
কবি হবার স্বপ্ন ছিলো (কবি হবো), কিন্তু স্কুলের ইংরেজি স্যার হতে দিলেন না। ইচ্ছে ছিলো পুলিশ হবো (পুলিশ হবো), কিন্তু মানুষ পেটানোর জন্য আধুনিক প্রযুক্তির কথা শুনে বাদ সাধলেন কর্মকর্তারা। আরে, কিছুতো একটা হতে হবে! নেমে পড়লাম ব্লগার হতে। শুনেছি ব্লগার হবার জন্য কোন ধরাবাঁধা নিয়ম নাই। যাহা ইচ্ছে তাহাই লেখা যায়। এ সুযোগ আমি এবার ব্যবহার করবোই করবো। অন্য কিছু যেহেতু হতে পারছিনা, ব্লগার আমাকে হতেই হবে।
ব্লগার হতে হলে কী কী করতে হবে, জানতে হবে। সন্ধানে নামলাম এবং নেমেই হোঁচট। আমি কিছু মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখি নেটের মাধ্যমে। সেখানে শুধু কাজের কথা হয়। নতুন প্রযুক্তির আলোচনা। কেউ কোন প্রযুক্তি নিয়ে আটকে গেলে অন্যরা সাহায্য করে। আমি ইচ্ছে করলেই যা খুশী তা লিখতে পারিনা সেখানে। সেই মাধ্যম গুলোকেও নাকি ব্লগ বলে। তাহলে আমিতো ব্লগার হয়েই আছি! আমার আবার ব্লগার হতে হবে কেন! কারণ, আমি যাহা ইচ্ছে তাহা লিখিতে চাই। শুরু হলো খোঁজ দ্যা সার্চ।
নেটে বাংলায় “ব্লগ” লিখে খোঁজা শুরু এবং আবার অবাক। এত ব্লগ আছে আমার দেশে! তাহলেতো অনেক ব্লগার থাকার কথা। আর আমি কিনা তার একজন নই! বেশ কিছু ব্লগ খুঁজে তাদের আইনকানুন পড়া শুরু। প্রত্যেকটি ব্লগেরই নিজস্ব কিছু নিয়মের বর্ণনা আছে। দুএকটা আবার বেশ কড়া। একসময় সোনেলা নামের একটা ব্লগ পেলাম। নামটাতো বেশ পছন্দের। তাদের আইনকানুন গুলোও বেশ সহনশীল মনে হলো। ব্যস, পড়া চলছে সোনেলার লেখা আরও চলছে ব্লগের তথ্য যোগাড়। অনেক ভালো ভালো লিখিয়েরা আছেন এখানে। লেখার চাইতে আরো উন্নত তাদের মন্তব্যগুলো। মনে হচ্ছে মন্তব্যও একটা বড় ভুমিকা রাখে ব্লগে। একজনের লেখা আরও উন্নত করা যায় কি করে। একজন একজনকে সাহায্য করছেন। মুশকিল হলো, কেউ এই আলোচনা ভালো ভাবে নিচ্ছেন, কেউ নিতে পারছেন না। এই নিতে না পারা লেখকদের লেখা কেমন যেন একজায়গায় আটকে থাকছে। একদিন অনেক সাহস নিয়ে সোনেলাতে আবেদন করে বসলাম।কর্তৃপক্ষ বেশ আন্তরিক ভাবে আমাকে সদস্য বানিয়ে নিলেন। তারপর একদিন আরো একটু বেশী সাহস নিয়ে লিখেই ফেললাম কিছু একটা (অবশেষে আমি যখন সোনেলায়)। যাক বাবা, ব্লগারতো হয়ে গেলাম। যা চেয়েছি, পেয়েতো গেলাম। এখন আমি যাহা খুশী তাহা লিখিতে পারিব। কিন্তু না, আমি তৃপ্ত নই। কারণ ব্লগের অনেক অলিখিত আইনকানুন আছে যা আমি জানিনা। একজন ভালো ব্লগার হতে হবেতো! শুরু হলো খোঁজ দ্যা সার্চ আরো একবার।
একটা সাক্ষাৎকার উদাহরন হিসাবে দেয়া যেতে পারে। লেখক আনিসুল হক তার প্রথম উপন্যাস নিয়ে হুমায়ুন আহমেদের দ্বারস্থ হলেন। হুমায়ুন সাহেব এই গুণী লেখকের হয়তো ভবিষ্যৎ দেখেছিলেন। বই ছাপাতে সাহায্য করলেন এবং প্রথম পাঠক হিসাবে প্রথম বইটিও কিনলেন। এরপর আনিসুল হক হুমায়ুন সাহেবের সাথে লেগে থাকলেন অনেক দিন। একসময় হুমায়ুন সাহেব আনিসুল হককে বললেন, “আমি অনেক আগে মনের খুদা মিটাতে লিখতাম। কিন্তু এখন টাকার জন্য লিখি। তুমি এখন থেকেই টাকার জন্যই লিখো”। তাহলে আমার মত ব্লগার কিসের জন্য লিখবে! এখানেতো কোন টাকা পাবার ব্যবস্থা নাই। শুধু কি লেখক, যারা এই ব্লগগুলো পরিচালনা করেন, তারা কজনই বা তা দিয়ে আয় করেন। অন্তত সোনেলার যে কোন আয় নেই তা আমরা ইতিমধ্যেই যেনে গেছি। তাহলে তারা কেনো ব্লগ চালাচ্ছেন! তারাও কি তাদের মনের খুদা মিটাতে চাচ্ছেন এদিয়ে! তাদের কি চেষ্টা কিছু ভালো লেখক তৈরি হোক যারা শূন্য থেকে একদিন ভালো লেখক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হবেন আর সোনেলা তৃপ্ত হবে! কী জানি!
অলিখিত আইন বা আদর্শ যে কয়েকটা খুঁজে পেলাম –
১) সামাজিক যোগাযোগ আর ব্লগকে কখনো এক মাপে দেখা ঠিক না। প্রতিটি ব্লগ একটা উদ্দেশ্য নিয়ে চালানো হয়। সোনেলার প্রধান উদ্দেশ্য সুস্থ সাহিত্য চর্চা। এখানে শুধু সাহিত্যই থাকুক। আড্ডাবাজি করারতো অনেক মাধ্যম আছে।
২) লেখক লিখবেন তার মনের খাদ্যের জন্য। সেখানে কপি পেস্ট খাবার কি করে খাবেন!
