
এই গৃহবন্দী অলস সময়টা বিষন্ন বদনে হাপিয়ে উঠছি। কি করব বুঝে উঠার আগেই সাইনাসে মাথা ব্যাথাটা চাড়া দিয়ে উঠছে। উপায়ন্তরহীন হয়ে বাসা থেকে রাত ৯ টায় যখন বের হলাম তখন চতুর্দিকে শুনসান নিরবতা। চেনা শহর বড়ই অচেনা লাগে।
জনমানব শুন্য, রাস্তায় দাড়োয়ান গুলো মুখে মাস্ক লাগিয়ে কর্তব্য কাজে ব্যস্ত। পাড়ার দোকানগুলো আলোর নিচে কাস্টমারের প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে। বড় রাস্তায় ঔষধের দোকান গুলো মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
এমন সময় পুলিশ মিলিটারির কনভয় আলো ঝলমলে বাতি জ্বেলে সাইরেন বাজিয়ে বিপরীত দিক থেকে ধেয়ে আসছে। পিছন ফিরে দেখলাম ২/৩ টা রিক্সা , কার ও একজন দম্পতি হাটছে দেখে সাহস পেলাম। যাক তারা পাশ দিয়ে চলে গেলো। এক ঘন্টা হাটার পর ফুড়ফুড়ে মেজাজে বাসায় ফিরে আসলাম। অবশ্য আদর মাখানো আদা লেবু গরম জলের কথা না বললে অন্যায় হবে।
বাসার দাড়োয়ান হাসি মুখে অভয় দিলেন, স্যার কিছুই হবে না নিশ্চিত থাকুন। এই যে আমরা জীবাণু নাশক পানি ছিটাচ্ছি, গ্যারেজ সিড়ি ঘর, সিড়ি পরিষ্কার করছি। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা যথারীতি ময়লা আবর্জনা নিয়ে যায়, পেপার ওয়ালা পেপার দিয়ে যায়। সবজী ওয়ালা সবজী আনে। সবাই ভালো আছে , কিছুই হবে না। ভাবলাম সবাই কাজ করছে আমরাই শুধু হাত পা গুটিয়ে করোনা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি।
আজ দাড়োয়ানের কথা শুনে সদ্যপ্রয়াত ডাক্তার নীহার দার কথা মনে পড়ছে। যিনি সারাজীবন মানুষের প্রশংসা আর অভয় দিয়ে গেছেন। যিনি বলতেন , সবার কাছে কিছু না কিছু ভাল গুণ আছে বের করে আনতে হয়। পাড়ার পরিত্যক্ত বখাটে ছেলে মুখোমুখি হতেই আদর করে মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, ”তুই তো খুব ব্রিলিয়েন্ট সমাজের অসংগতি গুলো কত সুন্দর করে বলতে পারিস। (গ্রামে সবাই পাগল বলত) এই গুণগুলো কারও কাছে নাই। তোর কাছেই আছে।” একটা গল্পের বই হাতে দিয়ে বললো, “প্রতিদিন ১০ পাতা পড়ে আমাকে বলবি আর আমার সাথে চা খেয়ে যাবি।” সত্যি সত্যিই সেই ছেলেটা মেধাবী হয়ে উঠল।
কোন রোগী দাদার কাছে গেলে দেখেই বলতেন তোর কোন কিছুই হয় নি। ঔষধ গুলো খাও কাজ কর্ম করো বিশ্রাম নাও ভাল হয়ে যাবে। সত্যি সত্যি রোগীরা সেদিন থেকে ফুরফুরে মেজাজে থাকে। দাদার প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে , সকল মানুষের কাছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে সেটা সচল রাখতে হয়। মনোবল ভেঙে দেয়া যাবেনা।
এখন আসি করোনা নিয়ে। এতো আলোচনা সমালোচনা ধারনাটা কি হলো।
করোনা ঘাতক ব্যাধি, বিস্তার লাভ করে সংস্পর্শে , ১৪ দিন পড়ে বুঝা যায়।
ফেব্রুয়ারী থেকে কয়েক লক্ষ লোক বিদেশ থেকে আসা যাওয়া করেছে।
