অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের সপ্ন নিয়ে একদিন দেশ স্বাধীন করতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধে নেমেছিল পূর্ববাংলার হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবাই। সবার পরিচয় ছিল- বাঙ্গালী; ঠিকানা ছিল- পদ্মা, মেঘনা, যমুনা; ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ছিল বাংলা মায়ের সন্তান।
যে স্বাধীন বাংলাদেশের সপ্ন দেখেছিল আমাদের স্বাধীনতাকামী পূর্বপুরুষেরা, যে শান্তি-সমৃদ্ধিময় দেশ চেয়েছিল তারা, সেই লাখো শহীদের রক্তস্নাত দেশে আজ কি করে কিছু বর্বর জঙ্গীরা ধর্মবিশ্বাসভেদে মানুষের এতোবড় সর্বনাশ করে??
এই নরপিশাচদের বিবেক পুড়ে গেছে, তাই তারা এদেশকে, দেশের মানুষকে পুড়িয়েই চলেছে। সামান্য অজুহাতে অমুসলিমদের এতোদিনের তিল তিল করে সাজানো ঘর-সংসার, সুখের সপ্নে আগুণ দিচ্ছে এই হায়েনারা।
আমরা বলছি ‘সংখ্যালঘু’-দের ওপর নির্যাতন হচ্ছে, আসলে কারা সংখ্যালঘু?? যারা আমার মতো এসব দেখে কষ্ট পাচ্ছেন, তাদের সংখ্যাই কি বেশি না এসব নির্যাতনকারীদের চেয়ে? তাহলে এই নরপিশাচ সংখ্যালঘু যারা অমুসলিমদের ঘরে আগুণ দিচ্ছে, পথে বসাচ্ছে আমার ভাই-বোনদের, তারাই কি সংখ্যালঘু না? আমার মতে পিশাচরাই বরং ‘সংখ্যালঘু’, আমরা না, অমুসলিমরা না।
মুক্তিযুদ্ধের সপ্ন ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, এই বাংলায় এই নরপশুদের ঠাঁই দেয়া যাবে না কোনোমতেই। দরকার হলে আবার লড়াই হবে একাত্তরের মতো। যে হাতে আমার ভাই-বোনদের বাড়িতে আগুণ দেয়া হয়, নির্যাতন করা হয়; সেই হাত আমরা ভেঙ্গে দিতে শিখেছি আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে।
আমরা বাঙ্গালী, লড়াই করে বীরের মতো মরতে জানি। সবাই মিলে এদের প্রতিহত করা, এদেশ থেকে তাদের নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি। এসব নির্যাতন কোনো বিবেকবান মানুষ মেনে নিতে পারেনা। আমাদের এক হতে হবে, একতাই শক্তি ওদের প্রতিহত করতে।
সারা দেশজুড়ে ভোট দেয়ার অপরাধে পাঁচ শতাধিকের বেশি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘর-বাড়ি যারা পুড়িয়ে দিয়েছে, তাদের বিচার চাই।
২২টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
১০০ সহমত
ফাহিমা কানিজ লাভা
ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
আমরা কিন্তু তাদের নিষিদ্ধ করছি না ।
বর্বরতা বর্বরতাই , লঘু গুরু বলে কিছু নেই ।
ফাহিমা কানিজ লাভা
যথার্থ বলেছেন। বর্বরতা বর্বরতাই। আমরা আন্দোলন গড়ে তুলব, অনেক পরিকল্পনাই নেয়া হয়েছে এ ব্যাপারে। অমুসলিমদের ওপর যেন আর হামলা না হয়, এ ব্যাপারে কি করা যায় সেটার ওপর আলোচনা চলছে ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্ট, রিপোর্টাস ইউনিয়ন ও আরো অনেক মহলে। মোদ্দাকথা, এদের নিষিদ্ধ না করলে দেশের মানুষ শান্তিতে বাস করতে পারবে না। ধর্ম যার যার, দেশ সবার।
সিহাব
;(
ফাহিমা কানিজ লাভা
মন্তব্য পছন্দ হয়নি।
মা মাটি দেশ
বীর বঙ্গালী অস্ত্র ধরো মানবতাবিরোধীদের খতম কর (y)
ফাহিমা কানিজ লাভা
হ্যা সেটাই। মানবতাবিরোধীরা যে দলেরই হোক, তাদের প্রতিহত করতে হবে।
নীলকন্ঠ জয়
মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন
ফাহিমা কানিজ লাভা
🙁
জিসান শা ইকরাম
হ্যা , এই পিশাচরাই ‘সংখ্যালঘু’, (y)
ফাহিমা কানিজ লাভা
আমরা এই পিশাচদের একসাথে প্রতিহত করার সামর্থ্য রাখি। আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ।
শুন্য শুন্যালয়
সংখ্যালঘুদের এতো ক্ষমতা!!! আপু এগুলো স্বান্তনা বাক্য মনে হয়…
আমাদের আরো অনেক মঞ্চ তৈরি করার সময় হয়েছে …
ফাহিমা কানিজ লাভা
আমরা এবার বড় আন্দোলন গড়ে তুলব বলে ভাবছি। কাজও শুরু হয়ে গেছে, আপনাদের মতো বিবেকবান মানুষদের অংশগ্রহণই সফলতা এনে দিতে পারবে। সাথে থাকবেন।
অন্তরা মিতু
যারা লঘুদের প্রতি অত্যাচার করে, সময়মতো গুরু-দের প্রতিও তাদের নজর পড়বে কারণ তারা আসলে সুযোগসন্ধানী বর্বর… শুধু “ঝোপ” দেখার অপেক্ষা, কোপ মারতে তাদের হাত অতীতেও কাঁপে নাই, ভবিষ্যতেও কাঁপবে না…
ফাহিমা কানিজ লাভা
সহমত।
খসড়া
অল্প কয়েকটা জামাতী তাদের রুখতে পারছিনা এই সংখ্যালুঘুদের। আসলে ইসলামের পতাকাতলে ওরা অবস্থান করে বলে খুব বেশি বর্ণচোরা।
ফাহিমা কানিজ লাভা
কারা বর্ণচোরা? জামাতিরা?
লীলাবতী
সংখ্যা লঘু তারা যারা এসব করছে । (y)
ফাহিমা কানিজ লাভা
ঠিক তাই।
আমার মন
এধরনের শব্দ গুলোর ব্যবহারই ভাল লাগে না। মানুষের মাঝে আবার সংখ্যাগুরু-লগু কি আছে! অসুস্থ নিন্ম মানুসিকতা। -{@
ফাহিমা কানিজ লাভা
অসুস্থ না হলে কি এসব করে কেউ?