সবাই হৈ হৈ করতে করতে সিকদার সাদ রহমান ভাইকে ধরে ফেললো। উনি ইঞ্জা ভাইয়ের কাছ থেকে হাত ধোওয়া বাবদ ৫০০টাকা আদায় করেছেন।আমরা তাকে ছাড়বো? এবার সবাই মিলে তাঁকে হাত ধুইয়ে বখশিস আদায় করবো।কিন্তু ভাইয়াও কম না। কোনো রকম টেবিলের নিচ দিয়ে পালিয়ে দৌড়ে বাহিরে চলে গিয়ে বাঁচলো। আমরাও বললাম,ঠিক আছে আজ পালিয়ে বাঁচলেন কিন্তু আগামী সপ্তাহে সোনেলার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আপনাকে ঠিকই পাকড়াও করা হবে! সবাই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকলাম।
জাকিয়া জেসমিন যূথী আপুর ফোনেই ঘুমটা ভাঙলো।এ্যাই তুই কোথায়?ঘুম জড়ানো কন্ঠে জবাব দিলাম কেন আপু ? আমিতো বাসায়।তুই এখনো বাসায়? এক্ষুনি তৈরী হয়ে নে ।আমি তোকে নিতে আসছি। আমি বললাম কোথায় যাব? আপু আবারো ধমকের সুরে বললো তোর কি মনে নেই আজ সোনেলার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান?ও হো ভুলেই গিয়েছিলাম আপু ।আচ্ছা আমি এক্ষুনি তৈরী হয়ে নিচ্ছি। কিছুক্ষণের মধ্যে যূথী আপু সি.এন.জি নিয়ে বাসায় চলে এল। বললো চল। সুপর্ণা ফাল্গুনি ফোন করেছিলো,এক সাথেই যাব। আমি বললাম ঠিক আছে । ভালোই হবে তিনজন একসাথে গল্প করতে করতে যাওয়া যাবে। আর অনুষ্ঠানে কে কি পরিবেশন করবো সেটা নিয়েও আলোচনা করা যাবে।
সিএনজি ওয়ালা কে শিল্পকলা একাডেমির দিকে যেতে বলা হলো। যূথী আপু জানালো সোনেলার এডমিনগণ নাকি ব্লগারদের জন্য এক বিশাল সারপ্রাইজ রেখেছেন । আমিতো শুনেই পুলকিত হলাম।ওহ! না জানি কি সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে! আজ আমরা তিনজনে ফন্দিও আঁটলাম সাদ ভাইকে ছাড়া যাবে না কোনো ভাবে।
ঢাকা শহরের যানজট কাটিয়ে আমাদের শিল্পকলায় পৌছুতে প্রায় ঘন্টাখানেক লেগে গেল। আমার,সুপর্নাদি আর যূথী আপুর তো তর সইছে না। কখন অনুষ্ঠানে যেতে পারবো এই ভাবনায় অস্থির হয়ে থাকলাম।অবশেষে পৌছেইতো অবাক হয়ে গেলাম। চারিদিকে সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। চমৎকার করে বেলুন,ফেস্টুন,ব্যানার ইত্যাদি দিয়ে সাজানো হয়েছে শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গন। বিশাল অক্ষরে ‘সোনেলা’ সেজেছে সোনালী রঙে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের জিসান ভাই,ইঞ্জা ভাই আর তৌহিদ ভাইকে হন্তদন্ত হয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা গেল। পাশেই দেখি আরজু মুক্তা আপু,সাবিনা ইয়াসমিন আপু আর নীরা সাদিয়া আপু মিলে কি যেন নিয়ে আলাপ করছে।আমাদের দেখে তাঁরা বললেন,এত দেরি করে আসলে কেন? জানোনা প্রধান অতিথিরা এক্ষুনি চলে আসবেন?কিছুক্ষণের মধ্যেই উদ্বোধনী ঘোষনা দেয়া হবে আমি বললাম,কি করবো আপু জ্যাম.. কথাটা শেষ হবার আগেই যূথী লআপু মুখের কথা কেড়ে নিল । আহা শুধু জ্যাম বুঝি? আপনি যে অনুষ্ঠানের কথা ভুলে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিলেন সেটা ভুলে গেলেন নাকি?এদিকে সুপায়ন দাদা আর নিতাই দাদা আমাদের দূর থেকে দেখেই ডাকলেন।কি ব্যাপার এখানে সময় নষ্ট করলে হবে ? তাড়াতাড়ি অডিটোরিয়মের ভেতরে যান। ফুল টুল ঠিক ঠাক আছে কিনা দেখুন ।অতিথিদের বরণ করতে হবে না? আমি তো দাদাদের জিজ্ঞেস করেই ফেললাম, দাদা আজকের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে কে থাকছেন? আমার দিকে তাকিয়ে সুপায়ন দা বললেন,সে তো সারপ্রাইজ!
