________________________
…
কি! অবাক হচ্ছো?
তুমি কি জানো এটা তোমার চিঠি?
খামে তোমার নাম লিখেছি?
শুধু তো ঠিকানা ছিল!
চিঠিতে তোমার নাম পেয়েছো?
তাও কি পড়বে তুমি?
পড়। এটা তোমাকেই লেখা।
হাতের লেখায় টের পাবে তাই
প্রিন্ট করেছি তোমার ঠিকানাও!
হয়তো ভাবছো “কেন?”
এমনিতেই – লুকোতে ইচ্ছে করল।
এই ভাইবার-মেসেঞ্জার-হোয়াটস্ অ্যাপের যুগেও
তোমাকে লিখতে ইচ্ছে করল।
ডাকযোগে চিঠি – মজা আছে না?
কি লিখি ভাবছি এখন
আসলে তোমাকে একটু ভড়কে দেয়া
একটু আউলে দেয়া
সেই’ ছিল কাজ।
তুমি কিন্তু বদলে গেছ;
তুমি জানোনা।
তুমি সময়ে এগিয়েছো;
কিন্তু নিজে আগাওনি মোটেও – জানো তুমি?
তুমি আমাকে দেখনি;
কিন্তু তুমি জানোনা আমি
তোমায় কত ভালোবাসি!
ভালোবাসি বলেই লিখছি।
আমাকে খুঁজে কাজ নেই তোমার
তোমাকে একটু খোঁজো – তাতেই চলবে আমার।
তুমি কি জানো তোমাকে নিয়ে মানুষরা কি ভাবতো
কিংবা ভাবে এখনও?
তোমার সময় নেই
দৌড়াচ্ছ শুধু দৌড়াচ্ছ!
শেষ জানো এ দৌড়ের?
কিসের নেশায় যে দৌড়াও তুমি!
আমি তাই ভাবি মাঝে মাঝে।
আবার নেশা করলে নাকি
আমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করে তোমার?
শুনেছি তোমার বন্ধুর মুখেই।
কি ভাব তখন? কি দেখ আমার?
ঘোর কাটলেই তো ফের
সেই দৌড়ই তোমার!
একটু বিশ্রাম নিও মাঝে মাঝে – নিতে হয়।
হৃদপেশি পুরোটা ভেবোনা নিজেকে
তুমি একজন রক্ত-মাংসের মানুষ যে!
আর মানুষরাও তোমাকে মানুষই পেতে চায়
কাছে আসতে চায়
ভালোবাসতে চায়
ভালোবাসা পেতে চায়!
আমিও চেয়েছিলাম।
ভেবেছিলাম অনেক ভালোবাসা পাব তোমার
এখন মনে হয় পাই’নি!
বেশি চেয়েছিলাম বুঝি?
কিন্তু জানো, এখনও বিশ্বাস করি
তুমি ফিরবেই – এই আমাতেই!
হ্যাঁ। আমায় ভালোবাসবে তুমি
অনেক, অনেক – অনেক ভালোবাসা!
আবেগী হয়ে যাচ্ছি বেশি।
নাহ! থাক।
থাক আজ।
আবার লিখব আমারই প্রয়োজনে
আমি এখন জেনে গেছি যে
আমার-তোমার দৌড়ের শেষ
একই রেখায় একই ক্ষণে।
এবার বলো
চিনছো আমায়?
…
________________________
৩৮টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
“আমাকে খুঁজে কাজ নেই তোমার
তোমাকে একটু খোঁজো – তাতেই চলবে আমার।”
ফাইন হইছে ভাই!
১১০ দিছি,
এত্ত দিন কৈ আছেলেন!!
অরণ্য
হেলাল ভাই, নম্বব দিয়া কি ওইব ফিন্দনের কাপড় যদি না থাকে?
কী কী যেন ভাবিয়ে তুলেছে আমাকে! দোয়া চাই। না ফিরে উপায় নাই, হেলাল ভাই।
আছি। থাকব। ভালোবাসব।
সোনেলার প্রতিযোগিতায় অংশ না নিলে কি হবে?
ভাল থাকবেন।
অরণ্য
আসলে তো সব আমরা আমরাই। (y)
মোঃ মজিবর রহমান
আপনি না চিনলেও সোনেলা আপনাকে আদ্দেপ্রিঠে ভাল করেই চেনে।
ভাল লাগলো কবিতাখানি।
অরন্য ভাই।
অরণ্য
মজিবর ভাই, মন্তব্য ভালো লাগলো; কিন্তু আমি চিঠি লিখলাম তো! ;?