ধরে নিলাম ২০ জন লোক করোনা আক্রান্ত ছিল ধরা পরে নি এবং ৫ জন লোকের সাথে মিশেছে এবং করোনা রোগ ছড়ালে বৈজ্ঞানিক ব্যাখায় কি হল আসুন দেখি।
1. 20 X 5 = 100 1st day
2. 100 x 5 = 500 2nd day
3. 500 x 5 = 2500 3rd day
4. 2500 x 5 = 25000 4th day
5. 25000 x 5 = 125000 5th day
6. 125000 x 5 = 625000 6th day
7. 625000 x 5 = 3125000 7 th day
8. 3125000 x 5 = 15625000 8th day
9. 15625000 x 5 = 78125000 9th day
10. 78125000 x 5 = 390625000 10th day
মানে দশম দিনে ৪০ কোটি লোক আক্রান্ত হওয়ার কথা । ৫% যদি মারা যায় এতদিনে ২ কোটি লোক মারা যাওয়ার কথা যা হয়নি।
আসুন আতঙ্কিত না হয়ে
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে,
নিজের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা যা করবেনঃ
১. ধূমপান বাদ দিন।
২. অ্যালকোহল পান করবেন না।
৩. প্রতিদিন গোসল করুন। সম্ভব হলে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান কিংবা বডিওয়াস (ডেটল, লাইফবয়) ব্যবহার করুন।
৪. ঠাণ্ডা-জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন যেমন : আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিঙ্কস, জুস।
৫. ভিটামিন সি যুক্ত খাবার/ফল খান। যেমন : অরেঞ্জ জুস, লেবু।
৬. সূর্যের আলো ত্বকে নিন। (ভিটামিন ডি)
৭. ঘনঘন হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
৮. ভালভাবে সেদ্ধ করা খাবার খান। যেমন : ডিম, মুরগির মাংস।
৯. অ্যাজমা, ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
১০. আদা চা, তুলসী চা, মধু ইত্যাদি পান করুন।
১১. ইয়োগা বা ব্যায়াম করুন।
করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম। এটা সবাইকে আক্রমণ করতে পারলেও সবার মৃত্যু ঘটাতে পারবে না। আপনার শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা আপনাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে পারে। তাই আক্রান্ত হওয়ার আগেই সতর্ক হোন। জনসমাগম এড়িয়ে চলুন,
বারবার হাত ধোয়া ও হাত নাকে-মুখে-চোখে না লাগানোই সবচেয়ে ভালো প্রতিরোধ। হাত ধোয়ার ক্ষেত্রে সাবান-পানি সবচেয়ে কার্যকর। করোনাভাইরাসের বাইরের আবরণটি চর্বির। কাজেই ক্ষারযুক্ত যেকোনো সাধারণ সাবান এ ক্ষেত্রে কার্যকর। কারণ, ক্ষারে চর্বির আবরণটি ভেঙে যায়, হাত ভাইরাসমুক্ত হয়। সাবান-পানি না থাকলে অ্যান্টিসেপটিক হ্যান্ডওয়াশ বা অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে পারেন।
করোনা ছড়ায় যেভাবে: সংক্রমিত ব্যক্তির শ্বাসপ্রশ্বাস, হাঁচি-কাশি কিংবা কথা বলার সময় মুখ থেকে নিঃসৃত তরল কণা বা ড্রপলেটের মাধ্যমে বেরিয়ে এসে যেকোনো বস্তু বা তলে লেগে যায় করোনাভাইরাস। সে জায়গা স্পর্শ করলে হাত থেকে ভাইরাসটি নাক-চোখ-মুখ দিয়ে সুস্থ ব্যক্তিও আক্রান্ত হতে পারে। তাই পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি। অন্তত তিন ফুট দূরে থাকতে হবে।