৩) যেহেতু বাংলা সাহিত্য চর্চা, ইংরেজি অক্ষর ব্যাবহার না করাই উত্তম। যেখানে কারো উক্তি ইংরেজি না দিলেই নয়, সেখানে তো আর কিছু করার নাই।
৪) লেখায় যদি কোন সুত্র থাকে, তা উল্লেখ করে আইনগত দিক থেকে নিজেকে মুক্ত রাখি। সেটা কোন ওয়েবসাইট বা ছবি হোক না কেন।
৫) পাঠকের মন্তব্য ভালো ভাবে নেয়ার মানসিকতা থাকা উচিত। কারন তাতে আপনার লেখার আরো উন্নতিই হবার কথা।
৬) ব্লগ পরিচালকেরা মাঝে মাঝে কিছু লেখাকে স্টিকি করে রাখেন। কারণ সবাই যেন সেটা পড়েন। একজন আদর্শ ব্লগারকে অবশ্যই প্রতিটা স্টিকি পোস্টে যাওয়া উচিৎ এবং তার উপস্থিত জানানো উচিৎ।
৭) মন্তব্য যা আপনি প্রকাশ করেন নিজ জ্ঞানে, যেখানে থাকে লেখাটির বিশ্লেষণ ও আপনার মতামত। কিছু কথ্য কথা দিয়ে দায় সেরে দিলাম, এটা কখনোই আপনার বা অন্যের মেধা বিকাশ করতে সাহায্য করবে না। বরং লেখকের বিতৃষ্ণা উৎপন্ন করে। লেখাটার ভালো-মন্দ নিয়ে আপনার মতামত দিয়ে আপনি যেমন লেখককে উৎসাহ দিচ্ছেন, তেমনি আপনার মেধা বিকাশের পথটাও আরো মসৃণ করছেন।
৮) জবাব, কেউ আপনার লেখাটি পড়ে তার মতামত, ভালো লাগা মন্দ লাগা প্রকাশ করেছেন। আপনার সেই মন্তব্যের ব্যাপারে উদার হওয়া প্রয়োজন। শুধুমাত্র ধন্যবাদ/সাধুবাদ না জানিয়ে তার মন্তব্যে আলোচনা রাখুন। মন্তব্যকারীকে যথার্থ ধন্যবাদ জানানোর জন্যে শুধুমাত্র ধন্যবাদ শব্দটি যথেষ্ঠ নয়। জবাব এমনভাবে দিন, যেনো মন্তব্যকারী আপনার পোস্টে আসতে কখনো আগ্রহ না হারায়।
এই যদি হয় লিখিত এবং অলিখিত আইন, আমার ব্লগার হবার স্বপ্ন এখানেই শেষ।
ছবি সুত্রঃ নেট থেকে নেয়া
৬১টি মন্তব্য
ইঞ্জা
সুন্দর করে অনেক কিছুই বুঝিয়ে দিলেন ভাইজান, সাথে জানলাম আপনার প্রথম ব্লগে আসার ঘটনা, খুব ভালো লাগলো।
আপনার শেষের দুই বক্তব্যের সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত, গঠনমূলক মন্তব্য, ফিরতি মন্তব্য সত্যি একজন ব্লগারকে যেমন উৎসাহিত করে, তেমনি মন্তব্য দাতারও পরিচিতি বাড়ে।
সুন্দর পোস্টটির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
নাসির সারওয়ার
আমি শধু আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম দায়িত্ব বোধ থেকে। কেউ যদি ভালো ভাবে নেয়, অবশ্যই আমার ভালো লাগবে। এই যেমন আপনি ভালো ভাবে নিলেন।
মন্তব্য প্রতিমন্তব্য একজন ব্লগারের মেধাও প্রকাশ করে।
ভালো থাকুন। সুস্থ সাহিত্যের মধ্যেই থাকুন।
ইঞ্জা
ভাইজান এইসব আমি আপনাদের কাছেই শিখেছি এবং শিখছি, আপনাদের সুনাম যেন অক্ষুণ্ণ রাখতে পারি সেই দোয়া রাখবেন।
নাসির সারওয়ার
আরে আমরা আমরাইতো। মিলেমিশে সোনেলাকে এগিয়ে নেবো অনেক উঁচুতে।
শেখার কোন বয়স নেই, নেই ক্ষন দিন। আমি এখনো শিখছি, ব্লগার কি!
ভালো থাকুন।
শামীম চৌধুরী
আপনার অলিখিত আইন ও খুঁজে পাওয়া আদর্শগুলি পড়ে ভাল লাগলো।
আপনার আগমনটাও অসাধারন।
শুভ ব্লগিং।
নাসির সারওয়ার
এ আমার একান্ত নিজের মতামত। আপনি ভালো ভাবেই নিলেন। আমি ধন্য।
আপনার উৎসাহ শাথেই থাকলো।
ভালো থাকুন।
সুপায়ন বড়ুয়া
“যাক বাবা, ব্লগারতো হয়ে গেলাম। যা চেয়েছি, পেয়েতো গেলাম। এখন আমি যাহা খুশী তাহা লিখিতে পারিব। কিন্তু না, আমি তৃপ্ত নই। “
তাই তো বলি লিখতে থাকুন।
সোনেলার সাথে থাকুন
লিখতে যেহেতু ভালই পারেন
সাহিত্য চর্চায় ব্যস্ত রাখুন
শুভ কামনা।
নাসির সারওয়ার
ভালো লিখতে পারলাম কই,
হাবজাব তাই ই সই।
অনেক সুন্দর একটা মন্তব্য যা সুস্থ সাহিত্যের জন্য খুবই দরকার।
ভালো থাকুন।
ফয়জুল মহী
অভিনন্দন । শুভেচ্ছা
নাসির সারওয়ার
আপনার অভিনন্দন আর শুভেচ্ছার কারন খুজে পাচ্ছিনা!
অনুরোধ করবো এই সস্তা মন্তব্যের বেড়া জাল থেকে বের হয়ে আসুন।
আপনার জন্য লেখাটার কিছু অংশ আবারও তুলে দিলাম।
———————–
৭) মন্তব্য যা আপনি প্রকাশ করেন নিজ জ্ঞানে, যেখানে থাকে লেখাটির বিশ্লেষণ ও আপনার মতামত। কিছু কথ্য কথা দিয়ে দায় সেরে দিলাম, এটা কখনোই আপনার বা অন্যের মেধা বিকাশ করতে সাহায্য করবে না। বরং লেখকের বিতৃষ্ণা উৎপন্ন করে। লেখাটার ভালো-মন্দ নিয়ে আপনার মতামত দিয়ে আপনি যেমন লেখককে উৎসাহ দিচ্ছেন, তেমনি আপনার মেধা বিকাশের পথটাও আরো মসৃণ করছেন।
৮) জবাব, কেউ আপনার লেখাটি পড়ে তার মতামত, ভালো লাগা মন্দ লাগা প্রকাশ করেছেন। আপনার সেই মন্তব্যের ব্যাপারে উদার হওয়া প্রয়োজন। শুধুমাত্র ধন্যবাদ/সাধুবাদ না জানিয়ে তার মন্তব্যে আলোচনা রাখুন। মন্তব্যকারীকে যথার্থ ধন্যবাদ জানানোর জন্যে শুধুমাত্র ধন্যবাদ শব্দটি যথেষ্ঠ নয়। জবাব এমনভাবে দিন, যেনো মন্তব্যকারী আপনার পোস্টে আসতে কখনো আগ্রহ না হারায়।
—————
ভালো থাকুন।
সুরাইয়া পারভীন
আপনার প্রত্যেকটি অলিখিত আইন আদর্শ যথার্থ ভাবে পালনের চেষ্টায় থাকবো ভাইয়া। তবে একটা কথা বলতে চাই আমি কিন্তু গঠনমূলক সমালোচনা সবসময় সুন্দর ভাবে নিয়েছি। আর তার ফলে অনেক কিছু মানে আমার অনেক ভুল শুধরে নিয়েছি। গঠনমূলক সমালোচনা নিয়ে কখনো বাকবিতন্ডা জড়াইনি নিজেকে।
আর অন্যের লেখা যতোটুক বুঝি সেটা উপস্থাপন করার চেষ্টা করি সবসময়। আর যে লেখা আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে প্রবেশ করে না তাতে মন্তব্য করার দুঃসাহস দেখাই না
