হস্তপন্ডিত মামার বন্ধুর হাতে হাত সমর্পণ করে বসে আছি আর মনে মনে মিটিমিটি হাসছি, এবেলায় স্বীকার করেই নিলাম মন আর বাহিরের মধ্যে ইট, কাঠ বেড়া কিছু একটার দেয়াল থেকে ভালোই হয়েছে ।। গুনে গুনে বয়স ভেদে সাফল্য; পরাজয় যত কম বলা যায়।। পরাজয় না হয় সত্যি ভবিষ্যতেই রইলো, এই মিথ্যে ভবিষ্যতের সবটুকুতে সফলতাই সফলতা।। কানে কানে বলি আমার কিন্তু দুই বিবাহ, খবরদার কাওকে ফাঁশ করবেন না বলে দিচ্ছি।। এই এক আশাতেই মানুষ মনে হয় বছরের পর বছর অপেক্ষা করে দিতে পারে, আর আমিতো ছবি হতে পারলে নিশ্চিত সুকান্তের মতোই হতাম, গালে হাত দিয়ে অপেক্ষা তো অপেক্ষাই ।। 🙂 চলে যাবার আগে হঠাৎ নজরে কপালের ঠিক মাঝের তিল, আমিতো এবার দ্বিগুন, তিনগুন, চতুর্গুণে কি বলে শোনার অপেক্ষায় ।। মামা তুমি তো বিশাল ভাগ্যবতী, আমি বলেই ফেললাম একেই হয়তো বলে মানুষ তার নিজের ভাগ্য নির্মাতা ।। কি? না কিছুনা, বললে নিশ্চয়ই মামা খুশি হতেন না, কিশোরী মেয়ে প্রতিদিন বেখেয়ালে একটু একটু করে কাজল কালো টিপে তার সৌভাগ্য রচনা করেছে।। যে ব্যক্তি এতোক্ষন ধরে আনন্দ দিলেন, তাকে কস্ট না দেয়াই উত্তম মনে করলাম।।
ভাগ্য আমার সই, তাই স্বপ্নেও বিচরন করা শুরু করে দিলো।। বিশ্বাস করি নিতান্ত অবিশ্বাসের মতোই, তবুও খোয়াবনামা অনেকেই ঘেটেছেন এটুকু বলতে পারি, এটাও নিছক আনন্দের জন্যই… আনন্দের আবার সত্য মিথ্যা কি?
সাঁতার কাটি।।হুম প্রত্যেকদিন একই স্বপ্ন, যেখানে সেখানে পানি পেলেই আমি সাঁতার কাটছি, বন্যায় সারা দুনিয়া ভেসে যাচ্ছে আর আমি মনের আনন্দে সাঁতার কাটছি… একবার তো সাঁতার কেটে স্ট্যাচু অফ লিবার্টি পর্যন্ত চলে গেলাম।। খোয়াবনামা আর গুরুজন রেজাল্ট দিলো আমার সফলতা ঠেকানোর সাধ্য খোদ বুঝি সফলতা শব্দেরই নেই।। বুঝিবা কোনদিন মনের ভুলে ডুব সাঁতার দিয়েছিলাম, আমার সৌভাগ্যের সেই দ্বীপ পেড়িয়ে গেলো, আমার দেখা হলোনা কিংবা চেনা হলোনা।।
আমি আবার সেই স্বপ্নে ফিরে এসেছি, আবার সাঁতার কাটছি, কাকতালীয় ভাবে আবার প্রায় প্রত্যেকদিন।। এবারে আর আগের ভুল করা যাবেনা।। যে সৌভাগ্য আমি সর্বাঙ্গে বহন করে যাচ্ছি, স্বপ্নে বয়ে নিয়ে বেরাচ্ছি, তাকে পাবার জন্য ওহে হস্ত আর স্বপ্ন পন্ডিত রা আমি আধেক জনম তো পার করেই দিলাম, আমি আরেক জনম চাইবো শুধু তোমারও লাগিয়া…
নিজেকে মিথ্যে সুখী করার কতো উপকরণ, তবু সত্যি সুখরা যেনো বা এইসব না দেখা শরীরের রেখা আর সকালে ঘুম ভাঙ্গা স্বপ্নের মতোই ।।
৬১টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে মাইনাস দিচ্ছি ।
এতক্ষণ বসিয়ে রাখলেন ! সামান্য পাঠককে !
