জাপটে ধরা বুড়ো বৃক্ষের আগল ছাড়িয়ে বহু কষ্ট, আধা কষ্টে, ঝাটা-কুলার সমাদরে তকতকে প্রশস্ত একটা উঠান হলো। কেঁটে ফেলা গাছের মাচা, পাতা পুড়লো উনুনে। ধারাপাতের বৃক্ষরা কেঁদেকেঁটে জম্পেস অভিশাপ দিতে দিতে কোথায় যেন হারিয়ে গেলো। একা একারাই।
এখানে উনুন পেতে বেশ আড্ডা জমলো, শীতের পিঠে, ভোর, জোনাক, আমি ও আমরা মিলে। সন্যাস, বিষ, এর ওর গায়ে হুটোপুটি, বটবৃক্ষের নীচে গানের আসর ইত্যাদির নাটক শেষ হতে হতে আমাদের গায়ে গায়ে জড়ালো বিচ্ছিন্ন কাঁচা অভিনয়। সময়ের সিঁড়িতে পা ফেলে একে একে ফিরে এলো বুনো বৃক্ষরা, ছেড়া আলোরা, গাছের খোলে আটকে পড়া শব্দরা, ঝরনার আদলে খাঁচার সমুদ্ররা। আমাদের শহুরে ঘর, উঠান জাপটে নিলো তাদের লকলকে ফ্যাকাশে সবুজের শিকড়ে।
আর আমরা? গাছের ধার ঘেষে এক একটি জানালা হলাম। নির্বাক ও আলো-অন্ধকারে একা,
৩৯টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
পাইছি ও নে ক দিন পরে ঐ যে দূর সুদুর পরে কমেন্ট পড়ি নাই । আপু ভাল থাইকেন তো ।
শুন্য শুন্যালয়
আমিতো ভালই আছি মজিবর ভাই। 🙂
কমেন্ট নাকি লেখা পড়েন নাই?
লেখাপড়ায় একটু মন দিয়েন তো 🙂
তৌহিদ
অনেকদিন পরে আসলেন আপু। মাঝেমধ্যে ইচ্ছে হয় এই ইট পাথরের দালানকোঠা ছেড়ে চলে যাই গ্রামে। ছবিগুলি সুন্দর।
শুন্য শুন্যালয়
গ্রামে গেলে কিন্তু ভালোই থাকবেন। আমারো ইচ্ছে করে খুব।
ধন্যবাদ আপনাকে।
জিসান শা ইকরাম
এত্ত সবুজ!
সবুজে আর ঘন সবুজে শান্ত শ্নিগ্ধ এক সজীবতার পরশ এনে দিলেন সোনেলায়।
যদিও একাকী জানালায় কিছুটা নি:সঙ্গতা বিরাজমান।
ছবি ব্লগে মন উদাস হইছে,
আলোর গুহা, ঘন সবুজ পাতার এই বনটা কোথায় ম্যাডাম? যেতে ইচ্ছে করছে।
লেখার মন্তব্যের জন্য একটা ব্রেক।
শুন্য শুন্যালয়
আমার শহরে। ইচ্ছে করলে চলে আসুন।
আমার অসম্ভব ভালো লেগেছে পাহাড় আর জংগল টা। আসলে এই দেশ এতো গোছানো যে সত্যিকারের জঙ্গল দেখে অস্থির হয়ে গিয়েছিলাম। তবে ছেলের কারনে বেশিক্ষন থাকতে পারিনি। তাকে নাকি সাপে কামড়াবে, ওয়াস্প কামড়াবে। 🙁
জিসান শা ইকরাম
দেখি সময় করে যেতে পারি কিনা,
মেলবোর্নে ছোট দুই ভাই আছে, ওদের ওখানে গিয়ে থাকাও হয়নি তেমন কখনো।
যাওয়া হলে অবশ্যই ওদেরকে নিয়ে ঘুরতে যাবো এমন ঘন জঙ্গলে।
বাচ্চাদের এসব আকৃষ্ট করেনা, ওরা চায় রাইড।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
দাঁড়ান, দাঁড়ান!! ও আপনি!! তাইতো এমুন কঠিন কঠিন লাগে!!
