আমি তোমাকে এক জন্ম দিয়েছি, তুমি আমাকে কয়েক লক্ষ। আমি একটু একটু বেড়ে উঠেছিলাম তোমার নিঃশ্বাসে। তোমার ভেতর অক্সিজেন ছড়িয়ে আমি প্রতি সেকেন্ডে বেঁচে থাকছিলাম তোমার ফেরত দেয়া কার্বন ডাই অক্সাইডে। আমার ভেতর শেকড়ের মতো তুমি যখন নাভিমূল ছড়িয়েছিলে, তাতে শুধু তুমিই আটকাওনি, আমাকেও ধরে রেখেছিলে পড়ে যাওয়া থেকে।
তুমি যেদিন পাখির মতো দুহাত ছড়িয়ে হাঁটলে আমি সেই থেকে সারাক্ষণ বুকের ভেতর পাখি রেখে পাখি হবার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি তোমার সাথে উড়বো বলে।
আজকাল আমি যতই সিঁড়ি বেয়ে নেমে যাচ্ছি একটু একটু করে, ততোই তোমাকে উঠতে দেখছি। তোমার আমার দূরত্ব বাড়ছে, আমার বাড়ছে হাহাকার, অস্থিরতা, but once I opened my hands, I will not close again.
নারী দিবসের এই মাসে একজন নারীর পক্ষ থেকে সকল পুরুষকে শুভেচ্ছা…
২২টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
অনভ্যাসে ধার/ভার যেহেতু কিছুই কমেনি, বলছি-না প্রাকটিস চালিয়েছেন হোথায়।
অবশ্য চূড়ান্ত গুণিনদের চর্চা/ফর্চা লাগে না (যেহেতু প্রথম উপস্থিত দারুণ ভাবে, তাই বিশেষ কিছু বলা গেল না)।
বন্যেরা সুন্দর বনে, শিশুরা মাতৃ ক্রোড়ে।
এখানকার শব্দ-সম্ভারে মাতৃত্ব জ্বলে উঠেছে জ্বল-জ্বল করে।
মামা (মাম্মা) মা তো ফাটিয়ে দিয়েছে, তুমিও বড়র মত বড় হয়ে ঔজ্জ্বল্যে উজ্জ্বল হয়ে ওঠো, সে কামনাই করি।
‘নারী দিবসের এই মাসে একজন নারীর পক্ষ থেকে সকল পুরুষকে শুভেচ্ছা…’ বাপ্রে, আপনাকে তো হেভিওয়েট মানতেই হচ্ছে!
পিক খানা যা হইছে না!! বনরানী!!
পিকাপিকি চালু রাইখেন।
শুন্য শুন্যালয়
পার্সোনাল ছবি দেইনি কখনো, এটা প্রথমের উপস্থিতির কারনেই দিলাম, মূলত কিছু লাইন ছবিটা দেখেই মনে এসেছে।
এগুলা লিখা!! আর এগুলা লিখতে চর্চা লাগে বললে কিন্তু সবাই হাত গুটিয়ে চর্চা ছেড়ে দেবে।
হেভীওয়েট মাত্র মানলেন? মাথায় তুলে আছাড় দিতেও জানি। 🙂
আপনার বনচ্ছেদ, ধারালো দৃষ্টিতে বনই পুড়ে ছারখার, রানী আর পাইলেন কই।
মাম্মা আবার কার মাথা ফাঁটালো? :০
ছাইরাছ হেলাল
আপনি তো ফাটিয়ে ফেলেছেন/ফেলছেন, আমাদের মামাও যেন আপনার থেকেও আরও
যোগ্যতর হয়ে ওঠে তাই-ই কামনা করি।
আচ্ছা, এই ছবি আপনার!! মিছা কথা কন ক্যা!!
নেটে কত্ত ছবি আছে!! বললেই হলো!!
এগুলাইন ল্যাহা না!! খাইছে, এরপর কী জানি কী আমাগো পড়া লাগবে!!