পড়ে পরে মন্তব্য দিচ্ছি।
শুন্য শুন্যালয়
এরপর পড়ে মাইনাস দেবেন, প্লাস হয়ে যাবে…
মশাই
ghumacchi. Ek cokh khule dhonnobad dite esechi. Baki pore bolbo. Dhonnobad apnake. Dhonnobad keno dilam? Karon apni proman korechen apni je sotti sotti onek kri…..
Accha thak
lekha porechi tobe ghum cokhe. Aroo porte hobe. Tobe khusi holam lekha dekhe.
শুন্য শুন্যালয়
দুচোখ কি খুলেছে জনাব? ধন্যবাদের জন্য ধন্যবাদ কিন্তু আমাকে কৃপণ বললে কিন্তু ভালো হবেনা 🙁
মা মাটি দেশ
:Angel: :Afraid:
শুন্য শুন্যালয়
সিম্বল গুলো বুঝি শুধু আপনার জন্যই আনা হলো?
ব্লগার সজীব
অদ্ভুত সুন্দর লেখা একেই বলে। আপনার দুই বিয়ে? আজই জানিয়ে দেবো সবাইকে :p (y)
শুন্য শুন্যালয়
এতো করে যে বললাম ফাঁস করবেন না..আপনি হাত দেখান না, তিন চার বিবাহ বলতে পারে কিন্তু 🙂
ছাইরাছ হেলাল
অপার বিস্ময় , আমি অনেক কম অবাক হওয়া মানুষ হয়েও বলতে বাধ্য হচ্ছি , আমার এখনকার লেখাটি
দিয়ে আপনার লেখাটি ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে । একই বিষয় আমরা একই সময়ে যে যার দৃষ্টিকোণে অনুভব করছি ।
আপনি যখনই বলেন লিখতে পারছেন না তখনই অনন্য সুন্দর একটি লেখা আমরা পড়ার সুযোগ পাচ্ছি ।
আর এবারের কাকতালটি অনেক সময় ধরে মনে থাকবে ।
অদৃশ্য সময়স্রোত আমাদের কূল থেকে কূলে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ।
অসহায় আমরা ।
আপনার লেখায় আমি চমকে যাচ্ছি এই ভেবে যে , এরপর আপনি কী লিখতে যাচ্ছেন ?
পাঠকের আনন্দ ধার নেয়া বা দেয়া যায় না , গেলে আমার আনন্দের জায়গাটূকু আপনাদের দিয়ে দিতাম ।
শুন্য শুন্যালয়
লেখার চেয়ে এই মন্তব্যটাই বেশি সুন্দর. আপনার লেখার আরো ব্যাখ্যা চাই, শুরুতে কিন্তু মনেই হচ্ছিল ওটা প্রশ্ন যুদ্ধ তবু আরো কিছু আছে এটা বুঝতে পারছি..
কিছু একটা পেশ করার পর নিজেরই মনে হয় এরপর আর কিছুই লেখা সম্ভব নয়, মাথা পুরো শুন্য.
আপনার চোখ দুটো থাক, শুধু দেখার দৃষ্টি একটু যদি বিনিময় করেন.
ছাইরাছ হেলাল
অলক্ষে নিয়তি যেন আমাদের টেনে নিয়ে যাচ্ছে দূর দিগন্তে
মতামতের তোয়াক্কা না করেই ।
বনলতা সেন
আমাকে ফেলে দল বেঁধে এত্ত এত্ত সুন্দর লেখা দিচ্ছেন , আমি হিংসে করতে চাই ।
আরও হিংসে করতে চাই , এই খুব সুন্দর লেখার জন্য ,সুন্দর সুচারু ভাবে উপস্থাপনার জন্য ।
যে করেই হোক স্বপ্ন আর স্বপ্ন রাজ্যে থাকতে পারবেই না , মাটিতে তাকে নেমে আসতেই হবে ।
শুন্য শুন্যালয়
খুব চাচ্ছিলাম আজ আপনার একটা লেখা. কেনো যে বিরাগ হলেন. হিংসে তো আমিও করতে চাই, এড়িয়ে গেলে তো চলবেনা.