মাথার উপ্রে দিয়ে যেতে চাচ্ছে, অবশ্য যেতে চাইলেই তো আর যেতে দেয়া যায় না, যেতে দেওয়াও ঠিক না।
কী যেন শিখেছিলাম, লেখা সহজ মন্তব্য দেয়া কঠিন! সে সূত্র মতে এট্টু টাইম নিতেই হচ্ছে! টাইম চাচ্ছিও!!
শুন্য শুন্যালয়
নিজের লেখা বুঝতে পারেন তো? নাকি লিখেই খালাস?
টাইম চেয়েও তো দেখি তর আর ধরে রাখতে পারলেন না। 🙂
আপনি যেই লম্বা, অতো উচ্চতার লেখা আমাকে দিয়ে হয়নি, হবেওনা, তাই ধরে ফেলা কোন ব্যাপারই না আপনার জন্যে।
ছাইরাছ হেলাল
নিজেকে নিজে কী আর সব বুঝতে পারি!! তবে অন্যদেরটি কিছু বুঝতে পারি/পারব।
দেখুন সাত ঘন্টা টাইম ‘তর’ সইতে পারা কিন্তু কম কথা না, তাছাড়া কতটুকু টাইম অনুমদিত তাও তো জানিনা।
উচ্চতা দিয়ে যদি সব কিছু হতো!! সে যে মানুষের চেয়ে ক্যামেরা বড়!!
সাবিনা ইয়াসমিন
সোনেলায় প্রকাশিত আপনার পোষ্ট গুলো পড়েছি প্রায় সবই। যদিও কখনো কমেন্ট করা হয়নি, তখন আমার আইডি ছিলো না। পরে যখন আইডি পেয়েছি আপনি আর কোনো পোষ্ট দেননি। আমার একটি লেখায় আপনার কমেন্ট পেয়েছিলাম, তারপর থেকে অপেক্ষা করেছি আপনি হয়তো আসবেন, এই আশায়।
এই পোষ্ট নিয়ে বলার কিছুই নেই। ভালো, খুব ভালো, অপূর্ব, অস্বাধারন এগুলোর কোনোটিই মানাবে না। মুগ্ধতা রয়ে গেলো আপু।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা-ভালোবাসা ❤❤❤❤
শুন্য শুন্যালয়
শুনে সত্যিই ভালো লাগলো সাবিনা আপু। তবে আমি কিন্তু সত্যিকারের অর্থে নিজেকে লেখক মনে করিনা। আমার কাছে এসব কোন লেখাই লাগেনা। এখানে অনেক ভালো ভালো লেখা পড়ার সুযোগ পাবেন।
আমি আপনার কোন লেখায় মন্তব্য করেছিলাম ঠিক মনে নেই, আসলে অনেকদিন না আসায় এলোমেলো হয়ে গেছে। এখন এসেছি, নিয়ম করে সবার লেখাই পড়বো। আমি পড়তে ও মন্তব্য করতে বেশি পছন্দ করি, এতে মাথা কম খরচ হয় 😀 😀
সাবিনা ইয়াসমিন
এখানে আসলেই অনেক ভালোমানের লেখক ও তাদের লেখা পড়ার সুযোগ পাই / পাচ্ছি। এ ব্যাপারে আমার দ্বিমত নেই। ভালো লেখিকাদের মাঝে আপনিও একজন, যার পোষ্ট আমি পছন্দ করি। লীলাবতীর পোষ্ট গুলোও আমার খুব পছন্দের ছিলো।
এতো কম কম এলে ঠিকমতো চেনা-জানাই হয়না, মনে রাখাটা আরো শক্ত।
আমার কাছে লেখার চাইতে কমেন্ট করাটা বেশি কঠিন মনে হয়। একজন লেখক চাইলেই যা খুশি লিখতে পারেন, কিন্তু কমেন্ট লেখকের উপর চাপ বেশি থাকে। কমেন্ট দেয়ার আগে অনেক কিছু বুঝতে/ ভাবতে হয়। বিশেষ করে যারা রেডিমেড কমেন্ট দিতে না চান তাদেরকে রীতিমত পরিক্ষা দেয়া লাগে লেখাটির উপর 😂
আপনি শক্ত আর কঠিন জিনিসটিই বেছে নিয়েছেন আপুমনি।
দেখা হবে নিয়মিত, ভালোবাসা ❤❤
শুন্য শুন্যালয়
