বেনীমাধব বেনীমাধব তোমার বাড়ি যাবো—
বেনীমাধব তুমি কি আর আমার কথা ভাবো—
লোপামুদ্রার হৃদয়ছোঁয়া এই গানটা শুনলে মনে হয় বেনীমাধবরা এতো নিষ্ঠুর কেনো হয়?—বেনীমাধবদের জন্য কতোটা আবেগে ভাসছে নাম না জানা সে মেয়েটা?—উফফফফ্ কতো আকুলতা?—কোথায় জানি পড়েছিলাম “সত্যিকারের প্রেমধারী প্রকৃত প্রেমিক কখনো মানুষ থাকে না, স্রষ্টা হয়ে যায়”—আর সেজন্যই বুঝি বেনীমাধবরা স্রষ্টা হওয়ার ভয়ে ছলনায় মেতে উঠে?—জানি না এই ‘প্রেম’ জিনিসটা কি?-অতি পরিচিত এই প্রেম, অথচো চির অচেনা…………
**লুবনা বাঙলার ছাত্রী ছিলো—লোক প্রসাশনে পড়া নিরব নামে এক ছেলের প্রেমে বিভোর ছিলো—একে অপরকে ছাড়া কিছুই বুঝতো না—নীরব ছেলেটা কুমিল্লার হলেও পড়াশুনার জন্যই সিলেটে থাকতে হতো– বিশেষ দিবসগুলোতে আমরা বান্ধবীরা যেখানে একসাথে আনন্দ করতাম, সেখানে লুবনা সবসময় অনুপস্থিত ছিলো—বিশেষ দিবসগুলো তার কাটতো নীরবের সাথে ঘুরে—আগে থেকেই প্ল্যান করা থাকতো নীরব আসতো সেই সিলেট থেকে—লুবনাকে দেখলেই বুঝা যেত দিনগুলো তার কতো ভালো যাচ্ছে–যখনি দেখা হতো ও কিভাবে নিরবকে নিয়ে ঘর সাজাবে, কি কি রান্না করে খাওয়াবে, কোথায় কোথায় বেড়াতে যাবে, আগামীর দিনগুলো কিভাবে সাজাবে এসব ছাড়া অন্যকোন কথায় ছিলো না তার মুখে—স্বপ্ন,নীরব ছেলেটাকে নিয়ে তার যে কতোশত স্বপ্ন– মাঝে মাঝে বলতাম তুই জেগে জেগে এতো স্বপ্ন দেখলে একসময় পাগল হয়ে যাবিরে লুবনা—বলতো পাগল হবো না, নীরব আমার সব স্বপ্ন পূরণ করবে,ও বলেছে—এতো এতো স্বপ্ন দেখার সাহসতো আমাকে নীরবই দিচ্ছে—ভালো লাগতো নীরবকে নিয়ে লুবনার চঞ্চলতা দেখতে—যত দিন যাচ্ছে ততই দেখি লুবনা সুন্দর হয়ে উঠছে—বোকার মতো ভাবতাম প্রেমে পড়লে কি মানুষ এতো সুন্দর হয়ে উঠে?—প্রশ্নটা একবার লুবনাকেও করে বসলাম, বলল হুমম আমার সুন্দরের রহস্যে এই প্রেম আর নীরবের ভালোবাসা—পাগলী ছাড়া কিছুই বলতাম না লুবনাকে—অথচো সেই লুবনা তৃতীয় বর্ষের শুরুতেই পারিবারিকভাবে এক ব্যাংকারকে বিয়ে করে ফেলে—লুবনার এমন সিদ্ধান্তে ওর চেয়ে মনে হয় আমরাই বেশি হতাশ হয়েছি–এমনটা কেনো করতে গেলি?—এই প্রশ্নে তার উত্তর ছিলো, নিরব নিজে টিউশনি করে চলে কিভাবে লুবনার দায়িত্ব নিবে?……উল্টো আমাদের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলো—আর এই কথাটাই নাকি নিরব লুবনাকে বলেছিলো, যখন লুবনা নিরবকে পরিবার থেকে তার বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে জানিয়েছিলো—নীরব লুবনাকে পরিবারের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার কথা বলে—লুবনা ছাড়াও নীরবের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্বপ্ন আছে, যা তাকে পূরণ করতে হবে—বিয়ে করে মাথার উপর সে কোন ঝামেলা নিতে চাচ্ছেনা—সব স্বপ্ন ভেঙে যায় লুবনার—মাঝে মাঝে অনুভব করার চেষ্টা করি কতোটা কষ্ট নিয়ে লুবনা বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলো?—আমরা কেউই তার ভেতরের কষ্ট, আকুলতা বোঝার চেষ্টা করিনি………………..কী অদ্ভূত!! অনেকটা পথ একসাথে পাড়ি দিয়ে এসে, মাঝপথে মেয়েটাকে একা ছেড়ে দেয় তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ স্বপ্ন পূরণ করার জন্য, এতোদিনের ভালোবাসা সব তখন ঝামেলা হয়ে যায়……অদ্ভূত যতো প্রেম!!!!!!!!!!
