
#স্বপ্ন দেখছিলেন ইঞ্জিভাইজান! আল্লাহ্ মালুম! সেই স্বপ্নের লেঞ্জুর ধইরাইয়া দিলেন সঞ্চালক জিসান ইকরাম সাহেবে।
ব্লগার লেখকরা সম্মিলিত স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন সবাই, যে যার মতো!
ছোটবেলায় একটা প্রবাদ বাক্য মুখে মুখে শুনে শুনে, মনে মনে কেবলি’র মতো ভাবতাম-‘ এ কথার মানে কি?’
অনেক অনেক পরে সেকথার মানে বুঝেছি নিজে নিজেই- “হরিলুটের বাতাসা” ঠিক সেই বাতাসার মতোই লুফে নিলাম সবাই প্রস্তাবিত স্বপ্নের প্রস্তাব। সম্মতি এলো সাড়াজাগানো।
ব্যাস্…..
টানা রেল পটরির মতো শুরু হইলো ভয়াবহ স্বপ্নের রেলগাড়ি। ভয়াবহ কেন বললাম? এ পর্যন্ত চারখানা স্বপ্নের কাহিনী বর্ননা পইড়া আমি ভয়ানক আতংকিত। দিনরাত্তিরের ঘুম হারাম। স্বপ্পন দেকমু কুনসোম?
গতরাইতে শিরিন হক যথারিতী রোজকার মতো নক করে প্যানা পোটতে শুরু করছে, তারে কইলাম- ধুর, তোমার লগে কী প্যাঁচাল পারুম? মহা চিন্তায় ঘুম আসতাছে না, একটা লম্বা ঘুম দরকার, যাতে একটা লম্বা স্বপ্ন দেকবার পারি।’ হ্যায় তো তব্দা খায়! – স্বপ্ন কেউ লম্বা দেখে? কে কইছে দেখেনা? তৌহিদ ভাই কত্তলম্বা একখান স্বপ্ন দেইখা ফালাইছে তুমি দেখোনাই? ফিটফাট কত্ত নিখুঁতরকম বর্ননায় কি বিশাল রেললাইনের মতো লঅঅঅঅঅঅম্বা স্বপ্ন! মিতা(শিরিন হক) কইলো -‘ আচ্ছা তাইলে তুমি ঘুমাও আমি যাই, স্বপ্ন দেখা শুরু করো’। মিতা বিদায় হতেই চিন্তায় পরে গেলাম কালকে জামাই আসবে, কি রান্দুম? এদিকে ছোট ছেলেটার জন্মদিন। কিছু একটা তো করতেই হবে। ওদিকে আরেকজন নক দিয়ে ঊর্দু কবিতা ধরাইয়া দিছে, বাংলানুবাদ করে দেন। মর জ্বালা! আরেকজন একখান গল্প লিখে ইনবক্সে দিছে, এটা একটু দেখে দাও তো, কিছু হয়েছে কিনা? গোদের ওপর বিষফোঁড়া। ধুত্তরিছাই নেটেই থাকুম না।
তৌহিদ ভাইর ঘুম ভাঙলো মশার কামড়ে। স্বপ্নে দেখলেন আমার চিল্লানিতে পানের পিক ছিটছে তার হাতে। আমি ভাবছি এমন বদনাম তো আজতক কেউ দিলোনা, কি ডরানডাইনা না ডরায় সবাই আমার পান খাওয়া নিয়া। যদিও কথা এক্কারে মিথ্যানা পিক না ছিটলেও মাঝে মাঝেই কথার দমকে পানের উচ্ছিষ্টাংশ ছিটে আশপাশ বেশ প্রিন্টেড হয়ে যায়। সে কিন্তু শুধু নিজের ঘরে। বাইরে গেলে আমি কিন্তু খুব পরিপাটি! ভাবছি আর হাসছি। হাতের বাঁকনুইতে হঠাৎ সুঁই ফোটার মতো সুক্ষ যন্ত্রনা অনুভূত হলো। ডান হাতে চুলকাতে গিয়েই টের পেলাম বেঢপ এক মশা আলু ভর্তা হয়ে গেছে আঙুলের পেষণে।
সাবিনার ফোন- তুমি রওয়ানা দিয়েছো বন্যা? – এইতো কিছুক্ষনের মধ্যে রওয়ানা দিচ্ছি। ফোন কেটে দিয়ে জোগাড় হতে শুরু করলাম। আগেই রেডি করে নিলাম দুইটা পুডিং। জানি ইঞ্জা ভাইজান পুডিং খুব পছন্দ করেন।এত এত ব্লগারদের হবে কিনা কে জানে। যদিও দুই ডজন ডিম দিয়ে অনেক যত্ন করে তৈরী করেছি। লজ্জায় পরে যাবো যদি সবাই অন্তত এক টুকরা করে না পায়। আগের রাতে মুরগী দিয়ে তিন কেজি চালের বিরিয়ানি ও রান্না করে রেখেছিলাম। ওগুলোও ভালো করে প্যাকেট করে নিলাম।
সঙ্গে আজ আর পানের বাটা নেবোনা।তৌহিদ ভাইর কিপ্টামী ছাড়াবো।তাঁকেই পান কিনে খাওয়াতে হবে পুরোদিন যেভাবেই হোক।
জানি জিসান সাহেব খাবার দাবারের ব্যাপারে সবই ঠিক করে রেখেছেন। তবুও ইচ্ছে হলো সবাইকে অন্তত নিজের হাতের রান্না করা খাবার খাওয়াতে। তাই এই চেষ্টা। আমি করলে আবার কম করে করতে পারিনা। রসগজা পিঠাটাও আবার বাদ যাবে কেন? ওটাও নিয়ে নিলাম। আমার শখ বলে কথা? এতকিছু নিয়ে আমার একাই যেতে হচ্ছে মেট্রোপলিটন হোটেল স্পটে। ওখান থেকে সব ব্লগার একসাথে যেতে হবে ভাড়া করা বাসে সাভার ইঞ্জা ভাইয়ের ফার্ম হাউজে। ইঞ্জা ভাইজান আগেই ফার্মহাউজে উপস্থিত রয়েছেন, সব্বাইকে নিজে স্বাগত জানাবেন বলে।সাথে থেকেছেন ইঞ্জা ভাইজানের সবসময়ের সঙ্গী মনির হোসেন ভাই।এবার সেখানেই সোনেলা মিলনমেলা প্লাস ছোটখাটো পিকনিক আয়োজন করেছেন ব্লগ সঞ্চালক সহ বাকি সিনিয়র সব ব্লগাররা।
নির্ধারিত বাসে উঠে গেলাম সময় নষ্ট না করেই। বাসের ভেতরেই সবার সাথে মোটামুটি পরিচয় পর্ব চলতে লাগলো। কত কত নতুন ব্লগার এসেছেন, সুরাইয়া নার্গিস, খাদিজাতুল কুবরা, রোকসানা রুকু, উর্বশী, পর্তুলিকা, মঞ্জুরুল চৌধুরী, লিটন ভাই, মহী ভাই, সবার নামও এখানে ধরবে না। এত এত। তৌহিদ ভাইকে দেখছি শবনম ভাবির সাথেই গুটুর গুটুর করে যাচ্ছেন। হোমোসেপিয়ান মানুষ ঘরের মানুষের সাথেই কম্ফোর্টফিল বেশি করেন হয়ত। এখন থাক কথা বা পরিচিতি না হয় জায়গামতো পৌঁছে করবোনে ভেবে আমি আর কথা বললাম না তাঁদের সাথে। সাবিনাকে কী সুন্দর লাগছে আজ, আমার দেয়া গিফটের কানের দুলজোড়া পরে এসেছে আজ চমৎকার এক নীল শাড়ির সাথে। দুই সুরাইয়া আমার দুইদিকে বসেছে। একজনার বড় আপু তো আরেকজনার মিষ্টি আপু এই আমি। আমি ভাবি, শুধু কি রক্ত বা আত্মীয়তার বন্ধনই বড় বন্ধন? তা হলে এরা কেন এত করে ভালবাসতে জানে এত দূরে থেকে আর না দেখেই? এখানে এই ব্লগ পরিবারে সবাই কি পরিমান আত্মীয় হয়ে উঠেছে শুধু মাত্র মন্তব্য আর পাল্টা মন্তব্যের জোড়ে!