এডমিন গণ কাউকে জানায়নি। সোনেলার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ব্লগারদের জন্য এটা একটা বিশেষ একটা চমক ! সুতরাং অপেক্ষা করুন। কি আর করা আমরাও চমক দেখার অপেক্ষায় সামনে পা বাড়ালাম।
যেতে যেতেই নাকে এলো লোভনীয় গন্ধ! আমি তো এদিক ওদিক তাকালাম।ও মা!! এ যে বিশাল আয়োজন!নানা রকম দেশীয় খাবারের আয়োজনে মুগ্ধ হতেই হলো। এঁচোর দিয়ে খাশির মাংস, রুই মাছের কালিয়া, চিংড়ি মালাইকারি, ইলিশের দোপেঁয়াজা,ঝিঙে পোস্ত,নিরামিশ, ছানার চপ,কুলফি আরো কত কি! এছাড়া লুচি,পরোটা,চা,পান,জর্দা তো আছেই।
এত সব দেশীয় খাবারের ব্যবস্থাপনা দেখে জিভে জল তো এলোই সঙ্গে মনে মনে এডমিনদের ধন্যবাদ দিতে ভুল হলো না। হঠাৎ ইঞ্জা ভাই আর তৌহিদ ভাই আমাদের তাড়া দিলেন ।আরে কোথায় আপনারা তাড়াতাড়ি আসুন আমাদের অতিথিরা চলে এসেছেন। তাঁদের বরণ করার জন্য ফুলের মালা গুলো সাথে আনুন। আমরা দ্রুত পায়ে অতিথিদের বরণের জন্য প্রস্তুত হয়ে মূল তোরণের সামনে উপস্থিত হলাম।
অধীর আগ্রহে চেয়ে আছি কারা এসে আমাদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান আকর্ষনীয় করবেন!
হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে গেলাম!মূল ফটক দিয়ে কে ঢুকছেন?সাদা আলখেল্লা,সফেদ দাড়ি,চুল। হাতদুটো পেছনে দিয়ে হাসিমুখে ভেতরে আসছেন। আমি স্তব্ধ! স্তব্ধ সমস্ত ব্লগার। মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। এ আমি কাহাকে দেখিতেছি? ইহাও সম্ভব? #স্বপ্ন দেখছি না তো? অসম্ভব কে সম্ভব করা অনন্ত জলিলের নয় আমাদের এডমিনের পক্ষেই সম্ভব।
কারো মুখে কোনো কথা নেই। সবাই কয়েক মিনিটের জন্য হা হয়ে গেছে । হঠাৎ জিশান ভাইয়ের কথায় সবাই সচেতন হলো। আরে কি হলো সবাই আসুন,কবিগুরুকে বরণ করে নিন! সবাই দৌড়ে আমাদের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিলাম।কবিগুরু অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে আমাদের দেয়া ফুলের মালা গ্রহণ করলেন।
আমাদের জন্য আরো চমক অপেক্ষা করছিলো। কিছুক্ষণের মধ্যে ঝাঁকরা চুলের দুখু মিয়া,আমাদের বিদ্রোহী কবি তাঁর চিরাচরিত বিদ্রোহী ভাব প্রকাশ করতে করতে সবার মাঝে উপস্থিত হলেন!ঢাকা শহরের যানজট নিয়ে তিনি মহা বিরক্ত। সময় মতো আসতে তাই তাঁর দেরি হয়েছে।শ্রদ্ধেয় কবিদের কে আমাদের মাঝে পেয়ে আমরা হয়েছি বাকরুদ্ধ!কবির জন্যও ফুলের মালা,তোড়া নিয়ে আমরা সবাই তাঁকে বরণ করে নিলাম।
