
স্বাভাবিক ভাবে গ্রহন করতে না পারাঃ
বিভিন্ন কারণে আমরা কোন কিছুকে সহজ ভাবে নিতে ভুলে গিয়েছি। কারণ হতে পারে সামাজিক অস্থিরতা, অবিশ্বাস, অন্যায়, অব্যবস্থাপনাকে মেনে নেয়া, বিচারহীনতা, স্বার্থপরতা সহ আরো অনেক কিছু।
যেমন বছর দুই আগে আমাদের সোনেলা ব্লগ সাইট হ্যাক করার চেষ্টা হয়েছিল। প্রথমে মুল সাইট, এতে ব্যার্থ হয়ে মডারেটরদের আইডি হ্যাক করার চেষ্টা। এবং একজন মডারেটরের আইডির পাসওয়ার্ড হ্যাক করে সাইটে লগইন পর্যন্ত করেছিল হ্যাকার। একজন মডারেটরের আইডি হ্যাক করার ফলাফল অত্যন্ত মারাত্মক হতে পারে। হ্যাকার তখন প্রকাশিত সমস্ত লেখা মুছে দিতে পারে, এমনকি সাইটই ধ্বংস করে দিতে পারে। আমাদের ভাগ্য ভালো যে, ক্ষতি করার পূর্বেই আমরা জেনে যাই এবং সাইট প্রটেকশনের ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হই।
বেশ কয়েকজন জেনুইন ব্লগারকে বিষয়টি আমি জানাই। একই ম্যাসেজ এদের সবাইকে প্রেরণ করি। একজনের উত্তর আমাকে হতভম্ভ করে দেয়। উনি উত্তরে বললেন ‘ আপনি আমাকে এসব জানাচ্ছেন কেন? আপনার কি ধারনা আমি এসব করছি? ‘
উনি সহজ ভাবে আমার ম্যাসেজ টি গ্রহন করতে পারেন নি। কোনো কারণে হয়ত তিনি তখন মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন, তাই হয়ত আমার মেসেজটি স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারেননি। এমন আমি আপনি সবাই হতে পারি। কোন কিছুকে স্বাভাবিক ভাবে গ্রহন করতে না পারা, এমন হতেই পারে।
ছোট ছোট মিথ্যে বলাঃ
আমরা অনেকেই আছি ছোট ছোট মিথ্যে কথা বলতে বলতে এখন সত্য যে কি তা বলতেই ভুলে গিয়েছি। প্রয়োজন নেই তারপরেও মিথ্যে বলি। আমাদের ধারণায় আসে, এত ছোট মিথ্যে কথায় আর কি হবে?
আমাদের জেলা শহরের পৌরসভার এক সময়ের মেয়র ছিলেন আমার ক্লাস ফ্রেন্ড ও বন্ধু। ফোন করলাম তাঁকে, দোস্ত কই তুই? উত্তর দিলো ‘ আমি ঢাকা যাচ্ছি, তিনদিন পরে আ সবো।’ পৌরসভার নীচ তলায় দাঁড়িয়ে ফোন করেছি, আমি জানি সে অফিসেই আছে। উপরে উঠে তার কক্ষের দরজা খুলে দেখি সে জাম্বুরা খাচ্ছে চেয়ারে বসে। আমাকে দেখে বলে, নে দোস্ত জাম্বুরা খা। সামান্য অনুতাপ নেই তার গলায়। এমন কিন্তু আমরা অনেকেই করি। আর অনুতাপ হীন হয়ে সমাজে চলাফেরা করি। এর ফলে যে সত্যি বলার প্রবণতা দিন দিন কমে যায় তা আমরা নিজেরা বুঝতে পারিনা।
মানুষকে ঠকানোঃ
