পুরুষরা মেয়েদের “মেয়ে মানুষ” ভেবেই অভ্যস্থ। তাদের এই অভ্যস্থতা থেকে বের করতে হলে মেয়েদেরকেই নিজের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে সাথে নিজেস্ব পরিচয় তৈরী করতে হবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু … 🙂
পরিবার কতটা সাহায্য করবে এই ব্যাপারে তা নিয়ে আমার যথেষ্ঠ Confusion আছে। কারন এখনো ভাই ও বোনের মধ্যে ভাই বেশি প্রাধান্য পেয়ে থাকে। তারপরও পরিবারিক শিক্ষাই একমাত্র ভরসা। ধন্যবাদ।
আপনার পোষ্টের সাথে সহমত।
আজকের এই দিনে এমন একটি পোষ্ট দিয়ে আপনি দারুন একটি কাজ করেছেন।
প্রানী বিজ্ঞান অনুযায়ী পুরুষ এবং নারী সবাই প্রানী।
যার প্রান আছে সেই প্রানী।
আপনার প্রথম ছবিটি একটি পোষ্টারের মত।
প্রতিটি বাক্য আমাদের সমাজের প্রচলিত ভাবনার প্রতি একটি চপোটাঘাত।
এমনই হওয়া উচিৎ আমাদের সবার ভাবনা।
স্ত্রীও যে স্বামী দ্বারা ধর্ষীতা হতে পারে, তা আমাদের সমাজে ভাবেনা কেউ।
ওথচ প্রতিদিন এটা হয় অসংখ্য।
নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতেই হবে।
এর একমাত্র উপায় হচ্ছে- মনোভাবের পরিবর্তন।
নারীকে মানুষ হিসেবে ভাবা
শুধু লেখা বা কথায় নয়- বাস্তবেই এটি ভাবা।
আমরা যারা নিজেদের মানুষ বলে মনে করি এই আমাদের কিন্ত অনেক দায়িত্ব । যার যার জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব দায়িত্ব পালন করলেই কিছুকেই নিয়মে বাধা সম্ভব। ধন্যবাদ ভাইয়া ….
পশু পশুত্ব নিয়ে জন্মায়, কিন্তু মানুষ মনুষ্যত্ব নিয়ে জন্মায় না-এটি তাকে অর্জন করে নিতে হয়..
আপনার প্রত্যাশার জয় হোক..
প্রতিটি মানুষ মনুষ্যত্ব অর্জন করুক..
মানসিকতা hereditary. মানসিকতা psychosocial. এর ভেতর থেকে পুরুষের মুক্তি নেই। শুধু চাই এই পশুগুলোর যোগ্য বিচার হোক, দৃষ্টান্তই পারে এ অপরাধ বন্ধ করতে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আজকের দিনে এটা শেয়ার করবার জন্যে।
আর দু এক জনের মত আমাকেও একটু ভাবালো আপনার “পুরুষ নামক প্রাণীর মনে মনুষ্যত্বের জন্ম হোক” লাইনটি। ইদানিং আমার কাছে বেশি প্রাধান্য পায় কি লিখছি বা বলছি তার চেয়েও যা লিখছি বা বলছি আসলে তার essence টা কি। আমার এক শিক্ষক বলতেন খুন তুমি করতেই পার, কিন্তু কেন করেছ তার যথার্থ উত্তর থাকা চাই। পরের লাইনটি চমৎকার – মানুষ মানুষকে মানুষ ভাবুক। পোস্টার তিনটিই সুন্দর।
পৃথিবীর ইতিহাসে যত রকমের সহিংসতা হয়েছে তার সিংহভাগ নারীর সাথে। আর সহিংসতার নায়ক পুরুষ নামক প্রাণী। যার মধ্যে মনুষ্যত্ব আছে এবং মানবীক গুনাবলী যে অর্জন করতে পেরেছে শুধুমাত্র সেই পারে নিজেকে মানুষ হিসাবে দাবী করতে। এর বাইরে আর সব প্রাণ থাকা প্রাণী। আশাকরি আমি যথার্থ উত্তর দিতে পেরেছি। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য ….. 🙂
