন সবাইকে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন,
শুভ কামনা সবার জন্য।
জয়তু সোনেলা ব্লগ।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনিও সুন্দর ওকটি মনভোলানো মন্তব্য দিলেন আপা।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ ভাইয়া,
সুরাইয়া নার্গিস
জিসান ভাইজান আমার মন্তব্য দেখলে,লেখাটা স্বার্থক হবে ☺
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যা সুরাইয়া নার্গিস আপু।
ভালি থাকুন।
জিসান শা ইকরাম
আপনার মন্তব্যই তো একটি পোষ্ট হয়ে গেলো।
এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
আপনি চটপটি লাইক করেন তা তারা দুজনে মনে হয় জানে না, জানলে অবশ্যই নিতেন সাথে।
আমাদের মধ্যে উচ্চতায় ছাইরাছ হেলাল এবং সুপায়ন দাদাই জাদুঘরের অস্ত্র চালনায় মানানসই হবে তাই যুদ্ধে তারাই গেলো।
আপনি পালঙ্কে ওঠেন নি, চোখের সমস্যার কারণে তা দেখতে পাইনি, দেখতে পেলে অবশ্যই লিখতাম।
সবার ইচ্ছে ছিলো ফটোসেশন করা। কিন্তু পা স্লিপ করে আমি পরে যাওয়ায় ইচ্ছে অপূর্ণ রয়ে গেলো সবার। আসলে এখানে এসে শেষ করার কারণ হচ্ছে পরবর্তী পর্বের আরম্ভ এখান থেকে যেন করতে পারেন লেখক তাঁর একটি ক্লু রাখা। লেখক ইচ্ছে করলে সবাইকে নিয়ে ফটোসেশনে যেতে পারেন বা অন্য কিছু দিয়েও আরম্ব করতে পারেন।
আপনার স্বপ্ন পর্বের অপেক্ষায় থাকবো সবাই,
শুভ কামনা।
সুরাইয়া নার্গিস
কৃতজ্ঞতা জানাবেন ভাইজান সুন্দর মন্তব্য।।আমি কমেন্টসে সবার সম্পর্কে লিখতে চেয়েছি তাই, একটু বড় হয়ে গেল 🙂
পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষা করছি
জিসান শা ইকরাম
@সুরাইয়া নার্গিস, এমন মন্তব্যে আপনার স্বপ্ন গল্প লিখতে খুবই সুবিধা হবে।
মনির হোসেন মমি
শেষ পরিনতি পা স্লিপ!!!! ভাইজান পা ঠিকাছেতো?
দায়ীত্ব কাধে পড়লে এমনি টেনসন হয়-কী দিয়ে কী হবে-শেষ ভালটা ভাল হয় কী না ইত্যাদি। স্বপ্নে সোনেলার প্রিয় ব্লগারদের যাদুঘর হতে ঘুরিয়ে আনলেন বাস্তবের অপেক্ষায়। চমৎকার বর্ননা। ভাল থাকবেন।সুস্থ থাকবেন।
প্রতিটি পর্বেই যেন একটি করে ম্যাসেজ থাকে তাহলে স্বপ্ন নামক লিখুনি স্বপ্নগুলো সার্থক হবে।
জিসান শা ইকরাম
বয়স হয়েছে মনির ভাই, এখন আর আগের মত শক্ত হয়ে চলতে পারি না।
পা অবশ্য ঠিক আছে।
স্বপ্ন পর্ব সফল হোক এটি আমাদের সবার আন্তরিক চাওয়া। ব্লগারদের এমন ভার্চুয়াল মিলন মেলা সোনেলায় আর কখনো হয়নি। আশাকরি সবাই এতে অংশ নেবে।
বাস্তবে এমন একটি মিলন মেলা করার ইচ্ছে আচ্ছে।
আপনিও ভালো থাকুন।
শুভ কামনা।
মনির হোসেন মমি