শহরের নিত্যকার জ্যামজট পার হতে হতে দুপুর হবার আগে পৌঁছে গেলাম ফার্মহাউজে। বাস থেকে নেমে সবাই বিশাল সবুজ চত্বরে আগে থেকেই ডেকোরেটরে চেয়ার টেবিলের দিকে এগিয়ে গেলাম। এবার ঘটা করে সবার সাথে পরিচয়পর্ব শুরু।
ইঞ্জা ভাইজান সব ব্লগারদের জন্য ফার্মহাউজের নারিকেল গাছ থেকে ডাব পেরে সবাইকে ওয়েলকাম ড্রিংক পরিবেশনের ব্যাবস্থা করে রেখেছেন। দেখেই যেন পথের ক্লান্তি দূর হয়ে গেলো এক ঝটকায়। এরপর এক এক করে একেকজনার জন্য নাস্তার ব্যাবস্থা নিজে তদারকি করলেন। এত অমায়িক মানুষ এই সময়ে বড্ড বিরল!
ফার্মহউজের বাংলোটাইপের ঘর দেখার জন্য কেউ কেউ উঠে পড়লাম। সাবিনার সাথে সাথে হেঁটে যাচ্ছি। হঠাৎ দেখি তৌহিদ ভাই পৌষী ভাবিকে নিয়ে আগে আগে যাচ্ছেন। এবার তো আর ছাড়া যাবেনা। দুই সুরাইয়া, সুপর্নাদি, আরজু মুক্তা ফুআম্মা, রেহানা বিথী উকিল আপু, নীরা সাদিয়া, মুক্তা মৃণালিনী দি, সবাইকে ডাক দিলাম। সাবিনার কানে কানে কিছু একটা বলে আগে পাঠিয়ে দিলাম তৌহিদ ভাইয়ের কাছে। আমাদের দল পেছনে ধীরে সুস্থ্যে এগুচ্ছি। বাংলোর ভেতরে ঢুকে দেখি সাবিনা হলরুমে একা দুই কপোতকপোতি বিশ্রাম নিতে কক্ষে ঢুঁকেছেন।
এদিকে জোড়ে সোড়ে আয়োজন শুরু হয়ে গেছে রান্নাবান্নার। হঠাৎ চিৎকার করে শবনম ভাবি রুমের বাইরে বেরিয়ে এলেন। পেছনে তৌহিদ ভাই ভয়ার্ত চোখে আমাদের বলছেন রুমের ভেতরে ভূত! শবনম ফ্রেশ হতে ওয়াশরুমে গিয়েছিলো, বেরিয়ে এসেই চিৎকার জুড়ে দিলো ভূত ভূত বলে। ততক্ষনে আমরা হেসে গড়িয়ে পড়ার অবস্থা! পৌষী ভাবি আমাকেই সামনে পেয়ে জড়িয়ে ধরে থরথর করে কাঁপছেন। বন্যাপু ভূত! ভাবলাম অনেক হয়েছে। ভাবিকে ধরে ঝাঁকুনি দিলাম, – দেখুন ভূত না, আপনার পতিদেব😊 তৌহিদ ভাউ টাস্কি খাইয়া গোল গোল চক্ষু দিয়া এই প্রথমবার আমার দিকে তাকালো। বন্যা আপু কয় কি এসব?
দুই সুরাইয়ারে আগেই কানপরামিশ দিয়া পাডাইছিলাম ওয়াশরুমের ফেসওয়াসের লগে ছেরখানি করে রাখতে। মুখ ধুয়ে বের হবার পরে তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছতে গিয়ে ওনার সারা মুখে কালি লেগে গেছে তার নিজের অজান্তেই। শবনম ভাবি ওয়াশরুমে যাবার পরে মনে পরেছে ব্যাগ থেকে তাঁর বিউটিসোপ নিতে ভুলে গেছেন। ওটা নিতে আসতেই তাহার পতিদেবের চেহারা সামনে। ব্যাস্….. একচিৎকারে রুমের বাইরে শবনম ভাবি। কোলাহলে বাকি সব ব্লগাররা দৌড়ে এলেন। খালি মওকা পেয়ে নৃ মাসুদ রানা, নাজমুল হুদা,অনন্য অর্নব হামলে পরলো আমার আনা খাবারদাবারের বক্সের ওপর। মনির হোসেন ভাই আর নিতাই দাদা সময় মতো দেখে ফেলাতে আটকে দিলেন ওদেরকে।
এদিকে এত কান্ড যেখানে হচ্ছে সেখানে জিসান সাহেব আর ছাইরাস হেলাল সাহেব এসেই আমাকে ধমক লাগানো শুরু করলেন, এখনো কি ছোট আছো? এইরকম দুষ্টুমী কি তোমাকে মানায়? তুমি না শাশুড়ি হয়েছো? চোখ ফেটে কান্না চলে এলো, এত এত ব্লগারের সামনে এরকম করে আমাকে ঝারি দিলো? না হয় একটু দুষ্টুমী করেছিই তো কি হয়েছে? ভাগ্যিস সাবিনা ছিলো! দেখেন মহারাজ, জিসান সাহেব সব ব্যাপারে এত মেজাজ দেখাবেন নাতো! এখানে পিকনিকে এসেছি রবীন্দ্রনাথের বই পড়তে আসিনাই, বেশি বকা ঝকা করলে আপনাদের কপালেও খারাবি আছে। যানতো, এখানে এখন আমরা আরো আরো মজার পিংপং খেলবো😊😊। সাথে সাথে দুই সুরাইয়া, রেহানা বিথী আপু, আরজু মুক্তা ফুআম্মা, সব একসাথে জোড় গলায় চেঁচিয়ে উঠলো — যান তো আপনারা, আমরাই সব সামলে নেব। তৌহিদ ভাইও অবশেষে বলেই উঠলেন– বন্যা আপু আপনি পারেন ও বটে! খুব বুঝছি আপনি শোধ নিলেন তাইনা?😊😊, এইবার না হেসে আর পারলাম না।
আচমকা ধাক্কা খেলাম, এই এই ওঠোতো শিগগির! বৃষ্টিতে বিছানা ভিজে যাচ্ছে, জানলাটা বন্ধ করো! এটা কি হলো?? রাত ভোর হয়ে গেছে কখন! এতক্ষন তাহলে স্বপ্ন দেখছিলাম?