সমস্ত পুরুষ যদি মানুষ হতো তবে এমন সহিংসতা আর থাকতোনা।শুধু ধর্ম আমাদেরকে মানুষ করতে পারছেনা।ধর্মের বাঁধন যেখানে শিথিল অথচ শিক্ষা পর্যাপ্ত সেখানে নারীদের উপর সহিংসতা কম।প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হলেই কেবল মানুষ হওয়া সম্ভব। আপনাকে ধন্যবাদ এমন পোষ্ট দেয়ায়।
২৯টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
এই প্রত্যাশা আমাদের সবার।
নওশিন মিশু
সবার হলেতো পৃথিবীর চেহারাটাই পাল্টে যেতো ভাইয়া । তবে আপনাকে অভিনন্দন এমন প্রত্যাশার সাথে থাকার জন্য … -{@
নুসরাত মৌরিন
নারীকে পুরুষরা মানুষ ভাবুক,শুধুই “মানুষ”…মেয়েমানুষ নয়।
এটাই কাম্য।
নওশিন মিশু
পুরুষরা মেয়েদের “মেয়ে মানুষ” ভেবেই অভ্যস্থ। তাদের এই অভ্যস্থতা থেকে বের করতে হলে মেয়েদেরকেই নিজের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে সাথে নিজেস্ব পরিচয় তৈরী করতে হবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু … 🙂
মামুন
আমাদের মানসিকতার এই পরিবর্তনের জন্য একেবারে পরিবার থেকেই ছেলে মেয়েদেরকে সেভাবে শিক্ষা দিতে হবে।
ধন্যবাদ।
নওশিন মিশু
পরিবার কতটা সাহায্য করবে এই ব্যাপারে তা নিয়ে আমার যথেষ্ঠ Confusion আছে। কারন এখনো ভাই ও বোনের মধ্যে ভাই বেশি প্রাধান্য পেয়ে থাকে। তারপরও পরিবারিক শিক্ষাই একমাত্র ভরসা। ধন্যবাদ।
মেঘাচ্ছন্ন মেঘকুমারী
আমাদের যেনো মানুষ ভাবা হয়। এসব অন্যায়ের একমাত্র ভুক্তভোগী নারী। অন্যায়কারী পুরুষদের কোন সাজা হয়না সমাজে।
নওশিন মিশু
মেয়েদের যারা মানুষ ভাবেনা ওরা কি মানুষ ………….???????????????????
জিসান শা ইকরাম
আপনার পোষ্টের সাথে সহমত।
আজকের এই দিনে এমন একটি পোষ্ট দিয়ে আপনি দারুন একটি কাজ করেছেন।
প্রানী বিজ্ঞান অনুযায়ী পুরুষ এবং নারী সবাই প্রানী।
যার প্রান আছে সেই প্রানী।
আপনার প্রথম ছবিটি একটি পোষ্টারের মত।
প্রতিটি বাক্য আমাদের সমাজের প্রচলিত ভাবনার প্রতি একটি চপোটাঘাত।
এমনই হওয়া উচিৎ আমাদের সবার ভাবনা।
স্ত্রীও যে স্বামী দ্বারা ধর্ষীতা হতে পারে, তা আমাদের সমাজে ভাবেনা কেউ।
ওথচ প্রতিদিন এটা হয় অসংখ্য।
নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতেই হবে।
এর একমাত্র উপায় হচ্ছে- মনোভাবের পরিবর্তন।
নারীকে মানুষ হিসেবে ভাবা
শুধু লেখা বা কথায় নয়- বাস্তবেই এটি ভাবা।
এমন পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
নওশিন মিশু
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ…. 🙂
জিসান শা ইকরাম
নারীর প্রতি সমস্ত সহিংসতা বন্ধ হোক।
সাইদ মিলটন
পুরুষ নামক প্রাণী
:c :c
ভাল্লাগছে
নওশিন মিশু
প্রাণ থাকলেই প্রাণী কিন্তু মানবীক গুনাবলী না থাকলে মানুষ হওয়া যায়না। আপনাকে আনন্দ দিতে পেরে আমি আনন্দীত, ধন্যবাধ …. 🙂
শুভ্র মোহন্ত
এহেম ;?