হাহা বেশ বলেছেন, আসলেই পরীক্ষা দেয়া লাগে। তবে এমন দাঁত ভাঙা লেখক কিন্তু হাতে গুনে এক দুজন। তাদের লেখায় তাদের শব্দ এদিক ওদিক জোড়া লাগিয়ে দিয়ে মন্তব্য দিয়ে দেবেন, আর আমার মতো ভাব দেখাবেন যে ম্যালা বুঝছেন, তাতেই চলবে 😀
ছাইরাছ হেলাল
বৃক্ষ! হোক না সে বুড়ো বা আধ-বুড়ো, গ্রীষ্মের ক্ষর-তাপে স্বর্গীয় শান্ত স্নিগ্ধতার ভেজা-বাণী মিষ্টি নিঃশ্বাসের সাথে
এনে দেয় মৃত্যুহীন অসীম সজীবতা, ধরণীর শিরায় উপ-শিরায় তারুন্যদীপ্ত সমুদ্রোচ্ছাস প্রবাহন বইয়ে দেয়।
আর সে বৃক্ষ যদি হয় শব্দকল্পদ্রুম!! মাভৈ মাভৈ শব্দের শব্দ-সুরভি বয়ে যায় নিরবধি।
অনুভূতিহীন শব্দ-চোখ এই সবুজের স্বর্গ-উদ্যানে খুঁজে পাবে স্থিরতা! বৈধব্যের বাঁধ ভেঙে!!
আহা ছবি!! এমনই ছবি দেখতে-তুলতে মুঞ্চায়!
শুন্য শুন্যালয়
কী মুশকিল, এমন একটা ভয়ের লেখা দিলাম, তাও দেখি সবুজপ্রেমে মজলেন।
বেশি ভালোবাসায় সবুজ সব গিলে খাবে, থালাবাটি, ঘরবাড়ি সব। তখন জানালা হয়ে শুধু দেখবেন আর আক্ষেপ করবেন।
আমাদেরও মন চায় ভাউ, বৃষ্টির দিনে পেয়ারা ভরা নৌকা বৈঠা দিয়ে পেরিয়ে যাবো। সব ইচ্ছে আর পূরণ হচ্ছে কই!
আহা চোখ!
ছাইরাছ হেলাল
জানলার অপেক্ষা-আক্ষেপ নিয়ে লিখে-টিখে ফেলব কিছু একটা!!
আপনার মন চাইলে তা হবেই, হয়েছে যেমন আগেও,
আহা ইচ্ছে!!
শুন্য শুন্যালয়
লিখুন না জানলা নিয়ে, আগেতো সমুদ্রে ডুবাডুবি শেষ হোক 🙂
দেয়াল, দরজা, জানালা, জানলার পর্দা কিচ্ছু ছাড়া যাবেনা বোঝা গেলো? আপনার ইচ্ছেগুলো আসলেই আহা! 🙂
নীলাপু, রিতু ভাবী, প্রহেলিকা, সবাই আসুক; ভাবছি লেখা এবং পালটা লেখার ইভেন্ট আয়োজন করবো। পোস্টের উত্তরে পোস্ট। অবশ্য চাইলে তা আমরা এখনই শুরু করতে পারি।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সু-স্বাগতম-আগমন।
আপনাদের আগমনে আবারো ভরে উঠুক সোনেলার সোনালী উঠোন।সময় বড্ড নিষ্ঠুর, কেমন করে নিমিশেই দুরে সরে দেয় কিন্তু মনে যদি থাকে মনের টান,মন মানে না বাধা সময় অসময়ের কোন অবস্থা কাল। প্রকৃতির রাণী সেজেঁ এলেন যখন তখন আর যেতে দিচ্ছি না।দারুণ সব ছবি।ভাল থাকবেন।
শুন্য শুন্যালয়
আপনিও ভালো থাকবেন মনির ভাই। হ্যাঁ সময় অনেক শক্ত ব্যাপারস্যাপার, সেখানে মনের টানও ঢিলা হয়ে যায়।
মাহমুদ আল মেহেদী
সোনেলার মাধ্যমে সোনেলাকে নিয়ে গেলেন দূরে কোথাও দূরে ….।যেখানে যেতে মন চায়। মুগ্ধতা রেখে গেলেন আপু ।
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ মেহেদী ভাই। মাঝে মাঝে ছবি পোস্ট দিব, লেখালেখি কঠিন জিনিস আমার জন্য।
ভালো থাকবেন।
মোঃ মজিবর রহমান
আবার দেখা হলো ফাগুনে, মন বলে আবার আসবেনে। আসলেন আপনার ব্যাস্ততম কাজের অবসরে আপু।
পাব তো আবার সোনেলায় আপনাকে সোনেলা আপু?