১১২টি মন্তব্য
মোঃ রাশিদুল ইসলাম
অসাধারণ
বন্যা লিপি
ধন্যবাদ জানবেন। ভালো থাকবেন।
ইঞ্জা
হায় হায়, আমার রিসোর্টে আমিই নাই, ইডা কুনু কথা হইলো ভাতিজ?
যায় আগে খাবারের পেকেট গুলো খুলি, পুডিংয়ে আবার নজর বেশি থাকে আমার। 🙄
বন্যা লিপি
এরে ভাইজান বড্ড ভুলোমন আমার। দেখেন এবার, ঠিক আছে কিনা!
আসলে ভাইজান, কোনোরকম পূর্ব প্রস্ততি ছাড়াই লিখে ফেলেছি। মাফ করে দিয়েন।
ইঞ্জা
😁, ভালো লাগছে। 😀
সাবিনা ইয়াসমিন
হাহাহা, ভাইজান 🤣🤣🤣🤣
ইঞ্জা
আপু গল্প জমালাম। 😉
সাবিনা ইয়াসমিন
আগে চিকেন বিরিয়ানির টেস্ট নিয়ে নিই। তারপর পুডিং খেয়ে বাকি কথা, বলা যায় না পরে ভাগে পাই কিনা 🙂 🙂
বন্যা লিপি
টেষ্ট করা হইছে ময়না? এহন কও কেমন হইলো টেষ্ট😊😊
দালান জাহান
সুন্দর বর্ণনা করলেন, অনেক কথা হলো আয়োজন হলো। সবার সাথে দেখা হলো দুষ্টআমিও হলো অল্প স্বল্প। শুধু যা হলো না তার হলো আপনি দালান জাহানকে কোন ইভেন্টে রাখলেন না। আচ্ছা ভবিষ্যতে আমি গল্প লিখব আপনাকে এমন চরিত্র দেব তখন বুঝবেন!! 😃😃😃😃
সাবিনা ইয়াসমিন
হাহাহা, স্বপ্নের শুরুতেই এমন হুমকি! দালান ভাইকে যতটা আপন ভেবেছি এখন দেখছি তিনি আমাদের ভাবনার চেয়েও বেশি আপন!!
বন্যা লিপি
ইহাই প্রমান ময়না। আপনের চেয়ে আপন যে জন, নাম তার দালান জাহান😊
বন্যা লিপি
এরে! দালান ভাই মাফ কইরা দিয়েন, শর্টকাটে সব ব্লগার উল্লেখ করছি, এত এত নাম আমার মনে থাকেনা ভাই।আর এ লেখাটা যাস্ট তৎক্ষনাত চিন্তার যখনতখন লিখে ছেড়ে দেয়া। যে কারনে প্রচুর সম্পাদনা করতে হচ্ছে। আচ্ছা আমি রেডি! আপনার স্বপ্নে আমারে কি বানান দেখার জন্য😊😊
দালান জাহান
হাহাহা মজা করেছি আপু
আরজু মুক্তা
ফাটাফাটি।
তৌহিদ ভাইয়ের একখান ছবি কেউ যদি মোবাইলে তুলে রাখতো!
পুডিং আমার জন্য রাখিয়েন। বড়ই পছন্দের।
তৌহিদ
রাইতের বেলা ফ্ল্যাশ ছাড়া কালো মুখের ফডো তুললে ভুতের ছবিও আসেনা ☺
ইঞ্জা
😂🤣
বন্যা লিপি
হা হা হা হা….. রাইত পাইলেন কই ভাউ দুফাইর্রা বেলা? সব ফকফকা😁😁
বন্যা লিপি
আমিতো ভাবছিলাম ফডুক তুলার কামডা ফু’আম্মা আপনে করবেন। তোলেন নাই? আমি আর কি রাখতাম? নাজমুল হুদার গ্যাংএর কাছ থেকে নিতাই দাদা আর মনির ভাই সামলাইছে সব। সমান বন্টন হবে সব😊😊
আরজু মুক্তা
এই গরমে মাথা আউলাইছে সবার
সিকদার সাদ রহমান
খাওন গুলার নাম মনে রাখলাম। বিরিয়ানিতে কার্পণ্য হয়েছে। মাটন কিংবা বিফ হলে ভালো হতো। পান এর কথা উল্লেখ নাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
মনের সুখে কাচ্চি খেয়ে এখন আবার এখানেও বিরিয়ানিটাই আগে দেখলেন?
বন্যা লিপি
@সাদ,
মাগনায় পাইলে মাইনসে আলকাতরাও টোকরে জমায়, আবার তুমি গোরু,ছাগলও খোঁজো মাগনায়? ওয়ার একছের দাম বেশি😁😁 পান এ্যাড কইরা দিছি দেহো এহন।
তৌহিদ
দেখছেন্নি কারবারডা! মুখে কালি লাগায় দিলেন! নাহ! ভালোর জামানা আর নাই। কার কাছে বিচার দেবো?