আশায় মানুষ বাচে সেই আশায় অপেক্ষারত।ভাল থাকবেন।
মোঃ মজিবর রহমান
শুনলাম তৌহিদ ভাই সাবিনা ও বন্যার পাত্র থেকে ১ চামচ করে নিয়েছেন আর বিলের বেলায় লাইভ কাস্ট।
সুন্দর ও নান্দনিক লেখা উপহার দিলেন ভাইজান। একেই বলে গুরুর মার শেষ রাতে।
মেরেই দিলেন। পর্ব ২১ তারিখে হয়ার কথা একথা ছিল।
খুব মনমুগ্ধভাবে পড়লাম ভাইজান।
জিসান শা ইকরাম
দুজনের পাত্র থেকে এক চামচ করে নিয়েছেন! হতেও পারে তা 🙂
আপনাকে নিয়মিত ব্লগে দেখে খুবই ভালো লাগছে ভাই,
সোনেলার পরীক্ষিত স্বজন আপনি।
ভালো থাকবেন সব সময়,
শুভ কামনা।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাইজান আবার চাকরি থেকে অনিয়মিত তাই দুরত্ব হয়ে গেছ্র।
আল্লাহ সহায় হলে আবার কোথায় স্থায়ী হলে আবার অবশ্যই নিয়মিতর চেয়েও ভাল থাকব।
ঈদের পর অফিস ডাকবে। দোয়া করবেন যেন আল্লাহ আমায় ঈদের পর চাকরিতে জয়ন্ট করার সৌভাগুও আল্লাহ দেয়।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
পড়তে গিয়ে বুক ধুকপুক করছিল।ফাইনালি আমার নামটাও পেলাম। থাকতে তো হবেই কুড়িগ্রামের মানুষ আমি বন্যার পানিতে হাবুডুবু। কত্ত কষ্ট করে কলা গাছের ভূড়া(ভেলা)বানায়া আপনাদের আড্ডায়। রেজওয়ানা দিপ্তির জন্য অবশ্য দেরি॥ ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
নিয়মিত ব্লগার আপনি, নাম অবশ্যই থাকবে।
কলা গাছের ভেলায় এত কষ্ট করে আড্ডায় আসার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার স্বপ্ন পর্বের জন্য অপেক্ষায় আছি।
শুভ কামনা।
নাসির সারওয়ার
খাট থেকে না পরার ব্যবস্থা পত্র আছে। সামান্য একটু খরচ পাতি হলেই পাওয়া যাবে।
নোটঃ ক্রেডিট কার্ড চলিবে না।
জিসান শা ইকরাম
ব্যবস্থাটি বলে দিলেই পারতেন, খরচে ডরেনা বীর 🙂
ক্রেডিট কার্ড নয়, নগদেই খরচ করতে রাজি আছি।
লেখার জন্য প্রস্তুতি নিন।
শুভ কামনা।
মাহবুবুল আলম
এই স্বপ্নটায় জিলেপি খাওয়ার মতো নিশ্চয় কোনো ভেজাল আছিল, না হলে খাট থেকে পড়ে যাওয়ার
কথা না। ভাগ্যিস খাট থেকে পড়েছেন। জাদুঘরের চার তলা থেকে পড়ে গেলে কীএক্টাবস্তা হইত ভাবা যায়! সাদামনের মানুষরা এভাবেই বেঁচে যায়। আল্লাহ মহান!
জিসান শা ইকরাম
হ্যা ভাই, আল্লাহ্ মহান বলেই খাট থেকে পড়েছি। জাদুঘরের চারতলা থেকে পড়লে তো খবর হয়ে যেতো, এমনিতে ব্যাক পেইন আমার।
সাদামনের মানুষ আপনিই, তাই সবাইকে সাদামনের মানুষ ভাবতে পারেন।
ভালো থাকবেন প্রিয় ভাই।
শুভ কামনা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
প্রথম জিলাপি দিয়ে শুরু হয়েছিল!