চমৎকার পোস্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়
নাসির সারওয়ার
শুনে ভালো লাগলো। আসলে এটা আমার নিজেস্য মতামতের প্রকাশ। মনে হচ্ছিলো শেয়ার করলে কারো উপকারও হতে পারে।
আপনি গ্রহন যোগ্যতাই আপনার মেধার পরিচয়। আমি অনেক খুশি হই যখন কেউ বানান ভুল ধরে দেয়। বাক্য গঠন নিয়ে আলোচনা করে। সবচাইতে বেশী ভালো লাগে যখন কেউ বলে “ওখানে আরো উন্নত করা যেত যদি এই বিষয় নিয়ে আসা হত।”
এখানকার অনেক লিখিয়েদের লেখা আমিও বুঝিনা। তখন সেটাও বলে দেই যা আমার কাছে সহজ ব্যপার মনে হয়।
ধন্যবাদ আপনাকেও সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য যা আমাকে আরো লিখতে সাহায্য করবে।
ভালো থাকুন।
বন্যা লিপি
এটা কি হলো? ঝপাৎ করে লেখা খতম করে ফেললেন মনে হলো? আরো বাকি আছে মনে হচ্ছিলো। আপনি এত কম লেখেন কেন এ প্রশ্নের জবাব আগে দিন। কিছু কিছু কলম থাকে ব্রাণ্ডেড। যে কলমে হাতের লেখা সুন্দর হয় বলে সৌখিন কলমধারীরা লেখেন। লেখা লিখতে যদি কলম সাহায্য না করে সর্বোচ্চ গতিশীলতা দিয়ে, তাহলে গুছিয়ে রাখা মগজও বিগড়ে যায়। আপনার ব্লগীয় চিন্তাধারা নিয়ে লেখা পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিলো…..এই লোকের লেখা থেকে সোনেলা কতখানি বঞ্চিত? এবং কেন? সুস্পষ্ট বক্তব্য উপস্থাপন নিয়ে এই পোষ্ট যথাযথ গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার লেখা থেকে বঞ্চিত করবেন না প্লিজ।
সপ্তাহে একটা করে লেখা দিলেও মাসো চারটা লেখা পাবো পড়তে। বাকি ব্লগাররাও আপনার লেখনী পড়ে শেখার অনুষঙ্গ খুঁজে পাবে কথাটা মাথায় রাখবেন।
শুভ কামনা।
নাসির সারওয়ার
মানে! এটা একটা লেখা যা সোনেলায় লেখা যায়।
ঝপাৎ নিয়ে একটা গল্প মনে পরেছে। ৭০/৮০ দশকে বিটিভিই ছিলো একমাত্র বিনোদনের জায়গা। সপ্তাহে দুএকটা নাটক যার জন্য বাসার সবাই অপেক্ষায় থাকতাম। তখনকার নাটকে যেমন বিনোদন ছিলো, ঠিক তেমনি সামাজিক দায়বারও শেখা যেতো। যেমনএকটা নাটকের মাঝে একটা শ্লোগান শিখেছিলাম, “তুই রাজাকার”। তারপর আরো অনেক শিক্ষণীয় বিষয় ছিলো যা আজকাল তেমন দেখা যায় না। যা বলছিলাম, “পারলেনা রুমকি” নামে একটা নাটক দেখছিলাম। অসাধারণ উপভোগ্য একটা গল্প আর অভিনয়। একসময় হঠাৎ করেই শেষ হয়ে গেলো। অথচ কত কিছুই না দেখাতে পারতো। পরিচালক সাহেব দর্শকদের চিন্তার খোঁড়াক রেখে পালিয়ে গেলেন। সেই যে শিখেছিলাম, আমার এই লেখাটা তারই ফসল। পাঠক কিছু ভাবুক বা এড করে নিক।
দেখুন, লিখতে হলে অনেক পড়তে হয়। আমার কাজের প্রয়োজনে অনেক পড়তে হয় এবং মাঝে মাঝে পরীক্ষাও দিতে হয়। তাই বাইরের পড়ার সময় বের করা বেশ কঠিন। আর তাই লেখাও হয়না। তবে আপনার উৎসাহ রেখে দিলাম আনন্দের সাথে।
অনেক গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অনেকগুলো ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন। সুস্থ সাহিত্যের মাঝেই থাকুন।
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনার পোস্ট পড়লাম ভাই। মুল কমেন্ট করার আগে কিছু আলোচনা রাখছি যেটা এই পোস্ট এবং নিজস্ব উপলব্ধি দিয়ে অনুভব করেছি। অবশেষে লেখক আর ব্লগারের পার্থক্যটা ধরতে পারলাম।
যা কিছু লেখা হয় তাই লেখা, আবার যিনি লেখেন তিনিই লেখক। এখন যে লিখতে জানেন তাকে কিন্তু আমরা লেখক বলতে পারি না। লিখতেতো কমবেশি সবাই পারেন। যার মাঝে অক্ষরজ্ঞান আছে, সে লিখবে/পড়বে। বাজারের লিস্টি, ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন, খাবারের বিল ইত্যাদিও কেউ লেখে, কেউ পড়ে। তাই এগুলো লেখা/পড়া নয়। দৈনন্দিন কাজের বাইরে গিয়ে, নিজ মনের ভেতর থেকে যা কিছু অক্ষর দিয়ে রচিত হয় তাকেই মুলত লেখা বলি, এবং যিনি লেখেন তিনি লেখক। লেখকের রচনা যিনি পড়েন তিনি পাঠক।
লেখক যখন নিজ লেখাটি পাঠকের সামনে উন্মুক্ত করেন, তখন তার চেতনা/অবচেতন মন এটাই চায় লেখাটি যেন প্রশংসা পায়, তারা আলোচনা চায়। আর সেটা পেয়েই সে তৃপ্ত হয়ে পরের লেখায় মন দেয়। এই লেখকের খুব কম সংখ্যকেরা সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না। ওয়াও, দারুণ, অভিভূত হলাম এই টাইপের কমেন্ট পেয়ে আর আন্তরিক ধন্যবাদ দিয়েই তারা লেখক জীবন সার্থক করে নেন।
কিন্তু একজন ব্লগার এগুলোর উল্টো নিয়মে চলেন। সে ততক্ষন পর্যন্ত তৃপ্ত নন যতক্ষণ না তার ভাবনার সাথে অন্যকারো ভাবনার পার্থক্য না পান। এবং কেন তার ভাবনা মতামতকারীর কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছেনা এটা নিয়েও সে ক্রমান্বয়ে ভাবতে থাকেন। একজন ব্লগার প্রকৃতপক্ষে খুব কমই তৃপ্ত হোন। সঠিক নিয়ম মেনে সুস্থ চিন্তাধারা বজায় রেখে যিনি ব্লগিং চালু রাখতে পারেন তিনিই ব্লগার। লেখক হওয়া কঠিন নয়, আর ব্লগার হতে পারা সহজ কম্ম না 🙁
নাসির সারওয়ার
“লেখক হওয়া কঠিন নয়, আর ব্লগার হতে পারা সহজ কম্ম না”।
আপনার শেষ লাইনটা দিয়ে শুরু করি প্রতি মন্তব্যের। আর আমার লেখার শেষ বাক্য দিয়েই শেষ করি। ব্লগার হবার স্বপ্ন আমার একদম শেষ।
