সোনেলার মিলন মেলা ২০১৭ নিয়ে বেশ কিছুদিন থেকেই আলাপ আলোচনা চলছিল। একবার তারিখ পিছিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হলো এই মিলন মেলা। সোনেলার ব্লগার, পাঠক, শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়েই এই আয়োজন ছিল। মিলন মেলা সবার প্রত্যাশা পূর্ণ করেছে কিনা, তা বিশ্লেষণ করবেন অংশগ্রহণকারীরা। আমি আমার অনুভূতিই প্রকাশ করছি এখানে। আমার কাছে এটি আমার নতুন এবং পুরাতন শুভাকাঙ্ক্ষীদের একটি প্লাটফর্ম মনে হয়েছে। যাদের সাথে একসময় দীর্ঘ বছর ব্লগিং করেছি, আবার বলতে গেলে একই সাথে একটি ব্লগ সাইট ত্যাগ করেছি, দীর্ঘ পাঁচ বছর পরে তেমন কয়েকজন মিলিত হয়েছি। আবার বর্তমানে যাদের সাথে ব্লগিং করছি, আমার প্রিয় সোনাদেরও একই সাথে পেয়েছি। এ এক পরম প্রাপ্তি আমার কাছে।
বইমেলার মিলন মেলার স্থানে সবার আগে আমরা তিন বুড়োই হাজির হয়েছি। বুড়োরা যে কত করিৎকর্মা তা এই উপস্থিত হওয়া থেকেই প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর এসেছে আমার অতি স্নেহের “গুরুজি” আইডির রবিন। অদেখা এই পাঁচ বছরে গুরুজি একলা থেকে দোকলা হয়ে গিয়েছে। প্রায় একই সময়ে এসে গেলেন সোনেলার এক সোনা নীহারিকা জান্নাত এবং একদা পরিচিত ব্লগার ছোট মির্জা। পাঁচ বছর পরে স্নেহের এ দুজনকে পেয়ে নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত তখন আমি।
হ্যালো ভাইয়া কোথায় আপনারা, খুঁজেই তো পাচ্ছি না। এইত এখানে আমরা, এখন রাস্তায় দাঁড়ানো যাতে সহজে দেখতে পাওয়া যায়। কথা হচ্ছে খসড়ার সাথে। কথা গুলো কি মোবাইলে শুনলাম না সরাসরি শুনলাম ঠিক বুঝতে পারছি না, ১৫- ২০ ফুট দূর থেকে কেউ কাউকে দেখতে পাচ্ছিলাম না!সাথেই সাথেই চলে এলো আমাদের প্রিয় ডেভলপার নাজমূল এবং নাজিয়া। দুজনের মিলিত নাম হবে নানা। একে একে এসে পড়লেন মনির হোসেন ভাই, মজিবর ভাই, তানজিল, মারজানা ফেরদৌস রুবা। তাঁদের সাথে আসলেন কয়েকজন মেহমান, নামটা মনে করতে পারছি না। সবাইকে নিয়ে বৃত্তাকার ভাবেই বসে পড়লাম ঝড়া পাতা দিয়ে তৈরী আসনে। আর এক শুভাকাংক্ষী রুমানা গনি আপু আসলেন তাঁর এক বান্ধবী এবং পিচ্চি একজনকে নিয়ে। সবার জন্য উনি চকলেট নিয়ে এলেন। চকলেটের শেপ আবার হার্ট এর। আমেরিকা প্রবাসী রুমানা আপুর এবারের বই মেলায় প্রকাশিত হয়েছে একটি কাব্যগ্রন্থ। এক কপি উপহার হিসেবেই পেলাম আমি। এসে পৌছালো সত্যবটি মনোবট নামক আইডির তাঈফ। তাঈফের সাথেও দেখা হলো আমার পাঁচ বছর পরে।
