
পাখিঃ কেমন আছো জেস?
জেসঃ খুব ভালো আছি,
পাখিঃ সত্যি? 🙂
জেসঃ হ্যা সত্যি। এতদিন কোথায় ছিলে?
পাখিঃ ছিলাম তো তোমার আশে পাশেই, ডাকোনি তাই আসিনি।
জেসঃ আজও তো ডাকিনি, তারপরেও এলে যে?
পাখিঃ আজ মনে মনে খুঁজেছ আমায়, আমি তো তোমার মন পড়তে জানি।
জেসঃ হু, তা তো জানবেই, মস্ত বড় পণ্ডিত হইছ তুমি।
পাখিঃ কি করো?
জেসঃ শ্রাবণ মাসের মত বৃষ্টি, জানালা খুলে বৃষ্টি দেখি।
পাখিঃ একটা কবিতা লেখো বৃষ্টিকে নিয়ে।
জেসঃ আমি কবিতা লিখতে পারিনা।
পাখিঃ প্লিজ জেস, কিছু একটা বলো।
জেসঃ আচ্ছা বলছি ‘ যাও পাখি বলো তারে, সে যেন ভুলে না মোরে ‘
পাখিঃ ধুর, এটা কি তোমার নাকি, এটি তো সবাই জানে।
জেসঃ কিছু একটা লিখতেই হবে?
পাখিঃ হ্যা বৃষ্টি ধারা নিয়ে কিছু লেখো।
জেসঃ আচ্ছা তাহলে কিছু একটা লেখি,
আমাদের জন্য
ভালোবাসার গ্রাম বানাচ্ছি সেই কবে থেকে
জলের মাঝে
অসীম আকাশের ছায়ায়।
স্বপ্নের গাছগুলো এখন
বড় হয়ে গিয়েছে অনেকটাই,
তারপরেও গাছের বৃদ্ধির জন্য
বৃষ্টির জল ঢালো প্রতিটি গাছের গোড়ায়।
শিকড় বেয়ে জল উঠে যায়
গাছের ধমনী হয়ে প্রতিটি পাতায়
অদৃশ্য কালির লেখায় দেখা যায়
প্রতি পাতায় বৃষ্টি ধারা আর ফাগুনের নাম।
সোনালী ফসলের আশায়
লাঙ্গল- ফলায় ওলট পালট হয় ভুমি
ক্লান্ত ফাগুনের মুখ মুছে দাও আচলে পরম মমতায়
অফুরান মমতা কোথা থেকে বয়ে আনো বৃষ্টি!!
উৎসর্গঃ যিনি আমাকে এই দোয়েলের ছবিটা দিয়েছেন।
৪৯টি মন্তব্য
বন্যা লিপি
ঃ আজো তো ডাকিনি, তবুও এলে যে!
ঃ ডাকোনি,মনে মনে খুঁজছিলে জানি।
ঃ হুম,বুজছি মহা পন্ডিত হইছো তুমি।
সোনালী ফসলের আশায়
লাঙ্গল-ফলায় ওলটপালট হয় ভূমি।
কাউকে ভুলে থাকা হয়না কখনো। কোনো না কোনো ভাবে নিভৃতচারে রয়েই যায় প্রকাশ্যে বা অ-প্রকাশ্যে।
আপনে কবিতা লেখতে পারেন না কথাটা আর কাউরে কইয়েন না।
এমনিই চালু রাখেন কবিতার কবিতায় চর্চা।
লেখা অনেক অনেক ভালো লাগছে।
জিসান শা ইকরাম
পাখিকে নিয়ে অনেকদিন পরে লিখলাম,
পাখি তো সব সময় আসেনা,
যখনই আসে তখনই কিছু লিখতে পারি মনে হয়।
এই লেখাকে কবিতা বলে কবিদের ছোট করো না,
এটা কবিতা না,
কিছু কথা মাত্র।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
হেমন্তের বৃষ্টিতে একটু আউলা হয়ে গেলেন মনে হয়।
জিসান শা ইকরাম
হ, হেমন্তের বৃষ্টিতে কিছুটা না, অনেকটাই আউলা ঝাউলা হইয়া গেছি 🙂
কি লিখতে কি লিখছি, আমিই জানিনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনি যখন আনন্দে থাকেন, তখন আপনার কাছে পাখি আসে।
পাখি এলেই লেখা আসে। 🙂
এবার পাখির রাজা দোয়েল এসেছে বলেই কি ডাবল লেখা দিলেন! 😉
জিসান শা ইকরাম
হ্যা, আনন্দে থাকলেই পাখি আসে,
পাখি এলেই কিছু লেখা আসেই,
এর আগের পাখি নিয়ে লেখা থাকতো উপরের অংশের মত,
দোয়েল এলো বলেই নীচের অংশ যুক্ত হলো।
আপনি সিসি ক্যামেরা নাকি?