গরম জলে লেবু খান
*******************
লেবু খেতে পরামর্শ চাইনিজ গবেষকের
করোনাভাইরাসের মহামারীতে যখন স্তব্ধ পুরো বিশ্ব তখন এ থেকে সুস্থ হওয়ার পথ্য জানালো গবেষক জিয়াও সেনমি মিনজি। চীনের জানজান ইউনিভার্সিটির মেডিকেল সাইন্স বিভাগের এই গবেষক বলছেন, প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে যাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ।
করোনা থেকে বাঁচাতে পারে এক টুকরা লেবু আর এক কাপ গরম পানি। এক্ষেত্রে একটি লেবু টুকরা করে কেটে এক কাপ গরম পানিতে ফুটিয়ে নিতে হবে। লেবুর এই পানীয়টি শরীরে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকায়।
প্রতিদিন এই পানীয় পান করার পরামর্শ দিয়েছেন এই চাইনিজ গবেষক। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক ও চিকিৎসা আবিষ্কার হয়নি জানিয়ে এর প্রতিরোধের উপায় জানিয়ে মিনজি আরও জানান, লেবুর এই পানীয়টি করোনা প্রতিরোধের পাশাপাশি প্রতিষেধক হিসেবেও কাজ করবে। এছাড়াও এটি শরীরের অন্যান্য ভাইরাস এবং ফ্লুর বিরুদ্ধেও লড়াই করতে সহায়তা করবে। লেবুর রসে রয়েছে কার্বলিক এসিড, যা উচ্চ রক্তচাপ কমায়। এমনকি বাতের ব্যথা ও রক্ত জমাট বাধার সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
আসুন আতন্ক নয়, সচেতন থাকি। ফুর ফুরে মেজাজে কাজে কর্মে ব্যস্ত থাকি। করোনাকে করি প্রতিরোধ।
সুযোগ পেলে পরে লিখব কে কি করছি ?
সবাই ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
৪২টি মন্তব্য
নৃ মাসুদ রানা
বেশ লিখেছেন। অনেক কিছু জানলাম…
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
“সুযোগ পেলে পরে লিখব কে কি করছি ?”
অপেক্ষায় রইলাম।
হ্যাঁ, আমাদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা খুব জরুরী এ সময়ে। যা আমদের এই তুমুল বিপদ থেকে বাঁচাতে পারে।
সুপায়ন বড়ুয়া
আসলেটা লেখা টা বোধ হয় ঠিক হয় নাই ভাইজান।
লিখতে চেয়েছি করোনা আতন্ক যেভাবে ছড়ানো হয়েছে
সেইরকম হলে ১০ দিনে ৪০ কোটি লোক আক্রান্ত হওয়ার কথা ৫% হলে ২ কোটি লোক মারা যেত।
কিন্তু মনে হচ্ছে গরীব লোকরাই শেষ পর্যন্ত না খেয়ে
মারা যাবে।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
একটি ঘটনা বলি,
আমার দুধওয়ালা, খুব পুরনো, দুদিন বন্ধ দিয়ে কালকে এসেছে, একটু দূরে গ্রামে থাকে,
আমি সহ কিছু নির্দিষ্ট গ্রাহক তার। সবাই বলে দিয়েছে দুধ বন্ধ থাকবে। করোনার ভয়ে।
অনেক বাসায় তার যাতায়াত। তাই। বিদায় নিয়ে গেছে।
এই দুধ বিক্রিই তার একমাত্র আয়, তার তিনটি গরু। দুধ বিক্রি বন্ধ হলে সে কী খাবে আর গরুদের-ই বা কী খাওয়াবে!