শেষ পর্যন্ত এই ছিলো আপনাদের মনে! ফেসওয়াসের ভিত্রে কালি রাইখা দিছেন? মুখে কালি লাগিয়ে নিজের চেহারা দেখে নিজেই ডরাইসি!! আর ভাগ্যিস শবনম আপনার কাছে গিয়েছিলো! না হলে সেও হতো বেহুশ ☺
এটা স্বপ্ন নয় শুধু, চিরম দুঃস্বপ্ন। ব্যতিক্রমী এমন লেখার জন্য ধন্যবাদ আপু। সত্যিই মজারু হয়েছে লেখাটি।
তবে কথাছিলো আপনি হাতে মশার রক্ত দিয়ে শুরু করবেন। নিয়ম মানেননাই। আমি খেলিবোনা কিন্তুক। তেব্র প্রতিবাদ জানাচ্চি 😭😭
সাবিনা ইয়াসমিন
এবার কেমন লাগছে তৌহিদ ভাই!! কালপুরুষ এর কালি চেহেরাটা কিন্তু আমাদের দেখে মজাই লাগছে। আরও বানাবেন দুই ময়নার ভিড্যু 😉
তৌহিদ
আমার কিন্তু মজাই লাগছে ☺
এখন বোনেরা সবাই মিলে ভাইয়ের মুখ ধুয়ে দেন। না হলে ফুচকার ভিডিও সোনেলায় আপ্লোড করা হবে 😹😹
রেহানা বীথি
ভিড্যু বানিয়ে ফেঁসে গেছে তৌহিদ ভাই। হা হা…
বন্যা লিপি
খালি ভিড্যু? আমারে দস্যুরানী ফুলনদেবী বানাইয়া ছাড়ছে ময়না😆 হালকার উফরদ্যা ঝাপসায় ছাইড়া দিছি কেবল মুহে কালি মাখাইয়া…. নাইলে আরো বড় প্লান করতাম ভাউরে ফাঁসানোর। পান কিন্তু তৌহিদ ভাইই কিন্না দিবো কইয়া রাকলাম😊😊😊
বন্যা লিপি
চরম ভুল হই গেছে। যদিও বারবার মনে হচ্ছিলো বিষয়ডা….তারপরও মশা আর মশার রক্ত এড়াইয়া গেলাম, ভাবছিলাম এতেও চলবে। এহন দেখতাছি মশা আর মশার রক্ত লাগবোই, নাইলে তৌহিদ ভাউ ভান্ডবাডি ফেরত চায় খেলবোনা বইল্লা😊😊😊 ভান্ডবাডি তো ফেরত দেওন যাইত না…..খাড়ান এহনি ইডিট করতাছি।
বন্যা লিপি
উকিল আপু@রেহানা বিথী, খালি ভিডিও হইলেও কথা ছিলো, আমারে কি কি বানাইয়া ছাড়ছে আপনে কিন্তু সাক্ষী!😃😃 হালকার উপরদিয়া ছাইড়া দিলাম😊😊
রেহানা বীথি
অতি সত্য কথা বন্যা আপু। যাক, মুখে কালি মেখে মোটামুটি হেনস্তা হয়েছে তৌহিদ ভাই, নিজের বউ-ই ভূত বলে ভয় পেয়েছে। এরপর তেড়িবেড়ি করলে একটুও ছাড় দেয়া হবে না। তবে পান কিন্তু তাকে খাওয়াতেই হবে।
তৌহিদ
একটা পেত্নি পুষবো ভাবছি। তারপর সেইটা দিয়ে আপনাদের ভয় দেখাবো।😱😱
বন্যা লিপি
তৌহিদ ভাই, আপনে একটা পেত্নী পুষবেন, আর আমরা এত্তগুলা পেত্নী আগে থেকেই রেডি, এবার বোঝেন আপনে কি করবেন😁😁
ফয়জুল মহী
বাহ
নিপুণ রচনাশৈলী
ভীষণ ভালো লাগলো।
বন্যা লিপি
ধন্যবাদ মহীভাই।
নিতাই বাবু
আম্নে ত স্বপ্ন দেইখা শেষ চইলা আছেন, দিদি। আমি কইলাম তহনও হুইয়া হুইয়া চোক মেইল্লা খালি স্বপ্নই দেক্কা যাইতাছিলাম। হের পরে আম্নের আতের পাক করা পিডা মোরগের পলাউ হগলতে খাইয়া কী-যে নাচানাচি শুরু করছিলাম গো দিদি, আম্নে ত হেই নাচানাচির ভন্ডক পান নাই। নাচতে নাচতে মনির দাদা ও এক্কেবারে মদ খাওয়া মাতালের মতন অইয়া গেছিলো। ইঞ্জা দাদা শেষমেশ একটুখানি তেতই খাওয়াই দেওনে রক্ষা। নইলে হেদিনকা মনির দাদারে লইয়া আর নানগঞ্জে আইতে পাত্তাম না। ভাগ্য আমাগো ভালা আছিলে দেইক্কা হেই যাত্রায় রক্ষা পাইছি।
ধন্যবাদ সুন্দর করে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য। সাবার জন্য শুভকামনা থাকলো।
তৌহিদ
গোপন খবর! খাবারের লোভে সেই কালো কালি নাকি আপনিই সাপ্লাই দিয়েছিলেন দাদা! 😜
নিতাই বাবু
মুখমন্ডলের ত্বক টাটকা রাখার জন্য মায়ের জাতি নারীরা বর্তমানে মেকাপ নামের অনেককিছুই সাথে রাখে, দাদা। সত্য বলতে কি, ঐ কালো রঙের মেকাপ মনে হয় সম্মানিত কবি বন্যা লিপি দিদিই উনার ব্যাগে করে এনে রেখেছিলেন, যা পরবর্তী সময়ে ঐ কালো রঙ মেকাপ মনে করেই মুখে মাখা হয়! তারপর আর কী! যা হবার তো হয়েই গেল!
বন্যা লিপি
এরে দাদা! আমি তো আমার খাবার দাবারে কোনো নেশাজাতীয় কিছু মিশাইনাই! এমনে এমনেই মাতালের মত নাচানাচি? সব্বোনাশ তো!