অনুষ্ঠান উদ্বোধনের জন্য দুই কবি মঞ্চে আসীন হলেন। চারিদিকে বিভিন্ন টিভি ক্যামেরার আলো জ্বলে উঠলো। সব চ্যানেলে সোনেলার অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।দেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলো এসেছে খবর সংগ্রহের জন্য।
আমাদের এডমিনগণ কি এক কান্ড করলেন! দুই কবিকে একসাথে একই মঞ্চে নিয়ে আসলেন! সকল ব্লগারদের জন্য এ এক পরম পাওয়া।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ এবং বিশ্বকবি কাজী নজরুল ইসলাম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী ঘোষনা করলেন । চারিদিকে করতালি আর হর্ষ ধ্বনিতে মুখরিত হলো মিলনায়তন। কবি গুরু সোনেলার জন্য তাঁর লেখা একটি কবিতা আমাদের আবৃতি করে শোনালেন। আর বিদ্রোহী কবি উৎসর্গ করলেন তাঁর লেখা একটি গান।আমরা সত্যিই ধন্য হলাম যেন।
নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়েই শেষ হলো সোনেলার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান।এবার ভোজন পর্ব! আমাদের কারো আর তর সইছেনা। নানা রকম খাবারের সুগন্ধ নাকে এসে বারবার ধাক্কা দিচ্ছে! এতক্ষণে আমি বুঝলাম বাঙালি আয়োজনের হেতু! আমাদের বিশ্বকবি আর বিদ্রোহী কবির প্রিয় খাবারের ব্যবস্থাই করা হয়েছে এখানে। বাব্বাহ! এডমিন ভাইয়ারা এত সচেতন! তাঁরা আমাদের প্রিয় অতিথিদের জন্য তাঁদের প্রিয় খাবার গুলো রেখেছেন খাবারের তালিকায় সেটা দেখেই মন ভরে গেল।
অতি যত্ন করে ব্লগাররা এবং এডমিনরা অতিথিদের আপ্যায়ন করলেন। তাঁরা খাওয়া শেষ করে তুষ্ট হলেন এবং রান্নার প্রশংসা করতে লাগলেন। এত কিছুর মধ্যে ব্লগাররা ভুলেই গেছেন সিকদার সাদ ভাইকে জব্দ করার বিষয়টি। খাওয়া পর্ব শেষ করেই আমাদের এডমিনগণ কবিগুরু এবং বিদ্রোহী কবির সাথে একে একে সকল ব্লগারদের পরিচয় করিয়ে দিলেন। এবং আমাদের সুযোগ করে দিলেন, স্বরচিত গল্প,কবিতা পাঠ করে তাঁদের শোনাতে। আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম আমাদের এই দুই মনিষী কি আন্তরিকতার সাথে সবার লেখা শুনছেন এবং কিভাবে আরো লেখা সমৃদ্ধ করা যায় সে বিষয়ে আলাপ করছেন।
আমার পর্ব আসতেই আমি বেশ নার্ভাস হয়ে গেলাম! স্বয়ং কবিগুরু আমার সাথে কথা বলতে চান আমার লেখাগুলো নিয়ে, একি সহজ ব্যাপার নাকি? আমিতো ইতস্তত বোধ করতে করতে স্বরচিত কবিতা আবৃতি করতে লাগলাম।হঠাৎ আমার ফোনের রিংটোন বেজে উঠলো।কি মুশকিল!এখন ফোন আসার সময় হলো? কবিগুরু কি মনে করবেন? উফ! এখনও ফোন বেজেই চলেছে.,বেজেই চলেছে…বেজেই চলেছে..