ঠিক আছে আপনি একে কবিতা পেলে এ কবিতাই। প্রতিটা সত্য উচ্চারণই নাকি একেকটি কবিতা।
আমার নিজেকে জানার এখনও অনেক অনেক বাকি।
ভাল থাকবেন হাসিসহ। (y)
জিসান শা ইকরাম
অত্যন্ত আবেগ দিয়ে লেখা চিঠি পড়লাম।
একি কেবল চিঠির জন্যই লেখা? আমার তা মনে হয় না,
প্রতিযোগিতার জন্য এমন আবেগ মাখা চিঠি হতে পারেনা।
চেষ্টা করছি আপনার চিঠি স্পর্শ করে কিছু আবেগ নেয়ার, যাতে আমিও কিছুটা হলেও এমন এক চিঠি লেখি।
অপেক্ষার হবে অবসান একদিন
অন্তরের অন্তস্থলে যে বিশ্বাস ভালবাসা তা ফিরে আসবে
ফিরে আসতেই হবে একদিন।
শুভ কামনা।
অরণ্য
জিসান ভাই, হেসেই উঠলাম শব্দ করে। আবেগটা এসেই গেল। আমি চিঠিটা লিখেই হালকা হয়ে গেলাম। যাক লেখা জমা তো দিলাম!
এমন মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগলো।
চিঠির অপেক্ষায় থাকলাম। 🙂
শুন্য শুন্যালয়
সবই ঠিক আছে শুধু যে অরণ্যের হাতের লেখাটা মিস করে ফেললাম! 🙂
চিঠি তো চিঠিই। ভালো করে ভালোবাসতে না জানলেও অনেকে ভালো করে চিঠি লিখতে জানে। ভুল কইলাম?
এতো এতো ভালো লিখলে কই যাই? এখন কী চিঠির ব্যাকরণ শিখতে বসবো? পুরষ্কার যে আমার চাই ই। 🙂
অরণ্য
নাহ! ভুল বলেননি। এমন মানুষ আছে।
আমি খুশি নিজেকে লিখেই। লেখাটা আমার নিজেরও এখন ভাল লাগছে।
আপনাকে ব্যাকরণ দেখতে হবে; কি বলছেন! আমরা জানি আপনার লেখা আলাদা হবেই। এ যে শুন্য শুন্যালয়!
অপেক্ষায় রইলাম। (y)
শুন্য শুন্যালয়
চিঠি লেখার কথা শুনে প্রথম যেই কথাটা মনে এসেছে, নিজেকে লিখলে কেমন হয়! স্বার্থপরতার দিক দিয়ে আপনি আর আমি হয়তো এক আর দুই -ই হবো। তবে আপনার মতো করে নিজেকে ভালোবাসতে পারিনি তাই আবেগ দূরের কথা। বোধহয় একারনেই কোন ভালোবাসাতেই হয়তো আমার গভীরতা নেই।
একই রেখায় একই ক্ষনে দৌড়ের শেষ নিজে না হয়ে আর কেইবা হতে পারে!