শুন্য শুন্যালয়
আমার এখানে গরমকাল চলে। তাই গ্রীষ্মকালে আসছি বলতে পারেন 🙂
হু, ব্যস্ততা তো আছেই মজিবর ভাই। সোনেলায় আছিতো, বেশি করে ভালো ভালো লেখা দিন, নইলে পালাবো। 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
এখন অনেক ভাল ভাল লেখা আসে আপু। তাঁদের মাঝে আমি ডুবে থাকি। পড়ি।
রিতু জাহান
সে এক উঠোন ছিলো আসলেই। এর ওর সুখে হেসে ওঠা, দুখে বিচলিত হওয়া। শব্দের সাথে শব্দের জোড়া। অকারণ খুনসুটি। কতো কতো আল্হাদ!
সে সবুজে উঠোনে কারণে অকারণে খরা, কখনো দমকা হাওয়া।
খোঁড়ল থেকে শব্দরাও তাই আর উঁকি মারে না। লুকিয়ে পড়ে, লুকিয়েই তারা থাকে।
ওরাও জেনে গেছে, বড় রুক্ষতায় আজ সবুজ উঠোন সব।
তবু সেদিন দেখেছিলাম, শুনেছিলাম এক চমৎকার কথা।
যে শতবছর বটবৃক্ষের খোড়লে হাজার পুরণো শব্দ জমা থাকে, সে গাছের কোনো শাখা নষ্ট হয়ে গেলে শুকিয়ে গেলে তা আপনাই ঝরে পড়ে। তবু সে গাছ অটল পায়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
পুরণো যা তা তাকে তো অটল পায়ে দাঁড়াতেই হয়।
সেখানে যে বুনো লতার নতুন শাখা উদ্ভিদেরও আবাসস্থল।
তোমার লেখায় মন্তব্য দেবার মতো সাহস করাটাও কঠিন।
তুমি সব সময়ই তোমার লেখার জন্যই পরিচিত। দাঁড়িয়ে থাকো অটল পায়ে।
ভালো থেকো।
শুন্য শুন্যালয়
খুব সুন্দর করে উত্তর দিলে, আমি নিজেও এতো সুন্দর করে ভাবিনি। সবকিছু জমা থাকে বলেই প্রকৃতিকে কেড়ে নেয়া যায়না। একদিন সেই অভিশাপ ফিরে ফিরে আসে। তা সুন্দর, নাকি অসুন্দর হয়ে জানা নেই।
আমি লেখার জন্য নই বোধহয়, পাঠক হিসাবে বেশি পরিচিত 🙂
ভালো থেকো তুমিও।
রিতু জাহান
শোনো, তুমি কিন্তু পুরণো বটবৃক্ষ। শ্যামছায়ার এক স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে যাও এ উঠোনে। তাই কেনো খরা দাও। সকল শব্দের পাতা কেনো গুটিয়ে রাখো?
শুন্য শুন্যালয়
ধারকর্জ করে আর কদ্দিন? খরা তো ন্যাচারালই ছিলো। এখানে বইটই পড়ার সুযোগ কম, সময়ও কম।
আমাকে দিয়ে লেখাটেখা হবেনা। তোমাদের লেখা পড়ার জন্যেই বারবার আসা।
জিসান শা ইকরাম
বৃক্ষ নিধন- দূর করে যতই আমরা শহুরে হতে চাই, অভিনয়ে অভ্যস্থ হয়ে যাই। প্রানহীন হয়ে ভালোভাবে বাঁচার অভিনয়।
তারপরেও মনের গহীনে থাকে প্রকৃতির প্রতি, অকৃত্রিম সবুজের প্রতি গভীর টান। সবুজ নির্ভেজাল প্রকৃতির মাঝে মনের অর্গল খুলে যায়।
কি বুঝলাম, তাই বুঝলাম না।
শুন্য শুন্যালয়
হাহা, এতো প্রেশার নেন কেন? লেখা বুঝতেই হবে কে বলছে আপনারে? আমার মতো বোঝার ভাব নেবেন তাহলেই হবে।
আসলে বলতে চেয়েছি অভিনয়টা সবসময় টিকেনা। সত্য বের হয়ে আসে। জংগল কেটে সাফ করলেও, শেকড় থেকে যায়, তাই আবারো তা জংগলে পরিনত হতে পারে।
ভালো থেকেন। লেখালেখি নেই?
