ব্যাচেলরদের পাতিলের হালচাল

নিশীথের নিশাচর ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩, রবিবার, ১১:৩৮:৩২অপরাহ্ন বিবিধ ১৯ মন্তব্য

ব্যাচেলর বাসার হালচাল বড়ই অদ্ভুত। মাসের প্রথম দিকে একদম জমিদার জমিদার অবস্থা। গরু, মুরগি, ছাগল মিলিয়ে যেন একটা চিড়িয়াখানা আর কি। পার্থক্য- ওখানে জীবন্ত, এখানে রান্না। ঘরের বুয়া পরম মমতায় রান্না করেন ঠিকই, তবে খাওয়ার সময় ব্যাচেলরদের রীতিমত ঘাম ছুটিয়ে খেতে হয়। বুয়ারা বড্ড তাড়াতাড়ি করে। ফলে প্রায়শ গরুর মাংস আধা সেদ্ধ থেকে যায় পাতিলে।কেবল রান্না করা দেখেই রক্ষা। মাংসের উৎস এসব জানতে পারলে গরু ঠিকই শিং দিয়ে গুঁতো দিয়ে ভুড়ি গেলে দিত। বুয়ার বদান্যতায় রাতের খাবারের পাতিল থেকে মুরগী ডেকে উঠলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। মাসের মাঝামাঝিতে পশুপাখি চলে যায় স্বপ্নে, আসে মাছ। এবারও বুয়ার জাদু। মাছের পাতিলে এত ঝোল দেয়, মাঝেমধ্যে মনে হয় যেন পুকুরে মাছ আপন মনে ঘুরছে। এই মনে হয় যে কোন লোক দেখে পালিয়ে গেলে বুঝি।

সমস্যা টা শুরু হয় মাসের ২০ তারিখের পর। খাবারের মেনু তে আসে ব্যাপুক পরিবর্তন।

পুরা মেন্যুগুলো আলুকেন্দ্রিক। দুপুরে আলুভাজি, আলুর চড়চড়ি কিংবা আলুর ডাল ।

রাতের আলুর ভর্তা, আলু ডিম। বাজারের সব আলু যেন এসে ভীড় জমায় ব্যাচেলরের পাতিলে। পশুপাখির স্বপ্ন তখন দেখা তো পাপই আর দেখা ও যায় না, কোরবানির ঈদের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। বাজারের রুই-কাতলাকে গোল্ডফিশ মনে হয়। ভাবতেই গা শিউরে উঠে এমন একদিন আসে যেদিন হাঁস-মুরগিরা সিন্ডিকেট পাকিয়ে ডিম উৎপাদন বন্ধ করে দেয়।

যদি কোন কৃষক আর আলু চাষ না করে। তবে বিরাট ঝামেলা হয়ে যাবে। প্রায় না খেয়ে মরার দুঃস্বপ্নে ডুবে যাবে হাজার হাজার ব্যাচেলর। বাংলা রচনায় বিভিন্ন প্রাণীর  খাবার – দাবারের কথা লেখা থাকে বেশ গুছিয়েটুছিয়ে। যেমন গরু ঘাস খেয়ে জীবন ধারন করে। এই সূত্র ধরে বললে ব্যাচেলররা আলু ভর্তা, ডাল, ডিম খেয়ে জীবন ধারন করে।

আমার ফ্রেন্ড লিস্টে এই রকম ব্যাচেলর কে কে আছেন একটু আওয়াজ দেন তো ??

আমি নিজে আগে হাত উঠালাম। আমার এই খাবার গুলো খুব প্রিয়।

আমার মত অবস্থা কত জনের…………????????????????

৬২৫জন ৬২৬জন
0 Shares

১৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