আমার উপরে যার আস্থা একদম অন্ধের মত, মামা কোনো ভুল করতে পারেনা, এই যার চিন্তা এবং চেতনায় স্থায়ী হয়ে গিয়েছে সে শিপু এলো অনেককে সাথে নিয়ে। তাঁর প্রতি আমার ঋণ কখনো শোধ হবেনা। সবার নাম মনে নেই, ধীরে ধীরে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হবে।
মাটিতে বসতে অনেকের সমস্যা হচ্ছিল। সবাই মিলে গিয়ে বসলাম সিরামিক ইটের এই গোল বেঞ্চিতে। হালকা আড্ডা এবং ফটো সেশনের মাঝেই বাতাসে দুর্গন্ধ ভেসে আসছিল। দুর্গন্ধের উৎস সন্ধান করতে গিয়ে দেখা গেলো যে এর চারদিকে ভাত ফেলে রাখা হয়েছে। ভাত পঁচে গিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বই মেলার অভ্যন্তরে কোন খাবারের দোকান নেই। এই ভাত কোথা দিয়ে আসলো এর কোন যুক্তিযুক্ত উত্তর খুঁজে পাওয়া গেল না।
আড্ডার একটি পর্যায়ে উপস্থিত হলেন আমাদের প্রিয় মুখ অরণ্য। সদা হাসিমাখা মুখে অরণ্যের উপস্থিতি মিলন মেলায় আলাদা গতি এনে দেয়। এমনভাবে সবার সাথে উনি মিশে গেলেন যে আমাদের সাথে এই প্রথম পরিচয় তা মনেই হলো না। সুযোগ পেলেই নানা এক হয়ে যাচ্ছে, অবশ্য আমরা এসব দেখি নাই। ক্যামেরা দেখেছে।
বই মেলা চত্বরে কোন খাবারের দোকান নেই, কিছু একটা খেতে হয়। অন্তত চা হলেও হয়। কার্জন হলের ছাত্র অরণ্য ভাইর নেতৃত্বে আমরা সবাই কার্জন হলের দিকেই গেলাম। প্রথম সুযোগেই ফটো সেশন। বইমেলা থেকে কয়েকজন বই কিনতে বা অন্য কারো সাথে দেখা করতে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত আমরা একজনই ছিলাম।
খাবার খেলাম তাও অরণ্য ভাইর ঐতিহাসিক ঝাল ফ্রাই আর ছোলা বুট। অর্ডার করলেন উনি এভাবেই। অবাক হয়ে দেখলাম অন্যান্য ছাত্ররা সবাইই ঝাল ফ্রাই অর্ডার করছেন। খসড়া যে পরপর দু-কাপ চা খেয়েছে এটি অবশ্য বলার আবশ্যকতা নেই। খসড়ার কথা বললেই সে আমার কথা বলে দেবে। অতএব চুপ গেলাম।
ঝালফ্রাই খেয়ে আবার ফিরে আসলাম বই মেলায়। দল বেঁধেই গেলাম রিমি রুম্মানের বইটি কেনার জন্য। বই এর স্টলে গর্বের সাথেই বলে এলাম, রিমি রুম্মান যে ব্লগে লেখেন, আমরাও সেই সোনেলায় লেখি।
রাস্তার জ্যাম এবং আমাদের খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে যাওয়া অনিকেত নন্দীনির সাথে দেখা হলো শেষ মুহুর্তে।
আর পনের মিনিট বিলম্ব হলে দেখাই হতো না। কারন বই মেলা বন্ধ হয়ে যেত।
লেখাটি অসম্পূর্ন, এই পোষ্টে আরো কিছু কথা যুক্ত হবে আগামীকাল। ততক্ষনে একটি ব্রেক। সাথেই থাকুন………।
৫১টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা একইসাথে কান্না আর রাগ দুটোই আসছে। ;( :@
কি করি বলো তো?
সবাইকে দেখে কি যে ভালো লাগছে, কি আর বলবো!
তা সবুজ অরণ্য ভাইয়া গান শোনায়নি? আবৃত্তি করেনি?