আমার লেখার অলিখিত আইনের বেড়া জালে আমি নিজেই আটকে গেলাম। অনেক সময় ব্যয় করলাম এই মন্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণের। পারলাম না। অনেক সহজ ভাবে আপনি অনেক কঠিন বাস্তবটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন।
আমি আশা করবো অন্তত সোনেলা থেকে এই গৎবাঁধা মন্তব্যগুলো উঠে যাক। প্রয়োজনে মডারেটেরা সেগুলো মুছে ফেলুক। ওগুলো একজনের লেখাকেই শুধু ছোট করে দেখে না, ওগুলো বিরক্তিও যোগায় আর যা লেখকের ভবিষ্যত লেখা্র বাঁধার কারন হয়ে দাড়ায়।
ভালো থাকুন। সুস্থ সাহিত্য চর্চায় থাকুন এবং অন্যকে উৎসাহিত করুন যা আপনি অনেক ভালোই পারেন।
আরজু মুক্তা
অনেক কিছু নতুন করে জানলাম। এখনও অনেক পথ পাড়ি দেয়া বাকি। গাইতে গাইতে গায়েন। তেমনি ভাবে হয়তো সুনিপুণ উপায়ে ব্লগারের তকমাটা গায়ে লাগবে। অপেক্ষা সেইদিনের।
আর আপনি নিয়মিত হোন। সবার কাছ থেকে শেখার আছে।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা
নাসির সারওয়ার
যেনে খুশী হলাম।
আসলে শেখার কোন পরিধি নাই। নাই বয়স নাই সময় রেখা।
ভালো থাকুন।
নাসির সারওয়ার
ভুলে গিয়েছিলাম –
আপনার মন্তব্যের একটা বাক্যে আমার আপত্তি আছে। ‘ আর আপনি নিয়মিত হোন ‘। আপনি কোন ভাবেই আমাকে আদেশ দিতে পারেন না। আমি আপনার বন্ধু হলেও ব্লগে এভাবে লিখতে পারেন না। আশা করি কথাটা মনে রাখবেন। অন্তত আমার লেখায় ভবিষ্যতে এরকম কিছু কিছু পেলে মডারেটরদের কাছে মুছে ফেলার অনুরোধ করবো।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ব্লগার কি এটাই তো জানতাম না, তাদের কাজ কর্ম সম্পর্কে কোনো ধারণা থাকার ই কথা নয় তাই। ব্লগার মানেই নাস্তিক এটাই জেনেছিলাম ব্লগার হত্যার কথা জানার পর। সোনেলাতে আসার পর , ইকরাম দাদা ভাইয়ের সাহায্যে একটু একটু করে জেনেছি ব্লগ সম্পর্কে বিস্তারিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তো শুধু যোগাযোগ রক্ষা করা বলে আমার মনে হয় কিন্তু ব্লগ হলো নিজের ভাবনাগুলো কে অন্যের সাথে শেয়ার করে তাদের মতামত, মন্তব্যের মাধ্যমে নিজের সুপ্ত প্রতিভাকে খুঁজে পাওয়া, মনের খোরাক পাওয়া, অন্যের ভাবনাগুলো সম্পর্কে জানতে পারা যেখানে শৈল্পিক বিষয়টি প্রাধান্য পায়, সুস্থ সাহিত্য চর্চা হয়। চমৎকার উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরত। শুভ সকাল
নাসির সারওয়ার
আমিতো এখনো জানিনা ব্লগার কি! কি কিরে কি ভাবে বা কি লেখে তাহারা!!
অনেক গুছানো মন্তব্য যা একজন আদর্শ পাঠক এবং লিখিয়ের পরিচয় দেয়। এটাই থাকা উচিৎ যা একজন লেখিয়েকে আরো উৎসাহ দেবে। লেখার আলোচনা বা সমালোচনাই যদি নায়, লেখক তার অবস্থান জানবেন কি করে! এই যে আপনি আনপার মত প্রকাশ করলেন, অবশ্যই আপনাকে সামান্য হলেও চিন্তা করতে হয়েছে। ব্যয় হয়েছে সময়। কিন্তু দেখুন, আপনি এই মন্তব্য লিখে আপনি তৃপ্ত যা আপনিই খুঁজছেন এই ব্লগে।
এই তৃপ্তি দেয়া নেয়া চলুক।
ভালো থাকুন।
আলমগীর সরকার লিটন
সুন্দর লেখেছেন অনেক অনেক শুভ কামনা জানাই————-
নাসির সারওয়ার
ধন্যবাদ পড়ার জন্য। তবে আমি আপনাকে আরো বেশী ধন্যবাদ দিতে চাই যদি আপনি লেখাটা আরো একবার পড়েন। অন্তত অলিখিত আইনের ৭ এবং ৮ নম্বর দুটো। আপনার হয়তো সামান্য সময় ব্যয় হবে। তবে আপনার হারাবার কিছু নাই। বরং আপনি কিছু পেতে পারেন যা আপনাকে ভবিষ্যৎ মন্তব্য লেখায় সাহায্য করতে পারে।
আশা করি আমার প্রতি-মন্তব্যটা সহজ ভাবে নেবেন।
ভালো থাকুন।
মোঃ খুরশীদ আলম
বেশ গুছানো অনুভূতি ও প্রস্তাবনা। ভাল লাগলো। প্রত্যেকটি কথা অনুকরণ ও অনুসরনযোগ্য বলে মনে হয়েছে।
নাসির সারওয়ার
জেনে খুশী হলাম। পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
তৌহিদ
শুধু পড়ার জন্য নয়, বোঝার জন্যে দুইবার পড়লাম লেখাটি এবং আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যে অনুভব হলো তা হচ্ছে-
আমি কোনদিন নিজেকে লেখক হিসেবে পরিচয় দেইনি। কারন সেই অর্থে লেখকীয় গুণাবলীর বেশিরভাগই আমার মাঝে নেই।
আমি নামেই ব্লগার, অথচ একজন মননশীল ব্লগার হতে পারিনি এখনো। তবে চেষ্টায় আছি।
লেখক এবং ব্লগারের সুক্ষ্ম একটি পার্থক্য আছে আর তা আপনার লেখাতেই স্পষ্ট প্রতীয়মান। আমরা লেখার জন্য লিখি, সহমত মন্তব্য পাবার আশা মনের গোপনে পুষে রাখি। অথচ পাঠকের নিজস্বতা বজায় রেখে ভিন্নমত প্রাপ্তি একজন ব্লগারের লেখাকে সবচেয়ে বেশি আবেদনময়ী করে তুলতে পারে তা আমরা ভুলে যাই বা জানিনা।
লেখাটি আমিসহ সকল ব্লগের সকল পাঠকের লেখকীয় জ্ঞানকে আরো সমৃদ্ধ করলো। শুধুমাত্র ধন্যবাদ নয়, আপনার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাছি ভাইজান। আপনার মত গুণী মানুষের কাছে পথনিদর্শন হিসেবে এরকম লেখাই চাই সবসময়।
সোনেলার জন্মোৎসবে লেখা এই পোষ্ট আমাদের পাথেয় হয়ে থাকবে। শুভকামনা সবসময়।
নাসির সারওয়ার
আপনার মন্তব্যের প্রতি-মন্তব্য লিখতে আমার কিন্তু সময় ব্যয় করতে হয়েছে। প্রথম কারন, আমি কি বুজতে পারছি এই মন্তব্যের ভিতরে কি আছে! একটা গঠনমূলক মন্তব্যই সে স্থানে লিখিয়েকে নিতে পারে যা আপনি অনেক ভালো ভাবেই করেছেন।