৮৪ টাকায় গ্রামীণের এক গিগা সাত দিন মেয়াদের ডাটা কিনতে যেতাম ফ্লেক্সি লোডের দোকানে। প্রতিবার একশত টাকা দেই তাকে। সে আমাকে ফেরত দেয়ার কথা ১৬ টাকা। ক্যাশ বাক্স থেকে ১০ টাকার এবং ৫ টাকার একটি নোট বা কয়েন ফেরত দেয় আমাকে। লক্ষ্য করে দেখেছি, তার ক্যাশ বাক্সে অনেক দুই টাকার নোট আছে, তা হাত দিয়ে সরিয়ে সরিয়ে ৫ টাকা খুঁজতে থাকে সে। তিনটি দুই টাকার নোট দেয় না সে কখনোই। দু একবার তাকে বলেছি ১৬ টাকা ফেরত দিবেন না? দুই টাকার অনেক নোট থাকার পরেও তার উত্তর ‘ ভাংতি টাকা নেই।’
ঘটনাটি খুব ছোট, কিন্তু এর ব্যাপকতা বেশ বড়। তার মধ্যে মানুষকে কম দেয়ার একটি প্রবণতা তৈরী হয়েছে, সে যে মানুষকে ঠকাচ্ছে এতে তার কোন অনুশোচনা নেই, তার কাছে এটি স্বাভাবিক আচরন। আর আমরা এটি মেনেও নিয়েছি।
এই যে টাকায় মানুষকে ঠকানো এতে রাষ্ট্রেরও দায় আছে। রাষ্ট্রীয় ভাবেই এর পৃষ্ঠপোষকতা করা হচ্ছে। উন্নত দেশে তো আছেই, আমাদের নিকটবর্তী সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডেও টাকায় এমন ঠকানোর কথা কেহ চিন্তাও করতে পারেনা। ওখানে খুচরো পয়সা পর্যন্ত বুঝিয়ে দেয়া হয় ক্রেতাকে। যে কোনো দোকান থেকে আপনি কিছু কিনবেন, মালামালের মূল্যের সমপরিমাণ অর্থই আপনার কাছ থেকে নেবে তার। আমাদের দেশের বাটার স্যু স্যান্ডেলের মূল্য ৪৯৯.৯৯ টাকা হলে ঠিক ৪৯৯.৯৯ টাকা ই রাখবে বিদেশে, আপনাকে এক পয়সা ফেরত দিবে। যা আমাদের দেশে স্বপ্নের মত মনে হবে।
এই যে এসব ছোট খাট বিষয় আমরা মেনে নিয়েছি এতে অবশ্যই বড় বিষয়কে মেনে নেয়ার প্রাথমিক অবস্থা বলা চলে। ধীরে ধীরে আমরা এসবে অভ্যস্থ হয়ে বড় অন্যায়ের দিকে ধাবিত হই।
৩৫টি মন্তব্য
আরজু মুক্তা
ছোট ছোট পাপগুলোই ধ্বংস করে।বড় পাপ কি আমরা খুব করি।তবে মানুষের অনুশোচনা বোধ কমে গেছে।এখন ছাত্ররা টিচারকে দেখলে পকেটে হাত দিয়ে যায়!
অথচ টাকাও লাগেনা সালাম দিতে!
জিসান শা ইকরাম
ছোট ছোট পাপ করে আমরা বড় পাপের দিকে ধাবিত হই।
মনির হোসেন মমি
আপনাদের বিচক্ষণতা সোনেলা তার আপন গতিতে সবাইকে সুরক্ষায় এগিয়ে যাবে এ কামনা।আর মানুষ ঠকানোতে আমাদের সয়ে যাওয়াটাই দূর্বলতা।ভাল থাকবেন।ম্যাগাজিনেতে রাখার মত একটি লেখা।
জিসান শা ইকরাম
ছোট ছোট অন্যায়গুলোও যেন আমরা পরিহার করি।
ম্যাগাজিনে প্রবন্ধের জন্য আর জায়গা নেই মনির ভাই।
বন্যা লিপি
যে বিষয় গুলো নিয়ে আলোকপাত করেছেন, অতি বাস্তবিক জীবনবোধের আওতায় সবসময় ঘটে চলেছে। রিকসায় চড়তে গেলে বা দোকান থেকে কিছু কিনতে গেলে এক টাকা দু’টাকার জায়গায় এখন চকলেট ধরিয়ে দেয়া হয়। অকারন মিথ্যে বলা এবং ধরা খেয়ে নির্লজ্জতা দেখানো কোনো ব্যাপারই না যেন এখন। অস্থির লাগে এসবে এখন।
জিসান শা ইকরাম
এসব ছোট ছোট অন্যায়ই হচ্ছে বড় অন্যায়ের সুচনা।