আচ্ছা পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। আমারে কান্দাতেই তোমার, কেন এতো লাগে ভালো নানা? 🙁
জিসান শা ইকরাম
বই মেলায় এত ক্রাউড যে এর মধ্যে গান, কবিতা আর হয়নি।
তুই দেশে এলে এমন আড্ডা হবে আবার।
নীলাঞ্জনা নীলা
পৃথিবীতে যে বিষয়টা সবার উপরে রাখি, সেটা হলো আড্ডা।
জানোই তো নানা। 🙂
জিসান শা ইকরাম
হ, জানি তো 🙂
মিষ্টি জিন
কয়েক জন বাদে কাউকেই চিনি না , তারপর ও সবাইকে একসাথে দেখে ভাললাগছে।
ছোলাবুটের সাথে ঝালফ্রাই এই প্রথম শুনলাম ,দেখলাম ।
আচ্ছা ব্রেকে ফানটা খেতে গেলাম।
তাড়াতাড়ি ফিরে আসুন।
জিসান শা ইকরাম
শিপু ভাই কে তো চিনছেন এখন। নিতাই বাবুও লিখছেন।
বাকীদের চেনার কথা নয় আপনার, তবে আমার অনেক চেনা এবং আপন।
ব্রেক নিয়ে লাভ হলো না কোনো, শারীরিক দুর্বলতা কাবু করে দিচ্ছে,
পোষ্ট আর এডিট করতে পারলেম না, দেখা যাক।
শুভ কামনা।
শুন্য শুন্যালয়
আড্ডা, ফটোসেশন, ঝালফ্রাই, চা, চকলেট, বই কেনাকেনি আর কী বাঁকি রেখে গেলেন যে অপেক্ষা করবো? ধোঁয়ার জন্য বুঝি আরো বাতাস চাই নাকি দেয়াশলাই আনতে গেলেন?
না-না কে দেখে বেশ লাগছে। সেইদিন একলা দেখে আসলাম। আসলেই কোনকিছু স্থায়ী না 🙂
অরণ্যের ঘর কাঁপানো হাসি শুনলেই তো গোমড়া মুখও হেসে ওঠে 🙂
হার্ট শেপের চকলেটের একটা ছবি দিলেও পারতেন।
সোনেলার সোনা সোনা আড্ডার ছবি, গল্পগুজব দেখে ভালই লাগছে।
ব্রেক কতক্ষনের? আপনি তো দেখি বিটিভি হয়ে গেছেন 🙁
জিসান শা ইকরাম
হ্যাঁ, না দোকলা হয়ে এখন নানা হয়ে গিয়েছে,
জীবন আসলেই পরিবর্তনশীল, কখন কার সাথে মানুষ মিশে যায়, ছেড়ে যায়!
ব্রেক নিয়েছিলাম পোষ্ট কিছুটা এডিট করবো বলে,
পোষ্ট নিয়ে আমি সন্তষ্ট নই, পোষ্টটি ভাল হয়নি আসলে।
আর এনার্জি নেই, তাই এডিটও করা হবে না।
অরণ্যের ঘর কাপানো হাঁসি শুনিনি, তবে মাঠ কাপানো হাঁসি শুনেছি 🙂
হাঁসি একটি সংক্রামক অভ্যাস, আমাদের সবার মাঝেই তা সংক্রামিত হয়েছিল।
আমার হার্টটি শিপুকে অর্ধেক দিয়ে দিয়েছিলাম বলে ছবি আর দেয়া হয়নি।
ভাল থাকুন প্রবাসে, শুভ কামনা -{@
মৌনতা রিতু
সোনেলার আড্ডায় চকলেট, চা তাও একেকজন দুই কাপও সাবাড় করেছে :@ ছোলাবুট ঝাল ফ্রাই!
সোনেলা আমাদের পরিবার। এই পরিবারের সদস্য আমি তাই গর্বিত বোধ করি বেশ। শুধুমাত্র আনিছ এর সাথেই দেখা হয়েছিল বইমেলায়।
খুব ভাল লেগেছিল। এমন আড্ডায় কবে যে থাকতে পারব!
জিসান শা ইকরাম
মোটামুটি একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে যে বছরের একটা দিন আমরা সোনেলার একটি বড় অনুষ্ঠান করবো সোনেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে। যেহেতু তারিখ আগে থেকেই নির্ধারিত থাকবে, সবার চেষ্টা থাকবে ঐ তারিখে উপস্থিত হতে।
আশাকরি দেখা হবে ভবিষ্যতে কোন একদিন।
শুভ কামনা।
রিফাত নওরিন
সবাইকে দেখে অনেক ভালো লাগছে….যদিও আমি সোনেলায় নতুন, তবুও আপনাদের ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছিলো এইরকম প্রানবন্ত আড্ডায় থাকতে পারলে অনেক ভালো লাগত!!