লীলাবতী
হস্ত পন্ডিত মামা মানে কি ? হস্তরেখা বিশারদ ?
শুন্য শুন্যালয়
হুম :p
জিসান শা ইকরাম
প্রতিদিন একই স্বপ্ন দেখা ঠিকনা । স্বপ্ন পাল্টান এবার ।
শুন্য শুন্যালয়
আমি তো স্বপ্নে পড়িনি, স্বপ্ন আমার উপরে পরেছে 😀
মশাই
ঘুম ভেঙ্গেছে মন্তব্য তৈরী করছি দয়া করে সকালের আগেই একবার এসে দেখে যাবেন।
শুন্য শুন্যালয়
সুপ্রভাত ..বসেই আছি, মন্তব্য না পড়ে আর উঠছিনা..
মশাই
দিয়েছি
মশাই
প্রথমেই অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর উপস্থাপনের জন্য। বেশি প্রশংসা করতে যাব না আজ। বেশি প্রশংসা করলেও কৃপনের মন যে উদার হয় না তা আমি জানি তবে কি বলবো সেটাই ভাবছি।
;?
আমার স্বল্পজ্ঞানের ব্যর্থতার কারণে আসলে সাহিত্য অথবা কারো লিখা নিয়ে তেমন আলোচনায় অংশগ্রহন আমি করতে পারি না। ছড়ানো ছিটানো কথাগুলো গুছিয়ে লিখতেও পারি না। তবে আজ কেন জানি মনে হচ্ছে কিছু বলা দরকার হোক তা অগুছালো। আপনার লিখাটি পড়লাম বার কয়েক কারণ ভাল লিখা বার কয়েক পড়া যায়। মুগ্ধ হয়েই পড়েছি আমি।
লেখার উপস্থাপনা নিয়ে তেমন কিছুই বলবো না অথবা লেখার চিত্রকল্প নিয়েও কিছু বলবো না যা বলবো হয়তো আলোচ্য লিখাটি সম্পর্কে তেমন প্রাসঙ্গিক নয়।
সমসাময়িক লেখা নিয়ে একটি অভিযোগ রয়েছে — এ সময়ের লেখার লিখিয়েরা নাকি শব্দ নিয়ে খেলে! তারা শব্দের পর শব্দ জুড়ে দিয়ে পাঠককে ক্ষণিক মোহাবিষ্ট করে রাখে কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব বিস্তার করে না তাই লেখাগুলোও দীর্ঘস্থায়ী হয় না, পথক হয়তো দীর্ঘদিন কোনো লেখাকে তার মস্তিষ্কে ধারণ করে রাখতে পারে না।
আমি নিজেও এ সময়ের কিছু লেখা পাঠ করে দেখেছি যে একটি লেখার প্রতিটি লাইন প্রায় আলাদা আলাদা ভাব প্রকাশ করছে কিছু ক্ষেত্রে শব্দ বুননে পাঠক হৃদয় ঝংকৃত করলেও কোন দলবদ্ধ ভাব প্রকাশ করছে না প্রায়শই। অর্থাৎ একটি লেখার একটি লাইন পড়ার পর পাঠক যখন পরবর্তী লাইনে যান তখন তার পূর্বের লাইনের ভাবটি মুছে যাচ্ছে হয়তো খন্ড খন্ড চিত্রকল্পের জন্য এমনটা হচ্ছে বলে আমার অনুমান। কিন্তু আপনার আজকের এই লিখাটির চিত্রকল্প সুনির্দিষ্ট রেখেছেন এমনকি সামঞ্জস্যতাও লক্ষ্য করা যায় প্রতিটি লাইনে। আজকের লিখাটি পড়ে সত্যি আমি অনেক অনেক মুগ্ধ হয়েছি এবং চাচ্ছি এই ধারাটুকু বজায় রাখার চেষ্টা করুন। উপস্থাপনার ভঙ্গি, ভাববস্তু, সামঞ্জস্যতা মিলিয়ে যখন একটি লেখা সৃষ্টি হয় তখন পাঠকের মনে তা আঁচড় কাটে সহজেই। আর আপনার লিখাটি ঠিক তেমনি। শুভেচ্ছা অনেক অভিনন্দন তার জন্য আপনাকে। -{@ -{@ -{@