আমরা পারিবারিক জীবনে এসব পরিহার করতে পারি।
রাফি আরাফাত
ছোট ছোট ব্যাপার গুলো এতো সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে যা নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে আমাকে ভাই। ভালো লাগছে।
জিসান শা ইকরাম
এসব বিষয়ে আমরা পরিবারের মধ্যে আলাপ করতে পারি।
রাফি আরাফাত
জ্বি ভাই। গুড আইডিয়া।
জিসান শা ইকরাম
হ্যা, ধন্যবাদ।
শামীম চৌধুরী
খুব সুন্দর করে সময়পোযোগী কথাগুলি ফুঁটিয়ে তুলেছেন।
ছোট ছোট মিথ্যা,মানুষ ঠকানো আর স্বাভাবিক ভবে গ্রহন না করতে পারাটা আামদের চরিত্রগত একটি অভ্যেসে পরিনত হয়েছে। সুন্দর করে গুছিয়ে মিথ্যে বলাটা আমরা একটা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছি। অথচ মিথ্যে কথা বলার মানুষটি বুঝতেই পারছে না সে নিজেই নিজেকে ঠকাচ্ছে। নিজের ব্যাক্তিত্ব হারাচ্ছে। তার আরেক পরিচয় হচ্ছে সবার কাছে মিথ্যাবাদী হিসেবে।
খুব ভালো লাগলো ভাই।
জিসান শা ইকরাম
শামীম ভাই, আপনি গুরুজন। আপনার আমার ছোটবেলায় এমন কিন্তু আমরা দেখিনি। আমাদের জীবন এত জটিল ছিল না।
ঠিক বলেছেন ভাই, মিথ্যেকে আমরা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছি।
শুভ কামনা।
শামীম চৌধুরী
আমাদের ছোটবেলা কেটেছে গুরুজনদের আদর্শবাণীতে। গুরুজনরা বলতেন মিথ্যে থেকে দুরে থাকবে। সত্যকে প্রতিষ্ঠা করবে। আর মানুষ ঠকানোর চিন্তা করলে নিজেই ঠকবে। এখন আর সেই শিক্ষা কেউ আমলে নেয় না বলে আজ এত অবক্ষয়।
শুভ কামনা রইলো আপনার জন্যও
শুভ সকাল।
জিসান শা ইকরাম
আমরাও এমন উপদেশের মধ্যে বড় হয়েছি।
ভালো থাকুন আপনিও।
ছাইরাছ হেলাল
ফেরত তো ১৬ টাকা দেয়ার কথা,
হয় এটি ঠিক করুন বা বুঝিয়ে বলুন।
সময়ের সাথে অনেক কিছু পাল্টে পাল্টে যাচ্ছে, যাবেও।
জিসান শা ইকরাম
ঠিক করে দিয়েছি। দশ টাকার নোট তো পাওয়াই যায়, ঝামেলা বাঁধে খুচরো টাকা নিয়ে। তাই দশ টাকার অংশ বাদ দিয়েছিলাম।
হুম, পালটে যাচ্ছে, যাবেও।
ইঞ্জা
লেখাটি মন দিয়ে পড়লাম, অনেকে জেনে বুঝেই এইসব করে কিন্তু তাদের মাঝে নূন্যতম পাপবোধ থাকেনা, কিন্তু সবার সজাগ থাকা উচিত এইসব বিষয়ে, কারণ পাপ নাকি বাপেরেও ছাড়েনা।
জিসান শা ইকরাম
হ্যা ইঞ্জা ভাই। এসব ছোট খাট বিষয়ই একসময় বড় হয়ে যায়,
যা থেকে মানুষ আর ফিরতে পারে না।
ইঞ্জা
সহমত
রেজওয়ান
😥বিন্দু বিন্দু জলের কথা মনে পরে গেল! কিছু কিছু ক্ষেত্রে কতটা অসহায় আমরা, মিথ্যার জালে সব সময়ই ফেঁসে যাই😨
জিসান শা ইকরাম
হ্যা ছোট ভাই। আমরা এসবে অভ্যস্থ হয়ে গিয়েছি।
মোঃ মজিবর রহমান