নিতাই বাবু
মনির দাদায় খুশির ঠেলা আর সামলাতে পারে নাই দিদি।
বন্যা লিপি
দাদা এমন কতা কইতে পারলেন? আমি ব্যাগে কইরা কালো কালি লইয়া আমু? সুরাইয়ারে পাঠাইছিলাম চুলার কালি আনতে😁😁😁
নিতাই বাবু
সবকিছু তো ভুলেই হইছে দিদি। ভুল তো মানুষেরই হয়। তাছাড়া আজক তো সব জিনিসপত্র নকল। মেকাপও নকল।
সঞ্জয় মালাকার
শুভ সকাল দিদি –
দিদি অসাধারণ স্বপ্ন দেখা, পড়ে মজা পেলাম।
রাত ভোর হয়েগেছে কখন, এতক্ষণ তাহলেস্বপ্নে পড়লাম।
ধন্যবাদ দিদি শুভ কামনা //
বন্যা লিপি
অনেক ধন্যবাদ দাদা। ভালো লেগেছে জেনে আমারো ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সবসময়।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
আপনি ভীষন দুষ্টু এটাও জানা গেল।কি শোধটাই না নিলেন।কালকে আমি এটাই ভেবে ভয় পেয়েছিলাম।
তৌহিদ
এসবে মোরা ডরাইনা উক্কে!
বন্যা লিপি
হয়, আমনে ডরান না, পৌষী ভাবি ঠিকই ডরাইছে আমনেরে দেইখা😊😊
বন্যা লিপি
যাক, এই একটা মন্তব্যে অন্তত আমার দুষ্টুমী ধরা পড়লো কারো চোখে বুঝলাম।
অল্পের উপর দিয়া ছেড়ে দিলাম আপু। নাইলে আরো বড় কিছু করা যেত আপনাদের সবাইকে নিয়ে, কি বলেন থাকতেন না আমার সাপোর্টে😊😊😊?
আলমগীর সরকার লিটন
সবাই গল্পটা ভালই বলছেন এরকম আড্ডা কবে কখন হবে ?
বন্যা লিপি
এরকম আড্ডার অপেক্ষা করতে পারি এখন কেবল প্রার্থনায়। ভালো থাকবেন।
নাজমুল হুদা
মাঝখানে সাবিনা আপুরে ঝগড়াটে বানাইয়া দিছেন বড় আপু। আমার নাজমুল হাসান বানাইয়া দিছেন। হুদা অবসান হলো না-কি।
আমি খাইয়া লই পরে কমু । তৌহিদ ভাইয়ার উপর এতো রাগ কেরে! 😆😆😆
তৌহিদ
আরে সব মশকরা করে বুচ্ছ! পান খাওয়ালেই ঠিক হয়ে যাবে।
বন্যা লিপি
ওরে ছোটভাই, কতশত ভুল যে রয়ে গেছে লেখায়। সাবিনারে ঝগড়াইট্টা বানালাম? ইহাকে বলে প্রটেস্ট করা বুঝছ? তৌহিদ ভাইর উপরে রাগ ক্যা জানোনা তুই? হের স্বপ্ন লেখা পড়নাই? তার আগে জিসান সাহেবের স্বপ্ন পড়নাই? তাওতো তৌহিদ ভাইরে অল্পের উপর দিয়া ছাইড়া দিলাম, আমার একটা রেপুটেসন আছে না!!
তোর নামে হুদা ঠিক মতো বসাইয়া দিছি আবার দেখে নিস।
শবনম মোস্তারী
হাহাহা.. আপু, আমি সত্যিই ভূতের ভয় পাই অনেক.. 😀😀
ব্লগার তৌহিদের কালিমাখা মুখ, আর আপনার দুষ্টুমি হাসি
আর আমার ভীত চেহারা কল্পনা করছি…😀😀
মিললমেলা+ পিকনিকের আয়োজন ধীরে ধীরে জমে উঠছে..😍 বিরিয়ানির মো মো গন্ধ পাচ্ছি.. 😀😀
অসাধারন লিখলেন আপু।
মুগ্ধ। ❤❤
তৌহিদ
আপনি ভুতের ভয় পাননাই? সবাই একসাথে মিলে গেলেন?
সাবিনা ইয়াসমিন
@শবনম, আপনি ভয়ে এত জোরে চিৎকার করবেন জানলে কালো রঙ না দিয়ে হলুদ বা নীল কালার দেয়ার ব্যবস্থা রাখতাম 🙂 আপনার ভীত চেহারাটা এখনো কল্পনায় ভাসছে 😀😀
তৌহিদ
হ! নীল বিষের দংশনে মাথার চুল স্পাইক হয়ে গিয়েছে। কালো নীল মুখ, খাড়া খাড়া চুল! কি একটা অবস্থা!! 😃😃
বন্যা লিপি
কালা নীল হলুদ কি কিম্ভূত কিমাকার দর্শণ তৌহিদ ভাউর😁 ভাবা যায়???হা হা হা
বন্যা লিপি
যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই রাত পোহায়। আপনি ভূতের ভয় পান আর আপনার সামনেই আপনার ভূত!😁😁 কেমনডা লাগে এহন কন?😆😆 আপনার পতিদেবের জন্য আপনাকে ভয় পেতে হবে আসলে বুঝিইনি, নাইলে অন্য পদ্ধতি এপ্লাই করতাম😊😊😊
ছাইরাছ হেলাল
পৌষী মাঘী ভাবী এগুলো তো কিছুই বুঝলাম না, এ কাহারা কোথা থেকেই বা এলো!
পান-সুপুরি-জর্দার আয়োজন তো কোথায় দেখলাম না।
তৌহিদ
নাহ! আপনারতো ভুলে যাওয়া ব্যামো হয়েছে ভাইজান!
ছাইরাছ হেলাল
বুড়া হইলে যা হয় আর কী!!
আপনার মত যুবাদের কথাই আলাদা!