**ইন্টারে পড়ুয়া পিংকি নতুন উঠেছে আমাদের রুমে—অনেক বেশি চুপচাপ ছিলো—তবে মোবাইলে একটু বেশি সময় ব্যয় করতো—আমরা সবাই তাকে খুব আদর করতাম—আমাদের সাথে অল্পস্বল্প কথা শেয়ারও করতো—তার মামাতো ভাইয়ের বন্ধু অনিক নামের একটা ছেলের সাথে গভীর প্রেম—আর তার সাথেই সারাক্ষণ ফোনে পড়ে থাকে—এতো আস্তে কথা বলতো যে রুমে কারোরই কোন সমস্যা হতো না—ভাবতাম ও কি আসলেই কথা বলে নাকি মোবাইলটা এমনিতেই কানে ধরে রাখে—বয়সে ও আমাদের ছোট ছিলো তাই প্রশ্ন করতাম না, যতোটুকু ও নিজ থেকে বলতো ততটুকুই শুনতাম—এর মাঝে নিজেই একদিন বলে যত কথা সব অনিক বলে, আমি শুধু শুনি—অনিকের কথা খুব সুন্দর,গুছানো-শুনতে ভালো লাগে, মুগ্ধ হয়ে তাই শুনে যাই—অল্প কিছুদিন পর খেয়াল করি পিংকি দিনদিন চোখে পড়ার মতো পর্দাশীল হয়ে উঠছে—হাতমোজা পা মোজা কিছুই পড়া বাকি রাখলো না—অবাক আমরা-আমরা কখনো জানালার পাশে পর্দা সরাতে গেলে ও চেঁচিয়ে উঠতো—আমাদেরকে পর্দা সম্পর্কে বিভিন্ন বয়ান শুনাতো,একটা মেয়ের জন্য উচ্চশিক্ষা যতটা না গুরুত্বপূর্ণ তারচেয়েও বেশী গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ইসলামিক আদলে নিজেকে গড়ে নেওয়া—ও এতোদিন বুঝতো না, এখন বুঝে, এতোদিন ভুলপথে ছিলো,অনিক তাকে সঠিক পথটা চিনিয়ে দিয়েছে—পিংকির এমন পরিবর্তনের পিছনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখছে অনিক—অনিকের জন্য ও সব পারবে, নিজেকেও হাজারবার পরিবর্তন করতে পারবে অনিকের জন্য—আমরা খুব অবাক হতাম যে একটা ছেলে শুধুমাত্র ফোনে কথা বলে কিভাবে মেয়েটার মাঝে এতো চেঞ্জ নিয়ে আসছে?—আমরা পিংকিকে বুঝানোর চেষ্টা করলাম, কারো কথায় এভাবে তুমি তোমাকে চেঞ্জ করোনা—কিন্তু মেয়েটা একেবারে অন্ধছিলো ছেলেটার প্রেমে, আমাদের কথা কানেও তুলতো না—এভাবেই চলছিলো পিংকির দিন—ইন্টার পরীক্ষা শেষে পিংকি হোস্টেল ছাড়ে—আমার সাথে পিংকির কোন যোগাযোগ ছিলো না, তবে আমারই অন্য এক রুমমেটের সাথে তার যোগাযোগ ছিলো—সে মাঝে মাঝে আমাদেরকে পিংকির খবরাখবর দিতো—ছোট ছিলো