হাহাহা😁
কী দারুণ উপস্থাপনা, দাদা।
আপনারা দারুণ মুহূর্ত উপভোগ করেছেন।
ভালো লাগলো।
শুভকামনা।
সোনেলা এভাবে এগিয়ে যাক।
জিসান শা ইকরাম
স্বপ্ন চলুক দুর্বার বেগে,
আমরা সবাই তোমার স্বপ্ন পর্বের জন্য অপেক্ষা করছি।
শুভ কামনা প্রদীপ।
Ratik Hasan
দারুণ
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ ভাই, আপনিও লিখতে পারেন স্বপ্ন গল্প।
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
হা হা হা।
ও মোর ময়নারে——
লতাজীর গানটা মনে মনে গাইলাম।
জিসান দাদা তোমার জন্য লাল গোলাপ শুভেচ্ছা🌹
জিসান শা ইকরাম
হা হা হা , আমিও গাইলাম গানটা মনে মনে।
ভালো থেকো তুমিও,
স্বপ্ন গল্প লেখা শুরু করো।
শুভ কামনা।
উর্বশী
সালাম জিসান ভাইয়া,
প্রথমেই আন্তরিক ধন্যবাদ সহ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার নাম এই স্বপ্নের মিলন মেলায় স্থান পেয়েছে। আমি যখন অপলক চোখে যতক্ষণ পড়া যায়, পড়েই যাচ্ছি সবার নামের মাঝে পরিচিত দের পাশাপাশি অপরিচিতদের নাম আছে সেটা শুধুই আমার কাছে। তার কারণ আমি নতুন এবং সকলের সাথে পড়া ও লেখার বিনিময় হয়ে ওঠেনি। আশা করি হয়ে যাবে।যখন দেখলাম আমার নাম, ভাইয়া আমি সবার নাম আরও একবার পড়লাম আমার নাম পাশাপাশি ঠিক ই আছি। দারুন মজা পেয়েছি, সুন্দর ও মিষ্টি গোছানো স্বপ্নের উপখ্যান। গল্পের শুরু ও শেষ টানা উত্তেজনার মাঝে কাটানো। এ যেন কোনো বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার মত। সবাই খুব ভাল লিখতেছেন। আগামী স্বপ্নের অপেক্ষায়।সুন্দর সাবলীলভাবে স্বপ্নের সাথে অংশীদার করার জন্য আবারও ধন্যবাদ ।
জিসান শা ইকরাম
নতুন আর রইলেন কোথায়? সবার সাথে একাত্ম হয়ে মিশে গিয়েছেন তো।
আপনার স্বপ্ন পর্বের অপেক্ষায় আছি আপু।
শুভ কামনা।
কামাল উদ্দিন
বলেছেন: আমি যে সবাইকে ফোন করে একত্রিত করলাম ওখানে কিন্তু আমারও ভালো একটা খরচা হয়ে গেছে ভাইজান, ওটা দিবে কে? আর আপুদের কাছে ব্লগারদের চেয়ে ফুসকার মূল্যটাই বেশী এই বিষয়ে হাটে হাড়ি ভাঙ্গাটা উচিৎ হয়নি বলেই আমি মনে করছি। আচ্ছা হেলাল ভাই যে যুদ্ধ করছিল ওটা আপনি বুঝলেন কেমন করে? ওনার কবিতা পড়ে তো সব সময়ই আমার কাছে দূর্বোধ্য মনে হয় 😛
সব শেষে খাট থেকে যে পড়লেন আপনার খাটের কোন ক্ষতি হয়নি তো?
…………….শুভ কামনা সব সময়।
সুরাইয়া পারভীন
খাটের কেনো ক্ষতি হবে!
আমি শুধু ভাবছি ভাইয়া হাড় গড় আস্ত আছে তো🙈🙈
জিসান শা ইকরাম
ছোট আপু, হাড় আস্ত আছে, চিন্তাইয়েন্না 🙂
জিসান শা ইকরাম
মোবাইলের খরচ পাওয়া যাবে, চিন্তাইয়েন্না 🙂
ফুচকা খাওয়াটা তো লাইভ দেখিয়েছেন তৌহিদ ভাই, আমি কি করবো।
ছাইরাছ হেলাল কবি হলেও মহারাজ উপাধি পেয়েছেন, যুদ্ধ তো রাজা মহারাজরাই করেন।
আপনার স্বপ্ন পর্ব পড়ার অপেক্ষায় ভাই।
শুভ কামনা।
সুরাইয়া পারভীন
ও বাবা এটা স্বপ্ন গল্প!! আমার তো মনে হলো সবটা চোখের সামনে ঘটে গেলো। স্বপ্ন গল্প বাস্তবতায় পরিপূর্ণ হয়েছে। এখানেই লেখকের সার্থকতা।
দারুণ লিখেছেন ভাইয়া
বন্যা আপুর পান কিনার দৃশ্য চোখের সামনে ভাসছে।
অসম্ভব ভালো লেগেছে স্বপ্ন গল্প
জিসান শা ইকরাম
একটা ভার্চুয়াল আড্ডা দিলাম ছোট আপু।
বন্যার পান খাওয়া ইতিহাসের অংশ হয়ে যাচ্ছে 🙂
আপনার স্বপ্ন পড়ার জন্য অপেক্ষায় থাকবো সবাই।
শুভ কামনা।
ইরিনা আহমেদ
স্বাগতম টা স্বাগত হবে।
সঞ্জয় মালাকার
চমৎকার স্বপ্ন, সফলতা আসলে তো স্বপ্নের আনন্দ।
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় ভাইজান।
ভালোবাসা নিবেন, শুভ কামনা।
জিসান শা ইকরাম
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
প্রবাসে ভালো থাকুন।
শুভ কামনা।
সঞ্জয় মালাকার
আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভ কামনা দাদা !