তৌহিদ
পুডিং খেতে আসলাম। মুখ ধুতে ধুতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি, ক্ষুধা লেগেছে। আমার ভাগেরটা দেন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
হাহাহা এখনো পরিষ্কার হয়নি! পুডিং, বিরিয়ানি আমার খুব পছন্দের
বন্যা লিপি
তৌহিদ ভাউ@ভাগবাটোয়ারা নিতাই দাদাবাবু আর মনির ভাই করছে। তাগো কাছে চান আপনার ভাগেরটা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সাবিনা আপু র ঝাড়িটা সেইরাম হয়েছে। এতো মজাদার রান্না কবে খেতে পারবো কে জানে, বিরিয়ানি র জন্য লোভ হচ্ছে। তৌহিদ ভাইরেই ভূত বানালেন। আহারে দারুন মজা হয়েছে। এমন মজা বাস্তবে করতে পারলে দারুন হতো। হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যেত। 🤣🤣🤣🤣🌹🌹 খুব ভালো হয়েছে আপু
তৌহিদ
বাস্তবে সেই চান্স নাই। আমি দেখতে কাইল্যা ভুতের লাহান 😃😃
সুপর্ণা ফাল্গুনী
তাহলে তো অল্প দিলেই চলবো। একদম পাক্কা ভূত হয়ে যাবেন
তৌহিদ
হা হা হা 😹😹
বন্যা লিপি
এহ্….. তৌহিদ ভাইরে ছাড়া আর কারে ভূত বানাবো ছোটদি? শোধ নিতে হবেনা? মজাদার খাওনদাওনের লোভ তো আগেই দেয়া শুরু করছে শুরু হইতে, আমি খালি জিলাপী বাদ দিয়া বিরানি,পুডিং,রসগজা লইয়া আইছি😁😁 তাতেও কতজনে কতরকম আপত্তি তুল্লো, আমি ক্যান জিলাপী বাদ দিলাম, আসল মোদ্দা কথা হইলো জিলাপী মিষ্টি হইলেও ওর আড়াই প্যাঁচ দেখলেই আমার আর খাইতে মন চায়না😊 এজন্য জিলাপী আমার মোডেও পছন্দ না😊😊 সাবিনা যথাসময়ে ঝরিটা না দিলে পিকনিকের আনন্দ ওখানেই মাটি হয়ে যেত কিন্তু ছোটদি! সাথে সাথে আপনারাও তো প্রতিবাদ করলেন আমাকে জিসান সাহেব আর হেলাল সাহেব ঝারি দিলো বলে! বিধাতা আমাদের সহায় হোন। কোনো একদিন স্বপ্নে নয় সত্যি সত্যি রান্না করে খাওয়াবো সবাইকে আশা রাখি।আশা নিয়ে ততদিন বেঁচে থাকার প্রার্থনা করে যাই। এমন একটা পিকনিকের ইচ্ছা আমরা করতেই পারি যদি সৃষ্টিকর্তা আমাদের সময় সুযোগ দেন। ভালো থ্কবেন দিদি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অবশ্যই আশা নিয়েই আছি। আপনি যা বানালেন ওগুলাও সেইরাম পছন্দের। গরম আর মচমচে জিলাপি খুব ভালো লাগে। তবে ভ্যারিয়েশন না থাকলে যে কোনো পছন্দ ই একঘেয়েমি হয়ে যায়।তাই আপনাকে সাধুবাদ আইটেম চেঞ্জ করার জন্য। আমি আছি আপনার সাথেই। ভালো থাকবেন
সাদিয়া শারমীন
উফ আপু পুডিং এর কথা কেন যে বললেন, এখন তো পুডিং খেতে ইচ্ছে করছে। গল্প ভালো হয়েছে।
বন্যা লিপি
পুডিং বানাইতে আমার খুব ভালো লাগে সেই ছোটবেলা থেকে। খেতে ইচ্ছে করলে ঝটপট বানিয়ে খেয়ে নিন। উপায় থাকলে আমিই বানিয়ে খাওয়াতাম।
গল্প ভালো হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
খাদিজাতুল কুবরা
বন্যা আপু মেলা মজা অইছে গল্প। এক্কেরে যেমন আশা কইচ্ছি তেমন অইছে।
মজার মজার খানাগুলা স্বপ্ন বুলি খাইতে হারিন। একদিন আন্নের বাসায় যাই হানা দিমু।
আন্নে কিন্তু না করিয়েন না। আঁই খাইতে খুব ভালাবাসি৷
তৌহিদ ভাইয়ের মুখের ছবি তুললে আঁরে ও ফরওয়ার্ড দিয়েন। আসতে আসতে পেট ব্যাথা অই গেছ।
আঁই হইলা বুঝিন এই কাম আন্নেরা প্লান করি ঘডাইছেন।
এক্কেরে ভালা কইচ্ছেন।
পিকনিকে মজা ন কইল্লে আর কনাই কইরবো।
আপু দারুণ লিখেছেন গল্প।
বন্যা লিপি
আঁরে মাফ কইরে দিয়েনছেন আফাজি! খাওনদাওন লই বড়য় মুসিবতে পড়ি গেলাম গই! আন্নে আঁর বাসাত আইলে মুই না করুম কিল্লাই আরে এডা কনছেন দেহি? কবে আইবেন খালি হেইডা কন!
আঁই আন্নেরে রাইন্দা খাওয়াইতাম।
ওরে মারে…..আর পারুম এরাম ভাষায় কতা কইতে☺☺ ভআইয়ের ফডু আমনেরা তুলবেন বলেই কথা আছিলো, আমি তো সুযোগই পাইনাই ফডু তুলনের।
কাহিনী পইড়া মজা পাইছেন দেইখা আমারো ভালো লাগলো।
আমরা আমরাই তো!!
খাদিজাতুল কুবরা
একদম ঠিক বলেছেন আপু। আমরা আমরাই তো।
মনির হোসেন মমি
বন্যাপুর পেইজে স্বপ্ন লেখার সিরিয়ালের পোষ্টেই মন্তব্য করেছিলাম…এবার মনে হয় ভুতের গন্ধ পাব! ঠিক তাই হল শুধু তাই নয় চরিত্র রূপায়ণটা ছিলো একশতে একশ সঠিক।আসলেই তাই আনন্দমহলে এসে কান্না করলে কী চলে! খুব ভাল হয়েছে-শুধু পেট ভরল না।
বন্যা লিপি
তৌহিদ ভাইরে জব্দ করার সন্মানিত পন্থা খুইজ্জা পাইতাছিলাম না, লিখতে লিখতেই মাথায় আসলো এই একটা পন্থা আছে যেটা দিয়া একটু কায়দা করা যেতেই পারে।
আল্লাহ্ বাঁচালে ইনশাল্লাহ্ পেট ভরাবার চেষ্টাও করা যেতে পারে। যদি নসিব সহায় হয়।
সুপায়ন বড়ুয়া
সব স্বপ্নরাই সুন্দর হয়। সবাইকে নিয়ে টানা হেজড়া করা যায় স্বপ্নের তো দোষ দেয়া যায় না। তবে ধন্যবাদ বন্যা আপুকে আমাকে নিয়ে অন্তত টানা হেজড়া করেননি। তাতেকি বাস্তব মিলন মেলায় তো ২২ শে ফেব্রুয়ারী করোনা কালের আগে দেখেছিলাম আমি মুচকি হেসে হেসে।
বন্যা আপুর স্বপ্নের মিলন মেলায় অংশ নিতে না পারার জন্য ক্ষমা করে দিয়েন সবাই।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
বন্যা লিপি
জাতি আমারে মাফ করলোনা😔😔😔যে বাসে করে সাভার পর্যন্ত গেলাম, ওডাতো সুপায়ন ট্রাভেলস্ এরই বাস! সেতো গত পর্বেই তৌহিদ ভাউ কইয়া দিছে। আমি খালি সময় বুইজ্জা এইখানে নাম বসাইতে ভুইল্লা গেছি। আপনে আমারে মাফ কইরা দিয়েন দাদা। বাস সব খেয়াল তো আমাদের আপনিই রাখলেন বড় আন্তরিকতার সাথে।
সুপায়ন বড়ুয়া
আপু আমার বুদ্ধিমান বটে।
আইনজীবির মারপ্যাচে।
আমার তো খেয়াল রাখতেই হয়
আপু বলে কথা।
ভাল থাকবেন আপু। শুভ কামনা।
রেহানা বীথি
বিরিয়ানির খুশবুতে তো আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলবো মনে হচ্ছে! আর পুডিং, আহা, দেখে চোখ ফেরে না। খাবারের সাথে বন্যা আপুর মমতা মিশে থাকায় স্বাদ যেন অমৃত।
কী যে সুন্দর লিখলেন আপু! তৌহিদ ভাইয়ের নাকাল অবস্থা বড়ই মজাদার।
তৌহিদ
হ, মজাতো লাগবেই। সবাই মিলে এক হয়েছেন দেখছি!!