মেয়েটা ভালো লাগতো,মাঝে মাঝে খারাপও লাগতো তার বোকামীগুলো দেখে—তারপরও আমরা প্রায় বলতাম সব ঠিকঠাকভাবে হলেই হলো—এইতো কিছুদিন আগে জানতে পারি, ছোট্ট পিংকি মেয়েটা এখন একজন মানসিক রোগী,পরিবারের কাছে সে এখন একটা বোঝা ছাড়া আর কিছুই না—অনিক ছেলেটা পিংকিকে বিয়ে করতে আপত্তি জানিয়েছে,আর তার ফলশ্রুতিতেই পিংকি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে, ধীরে ধীরে পরিণত হয় মানসিক রোগীতে—অনিক ছেলেটা শুধু পিংকির জীবন নিয়ে খেলেনি, পুরো একটা পরিবার নিয়ে খেলেছে…………প্রেম তুমি শুধু দুটি মনের স্বাধীনচেতা ভাব নও, তুমি সর্বগ্রাসীও বটে—অদ্ভূত তুমি………………..
………চলবে…………..
৩৯টি মন্তব্য
লীলাবতী
লোপামুদ্রার কন্ঠে এই কবিতাটি শুনে আনমনা হয়ে গেলাম পরী।ধন্যবাদ আপনাকে।
খেয়ালী মেয়ে
কন্ঠটাই যে এমন, আনমনা না হয়ে থাকা যায় না…
জিসান শা ইকরাম
লুবনা হয়ত এই বিচ্ছেদটা সহজ ভাবে নিয়েছিল, অথবা হয়ত নেয়নি।
মানুষের অন্তরের গহীনে আমরা কেউ প্রবেশ করতে পারিনা
তবে কিছু মানুষ আছে,যারা মানিয়ে নেয় সব কিছু- ইচ্ছে বা অনিচ্ছায়।
পিংকির জন্য খারাপ লাগছে।
প্রেমে পড়লে বাস্তবতা বুঝতে পারেনা অনেকেই, বিশেষ করে অল্প বয়েসিরা
পিংকি তেমন।
জীবন থেকে নেয়া কাহিনী গুলো ভাল ভাবেই গুছিয়ে লিখছেন।
লোপা মুদ্রার গানটির জন্য ধন্যবাদ।
খেয়ালী মেয়ে
হুমমম কিছু মানুষ খুব সুন্দর মানিয়ে নিতে পারে সবকিছু, আর কেউ পারে না–লুবনা মানিয়ে নেওয়ার দলে আর পিংকি না নেওয়ার দলে………….মানুষের অন্তরের গহীনে আমরা কেউ প্রবেশ করতে পারিনা এটাই সত্য……………
লীলাবতী
২য় ঘটনায় মনটা খারাপ হয়ে গেলো পরী।এমন প্রতারনায় একটি সহজ সরল মেয়ে ধ্বংস হয়ে গেলো।তোমার এই লেখা পড়ে একজন মেয়েও যদি এমন সম্পর্ক স্থাপনের পুর্বে ভাবে,তাহলে লেখা স্বার্থকতা পাবে।
লুবনা স্বাভাবিক থাকল কিভাবে?
খেয়ালী মেয়ে
লুবনা বুদ্ধিমান মেয়ে তাই জীবনের কাছে হার মানেনি…মানিয়ে নিয়েছে নিজেকে পরিস্থিতির সাথে–
আর পিংকি বোকা টাইপের মেয়ে তাই পরাজয় মেনে নিয়েছে…….