কি বল্ব বাস্তব সত্যি কেউ গ্রহন করেনা। আর আমরা এতো লোভী আর অসৎ যে আমাদের এগুলো মনেই হইনা।
যেমন কিছুন্দিন আগে মিস্টার শাহাজান খান বলেছেন, “গাড়ী চালকের শাস্তি হই কিন্তু ট্রেন চালকের হইনা কেন?” আর এই জন্য সব ছাড় পাই। তেমন ওয়াসার এম ডি পক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই রকমই সাফাই গেয়েছেন। তাই সবাই পার পেয়ে যায়। আপনি হইত বলবেন আপনার নিজস্ব মানবিক বা মুল্যবোধ নাই। হ্যাঁ আছে কিন্তু এইগুল সমাহে প্রতিস্টহিত হইনা। আমি সমাজের নিচু স্তরের মানুষ আমার মন এর কথা আমার লেবেল মানুষ শুনবে কিন্তু সমাজে স্থান পাই বড়দের কথা।
জিসান শা ইকরাম
এভাবেই ধীরে ধীরে আমরা পালটে যাই। গেছিও পালটে।
নীরা সাদীয়া
দাদা, মনে মনে আমি এই বিষয়গুলোই ভাবতাম, কিন্তু গুছিয়ে লিখতে পারিনি। আমার সমস্যা হলো, এই ছোটখাট অন্যায়গুলোকে আমি মেনে নিতে পারি না। ফলে আমাকেও মানুষ সহজে মেনে নিতে পারে না।
ব্যপার নাহ।
তবে আপনার এই লেখাটা অসাধারন হয়েছে, কিছু বাস্তব সত্যকে তুলে ধরেছেন নিজস্ব আঙ্গিকে।
জিসান শা ইকরাম
এখন এক গিগা হয়েছে ৮৬ টাকা। এখন কিন্তু ফ্লেক্সি লোডের দোকানে একটাকা কম নেবে না 🙂
পরিবারের মধ্যে এসব বিষয় আলাপ করতে হবে।
শাহরিন
আমি কয়েকদিন আগে আপেল কিনলাম ৪৭ টাকা হয়েছে বলে ৫০ টাকা দেন, আমি বললাম কেন দিব, পরে বলে ভাংতি নাই জিজ্ঞাসা করলাম ভাংতি করে দেন। ক্ষেপে গিয়ে বলে ৪৫ টাকা দেন আপনাকে কমে দিব। আমি বলেছি আমার অনেক টাকা আছে আপনার টাকা লাগবে না। পরে আপেল ও কিনি নাই।
দাদা আমি যোগাযোগ এর একটা ট্রেনিং করেছি অনেক কিছু জেনেছি সেখানে। মাঝে মাঝে মনে চায় কিছু কিছু মানুষকে ওই ট্রেনিং টা করিয়ে আনি।
জিসান শা ইকরাম
এরা এমনই। কিছুদিন আগে আমি একটা বেল্ট কিনলাম ব্রীক ফিল্ডের মেশিনের জন্য।
হিসেব মত দাম আসে ৬৮৭৬ টাকা। আমাকে বলে ৬৯০০ টাকা।
কিভাবে মানুষ এর কাছ থেকে বেশী নেবে এই ধান্ধায় থাকে এরা।
কোন ট্রেনিং এ এদের ফেরাতে পারবে না।
সে অবস্থায় নেই এরা আর।
তৌহিদ
বিষয়গুলিতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি বলে হয়তো এখন আর তেমন কিছু মনে হয়না, তবে এগুলোই ভাবনার বিষয়। একে অন্যকে যে যেভাবে পারছে মিথ্যে বলছে। ভালো কথাও অন্যরকম শোনায় মন মেজাজ খারাপ থাকলে। অথচ নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে এ বিষয়গুলি সমাধান করা যায়।
মোবাইলের দোকানে আমাকে মাঝেমধ্যে ১ টাকার বিনিময়ে চকলেট ধরিয়ে দেয়।আমি একদিন মেজাজ খারাপ করে ওর দিকেই চকলেট ছুড়ে মেরেছিলাম। খা ব্যাটা তুই খা।
জিসান শা ইকরাম
আমরা অভ্যস্থ হয়ে মেনে নিয়েছি এসব,