ধ্যাত্তেরি! গেল তো ঘুমটা ভেঙে! ঘুম জড়ানো চোখে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি জাকিয়া জেসমিন যুথি আপুর ফোন। রিসিভ করতেই বলে উঠলো,কিরে কোথায় তুই?তোর কি মনে নেই আজ সোনেলার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান!ওহো যুথি আপু দিলে তো ঘুমটা ভাঙিয়ে। আমি তো সোনালের অনুষ্ঠানেই ছিলাম..কবিগুরু কি ভাবলেন বলোতো?কি বিড়বিড় করছিস বলতো? বললেন যুথি আপু। তাড়াতাড়ি তৈরী হয়ে নে আমি তোকে নিতে আসছি।আমাদের একসাথে যাওয়ার কথা ভুলে গেছিস? আমি বললাম না, না। আমি এক্ষুনি তৈরী হয়ে নিচ্ছি। বলেই ফোনটা রেখে দিলাম । পাশেই রাখা গল্পগুচ্ছ পড়তে পড়তে কখন যে ঘুমের সাগরে ডুব দিয়েছি তা আর মনে নেই!
৪৮টি মন্তব্য
রেজওয়ানা কবির
আপু ভালো লাগল কিন্তু আমি আমার স্বপ্নেও কবিগুরুকে রেখেছিলাম,কিন্তু আপনি লিখেছেন অগত্যা হয়ত বাদ দিতে হবে।।
সাদিয়া শারমীন
ওহো আপু! কিন্তু আপনিও রাখতে পারেন। গল্প তো আর এক হচ্ছে না। আপনি কবিগুরুকে রাখতেই পারেন।
রেজওয়ানা কবির
তা ঠিক বলেছেন।ধন্যবাদ আপু।
ফয়জুল মহী
একবুক স্বপ্ন নিয়ে লেখা জয় হোক স্বপ্নের জয় হোক সোনেলার।
সাদিয়া শারমীন
আসলেই ভাইয়া জয় হোক সোনেলার আর জয় হো সোনেলার এই আয়োজনের।
খাদিজাতুল কুবরা
খুব ভালো লাগলো গল্প পড়ে। সব লেখকের স্বপ্নের মানুষ কবিগুরু এবং প্রিয় কবি নজরুল। আপনার স্বপ্নেে প্রবেশ করে আমরা ও যেন দুজন প্রিয় মানুষে সান্নিধ্য পেলাম। স্বপ্ন পুরুষদের স্বপ্নেই দেখা সম্ভব।
দারুণ আইডিয়া।
অনেক শুভেচ্ছা।
সাদিয়া শারমীন
ধন্যবাদ আপু। আপনাকেও শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন।
শিরিন হক
স্বপ্নে কবিগুরু এবং নজরুল চমৎকার আইডিয়া।
বিনম্র শ্রদ্ধা তাদের প্রতি।
সাদিয়া শারমীন
ধন্যবাদ আপু। অবশ্যই তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা।ভালো থাকবেন।
সুপায়ন বড়ুয়া
ওয়াও !
আমাদের সাহিত্য জগতের দুই দিকপাল নিয়ে সোনেলার কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ এবং বিশ্বকবি কাজী নজরুল ইসলাম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান। কবি গুরু সোনেলার জন্য তাঁর লেখা একটি কবিতা আবৃতি আর বিদ্রোহী কবি উৎসর্গ করলেন তাঁর লেখা একটি গান।
সাথে আমাদের আবৃতিকার শারমীন আপুর কবিতাটা হয়নি শোনা। তবে হলতো জানা।
আমরা সত্যিই ধন্য হলাম তাই
আপুর জন্য সবার শুভ কামনা।
সাদিয়া শারমীন
নিশ্চয়ই দাদা সুযোগ আসলে অবশ্যই আপনাদের কোনো একটা কবিতা আবৃতিকরে শোনাবো।
আলমগীর সরকার লিটন
চমৎকার হয়েছে আপু——-
সাদিয়া শারমীন
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