ব্লগার সজীব
লুবনা সুখি নাও হতে পারে বিবাহিত জীবনে।পিংকি শেষ পর্যন্ত এমন হয়ে গেলো?মানুষের জীবনে কত অজানা অধ্যায় থাকে।আরো লিখুন পরী আপু (y)
খেয়ালী মেয়ে
মানুষের জীবন গল্প উপন্যাসকেও হার মানায়…
পাশে থাকুন এই অদ্ভূত প্রেমের সিরিজটা শেষ করতে চাই…
সীমান্ত উন্মাদ
প্রথমে গানটার কথা বলি। গানটা আমার এবং আমার ব্যান্ড মেটদের খুবই প্রিয় একটা গান। যতবার আমরা প্রেকটিসে বসি, নিজেদের গান করার আগে আমরা যে কয়টা গান আড্ডার ছলে করি তার মধ্যে, মান্নাদের যদি হিমালয় আল্পসের সহস্র জমাট বরফ, বেনি মাধব, কফি হাউজ থাকবেই।
এইবার আসি গল্পে। কেন জানি এখন আরো বিচ্ছেদ আর কষ্টের গল্প পড়তে ভালো লাগলেও আদতে ভালো লাগেনা। চারিদিকে এতো এতো কষ্ট আর ভাললাগেনা। আপনার গল্পে মন খারাপের মত একটা ভালোলাগা রেখে গেলাম, একটা অনুরোধ সহ, একটা পাপ্তির গল্প লিখুন না, না হয় সীমান্ত উন্মাদের অনুরোধের জন্যই লিখলেন।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকুন বেলা অবেলার গল্প গানে কাব্যে।
খেয়ালী মেয়ে
গানটা সত্যিই হৃদয়ছোঁয়া–
আপনার গান কবে শোনাবেন?…আপনার ব্যান্ড এর নাম জানা হলো না……
এই লেখাটা আমি শুরু করেছি সংক্ষেপে আমার দেখা জীবন নাটকে হেরে যাওয়া কিছু প্রেমিক জুটিকে নিয়ে…যারা প্রেমে ব্যর্থ…ব্যর্থ প্রেমে তাই হয়তো কষ্টটাই বেশি ফুটে উঠছে…….মন খারাপ করিয়ে দেওয়ার জন্য দুঃখিত………….যদিওবা আমি অন্য সবার মতো ভালো লিখতে পারি না তারপরও এই সিরিজটা শেষ হলে আমার চেষ্টা থাকবে সীমান্ত উন্মাদের অনুরোধ রাখার……
ভালো থাকবেন…………
ছাইরাছ হেলাল
গানটি অদ্ভুদ সুন্দর, আবার ও শুনলাম।
ভালোবাসার টানাপোড়নের দু’টো ঘটনা সহজ করেই তুলে এনেছেন।
ঘটনা কিন্তু তা নয়……আপনার পক্ষপাতটি কোন দিকে তা আমরা জানতে চাই।
চলুক।
খেয়ালী মেয়ে
এই লেখাটাতে আমার নির্দিষ্ট কোন উদ্দেশ্য বা পক্ষপাত নেই–আমি শুধু আমার দেখা কিছু ব্যর্থ প্রেমকে তুলে ধরছি–যাদের মাঝে একসময় গভীর প্রেম ছিলো,সাতরঙা স্বপ্ন ছিলো,পাগলামি ছিলো–কিন্তু সময়ে তা আবার ফ্যাকাশে হয়ে যায়…অথচো গল্প উপন্যাসে প্রেমকে অন্যরুপে দেখেছি–বাস্তবের সাথে যার যোজন যোজন দূরত্ব…বাস্তবতা এমন কেনো?…
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
বঙ্গ রমনীদের ভাগ্য প্রায়গুলো এমনি হয় না পারে কইতে না পারে সইতে -{@ লেখা চলুক
খেয়ালী মেয়ে
কবে যে বঙ্গরমনীদের এই ভাগ্য পরিবর্তন হবে ;?