আমার সবকিছু পর্যবেক্ষন করা শেষ মনে হয়!
শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
এক বছর দুইমাস হলো ব্লগে এসেছি। এখনো যদি সহ ব্লগারদের বুঝতে না পারি, তাহলে আমাকে কি কেউ সোনেলার বলবে!!
জিসান শা ইকরাম
তা ঠিক, এই এক বছর দুই মাসে যেভাবে সোনেলাকে দেখেছেন আমরা অনেকেই সাত বছরেও তা দেখতে পাইনি।
সোনেলা ইয়াসমিন এজন্যই নাম হয়েছে আপনার 🙂
নতুন লেখা দিচ্ছেন না কেন?
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
অসাধারণ,
কিছু বলার নাই।
জিসান শা ইকরাম
কিছু বলার নেই কেন? 🙂
নিজের খোলস ভেংগে সবার লেখায় মন্তব্য দিবেন,
আপনি বেশ ভালো লেখেন, ভালো মন্তব্য করতে পারেন আপনি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
শুভ কামনা।
রেহানা বীথি
সবুজে ভরপুর ভালোবাসার গ্রামটা দেখতে পেলাম যেন!
বড় সুন্দর লিখলেন ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু,
নতুন লেখা দিন,
ভালো থাকবেন,
শুভ কামনা।
রেহানা বীথি
নতুন লেখা দিলাম ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
হ্যা দেখেছি, পড়বো এখনই।
ধন্যবাদ আপনাকে।
সুরাইয়া পারভিন
ভাগ্যিস পাখি না ডাকতেই এসেছিলো
লেখার জন্য আবদার করেছিলো
তাই তো এতো সুন্দর অনুভূতির অনুভব অনুভূত হওয়া হলো।
চমৎকার প্রকাশ
জিসান শা ইকরাম
এমন মন্তব্যে একজন অলেখক লেখার প্রেরণা পায় আপু,
ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভ কামনা।
সুরাইয়া পারভিন
অনুভবে
জিসান শা ইকরাম
হ্যা বুঝেছি আগেই 🙂
ইঞ্জা
সুন্দর লিখলেন ভাইজান, অনেক আগেও একবার লিখেছিলেন।
এইবারের অনুভব আরও পরিণত। 😊
জিসান শা ইকরাম
হ্যা ভাইজান, আগেও লিখেছি পাখি নিয়ে,
আগে সুধু ছিলো কথা,
এবার কথার পরে আর একটা অংশ যুক্ত হলো।
ধন্যবাদ আপনাকে,
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
হাঁ ভাইজান, দেখেছি এবং ভালোই লেগেছে।
জিসান শা ইকরাম
দেখার জন্য ধন্যবাদ ভাইজান।
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা ভাইজান
প্রদীপ চক্রবর্তী
দাদা
বিশেষ কিছু বলার নেই।
অনেক অনেকটা অনুপ্রাণিত হলাম আপনার লেখায়।
একরাশ মুগ্ধতা রেখে গেলাম।
শুভকামনা দাদা।
জিসান শা ইকরাম
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রদীপ,
স্বভাব কবি তুমি, তোমার এমন মন্তব্যে প্রেরণা পাই।
শুভ কামনা।
তৌহিদ
হেমন্তে দোয়েল এসেছে!! বাহ, কথোপকথনরত নিজেদের গল্পে এমন লেখাইতো চাই হেমন্তে। ভাগ্যিস পাখিটি এসেছিলো, না হলে আজ এত সুন্দর অনুভূতির প্রকাশ পাঠক দেখতে পেতোনা।
লেখা ভালো লেগেছে ভাই।
জিসান শা ইকরাম
জি ভাই, পাখিটি এসেছে বলেই লেখা এসেছে,
নইলে লেখাটি আসত কিনা সন্দেহ আছে 🙂
ধন্যবাদ
শুভ কামনা।
আকবর হোসেন রবিন
দোয়েল পাখিটা সুন্দর। এরচেয়ে বেশি সুন্দর আপনার লেখাটা।
জিসান শা ইকরাম
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে রবিন,