আমি আগেই বলেছি আমার স্বল্পজ্ঞানের কারণে আমি কোনো আলোচনা অথবা সমালোচনাতে অংশগ্রহন করার সাহস পাই না। এখানে অনেক বিজ্ঞজন রয়েছেন তারা হয়তো আরো অনেক অনেক ভাল করে লিখাটিকে মূল্যায়ন করতে পারবেন। আমি শুধু আমার মতামত ব্যক্ত করলাম। কারণ আমি চাই না শুধু পাঠ করে অসাধারণ শব্দটি লিখে মন্তব্য দায় কাঁধ থেকে নামিয়ে ফেলতে।
***নিজেকে মিথ্যে সুখী করার কতো উপকরণ, তবু সত্যি সুখরা যেনো বা এইসব না দেখা শরীরের রেখা আর সকালে ঘুম ভাঙ্গা স্বপ্নের মতোই ।।***
আপনার শেষ লাইনটা আমার মনে থাকবে অনেক দিন। চমত্কার অভিব্যক্তি !!! আসলেই আমরা নিজেকে সুখী করার উপকরণ খুজতে খুজতেই জীবন কাটিয়ে দেই।
আপানর শেষ লাইনগুলো পড়ে Ruben Darioএর একটি কবিতার কথা মনে পড়ল তাই এটাকে অনুবাদ করে দেয়ার জন্যই আসলে আমার মন্তব্য করতে একটু সময় লেগেছে। অনুবাদে ভুল থাকলে ক্ষমা করবেন আগেই বলে নিচ্ছি। আপনার শেষ লাইনগুলোর ভিত্তিতেই আসলে আমার এই প্রয়াস।
তরুরা সুখী কারণ তারা চেতনাহীন বললেই চলে,
নিরেট পাথর অনুভূতিহীন বলে আরো বেশি সুখী;
বাঁচার মত এত বিশাল যন্ত্রণা আর কিছুতেই নেই
জীবন্ত জীবনের মতো কোনো ভাড় এতো ভারী নয়।
জানি না এখনো কি হবো, অসচ্ছ পথে কোথায় যাবো
যেভাবেই হয়েছি তাতেই ভীত, যা হবে তাতেও আতঙ্ক।
আগামীকালই চিরবিদায়ের ভ্রমহীন বিভীষিকা, এবং
আজীবন যন্ত্রণার মাঝে, অন্ধকারের মাঝে এবং
অজানা পথে পার হয়ে যাওয়া, যা কিনা সন্দেহও করি না।
মৃত্যুর লোভ দেখিয়ে সতেজ ফলগুলো এখনো ডাকে ,
যে কবর অপেক্ষমান থাকে ধ্বংসকৃত্যের পবিত্রজলের।
আমরা জানি না আজ কোথায় যাবো
এমনকি জানি না আজ আমরা এসেছি কোথা থেকে!
——-Ruben Dario
ভালো থাকুন কিপটামি বন্ধ করে লিখা দিতে থাকুন।
শুন্য শুন্যালয়
আরে বাপরে কি অনুবাদ করেছেন !!!!! আপনি এক শব্দে না সারলেও আমি অসাধারন ছাড়া আর যে কিছু বলতে পারছিনা, মূল কবিতা কতোটা টানবে জানিনা, তবে মনে হয়না এর থেকেও বেশি টানার ক্ষমতা রাখবে…
যে মন্তব্য করেছেন, আমি নিজেই জানিনা এর জন্য কতটা যোগ্যতা রাখে, তবে অনুপ্রেরণা কি আর বলবো …আজীবন লিখে যাওয়া যায় এমন করে…
বিশ্বাস করুন আমি কিপ্টুস নই, যদি আপনাদের মতো করে পারতাম !!!!
আপাতত মাথার মধ্যে এই অনুবাদ…
বাঁচার মত এত বিশাল যন্ত্রণা আর কিছুতেই নেই
জীবন্ত জীবনের মতো কোনো ভার এতো ভারী নয়। (y)
মশাই
আমি অতি ক্ষুদ্র জ্ঞানের মানুষ আপনি হয়তো আরো ভাল পারবেন :
No pain’s greater than the pain of being aware.