শুধু বলেছি প্রয়োজনে সে যেন আমার সাথে দেখা করে। এখানেই শেষ নয় কিন্তু। আর ও আছে……………………
আল্লাহর সাহায্য-ই একমাত্র কামনা করি।
নিরাপদে থাকুন।
সুপায়ন বড়ুয়া
ভাল লাগলো ভাইজান।
সবাই পাশে দাঁড়াতে হবে
তাহলে গরীব লোক বাঁচবে।
ভাল থাকবেন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ দাদা। আপনার গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো, ভাবনা গুলো শেয়ার করার জন্য । আমি ও পুরোপুরি সহমত আপনার সাথে। ভয় কে করবো জয় একদিন। বুকের গভীরে আছে প্রত্যয়। ভালো থাকুন সাবধানে থাকুন
সুপায়ন বড়ুয়া
সেটাই দিদি
ভয় পেয়ে হাত পা গুটাইয়া বসে থাকলে
নানান রোগ পেয়ে বসবে এবং মানুষ না খেয়ে মরবে।
শুভ কামনা।
ফয়জুল মহী
বেশ, ভালো থাকুন। একমাত্র আল্লাহই রক্ষাকর্তা ।
সুপায়ন বড়ুয়া
আপনি ও ভাল থাকবেন।
শুভ কামনা।
তৌহিদ
দাদা চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। করোনা নিয়ে খুব আতঙ্কিত হয়ে আছি। যে হারে বাড়ছে তা দুশ্চিন্তার বিষয়।
আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি।
সুপায়ন বড়ুয়া
ভয় পেলে কি চলে ভাইজান ?
প্রতিরোধ করতে হবে
স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলে।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
তৌহিদ
আপনিও ভালো থাকবেন ভাই।
তৌহিদ
লেবু শরবত কাল থেকেই চালু করবো। আমি অবশ্য পেয়ারা, খেজুর আর সিভিট খাচ্ছি।
সুপায়ন বড়ুয়া
ভাল করছেন।
রোগ প্রতিরোধের বিকল্প নেই।
মালটি ভাইটামিন আর ও কার্যকর বেশী।
জিসান শা ইকরাম
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করলেই করোনা আর কাবু করতে পারবে না।
মানুষ আসলে আতংকিত হয়েছে করোনার কোনো মেডিসিন নেই একারনে।
লেবু গরম পানিতে বর্ননা অনুযায়ী খাবো আগামিকাল থেকেই।
অনেক ভাল একটি পোস্ট,
শুভ কামনা।
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত ভাইজান।
পরিশ্রমি লোকদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশী হয়
বাবাকে বৃদ্ধ বয়সে ও অসুস্থ হতে দেখি নি।
এতো রোগ বালাই মহামারি, সামাজিক অনুষ্টান ও মৃত মানুষের সৎকারে ব্যস্থ থাকার পরও।
আসলে লেখাটা একটু বড় হওয়াতে হয়তো সবটা কেউ পড়ছে না।
করোনা পাদুর্ভাবের পারসেপসান অনুযায়ি ১০ দিনে ৪০ কোটি আক্রান্ত ও ২ কোটি লোক মারা যাওয়ার কথা।
ধন্যবাদ। শুভ কামনা।
জিসান শা ইকরাম
মিডিয়ার কারনে একটু বেশিই আতংক ছড়িয়েছে আসলে।
সুপায়ন বড়ুয়া
বুঝলেনতো দাদা। আমি সেটাই তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সমস্থ কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু রেখেছিল।
কোন সমস্যা হয়নি।
বায়াররা এখন সুযোগ নেবে।
ঘরে বন্দী থাকলে মানুষ অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।
এজন্য মনোবল চাঙা রাখা আর কি
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
সুরাইয়া নার্গিস
দাদা অনেক ভালো একটা পোষ্ট পড়ে নিজেও উপকৃত হলাম, ভালো লাগছে লেখাটা সময় উপযোগী পোষ্ট।
ধন্যবাদ দাদা।
ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন।
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য আপু।
মনোবল হারানো যাবে না
বাংলাদেশের পরিবেশ ও এন্টিবডি শক্তি
আমাদের রক্ষা করবে একটু স্বাস্থ্য বিধি মেনে চললে।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
রেজওয়ান
মনোবল হারালে হেরে যাবে মনুষ্য প্রজাতি। ভয় নয় নিজেদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রেখে অপেক্ষা করতে হবে। অসাধারণ একটা লেখা ভাই❤ভাল লাগলো, সাবধানে থাকবেন✌
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত।
ভাল থাকবেন সবসময়।
শুভ কামনা।
এস.জেড বাবু
দারুন লিখেছেন দাদা-
তবুও আতংক কাটছে না-
আমার বাসা বাড়ি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান সবই একসাথে-
দোতলা পর্যন্ত কমার্শিয়াল এরিয়া তালা মারা।
বাসার বারান্দায় দাড়ালে সামনে সিএনজি ষ্টেশন- সদর রাস্তা, লোকজন চলছে তো চলছেই।
দোয়া করবেন আমাদের জন্য।
বাচ্চাদের খুউব কষ্টে বাসায় বন্দি করে রেখেছি- টিভি রিমোর্টের দখল ছেড়ে দিয়েছি।
এভাবে কতক্ষন আটকে রাখা যায় !