অবশ্য মাষ্টার থাকতে চিন্তাই না।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
নারী দিবসে আপনাকেও শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা।শিরোনাম নিয়ে কিছু বলতে মানা।
শুন্য শুন্যালয়
আচ্ছা। আপনাকেও শুভেচ্ছা মনির ভাই।
জিসান শা ইকরাম
লেখা নিয়ে কি বলবো বুঝে উঠতে পারছি না,
যাই লেখিনা কেন, সন্তানকে নিয়ে আপনার অনুভব আবেগকে তা অতিক্রম করতে পারবে না।
আপনার লেখায় এই প্রথম উপলব্দি করলাম যে মা কেবল সন্তান জন্ম দেন না, সন্তানও মাকে জন্ম দেন একজন মা হিসেবে।
অস্তিত্বের মাঝে সন্তানের বেড়ে ওঠা হতে আরম্ভ করে সন্তানের বড় হওয়া পর্যন্ত একজন মা হিসেবে আপনার ভাবনা অত্যন্ত সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
হাত খুলে রাখতেই হবে সন্তানের বেরে ওঠার জন্য, বরফ দেশের শ্বেত ভল্লুক এর কথা ভাবুন,
প্রথম আলো ছড়াক তার মত করে, সে আলোতে উদ্ভাসিত হোক তার মা, আন্তরিক ভাবে এই প্রার্থনা করি।
ছবিতে সুর্যের আলোতে উজ্জল প্রথম
আলোর গুহায় সিড়ির ধাপে বসে আছে তার মা,
অদ্ভুত সুন্দর এক ছবি, সম্পুর্ন লেখাটাই ছবির ক্যাপশন,
সব কিছু মিলিয়ে অসাধারন।
আপনাকেও নারী দিবসের শুভেচ্ছা………
শুন্য শুন্যালয়
হাত খুলে রাখতেই হবে যাতে সে যখনই ইচ্ছে আবার ধরে ফেলতে হবে।
আপনার দেখবার আর অনুভব করবার গুনেই লেখাটি নিয়েছেন।
আমি হুটহাট কি লিখি নিজেও জানিনা।
ছবিটা আমার পছন্দের, বোধহয় প্রথমের সাথে এটাই সবচাইতে বেশি প্রিয়।
ভালো থাকুন সারাক্ষণ।
সাবিনা ইয়াসমিন
একজন মানুষ কতবার জন্ম নেয় ? উত্তরটা জানা।
একজন নারীর জন্ম হয় কতবার ? সবাই বলতে পারবেনা / পারে না। কন্যা, প্রেয়সী, সহ ধর্মিনী এবং মা। মা হওয়াটা নারী জন্মের শেষ আর সর্বশ্রেষ্ঠ জন্ম। একজন সন্তানের জন্মের সাথে মায়েরও জন্ম হয়। সন্তান জন্ম নেয় একবার, মায়ের জন্ম হয় বারবার। কখনো শুধুই মা, শিক্ষক, বন্ধু, পথ নির্দেষক থেকে সব কিছুতে মায়ের জন্ম নিতে হয়।
মা-সন্তানের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সন্তান মায়ের সব চেয়ে প্রিয় অঙ্গ। প্রথম কে অনেক শুভেচ্ছা চমৎকার একটি মায়ের জন্ম দেবার জন্যে।
ছবি ও লেখা একে-অপরকে পূর্নতা দিয়েছে।
নারী দিবসের এই মাসে একজন মা হয়ে সকল নারী ও মায়েদের শুভেচ্ছা জানাই।
শুভ কামনা, ভালোবাসা ❤❤
শুন্য শুন্যালয়
কতো কি যে লিখে মন্তব্য দিলাম, সাইট উধাও হলো, সাথে মন্তব্যও।
আপনি এতো সুন্দর করে লিখলেন, আমার আর কিছু বলার রইলো না।
আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা আপু ♥
অপার্থিব
কেন নারী দিবস আছে কিন্ত পুরুষ দিবস নেই এইপ্রশ্নের সবচেয়ে জনপ্রিয় উত্তর হচ্ছে – বছরের বাকি ৩৬৪( লিপ ইয়ার বাদে) দিন পুরুষের। বছরের একটা দিন পুরুষ জাতি হারিয়েছে তার জন্য আবার শুভেচ্ছা!!!!
শুন্য শুন্যালয়
ফেমিনিজমের একটা বড় স্লোগান জানেন? Men, feminism wants you.