জিসান শা ইকরাম
লেখা লেখি অনেক কঠিন ব্যাপার,
ইচ্ছে করলেই কি লেখা হয়?
শুন্য শুন্যালয়
আপনি কিন্তু ইচ্ছে করলেই পারবেন, ট্রাস্ট মি 🙂
নিতাই বাবু
আমরা প্রতিনিয়ত যেভাবে শতবর্ষী গাছ কেটে ফেলছি, গাছেদের অভিশাপ তো লাগারই কথা। গছেরা বলে, “আমরা ঝড়তুফান থেকে বাঁচিয়ে রাখি তোমাদের ঘর,
আর আমাদের করছ ধ্বংস, তোমরা বড় স্বার্থপর।”
লেখা আর ছবিতে একাকার। ধন্যবাদ সহস্রবার।
শুন্য শুন্যালয়
লেখাটিতে সবুজ বৃক্ষ প্রতীকী হিসাবে ব্যবহার করেছি। সময়ের পরিবর্তন বোঝাতে চেয়েছি।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও।
রিমি রুম্মান
এমন সবুজ জঙ্গল এই বিদেশেই এসে দেখেছি। যদিও কবি বলেছেন, চির সবুজের দেশ বাংলাদেশ!
আর লেখায় যে সময় উঠে এসেছে, সেই সময় এমন করেই খেলে যায় কাল মহাকাল।
শূন্য আপু ছাড়া ‘সোনেলা’ শূন্য শূন্য লাগে।
শুন্য শুন্যালয়
আসলেই আপু। দেশের চট্টগ্রাম, সিলেট,বান্দরবন কিছুই না দেখে এখন লিখছি অস্ট্রেলিয়ার সবুজ নিয়ে। আমাদের দেশের সবুজ ধারণ করবার ক্যামেরাই নাই।
সোনেলার সবাইকে লাগে আপু, একজন না এলেই অস্থির লাগে আর তুমিতো সোনেলার গর্ব। ♥
বন্যা লিপি
ছোট ছোট চারা গাছগুলোকে কি যত্নেই না ছোট্ট শিশু হাতে এখান থেকে সেখানে সরিয়ে সারিবদ্ধ ভাবে লাগাতাম। দিনে দিনে বেড়েছে প্রেম বৃক্ষের প্রতি। বাসার পেছনে ছোট্ট একটুকরো বাগান ছিলো, নিজ হাতে রোপন করতাম কত কত ফুলের গাছ। পাহারায় বসে থাকতাম গন্ধরাজ গাছটায় ফুল ধরলে। নারকেল গাছের লম্বা পাতা সহ ড্যাগাটাতে ঝুলে ঝুলে দোল খেতাম। নিবাসের প্রয়োজনে আজ সব বিলীন। চেনা জায়গা অচেনা হয়ে যায় নিয়তঃ। ভীষণ ইমোশনাল হয়ে গেলাম, আপনার লেখায়। শুভেচ্ছা শুভ কামনা অবিরত।
শুন্য শুন্যালয়
ইশ আমি এমনই করছি ইদানিং জানেন! গন্ধরাজ লাগিয়েছি টবে, প্রতিদিন একটু পরপর গিয়ে দেখি ফুল ধরলো কিনা। গাঁদা ফুলে নতুন কোন কলি এলো কিনা। এর চাইতে আনন্দ খুব কম কিছুতেই আছে।
হ্যাঁ, সময়ের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতেই হয়। আমিও ফেলে এসেছি স্ট্রবেরি, কাঁঠালচাঁপা, শসা, মরিচ, উচ্ছে, টমেটো কতো কতো আরো গাছ সহ আমার প্রিয় বারান্দা। তবে আফসোস করিনা, মানিয়ে নেয়াই মেনে নিয়েছি।
ভালো থাকবেন সারাক্ষণ।