Human consciousness produces the worst despair.
আপনার শেষ লাইনে অভিভূত হয়েই আসলে একটু চেষ্টা করেছিলাম। আর হ্যা এটাই আমার প্রথম অনুবাদ কবিতা।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা এখানে অনুবাদের ব্যবস্থাও আছে !
পাগলারে হাক্কার (সাঁকো) কথা মনে করানো ঠিক হচ্ছ না কিন্তু ।
মশাই
আমি কিছুই জানি না ভাইয়া আসলে এই ব্যাপরে। আসলাম এই মাত্র সোনেলায়।
শুন্য শুন্যালয়
এমন সুন্দর অনুবাদ আমি কোনদিনই করতে পারতাম না, আপনি বলেই পেরেছেন… পুরো কবিতাটা পড়তে ইচ্ছে করছিলো, কিন্তু অনুবাদেই ভালো লাগার চুড়ান্ত
মশাই
NIKARAGUA
Trees are lucky because they barely sense a thing.
Stones, as well, because they’re hard, beyond all feeling.
No pain’s greater than the pain of being aware.
Human consciousness produces the worst despair.
To be, yet know nothing with no clear way to go,
the fear of having been, a future terror, too,
the unerring dread of being dead tomorrow,
and suffering through life and through shadows and through
the unknown and what one cannot anticipate,
the temptation of flesh, the fresh fruit still to come,
our tombs and the memorial laurels that await,
not knowing where we’re going
or even where we’re from!
ছাইরাছ হেলাল
বহু কষ্টে এই ভূত তাড়িয়েছি ।
নমুনাটি খুঁজে পেলে একটু দেখাব পরে ।
খুব লোভ আমার ।
মশাই
দিয়ে দিলাম
মশাই
থাক থাক ভাইয়া যে ভুত গেছে তাকে আর ডেকে আনার দরকার নেই। আপনি যদি অনুবাদ করে দেন তাহলে সেটার উপরে যে আর কেউ ঠাই পাবে না সেটাও জানি।
শুন্য শুন্যালয়
আমি চিন্তিত, হয়েই যাক না শব্দের পোস্টমর্টেম…অনুবাদ তো যে যার নিজের মতো করে করবেন, তবু এই অধমের জন্য শব্দগুলো যেনো একটু সহজ হয়..।
মশাই
ঠিক বলেছেন হয়ে যাক তাহলে পোস্টমর্টেম তবে ডাক্তারের ভূমিকায় আপনাকেও থাকতে হবে। ঝটপট উনার সাথে সাথে আমিও করে ফেলুন। কিবোর্ড চাপলে কিবোর্ড নষ্ট হবে না গ্যারান্টি দিলাম। -:-
শুন্য শুন্যালয়
না ভাই বললে হবেনা, আমার কীবোর্ড নস্ট হয়ে যাবে, আর কঠিন কঠিন শব্দ এই নাজুক কিবোর্ড নিতে পারবেনা।।
ছাইরাছ হেলাল
একটি অনুবাদ প্রথম দিককার , আপনাদের দেখাব , সেটি আমার এখন প্রিয় ।
যদিও কিছু দুর্বলতা আছে , তা জেনেও হাত দিতে মন চায়নি ।
মশাই
দিয়ে দিন please
ছাইরাছ হেলাল
অপেক্ষা
যদি তুমি আস………
আমি চাই – একটু আলো
দাঁড়িয়ে জানালায়
রাজপথে চাই দেখতে আনন্দের জনস্রোত,
চাই কারো অনুগ্রহ।
রাত্রি আমার
কেন তুমি এত স্বল্পতায় স্বল্পতম…
মিলনের অপেক্ষায় বাতাস, পাতাদের সাথে…
ক্ষীণ রাত্রি আমার যন্ত্রনায় বিভোর।
এই………..
শুনতে কি পাও ছায়াদের কানাকানি ?