বন্যা লিপি
ভাউ@মনে রাইক্খেন নারী শক্তি বলে ইহাকে😊😊😊
বন্যা লিপি
একটু সত্য কথা কননা উকিল আপু! কারন আমি নিজেই এ লেখা লিখে তৃপ্ত নই। শুধু মনে হচ্ছে আরো ভালো হতে পারতো। কোনোদিন যদি আল্লাহ্ সুযোগ দেন তবে অবশ্যই নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াবার শখটুকু পূরণ করার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ্।
রেহানা বীথি
আপু, লেখাটা সত্যিই দারুণ হয়েছে। আর আপনার হাতের রান্না খাওয়ার সৌভাগ্য যেন আমাদের হয়। সবাই ভালো থাকি, নিরাপদে থাকি।
মোঃ মজিবর রহমান
দারুন স্বপ্নবাজ সবাই ঘটায়। সুন্দর লেখা বন্যাপু।
বন্যা লিপি
ধন্যবাদ মজিবরদা।
মোঃ মজিবর রহমান
☝
জিসান শা ইকরাম
স্বপ্ন গল্প তো ফাটাফাটি হয়েছে।
লেখার চেয়ে মন্তব্যের জবাব দেয়া কঠিন। এত মন্তব্যের জবাব ক্যামনে দেয়! কষ্ট বুঝবানে জবাব দিতে গিয়ে 🙂
আমার পোস্টের জবাব দিতে পারিনি সবার। চোখের সমস্যা এমনিতেই, চোখে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলেই ঝাপসা দেখি 🙁
আসতেছি আবার।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দাদা ভাই চোখের ডাক্তার দেখান। আমার লেখায় ও আপনারে পাইনা☹️☹️☹️☹️
বন্যা লিপি
খালি ভিড্যু? আমারে দস্যুরানী ফুলনদেবী বানাইয়া ছাড়ছে ময়না😆 হালকার উফরদ্যা ঝাপসায় ছাইড়া দিছি কেবল মুহে কালি মাখাইয়া…. নাইলে আরো বড় প্লান করতাম ভাউরে ফাঁসানোর। পান কিন্তু তৌহিদ ভাইই কিন্না দিবো কইয়া রাকলাম😊😊😊
তৌহিদ
আচ্ছা পান কিনে দেবো ☺
বন্যা লিপি
কথা সত্য। লেখার চেয়ে মন্তব্যের জবাব দেয়াটা এখন বেশি কষ্টকর মনে হচ্ছে। এমনিতেই আইলসা আমি।
আপনার চোখের বিষেশ খেয়াল রাখুন। কিছুদিন একদম নেটে আইসেন না।নিজের সুস্থ্যতা আগে। বাকিরা সবাই ব্লগের খেয়াল রাখবে। আপনি রেস্টে থাকুন কিছুদিন।
সুরাইয়া পারভীন
হা হা হা হা হা হা হা
হাত তালি হবে👏👏👏
প্রতিশোধটা তাইলে এই ভাবেই নেওয়া হলো।
বেশ মজা পেয়েছি আমার মিষ্টি আপুর পিছনে লাগার প্রতিশোধে অংশীদার হতে পারে। বেচারী পৌষী ভাবী কোন দোষ না করেই ফেঁসে গেলেন। ভূতের ভয় বলে কথা!
শুধু রক্ত আর আত্মীয়তা ছাড়াও কেউ কেউ আত্মার আত্মীয় হয় মিষ্টি আপু
সাবিনা আপুর ধমকের এ যাত্রায় বন্যা আপু সহ আমরা সবাই এ যাত্রায় রক্ষা পেলাম
বন্যা লিপি
ওইযে ইঞ্জা ভাই আমারে নাম দিছে জগতের ভাতিজি😃😃 ওই কারনেই ধমক খাওয়া লাগে☺ জানে তো হেলার সাহেব আর জিসান সাহেব, ছোট্টকাল হইতে আমিও কম দুষ্টু না😊😊
তৌহিদ
যাক তবু মশাকে টেনে নিয়ে এলেন! থ্যাঙ্কু ☺
বন্যা লিপি
কি আর করার! আপনার আবার মশা না হইলে নাকি চলবো না☺☺তাই আনলাম আরকি!