নিয়মিত দেখে ভালো লাগছে এখানে আপনাকে।
লেখুন নিয়মিত, অন্যের লেখাও পড়ুন।
শুভ কামনা।
সঞ্জয় মালাকার
সবুজ ভরপুর ভালোবাসার গ্রামটা, বাংলার পাখির রাজ দোয়েল দেখে খুব সুন্দর লাগলো,। পড়ে খুব তৃপ্তি পেলাম ভাইজানা, শুভ কামনা আপনার জন্য।
জিসান শা ইকরাম
অনেক ধন্যবাদ দাদা,
ভালো থাকুন প্রবাসে।
শুভ কামনা।
নিতাই বাবু
“স্বপ্নের গাছগুলো এখন
বড় হয়ে গিয়েছে অনেকটাই,
তারপরেও গাছের বৃদ্ধির জন্য
বৃষ্টির জল ঢালো প্রতিটি গাছের গোড়ায়।”
গাছের গোড়ায় জল না ঢাললে গাছ মরে যাবে। স্বপ্নও মরে যাবে। পাখিও আর গাছে ডালে আসবে না, বসবে না, গানও গাইবে না। গাছ বেঁচে থাকুক! পাখিও আসুক, গান গেয়ে যাক! স্বপ্ন ছরাক।
আশা করি পাখির আশা পূরণ করেছে জোস নামের হিরোটি।
জিসান শা ইকরাম
এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দাদা।
পাখির আশা পুরন হয়েছে মনে হয় 🙂
শুভ কামনা সব সময়ের জন্য।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
অনেক দিন দোয়েল পাখি দেখিনা। হয়তো গ্রামে তেমন যাওয়া হয় না তাই। গেলেও গৌধুলী বেলায় মেটো পথে হাটা হয় না।
আপনার পাখির সাথে কথোপকথন ভালো লেগেছে। লেখায় ভিন্নতা আছে। শুভ কামনা।
জিসান শা ইকরাম
আমার এলাকায় প্রচুর দোয়েল আছে,
ছবিটা আমাকে দিয়েছেন ঢাকার এক বন্ধু,
পাখি প্রেমিক আমি এটি জানেন বলেই আমাকে দিয়েছেন। তার বাসার সামনে গতকাল এসেছিল এই দোয়েলটা।
শুভ কামনা আপনার জন্যও।
আরজু মুক্তা
আারও পাখি আসুক।
কবিতাটা ভালো লেগেছে।
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ,
শুভ কামনা।
শিরিন হক
আবারও আসুক পাখি…
মনের জানালা খুলে আবারো লিখুন।
তবে অনুপ্রেরণা পেলাম লেখাটি পড়ে।
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ আপনাকে।
নতুন লেখা দিন।
শুভ কামনা।
শাহরিন
পাখিরা আনন্দের বার্তা নিয়ে আসুক। সুখ শান্তি দিয়ে যাক।
জিসান শা ইকরাম
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা।
হালিম নজরুল
চমৎকার কথোপকথন
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ ভাই।
শুভ কামনা।
মোহাম্মদ দিদার
প্রিয়,
সেনেলায় কমেন্ট সম্পাদনার সিস্টেম নেই!যদি থাকে সেটা কিভাবে, দয়াকরে জানাবেন।
জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো।
জিসান শা ইকরাম
মন্তব্য সম্পাদনার সিস্টেম নেই।
শুভ কামনা।
অনন্য অর্ণব
ওয়াও…হোয়াট এ কনভার্সেশন ডিয়ার। মুগ্ধতা সীমাহীন।
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ ভাই।
মিস করি ব্লগে আপনাকে।
শুভ কামনা।
রুমন আশরাফ
“স্বপ্নের গাছগুলো এখন
বড় হয়ে গিয়েছে অনেকটাই,
তারপরেও গাছের বৃদ্ধির জন্য
বৃষ্টির জল ঢালো প্রতিটি গাছের গোড়ায়।”
মন ছুঁয়ে গেলো। ভীষণ ভাল লাগলো।
জিসান শা ইকরাম
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
শুভ কামনা।