ব্রাত্য আমি আনন্দ অনুভবে
অভ্যস্ত নিন্দায় ও।
কিছু একটা ঘটছে এ রাত্রিতে
উদ্বিগ্ন লাল চাঁদ লেপ্টে আছে ছাদে,
মেঘেরাও আছড়ে পড়ছে পাহাড়ে
যন্ত্রনায় কাঁদছে পোয়াতি মেঘ
অপেক্ষা বৃষ্টি প্রসবের।
জানালায় কাঁপছে রাত্রি
পৃথিবীও ঘুরছে না আর,
জানলায় ভীত আগন্তুক
ভাবছে তোমাকে আমাকে নিয়ে।
তুমি তোমারই সজীবতায়
রেখে হাতে হাত সোনালী সুখ স্মৃতিতে
ভালোবাসি উষ্ণ উষ্ণতায় ।
ভালোবেসে যাব ভেসে
ভাসব ভালোবেসেই।
================
বহু বছর আগের , হাসা যাবে না , মুখটিপে ও ।মনে থাকে যেন ।
শুন্য শুন্যালয়
হাসবো কি? আমিতো পুরাই টাস্কিত, আপনি এতোদিন লেখেন নি কেনো বলুন তো? শুধু পাঠক হয়ে নিজেই নিজের লেখায় ঘুরেছেন…
দারুন…
অপরাজিতা সারাহ
হেলাল ভাই,এই ‘অপেক্ষা’ কবিতাটি আমার অসাধারন লেগেছে।আরো অনুবাদ চাই।আমাদের বঞ্ছিত করবেন না,প্লিজ!
শুন্য শুন্যালয়
দিয়ে দিন ভাইয়া, আপনার প্রথম দিককার ভাবনা গুলোও জানা হয়ে যাবে…
ছাইরাছ হেলাল
হেসে দিলে খবর আছে কিন্তু ।
ছাইরাছ হেলাল
প্রায় হাজার বছর পুরনো এক বিখ্যাত তুর্কি কবির কবিতা ।
নাম বলব না ।
মশাই
na na ami kintu aktuo hashi nay tobe….
Thak akhon na pore bolbo.. Akhon mukhta chepe dhore rakhi.
ছাইরাছ হেলাল
ধুর, আপনাদের পুরনো ঝাঁপিতে উঁকি দিতে দেওয়া ঠিক হয়নি ।
প্রায় তিন মাস এটি মাথায় নিয়ে ঘুরেছি ।
এখনও এটি আমার প্রিয় একটি লেখা ।
শুন্য শুন্যালয়
কেনো মাথা থেকে নেমে যাবে এই ভয় ? নাকি প্রিয় কিছু শেয়ার করতে চাননি … খুব খারাপ কথা।।
না হয় জানলাম, মাথা ভর্তি ভয়ঙ্কর সব শব্দের যুদ্ধের যোদ্ধা ভালোও বাসতে পারে, ভালোবেসে ভেসেও যেতে পারে… 🙂
ছাইরাছ হেলাল
মূল লেখাটি মনের মধ্যে যে ভাবে আলোড়ণ করছি
ভাষা সেখানে কিছুতেই পৌঁছুতে পারছিল না , আবার যে ভাষা আমি পাচ্ছিলাম
তা আবার পছন্দ হচ্ছিল না । তাই এত দিন দেরি করেছি ।
একটু পড়ে দেখবেন ,আমার প্রিয় লেখাটি ।
শুন্য শুন্যালয়
কবিতার নাম “অপেক্ষা”… প্রথম লাইন “যদি তুমি আসো” ।।
যেভাবে কল্পনার ভাব টা প্রকাশ করেছেন, এটা বর্তমানের সাথে মিলেমিশে গেছে, চোখের সামনে দেখতে পারার মতো … আপনি তো জানেনই আমি বলবো “সুন্দর ” 🙂
খসড়া
পানিতে সাঁতার কাটতে কাটতে কোনদিন দেখবেন মাছ হয়ে গেছেন। সেদিন ঐ কিশোরী কাজলের টিপের মত স্বপ্ন বাস্তবায়নে যাবেন। অর্থাৎ মাছ কেটেকুটে ধুয়ে ভাল করে ভেজে কষিয়ে রেঁধে তার প্রিয়ার পাতে তুলে দেবেন ও নিজেও চিবিয়ে খাবেন।