সুরাইয়া নার্গিস
বাহ্! চমৎকার একটা লেখা পড়লাম বড় আপু।
আহ্ ভালোবাসার মানুষদের স্পর্শেও যে ভালোবাসা জড়িয়ে থাকে, বাসে বড় আপুর পাশে বসে সেটাই অনুভব করলাম। বড় আপু
আপনার বিরিয়ানি, পুডিং,রসগজা দারুন সব খাবার ঘ্রানের আমি মুগ্ধ হচ্ছিলাম।
আর বড় আপু ভালোবাসার হাতে তৈরি সেটা পৃথিবীর সেরা অমরৃত ভাবা যায় কত মজা হবে।
তৌহিদ ভাইজানের কথা আর কি বলবো খালি মাখা মুখটা দেখার পর ☺ ভাবী ভাবছিলো ভাইজান তার মেকআপ চুরি মুখে দিসে।
পরে বড় আপু বললো খালি মেখেছে ভরে ভাবী ভুত বলে চিৎকার করে ওঠল। পরে বড় আপু সবটা সামলিয়েছে, ভাইজান ভবিষৎ সাবধান..! আর নাজমুল ছোট ভাইয়া আপনি এত পেটুক কেন অর্নব ভাইয়াকে নিয়ে লুকিয়ে খেতে গেলেন।
সবাই একসাথে খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা 😋 আর নিতাই দাদা, মনির ভাইজান আপনারা বা কেমন! চুরি করে খাওয়ার আনন্দ অনেক একটু খেয়ে নিলে কি হত😏
আর জিসান ভাইজান ছোট আপুর কোন খোঁজ নিচ্ছেন না, চোখের সমস্যা বলে কি বোনদের দেখা যায় না😩
আর বড় আপু দুষ্টুমি করলে সেটা চোখে পড়ে😡
আর হেলাল ভাইজান আপনার সমস্যা কি? জিসান ভাইজান গল্পে যুদ্ধ শুরু করে এখানে বড় আপুকে ধমক দেন😡
শোনেন আমরা পিকনিকে আসছি, স্কুলে আসি নাই যে দুষ্টুমি করা যাবে না 🤓
আমি চাই আমাদের চির সবুজ আপু,ভাইজান গুলো সারাজীবন এমনি থাকুক, দুষ্টু,মিষ্টিু,ট্রেস্টি ভালো রাখুক আমাদের।
ইঞ্জা ভাইজান, মাহবুব আলম ভাইজান, জিসান ভাইজান,তৌহিদ ভাইজান,বন্যা বড় আপু সবার পোষ্টে আমার নামটা দেখে আমি আবেগ আপ্লুত।
শ্রদ্ধা বড় আপু, কৃতজ্ঞতা সকল ব্লগারদের প্রতি মাত্র কমেন্টস বক্সের কয়েকটা বাক্যের রেশ ধরে।
আমরা সবাই একটা সুতোই মিল বন্ধনে আবদ্ধ হতে পেরেছি, অচেনা মানুষ গুলো না দেখা ভালোবাসায় জড়িয়ে নিয়েছি একটা পরিবারে।
রক্তের সম্পর্ক ছাড়াও আত্মার একটা সম্পর্ক আছে, সেটা মায়ার সম্পর্ক।
সোনেলা পরিবারের সবার ভালোবাসায় আমি সিক্ত, সত্যি সোনেলা ব্লগকে ধন্যবাদ আমাকে এমন একটা পরিবার দিবার জন্য।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
শুভ কামনা সকল ব্লগারদের জন্য।
জয়তু সোনেলা ব্লগ।
তৌহিদ
আমার একট পোষা পেত্নি আছে জানেন? আপনাগো খবর আছে কইলাম!!
সুরাইয়া পারভীন
ভাইয়া আমি তিনটা ভূত নিয়ে ঘুরি
আপনার একটা পেত্নি আমাগো কিছু করতে পারবে না,,,হি হি হি হি
বন্যা লিপি
ভাউ@ আপনার পোষা পেত্নী থাকলে, আমরাও লগে সঙ্গে ভূত টুত পুষে রাখি মনে রাইক্খেন😂😂😂
সুরাইয়া নার্গিস
ওরে বাবা আমার পেত্নিতে ভয় নাই তবে ভুতে পাই 😫
আপনার পেত্নি তো আমাদের ভাবীমনি তার সাথে ভাব করে নিব 😍
বন্যা লিপি
বাপরে!! তুমিতো পোষ্টমর্টেম করে ছাড়লে! তুমি রেডি হচ্ছো ভালোরকম স্বপ্নগল্প লিখতে, বোঝাই যাচ্ছে।
আমরা সবাই এই সোনেলার এক পরিবার। কাছে থাকা না থাকা কোনো ব্যাপারই না ভালবাসার কাছে তাইনা?
ভালবাসা জেনো।
সুরাইয়া নার্গিস
শুকরিয়া বড় আপু।
আমি এখনো লেখা শুরু করি নাই,তবে ১৪ নাম্বার সিরিয়ালে আছি লিখবো।সোনেলার সবার
ভালোবাসাটা সব সময় চাইব, দোয়া রইল বড় আপু ভালো থাকুন।
শুভ কামনা রইল।
প্রদীপ চক্রবর্তী
ফাটাফাটি লেখনী দিদি।
গল্পে ভূতের ছোঁয়াও আছে।
আমি হাসতে হাসতে শেষ।
আপনাদের এমন মিলনমেলায় না থাকলেও লেখা পড়ে বেশ ভালো লাগছে।
সোনেলা আমাদের সকলকে স্বপ্ন দেখায়।
বন্যা লিপি
দাদাভাই, আমি লেখাটা খুব প্রেসারাইজড হয়ে তাৎক্ষনিক লিখে ছেড়ে দিয়েছি। অনেকের নাম ঠিকঠাক করে উল্লেখ করতে পারিনাই, এক অর্থে এই ভুল মার্জনীয় হবার কথা নয়। তবুও আমি বিশ্বাস করি বন্যা লিপি ব্লগের কাউকেই বাদ দিয়ে চলতে পারেনা। ব্লগের সব সদস্যাই(বিষেশ করে যারা তোমরা আমাকে মোটামুটি চেনো জানো) আমার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। শর্টকাটে আমি শুধু “সব ব্লগার” বলে উল্লেখ করেছি। তৌহিদ ভাইয়ের মত এত এত নাম ভেবে চিন্তে লেখার সময় পাইনি। পারিবারিক ঝামেলা এড়িয়ে খুব অল্প সময়ে লেখা এই স্বপ্ন গল্প। দিদিকে মাফ করে দিও দাদাই। তোমাকে বাদ তো দেয়াই যাবে না। ২০২০ এর ২২ ফেব্রুয়ারীর মিলনমেলায় তুমি আসোনি, যদি বেঁচে যাই এইসব মহামারীর পরেও, আগামী কোনো এক মিলনমেলায় আমাদের অবশ্যই দেখা হবে ইনশাল্লাহ্, সে আশা অবশ্যই করি।
প্রদীপ চক্রবর্তী
দিদি,
আমি এমন কথা বুঝাতে চাই নি তো!
আমি বুঝাতে চাচ্ছি যে ২০২০ এর একুশে বইমেলায় যে সোনেলা পরিবারকে নিয়ে যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
সেটাতে যোগ দিতে পারেনি।
তবুও আপনাদের আনন্দে আমি আনন্দিত।
.
হ্যাঁ,দিদি
আগামীতে দেখা হবে সবার সাথে।
ভালো থাকুন।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
স্বপ্নটা খুব চমৎকার।
বন্যা লিপি
ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
জিসান শা ইকরাম
স্বপ্ন এগিয়ে যাচ্ছে তার গন্তব্যে সোনেলার সোনালী মানুষদের নিয়ে।
বন্যা লিপি
দারুন জমে উঠেছে স্বপ্নের হাটবাজার।
আপনি নিজের খেয়াল রাখুন। রেস্টে থাকুন।