নারীদিবস, পুরুষের সাথে শত্রুতা বা ঝগড়াবিবাদ নয়। ওয়ান অফ দ্যা বিগেস্ট চ্যালেঞ্জ যেটা আমাদের ভিক্টোরিয়ান গভর্নমেন্ট ফেস করছে এবং কাজ করছে, কিভাবে আমরা পুরুষকে ফেমিনিজম এবং জেন্ডার ইকুয়ালিটি কনভারসেশনে ইনভলভ করতে পারি।
নারী দিবস আছে পুরুষ দিবস নেই কেন, এর উত্তরে কিন্তু বলা যায়, ইন্টারন্যাশনাল পুরুষ দিবস আছে এবং সেটা ১৯ নভেম্বর, তবে তা পালন করতে পুরুষরা বোধহয় ইনফেরিয়র কমপ্লেক্সিসিটি তে ভোগে।
আর সত্যি সত্যি কি দিবস পালনে দিনটি নারীদের হয়ে গেছে? নাহ। এতোটা সহজ নয় এখনো পথ।
প্রহেলিকা
আরে বাহ বাহ! এ যে দেখছি আপনি! প্রত্যাবর্তনকে সুস্বাগত জানাই!
আপনার লেখা নিয়ে আর কি’বা বলার থাকে, হেলাল ভাইতো বলেই দিয়েছে ধার ফার এট্টুও কমেনি। অমোঘ মমতার বহি প্রকাশ। বারবার পড়লাম, কোমল শব্দে অভিব্যাক্তি।
ছবিটাও অসাধারণ। ভরা সবুজের দিকে তাকালেও ক্লান্ত চোখদুটু শ্রান্ত হয়।
শুন্য শুন্যালয়
আপনি আমাকে দেখতে পেয়েছেন সৌভাগ্য আমার। প্রত্যাবর্তিত মানুষ প্রত্যাবর্তনের শুভেচ্ছা দেবে নাতো কে দেবে! তবে কোনদিন যান নি, এই তত্ত্ব আমার ক্ষেত্রেও খাটে, বোঝা গেলো?
ধন্যবাদ জানুন।
মাহমুদ আল মেহেদী
অস্বাধারন । বারে বারে বহুবার পড়বার জন্য প্রিয়তে রেখে দিলুম ।
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ রইলো মেহেদী। ভালো থাকবেন।
বন্যা লিপি
কথাটা আমি সবসময় বলি,প্রথম সন্তানের জন্মই হয়না শুধু, সাথে সাথে জন্ম হয় একজন মায়ে’র।ভাবনায় প্রকাশে অনন্য আপনি। শুভেচ্ছা, শুভ কামনা।
শুন্য শুন্যালয়
হ্যাঁ, একজনের মায়ের জন্মও হয় তখন।
আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা বন্যা।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনার তুলনা আপনি ই আপুনি। অতি সুন্দর একখানা ছবিই সব বলে দেয়। লেখা গুন। ভাল থাকুন আপু।
শুন্য শুন্যালয়
আপনাদের ভালোবাসাই অতুলনীয়। ভালো থাকবেন আপনিও মজিবর ভাই।
রিতু জাহান
কি দারুন করে লিখলে! মনে হলো আমার মতো সকল মায়ের হয়েই লিখলে।
প্রথম আমাদের আলো ছড়াবে। প্রথম ওঠা সূর্যের স্নিগ্ধ আলোর মতো।
অনেক ভালবাসা আমাদের প্রথমের জন্য।
শুন্য শুন্যালয়
সকল মায়ের মনের কথাইতো এক ভাবী। তাই একজন লিখলেই সবার কথা বলা হয়ে যায়।
দোয়া করো প্রথমের জন্য। তোমার বাবাদুটাও অনেকদূর যাবে ইনশাআল্লাহ। ভালো থেকো।
মেহেরী তাজ
বুবু গত কয়েকবছর আমার জন্মদিনের দিন আম্মাকে মা হওয়ার বর্ষপুর্তিতে শুভেচ্ছা জানাই। প্রথম যে দিন বললাম “আম্মা মা হওয়ার বর্ষপুর্তিতে তোমাকে,শুভেচ্ছা,অভিনন্দন,ভালোবাসা। সেদিন আম্মা একদম চুপ করে ছিলো কয়েক সেকেন্ড। কারন কিন্তু আমি বুঝিনি । ভেবেছিলাম যাক আম্মাকে চমকে দেওয়া গেছে। হু হা হা ।
কিন্তু তোমার লেখাটা বুঝিয়ে দিলো কেনো আম্মা চুপ ছিলো। সব মায়েদের অনুভূতি নিশ্চয় একই হয়।
তোমাকে নারী দিবসের শুভেচ্ছা বুবু।