অপূর্ব এবং অসাধার। দুটো শব্দই লিখলাম। আসলে আরও অনেকগুলো পজিটিভ বিশেষণ দিতে চাই। এত সুন্দর করে কাহিনী লিখেছিস তুই, মনে হলো একদম বাস্তব ঘটনাটাই ঘটার পরে সেই দিনলিপিটা তুই শেয়ার করতে এসেছিস। আমি যেন সত্যিই সেখানে ছিলাম, তোকে ফোনে ডাকাডাকি করেছি। সূপর্ণাকে সাথে করে বেড়াই সেই আবহটাও রেখেছিস। প্রত্যেকটা প্যারা এত নিখুঁ, এত যত্নে লেখা, আবার তার ভেতরে রম্যরসও জীবন্ত। গল্প তো পড়লামই। একই সাথে একটা চমৎকার নাটক উপভোগ করলাম।
এই স্বপ্ন পর্বের প্রত্যেকটা পর্বই যত সামনের দিকে সংখ্যায় বাড়ছে, প্রত্যেকেই লিখে ফাটিয়ে দিচ্ছে। তোর এ যাবতকালের লেখা সবচেয়ে সুন্দর গল্পটা এখন পড়লাম। নিয়মিত গল্প লেখা উচিত তোর।
গল্পের ভেতরে আমাকে নিয়ে লেখার জন্যেও ভীষণ আবেগ আপ্লুত হয়েছি। কতদিন তোকে দেখিনা, কতদিন বাইরে যাইনা। কিন্তু ঘর হতে বের না হয়েও আমাকে তুই বেড়াতে নিয়ে গেলি, মনটাও স্নিগ্ধতা পেলো। সত্যি ভীষণ ভালোলাগা অনুভূতিতে উড়ছি এখন।
সাদিয়া শারমীন
আপু অসাধারণ মন্তব্যে আপ্লুত। সব সময় উৎসাহ দাও ।আমার লেখালেখির সাহস ও প্রেওণাপাই তোমার কাছে। ভালো থেকো।।
রেহানা বীথি
আমাদের কবিগুরু আর জাতীয় কবি নজরুলের সাক্ষাৎ পেয়ে ধন্য হলাম। খুব ভালো লাগলো আপনার স্বপ্ন। তবে একটা কথা, কুলফি মালাই কতগুলো আছে? সব কিন্তু আমি একাই সাবড়ে দেবো।
সাদিয়া শারমীন
আপু অনেক থাকার কথা । যেভাবে আমরা খাচ্ছি তাড়াতাড়ি চলে আসুন,নইলে পাবেন বলে মনে হয় না।
রেহানা বীথি
আমার ভাগে কম পড়লে খবর আছে, উকিল তো, মামলা টামলা ঠুকে দিতে পারি।😀😀😀
সাদিয়া শারমীন
হা হা হা
ছাইরাছ হেলাল
সুন্দর করেই এগিয়ে নিয়েছেন আপনার এ পর্বের গল্প,
দুই দিকপালকে সামনে নিয়ে লেখা এগিয়ে নেয়া সহজ নয়।
আপনার স্বরচিত কবিতাটি আমাদের পাওনা থেকে গেল।
সাদিয়া শারমীন
ভাইয়া আপনাদের উৎসাহমূলক মন্তব্য গুলো আশা করিনি। ভেবেছিলাম কেউ পছন্দ করবেনা। ভয়ে ভয়ে লেখা পোস্ট করেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপু প্রথমে নজরুল কে বিশ্বকবি লিখেছেন ওটা তাড়াতাড়ি ঠিক করেন। সোনেলার ব্লগাররা স্বপ্নের স্বর্ণশিখরে পৌঁছে গেছে। সুপায়ন দাদা প্রধানমন্ত্রী রে আনলো প্রথমে আর আপনি বিশ্বকবি, বিদ্রোহী কবি দুজনরেই হাজির করলেন । দারুন বাস্তবে যারা দৈহিকভাবে মৃত তাদেরকে স্বপ্নে এনে মনের আশা টা পূরণ করে দিলেন এজন্য ই অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা পাওনা আপনার। যুথী আর আমারে ভালোই মিলালেন যেভাবে আমরা বাস্তবে সোনেলার মিলনমেলায় হাজির হয়ে ছিলাম। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইলো
সাদিয়া শারমীন
দিদি অনেক ধন্যবাদ এই মারাত্মক ভুল টা ধরিয়ে দেয়ার জন্য। যূথি আপুর মুখে আসলে আপনার গল্প অনেক শুনেছি। এই জন্য কাগজে কলমে আপনাদের এক করে দিলাম।এবং আমিও আপনাদের সংগী হলাম। ধন্যবাদ।উৎসাহমূলক পেলাম।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য। খুব সুন্দর লিখেছেন। শুভ কামনা রইলো