সোনেলার সবার জন্য রইলো শুভকামনা!!!
জিসান শা ইকরাম
আপনিও হয়ত একদিন এমন মিলন মেলায় থাকবেন, অন্য কেউ যা দেখে বলবেন আজ আপনি যা বললেন।
আপনার জন্যও শুভ কামনা।
শিপু ভাই
কার্জন হল পর্ব আমি মিস করছি ^:^
জিসান শা ইকরাম
কার্জন হলের মধ্যে যে এত সুন্দর একটি পুকুর আছে তা ঐদিন ওখানে না গেলে জানাই হতো না।
এজন্য অরণ্যকে ধন্যবাদ দিতেই হয়।
রিমি রুম্মান
দল বেঁধেই গেলাম রিমি রুম্মানের বইটি কেনার জন্য। বই এর স্টলে গর্বের সাথেই বলে এলাম, রিমি রুম্মান যে ব্লগে লেখেন, আমরাও সেই সোনেলায় লেখি … বিষয়টি চমৎকার যে, সবাই আমায় মনে রেখেছে। খাবারের ছবি লোভনীয় লেগেছে। সবাইকে একসাথে দেখে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছি, একদিন আমিও থাকবো সকলের সাথে, আমার প্রিয় এই পরিবারটির সাথে।
জিসান শা ইকরাম
আসুন একবার দিদি ভাই,
দেখা তো হবেই ইনশ আল্লাহ্,
ছাইরাছ হেলাল
আমার তো মুনে অয় সবই ফটুসপ!!
আড্ডা-ফাড্ডা দেওন ঠিক না, এই বয়সে।
পররেটুকুর অপেক্ষায়,
নীহারিকা জান্নাত
ঠিক বলছেন, এই বয়সে আড্ডা দেওন ঠিক না। তবে বক্তৃতা দেওন যাইবে। পরেরবার তার ব্যবস্থা করতেয়াছি।
রেডি থাইকেন।
ছাইরাছ হেলাল
ভয় দেখানো ঠিক না!
নীহারিকা জান্নাত
:D) 😀 \|/
জিসান শা ইকরাম
আড্ডাই তো হয়নি আসলে, সবই বাতাস 🙂
এই পোষ্ট এডিট করতে চেয়েছিলাম, আর করবো না।
তবে মিলনমেলার প্রাপ্তি নিয়ে একটা কিছু লিখতে পারি।
নাসির সারওয়ার
আহারে, এই তিন বুড়োকে দেখার বরই শখ ছেলো কারন তাহারা নাকি কখনোই বুইড়া হবেন না!!!
মিস করলাম মিস করলাম। হেগোর যদি এট্টা ফডু দিতেন নাকি তাহারা এই ফডুগুনের মধ্যেই আছেন কোথাও!!
নীহারিকা জান্নাত
ও এখনো তিন বুড়া রত্নরে চিনতে পারেন নাই? তবে সেইদিন একজনরে দেখলাম খালি বোতলের পর বোতল পানি খাইলেন, হাতে সদ্য কেনা বইয়ের ব্যাগও ছিলো। আমার কিন্ত তারে দেখে সন্দেহ হইছে। উনি আবার তেনাদের কেউ নন তো?
প্রহেলিকা
যাক মিলনমেলা মিলনমেলার মতোই প্রাণবন্ত ছিলো। প্রাণের সঞ্চারে উজ্জীবিত এই মিলনমেলা। ছবিরাও কথা বলে সাথে বিস্তারিত জেনে নিজের উপস্থিতিও যেন টের পাচ্ছি। অঘোষিতভাবে এই পোষ্টির অপেক্ষায় ছিলাম যদিও জানতাম এমন বিস্তারিত আপনি বাদে অন্যরা একটু উদাসীন থাকবে পোষ্ট দিতে।
সার্থক একটি মিলনমেলা আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ সোনেলাকে। ধন্যবাদ সোনেলা কর্তৃপক্ষকে।
শুভব্লগিং!