নওশিন মিশু
খুব চিন্তায় ফেলে দিয়েছি কি ….. ???? Whatever, চিন্তার ফলালফ জানাতে ভুলে যাবেন না কিন্তু …. 🙂
ব্লগার সজীব
পোষ্টের সাথে সহমত।
নওশিন মিশু
ধন্যবাদ ভাইয়া …. 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সহমত।চাই সব কিছুকেই নিয়মে বেধে ফেলা।
নওশিন মিশু
আমরা যারা নিজেদের মানুষ বলে মনে করি এই আমাদের কিন্ত অনেক দায়িত্ব । যার যার জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব দায়িত্ব পালন করলেই কিছুকেই নিয়মে বাধা সম্ভব। ধন্যবাদ ভাইয়া ….
খেয়ালী মেয়ে
পশু পশুত্ব নিয়ে জন্মায়, কিন্তু মানুষ মনুষ্যত্ব নিয়ে জন্মায় না-এটি তাকে অর্জন করে নিতে হয়..
আপনার প্রত্যাশার জয় হোক..
প্রতিটি মানুষ মনুষ্যত্ব অর্জন করুক..
নওশিন মিশু
হ্যঁ সেটাই, প্রতিটি মানুষ মনুষ্যত্ব অর্জন করুক….
এই প্রত্যাশায় আগামীর পথ চলা, ধন্যবাদ আপু …. 🙂
শুন্য শুন্যালয়
মানসিকতা hereditary. মানসিকতা psychosocial. এর ভেতর থেকে পুরুষের মুক্তি নেই। শুধু চাই এই পশুগুলোর যোগ্য বিচার হোক, দৃষ্টান্তই পারে এ অপরাধ বন্ধ করতে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আজকের দিনে এটা শেয়ার করবার জন্যে।
নওশিন মিশু
প্রণীকুলে মানুষের থেকে ভয়ংকর প্রাণী দ্বিতীয়টি নেই। আপনাকেও ধন্যবাদ …. 🙂
মরুভূমির জলদস্যু
“পুরুষ নামক প্রাণীর মনে মনুষ্যত্বের জন্ম হোক”
;? ;? ;?
নওশিন মিশু
যদি কোন সমস্যা না থাকে তাহলে আপনার চিন্তার কারনটা কি জানতে পারি….. 🙁 ?
অরণ্য
আর দু এক জনের মত আমাকেও একটু ভাবালো আপনার “পুরুষ নামক প্রাণীর মনে মনুষ্যত্বের জন্ম হোক” লাইনটি। ইদানিং আমার কাছে বেশি প্রাধান্য পায় কি লিখছি বা বলছি তার চেয়েও যা লিখছি বা বলছি আসলে তার essence টা কি। আমার এক শিক্ষক বলতেন খুন তুমি করতেই পার, কিন্তু কেন করেছ তার যথার্থ উত্তর থাকা চাই। পরের লাইনটি চমৎকার – মানুষ মানুষকে মানুষ ভাবুক। পোস্টার তিনটিই সুন্দর।
নওশিন মিশু
পৃথিবীর ইতিহাসে যত রকমের সহিংসতা হয়েছে তার সিংহভাগ নারীর সাথে। আর সহিংসতার নায়ক পুরুষ নামক প্রাণী। যার মধ্যে মনুষ্যত্ব আছে এবং মানবীক গুনাবলী যে অর্জন করতে পেরেছে শুধুমাত্র সেই পারে নিজেকে মানুষ হিসাবে দাবী করতে। এর বাইরে আর সব প্রাণ থাকা প্রাণী। আশাকরি আমি যথার্থ উত্তর দিতে পেরেছি। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য ….. 🙂
শিশির কনা
সমস্ত পুরুষ যদি মানুষ হতো তবে এমন সহিংসতা আর থাকতোনা।শুধু ধর্ম আমাদেরকে মানুষ করতে পারছেনা।ধর্মের বাঁধন যেখানে শিথিল অথচ শিক্ষা পর্যাপ্ত সেখানে নারীদের উপর সহিংসতা কম।প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হলেই কেবল মানুষ হওয়া সম্ভব। আপনাকে ধন্যবাদ এমন পোষ্ট দেয়ায়।
নওশিন মিশু
আপনার মন্তব্য পড়ে সত্যি আমি অভিভূত। আপনার মত করে সবাই যেদিন ভাবতে পারবে সেদিন পৃথিবীর চেহারাটাই বদলে যাবে। ভাল থাকবেন, ধন্যবাদ …. 🙂