সিকদার সাদ রহমান
গল্পে কি আইকন প্রেজেন্টেশন এর প্রতিযোগিতা চলছে কিনা? প্রধানমন্ত্রী, রবি, নজরুল, সবাই এসে গেছেন। এবার ডোনাল্ড ট্রাম্প কার গল্পে আসবে অপেক্ষায় আছি।
গল্পে যারা এসেছেন তাদের সাথে কাওকে সেল্ফি তুলতে দেখলাম না। ব্লগার রা কি মোবাইল নিয়ে যায় নাই? এতো বড় কবিদের পেলাম অথচ একটা অটোগ্রাফ ও পাইলাম না 😭 আর সবাই আমার পেছনে লেগে লাভ নাই। আমি সরিষার তেলে মেখে এসেছি। আমাকে শুধু খাওয়ার সময় ধরা সম্ভব। 😂
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনি হলেন শিং মাছের মত পিছলা, ছাই দিয়ে ধরতে হবে
সিকদার সাদ রহমান
মোকে শিং মাছ বলবেন না। শিং মাছের কাঁটা আছে মোর নাই
রেজওয়ানা কবির
ডোনাল্ট ট্রাম্প আসবে আমারটাতে।।।।
সিকদার সাদ রহমান
নিয়া আসেন। ট্রাম্পের সাথে সেল্ফি তুলতে আসবো
সাদিয়া শারমীন
আমি অবশ্য অটোগ্রাফের ব্যবস্থা রাখতে চেয়েছিলাম ,তার আগেই ঘুমটা ভেঙে গেল!
ইঞ্জা
কবি গুরু এবং বিদ্রোহী কবিকে খুব সুন্দর ভাবে নিয়ে এলেন আমাদের মাঝে, খুব ভালো লাগলো।
আসলে এজন্মে তো আর উনাদের পাওয়া সম্ভব না, স্বপ্নেও পেলে ক্ষতি কি।
চমৎকার আয়োজন, পড়ে খুব ভালো লাগলো। 😊
সাদিয়া শারমীন
ধন্যবাদ ভাইয়া। আসলেই ভাইয়া যেহেতু উনাদের সান্নিধ্য পাওয়া সম্ভব না তাই স্বপ্নে দেখে নিলাম।
ইঞ্জা
সাথে আমরাও সাহচর্য পেলাম। 😊
মোঃ মজিবর রহমান
বাংলা সাহিত্যের দুই নক্ষত্রুকে সপ্নের মাঝে এনে সবার মনপ্রান ভরিয়ে দিলেন।
অপুর্ব উপস্থাপন।
সাদিয়া শারমীন
ধন্যবাদ ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
চমৎকার উপস্থাপনায় স্বপ্ন নিয়ে এলেন।
উপস্থাপনার গুনে মনে হয়েছে আমিও সেখানে ছিলাম বাস্তবেই। বাস্তবেই এমন এক অনুষ্ঠান হয়েছিল।
স্বপ্ন এমনই দেখতে হয়। একেবারে কবি গুরু আর বিদ্রোহী কবিকে নিয়ে এলেন স্বপ্নে 🙂
মুগ্ধ হলাম আপু আপনার গল্প পড়ে।
নিয়মিত লিখবেন গল্প।
আপনার গল্প লেখার স্টাইলটি চমৎকার।
আমাদের জন্য আরো গল্প চাই।
শুভ কামনা,
শুভ ব্লগিং।
সাদিয়া শারমীন
ভাইয়া আপ্লুত আপনার মন্তব্যে। আগামীতে সোনেলার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর একটা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করুন যেন সকল ব্লগারদের মেল বিন্ধন তৈরী হয়।
তৌহিদ
দারুণ! দারুণ! দারুণ! এক কথায় অসাধারণ একটি স্বপ্ন। আপনার লেখার তারিফ না করে পারছিনা আপু।
কবিগুরু এবং নজরুল বাংলা সাহিত্যের দুই মহারথীকে স্বপ্নে এনে আমাদের গর্বিত করলেন। এতবড় এবং বিখ্যাত দু’জন মানুষ আসবেন আর সোনেলার সবাই ব্যস্ত হবেননা তা কি হয়!