আসলে আমি টুকটাক লিখি মনের খোঁড়াকের জন্য। চেষ্টা করি নিজের অভিজ্ঞতা অন্যের সাথে শেয়ার করতে। কারো যদি ভালো লাগে, তাতে তৃপ্ত বোধটা একটু বেড়ে যায়। যদিও জীবনের তাগিতে সে পরিমান লেখা হয়ে উঠছেনা।
এবার আপনার জন্য প্রশ্ন – আপনি কি আপনার মন্তব্য লিখে তৃপ্ত! আমার বিশ্বাস হ্যাঁ। এই তৃপ্তি কাউকে বোঝানো যায় না। এরপরে আপনার লেখা কয়জনে পড়লো, কে কি মন্তব্য করলো, তাতে আপনার তেমন কিছু যাবে আসবে না। কেউ যদি আপনাকে আপনার লেখা উন্নত করতে সাহায্য করে, তবেই আপনি তৃপ্ত হবেন।
আমার এই লেখাটা আপনার ভালো লেগেছে যেনে কৃতজ্ঞ হলাম।
ভালো থাকুন। সুস্থ সাহিত্য চর্চায় থাকুন। অন্যকে ভালো লেখার জন্য উৎসাহিত করুন।
তৌহিদ
আমি মন্তব্য লিখে তখনি তৃপ্ত হই যখন লেখক আমার বক্তব্যকেও প্রাধান্য দেন। একজন ভালো লেখক অন্যের কথাকেও গুরুত্ব দেন যা মন্তব্যে ভালোলাগা তৈরি করে। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয় ভাইয়া।
নাসির সারওয়ার
আমার ভাবনা সামান্য ভিন্ন। আমি নিজে মনের খোড়াক পেলেই খুশি।
কে কি ভাবলো তা তো আমি কন্ট্রোল করতে পারিনা। তাই সেসব ভেবে নিজে কোন কষ্ট নিতে চাইনা।
আসলে আমরা সবাই ভিন্ন।
ভালো থাকুন।
জিসান শা ইকরাম
আপনার এই পোস্টে অনেক কিছু জানার ও শেখার আছে।
বিস্তারিত মন্তব্য নিয়ে আসছি রাতে।
শুভ ব্লগিং।
নাসির সারওয়ার
অনেক ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়ার জন্য। যদিও জানি আপনি আপনার চোখ নিয়ে একটু আদটু ঝামেলায় আছেন।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। সোনেলাতেই থাকুন সবার কাছে উদাহরণ হয়ে।
ছাইরাছ হেলাল
কবি দেখছি কোমড় বেঁধে নেমেছে, কথার/লেখার ছলে ছলে আমাদের নানান বুদ্ধি-শুদ্ধি দিচ্ছে।
এই ছিল মনে !! আপনার এ সব পাম-পুপে/আমপট্কানিতে পড়মু না। কবি/লেখক/ব্লগার কোনটাই হমু না।
দেখি আপনি কতশত অভিজ্ঞতার ফুলঝুড়ি দেখতে পারেন।
চালু রাখেন। কবি।
নাসির সারওয়ার
কোমড় আর বাধতে পারলাম কই। একজনের লেখায় কিছু আলোচনা করেছিলাম, উনি প্রতি মন্তব্য দেখাবার সৌজন্য টুকুও দেখাননি।
তবে ইস্কুল আমি খুলবোই খুলবো। সে যদি একজন ছাত্রও পাওয়া যায়।
আপনিতো আছেন। তবে আপনাকেও পরিক্ষায় মাধ্যমেই আসতে হবে।
মাঝে মাঝে এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা দেখে খারাপ লাগে। কেমন যেনো ইদুরের দৌড় দৌড় ভাব অনেকের মাঝে। কেমন করে পাঠক আর মন্তব্য সংখা বাড়ানো যায়, তাই নিয়ে ব্যস্ত। লেখার মান কেমন করে উন্নত করা যায়, তার দিকে কোন নজর নেই।
ভালো থাকুন।
ছাইরাছ হেলাল
আমি ছাত্র হতে চাই, তবে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন ও অবাধ নকলের সুযোগ সহ ,
এবারে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কেমন ছাত্রের পাল্লায় আপনি পড়বেন !!
টোল প্লাজা খুলে গ্যানের চাদর মেলে সব্বাইকে ধন্বন্তরি ঔষধ খাওয়াতে চাওয়া ভাল,
গ্যানের সমুদ্দুর কতদূর কে জানে।
নাসির সারওয়ার
ধাস্তাধস্তি করে খাওয়ানো বেশ কঠিন। তবে অসম্ভব নয়। কাউকে না কাউকে ঘন্টি বাঁধার চেস্টা করতে হবে। একজনকে দেখে আরো একজন এগিয়ে আসবে। আশা নিয়ে থাকি সেদিনের।
কোন প্রকার নকলের সুযোগ থাকবেনা। আপনার মত ছাত্র নিধন শুরু হোল আজ থেকে।
রোকসানা খন্দকার রুকু
এত কিছু কোনকালেই জানা ছিল না।কোনটাই যখন না তখন বড় ভাইয়ের সাথে একটু ঝগড়া করে নেই।মাফ করবেন ভুল হলে॥
কবি,লেখক,ব্লগার ইত্যাদি হবার আশায় যখন এসেই পড়েছি তখন আমাদের ভুলত্রুটি ধরিয়ে আজকের মত করে লিখে,কমেন্ট করে ধরিয়ে দিলে বড় উপকার হতনা?
হঠাৎ হঠাৎ এসে প্রেসারটা হাই করে পালিয়ে যান।তখন আমরা আগডুম বাগডুম ঘোড়াডুম দিয়ে সোনেলার বারোটা বাজিয়ে দেই॥
সবখানেই শেখার জন্য শিখিয়ে দেয়ার মত কিছু মানুষের দরকার হয়। তাই কষ্ট করে হলেও আমাদের জন্য একটু সময় দিন।
ভালো থাকবেন ভাইয়া। শুভ কামনা।
নাসির সারওয়ার
দুএকজনের লেখায় যে আলোচনা করিনি, তা কিন্তু নয়। তবে সেই দুএকজন প্রতি মন্তব্য দেবার প্রয়োজন বোধ করেননি। তারপর আমার উৎসাহে ভাটাতো পরতেই পারে।
আপনার এই গঠনমূলক মন্তব্য যেকোন লিখিয়েকে উৎসাহই দেবে এবং আমি তা ভালো ভাবেই নিলাম।
সবশেষে আপনাকে বলি, লেখালিখি আমার কম্ম নয়। যা পড়েছেন তা শুধু একান্তই নিজের অনুভূতি।
মাঝে মাঝে এইসব ছাইপাঁশ বিয়ে হাজির হবো।
ভালো থাকুন।
মনির হোসেন মমি
আমি এতোটাই লেট মমি যে এতো গুরুত্বপূর্ণ একটা পোষ্টে মন্তব্যেও এলাম প্রায় সবার শেষে তাই কে কী মন্তব্য দিলো আপনি কী উত্তর পোষ্ট সহ সবিই পড়লাম।পড়ে কী বুঝলাম! কিছুই না যেই লাউ হেই কদু-ব্লগে যে লিখছি এই ঢের বেশী।এমন মনোভাবে যারা আছেন তারাতো নিজেরাও ক্ষতিগ্রস্থ হন আর যিনি লেখক তিনিও বঞ্চিত হন শিখার উৎস হতে।এটা আমাদের লেখক ব্লগার কারোই কাম্য নয়।আমি বরাবরই চাই-আমার লেখায় বানান,বিষয় বস্তু নিয়ে গঠন মুলক আলোচনা হউক তাতে একজন লেখক হিসাবে আমার লাভটাই বেশী।
চমৎকার বিশ্লেষণমুলক পোষ্ট আর প্রতিটি মন্তব্য জবাব সব ছিলো প্রানবন্ত। খুব ভাল লাগলেও ব্লগার রুকুর সাথে একমত।আমাদের আর বঞ্চিত করবেন না অন্তত সপতাহে মাসে একটি পোষ্ট হলেও যেন সোনেলায় পড়তে পারি।
নাসির সারওয়ার
