অনেক বড় একটা গল্পকে মাত্র এক পলকে বোঝাতে পারে শুধুমাত্র হাতে গোনা কিছু স্থিরচিত্র। অনেক সময় শত শত সেমিনার করেও যা মানুষকে বোঝানো যায় না তা নিমিষেই বুঝে নেয় একটি চিত্রের মাধ্যমে।
পূর্বে “শক্তিশালী কিছু স্থিরচিত্র” শিরোনামের একটি পোষ্টে কিছু ছবি পোষ্ট করা হয়েছিল। সেই একই ধরণের আরও কিছু ছবি নিয়ে আজকের আয়োজন।
ইথিওপিয়ার এ্যাবোর (Erbore) উপজাতি গোষ্ঠীর একটি শিশু
ইথিওপিয়ার মুরসি (Mursi) গোষ্ঠীর এক উপজাতি নারী প্রথমবারের মত Vouge ম্যাগাজিনে চিত্রায়িত ছবি দেখে বহির্বিশ্বের নারীদের আবিষ্কার করছে
কসভো যুদ্ধের শরণার্থীদের একটি ক্যাম্পের কাঁটাতারের ফোঁকর দিয়ে একটি শিশুকে তার প্রপিতামহের হাতে তুলে দেবার সময়কার ছবি
নেশায় বুদ হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকা এক বাবাকে রাস্তা হতে তুলে বাড়ি নিয়ে যাবার আপ্রাণ চেষ্টায় লেগে থাকা এক সন্তানের চিত্র
সিরিয়ার শরণার্থী শিবিরে অবস্থানকারী শিশুরা নিজ নিজ পাত্রে তাদের পরিবারের জন্যে পানি সংগ্রহ করার কাজ করছে
রোমানিয়ার ব্যুকারেস্ট (Bucharest) শহরে দাঙ্গার সময়ে পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করে আক্রমণাত্মক অবস্থায় গেলে স্থানীয় এক শিশু ‘হৃদয় আকৃতির (heart-shaped)’ একটি বেলুন এক পুলিশ সদস্যের হাতে তুলে দেয়। পরবর্তীতে ঐ হৃদয় আকৃতির বেলুন হাতেই পুলিশ সদস্যকে ব্যারিকেড তৈরি করে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়
২০১২ সালে মিশরের কায়রোতে বিক্ষোভ চলাকালীন সময় এক তরুণ বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা প্রহরীদের লক্ষ করে পাথর ছুড়ে মারছে
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ (Kiev)-এ পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মাঝে অবস্থিত এক জ্বলন্ত ব্যারিকেডের সামনে দাড়িয়ে আছে একজন বিক্ষোভকারী
২০১১ সালের এপ্রিল মাসে অ্যালাব্যামায় কনকর্ড শহরে টর্নেডোর আঘাতে ধ্বংস প্রাপ্ত নিজ বাড়ির সামনে দাড়িয়ে এক মা তার সন্তানকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন
২০১১ সালের আগস্ট মাসে লন্ডনের ক্রোয়িডন (Croydon) শহরে দাঙ্গার সময় আকস্মিক আগুন লেগে যাওয়া এক দালানের দ্বিতীয় তলা (first-floor) হতে ঝাপ দিচ্ছেন দালানে অবস্থানকারী এক মহিলা
২০১১ সালের অক্টোবর মাসে ব্যাংককের উপকণ্ঠে অবস্থিত র্যাঙ্গিট শহর বন্যার পানিতে প্লাবিত হলে এক মহিলা ল্যম্পপোষ্ট আঁকড়ে ধরে নিজেকে ভেসে যাওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখবার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন
এক সন্তান প্রথমবারের মত ছুঁয়ে দেখছে তার বাবাকে। লোকটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের সামরিক বাহিনীর কাছে যুদ্ধবন্দী হিসেবে ছিলেন
জন এফ. কেনেডি জুনিয়র, সকলের সাথে নিজ বাবার কফিনের প্রতি স্যালুট দিয়ে বিদায়ী অভিবাদন জানাচ্ছে
১৯৪০ সালের ১লা অক্টোবর মাসে কানাডার নিউ ওয়েস্টমিনস্টার হতে চিত্রগ্রাহক ক্লড পি. ডেটলফ ((Claude P. Dettloff)) “আমার জন্যে দাড়াও বাবা / Wait For Me Daddy” – শিরোনামের এই ছবিটির তুলেছিলেন
এক ফ্রেমে বন্দী ফিদেল কাস্ত্রো ও চে-গুয়েভারা’র একটি হাস্যোজ্জ্বল ছবি
রিও ডি জানিয়েরো কাছাকাছি এক স্থানে সর্বনাশা ধ্বসে মারা যায় এক ব্যক্তি। তাকে সমাহিত করার পরের দিনেও তার পোষা কুকুরটিকে তার সমাধির পাশে বসে থাকতে দেখা যায়
════════════════════════════════════
চিত্র এবং তথ্যসূত্রঃ আন্তঃজালিকা হতে সংগ্রহীত
ছবি গুলি সত্যিকার অর্থেই অসাধারণ কিছু; তাই শেয়ার না করে থাকা গেল না।
আসলে অনেকদিন আগেই ছবি গুলি যোগার করে রেখেছিলাম। কিন্তু আলসেমির কারণে আরও দ্রুত পোষ্ট করা হয়নি।
আপনাদের চমৎকার মন্তব্য পাওয়ার লোভেই সম্ভবত আলসেমি ছেড়ে পোষ্ট করতে আগ্রহ জাগে মাঝে মাঝে 😋
গুগলে প্রচুর লিংক রয়েছে এমন সব ছবির। কিন্তু আফসোস বাংলাতে ক্যাপশন সহকারে কোন লিংক এখন অব্দি খুঁজে পাই নি। আর এ কারণেই আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। অন্তত এখন কেউ খুঁজলে ছবি গুলি বাংলা ক্যপশন সহ সোনেলার পাতাতে খুঁজে পাবে 🙂
কৃতজ্ঞতা সময় নিয়ে পোষ্টি দেখে এমন পজিটিভ মন্তব্য উপহার দেবার জন্যে 😊
হা হা হা হা
নাহ্ কথাটা একদম সত্যি নয়। ইচ্ছে থাকলে আর একটু চেষ্টা করলে যে কেউ ছবি গুলি যখন খুশি তখন দেখতে পাবে।
আমার সংগ্রহ আর পোষ্টের উদ্দেশ্য ছবির সাথে বাংলায় করা ক্যাপশন গুলো। বাকি যা আছে তার প্রায় সবই শত শত ব্লগ আর সাইটে রয়েছে।
হ্যঁ, সে কিশোর বিক্ষোভকারী তা আমারও মনে হয়েছে। কিন্তু ছবির সাথে থাকা বর্ণনায় তাকে ‘তরুন’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছিল। আর আমিও উপস্থাপনায় কোন ভিন্নতা আনতে চাই নি।
১৯টি মন্তব্য
নীরা সাদীয়া
আহা, কোথা থেকে সংগ্রহ করলেন এসব ঐতিহাসিক ছবি তা জানিনা। তবে অসাধারন কিছু অদেখা মুহূর্ত আপনার সুবাদে দেখার সুযোগ পেলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অলিভার
গুগলকে জিজ্ঞাস করলে অনেক অনেক সাইট দেখিয়ে দেবে আপনাকে। তবে কোনটাতেই বাংলায় ছবিগুলির বর্ণনা নেই। আর বাংলা ক্যাপশন সহ ছবিগুলিকে একত্রিত করতে এই প্রয়াস 🙂
ধন্যবাদ এমন চমৎকার মন্তব্যের জন্যে 🙂 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
কয়েকটি ছবি মন ভিঁজিয়ে দিলো ব্যথায়।