খুব চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখায়, পড়ে মনে হলো আমি সেখানে বাস্তবেই আছি। সাধুবাদ জানাই আপনাকে।
নিয়মিত লিখুন আপু। আপনার এমন উপভোগ্য লেখা পড়তে চাই। শুভকামনা সবসময়।
সাদিয়া শারমীন
ভাইয়া বরাবরই আপনাদের মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হই। দোয়া রাখবেন যেন সোনেলার যোগ্য ব্লগার হতে পারি।
সাবিনা ইয়াসমিন
সাদ টেবিলের নীচ দিয়ে পালিয়েও শান্তি পেলো না, আপনার স্বপ্নে তাকে ঠিকই হাজির করেছেন।
গল্পে নতুনত্ব এসেছে, কবিগুরু আর বিদ্রোহী কবি উভয়কে এনে সুন্দর একটা পর্ব উপহার দিয়েছেন।
এঁচোর দিয়ে খাশির মাংস, রুই মাছের কালিয়া, চিংড়ি মালাইকারি, ইলিশের দোপেঁয়াজা,ঝিঙে পোস্ত,নিরামিশ, ছানার চপ,কুলফি আরো কত কি! এছাড়া লুচি,পরোটা,চা,পান,জর্দা!! এতোসব খাবারের নাম পড়ে এখন বাস্তবেই সব চোখের সামনে ভাসছে 🙂
আর খাওয়ার ফাঁকে আপনার কবিতা আবৃত্তিটা মিস করেছি। কি হতো স্বপ্নটা আরেকটু টেনে বড় করলে?
খুব ভালো হয়েছে। সবার স্বপ্ন পড়ছি আর নার্ভাস ফিল করছি। এতো সুন্দর করে আমি স্বপ্ন লিখতে পারবো বলে মনে হচ্ছে না 🙁
ভালো থাকুন, অনেক অনেক শুভেচ্ছা চমৎকার স্বপ্নের জন্যে 🌹🌹
সিকদার সাদ রহমান
আপনার লেখার অপেক্ষায় আছি আপু। সেখানে সুন্দর সুন্দর কমেন্ট করবো।
সাদিয়া শারমীন
হা হা হা আপু আমি তো একটু ভয়েই ছিলাম,স্বপন বেশি বড় হয়ে যাচ্ছে কিনা এই ভেবে।আপনার ভালো লেগেছে জেনে আপ্লুত হলাম ভালো থাকবেন।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
পোষ্টটি প্রথম দিনই পড়েছি। মন্তব্য কি করব নিজের চিন্তায় বাঁচি না।এই বুঝি সব শেষ হয়ে যায়।আর আপনারা যেরকম সাহসী স্বপ্ন বিলাসী।আমার দাড়া হবেনা।কেটে পড়তে হবে।
ভালো লিখেছেন।
সাদিয়া শারমীন
আপু আপনার টা আরো ভালো হবে। আর ধন্যবাদ ভালো লাগলো বলে।
আরজু মুক্তা
স্বপ্ন আমি দেখা শুরু করলাম জেগে জেগে।
গল্প ভালোই জমছে
সাদিয়া শারমীন
আপনার স্বপ্নের অপেক্ষায় থাকলাম।
সুরাইয়া নার্গিস
লেখাটা অনেক আগেই পড়ছিলাম আপু কিন্তু কমেন্টস করতে একটু দেরি হয়ে গেল যাইহোক অনেক ভালো লাগলো লেখাটা। আমার প্রিয় দুজন কবিকে নিয়ে এত সুন্দর লেখা পড়ে আমি তো মুগ্ধ, সোনেলা ব্লগের মাধ্যমে তাদের দেখার সৌভাগ্য হলো। সবার লেখা পড়ে মনে মনে ভয় হচ্ছে আমি পারবো সবার মতো লেখতে,তবু চেষ্টা থাকবে স্পেশাল কিছুর জন্য।
শুভ কামনা রইল আপু।
মনির হোসেন মমি
সোনেলায় সাহিত্যর দুই মহারাজা এসে গেছেন আর কী চাই। খুব ভাল হয়েছে।