দেরি কোন বিষয় না। আপনি অনেক দিনের সোনেলার খুটি। কত সহজ ভাবে নিজের আবেগ নিয়ে এসেছেন এই মন্তব্যের মাঝে। আমাদের চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাই। কেউ যদি নিজেকে উন্নত করতে পারে, দেখেতো ভালো লাগার কথা।
আসুন, সবাই মিলে সুস্থ সাহিত্যের জন্য কাজ করি যেন সবাই তা নিয়ে সোনেলাকে আরো কয়েক ধাপ উপরে নিতে পারি।
ভালো থাকুন।
হালিম নজরুল
লেখাটা পড়ে অন্তত এটা মনে হল যে আপনি আমার চেয়ে ভাল ব্লগার। শুভেচ্ছা আপনাকে।
নাসির সারওয়ার
আমার ব্লগার হবার সপ্ন শেষ। ব্লগার হওয়া সহজ কম্ম নয়। আমাকে আরো জেনেশুনেই আসতে হবে।
অতএব, আমার সাথে আপনার কোন তুলনা না আনাই শ্রেয়।
ভালো থাকুন।
রেজওয়ানা কবির
আপনি অনেক গুছিয়ে লেখেন ভাইয়া।শুভ জন্মমাস সোনেলা। আরো অনেক দুর এগিয়ে যাবে সোনেলা আশা করি। এই সোনেলার জন্যই আমার নিজেকেও একজন ছোট ব্লগার ভাবতে ভালো লাগে। ভালো লাগল।ব্যক্তিগত কারনে কম আসছি সোনেলায় কিন্তু আবার ফিরে আসবো ইনশআল্লাহ খুব তাড়াতাড়ি।
নাসির সারওয়ার
লেখালিখি আমার কম্ম নয়। যা পড়েছেন, সবই হাবজাব।
ব্লগারের কোন ছোট বড় নেই। কিছু নিজস্ব সত্যা নিয়ে লিখে ফেলুন, অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন, সামনে এগুনো কোন ব্যপার না।
অনেক গোছানো মন্তব্যের জন্য ধনবাদ।
ভালো থাকুন।
রেজওয়ানা কবির
ইনশাআল্লাহ ভাইয়া।অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সেটা শুধু ব্লগে নয়,বাস্তবে ও হতে চেষ্টা করি কেননা আমার মানে হয় সম্মান দিলেই সম্মান পাওয়া যায়।সত্যি বলছি আপনি অনেক ভালো লেখেন।ভালো থাকবেন সবসময়।
নাসির সারওয়ার
আপনার ভালো লাগাটা বেশ ভালো ভাবেই রেখে দিলাম।
“সম্মান দিলেই সম্মান পাওয়া যায়” – নির্ভেজাল সত্যি।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাই খবর আছে। আবার দেখা হবে পোষ্টেই।
নাসির সারওয়ার
খবরটা জানাবেন।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাইজান আমার খবর আছে!
মোঃ মজিবর রহমান
মনে হচ্ছে মন্তব্যও একটা বড় ভুমিকা রাখে ব্লগে। ভাইজান অনেক বা অনেকের মন্তব্যের প্রতিউত্তর দিতে ঘাম ঝরে যায়, এবং গেছেও। আমি এর আগে মন্তব্যের উত্তর দুই একদিন দেরি করেও দিয়েছি।
এখানে বিশেষ করে কয়েকজনের উত্তর দিয়ে আমি অনেক দেরি করি আবার মন্তব্য লিখেও মুছে ফেলি। মনমত না হওয়ার দরুন।
আমি একটি লিখা থেকে নতুন লিখাও বাহির হয় আমার নিকট থেকে।
আমি কোন দিনই লিখক হওয়ার মত লেখা লিখতে পারিনি। এই শাহবাগ আন্দলনেই আমাকে এই ভিতর আগমন করাইছে।
আর যাই হোক ব্লগে একের পর এক উত্তত প্রতি উত্তর হত যা এখানে নাই। কিছু ব্লগার ছদ্ধ নামে লিখে কিন্তু তাদের কিছু মন্তব্য বিশাল হত গুণগতমানে।
অলিখত আইন কানুন মানতেই হয়। প্রয়োজনে আবার স্বাধিন থাকার বাহিরে যেতে না পারি।
সুন্দর গঠন মুলক লেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ভাইজান।
নাসির সারওয়ার
আপনি আপনিই। ইচ্ছে হলোও অন্য একজন হতে পারবেননা। তাই আপনি আপনার মতই থাকুন। আপনি এই সোনেলার অনেক পুরানো একটা খুঁটি। খুঁটিটা আরো শক্ত পোক্ত করুন। চেষ্টা চলুক একটা লেখার বিষয় বস্তু নিয়ে আলোচনার। এতে আপনার পরবর্তী লেখাটা ভালো হবার কথা।
আমিও কিন্তু ভুয়া নামে লিখি। আমার নাম গোলাম সারওয়ার। এখানে অন্য নাম। নাম দিয়ে কি হবে বলেন! আপনার সাথে ব্লগিও একটা সম্পর্ক আছে, থাকনা সেভাবে।
ভালো থাকুন এবং ভালো একটা গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
ভুয়া শন্দটি আমি গ্রহণ করিতে নারাজ ভাইজান। কারণ ছদ্দ (বানান্টি আমি আনিতে ব্যার্থ) খারাপ কিছু না। দেশে বিশ্বে বহু লেখক ও অন্যান্য পেশার মানুষ ব্যাবহার করে। বহুকাল থেকেই আসছে।
আপনার উপদেশ শিরোধার্য ভাই। ভাল থাকুন।
সাবিনা ইয়াসমিন
১/ আড্ডাবাজি সব জায়গাতেই চলে। ব্লগেও এর চল আছে। তবে অযাচিত আড্ডা সাময়িক আনন্দের হলেও এর প্রভাব লেখার উপর পরে। কোন কোন ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ে লেখকের ব্যক্তিত্বের উপরেও। তাই ব্লগ হোক নিজেকে সুস্থ ভাবে প্রকাশ করার সঠিক মাধ্যম।
২/ চুরি করা খাবারের স্বাদ যতই মজাদার হোক সেটার প্রশংসা যেমন প্রকাশ্য করা যায় না, তেমনি চুরি করা লেখা পড়ে ভালো লাগাটা প্রকাশ করতে আমার বিবেকে সায় দেয় না। এক্ষেত্রে আমি এগুলো বর্জন করে শান্তি পাই।
৩/ পুরো লেখা বাংলা অক্ষরে লিখে কমেন্টে ইংরেজি শব্দ/অক্ষর বা বাংলিশ লেখার মাঝে কোনো স্মার্টনেস নেই। এইসব শুধুই পাঠককে বিভ্রান্ত করা।
৪/ লেখায় তথ্যসূত্র উল্লেখ করা লেখকের নৈতিক দায়িত্ব। তথ্যসূত্র উল্লেখ করার মাঝে লেখকের কাজের স্পৃহা সঠিকভাবে উপস্থাপন হয়।
৫/ লেখা উন্মুক্ত করা হয় পাঠকের জন্যেই। পাঠকের ভালোলাগা না লাগাকে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখা লেখকের লেখাকে সার্থকতা এনে দেয়।
৬/ অকারণে স্টিকি পোস্ট গুলোতে যারা যেতে অনিচ্ছুক তারা মুলত ব্লগিও সামাজিকতার প্রতি উদাসীন। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের অভাবজনিত কারনেই এরা এমন করেন। এদেরকে বেশিকিছু না বলাই ভালো।