সুপায়ন বড়ুয়া
ঠিক বলেছেন দাদা। এটা একটা পেনিক সিটিউশান
কি আর করা। ভাল কিছুর জন্য ত্যাগ করতেই হয়।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
হালিম নজরুল
খুব ভাল লাগল।
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
করোনা আতঙ্কে দ্বিকবিদিক ছোটাছুটি করে, বিভিন্ন অনলাইন নিউজে আজব আজব গুজব পড়ে পড়ে, আতঙ্ক যখন মস্তিষ্ক বিকৃতি করা শুরু করে দিয়েছে,, ঠিক তখুনি এমন একটি পোস্ট মনে শান্তির পরশ দিয়ে গেলো। ধন্যবাদ দাদা, অঙ্কে-অঙ্কে এমন আতঙ্ক থেকে নির্ভার করার জন্যে। সঠিকভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চললে শুধু করোনা নয়, আরও অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত রোগ থেকে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব।
ভালো থাকুন। এভাবেই পজেটিভ ভাবনায় লিখুন। শুভ কামনা দাদা 🌹🌹
সুপায়ন বড়ুয়া
ঠিক বলেছেন আপু।
এমন ভাবে আতঙ্ক ও পারসেপশান তৈরী করা হল মানুষ মনোবল হারাচ্ছিল সেটাই হচ্ছে ভয়ের কারন বেশী।
মানুষ ভয়ে থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারায়।
তাই নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। আনন্দে থাকুন।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
তৌহিদ
আসলে ভীত না হয়ে রোগ প্রতিরোধ বাড়ানো উত্তম পন্থা। কারখানা বন্ধ হলে সুযোগ নেবে অনেক ক্রেতা। আর শ্রমজীবী মানুষের কি হবে তা কেউ ভাবছেনা।
সুপায়ন বড়ুয়া
ঠিক বলেছেন ভাইজান।
এই কথাটাই আমি প্রথম থেকে বলার চেষ্টা করছি আমার লেখা গুলো পড়লে বুঝতে পারবেন।
এই জন্য আমাকে সবাই কট্টর আ: লীগ বলে বিশেষ করে বন্ধুরা
আজ চায়নাকে বিপদে ফেলতে গিয়ে সারা বিশ্ব বিপদে পড়েছে।
চায়না কমুনিষ্ট তারা কঠোর ভাবে দমন করেছে। কাউকে মনোবল হারাতে দেয় নি।
প্রচার অপপ্রচারে মনোবল হারিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে আজ বিপদে পড়েছে সারা বিশ্ব।
যেভাবে প্রচার হয়েছে ১০ তম দিনে ৪০ কোটি লোক আক্রান্ত হওয়ার কথা ও ২ কোটি লোক মারা যাওয়ার কথা। হিসাবটা লেখায় আছে।
আজ সারা বিশ্বে মঙার কবলে মানুষ মারা যাবে বেশী।
ভাল থাকবেন ভাইজান।
মনির হোসেন মমি
পড়লাম।বেশ ভাল একটি আর্টিক্যাল।আপনার গানিতিক সুত্রটা চীন কাজে লাগিয়েছে।করোনা আক্রান্ত যাকেই ধরেছে তার মোবাইল ট্র্যাকিং ঠিক গানিতিক ভাবে তার সংস্পর্শে সিরিয়ালে সবাইকে আটক করে।
ধন্যবাদ দাদা এমন উপকারী পোষ্টের জন্য।