শুন্য শুন্যালয়
সত্যি কথা বড়ই তিতা গো ভাইজান, তবুও একটু দয়ামায়া কইরা কি বলতে পারতেন না… ? 🙁
স্বপ্ন
কবিতা আমি বুঝবো না আপু , দর্শক সারিতে বসে কবিদের মন্তব্য পড়ি আর মুগ্ধ হই 🙂 -{@
শুন্য শুন্যালয়
একটু চেস্টা করেই দেখুন না, উপরের কবিতা দুটো কিন্তু কঠিন নয়, ভাবটা বুঝুন শুধু, আর আপনি কবিতা বোঝেন না, একথা বিশ্বাস করতে কিছুতেই পারলাম না..।
নীলকন্ঠ জয়
প্রতিভা শত চেষ্টাতেও আটকে রাখা সম্ভব নয়। আপনিও পারলেন না। শুধু শুভেচ্ছা নয়… অনেক অনেক মঙ্গলকামনা। লেখা যখন শুরু করেছেন, তখন চলতে থাকুক। বন্ধ করার চিন্তা করলে খবর আছে কিন্তু :p
শুন্য শুন্যালয়
কি বলেন, আমি তো প্রতিভাকে আটকে রাখিনি? আমার উপর অন্যের দোষ চাপানো হচ্ছে নির্ঘাত ।।
খবর করার জন্য হলেও মাঝে মাঝে আপনার দেখা পাওয়া যাবে তাহলে।। 🙂
অনেক ধন্যবাদ নীলকন্ঠ ।।
আদিব আদ্নান
আমার এখন মন্তব্য করতে ভয় হচ্ছে ।
অনেকদিন পর এসেছি তো ।
শুন্য শুন্যালয়
এবারের মতো মাফ করা হলো, এরপর থেকে বেশি এবসেন্ট থাকলে বাড়িতে নোটিশ যাবে, হুম 🙂
আদিব আদ্নান
মাফ পেলাম । আমার পছন্দের কয়েকটি লেখায় মন্তব্য করার যোগ্যতা হারিয়েছি ।
এরা এত ভাল লেখে কী করে আপনি সহ ?
অপরাজিতা সারাহ
অসাধারন লেখনী।একেবারে গরগর করে পরে গিয়েও রেশ থেকে যায়,শেষ হয়েও যেন হয় না শেষ।কিন্তু স্বপ্ন দেখেই দিন পার হবে,নাকি বাস্তবায়নের পথেও চলতে হবে?আর কত সাঁতরে বেড়াবেন?
আর মন্তব্যগুলো যা পরলাম,মনে হল ন্বেমতন্ন করে বাড়ি নিয়ে এসে আবার অতিথিকে কিছু উপহার তুলে দেয়া।আর সেই উপহারের মধ্যে আছে দুইতি অনুবাদ।অসাধারন!হেলাল ভাইয়ের এই গুনের খবর কি করে এতদিন চেপে রাখল কে জানে।ধন্যবাদ সবাইকে অসাধারন পোস্ট আর কমেন্টের জন্যে।
শুন্য শুন্যালয়
আপু অনেক ধন্যবাদ দেরিতে হলেও নিমন্ত্রণ রক্ষা করেছেন বলে, হুম ছুপা রুস্তম সে… ঠিক হাড়ির খবর বের হয়ে যাচ্ছে 🙂
সীমান্ত উন্মাদ
বিয়েত তিনটা হবার কথা। :p লিখাটা ভাল হইছে। শুভকামনা নিরন্তর।
শুন্য শুন্যালয়
:Pondering:
আপনি আবার কোথা থেকে আসলেন? আমার তিনটা বিয়ে হবার কথা আপনি জানলেন কেমন করে, কি বিশারদ আপনি? :Tounge-Out:
ছাইরাছ হেলাল
”এক পাখি” তে সেই কবে মন্তব্য করে রেখেছি উত্তরের আশায় ।
শুন্য শুন্যালয়
ভাইয়া স্যরি, আমি বেশির ভাগ সময় মোবাইলে আসি, এজন্য মন্তব্যগুলো দেখতে পাইনা.. এখনই যাচ্ছি ।। 🙂