কথায় আছে, একটা ছবি হাজার হাজার লাইনের গল্প থেকেও বেশি কথা বলে। হাজারও আত্মা একাত্মায় রূপান্তরিত করতে পারে। গল্পের ভেতরের কথা আরও জীবন্ত-রূপে উপস্থাপন করতে পারে।
আজকের পোষ্টটি ঐরকম কিছু ছবি নিয়েই সাজানো।
১৯৬৭ সালে ১৭ বছর বয়সী জান রোজ কাশ্মীর যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভে সৈন্যদের ফুল উপহার দেয়।
দুর্নীতি ও পুলিশের নৃশংসতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় ব্রাজিলের এক বিক্ষোভকারী বন্দুকের গুলির সামনে দাড়িয়ে যায়।
অতিবৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতিতে ফিলিপাইনে বসবাসকারী এক ছেলে তার কুকুরকে কাঁধে নিয়ে নিরাপদ অবস্থানের জন্যে ছুটছে।
কোরিয়ার অস্থায়ী পরিবার পুনর্মিলন অনুষ্ঠানের পর উত্তর কোরিয়ায় বাসিন্দা এক ভাই তার দক্ষিণ কোরিয়ায় বসবাসকারী ভাইকে বিদায় জানাচ্ছে।
সন্ন্যাসী এক বাঘের সাথে তার খাবার ভাগ করে নিচ্ছে।
১৯৩৬ সালে গৃহযুদ্ধের সময় একজন সাংবাদিক এক শিশুকে উদ্ধার করতে দৌড়চ্ছেন।
মৃত্যু শিবির থেকে মুক্তি পাবার পর এক রুয়ান্ডান ছেলের মুখে নির্যাতনের চিহ্ন।
ছোট্ট বালক তার বাঁশি বাজিয়ে বিড়ালের মনোযোগ ধরে রাখায় চেষ্টায় ব্যস্ত সময় পার করছে।
ক্যারোলিন জোয়ান পেক্সোটো, সিটি আর্টস এর ক্লাসিকাল ব্যালে শিক্ষার্থীদের স্থিরচিত্র। এই স্কুলটি কিগালি সম্প্রদায়কে গণহত্যার বিরুদ্ধে আশা সঞ্চারণ করতে কাজ করেছিল।
ক্যাপ্টেন ডোনাল্ড স্পিন্ডার ইন্ডিয়ানা অগ্নিকান্ড থেকে ৬ বছর বয়সী আলিয়া ফ্রেজিয়ার নামের এই শিশুকে উদ্ধার করেন।
লক্ষাধিক ভিক্ষু একটি উন্নত বিশ্বের জন্যে সমবেত প্রার্থনা করছেন।
৩ বছর বয়সী এক শিশু তার কৃষ্ণাকার চাচাত ভাইয়ের সাথে ঘুমোচ্ছে।
এক আইরিশ যুবক উত্তর আয়ারল্যান্ডের অস্থিরতার সময় ব্রিটিশ সৈন্যদের বিরুদ্ধে চিৎকার করে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
১৯৮৭ সালে ডঃ রেলিজা দীর্ঘ ২৩ ঘণ্টা সময় ব্যয়ে একটি সফল হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট অপারেশন করেন। অপারেশনের পর রোগীকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও নিরীক্ষণের জন্যে অপেক্ষা করছেন, ছবিতে দেখা যাচ্ছে অপারেশন থিয়েটারের এক কোনায় তার সহকারী ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়েছে।
ঐ অপারেশন শুধুমাত্র সফলই হয়নি, বরং ঐ রোগী ডঃ রেলিজা থেকেও বেশি সময় বেঁচে ছিলেন।
দিয়েগো ফ্রাজা র্টোকিটো (Diego Frazão Torquato) নামের এই ১২ বছরের বালক তার শিক্ষকের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় বেহালা বাজিয়ে শোক প্রকাশ করছিল। তার এই শিক্ষকই তাকে সংগীতের মাধ্যমে দারিদ্র্যতার আর সহিংসতার পথ থেকে রক্ষা করেছিল।
দীর্ঘ সাত মাস ইরাকে তার কাজের শেষে দেশে ফিরে মেয়েকে আলিঙ্গন করে কেঁদে ফেলে এই মার্কিন সৈন্য।
একজন ব্যক্তি ৯/১১-এ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দুর্যোগ থেকে বাঁচার জন্যে লাফ দেয়।