অসাধারণ একটি পোষ্ট।
ধন্যবাদ আপনাকে।
অলিভার
ছবি গুলি সত্যিকার অর্থেই অসাধারণ কিছু; তাই শেয়ার না করে থাকা গেল না।
আসলে অনেকদিন আগেই ছবি গুলি যোগার করে রেখেছিলাম। কিন্তু আলসেমির কারণে আরও দ্রুত পোষ্ট করা হয়নি।
আপনাদের চমৎকার মন্তব্য পাওয়ার লোভেই সম্ভবত আলসেমি ছেড়ে পোষ্ট করতে আগ্রহ জাগে মাঝে মাঝে 😋
নীলাঞ্জনা নীলা
লোভটুকু যেনো সবসময় থাকে। তাহলে আপনার পোষ্ট বেশী বেশী পাওয়া যাবে। 😀
অলিভার
‘অতি লোভে তাতি নষ্ট’ — এমন একটা কথাও প্রচলিত। তাই মাঝে মাঝে লোভ সংবরণ করার চেষ্টা করি। যদিও শেষ পর্যন্ত আর পেরে উঠি না :p
শুন্য শুন্যালয়
প্রথম পোস্টের মতো এটাও অসাধারণ সব ছবি নিয়ে। দেখা ছিলো আগে নানা সময়ে। wait for me daddy অদ্ভূত সুন্দর একটা ছবি, সবগুলোই। রাখলাম নিজের কাছে।
অলিভার
গুগলে প্রচুর লিংক রয়েছে এমন সব ছবির। কিন্তু আফসোস বাংলাতে ক্যাপশন সহকারে কোন লিংক এখন অব্দি খুঁজে পাই নি। আর এ কারণেই আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। অন্তত এখন কেউ খুঁজলে ছবি গুলি বাংলা ক্যপশন সহ সোনেলার পাতাতে খুঁজে পাবে 🙂
কৃতজ্ঞতা সময় নিয়ে পোষ্টি দেখে এমন পজিটিভ মন্তব্য উপহার দেবার জন্যে 😊
ইঞ্জা
মন ছোঁয়া প্রতিটি ছবি, মুগ্ধ হলাম।
অলিভার
অশেষ ধন্যবাদ ইঞ্জা ভাই 🙂
ইঞ্জা
-{@
নাজমুস সাকিব রহমান
কাজের মত কাজ করেছেন। অনেক ধন্যবাদ। আপনি না দেখালে এইসব ছবি হয়তো দেখাই হত না।
অলিভার
হা হা হা হা
নাহ্ কথাটা একদম সত্যি নয়। ইচ্ছে থাকলে আর একটু চেষ্টা করলে যে কেউ ছবি গুলি যখন খুশি তখন দেখতে পাবে।
আমার সংগ্রহ আর পোষ্টের উদ্দেশ্য ছবির সাথে বাংলায় করা ক্যাপশন গুলো। বাকি যা আছে তার প্রায় সবই শত শত ব্লগ আর সাইটে রয়েছে।
পোষ্টটি সময় নিয়ে দেখবার জন্যে অনেক ধন্যবাদ 🙂
ছাইরাছ হেলাল
চমৎকার সংগ্রহ,
তবে সব থেকে ভাল লেগেছে ছবি উপস্থাপনের যে মুল্যবান ভাবনা,
ছবি খুঁজে পাওয়াই যায়, পাইও।
বাংলায় ক্যাপশন পাই না,
অলিভার
ধন্যবাদ হেলাল ভাই 🙂
মৌনতা রিতু
ছবিগুলো সত্যি কথা বলে। কায়রোর বিক্ষোভকারী কিশোর মনে হচ্ছে।
ছবির সাথে যে ক্যাপশন দিয়েছেন তা প্রশংসার যোগ্য
অলিভার
ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্যে 🙂
হ্যঁ, সে কিশোর বিক্ষোভকারী তা আমারও মনে হয়েছে। কিন্তু ছবির সাথে থাকা বর্ণনায় তাকে ‘তরুন’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছিল। আর আমিও উপস্থাপনায় কোন ভিন্নতা আনতে চাই নি।
মৌনতা রিতু
এই পোষ্টটি আমার মেমন সোনার খুবই পছন্দ হয়েছে। বিশেষ করে পানিতে ভেসে থাকার যে আপ্রান চেষ্টা।
মেমনের পক্ষ থেকে ভালবাসি রইল।
অলিভার
মেমন সোনাকে আমার ভালোবাসা জানাবেন 🙂