৭/৮/ পাঠকের মন্তব্যর মাঝে লেখক খুঁজে পান আরাধ্য অর্জন। জবাবের মাঝে থাকে লেখকের মানবিক গুণাবলির মিশ্রণ। তাই মন্তব্য এবং জবাবে ধৈর্য ও সহনশীলতার উপস্থিতি থাকা আবশ্যক।
এগুলো আপনারই লেখা, আপনি লিখেছেন অন্যভাবে। আমি বুঝেছি এভাবে। লেখক লিখবেন, জরুরি নয় পাঠক হুবুহু তাই বুঝবে। কিন্তু কি পড়লাম, কতটা বুঝলাম পাঠক হিসেবে তা লেখককে জানিয়ে দেয়া দরকার মনে করেছি। যেহেতু আমি লেখাটা পড়েছি, আমার কষ্ট হয়েছে পড়ে সম্পূর্ণটা বুঝতে তাই আমি চাইবো আমার মতামত লেখকও জানুক। লেখক যদি প্রতিউত্তর দিয়ে আমায় সন্তুষ্ট করেন তাহলে আমি তার লেখা বারবার পড়বো। কষ্ট করে পড়ে নিজের মতামত জানাবো আনন্দের সাথে, মানসিক তৃপ্তি নিয়ে। কারণ মন্তব্য এবং জবাবের মাধ্যমে লেখক-পাঠকের মাঝে যে বন্ডিং গড়ে উঠেছে সেটা আমরা কেউই নষ্ট করতে চাইবো না।
আমি মনে করি এটাই ব্লগিং।
নাসির সারওয়ার
আপনার বোঝা আর আমার লেখার মুল ভুমিকাটা একই। শুধু উপস্থাপনায় ভিন্নতা। আপনার উপস্থাপনা অবশ্যই অনেক উন্নত যা আমাকে আমার পরের লেখায় সাহায্য করবে।
এবার আপনার বোজার ১ নম্বর – আড্ডাবাজি সব জায়গাতে হয় এবং হবে। তবে অন্যের লেখায় এসে অযাচিত আড্ডা কোন লেখকের কাম্য হওয়া উচিৎ নয়। একটা ঘোষণা দিয়ে নিজের লেখায় আড্ডা হতে পারে। যদিও আপনি এ বিষয়টি একটু ভিন্ন ভাবে বলেছেন বা বুঝেছেন। সারমর্ম, আড্ডা হোক সাহিত্যের ভিত্তিতে।
আপনার অন্য সব বোঝাগুলি সাথে ৭/৮ নম্বরকে আমি অনেক উঁচুতে রাখলাম। একজন লেখকের তৃপ্তি দেয় একটা গঠনমূলক মন্তব্য। (এই যে আপনার মন্তব্যের প্রতি মন্তব্য লিখছি, আমাকে কিন্তু বেশ সময় নিয়েই লিখতে হচ্ছে)।
সোনেলায় দু চারটা হাবজাব লিখেছি। তবে এই লেখাটাকে আমি ভিন্ন ভাবে রেখে দেবো। কারন, এই লেখায় অনেক গুণী লিখিয়েদের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। যা অবশ্যই লিখতে উৎসাহ যোগাবে।
অনেক ধান্যবাদ পড়ার জন্য, বিশ্লেষণের জন্য, উৎসাহের জন্য।
সাবিনা ইয়াসমিন
স্বপ্নের শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। স্বপ্ন কেবল রুপান্তরিত হয়। মনোমত স্বপ্নের মাঝে থেকেও সুখ পাওয়া যায়। আমি স্বপ্ন দেখি লেখক হবো। এই স্বপ্ন আমাকে আত্মতুষ্টি দিয়েছে।
আর আপনার কথা যদি বলি তাহলে বলবো, আমার কাছে আপনি একজন যথার্থ ব্লগার। যাকে অনুসরণ করতে পারলে আমার লেখক হবার পাঁচ আনা স্বপ্নই পুরণ হয়ে যাবে।
নাসির সারওয়ার
সপ্নের কথ আর কি বলবো বলেন, স্বপ্ন বিহীন কোন মানুষতো বাঁচার আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে। স্বপ্ন লালন করেইতো আমরা বেঁচে আছি। তবে ব্লগার হবার স্বপ্ন আমাকে পিছিয়ে দিচ্ছে। কোথায় যেন পড়েছিলাম, ব্লগার হওয়া সহজ কম্ম নয়। লেখক হওয়াতো আরো দুরের কথা। আপনার লেখক হবার স্বপ্ন পুরন হোক। আমরাও আপনার লেখা পড়ি ভিন্ন আঙ্গিকে, ভিন্ন্য মাত্রায়, ভিন্ন্য পড়িসরে।
ব্লগার কি তাইতো এখনো শেখা হোলনা আর যথার্থ ব্লগার! তবে শুনতে কিন্তু ভালোই লাগছে। তাই আপনার জন্য বাকী ১১ আনা আমি ধারকর্জ করে হলেও এনে দেবো।
ভালো থাকুন। সুস্থ সাহিত্যে সবাইকে উৎসাহিত করুন যা আপনি অনেক ভালোই পারেন।
জিসান শা ইকরাম
কবি হতে চেয়েছিলেন, হতে পারেননি।
পুলিশ হতে চেয়েছিলেন, তাও হতে পারেন নি।
ব্লগার হতে চান, সোনেলা আপনার এই ইচ্ছেটা পুরন করুক, এজন্য অনেক দোয়া করছি। হুজুরের কাছে গিয়ে তাবিজ টাবিজ নেয়া লাগতে পারে অবশ্য।
সোনেলা ব্লগে লিখে কোনো টাকা পাওন যায় না। আমিও বিনা পারিশ্রমিকে লেখি। পারিশ্রমিক চাওয়ার কোনো উপায়ও দেখছি না। ব্লগের পাতায় বাটি চালান দিয়েও কোনো বিজ্ঞাপন দেখতেছি না। বিজ্ঞাপন থাকলে বুঝতাম যে ব্লগ টাকা আয় করতেছে। আয় করলে নির্ঘাত পারিশ্রমিক চাইতাম।
* যতটা জানি, সোনেলা ব্লগ নতুন লেখকদের লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, গুটিয়ে থাকা লেখকদের আত্মবিশ্বাসী করতে চায়। লেখকরা যে লেখা প্রকাশ করবেন, তা পড়ে যেন অন্য লেখকরা উপকৃত উপকৃত হতে পারেন। লেখার মাধ্যমে দেশ এবং সমাজের যেন উপকার হয়, তেমন একটি ব্রত নিয়ে এই ব্লগ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। ব্লগ কর্তৃপক্ষ কতটা সফল হয়েছেন তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে তা সময়ই হয়ত বলে দেবে। সমস্ত ব্লগারের লেখার প্রতি নিষ্ঠা, একাগ্রতা, আন্তরিকতা থাকলে এই উদ্দেশ্য সফল হতে পারে। অনেকেই আছেন যারা ব্লগে আসেন সামাজিক যোগাযোগ ( ফেসবুক ) আরো সমৃদ্ধ করার জন্য। কিছু নতুন বন্ধু যুক্ত করেন ফেসবুকে, লাইক কমেন্ট পাওয়া যাবে তাতে।
* সোনেলায় কিছু কপি পেস্ট ব্লগার আছেন। একটা প্রবন্ধ পড়ে তা নিজের মত করে লিখতেই পারেন না। যে কারনে একটি বিষয়ের উপর তিন চারটি সাইট থেকে কপি করে একটি খিচুড়ি লেখা পোষ্ট করেন। এর মধ্যে নিজের কিছুই থাকেনা। এটি যে তার মেধার জন্য ক্ষতিকর তা সে বুঝতেই পারেনা। সোনেলারও বদনাম হয় এমন পোষ্টের কারনে।
* সোনেলার সব কিছু বাংলা ভাষায় হতে হবে তা নীতিমালায় বলা আছে। তবে নীতিমালা তেমন একটা পড়া হয়না, বা পড়লেও ভুলে যায় অনেকে। এনারা মুখস্ত পড়ায় তেমন ভালো ছিলেন না বুঝা যায়।
