ব্যাচেলর বাসার হালচাল বড়ই অদ্ভুত। মাসের প্রথম দিকে একদম জমিদার জমিদার অবস্থা। গরু, মুরগি, ছাগল মিলিয়ে যেন একটা চিড়িয়াখানা আর কি। পার্থক্য- ওখানে জীবন্ত, এখানে রান্না। ঘরের বুয়া পরম মমতায় রান্না করেন ঠিকই, তবে খাওয়ার সময় ব্যাচেলরদের রীতিমত ঘাম ছুটিয়ে খেতে হয়। বুয়ারা বড্ড তাড়াতাড়ি করে। ফলে প্রায়শ গরুর মাংস আধা সেদ্ধ থেকে যায় পাতিলে।কেবল রান্না করা দেখেই রক্ষা। মাংসের উৎস এসব জানতে পারলে গরু ঠিকই শিং দিয়ে গুঁতো দিয়ে ভুড়ি গেলে দিত। বুয়ার বদান্যতায় রাতের খাবারের পাতিল থেকে মুরগী ডেকে উঠলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। মাসের মাঝামাঝিতে পশুপাখি চলে যায় স্বপ্নে, আসে মাছ। এবারও বুয়ার জাদু। মাছের পাতিলে এত ঝোল দেয়, মাঝেমধ্যে মনে হয় যেন পুকুরে মাছ আপন মনে ঘুরছে। এই মনে হয় যে কোন লোক দেখে পালিয়ে গেলে বুঝি।
সমস্যা টা শুরু হয় মাসের ২০ তারিখের পর। খাবারের মেনু তে আসে ব্যাপুক পরিবর্তন।
পুরা মেন্যুগুলো আলুকেন্দ্রিক। দুপুরে আলুভাজি, আলুর চড়চড়ি কিংবা আলুর ডাল ।
রাতের আলুর ভর্তা, আলু ডিম। বাজারের সব আলু যেন এসে ভীড় জমায় ব্যাচেলরের পাতিলে। পশুপাখির স্বপ্ন তখন দেখা তো পাপই আর দেখা ও যায় না, কোরবানির ঈদের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। বাজারের রুই-কাতলাকে গোল্ডফিশ মনে হয়। ভাবতেই গা শিউরে উঠে এমন একদিন আসে যেদিন হাঁস-মুরগিরা সিন্ডিকেট পাকিয়ে ডিম উৎপাদন বন্ধ করে দেয়।
যদি কোন কৃষক আর আলু চাষ না করে। তবে বিরাট ঝামেলা হয়ে যাবে। প্রায় না খেয়ে মরার দুঃস্বপ্নে ডুবে যাবে হাজার হাজার ব্যাচেলর। বাংলা রচনায় বিভিন্ন প্রাণীর খাবার – দাবারের কথা লেখা থাকে বেশ গুছিয়েটুছিয়ে। যেমন গরু ঘাস খেয়ে জীবন ধারন করে। এই সূত্র ধরে বললে ব্যাচেলররা আলু ভর্তা, ডাল, ডিম খেয়ে জীবন ধারন করে।
আমার ফ্রেন্ড লিস্টে এই রকম ব্যাচেলর কে কে আছেন একটু আওয়াজ দেন তো ??
আমি নিজে আগে হাত উঠালাম। আমার এই খাবার গুলো খুব প্রিয়।
আমার মত অবস্থা কত জনের…………????????????????
১৯টি মন্তব্য
তওসীফ সাদাত
হা হা, আমি বাসায় থাকি। তাই এই কোথাগুলোর মর্মার্থ মাথায় ঢুকবে না। 😀
তওসীফ সাদাত
কথাগুলোর **
নিশিথের নিশাচর
বাসায় আছস ভালো আছো ??? ব্যাচেলর থাকলে বুঝতি।
জিসান শা ইকরাম
হাসি আসলেও কঠিন বাস্তব 🙂
আমি কিন্তু ব্যচেলর নই :p
নিশিথের নিশাচর
বেঁচে গেছেন ???
আদিব আদ্নান
কঠিন বাস্তবতা উঠে এসেছে ।
হয়ত মাসের শেষ বলেই এখানেও আনাগোনা কমে গেছে ।
ভুলে গেছেন মন্তব্যের উত্তর দিতে , সারা মাস মাসের শেষ নয় ।
এই ত কালকেই আসবে পশু পাখি আবার আনন্দের রথ দেখা ।
নিশিথের নিশাচর
ভাই দুঃখিত মন্তব্য দিতে দেরি হবার কারনে একটু সমস্যা ছিলো।
এই মেঘ এই রোদ্দুর
আসলেই কঠিন শুধু খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে
তবে আপনার তো স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক
যা ইচ্ছা তাই করেন
যা করা ঠিক না হিহি
নিশিথের নিশাচর
আপু হাড়ে হাড়ে টের পাই কি কঠিন ।
প্রজন্ম ৭১
আলুময় লেখা , ভালো লিখেছেন :D):
নিশিথের নিশাচর
ভাই আলু খেয়ে জীবন পার করছি তো তাই আলুময় লিখা লিখতে হয়েছে।
ছাইরাছ হেলাল
মাস পহেলার মাত্র কিছু ঘন্টা বাকী ।
দেখি অপেক্ষা করে ।
নিশিথের নিশাচর
সেই অপেক্ষায় করছি ভাই।
নীলকন্ঠ জয়
ভাই মনের কথা বলে ফেলেছেন। আওয়াজ না দিয়ে কোথায় যাই?
আমি কলেজ লাইফ থেকে এখন অব্দি ১০০% ব্যাচেলর।
ইতি হোক ব্যাচেলর জীবন অতি শিঘ্রই।
শুভ কামনা।
নিশিথের নিশাচর
ভাই জন্ম হতে ব্যাচেলর আছি এখন অব্দি।
মনে হয় না শেষ হবে আর আমি শেষ করতে ও চাই নাই
অভ্যাস হয়ে গেছে এখন ।
প্রিন্স মাহমুদ
মনের কথা যখন তখন ! দারুন
নিশিথের নিশাচর
ভাই ব্যাচলর সবার মনের কথা কিন্তু এই গুলায়।
খসড়া
আলু খেতে খেতে এই রচনা লেখা হয়েছে। বেশ ভাল হইছে রচনা। ১০ এ ৩ দেয়া যেতে পারে। আর একটু বড় হলে ফাস্টক্লাস মার্ক পেতেন। আমি কিন্তু ব্যাচেলার না।
নিশিথের নিশাচর
একদম ঠিক ধরেছেন আলু খেতে খেতে শেষ ভাই তাই মনের দুঃখে এই লিখা । যাক আপনি তাহলে বেঁচে গেছেন।