বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত বিডিআর বিদ্রোহ বা ‘পিলখানা হত্যা মামলা’র রায় প্রদান করা হয়েছে । ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের প্রায় চার বছর আট মাস পর এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে । গত ৩০ অক্টোবর মামলার রায় ঘোষণার তারিখ থাকলেও রায় প্রস্তুত না হওয়ায়, ওইদিন রায় ঘোষণার জন্য ৫ নভেম্বর নতুন তারিখ ঠিক করা হয়।
রায়ে ১৫২ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বেকসুর খালাস পেয়েছেন ২৭১ জন। সাবেক সাংসদ নাসিরউদ্দিন পিন্টু এবং আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ১৬১ জনকে। পিন্টু ও তোরাব আলীকে ৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেছেন আদালত।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল গণমাধ্যমকে বলেছেন, ইতিহাসে এত বড় মামলা আর কখনো হয়নি। মামলায় সাড়ে আট শ আসামির বিষয়ে প্রায় সাড়ে ছয় শ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনাকর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। এ ঘটনায় প্রথমে রাজধানীর লালবাগ থানায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। পরে এসব মামলা নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তর করা হয়। এ মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২৩ বেসামরিক ব্যক্তিসহ প্রথমে ৮২৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে সম্পূরক অভিযোগপত্রে আরো ২৬ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। এ ছাড়া বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় প্রথমে ৮০৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করে সিআইডি। পরে আরো ২৬ জনকে অভিযুক্ত করে মোট ৮৩৪ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। দুই মামলার বিচার একইসঙ্গে চলে।
মামলায় ২০ জন আসামি পলাতক রয়েছেন। বিচার চলার সময়ে বিডিআরের ডিএডি রহিমসহ চার আসামির মৃত্যু হয়। জামিনে আছেন ১৩ জন। বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ইতিমধ্যে এ বাহিনীর নিজস্ব আইনে বিচার শেষ হয়েছে। তবে ৭৪ জনকে হত্যা, লুণ্ঠনসহ অন্য অভিযোগের বিচার প্রচলিত আইনে পরিচালিত হয়েছে।
সুত্রঃ দৈনিক কালের কন্ঠ
এ সম্পর্কে একটি যুক্তিপুর্ন এবং ভালো লেখা ,বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পূর্ব ও পরবর্তী প্রেক্ষাপট পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
১১টি মন্তব্য
আদিব আদ্নান
আবার ধিক্কার এই বর্বরতাকে ।
প্রজন্ম ৭১
ধিক্কার জানাই আমরা
লীলাবতী
এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটুক । রায়ে খুশি আমি ।
ছাইরাছ হেলাল
হোক এ বর্বরতার চির অবসান ।
খসড়া
এ বড় লজ্জার, ঘৃনার , হিংস্রতার, বর্বরতার ,নির্মমতার,আত্মগ্লানির ইতিহাস। এ হাহাকার মুছা যায় না।
বনলতা সেন
সত্যিই এ বড়ই লজ্জার , একি সাথে ঘৃণার ও।
জিসান শা ইকরাম
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য শুকরিয়া আল্লাহ্র প্রতি।
আর যেন এমন ঘটনা না ঘটে , আল্লাহ্র কাছে এই প্রার্থনা করি।
নীহারিকা
মর্মান্তিক! এমনটা আর না ঘটুক।
মা মাটি দেশ
অত্যান্ত সাহসিকতায় দ্রুত এত বড় মামলা শেষ করায় সরকারকে ধন্যবাদ দিতে হয়।
ফাহিমা কানিজ লাভা
ইতিহাসের কালো একটা অধ্যায়। এমন দিন আর না আসুক জাতির জীবনে।
প্রিন্স মাহমুদ
এমন দিন আর না আসুক