লেখাটা কিন্তু খুবই চমৎকার হয়েছে।
অরণ্য
আমি স্বার্থপরতা নিয়ে চলি আগেও শুনেছি। খারাপ লেগেছে। আজ লাগছে না। নিজের দিকে ইদানিং তাকানোই যাচ্ছে না! ওকে একটু হুঁশে আনার চেষ্টা মাত্র।
আমি লিখেছি তো কি হয়েছে? লিখুন আপনিও। মন উজাড় করে লিখুন। ভাল লাগবে। সত্যি বলছি। 🙂
নীহারিকা জান্নাত
ভালোই ভড়কে দিয়েছেন কিন্ত। এত আবেগ দিয়ে লেখা চিঠি বিফলে যেতে পারে না।
হাতে না লিখলেও সে চিনবেই, কাছে আসবেই।
অনেক অনেক শুভকামনা আপনার এবং তার জন্য।
এত ভালো চিঠি লিখলে আমরা কোথায় যাই? পুরষ্কার তো সব আগেই ভাগাভাগি হয়ে গেলো 🙁
অরণ্য
আমিও চাই এ লেখা বিফলে না যাক।
মাঝে মাঝে নিজেকে ফিরে দেখা ও ধাক্কা দেওয়াও দরকার।
ভাল থাকবেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
বহুদিন পর কাব্য-চিঠি পড়লাম। বাংলা সাহিত্যে কবিতার মধ্য দিয়ে চিঠি লেখা খুব কম জনেই লিখেছেন। আমার একটা বই ছিলো কবিতার ভেতর দিয়ে চিঠি লেখা নিয়ে আলোচনা ছিলো। তখনই জেনেছিলাম কবিতার মাধ্যমে চিঠি। আমি মজা করে নাম দিয়েছিলাম কাব্য-চিঠি।
আবেগে ভরপুর অরণ্যের এই কাব্য-চিঠি।
প্রতিযোগিতায় পুরষ্কার পাবার মতোই লেখা। (y)
অরণ্য
অনেকে অনেককিছু লিখছে ও লিখবে। আমি কাকে লিখি তা নিয়ে একটু ভাবছিলামও। একবার ভাবলাম বাবাকে লিখি। ইঞ্জা ভাইয়ের বাবাকে লেখা চিঠি পড়ে বেছে নিলাম নিজেকেই।
নিজেকে লিখতেও নাটকীয়তা আসে; আবেগও এসেই গেল একটু। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
নিজের কাছে আমি বহু চিঠি লিখেছি।
একবার তো নিজের নামে পোষ্টও করেছিলাম। 😀
ওই যে মিঃ বিনকে দেখে!
নিজের মধ্যকার আবেগের পরিবর্তন হয়না, তবে প্রকাশে কম-বেশী হয়।
অরণ্য
আপনি আমার চেয়ে কয়েক ধাপ এগিয়ে। আমিও ভাবছি চিঠিটা নিজেকে কল্পনার মতোকরেই পাঠালে কেমন হয়!
নীলাঞ্জনা নীলা
সবুজ অরণ্য 🙂
মেহেরী তাজ
ভাইয়া চিঠির মধ্যে আবেগ না থাকলে হয়?!
কাওকে উদ্দেশ্য করে চিঠি লিখতে পারার ও একটা মজা আছে। প্রাপকের কাছে সেটা পৌঁছাক আর না পৌছাক!
আমার ভাইয়ার লেখা তো ভালো না হয়ে যাবে কই! 🙂
অরণ্য
তোর ভাইয়াটা একটু আবেগী তা তো তুই জানিসই – কখনও কখনও যদিও হুদাই আবেগ।
মাকে চিঠিটা পড়ে শোনাস। বলিস “দ্যাখো মা ভাইয়াটা না পাগল হয়েছে; নিজেই নিজেকে চিঠি লেখে!”
লিখিস আর না লিখিস ভাল থাকিস। (y)
প্রহেলিকা
চিঠিকাব্য বরাবরই প্রিয়। লেখা নিয়ে কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। মনে হয় লেখক নিজেই বলে গিয়েছেন উনি কেমন লিখেছেন।
কেমন আছে প্রিয় অরণ্য ভাই? এটাই মোক্ষম প্রশ্ন!
অরণ্য
প্রহেলিকা ভাই, আসলে সেটাই মোক্ষম প্রশ্ন।
ভাল আছি। অনেককিছু একসাথে ভাবিয়ে তুলেছে। শুধু দৌড়াচ্ছি আর দৌড়াচ্ছি। একটু থেমে ভাবার চেষ্টা করছি কেন দৌড়াচ্ছি এবং কোথায় দৌড়াচ্ছি। আদৌ এ দৌড় দরকার আছে কিনা!
এমনি এমনি তাল মেলানো দৌড় ভালো না, বুঝতে পারছি।
ভাল থাকবেন। (y)
প্রহেলিকা
দৌড়টাকেই জীবনন মনে হয় কখনো আবার কখনো মনে হয় জীবনের ধারক। যে জীবনে ঝুলে থাকে সন্ধ্যার কঙ্কাল সে জীবনে দৌড়ই সই। চলুন একবার হাওড় থেকে বেড়িয়ে আসি।
অরণ্য
আপনি দেশে কি না জানিনা। তবে হাওড়ে রাত কাটানোর ইচ্ছে আছে আমার। হাকালুকি যেতে চেয়েছি কয়েকবার; কিন্তু যাওয়া হয়নি। প্রস্তাবটা পছন্দ হয়েছে। গেলে কয়েকদিন থেকে আসার মত করেই যেন যাই।
ইকরাম মাহমুদ
পত্র নাকি কাব্য! নাকি পত্রকাব্য।
সুন্দর উপস্থাপন।
অরণ্য
ইকরাম ভাই, পত্র। চিঠির যুগে আমি এরকমই চিঠি লিখতাম। প্রথমে পত্র তারপরে কাব্য যদি প্রাপক তা পায়।
ধন্যবাদ ইকরাম ভাই।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
চিনবে না মানে? সে যে যার কথা দিনরাতনিশিতে অহরহ ভেবেই যাচ্ছে এ যে তারই চিঠি!