সহিংসতার বিরুদ্ধে ফুলের শক্তি।
২০১১’র মার্চে এক মহিলা ভূমিকম্প এবং সুনামিতে তার সর্বস্ব হারিয়ে ধ্বংসাবশেষে বসে বিলাপ করছে।
ভারতের কাতাক শহরে ২০১১ তে ব্যাপক বন্যা-পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে একজন লোককে কিছু বিড়াল একটি ঝুড়িতে তার মাথায় নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দেখা যায়।
পেশোয়ারের এক গাড়ি বোমা হামলার পর পাকিস্তানি এক লোক একটি শিশুকে নিয়ে দৌড়ে নিরাপদ অবস্থান আসেন।
পিতা ও পুত্র (১৯৪৯ বনাম ২০০৯)
ভাইয়ের খুন হবার খবর শোনার পর অপর সহোদর।
২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ান একজন দমকলকর্মী উদ্ধারকাজের এক ফাঁকে একটি কোয়ালাকে নিজের পানি খেতে দেয়।
════════════════════════════════════
চিত্র এবং তথ্যসূত্রঃ আন্তঃজালিকা হতে সংগ্রহীত
কোন কথা নয়, সোজা প্রিয় লিস্টে নিয়েছি। অসাধারন একটি পোস্ট, ছবিগুলো প্রত্যেকটি অসাধারন। অপারেশনের পর ডাক্তারের নিবিড় পর্যবেক্ষনের ছবিটা অদ্ভূতভাবে নাড়া দিয়েছে। অনেক ধন্যবাদ এমন পোস্টের জন্য।
আম্মা এখন ভালো আছেন, শুধু ঘুম অনেক কমে গেছে। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে আশাকরি, সমস্যা হলো আম্মার ডায়াবেটিস কনট্রোলে থাকছে না। দোয়া করবেন অলিভার। জিজ্ঞেস করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই 🙂
ঐ ছবিটিও সংগ্রহে রয়েছে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াতে ছবিটি এত বেশিবার সামনে এসেছে যে এখন ছবিটিকে অনেক কমেন মনে হয়।
তবে এই সিরিজের আরও একটা পোষ্ট করার ইচ্ছে রয়েছে। ঐ পোষ্টে ছবিটি অবশ্যই সংযুক্ত করে দিবো -{@
জিসান ভাইয়া, আপনি আমাকে ‘তুমি’ করে সম্বোধন করলে ব্যাপারটা আমার কাছে ভালো লাগবে। আমি বয়সে এবং অভিজ্ঞতায় আপনার থেকে অনেক ছোট। ‘আপনি’ সম্বোধন করে সেই দূরত্ব আরও বাড়িয়ে দিবেন না, প্লিজ 🙂
ছবি গুলি খুব আনকমন না হলেও একত্রে একসাথে নিজেদের ভাষায় অন্য কোন সাইটে পেলাম না বলেই কাজটি করেছি।
একবার এক ফটোগ্রাফার ভদ্রলোক বলেছিল, যতক্ষণ একটা ফ্রেম তোমার চোখে দেখা পুরো গল্পটা এক দেখায় প্রকাশ করতে না পারবে ততক্ষণ পর্যন্ত তোমার ফ্রেমটা সঠিক নয় (সরাসরি কথাটা এমন নয়, তবে কাছাকাছি এমন একটা কথা তিনি বলেছিলেন)। আর এখানে থাকা প্রতিটা ফ্রেম সেই শর্ত পূরণ করে। প্রতিটা ফ্রেম বন্দী ছবি তার সময়ের সকল গল্প বলে দেয় প্রথম দেখাতেই।
কৃতজ্ঞতা হেলাল ভাই, এমন চমৎকার মন্তব্যে উৎসাহ যোগাবার জন্যে -{@
২৭টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
কোন কথা নয়, সোজা প্রিয় লিস্টে নিয়েছি। অসাধারন একটি পোস্ট, ছবিগুলো প্রত্যেকটি অসাধারন। অপারেশনের পর ডাক্তারের নিবিড় পর্যবেক্ষনের ছবিটা অদ্ভূতভাবে নাড়া দিয়েছে। অনেক ধন্যবাদ এমন পোস্টের জন্য।
অলিভার
ধন্যবাদ শূণ্য আপু 🙂
আন্টির কি অবস্থা তা আর জানা হয়নি। কেমন আছেন তিনি?