তাই এসব আর অন্যায় মনে হয় না আমাদের কাছে,
এটিই যেন স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে।
আবু খায়ের আনিছ
ছোট ছোট বিষয়গুলোই ত একদিন কত বড় হয়ে যায়।
ইদানিং মোবাইল রিসার্চ এর দোকানগুলোতে ১৯/২৯/৩৯ এমন রিসার্চ এর অফার চলে এর বাইরেও আরেকটা প্রবণতা আমি লক্ষ্য করেছি, দোকানদার কে যে টাকাই লোড করতে দেই না কেন সে একটা কম দিবে।
এখন সে যদি প্রতিদিন ৫০০ মানুষের সাথে এই কাজ করে তবে ৫০০ টাকা প্রতিদিন অতিরিক্ত মাসে ১৫ হাজার অতিরিক্ত ইনকাম করছে।
জিসান শা ইকরাম
হ্যা একজনের জন্য কম হলেও, সম্মিলিত হিসাবটা অনেক বড়।
মোবাইল অপারেটররা ইচ্ছে করেই দোকানীকে এমন একটাকা বেশী নেয়ার সুযোগ করেও দিচ্ছে।
সকাল স্বপ্ন
কেউ ছাড় দেয় না
তাই বিবেক আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে
অনেক ধুরে সরল মানুসের মনে,
আর আমরা হয়ে থাকছি রোবট।
জিসান শা ইকরাম
হ্যা ঠিক বলেছ মামা।
শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
* আমাকে বলছেন কেন? আপনার কি ধারণা আমি এসব করেছি * এই কথাটা দুই ভাবে ধরা যায়।
১–যাকে জিজ্ঞেস করেছেন সে আপনার কাছ থেকে এমন মেসেজ আশা করেনি। হয়তো সে আপনাকে অনেক শ্রদ্ধার চোখে দেখতো। এই প্রশ্নটি তার মনে একটা কষ্টের জন্ম দিয়েছে।
২– আপনার সোনেলা নিয়ে তার কোনো মাথাব্যথা ছিলো না। এটা কেউ হ্যাক করুক বা না করুক তাতে তার কিছুই যায়/আসে না। তাই তাকে এমন প্রশ্ন করা তার কাছে অবান্তর মনে হয়েছিলো।
তবে, সে নিরপরাধ ছিলো এটা বোঝা গেছে তার প্রশ্নের ধরন দেখেই।
হু, আমরা মেনে নিতে শিখে গেছি। কারণ মেনে নেওয়ার মাঝে সুখ না থাকলেও ক্যাচালে যাবার সম্ভাবনা নেই। যান্ত্রিক জীবনে মানুষের হাতে পর্যাপ্ত সময়ের খুব সংকট। তার উপর দৈনন্দিন অস্থিরতা। মানুষ তাই কিছুক্ষন নিরবতা চায়, নিরবতা দেখতে চায়। ক্লান্ত মানুষের মাঝে প্রতিবাদ স্পৃহা সব সময় জেগে উঠে না, আর এই সুযোগটাই কাজে লাগায় অক্লান্ত দুষ্টের দল।
শুভ কামনা 🌹🌹
জিসান শা ইকরাম
একটি প্রশ্ন মানুষ ভেদে গ্রহনটা বিভিন্ন হতে পারে। ” কেমন আছেন আপনি? ” এই সহজ প্রশ্নের অনেক ধরনের উত্তর হতে পারে।
১। কেমন আছি জিজ্ঞেস করে কেন? আমি যে খারাপ অবস্থায় আছি এটা কি সে জেনে গেলো? – এর জবাব সহজ হবে না।
২। কেমন আছি জিজ্ঞেস করে কেন? এর নিশ্চয়ই কোনো খারাপ মতলব আছে। – এনার জবাব হবে এক রকম।
অনেক উদাহরন দেয়া যায়। তবে আপনার কথাই ঠিক,সে নিরাপরাধ ছিলো।
ক্যাচাল এড়াতে আমরা আসলেই অনেক কিছু মেনে নিতে অভ্যস্থ হয়ে গিয়েছি।
শুভ কামনা।