সুপায়ন বড়ুয়া
চীন কাজে লাগিয়েছে তাদের শক্তি বুদ্ধিমত্তা আর
কমুনিস্ট জোড় কাটিয়ে।
আমাদের পরিবেশে উল্টা কাজে লাগিয়ে দেশটাই স্তবির করে দিয়েছি।
কোয়ারান্টাইন তো হয় নাই সবাই দল বেঁধে বাড়ি গেছে কোরোনা হয় নাই। হলে ১০ম দিনে ২ কোটি লোক মারা যাওয়ার কথা।
আজ দেশটা স্থবির করে মন্দা আর ক্ষুধায় লোক মারা যাওয়ার অবস্থা।
যাক মনোবল হারানো যাবে না। হারালেই রোগে ধরবে। শুভ কামনা।
নীরা সাদীয়া
অনেকের অলস দিন কাটলেও আমার কিন্তু বেশ কাটছে। কারণ আমার রয়েছে একঝাঁক কবুতর। ওদের সঙ্গেই দিন কেটে যায়।
অনেকগুলো সুন্দর পরামর্শ পেলাম। লেবু চা আমার বেশ প্রিয়।
সুপায়ন বড়ুয়া
ভাল। মনকে প্রফুল্ল রাখুন।
স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন।
রোগ ভয়ে পালাবে।
শুভ কামনা।
সুরাইয়া পারভীন
চমৎকার গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।
কেবল সচেতনতায় পারে এই মহামারী থেকে বাঁচতে।
ঘর বন্দি সময় বিশ্রীভাবে কাটছে।
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত আপু।
মানুষের পারসেপশান আর বাস্তবতা যোজন যোজন দুরে।
করোনা আতঙ্কে মনুষ্য সৃষ্ট সংকটে সবাই পা দিয়েছে।
গৃহবন্দী জীবনে নানা রোগ হানা দিতে পারে।
তাই সচেতন থেকে আনন্দে দিন কাটান। সব ঠিক হয়ে যাবে।
শুভ কামনা আপু।
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত আপু।
মানুষের পারসেপশান আর বাস্তবতা যোজন যোজন দুরে।
করোনা আতঙ্কে মনুষ্য সৃষ্ট সংকটে সবাই পা দিয়েছে।
গৃহবন্দী জীবনে নানা রোগ হানা দিতে পারে।
তাই সচেতন থেকে আনন্দে দিন কাটান। সব ঠিক হয়ে যাবে।
শুভ কামনা আপু।
রেহানা বীথি
এই দুঃসময়ে খুব সুন্দর পোস্ট। মনোবল হারালে চলবে না। ভালো থাকুন দাদা।
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত আপু।
করোনা আতঙ্কে মনোবল হারিয়ে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকলে নানান রোগে হানা দিতে পারে।
তাই ফুরফুরে মেজাজে থাকুন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
ভালথাকবেন। শুভ কামনা।
সৈকত দে
সময় উপযোগী পোস্ট। আপনার লেখায় বর্তমান পরিস্থিতি এবং তা থেকে বাচতে আমাদের করনীয় কি তা খুব সুন্দর ভাবে উঠে এসেছে। ধন্যবাদ এমন জনসচেতনতামূলক পোস্টের জন্য।
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
আতঙ্কিত হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে
তাই ফুরফুরে মেজাজে থাকুন, ভাল থাকুন
শুভ কামনা।