শুন্য শুন্যালয়
আম্মা এখন ভালো আছেন, শুধু ঘুম অনেক কমে গেছে। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে আশাকরি, সমস্যা হলো আম্মার ডায়াবেটিস কনট্রোলে থাকছে না। দোয়া করবেন অলিভার। জিজ্ঞেস করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
মৌনতা রিতু
এক কথায় অসাধারন কিছু ছবি দেখলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ।
অলিভার
সময় নিয়ে দেখার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ 🙂
ব্লগার সজীব
অলিভার ভাইয়া, কি বলবো এসব ছবি দেখার পর ভেবে পাচ্ছিনা। অসাধারন। প্রিয়তে নিলাম।
অলিভার
😀 পোষ্ট করা স্বার্থক! :v :v
অপার্থিব
ভাল কালেকশন। সাউথ আফ্রিকান ফটোগ্রাফার কেভিন কার্টারের পুলিতজার পুরস্কার জয়ী একটা বিখ্যাত ছবি আছে, এই পোষ্টে সংযুক্ত করলে ভাল হত।
অলিভার
ধন্যবাদ ভাই 🙂
ঐ ছবিটিও সংগ্রহে রয়েছে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াতে ছবিটি এত বেশিবার সামনে এসেছে যে এখন ছবিটিকে অনেক কমেন মনে হয়।
তবে এই সিরিজের আরও একটা পোষ্ট করার ইচ্ছে রয়েছে। ঐ পোষ্টে ছবিটি অবশ্যই সংযুক্ত করে দিবো -{@
আবু খায়ের আনিছ
অসাধারণ, ছবি কথা বলে। মন্তব্য করার কোন ভাষা আমার জানা নাই। প্রিয়তে যুক্ত হলো।
অলিভার
ছবি গুলি সত্যিই অসামান্য। বিভিন্ন সাইটে আলাদা করে শেয়ার এবং ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় তার বর্ণনা থাকার কারণে নিজের ভাষায় একত্র করার একটা প্রয়াস ছিল মাত্র।
ধন্যবাদ সময় নিয়ে পোষ্টটি দেখার জন্যে -{@
আবু খায়ের আনিছ
আপনি পরিশ্রম করে আমাদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন, ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য। শুভচ্ছে নিবেন, শুভ কামনা।
অলিভার
-{@ -{@ -{@
জিসান শা ইকরাম
অলিভার,ধন্যবাদ আপনাকে এমন অসাধারন কিছু ফটো শেয়ারের জন্য।
অলিভার
জিসান ভাইয়া, আপনি আমাকে ‘তুমি’ করে সম্বোধন করলে ব্যাপারটা আমার কাছে ভালো লাগবে। আমি বয়সে এবং অভিজ্ঞতায় আপনার থেকে অনেক ছোট। ‘আপনি’ সম্বোধন করে সেই দূরত্ব আরও বাড়িয়ে দিবেন না, প্লিজ 🙂
ছবি গুলি খুব আনকমন না হলেও একত্রে একসাথে নিজেদের ভাষায় অন্য কোন সাইটে পেলাম না বলেই কাজটি করেছি।
অনেক ধন্যবাদ সময় নিয়ে পোষ্টটি দেখার জন্যে -{@
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই ও অনেক ধন্যবাদ,
ছবিগুলোর জন্য, অনেক্ষণ তাকিয়ে থেকেছি কিছু ছবির দিকে।
সত্যিই এক একটি ছবি অনেক অনেক কথা বলে।
অলিভার
একবার এক ফটোগ্রাফার ভদ্রলোক বলেছিল, যতক্ষণ একটা ফ্রেম তোমার চোখে দেখা পুরো গল্পটা এক দেখায় প্রকাশ করতে না পারবে ততক্ষণ পর্যন্ত তোমার ফ্রেমটা সঠিক নয় (সরাসরি কথাটা এমন নয়, তবে কাছাকাছি এমন একটা কথা তিনি বলেছিলেন)। আর এখানে থাকা প্রতিটা ফ্রেম সেই শর্ত পূরণ করে। প্রতিটা ফ্রেম বন্দী ছবি তার সময়ের সকল গল্প বলে দেয় প্রথম দেখাতেই।
কৃতজ্ঞতা হেলাল ভাই, এমন চমৎকার মন্তব্যে উৎসাহ যোগাবার জন্যে -{@
মোঃ মজিবর রহমান
অসাধারন অলিভার ভাই।
ছবিই কথা বলে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অলিভার
হ্যাঁ, প্রতিটা ছবি তার সময়ের সকল গল্প বলতে পারবে 🙂
ধন্যবাদ মজিবর রহমান ভাই -{@
মোঃ মজিবর রহমান
-{@ (y)
শামীম আনোয়ার আল- বেপারী
অসাধারণ একটা পোস্ট ,,,
অলিভার
কৃতজ্ঞতা -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
একেকটি ছবি অনেকক্ষণ ধরে চেয়ে চেয়ে দেখেছি। আজ মন্তব্য করার সময়েও আবার একইভাবে দেখলাম। সময়ের গল্প ক্যামেরার ফ্ল্যাশে।
প্রতিটি ছবিই অনবদ্য। -{@
অলিভার
ছবিতে বন্দী গল্প গুলি সত্যিই অনন্য 🙂
ইলিয়াস মাসুদ
অনন্য একটা পোষ্ট….. সংগ্রহে রাখছি
অলিভার
কৃতজ্ঞতা -{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
কৃতজ্ঞতা আমাদের, দুষ্প্রাপ্য ছবিগুলো দেখানোর জন্য।