* লেখা এবং ছবির সুত্র অবশ্যই দিতে হবে, নইলে তা চোরা লেখা হিসেবে পরিগণিত হয়।
* পাঠকের মন্তব্য সহজভাবে নেয়ার কথা বলি আমরা অনেকেই, কিন্তু তা সহজভাবে নিতে পারি না। সামান্য কিছু সঠিক সমালোচনার কারনে সোনেলা থেকে চলে গিয়েছেন অনেকে। তাদের ফিরিয়ে আনার কোন চিন্তাও সোনেলা ব্লগ করেনি। এমন ব্লগার না থাকাই ভালো ব্লগে। সমালোচনা হীন লেখা ফেসবুকে চলে, কারন সেখানে সব কিছুই নাইস আর অসাম।
* স্টিকি পোষ্টে সবার অংশ গ্রহন করা উচিত। কিন্তু সবাই স্টিকি পোস্টে অংশ নেন না। দায়িত্ব কাউকে শিখানো যায় না। যদি সে নিজে দায়িত্ববান না হন।
* ব্লগের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন অংশ হচ্ছে মন্তব্য। একটি লেখার মন্তব্য পালটা মন্তব্যে, যুক্তি পালটা যুক্তিতে লেখাটি পুর্নতা পায়। অনেকেই ফেসবুকিয় মন্তব্য দিয়ে দায় মুক্ত হন। আসলে ফেসবুক লেখকদের মাথা খেয়ে ফেলেছে। মন্তব্যের সংখ্যা এবং লাইক দিয়ে এক একজন আত্মপ্রসাদ লাভ করেন, কি মন্তব্য তা দেখেন না কেউ, কয়টা মন্তব্য তা হিসেব করেন। ব্লগকেও তেমন ভাবেন।
* জবাব দেয়াটা একটি আর্ট। এই আর্ট আমরা কতজনে জানি? প্রফেশনাল জবাবে অনেকেই সেই ব্লগারের লেখায় আর বিস্তারিত মন্তব্য করেন না।
একজন পরিপুর্ন ব্লগার হওয়া আসলেই কঠিন। এটি একা একা হওয়া সম্ভব না আসলেই।
আপনার লেখাটি একজন ব্লগারের জন্য অবশ্য পঠনীয় একটি লেখা। এমন লেখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ।
শুভ কামনা, শুভ ব্লগিং।
নাসির সারওয়ার
কিছু একটা হবার অদম্য চেষ্টা, চলতে থাকুক। আর আয়ের কথা, আমারতো মনে হচ্ছে পরিচালকদের ব্যায়ই বেড়ে যাচ্ছে। কারন, দিনে দিনে অনেক ব্লগার আসছেন। তাদের লেখা প্রতিকপি করে রাখার জন্য জায়গার খরচওতো আছে। সোনেলায় নতুন এসে ভালো লিখবো, এই আশায় আমার মত আরো অনেকি আছে। দু চারজনতো বইও প্রকাশ করেছেন এবং সোনেলাকে ধন্যবাদ দিতেও তারা কার্পণ্য করেননি। আশায় থাকলাম আরো উন্নত হোক আমাদের এই সোনেলা।
প্রথেমেই আপনার মাধ্যমে সোনেলার পরিচালকদের ধন্যবাদ আমাকে এখানে আঁকিবুঁকি করার সুযোগ দেয়ার জন্য। তা নাহলে আমার এই সামান্য একটা লেখাতে এতো গুণী লিখিয়াদের মতামত কেমন করে পেতাম।
আপনার এই মন্তব্য যে কোন লেখক/পাঠকের শেখার রসদ দেবার কথা। আমার লেখার ভুমিকাও সেরকম। যদিও আপনার উপস্থাপনা অনেক উন্নত মানের। পাঠেকের জন্য এই মন্তব্যটা একটা শিক্ষামূলক উধাহরন।
আপনার মাধ্যমে মডারেটরদের কিছু অনুরোধ রাখলাম বিবেচনায় নেয়ার –
১) ষ্টিকি পোষ্টগুলো রাখার জন্য আরো দুচারদিন বাড়িয়ে দেয়া হোক যাতে কোন ব্লগার সময়ের অভাবে না যাবার অজুহাত দিক। ৬/৭ দিন হলে ভালো হয়।
২) এই মন্তাব্যে নীচে একজন ব্লগার আছেন যার নাম ইংরেজি অক্ষরে। নামটা বাংলা হলে বাংলা ব্লগের জন্য ভালো হবে।
৩) মাঝে মাঝে ব্লগ সঞ্চালক এসে সাদামাটা দায় সারা মন্তব্যে কিছু লিখলে হয়তো মন্তব্কারী কিছুটা শিখতেও পারেন।
৪) যেভাবেই হোক, মন্তব্য যে ব্লগের একটা বিশেষ অংশ, তা ব্লাগেরকে জানতেই হবেট্যাঁই
আপনার অনেক মূল্যবান এই মন্তব্য যাতে আছে বিশেষ বিশ্লেষণ যা আমাকে পরের লেখায় অনেক উৎসাহ যোগাবে।
ভালো থাকুন। সুস্থ সাহিত্য চর্চায় সবাইকে উৎসাহিত করুন যা আপনে অনেক ভালো পারেন।
Jasim uddin
অনেক সুন্দর লিখেছেন ধন্যবাদ এত সুন্দর করে বুঝিয়ে লেখার জন্য
নাসির সারওয়ার
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
আপনার নামটা বাংলায় করে নেবার জন্য অনুরোধ রাখলাম। কারন এটা বাংলা ব্লগ। সব কিছুতেই বাংলা রেখে ব্লগটাকে এগিয়ে নেই সবাই মিলে।
ভালো থাকুন।
উর্বশী
দারুন গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষনীয় পোষ্ট । জানা ও শেখার তো শেষ নেই। ব্লগারগন নাস্তিক হন,আর এর সমাপ্তি খুন অব্দি গড়ায়। এটাই প্রাথমিকভাবে ধারণা দেয়া হত। নিজে কতটুকু জানি,সেটা সঠিক হলো কিনা তা কেবল মন্তব্যের মাঝেই উপস্থাপন হতে পারে বা হয়। এই ব্লগে অনেক গুনীজন আছেন,যাদের কাছে থেকে ভুলত্রুটি গুলো শুধরিয়ে নেয়ার এক দারুন সুযোগ।নিজের যতটুকু শেয়ার করা, তার থেকে জ্ঞানের পরিধি ফেরত পাওয়ার চমৎকার সুযোগ মন্তব্যের মাধ্যমে। সবার লেখায় ই মন্তব্য করা উচিৎ। এই জায়গাতেই আমি সীমারেখার বাইরে চলে যাই।শারীরিক অসুস্থতা আমার সব কাজেই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।এখানেও সঠিক সময় দিতে পারছিনা। আপনার লেখা খুব ভাল, সবাই ভাল লিখেন।তুলনামূলকভাবে সঠিক সময় দিতে পারছিনা। তবে আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থতা নিয়ে ফিরে আসবো।
পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে লিখেন আপনি। ভাল থাকবেন,আন্তরিক ধন্যবাদ ও সালাম।
নাসির সারওয়ার
আমার লেখাটা কিছুটা দায়িত্ব বোধ থেকে এনে দেয়া। শেখার কোন শেষ নেই, নেই বয়স বা বড় ছোট। আপনার কাজে লেগেছে যেনে ভালো লাগলো।
আমাদের শারীরিক বা কাজের ব্যস্তটা থাকতেই পারে। তা না হয় আমরা আমাদের মধ্যেই রেখে দেই। কী হবে পাঠকদের জানিয়ে।
ভালো থাকুন।