আবু খায়ের আনিছ
আমি আপনার উপস্থিতি কামনা করছিলাম, ভাইয়াকে এবং মজিবর ভাইকে বলছিলাম আপনার কথা, আপনি এলে ভালো লাগত অনেক।
প্রহেলিকা
কিছুটা সম্ভাবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠেনি। তবে হবে হয়তো কোনো একদিন অবশ্যই আনিছ ভাই। আপনাদের সবাইকে সেখানে দেখে ভাল লেগেছে। এভাবেই মিলনমেলা প্রাণবন্ত হয়েছে, আশার আলো উঁকি দিচ্ছে। মিলনমেলার মতো করে সোনেলাকেও প্রাণবন্ত করে তুলুন।
মোঃ মজিবর রহমান
প্রহেলিকা ভাই, আপনার উপস্থিতি সোনেলার আড্ডাকে করেছে অফুরন্ত প্রানবন্ত ও আনন্সদায়ক। আপনার ভাললাগা ভুলার নয়।
জিসান শা ইকরাম
ভবিষ্যতের মিলনমেলা গুলো সমুহে প্রহেলিকার বাস্তব উপস্থিতি চাই 🙂
শুভ কামনা।
নীহারিকা জান্নাত
ঝালফ্রাইয়ের ছবি দেইখা মন উদাস হইছে। যতদিন না এই জিনিস খাই, আফসোস চলতেই থাকবে। পরেরবার আরো বেশি সদস্য সমাগম হলে ভালো লাগবে।
জিসান শা ইকরাম
আফসোস করার কি দরকার? ঢাকা এসে কার্জন হলের পিছনের পুকুর পাড়ে গেলেই পাওয়া যাবে এই ঝালফ্রাই
ইচ্ছা পুর্ন করেন।
আপনি না চিনলে আমাদের কয়েকজনকে খবর দিয়েন, আমরা না হয় আপনার টাকায় কষ্ট করে খাবো 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
বিকেলের কিছুটা সময় দিতে পরিনি বলে আফছোস লাগছে।সবাই কষ্ট করে এসেছেন বলেই দেখা হয়েছিল।এমন সময় বার বার ফিরে আসুক এটাই কামনা।ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞ সোনেলা টিমকে। -{@
জিসান শা ইকরাম
আমরা কিন্তু আপনাকে সারাক্ষনই চেয়েছিলাম, কিন্তু পেলাম খন্ডিত মনির ভাইকে।
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
;( ;(
মেজাজ গরম হচ্ছে জ্বরের সাথে, কাঁদছি আমি, খুব মিস করেছি এবং করছি ভাইজান।
জিসান শা ইকরাম
আমরাও মিস করেছি আপনাকে ভাইজান,
এর পরে আর মিস করা যাবেনা।
ইঞ্জা
অস্মভব আর কোন মিস নেই।
ইঞ্জা
অসম্ভব ★
আবু খায়ের আনিছ
অরণ্য ভাই যখন আমায় ফোন করে বলল, আপনারা কোথায় আমি অরণ্য তখন আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে সত্যিই এই মানুষটার সাথে দেখা হবে। পরে দেখা হওয়া এবং কথা বলা অনেকটা সময় কাটানো উনার সাথে সত্যিই অসাধারণ ছিল মুহূর্তগুলো।
মজিবর ভাই, না্জমুল ভাইকে নিয়ে তো চা খেতে খেতে বেশ তর্কে মেতে উঠেছিলাম আমরা, শেষের দিকে নাজিয়া আপুও যোগ দিল আমাদের সেই তর্কে। অসাধারণ একটা দিন কাটিয়েছি সেই দিন।
সোনেলা কতৃপক্ষকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটা আয়োজন করার জন্য, সামনের দিনগুলোতে এমন আনন্দের উপলক্ষ্ হয়ে আসবে সোনেলা সেই কামনা করি।