শুন্য শুন্যালয়
লোপামুদ্রার এই গানটি গান হয়ে উঠবার অনেক আগে থেকেই আমার ভীষণ প্রিয়। যে মেয়েটির কন্ঠে কবিতাটা শুনেছিলাম তার নাম আমার মনে নেই, ইউটিউবে অনেক খুঁজেও পাইনি। “কেমন হবে আমিও যদি নস্ট মেয়ে হই” এই লাইনটি সে এমন ভাবে আবৃত্তি করেছিল, আজো আমার লোম খাড়া হয়ে যায় মনে পরলে। তোমার লেখার সাথে মিলিয়ে অদ্ভূত এই গানটি দেবার জন্য থ্যাংকস পরী।
বিয়ের আগে এমন ব্যর্থ হয়ে যাওয়া কতশত প্রেম যে আছে তার কোন হিসেব নেই। মাঝে মাঝে সত্যিই ভাবি, এর কি আদৌ অস্তিত্ব আছে?
দ্বিতীয় ঘটনাটি দুঃখজনক। ধর্মের মন্ত্র পড়িয়ে কাউকে বশে আনা খুব সহজ। আর সে যদি প্রিয়জনের কাছ থেকে শোনে, তবে তো হলোই।
এতো আবেগ সব ফিকে যায় একসময়, কিন্তু আমাদের সময়ও অনেকটা তখন হাতের নাগালে চলে যায়। আসলেই প্রেম বড় অদ্ভূত।
এই সিরিজটা বেশ হচ্ছে পরী, চালু রাখবে এটা।
খেয়ালী মেয়ে
পিংকির জন্য সত্যি খুব খারাপ লাগে…..
যতই প্রেমকে জানার চেষ্টা করছি ততই সব অদ্ভূত মনে হচ্ছে………
হুমমম সিরিজটা আমি শেষ করবো, তোমরা যে পাশে আছো আমার -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
একটা মেয়ে যখন ভালোবাসে, এতোটাই যুদ্ধ করতে হয় সমাজ-পরিবেশ-পরিবার এবং সর্বোপরি নিজের সাথেও যে, সে ভুলেই যায় তারও একটা স্বতন্ত্র্য অস্তিত্ত্ব আছে।
পড়তে অনেক কষ্ট হয়, কিন্তু লেখার ধারাবাহিকতা চালিয়ে নেয়া উচিৎ। এমন লেখার প্রয়োজন আছে। -{@
খেয়ালী মেয়ে
ধন্যবাদ আপু 🙂
অনিকেত নন্দিনী
সবার ধারণক্ষমতা এক না। ১ম গল্পের লুবনা নিরবের বহুদিনের সম্পর্ক শেষে নিরবের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়েও যথেষ্ট শক্ত থেকেছে, বিয়ের পিঁড়িতে বসেছে, বন্ধুদের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়ার সাহস দেখিয়েছে। অপরদিকে ২য় গল্পের ছোট্ট পিংকি অনিকের সাথে ক্রমাগত ফোনালাপে নিজেকে আমূল পালটে নিয়েছে। সেই অনিকের প্রত্যাখ্যান তার মানসিক স্থিতিকে গুঁড়িয়ে দিয়ে তাকে মানসিক রোগী বানিয়ে দিয়েছে।
দুটি গল্পের ঘটনা যাই হোক মূল ব্যাপার প্রত্যাখ্যান। একটা সম্পর্ক বেশ কিছুদিন চালিয়ে নেয়ার পর আচমকা প্রত্যাখ্যান যে একটা মানুষকে কতোখানি ছিন্নভিন্ন করে দেয় তা ধারণার ও বাইরে।
এমন ঘটনা আমাদের চারপাশে অসংখ্য তবুও এমনটি ভালো লাগেনা। এমন গল্পে কষ্ট লাগে খুব। 🙁
খেয়ালী মেয়ে
অনেকদূর পথ একসাথে পাড়ি দিয়ে মাঝপথে ছেড়ে যাওয়াটা সত্যি কষ্টকর……
মেহেরী তাজ
লোপামুদ্রা মিত্রের এই গানটা আমার এক সময়ে নিত্যদিনের কয়েক বার করে শোনা গান ছিলো। এখন আর হয় না….