চিনতেই হবে, ফিরে আসতেই হবে। যার হৃদয়ে চুম্বক আছে সে টেনে আনবেই……………
অরণ্য
ঠিক। (y)
ফিরে তাকে আসতেই হবে। ক’দিন আর পালিয়ে বেড়াবে?
খুঁজিতেছি ফিরিবার পথ;
ফিরি যেন তারই মত করে
করছি যেন তারই শপথ।
গাজী বুরহান
“আজো তো অমল আমি চিঠি চাই, পথ চেয়ে আছি
আসবেন অচেনা রাজার লোক
তার হাতে চিঠি দিও, বাড়ি পৌঁছে দেবে। ”
.
.
এবং এ চিটি পৌঁছে যাবে তার হাতে সোনেলার মাধ্যমে।
অরণ্য
ধন্যবাদ গাজী ভাই।
তবে চিঠিটা ডাকযোগে পাঠালে আরও ভাল হতো।
ভাল থাকবেন। (y)
মুহাম্মদ আরিফ হোসাইন
সবাই দেখছি কাব্যসুরে চিঠি লিখছে।
আমরা যারা কাব্যে অপারগ তাদের কি হবে!!!
কিন্তু জানো, এখনও বিশ্বাস করি
তুমি ফিরবেই – এই আমাতেই!
আজকাল বিশ্বাসে কিছু পাওয়া যায় নাকি!!!
অরণ্য
ভাই আরিফ, বিশ্বাস অনেককিছু। বিশ্বাস করি বলেই ফিরবার পথ খুঁজি। ও বিশ্বাস হারালে তো আমাকেই পুরো হারিয়ে ফেলব।
ভাল থাকবেন।
আবু খায়ের আনিছ
তোমাকে আমার মনে পড়বেই, তুমি না চাইলেও আমার কিছু করার নেই যে…………………………
আমাকে খুঁজে কাজ নেই তোমার
তোমাকে একটু খোঁজো – তাতেই চলবে আমার।
এত ব্যস্ততা যে, এক অদম্য নেশায় মত্ত হয়ে গিয়েছে দেখছি।
অসাধারণ ভাইয়া।
অরণ্য
ধন্যবাদ আনিছ ভাই।
এই দুটো লাইন দেখলাম হেলাল ভাইয়েরও মনে ধরেছে। 🙂
যখন জানি আমার কিছু অন্য কারও ভাল লেগেছে তখন মনে হয় সে পাগলামিও সার্থক হয়েছে।
ভাল থাকবেন আনিছ ভাই।
আবু খায়ের আনিছ
পাগলামি করে যদি এমন কিছু হয় তাহলে এই পাগলামিকে আমি সর্মথন করি।
আগুন রঙের শিমুল
//আমার-তোমার দৌড়ের শেষ
একই রেখায় একই ক্ষণে।//
– অহংকারের খেলায় দুজনে জিতে গেছি একসাথে 🙂
প্রহেলিকা
হাকাকুলি যাওয়া যায় অবশ্যই, সাথে টাঙ্গুয়ার হাওরটাও দেখার খুব ইচ্ছে। মনের কথাই যেন বললেন, থাকার মতো করেই যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। মে অথবা জুন নাগাদ ফিরব দেশে। আসলে খুব টানছে হাওর। বলতে দ্বিধা নেই আগে কখনো হাওর দেখা হয়নি। হাকাকুলির পাশাপাশি টাঙ্গুয়ার হাওরেও যাওয়া যায় কিনা ভাবুনতো? হোক না একটু দীঘল ভ্রমণ। জানাবেন, অপেক্ষায় থাকব জবাবের।
নীরা সাদীয়া
বেশ লাগল চিঠি। প্রাপক পেয়ে যাক চিঠি, চিনে নিক প্রেরককে।