জিসান শা ইকরাম
সবাইকে পেয়ে আমিও বেশ আনন্দিত ছিলাম,
ভাল লেগেছে সবার আন্তরিক অংশ গ্রহন।
মোঃ মজিবর রহমান
আনন্দ আর আনন্দ,
আমার মত অধমের অবশ্য ঐ রকম স্থানে যাবার মত যোগ্যতা নাই।
তারপরও সবার আন্তরিকতায় মুগ্ধ।
সবাইকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
আপনাকে পেয়ে আমরা অনেক আনন্দিত মজিবর ভাই,
ভবিষ্যতে আরো ভালো এবং সুব্দর মিলনমেলা হোক এই প্রত্যাশা করছি।
শুভ কামনা।
সৈয়দ আলী উল আমিন
আমি মিস করেছি
জিসান শা ইকরাম
ভবিষ্যতে আর মিস হবেনা আশাকরি।
শুভ কামনা।
নিতাই বাবু
এই আড্ডায় মনে হয় আমিও ছিলাম। কিন্তু আমার ছবিতো দেখছিনা, তাই ভাবছি।
ভালো লেগেছে সবাইকে একসাথে দেখে। সবাইর জন্য রইল আমার শুভকামনা। সাথে আপনাকেও।
জিসান শা ইকরাম
যারা বেশিক্ষন বসে ছিলেন, তাদের ছবিই আসলে এসেছে এখানে।
আপনার সাথে পরিচিত হয়ে ভাল লেগেছে দাদা।
শুভ কামনা।
অরণ্য
আজীব ব্যাপার! এই পোস্টে আমার কোন মন্তব্য নেই কেন? আমার তো মনে হয় আমি দেখেছি অনেক মন্তব্য আগেই; কিন্তু কোন রা-রুও তো দেখছি না। হুম! শুক্রবারের পরে কয়েকদিন টানা ব্যস্ত ছিলাম। আউলা যারে কয়।
সে যাগগে। আমি কিন্তু খুব মজা পাইছি এবং খুশি হইছি আপনাদের সবাইকে পেয়ে। একটু খারাপ বলতে আমি দেরিতে গিয়েছি। কিন্তু সেই শুক্রবারটা আমার সোনেলার জন্যই রিজার্ভ ছিল। আমি যেন অনেক আগে থেকেই চিনতাম অনেককে। আর ভাল লাগলে আমি মিশে যেতে পারি খুব তাড়াতাড়ি। সে গুণ না বেগুণের স্বভাব তা বলা যাবে না। আমার জানা ছিল আমি কোথায় যাচ্ছি এবং কেন যাচ্ছি। তাই খুব সহজেই আপন করে নিতে পেরেছিলাম সবাইকে। আর সবাইকেই তো ভালবাসি আগে থেকেই।
হ্যাঁ! আপনাদেরকে ভালবাসি বলেই আমি ওরকম। আর আমি ওরকমই।
শুভ কামনা করছি সবার জন্যে – সোনেলার জন্যে। 🙂
জিসান শা ইকরাম
আপনার সম্পর্কে একটি ধারনা তৈরী হয়েছিল আমার মনে,
আপনার ব্যবহার আমার সেই ধারনাকে অতিক্রম করে গিয়েছে।
খুবই ভাল লেগেছে আপনাকে আমাদের মাঝে পেয়ে।
ভাল থাকুন সারাক্ষণ।
নীরা সাদীয়া
সকলকে সামনে থেকে দেখার ইচ্ছেটা রয়েই গেল। তবে আমি আশাবাদী, কোন একদিন এ আসরে যুক্ত হতে পারব আমিও।
জিসান শা ইকরাম
অবশ্যই আগামিতে কোন এক সময় দেখা হবে তোমার সাথে সবার।
ব্লগার সজীব
মিস করলাম এবারো। যাক কোন একদিন হঠাৎ উপস্থিত হয়ে যাবো এমন এক মিলন মেলায়। সবাইকে দেখে ভাল লাগলো।
জিসান শা ইকরাম
আমরা সেই কোন একদিন এর জন্য অপেক্ষা করবো।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
সুন্দর ও স্বার্থক মিলনমেলা।
ব্লগারদের মিলনমেলা।
জাগ্রত জাতির বিবেকমেলা।
কলমসৈনিকদের মিলনমেলা।