পরিনতি দেখে খারাপ লাগছে! তারপরেও চলুক…..
খেয়ালী মেয়ে
গানটা আমারও যে খুব পছন্দের…
হিলিয়াম এইচ ই
ভাল্লাগছে!!
পরিনতি এমন কেন!! 🙁
খেয়ালী মেয়ে
সেটাতো আমারও প্রশ্ন যে পরিণতি এমন কেন হয় ;?
স্বপ্ন
প্রেম সফল হয়নি এটি ভাবতেই পারিনা আপু।কেন এমন হয়?প্রেম ভেঙ্গে গেলে মানুষ বেঁচে থাকে কিভাবে?কতটা প্রলয় ঘটে তার হৃদয়ে?ভালো লিখছেন আপু।বাঁচতে হলে জানতে হবে আমাদের সব কিছু।
খেয়ালী মেয়ে
আমার কাছেও অবাক লাগে এইটা ভেবে যে, গভীর প্রেমও একসময় সব ভালোবাসা তুচ্ছ করে ভেঙে যায় 🙁
রাসেল হাসান
🙁 অদ্ভূত তুমি………………..
খেয়ালী মেয়ে
🙁
অরণ্য
খেয়ালী মেয়ে, অদ্ভুত হলেও লুবনা বা পিংকি কারো ব্যাপারই আমাকে অবাক করছে না। মনে হচ্ছে এইতো ঘটার ছিল!
প্রেম নিয়ে বেশ লেখা পড়ছি এ মাসে। পড়ছি আবার কমেন্টও করছি।
ভাল লিখেছেন। (y)
খেয়ালী মেয়ে
গল্প উপন্যাস পড়ে প্রেম সম্পর্কে আমার ধারনা অন্য রকম,তাই আমার কাছে এই ব্যাপারগুলো সত্যি অবাক করার মতো………….কেমন লিখছি জানি না, তবে লেখাটা শেষ করতে চাই–ধন্যবাদ–
লীলাবতী
সিরিজটি খুবই ভালো হচ্ছে।জীবন থেকে নেয়া বাস্তব কাহিনী।জানার এবং বুঝার আছে অনেক কিছু।
খেয়ালী মেয়ে
আমি ভালো লিখতে পারিনা,তার উপর বড় পর্বকারে লিখা আমি আগে কখনো লিখিনি–পর্ব আকারে লেখা আমি এই প্রথম লিখছি–সোনেলাতে লেখার ব্যাপারে আমার মধ্যে একধরনের ভীতি কাজ করে যে পড়ে কেউ বিরক্ত হচ্ছে নাতো?–তোমাদের কমেন্টস আমাকে উৎসাহ দেয়, পারি আর না পারি তারপরও লিখে যাই…
খেয়ালী মেয়ে
পারি আর না পারি তারপরও লিখে যাই তোমরা আছো বলে…..
লীলাবতী
বিরক্ত কেন হবো আমরা? এটি আমাদের ব্লগ,আমরা যা খুশি লিখবো।আমরা আমরাই তো 🙂 আসলেই সিরিজটা ভালো হচ্ছে। চালু থাকুক এই সিরিজ -{@
খেয়ালী মেয়ে
হুমমম আমরা আমরাই তো -{@
আদিব আদ্নান
গানটি খুব সুন্দর। সব কিছুরই দুটি দিক থাকে। চালু রাখুন।
খেয়ালী মেয়ে
ধন্যবাদ 🙂
নষ্ট ছেলে
সব গুলো ই পড়লাম ভালো লেগেছে তবে সব শেষে একটি কথাই বলতে হয় প্রেম সবাই বলে স্বর্গ থেকে আসে কিন্তুু সেই প্রেম কে প্রায় সবাই নরকের ভেতরে নিয়ে ছাড়ে।
খেয়ালী মেয়ে
🙁